চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ৩টি উপায়
চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায় ভিটামিন এ, বি, ই, ডি, সি, বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের মতো পুষ্টি উপাদান চোখের জন্য ভালো। সবুজ শাকসবজিও চোখের জন্য ভালো। পালং শাক, ভুট্টা, বিটরুট, ডিম, বাদাম এবং চর্বিযুক্ত মাছ প্রাকৃতিক ভাবে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এসব আপনার খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।তবে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে যার মাধ্যমে খুব সহজেই বাড়াতে পারেন আপনার দৃষ্টিশক্তি। চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি কত
দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া বর্তমানে বিশ্বে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট থেকে বড় বেশিরভাগই এই সমস্যায় ভুগছেন।
চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ৩টি উপায়
চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য যে ৩টি উপায় অনুসরণ করতে পারেন:
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চোখের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হল ভিটামিন এ, বি, ই, সি, বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। এসব পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার যেমন পালং শাক, ভুট্টা, বিটরুট, ডিম, বাদাম এবং চর্বিযুক্ত মাছ নিয়মিত খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়তে পারে।
আরো পড়ুন: ব্রণ কেন হয় এবং ব্রণ দূর করার সহজ উপায়
চোখের ব্যায়াম: করা চোখের ব্যায়াম চোখের পেশীকে শক্তিশালী করে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়তে সাহায্য করে। চোখের ব্যায়াম করার জন্য নিম্নলিখিত কয়েকটি ব্যায়াম অনুসরণ করতে পারেন:
- চোখের গোল করে ঘোরানো: চোখের গোল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে 10 বার করে করুন।
- চোখের উপরে নিচে ওঠানামা করা: চোখের উপরে নিচে ওঠানামা করে 10 বার করে করুন।
- চোখের ডানে বামে ঘোরানো: চোখের ডানে বামে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে 10 বার করে করুন।
পর্যাপ্ত ঘুমানো: পর্যাপ্ত ঘুম চোখের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময় চোখের পেশী এবং মস্তিষ্কের দৃষ্টি সংক্রান্ত অংশ বিশ্রাম পায়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
এছাড়াও, চোখের দৃষ্টি ভালো রাখার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখবেন:
- দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না।
- চোখের ক্লান্তি হলে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন।
- নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করুন।
চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায়
চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার জন্য যে সব উপায়গুলো অনুসরণ করতে পারেন:
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া:চোখের দৃষ্টি ভালো রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চোখের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হল ভিটামিন এ, বি, ই, সি, বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিড। এসব পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার যেমন পালং শাক, ভুট্টা, বিটরুট, ডিম, বাদাম এবং চর্বিযুক্ত মাছ নিয়মিত খেলে চোখের দৃষ্টি ভালো থাকবে।
চোখের ব্যায়াম করা: চোখের ব্যায়াম চোখের পেশীকে শক্তিশালী করে এবং দৃষ্টি ভালো রাখতে সাহায্য করে। চোখের ব্যায়াম করার জন্য নিম্নলিখিত কয়েকটি ব্যায়াম অনুসরণ করতে পারেন:
- চোখের গোল করে ঘোরানো: চোখের গোল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে 10 বার করে করুন।
- চোখের উপরে নিচে ওঠানামা করা: চোখের উপরে নিচে ওঠানামা করে 10 বার করে করুন।
- চোখের ডানে বামে ঘোরানো: চোখের ডানে বামে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে 10 বার করে করুন।
পর্যাপ্ত ঘুমানো: পর্যাপ্ত ঘুম চোখের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময় চোখের পেশী এবং মস্তিষ্কের দৃষ্টি সংক্রান্ত অংশ বিশ্রাম পায়। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা: নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করলে চোখের যেকোনো সমস্যা শনাক্ত করা যায় এবং তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা যায়।
৬/৬ দৃষ্টি বলতে কী বোঝায়?
৬/৬ দৃষ্টি বলতে এমন দৃষ্টিকে বোঝায় যেখানে একজন ব্যক্তি ৬ মিটার দূর থেকে ৬ মিটার দূরে রাখা একটি টেক্সট বড় করে দেখতে পারে। অর্থাৎ, একজন ব্যক্তির দৃষ্টি যদি ৬/৬ হয় তাহলে তার দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক।
চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার জন্য কত সময় লাগতে পারে?
চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার জন্য কত সময় লাগবে তা নির্ভর করে দৃষ্টিশক্তির সমস্যার ধরন এবং তীব্রতার উপর। সাধারণত, হালকা দৃষ্টিশক্তির সমস্যার ক্ষেত্রে নিয়মিত চোখের ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই দৃষ্টি ৬/৬ করা সম্ভব। তবে, মাঝারি বা গুরুতর দৃষ্টিশক্তির সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ঔষধ
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে। তবে, কোন ঔষধটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে তা নির্ধারণ করার জন্য একজন চোখের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ঔষধের মধ্যে রয়েছে:
ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ ঔষধ: ভিটামিন এ, বি, ই, সি, এবং বিটা ক্যারোটিন চোখের দৃষ্টি ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই এসব ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ ঔষধ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর হতে পারে।
আরো পড়ুন: হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় গুলি জেনে নিন
অ্যান্টিবায়োটিক: চোখের সংক্রমণ দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করতে পারে। তাই চোখের সংক্রমণ হলে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
স্টেরয়েড: কিছু কিছু ক্ষেত্রে চোখের প্রদাহ দৃষ্টিশক্তি হ্রাস করতে পারে। তাই চোখের প্রদাহ হলে স্টেরয়েড ঔষধ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
চশমা বা লেন্স: দৃষ্টিশক্তির সমস্যা যেমন মায়োপিয়া, হাইপারমেট্রোপিয়া, এবং অ্যাস্টিগমাটিজমের ক্ষেত্রে চশমা বা লেন্স ব্যবহার করে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করা যায়।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ড্রপ
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ড্রপ রয়েছে। তবে, কোন ড্রপটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে তা নির্ধারণ করার জন্য একজন চোখের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার ড্রপের মধ্যে রয়েছে:
প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন অ্যানালগস: এই ড্রপগুলি চোখের লেন্সের আকার পরিবর্তন করে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ড্রপগুলি সাধারণত মায়োপিয়া এবং হাইপারমেট্রোপিয়া দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
অ্যাস্টিম্যাটিক ড্রপস: এই ড্রপগুলি চোখের লেন্সের আকার পরিবর্তন করে অ্যাস্টিগমাটিজম দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ ড্রপস: এই ড্রপগুলি চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধির ড্রপ ব্যবহারের নিয়ম:
- ড্রপ ব্যবহারের আগে আপনার হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- ড্রপারের ডগাটি চোখে স্পর্শ করাবেন না।
- আপনার চোখ বন্ধ করে ড্রপটি আস্তে আস্তে চোখের ভিতরে ফেলুন।
- ড্রপ ব্যবহারের পরে আপনার চোখ বন্ধ করে কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।
- আপনার চোখ কাঁপতে থাকলে কয়েকবার পাতা বন্ধ করুন এবং খুলুন।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধির ড্রপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
- চোখের জ্বালাপোড়া
- চোখে লালভাব
- চোখের জল পড়া
- চোখের প্রদাহ
- চোখের পাতা ফোলাভাব
- চোখের ঝাপসা দৃষ্টি
- মাথাব্যথা
- চোখে ধুলো বা বালির অনুভূতি
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধির ড্রপের সতর্কতা:
- আপনি যদি গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী হন তবে ড্রপ ব্যবহারের আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- আপনি যদি অন্য কোনও ওষুধ গ্রহণ করেন তবে ড্রপ ব্যবহারের আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- আপনি যদি কখনও কোনও চোখের সমস্যায় ভুগেছেন তবে ড্রপ ব্যবহারের আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধির ড্রপের কার্যকারিতা:
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধির ড্রপের কার্যকারিতা নির্ভর করে দৃষ্টিশক্তির সমস্যার ধরন এবং তীব্রতার উপর। সাধারণত, হালকা দৃষ্টিশক্তির সমস্যার ক্ষেত্রে ড্রপগুলি কার্যকর হতে পারে। তবে, মাঝারি বা গুরুতর দৃষ্টিশক্তির সমস্যার ক্ষেত্রে ড্রপগুলি কার্যকর নাও হতে পারে।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধির ড্রপের দাম:
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধির ড্রপের দাম নির্ভর করে ড্রপের ধরন, ব্র্যান্ড এবং পরিমাণের উপর। সাধারণত, এই ড্রপগুলির দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার খাবার
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি করার জন্য কিছু খাবার বিশেষভাবে উপকারী। এই খাবারগুলিতে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে:
গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ চোখের রেটিনায় আলোক সংবেদনশীল কোষগুলির জন্য প্রয়োজনীয়।
কলিজা: কলিজা ভিটামিন এ এবং জিংক-এর একটি ভালো উৎস। জিংক চোখের রেটিনায় ভিটামিন এ-এর পরিবহনে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: কি খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে
ডিম: ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং জিংক থাকে।
সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং লুটেইন থাকে। লুটেইন একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
টমেটো: টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন থাকে, যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, লুটেইন এবং জিংক থাকে। এই খাবারগুলি নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন এবং দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারেন।
চোখের পাওয়ার কমে গেলে করণীয়
প্রথমে একজন চোখের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার চোখ পরীক্ষা করে আপনার দৃষ্টিশক্তির সমস্যার কারণ নির্ণয় করবেন এবং উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।
চোখের সমস্যার ধরন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে চিকিৎসার পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, চোখের পাওয়ার কমে গেলে চশমা বা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে লেজার সার্জারির মাধ্যমেও চোখের পাওয়ার ঠিক করা যেতে পারে।
চোখের পাওয়ার কমে যাওয়ার কারণ নির্দিষ্ট কিছু হলে, সেই কারণ দূর করার জন্য চিকিৎসা করা উচিত। যেমন, ডায়াবেটিস বা বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের কারণে চোখের পাওয়ার কমে গেলে, সেই রোগের চিকিৎসা করলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হতে পারে।
চোখের পাওয়ার কমে গেলে করণীয় কিছু নির্দিষ্ট বিষয়:
- চশমা বা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করলে, সেগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত।
- কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনের সামনে কাজ করার সময়, চোখের বিশ্রাম দেওয়ার জন্য নিয়মিত বিরতি নেওয়া উচিত।
- চোখের উপর চাপ না ফেলতে, চোখ কুঁচকে বা ঝুঁকে কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
- চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাবার খাওয়া উচিত। যেমন, গাজর, কলিজা, ডিম, সবুজ শাকসবজি, টমেটো, বাদাম এবং বীজ।
- চোখের পাওয়ার কমে গেলে, নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো এবং চোখের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা আপনি নিয়মিত করতে পারেন। এই ব্যায়ামগুলি চোখের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে এবং চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য কিছু ব্যায়াম হল:
চোখের পাতা ফেলা: প্রতি ৩-৪ সেকেন্ড পরপর চোখের পাতা ফেলা চোখের ক্লান্তি দূর করতে এবং চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
চোখ ঘোরানো: ঘড়ির কাঁটার অভিমুখে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে চোখ ঘোরানো চোখের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে এবং চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: মাথার টাকে চুল গজানোর উপায়
দূরের বস্তুতে ফোকাস করা: একটি দূরের বস্তুতে ফোকাস করে কিছুক্ষণ ধরে তাকিয়ে থাকা চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কাগজের টুকরোতে একটি ছোট গোলাপী বিন্দু আঁকুন এবং সেই বিন্দুতে ফোকাস করে কিছুক্ষণ ধরে তাকিয়ে থাকা চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ব্যায়ামগুলি দিনে ২-৩ বার করে ১০-১৫ মিনিট করে করা উচিত।
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির দোয়া
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি বাসারি, ওয়া মিন শাররি লিসানি, ওয়া মিন শাররি ক্বালবি, ওয়া মিনশাররি মানিয়্যি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার চোখের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে আমার মুখের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে আমার অন্তরের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই। আমি তোমার কাছে আমার শরীরের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই।
আরেকটি দোয়া
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আল্লাহুম্মা বাসরি বাসারান তুহিবুহু, ওয়া তুহইবি ইলায়হি কুললি নফসিন মুমিনিন।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার চোখকে এমন দৃষ্টি দান করো যা তুমি পছন্দ করো এবং যা প্রত্যেক মুমিনের কাছে পছন্দনীয়।
এই দোয়াগুলি নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পাবে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত হবে।
চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি কত
চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি বলতে বোঝায় এমন দৃষ্টি যার মাধ্যমে একজন মানুষ 20 ফুট দূরে অবস্থিত একটি 100 পয়েন্টের বড় অক্ষরকে স্পষ্টভাবে দেখতে পারে। এই দৃষ্টিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে 20/20 দৃষ্টি বলে।
একটি চোখের দৃষ্টি কতটা স্বাভাবিক তা নির্ধারণ করার জন্য একটি বিশেষ পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায় রোগীকে 20 ফুট দূরে অবস্থিত একটি দূরবীণ ব্যবহার করে একটি বিশেষ চার্ট দেখানো হয়। চার্টে বিভিন্ন আকারের অক্ষর থাকে। রোগীকে চার্টের অক্ষরগুলি স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়ার জন্য দূরবীণটিকে এগিয়ে বা পিছিয়ে নিয়ে যেতে হয়।
আরো পড়ুন: সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
যদি রোগী 20 ফুট দূরে অবস্থিত 100 পয়েন্টের বড় অক্ষরকে স্পষ্টভাবে দেখতে পারে, তাহলে তার দৃষ্টি 20/20। এর মানে হল যে রোগীর চোখ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। যদি রোগী 20 ফুট দূরে অবস্থিত 100 পয়েন্টের বড় অক্ষরকে স্পষ্টভাবে দেখতে না পারে, তাহলে তার দৃষ্টি স্বাভাবিক নয়। এর মানে হল যে রোগীর চোখে কোনও সমস্যা রয়েছে।
চোখের দৃষ্টি সমস্যার মধ্যে রয়েছে:
হ্রস্বদৃষ্টি (Myopia): এই সমস্যায় দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায় না, কিন্তু কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায়।
দীর্ঘদৃষ্টি (Hyperopia): এই সমস্যায় কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায় না, কিন্তু দূরের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায়।
অস্টিওম্যাটোপিয়া (Astigmatism): এই সমস্যায় বিভিন্ন দিকের আলোক রশ্মি বিভিন্নভাবে প্রতিসৃত হয়, যার ফলে জিনিসগুলি ঝাপসা দেখা যায়।
প্রেসবায়োপিয়া (Presbyopia): এই সমস্যায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে কাছের জিনিস স্পষ্ট দেখা যায় না। এই সমস্যাগুলি চশমা, লেন্স বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সংশোধন করা যেতে পারে।