মাথা ব্যাথা – কেন হয়? বিভিন্ন ধরণ ও করণীয় কি কি
মাথা ব্যাথা – কেন হয়? বিভিন্ন ধরণ ও করণীয় কি কি মাথাব্যথার ধরন বুঝে নির্ণয় করা সম্ভব কেন ও কী কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। খুব পরিচিত দুটি কারণ হলো মাইগ্রেন আর টেনশন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই টেনশন টাইপ হেডেক।
১১ শতাংশের জন্য দায়ী মাইগ্রেন। ধূমপান, মদ্যপান, মাদকাসক্তি, অনিয়মিত ও অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন, রোদ বা অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক পরিশ্রম, ক্ষুধার্ত থাকা, মানসিক চাপ ইত্যাদি মাথাব্যথার কারণ। মাথা ভারী লাগার কারণ
মাথা ব্যথায় ভুগে কষ্ট পান না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না সম্ভবত। মাঝে মাঝে এমন হয় যে, মাথা ব্যথার কারণে কোনো কাজই করা সম্ভব হয় না। অনেক রকম ওষুধে তখন আমাদের অভ্যস্ততা তৈরি হয় যা সাময়িক মুক্তি দিলেও শরীরের অন্যান্য অঙ্গকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রায় দেড়শো প্রকার মাথা ব্যথা রয়েছে। প্রতিটি মাথা ব্যথার সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। মাথা ব্যথা হলে অবহেলা করা ঠিক নয়।
মাথা ব্যাথা – কেন হয়? বিভিন্ন ধরণ ও করণীয় কি কি
মাথা ব্যাথা হল একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে প্রভাবিত করে। মাথা ব্যাথার অনেকগুলি কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: মাথার ভেতরে চাপের পরিবর্তন: মাথার ভেতরে চাপ বৃদ্ধি বা হ্রাস মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে। এটি ঘটে যখন মস্তিষ্ক ফুলে যায় বা মস্তিষ্ক সংক্রান্ত তরল (CSF) কমে যায়।
স্নায়ু সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি: মাথার ভেতরের স্নায়ুগুলোর সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে। এটি ঘটে যখন মস্তিষ্ক সংক্রান্ত তরলে প্রদাহ হয় বা মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়।রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা: মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে। এটি ঘটে যখন মস্তিষ্কে সেরোটোনিন বা অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা পরিবর্তিত হয়।
আরো পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের কারন ও প্রতিকার
মানসিক চাপ: মানসিক চাপ মাথা ব্যাথার একটি সাধারণ কারণ।ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথা ব্যাথা হতে পারে।রোগ: মাথা ব্যাথা কিছু রোগের লক্ষণ হতে পারে, যেমন মাইগ্রেন, উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক অসুস্থতা, বা মস্তিষ্কের টিউমার। মাথা ব্যাথার বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: মাইগ্রেন: মাইগ্রেন হল একটি তীব্র, তীব্র মাথা ব্যাথা যা সাধারণত মাথার একপাশে হয়।
মাইগ্রেনের সাথে বমি বমি ভাব, বমি, অন্ধকারে আলোর ঝাপসা দেখা, বা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি হতে পারে।টেনশন টাইপ হেডেক: টেনশন টাইপ হেডেক হল একটি সাধারণ ধরণের মাথা ব্যাথা যা মাথার চারপাশে চাপ বা সংকোচনের মতো অনুভূত হয়। টেনশন টাইপ হেডেক সাধারণত তীব্র হয় না এবং এটি কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
ক্ল্যাস্টার হেডেক: ক্ল্যাস্টার হেডেক হল একটি বিরল কিন্তু তীব্র ধরণের মাথা ব্যাথা যা সাধারণত মাথার একপাশে হয়। ক্ল্যাস্টার হেডেকগুলি সাধারণত 15 থেকে 180 মিনিটের মধ্যে স্থায়ী হয় এবং প্রতিদিন একবার বা একাধিকবার হতে পারে।সিনুস হেডেক: সিনুস হেডেক হল একটি ধরণের মাথা ব্যাথা যা নাক, গাল, বা কপালে চাপ বা পূর্ণতার মতো অনুভূত হয়।
সিনুস হেডেক সাধারণত সর্দি, ফ্লু, বা অ্যালার্জির মতো অবস্থার কারণে হয়।ঔষধ-প্ররোচিত মাথা ব্যাথা: ঔষধ-প্ররোচিত মাথা ব্যাথা হল একটি ধরণের মাথা ব্যাথা যা নিয়মিত ব্যথানাশক ঔষধ সেবনের কারণে হয়।মাথা ব্যাথার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং তীব্রতার উপর।
মাঝারি থেকে হালকা মাথা ব্যাথার জন্য, ব্যথানাশক ঔষধ, যেমন প্যারাসিটামল বা অ্যাসপিরিন, সাহায্য করতে পারে। মাইগ্রেন বা ক্ল্যাস্টার হেডেকের মতো তীব্র মাথা ব্যাথার জন্য, নির্দিষ্ট ওষুধ বা ইনজেকশন সাহায্য করতে পারে।
মাথা ব্যাথা প্রতিরোধের জন্য, নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
- পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।
যদি আপনার মাথা ব্যাথা নিয়মিত হয় বা তীব্র হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ
মাথা ব্যাথা হলে করণীয়
মাথা ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা প্রত্যেকেরই কমবেশি হয়ে থাকে। মাথা ব্যথার অনেকগুলো কারণ রয়েছে, যেমন: টেনশন মাথা ব্যথা: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরণের মাথা ব্যথা। এটি সাধারণত কপালে, মাথার পিছনে বা ঘাড়ের উপরে চাপ বা শক্ততার অনুভূতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। টেনশন মাথা ব্যথার কারণগুলির মধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ, অনিদ্রা, এবং চোখের ক্লান্তি।
মাইগ্রেন: মাইগ্রেন হল একটি মাঝারি থেকে তীব্র মাথাব্যথা যা সাধারণত একপাশে ঘটে। মাইগ্রেন মাথাব্যথার সাথে বমি বমি ভাব, বমি, আলো বা শব্দের সংবেদনশীলতা এবং অন্যান্য লক্ষণ থাকতে পারে। মাইগ্রেনের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে জেনেটিক কারণ, হরমোন পরিবর্তন, এবং খাদ্য বা উদ্দীপকের প্রতি সংবেদনশীলতা।
ট্রিগমিনাল নার্ভের ব্যথা: ট্রাইজিমিনাল নার্ভ হল একটি মুখের স্নায়ু যা মুখের উপরের অংশে সংবেদন সরবরাহ করে। ট্রাইজিমিনাল নার্ভের ব্যথা হল একটি তীব্র, বিদ্যুৎ-সদৃশ ব্যথা যা মুখের একটি ছোট অংশে সীমাবদ্ধ থাকে। ট্রাইজিমিনাল নার্ভের ব্যথার কারণগুলির মধ্যে রয়েছে ট্রাইজিমিনাল নার্ভের ক্ষতি, ট্রাইজিমিনাল নার্ভের উপর চাপ বা ট্রাইজিমিনাল নার্ভের প্রদাহ।
অন্যান্য কারণ: মাথা ব্যথার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- জলাতঙ্ক
- কান, নাক বা গলার সংক্রমণ
- মস্তিষ্কের টিউমার
- রক্তচাপ
- ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- হরমোনের পরিবর্তন
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া
- হালকা ব্যায়াম করা
- শান্ত পরিবেশে থাকা
- ঠান্ডা বা গরম সেঁক দেওয়া
- আদা বা ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পান করা
ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপroxen
- প্রেসক্রিপশন ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন ট্রিপটান বা অ্যান্টিকোলিনারজিক
- যদি মাথা ব্যথা তীব্র হয় বা ঘন ঘন হয় তবে একজন চিকিৎসকের সাথে দেখা করা উচিত। চিকিৎসক মাথা ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
মাথা ব্যথা প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
আরো পড়ুন: অতিরিক্ত ওজন কমানোর সহজ উপায়
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
মাথা ভারী লাগার কারণ
মাথা ভারী লাগার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
- অনিদ্রা: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মাথা ভারী হওয়ার অনুভূতি হতে পারে। ঘুমের অভাবে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে, যা মাথা ভারী হওয়ার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
- পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে মাথা ভারী হওয়ার অনুভূতি হতে পারে। পানিশূন্যতার কারণে মস্তিষ্কে রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে, যা মাথা ভারী হওয়ার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ মাথা ভারী হওয়ার একটি কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মস্তিষ্কের শিরাগুলিতে চাপ পড়তে পারে, যা মাথা ভারী হওয়ার অনুভূতি তৈরি করতে পারে।
- হরমোন পরিবর্তন: মহিলাদের মধ্যে মাসিকের আগে বা গর্ভধারণের সময় হরমোন পরিবর্তনের কারণে মাথা ভারী হওয়ার অনুভূতি হতে পারে।
- ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথা ভারী হওয়ার অনুভূতি হতে পারে।
অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা: মাথা ভারী হওয়ার অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থার মধ্যে রয়েছে:
- ব্রেন স্ট্রোক
- মস্তিষ্কের টিউমার
- মস্তিষ্কের প্রদাহ
- মেনিনজাইটিস
- সিফিলিস
- হাইপোথাইরয়েডিজম
- হাইপারথাইরয়েডিজম
ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া
- হালকা ব্যায়াম করা
- ঠান্ডা বা গরম সেঁক দেওয়া
- আদা বা ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পান করা
ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:
ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন বা ন্যাপroxen
প্রেসক্রিপশন ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন ট্রিপটান বা অ্যান্টিকোলিনারজিক
যদি মাথা ভারী হওয়া তীব্র হয় বা ঘন ঘন হয় তবে একজন চিকিৎসকের সাথে দেখা করা উচিত। চিকিৎসক মাথা ভারী হওয়ার কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
মাথা ভারী হওয়া প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত টিপসগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
মাথা ব্যাথা অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
- মাইগ্রেন: মাইগ্রেন হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা মাথার একপাশে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে। মাইগ্রেনের সঙ্গে বমি বমি ভাব, বমি, আলো এবং শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি ইত্যাদি উপসর্গও থাকতে পারে।
- টেনশন হেডেক: টেনশন হেডেক হলো একটি সাধারণ ধরনের মাথা ব্যাথা যা মাথার চারপাশে চাপ বা চাপের মতো অনুভূতি তৈরি করে। টেনশন হেডেক সাধারণত মাইগ্রেনের মতো তীব্র হয় না।
আরো পড়ুন: খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ক্লাস্টার হেডেক: ক্লাস্টার হেডেক হলো একটি বিরল ধরনের মাথা ব্যাথা যা সাধারণত পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ক্লাস্টার হেডেক সাধারণত মাথার একপাশে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে, যা কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
- ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথা ব্যাথা হতে পারে। যেমন, অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, নাইট্রোগ্লিসারিন, এবং স্টেরয়েড।
অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা: মাথা ব্যাথার অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থার মধ্যে রয়েছে:
- ব্রেন স্ট্রোক
- মস্তিষ্কের টিউমার
- মস্তিষ্কের প্রদাহ
- মেনিনজাইটিস
- সিফিলিস
- হাইপোথাইরয়েডিজম
- হাইপারথাইরয়েডিজম
- হাইপারটেনশন
- অ্যালার্জি
- পানিশূন্যতা
- মানসিক চাপ
- মাথা ব্যাথার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং তীব্রতার উপর। কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি হল:
- ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক ওষুধ: ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, বা ন্যাপroxen, মাঝারি থেকে হালকা মাথা ব্যাথার উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
- প্রেসক্রিপশন ব্যথানাশক ওষুধ: প্রেসক্রিপশন ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন ট্রিপটান বা অ্যান্টিকোলিনারজিক, তীব্র মাথা ব্যাথার উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
অন্যান্য চিকিৎসা: অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ঔষুধ দিয়ে মাইগ্রেন প্রতিরোধ করা
- ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা
- মস্তিষ্কের প্রদাহের চিকিৎসা
- মেনিনজাইটিসের চিকিৎসা
- সিফিলিসের চিকিৎসা
- হাইপোথাইরয়েডিজমের চিকিৎসা
- হাইপারথাইরয়েডিজমের চিকিৎসা
- হাইপারটেনশনের চিকিৎসা
- অ্যালার্জির চিকিৎসা
- পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা
- মানসিক চাপ কমানো
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
- মাথার তালুতে ব্যথা হলে করণীয়
মাথার তালুতে ব্যথা হলে করণীয় হলো:
প্রথমে ব্যথার কারণ নির্ণয় করা। ব্যথার কারণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ব্যথার তীব্রতার উপর নির্ভর করে ওষুধ সেবন করা। হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার ব্যথার জন্য ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, বা ন্যাপroxen, সেবন করা যেতে পারে। তীব্র তীব্রতার ব্যথার জন্য প্রেসক্রিপশন ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন ট্রিপটান বা অ্যান্টিকোলিনারজিক, সেবন করা যেতে পারে।
ব্যথা উপশমের জন্য অন্যান্য ঘরোয়া প্রতিকারও চেষ্টা করা যেতে পারে। যেমন:
অন্ধকার, শান্ত ঘরে বিশ্রাম নেওয়া।
মাথা এবং ঘাড়ে গরম বা ঠান্ডা সেঁক দেওয়া।
পর্যাপ্ত পানি পান করা।
মানসিক চাপ কমানো।
মাথার তালুতে ব্যথার কিছু সাধারণ কারণ হল:
মানসিক চাপ
অতিরিক্ত ঘাম
চোখের সমস্যা
আরো পড়ুন: মানসিক টেনশন দূর করার কিছু উপায়
ঘাড়ে সমস্যা
মানসিক চাপের কারণে মাথার মাংসপেশিতে সংকোচন
যদি মাথার তালুতে ব্যথার সঙ্গে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে:
তীব্র মাথাব্যথা
বমি বমি ভাব বা বমি
দৃষ্টির সমস্যা
শরীরের একটি অংশে অসাড়তা বা দুর্বলতা
কথা বলার অসুবিধা
এই উপসর্গগুলি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
মাথা ব্যাথা ও বমি কোন রোগের লক্ষণ
মাথা ব্যথা ও বমি অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
মাইগ্রেন: মাইগ্রেন হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যা মাথার একপাশে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে। মাইগ্রেনের সঙ্গে বমি বমি ভাব, বমি, আলো এবং শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি ইত্যাদি উপসর্গও থাকতে পারে।
ক্লাস্টার হেডেক: ক্লাস্টার হেডেক হলো একটি বিরল ধরনের মাথা ব্যথা যা সাধারণত পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ক্লাস্টার হেডেক সাধারণত মাথার একপাশে তীব্র ব্যথার সৃষ্টি করে, যা কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। ক্লাস্টার হেডেক হলে বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে।
ব্রেন স্ট্রোক: ব্রেন স্ট্রোক হলো একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হওয়ার কারণে ঘটে। ব্রেন স্ট্রোকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি, দৃষ্টির সমস্যা, শরীরের একটি অংশে অসাড়তা বা দুর্বলতা, কথা বলার অসুবিধা, এবং সচেতনতার পরিবর্তন।
মস্তিষ্কের টিউমার: মস্তিষ্কের টিউমার হলো মস্তিষ্কের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি, দৃষ্টির সমস্যা, শরীরের একটি অংশে অসাড়তা বা দুর্বলতা, কথা বলার অসুবিধা, এবং সচেতনতার পরিবর্তন।
মেনিনজাইটিস: মেনিনজাইটিস হলো মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের চারপাশের ঝিল্লির প্রদাহ। মেনিনজাইটিসের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি, জ্বর, ঘাড়ে শক্ততা, এবং আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা। মাথা ব্যথা ও বমির সঙ্গে অন্যান্য কোন উপসর্গ দেখা দিলে, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মাথা ব্যথার কারণ ও প্রতিকার
মাথাব্যথা একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) হিসাবে, বিশ্বের প্রায় 50% মানুষ প্রতি মাসে অন্তত একবার মাথাব্যথায় ভোগেন। মাথাব্যথার অনেকগুলি কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- প্রাথমিক মাথাব্যথা: এই ধরণের মাথাব্যথার কোনও নির্দিষ্ট শারীরিক কারণ নেই। প্রাথমিক মাথাব্যথার মধ্যে রয়েছে:
- টেনশন টাইপ হেডেক: এই ধরণের মাথাব্যথা মাথার চারপাশে চাপের মতো অনুভূতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এটি সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার হয় এবং কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
- মাইগ্রেন: মাইগ্রেন একটি তীব্র মাথাব্যথা যা প্রায়শই বমি বমি ভাব বা বমি, আলো বা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা এবং দৃষ্টি সমস্যার সাথে থাকে। মাইগ্রেন সাধারণত কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
- ক্লাউড কপ: এই ধরণের মাথাব্যথা মাইগ্রেনের মতোই, তবে এটি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী এবং হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার হয়।
- দ্বিতীয় মাথাব্যথা: এই ধরণের মাথাব্যথার একটি নির্দিষ্ট শারীরিক কারণ রয়েছে। দ্বিতীয় মাথাব্যথার মধ্যে রয়েছে:
আরো পড়ুন: হার্ট ভালো রাখার জন্য কি খাওয়া দরকার ও হার্টের ঔষধের নাম জানুন
- কানের সংক্রমণ: কানের সংক্রমণ মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- ঠান্ডা বা ফ্লু: ঠান্ডা বা ফ্লু মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- মস্তিষ্কের টিউমার: মস্তিষ্কের টিউমার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- মাইগ্রেনের পূর্ববর্তী: মাইগ্রেনের পূর্ববর্তী অবস্থা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- মাথাব্যথার চিকিৎসা নির্ভর করে তার কারণ এবং তীব্রতার উপর। প্রাথমিক মাথাব্যথার জন্য, ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন, কার্যকর হতে পারে। মাইগ্রেন বা অন্যান্য দ্বিতীয় মাথাব্যথার জন্য, নির্দিষ্ট ওষুধ বা চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
মাথাব্যথা প্রতিরোধের জন্য কিছু টিপস:
পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতি রাতে 7-8 ঘন্টা ঘুমাতে চেষ্টা করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম মাথাব্যথার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
একটি অন্ধকার, শান্ত স্থানে বিশ্রাম নিন।
ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করুন।
যদি মাথাব্যথা তীব্র হয় বা কয়েক দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ কি
ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
টেনশন টাইপ হেডেক: এই ধরণের মাথাব্যথা মাথার চারপাশে চাপের মতো অনুভূতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এটি সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার হয় এবং কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
মাইগ্রেন: মাইগ্রেন একটি তীব্র মাথাব্যথা যা প্রায়শই বমি বমি ভাব বা বমি, আলো বা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা এবং দৃষ্টি সমস্যার সাথে থাকে। মাইগ্রেন সাধারণত কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
ক্লাউড কপ: এই ধরণের মাথাব্যথা মাইগ্রেনের মতোই, তবে এটি সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী এবং হালকা থেকে মাঝারি তীব্রতার হয়। দ্বিতীয় মাথাব্যথা: এই ধরণের মাথাব্যথার একটি নির্দিষ্ট শারীরিক কারণ রয়েছে। দ্বিতীয় মাথাব্যথার মধ্যে রয়েছে:
- কানের সংক্রমণ: কানের সংক্রমণ মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- ঠান্ডা বা ফ্লু: ঠান্ডা বা ফ্লু মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- মস্তিষ্কের টিউমার: মস্তিষ্কের টিউমার মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- মাইগ্রেনের পূর্ববর্তী: মাইগ্রেনের পূর্ববর্তী অবস্থা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- ঘন ঘন মাথা ব্যথার অন্যান্য সম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- অনিদ্রা: অনিদ্রা মাথাব্যথার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আরো পড়ুন: হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণ জেনে নিন
- খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন: কিছু খাবার এবং পানীয় মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- অ্যালকোহল এবং ধূমপান: অ্যালকোহল এবং ধূমপান মাথাব্যথার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে মাথাব্যথা হতে পারে।
আপনি যদি ঘন ঘন মাথা ব্যথায় ভোগেন, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার মাথা ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে সক্ষম হবেন।
ঘন ঘন মাথা ব্যথা প্রতিরোধে কিছু টিপস:
- পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতি রাতে 7-8 ঘন্টা ঘুমাতে চেষ্টা করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম মাথাব্যথার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন: মাথাব্যথার কারণ হতে পারে এমন খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন।
- অ্যালকোহল এবং ধূমপান ত্যাগ করুন: অ্যালকোহল এবং ধূমপান মাথাব্যথার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকুন: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে মাথাব্যথা হতে পারে। যদি আপনি কোনও নতুন ওষুধ গ্রহণ শুরু করেন এবং মাথা ব্যথা শুরু হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
মাথা ভারী হলে করণীয়
- মানসিক চাপ: মানসিক চাপ মাথা ব্যথার একটি সাধারণ কারণ। মানসিক চাপের ফলে রক্তনালীগুলি সংকুচিত হতে পারে, যার ফলে মাথায় রক্তের প্রবাহ কমে যায়।
- অনিদ্রা: অনিদ্রা মাথা ভারী হওয়ার একটি সাধারণ কারণ। যখন আপনি পর্যাপ্ত ঘুম পান না, তখন আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং মাথা ভারী বোধ করতে পারে।
- খাদ্যে অস্বস্তি: কিছু খাবার এবং পানীয় মাথা ভারী হওয়ার কারণ হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যালকোহল, ক্যাফিন এবং কিছু ধরণের চর্বিযুক্ত খাবার।
- ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে মাথা ভারী হতে পারে
মাথা ভারী হলে করণীয়:
পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করুন। প্রতিদিন অন্তত 8 গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।
মানসিক চাপ কমাতে পদক্ষেপ নিন। যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য রিলাক্সেশন কৌশলগুলি চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুম নিন। প্রতি রাতে 7-8 ঘন্টা ঘুমাতে চেষ্টা করুন।
খাদ্যে অস্বস্তি এড়িয়ে চলুন। মাথা ভারী হওয়ার কারণ হতে পারে এমন খাবার এবং পানীয় এড়িয়ে চলুন।
আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। যদি আপনি মাথা ভারী হওয়ার কারণ নির্ণয় করতে না পারেন বা যদি আপনার মাথা ভারী হওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
নিম্নলিখিত কিছু ঘরোয়া প্রতিকার মাথা ভারী হওয়ার উপশম করতে সাহায্য করতে পারে:
ঠান্ডা চাপ: ঠান্ডা চাপ মাথায় রক্তের প্রবাহকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। একটি ঠান্ডা তোয়ালে বা পাতলা কাপড়ে বরফ জড়িয়ে রাখুন এবং আপনার কপালে 10-15 মিনিটের জন্য রাখুন।
একটি ঠান্ডা স্নান বা ঝরনা নিন। ঠান্ডা জল মাথার চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
মাথার ম্যাসাজ করুন। মাথার ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
মৃদু ব্যায়াম করুন। হালকা হাঁটা বা যোগব্যায়াম রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। বিশ্রামের মাধ্যমে আপনার শরীরকে শক্তি পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করুন।
যদি আপনার মাথা ভারী হওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য লক্ষণ থাকে, যেমন:
বমি বমি ভাব বা বমি
আলো বা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা
দৃষ্টি সমস্যা
মুখের একপাশে অবশভাব বা দুর্বলতা
কণ্ঠস্বর পরিবর্তন
অসুস্থতা বা জ্বরের মতো লক্ষণ
তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। এগুলি গুরুতর অবস্থার লক্ষণ হতে পারে, যেমন মস্তিষ্কের টিউমার বা রক্তক্ষরণ।