তুলসীর উপকারিতা ও ব্যবহার
তুলসী পাতার উপকারিতা তুলসী একটি ঘন শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট ২/৩ ফুট উঁচু একটি চিরহরিৎ গুল্ম। এর মূল কাণ্ড কাষ্ঠল, পাতা ২-৪ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। পাতার কিনারা খাঁজকাটা, শাখাপ্রশাখার অগ্রভাগ হতে ৫টি পুষ্পদণ্ড বের হয় ও প্রতিটি পুষ্পদণ্ডের চারদিকে ছাতার আকৃতির মত ১০-২০ টি স্তরে ফুল থাকে।
তুলসী গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডা লাগা ইত্যাদি নানা সমস্যায় তুলসী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠাণ্ডা ও সর্দিজনিত যেকোনো সমস্যায় তুলসী রস ও মধু একত্রে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
এ গাছের রস কৃমি ও বায়ুনাশক।[২] ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হলো এর রস, পাতা এবং বীজ। আয়ুর্বেদ ও ভেষজ চিকিৎসায় তুলসীর ব্যাপক ব্যবহার বয়েছে, বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে।
তুলসীর উপকারিতা, ব্যবহার
প্রাচীনকাল থেকে সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডা লাগা ইত্যাদি নানা সমস্যায় তুলসী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠাণ্ডা ও সর্দিজনিত যেকোনো সমস্যায় তুলসী রস ও মধু একত্রে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এ গাছের রস কৃমি ও বায়ুনাশক। ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হলো এর রস, পাতা এবং বীজ।
জেনে নিন তুলসি পাতার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
সর্দি-কাশি কমিয়ে দেয়:এটি খুব পরিচিত চিত্র যে, ঠান্ডা লাগলে অর্থাৎ সর্দি-কাশি হলে তুলসি পাতা খাওয়া হয় ওষুধ হিসেবে। সর্দি ও কাশি সারাতে এটি খুব দ্রুত কাজ করে। কারও বুকে কফ বসে গেলে তাকে প্রতিদিন সকালে তুলসি পাতা, আদা ও চা পাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে তাতে মধু ও লেবু মিশিয়ে খেতে দিন। এতে দ্রুতই উপশম মিলবে।
গলা ব্যথা দূর কর: গলা ব্যথার সমস্যায় ভুগলে আস্থা রাখুন তুলসি পাতায়। কারণ এই সমস্যা দূর করতে তুলসি পাতার জুড়ি মেলা ভার। শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমাতেও তুলসি পাতা বেশ উপকারী। করোনা মহামারির এই সময়ে তাই নিয়মিত তুলসি পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন। কয়েকটি তুলসি পাতা ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গার্গল করলে গলা ব্যথা দ্রুত সেরে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: ক্যান্সার এক মরণঘাতি অসুখের নাম। এই অসুখ দূরে রাখতেও সাহায্য করে তুলসি পাতা। এই পাতায় আছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান যা টিউমারের কোষগুলোকে মেরে ফেলে। এতে আরও আছে ফাইটোকেমিক্যাল যেমন রোসমারিনিক এসিড, মাইরেটিনাল, লিউটিউলিন এবং এপিজেনিন। এসব উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করতে কার্যকরী। অগ্নাশয়ে যে টিউমার কোষ দেখা দেয় তা দূর করতেও তুলসী পাতা দারুণ উপকারী। পাশাপাশি দূরে রাখে ব্রেস্ট ক্যান্সারও।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তুলসি পাতা। অ্যাজমা, ফুসফুসের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি মোকাবিলায় কাজ করে এই পাতা। জ্বর সারাতেও তুলসি পাতা সমান উপকারী। তুলসি পাতা ও এলাচ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করলে খুব সহজেই বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ক্ষতস্থানে তুলসি পাতা বেটে লাগালে তা দ্রুত শুকায়।
আরো পড়ুন: খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ওজন কমায়: তুলসি পাতা খেলে তা রক্তে সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টরল দুটোই রোধ করে। তাই খুব সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, তুলসি দিয়ে তৈরি ২৫০ মিলিগ্রামের একটি ক্যাপসুল প্রতিদিন খাওয়ার ফলে ওবেসিটি ও লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডায়াবেটিস দূরে রাখে: তুলসি পাতা ইনসুলিন উৎপাদনের কাজ করে। প্রতিদিন খাওয়ার আগে তুলসি পাতা খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে। তুলসি অ্যান্টি ডায়াবেটিক ওষুধের কাজ করে। তুলসিতে থাকা স্যাপোনিন, ত্রিতারপিনিন ও ফ্ল্যাবোনয়েড ডায়বেটিস রোধ করতে কার্যকরী।
তুলসীর ব্যবহার
তুলসী গাছের নানা ঔষধি ব্যবহার রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডা লাগা ইত্যাদি নানা সমস্যায় তুলসী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠাণ্ডা ও সর্দিজনিত যেকোনো সমস্যায় তুলসী রস ও মধু একত্রে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
এ গাছের রস কৃমি ও বায়ুনাশক।[২] ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হলো এর রস, পাতা এবং বীজ। আয়ুর্বেদ ও ভেষজ চিকিৎসায় তুলসীর ব্যাপক ব্যবহার বয়েছে, বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে।
তুলসী প্রাকৃতিকভাবে ব্যবহৃত ও বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হতে পারে এবং এটি বিভিন্ন ধরনের ভূমির মধ্যে বয়ে থাকতে পারে। তার ঔষধিক এবং স্বাস্থ্যগণনা ক্ষমতা একটি পৌষ্টিক উদ্ভিদ হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রস্তুত।
মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা
তুলসী পাতার সঙ্গে মধু সেবনে মেটে সর্দি কাশির সমস্যা। তবে বহু রিপোর্ট বলছে, মধুর গুণ আরও অনেক। এর মধ্যে থাকা নানান উপকারিতা, শরীরের বহু রোগ জ্বালা সমস্যা দূর করে। 2/6সংক্রমণ দূর করে-
মধু সাইনাসের সমস্যাতে দারুন উপকারি বলে মনে করা হয়।মধু ও তুলসী পাতার উপকারিতা বিশেষভাবে স্বাস্থ্য উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। এই উদ্ভিদগুলি বিভিন্ন ধরণের গুণাবলী ধারণ করে, যা মানসিক, শারীরিক, এবং পৌষ্টিক সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
মধু পাতার উপকারিতা:
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:তুলসী-মধুর মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও ভিটামিন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
- ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে:তুলসী-মধু ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষিত রাখে।
- কাশি কমাতে:তুলসী-মধু একটি চমৎকার ঘরোয়া উপাদান কাশি কমানোর জন্য। এটি শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমাতে কাজ করে।
আরো পড়ুন: কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- অ্যালার্জি কমায়:তুলসী ও মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। এটি ত্বককে প্রশমিত করে এবং অ্যালার্জি কমায়।
- অকালবার্ধক্য কমায়:এই ঘরোয়া উপাদানের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষের অকালবার্ধক্য কমায়।
- কিডনিতে পাথর:এই ঘরোয়া উপাদান কিডনির পাথর দূর করতে কাজ করে। কিডনির বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে দিয়ে কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে।
- .হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে:তুলসী ও মধু কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এটি হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে কাজ করে।
তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- অস্ত্রশক্তি ও অস্ত্রোগ্রহণে সাহায্য: তুলসী পাতা মাথা এবং শরীরের দুঃখিত অংশগুলির মাধ্যমে মানসিক ও বৌদ্ধিক সাস্তি সাধারণ করতে সাহায্য করতে পারে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: কিছু গবেষণা মোতাবেক, তুলসী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং রক্তশোক কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- মাইগ্রেন এবং তন্দ্রা প্রতি সাহায্য: তুলসী পাতা মাইগ্রেন এবং তন্দ্রা সহ মাথা এবং শরীরের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
তুলসী পাতার অপকারিতা
- কিছু মানুষের জন্য অনুকূল নয়: কিছু মানুষের জন্য তুলসী পাতা একটি সামান্য চিচিং এবং ত্বকের সমস্যার জন্য অনুকূল নয় হতে পারে।
- গরমীয় রক্তচাপে যত্ন: গরমীয় রক্তচাপের সময় তুলসী পাতা ব্যবহার করা এড়াতে যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
- শিশুদের জন্য সাবধানতা: তুলসী পাতা শিশুদের জন্য অসুরক্ষিত হতে পারে, এবং প্রস্তুতি করার আগে চিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
তুলসী পাতা ব্যবহারের আগে আপনি আপনার চিকিৎসকে পরামর্শ করতে ভুলবেন না, সহিত অভিজ্ঞ পেশাদার যারা আপনার চিকিৎসা সার্ভিস করতে সক্ষম।
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা
হজমশক্তি বাড়ায়: তুলসীতে রয়েছে কর্মিনেটিভ বৈশিষ্ট যা অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপার সমস্যা কমায়। সকালে খালি পেটে তুলসীর রস পান করলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর হয়। হজম শক্তি বাড়ে ও পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে।
আরো পড়ুন: কোন ভিটামিন খেলে কি ধরনের উপকার হয় তার সব কিছু জানুন
মুখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে: তুলসীতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট।তবে দিনের যে কোনও সময় তুলসী খাওয়ার তুলনায় রোজ সকালে খালিপেটে ৩-৪টি তুলসী পাতা চিবিয়ে বা খেলে উপকার মিলবে বেশি। এতেই কমবে রোগভোগের আশঙ্কা। তাই আর অহেতুক সময় না ব্যয় করে, খালিপেটে তুলসী খাওয়ার একাধিক গুণগুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পেটের সমস্যা নিপাত যাবে
রোজ রোজ গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে ভুগতে হয় নাকি? উত্তর হ্যাঁ হলে কাল সকালে উঠে খালিপেটে কয়েকটি তুলসী পাতা খেয়ে নিন। ব্যস, তাহলেই দেখবেন পেটের সমস্যা আর জ্বালাতে পারবে না। কারণ তুলসীতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা পেটের পিএইচ লেভেল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতাকে জোরদার করার কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। সুতরাং এইসব সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইলে তুলসীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের।
দুশ্চিন্তার খপ্পর থেকে মুক্তি মিলবে
দ্রুত এগিয়ে চলা জীবনে দুশ্চিন্তা থাকবেই। তবে স্ট্রেসের মারে সারাদিন মাথায় আজেবাজে চিন্তা ঘুরে-বেড়ালে কিন্তু চিত্তির! এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। নচেৎ উৎকণ্ঠা এবং অবসাদের মতো অসুখের ফাঁদে পড়তে সময় লাগবে না।ভাবছেন নিশ্চয়ই, এই সমস্যার সমাধান করবেন কী ভাবে? তাহলে শুনুন, রোজ সকালে খালিপেটে কয়েকটি তুলসী তুলসি পাতা খেয়ে নিন। তাতেই স্ট্রেসের বাড়াবাড়ি কমবে।
সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে
হাই সুগার একটি জটিল অসুখ। এই অসুখকে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, রেটিনোপ্যাথি, নিউরোপ্যাথি, নেফ্রোপ্যাথির মতো একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে বৈকি! তাই যেন তেন প্রকারেণ সুগারকে বাগে আনতে হবে। আর এই কাজে আপনার ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে তুলসী।
কারণ তুলসীতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য় হয়। তাই সুগার রোগীরা রোজ সকালে তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
জ্বর, সর্দির খেল খতম
জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যার সহজ সমাধান লুকিয়ে রয়েছে তুলসি পাতায়। এমন উপকার পেতে তাই রোজ সকালে তুলসীর শরণাপন্ন হতেই হবে। বিশেষত, ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমে গেলে রোজ সকালে তুলসী খাওয়া মাস্ট। এই কাজটা করতে পারলেই বুকে জমে থাকা কফ দ্রুত গতিতে উঠে আসবে।
কমবে ওজনও
তাহলে কাল সকাল থেকেই নিয়ম করে খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়া শুরু করে দিন। কারণ তুলসীতে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বিপাকের হার বাড়ানোর কাজে একাই একশো। আর মেটাবলিজমের গতি বাড়লে যে দেহ থেকে দ্রুত গতিতে মেদের বহর কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য!
আরো পড়ুন: লিচু খাওয়ার উপকারি ও অপকারিতা
তবে, তুলসী পাতা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি কিছু মানুষের জন্য সম্পূর্ণভাবে উপকারী হতে পারে, কিন্তু কিছুদিন পর পরামর্শ ছাড়াই তুলসী পাতা খাওয়া সতর্কতা প্রয়োজন।
কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
কাশি নিরাময়ের ক্ষেত্রে তুলসি পাতা ব্যবহারে অন্যতম কারণ হলো, কাশি হলে আমাদের শরীরে প্রদাহ বেশি থাকে। যে কারণে এসময় খাবার সহজে হজম হতে চায় না। তুলসি পাতা কিন্তু সহজেই হজম করা সম্ভব। এটি খুব হালকা একটি উপাদান।
- হঠাৎ খুসখুসে কাশি কিংবা সর্দির অস্বস্তি দূর করতে চাইলে তুলসী পাতা বেশ কার্যকর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অল্প ঠান্ডা-সর্দিতে ওষুধের বদলে ভেষজ টোটকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- বিশেষ করে শিশুদের জন্য ওষুধের বিকল্প হিসেবে এসব ভেষজ খুবই উপকারী। জেনে নিন ঠান্ডা, সর্দি, কাশি নিরাময়ে কীভাবে খাবেন তুলসী।
- তুলসী চা বানিয়ে পান করতে পারেন গরম গরম। ফুটন্ত পানিতে তুলসী পাতা ছেড়ে দিন। কিছুক্ষণ ফোটানোর পর নামিয়ে মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করুন।
- কয়েকটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
- ১ কাপ পানিতে কয়েকটি তুলসী পাতা ও ১ টুকরো আদা দিয়ে ফুটান। ফুটে উঠলে জ্বাল কমিয়ে দিন। পানি কমে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে পান করুন। গলা খুসখুস ভাব দূর হবে।
- তুলসী পাতার রসে মধু ও আদার রস মিশিয়ে পান করুন।
- ১ গ্লাস পানিতে তুলসী পাতা, আদা ও চা পাতা ফেলে ফুটিয়ে নিন। খাওয়ার আগে মিশিয়ে নিন লেবু ও মধু।
- শিশুদের ঠান্ডা লাগলে তুলসীর রসে মধু মিশিয়ে খাওয়ান।
কেবল ঠান্ডা-কাশি উপশমেই এর কার্যকারিতা শেষ নয়। তুলসী পাতার রয়েছে আরও অনেক গুণ। আমাদের শরীরের মেটাবোলিজম ঠিক রাখার পাশাপাশি হজমের গণ্ডগোল ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই ভেষজ। তুলসী পাতায় থাকা প্রাকৃতিক তেল বুকে জমে থাকা কফ উপশম করে।
রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে এর। এছাড়া রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ভূমিকা রয়েছে তুলসীর।এই প্রকারে তুলসী পাতা খাওয়ার মাধ্যমে কাশি মোকাবেলা করা যেতে পারে। তবে, আপনি কোনও ধরনের কোনও চিকিৎসা বা প্রয়োজনে তাদের প্রয়োজনীয় সুস্থতা পেতে সর্বদা তোলাতে হবে। যদি কাশি বা অন্যান্য লক্ষণে উন্নত
তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
- শারীরিক রোগ প্রতিরোধ:তুলসী পাতা একটি শক্তিশালী এন্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং এন্টিভায়রাল যোগাযোগ হয়ে থাকতে পারে, যা শরীরের রোগের প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
- মাথায় এবং গলা দুঃখিত অংশগুলির উপর প্রভাব: তুলসী পাতা চিবিয়ে নেওয়া হলে মাথা এবং গলা দুঃখিত অংশগুলির মাধ্যমে মানসিক এবং শারীরিক রহমত করতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ডায়াবেটিস এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: তুলসী পাতা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং রক্তশোক এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে মাধ্যমে সাহায্য করতে পারে।
- মাইগ্রেন এবং তন্দ্রা প্রতি সাহায্য: তুলসী পাতা মাইগ্রেন এবং তন্দ্রা সহ মাথা এবং শরীরের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
এই উপকারিতা পেতে চিবিয়ে নিতে হলে সাধারণভাবে তুলসী পাতা ধুয়ে নিতে হবে এবং এটি শুকিয়ে নিতে হবে। এটি একটি প্রাকৃতিক, সুস্থ, এবং সহজব্রীতি উপায় হতে পারে শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে। তবে, এটি কোনও মেডিকেল কোণে অবশ্যই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সাথে যোগাযোগের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
তুলসী পাতার ক্ষতিকর দিক
তুলসির পাতায় পারদ এবং আয়রন থাকে যা আমাদের দাঁতের পক্ষে ভালো নয়। আপনি পাতা চিবানোর সময়, পারদ আপনার মুখে চলে যায়, যা আপনার দাঁতকে ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া তুলসি পাতায় কিছু পরিমাণ আর্সেনিকও পাওয়া যায় যা দাঁত নষ্ট করতে পারে।
তুলসি পাতা প্রাকৃতিকভাবে সামান্য অ্যাসিডযুক্ত, যা দাঁতের ব্যথা হতে পারে।তুলসী পাতা একটি প্রাকৃতিক ও ঔষধী উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত, তবে কিছু ব্যক্তিতে এর ব্যবহারের সময় কিছু দিকগুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে:
শ্রদ্ধাশীলতা এবং প্রস্তুতি: তুলসী পাতা খাওয়া বা ব্যবহার করা সহজ, কিন্তু প্রতিটি ব্যক্তির জন্য এটি উপযুক্ত নয় এবং সকলের জন্য সমান হতে পারে না। এটি কিছু মানুষের জন্য শ্রদ্ধাশীলতা বা প্রস্তুতির সময়ে কিছু সময় নেয় তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে। কেউ যদি তুলসী পাতা বা তার উপকারিতা নিজে পরীক্ষা করতে চায়, তাকে প্রস্তুতি নিতে এবং এটি নিজের জীবনযাপনের সাথে মিলিয়ে তোলতে হবে।
প্রথমে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ: যদি কেউ কোনও অসুস্থ অথবা কোনও ধরনের মেডিকেল শর্ত অনুভব করে, তাকে আগে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তুলসী একটি শক্তিশালী ও ঔষধী উদ্ভিদ, তবে কিছু মানুষের জন্য এটি উপযুক্ত নয় এবং এর ব্যবহারের কিছু ধরণে বিশেষ পরামর্শ প্রয়োজন হতে পারে।
প্রবন্ধন ও পোষণের সঠিক স্তর: তুলসী পাতা বা রস যদি অধিক পরিমাণে বা দৈহিক প্রবন্ধনের সাথে নাওয়া হয়, তার কিছু দিকগুলি ক্ষতিকর হতে পারে। প্রতিদিন উচ্চ মাত্রায় তুলসী বা এর রস খাওয়া প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলিয়ে থাকা: যে কোনও প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোক্তা যা ঔষধী বা পোষণ সামগ্রী তৈরি করতে চায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের অনুমতি নিতে হবে।
মানসিক অসুস্থতা: কিছু মানুষের জন্য তুলসী বা এর প্রস্তুতি সাধারিত ভাবে মানসিক অসুস্থতা বা অস্তির জন্য প্রস্তুত করতে পারে। এই ধরনের অসুস্থতা অনুভব করলে, এটি প্রয়োজন হতে পারে যে কোনও উচিত মাধ্যমে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা।
আরো পড়ুন: আদা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি তা জেনে নিন
তুলসী পাতা অধিকাংশই সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করা হয় এবং এটি সাধারিত ব্যক্তিদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যের উপকারিতা প্রদান করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, কেউ যদি কোনও ধরণের অসুস্থতা অথবা মেডিকেল শর্ত অনুভব করে, তাকে প্রথমে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
তুলসী পাতার উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য
তুলসী একটি ঔষধিগাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Ocimum sanctum। এটি ল্যামিয়েসি পরিবারের অন্তর্গত। তুলসী গাছ হিন্দু ধর্মে একটি পবিত্র উদ্ভিদ হিসেবে সমাদৃত। তুলসী পাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
তুলসী পাতার উপকারিতা
- ঠান্ডা, সর্দি-কাশি দূর করে: তুলসী পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। এ কারণে তুলসী পাতা ঠান্ডা, সর্দি-কাশি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তুলসী পাতার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- জ্বর কমায়: তুলসী পাতার অ্যান্টি-পিরেটিক বৈশিষ্ট্য জ্বর কমাতে সাহায্য করে।
- হজমশক্তি বাড়ায়: তুলসী পাতার অ্যান্টি-স্পাজমডিক বৈশিষ্ট্য হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: তুলসী পাতার অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- কোলেস্টেরল কমায়: তুলসী পাতার অ্যান্টি-হাইপারকলেস্টেরলemic বৈশিষ্ট্য কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে: তুলসী পাতার অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে: তুলসী পাতার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য
- তুলসী পাতায় ভিটামিন A, C, K এবং E রয়েছে।
- তুলসী পাতায় ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনল এবং অপরিহার্য তেল রয়েছে।
- তুলসী পাতায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-স্পাজমডিক, অ্যান্টি-হাইপারকলেস্টেরলemic, অ্যান্টি-ক্যান্সার এবং অ্যান্টি-ইনফেকশন বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
তুলসী পাতা খাওয়ার উপায়
- তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- তুলসী পাতা চা তৈরি করে পান করা যেতে পারে।
- তুলসী পাতা সালাদ বা অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম
- তুলসী পাতা খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
- তুলসী পাতা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।