হৃদরোগের লক্ষণ কি কি তা সম্পর্কে জানুন
হৃদরোগ কি ভালো হয় প্রধানত হৃদসংবহন তন্ত্র, মস্তিষ্ক, বৃক্ক ও প্রান্তিক ধমনী সম্পর্কিত, রোগকে হৃদ রোগ বলে। হৃদরোগের অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে উচ্চ রক্তচাপ ও অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রধান। পাশাপাশি, বয়সের সাথে সাথে হৃৎপিণ্ডের গঠনগত ও শারীরবৃত্তিক পরিবর্তন হৃদরোগের জন্য অনেকাংশে দায়ী, যা স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিরও হতে পারে। হৃদরোগ কেন হয়
হৃদরোগ প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে এবং সারা বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। হৃদরোগ বোঝার জন্য এই নির্দেশিকা আপনাকে হৃদরোগের ধরন, লক্ষণ, কারণ, প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সার মতো মূল্যবান তথ্য বুঝতে সাহায্য করবে।
হৃদরোগের লক্ষণ কি কি তা সম্পর্কে জানুন
হৃদরোগের লক্ষণগুলি হৃদরোগের ধরন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে। সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে: বুকে ব্যথা: বুকে ব্যথা হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এটি চাপ, ভারীতা, অস্বস্তি বা ব্যথা হিসাবে অনুভূত হতে পারে। এটি বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে হতে পারে এবং পিঠ, বাহু, কাঁধ, গলা, চোয়াল বা দাঁতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
শ্বাসকষ্ট: শ্বাসকষ্ট হৃদরোগের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ। এটি ব্যায়াম বা বিশ্রামের সময় হতে পারে।
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, যাকে অ্যারিথমিয়াও বলা হয়, হৃদরোগের একটি লক্ষণ হতে পারে। এটি আপনার হৃদস্পন্দন দ্রুত বা ধীর হওয়ার কারণ হতে পারে।
মাথা ঘোরা: মাথা ঘোরা হৃদরোগের একটি লক্ষণ হতে পারে। এটি অজ্ঞান হওয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে। ঘাম: অতিরিক্ত ঘাম হৃদরোগের একটি লক্ষণ হতে পারে। বমি বা বমি বমি ভাব: বমি বা বমি বমি ভাব হৃদরোগের একটি লক্ষণ হতে পারে। হৃদরোগ অন্যান্য লক্ষণও সৃষ্টি করতে পারে, যেমন:
পায়ে ফোলাভাব শরীরে ভারসাম্য হারানো স্মৃতি সমস্যা দৃষ্টি সমস্যা আপনি যদি হৃদরোগের লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হৃদরোগের কিছু নির্দিষ্ট ধরণের লক্ষণগুলির একটি তালিকা দেওয়া হল:
আরো পড়ুন: নারিকেল তেলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
করোনারি ধমনী রোগ (CAD): CAD হল হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ ধরন। এটি হৃদপিণ্ডের পেশীতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলিতে প্লেক জমার কারণে ঘটে। CAD-এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন।
হার্ট অ্যাটাক: হার্ট অ্যাটাক হল হৃদপিণ্ডের পেশীতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে। এটি CAD-এর একটি গুরুতর জটিলতা। হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, বমি বা বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা।
স্ট্রোক: স্ট্রোক হল মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে। এটি CAD-এর আরেকটি গুরুতর জটিলতা। স্ট্রোকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে হঠাৎ দুর্বলতা বা অবশতা, হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, হঠাৎ কথা বলার অসুবিধা এবং হঠাৎ ভারসাম্য বা সমন্বয়ের সমস্যা।
হার্ট ফেইলিউর: হার্ট ফেইলিউর হল হৃদপিণ্ডের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার কারণে। এটি CAD, হার্ট অ্যাটাক, হার্টের ভালভের সমস্যা বা অন্যান্য কারণে হতে পারে। হার্ট ফেইলিউরের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, পায়ে ফোলাভাব, ক্লান্তি এবং ওজন বৃদ্ধি।
জন্মগত হৃদরোগ: জন্মগত হৃদরোগ হল হৃদপিণ্ডের একটি অস্বাভাবিকতা যা জন্ম থেকেই উপস্থিত থাকে। জন্মগত হৃদরোগ বিভিন্ন ধরণের হতে পারে এবং লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন এবং বৃদ্ধির সমস্যা।
আপনি যদি হৃদরোগ বা হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে কোনটিতে ভোগেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
হৃদরোগ কেন হয়
হৃদরোগ হল হৃদপিণ্ডের অস্বাভাবিকতা বা রোগ। হৃদরোগ বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে: অ্যাথেরোসক্লোরোসিস: এটি হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ কারণ। এটি ধমনীর দেয়ালে প্লেক তৈরি হওয়ার কারণে ঘটে। প্লেক হল ফ্যাট, কোলেস্টেরল, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পদার্থের একটি জমা।
প্লেক ধমনীকে সরু করে তুলতে পারে, যা হৃদপিণ্ডকে রক্ত সরবরাহ করতে বাধা দেয়। হার্ট অ্যাটাক: হার্ট অ্যাটাক হৃদপিণ্ডের পেশীতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ঘটে। এটি অ্যাথেরোসক্লোরোসিসের কারণে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে হতে পারে। স্ট্রোক: স্ট্রোক মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে ঘটে। এটি অ্যাথেরোসক্লোরোসিসের কারণে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে হতে পারে।
হার্ট ফেইলিউর: হার্ট ফেইলিউর হৃদপিণ্ডের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার কারণে ঘটে। এটি অ্যাথেরোসক্লোরোসিস, হার্ট অ্যাটাক, হার্টের ভালভের সমস্যা বা অন্যান্য কারণে হতে পারে। রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ হৃদপিণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরো পড়ুন: কি খেলে টিউমার ভালো হয় সে সম্পর্কে জানুন!
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান: ধূমপান হৃদরোগের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। স্থূলতা: স্থূলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল: উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
পারিবারিক ইতিহাস: যদি আপনার পরিবারে হৃদরোগ বা অন্যান্য হৃদরোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে আপনার হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে: একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ধূমপান ত্যাগ করা
নিয়মিতভাবে আপনার রক্তচাপ, কলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা আপনি যদি হৃদরোগ বা হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে কোনটিতে ভোগেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।
হৃদরোগের কারণ ও প্রতিকার
হৃদরোগের প্রধান কারণ হল ধমনীতে চর্বি জমা। এই চর্বি জমাকে প্লেক বলা হয়। প্লেক ধমনীর ভেতরের দেওয়ালকে সরু করে দেয় এবং রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে। এটি হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত সরবরাহ কমিয়ে দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
হৃদরোগের অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ ধমনীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং প্লেক জমা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- উচ্চ কোলেস্টেরল: উচ্চ কোলেস্টেরল ধমনীতে প্লেক জমা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস ধমনীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং প্লেক জমা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ধূমপান: ধূমপান ধমনীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং প্লেক জমা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অনিয়ন্ত্রিত মানসিক চাপ: অনিয়ন্ত্রিত মানসিক চাপ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অপরিচ্ছন্ন জীবনধারা: অনিয়মিত ব্যায়াম, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত মদ্যপান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
হৃদরোগের প্রতিকার
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেইয় যে যে পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার ব্যায়াম বা 75 মিনিট উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, শাকসবজি, সম্পূর্ণ শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
- স্বল্প স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার খান: অস্বাস্থ্যকর চর্বি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- স্বল্প কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খান: কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন: ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরো পড়ুন: ২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
- স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
হৃদরোগ হলে করনীয়
হৃদরোগ একটি জটিল রোগ এবং এর চিকিৎসায় একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে, সাধারণভাবে হৃদরোগ হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে: চিকিৎসার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করুন। ডাক্তারের নির্দেশিত ওষুধগুলি নিয়মিত সেবন করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। চিকিৎসার জন্য করনীয় হৃদরোগের চিকিৎসায় ওষুধ, অস্ত্রোপচার বা উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে। ওষুধের মাধ্যমে হৃদরোগের উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ভবিষ্যতে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ধমনীতে জমে থাকা চর্বি বা ব্লক অপসারণ করা হয়।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মধ্যে রয়েছে: নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার ব্যায়াম বা 75 মিনিট উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, শাকসবজি, সম্পূর্ণ শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। স্বল্প স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার খান: অস্বাস্থ্যকর চর্বি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বল্প কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খান: কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন: ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরো পড়ুন: রক্তে এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন!
ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
হৃদরোগ হলে করনীয় কিছু অতিরিক্ত বিষয়
নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করুন: আপনার ডাক্তার আপনাকে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন। এটি আপনার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, এবং অন্যান্য হৃদরোগ ঝুঁকির কারণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন থাকুন: হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন থাকলে আপনি এর উপসর্গগুলি সনাক্ত করতে এবং যথাযথ চিকিৎসা পেতে সক্ষম হবেন। আপনার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলুন: আপনার পরিবারের সদস্যদের হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন করুন এবং তাদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করুন।
হৃদরোগ একটি গুরুতর রোগ। তবে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
হৃদরোগ কি ভালো হয়
হৃদরোগ একটি জটিল রোগ এবং এর চিকিৎসায় একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে, সাধারণভাবে হৃদরোগ ভালো হয় কিনা তা নির্ভর করে হৃদরোগের ধরন, তীব্রতা এবং রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর।
হৃদরোগের কিছু ধরন, যেমন জন্মগত হৃদরোগ, সম্পূর্ণভাবে ভালো হয় না। তবে, এই ধরনের হৃদরোগগুলির চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব।
অন্যদিকে, কিছু হৃদরোগ, যেমন করোনারি হৃদরোগ, সঠিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে ভালো হয়। এই ধরনের হৃদরোগগুলির চিকিৎসায় ওষুধ, অস্ত্রোপচার বা উভয়ই ব্যবহার করা যেতে পারে।
হৃদরোগ ভালো হয় কিনা তা নির্ধারণের জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর ইতিহাস, লক্ষণ, পরীক্ষার ফলাফল এবং অন্যান্য বিষয়গুলি বিবেচনা করে চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন। হৃদরোগ ভালো হওয়ার জন্য রোগীকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে:
নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার ব্যায়াম বা 75 মিনিট উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, শাকসবজি, সম্পূর্ণ শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। স্বল্প স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার খান: অস্বাস্থ্যকর চর্বি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
স্বল্প কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খান: কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন: ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এই সমস্ত বিষয়গুলি মেনে চললে হৃদরোগ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
হৃদরোগ থেকে বাঁচার উপায়
হৃদরোগ একটি মারাত্মক রোগ যা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। হৃদরোগ থেকে বাঁচার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন: স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হৃদরোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এর মধ্যে রয়েছে: নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার ব্যায়াম বা 75 মিনিট উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
আরো পড়ুন: রোজায় খাদ্যাভ্যাস ও মানবদেহে রোজার প্রভাব
স্বাস্থ্যকর খাবার খান: ফল, শাকসবজি, সম্পূর্ণ শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। স্বল্প স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার খান: অস্বাস্থ্যকর চর্বি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বল্প কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার খান: কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন: ডায়াবেটিস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন: আপনার বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং পরিবারের ইতিহাসের উপর নির্ভর করে আপনার ডাক্তার আপনাকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন। এটি আপনার রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, এবং অন্যান্য হৃদরোগ ঝুঁকির কারণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন থাকুন: হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতন থাকলে আপনি এর উপসর্গগুলি সনাক্ত করতে এবং যথাযথ চিকিৎসা পেতে সক্ষম হবেন। হৃদরোগ একটি গুরুতর রোগ। তবে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের লক্ষণ
মহিলাদের হৃদরোগের লক্ষণগুলি পুরুষদের থেকে আলাদা হতে পারে এবং মহিলারা প্রায়শই সূক্ষ্ম বা অ্যাটিপিকাল লক্ষণগুলি অনুভব করেন, যেমন ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, অ্যাসিডিটি, পেট খারাপ বা শ্বাসকষ্ট, যা সহজেই উপেক্ষা করা যেতে পারে বা অন্য কারণগুলির জন্য দায়ী করা যেতে পারে।
হৃদরোগ হলে মহিলাদের কিছু সাধারিত লক্ষণ হতে পারে, তবে এগুলি অবশ্যই সকল মহিলার জন্য একই হতে হয় না। একজন মহিলা যদি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়, তার লক্ষণ নিম্নরূপঃ অসুস্থ অবস্থ: মহিলারা হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সাধারিতভাবে অসুস্থ অনুভব করতে পারে। তারা শারীরিক অসুস্থতা, থাকতে অসুবিধা মোহল, অসুখ বা শ্বাসকষ্টের লক্ষণ অনুভব করতে পারে।
শ্বাসকষ্ট বা অসুবিধা: হৃদরোগে আক্রান্ত হলে শ্বাসকষ্ট বা অসুবিধা হতে পারে। মহিলারা এই লক্ষণের সাথে মোহল অথবা অসুখ অনুভব করতে পারে। শিরায় বা সীসা ব্যাথা: হৃদরোগে মহিলারা শিরায় বা সীসা ব্যাথা অনুভব করতে পারে। এটি হৃদয়ের একটি অংশের সমস্যার ফলাফল হতে পারে।
শারীরিক দুর্বলতা: হৃদরোগে আক্রান্ত মহিলারা শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করতে পারে। তাদের হাত-পা মোহল অথবা শক্তি হারিয়ে যেতে পারে। চোখের মুকুটে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস: হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মহিলার চোখের মুকুটে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস হতে পারে। চোখের মুকুটে কালো বা নীল হতে পারে।
আরো পড়ুন: মাশরুম কেন খাবেন? পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
হৃদয়ে বা ছাতিয়ে ব্যাথা: হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মহিলারা হৃদয়ে বা ছাতিয়ে ব্যাথা বা চিহ্নটি অনুভব করতে পারে। এই সকল লক্ষণগুলি হৃদরোগের সম্ভাবনামূলক হতে পারে এবং এগুলির জন্য চিকিত্সা প্রদান করার জন্য মৌলিক হিসেবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন।
আপনি অগ্রসর হতে এবং নিজেকে আরও ভাল অবস্থায় রাখতে হলে, প্রাথমিক যোগাযোগ করতে হবে এবং যদি কোনও লক্ষণ অনুভব করেন, অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।