কি খেলে টিউমার ভালো হয় সে সম্পর্কে জানুন!

টিউমার চেনার উপায় টিউমার হচ্ছে মানব শরীরের ওপরে গঠিত চামড়ার উপর অবস্থিত এমন একটি মাংসপেশি যেটির মাধ্যমে শরীরের মধ্যে অস্বাভাবিক ভাবে সকল কোষের অনেকগুলো অর্থাৎ বেশিরভাগ সমাবেশ যেইখানে সেইখানে শুধুমাত্র কোষগুলোকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া থেকে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সংখ্যা বাড়ায় তাকেই টিউমার বলে। কি খেলে টিউমার ভালো হয় সে সম্পর্কে জানুন!

টিউমার চেনার উপায়

টিউমার শরীরের জন্য একটি বিশেষ ক্ষতিকর বিষয় বলেই মনে করা হয়। কারণ হলো সাধারণভাবে টিউমারকে ক্যান্সারের স্থল বলেই মনে করা হয়। কিন্তু সকল টিউমার অবশ্যই ক্যান্সার বহন করে না। কিন্তু সকল ক্যান্সার গুলোই টিউমার থেকে হয়ে থাকে। তবে টিউমার হলে অবশ্যই সেটা ভালো করা উচিত। কারণ টিউমার অবশ্যই ক্ষতিকর।

কি খেলে টিউমার ভালো হয় সে সম্পর্কে জানুন!

ক্যান্সার চিকিৎসায় খাদ্যের ভূমিকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছু খাবার ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তারকে বাধা দিতে পারে। তবে, ক্যান্সার সারাতে কোনও নির্দিষ্ট খাবার নেই। ক্যান্সার সারাতে চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করাও গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তারকে বাধা দিতে পারে এমন কিছু খাবারের মধ্যে রয়েছে:

ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার কোষের ক্ষতি থেকে কোষগুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।পূর্ণ শস্য: পূর্ণ শস্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। 

আরো পড়ুন: ২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

ফাইবার ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে সহায়ক হরমোন এবং অন্যান্য পদার্থের শোষণকে বাধা দিতে পারে।ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যান্সার কোষের মৃত্যুতে সহায়তা করতে পারে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে স্যামন, ম্যাকেরেল, ট্রাউট, ওয়ালনাট, চিয়া সিডস এবং ফ্ল্যাক্সসিড।

ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তারকে বাধা দিতে পারে।কফি: কফিতে ক্যাফিন থাকে যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তারকে বাধা দিতে পারে।গ্রিন টি: গ্রিন টিতে ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তারকে বাধা দিতে পারে।তবে, এই খাবারগুলি ক্যান্সার সারাতে যথেষ্ট নয়। 

ক্যান্সার সারাতে চিকিৎসার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করাও গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মধ্যে রয়েছে:নিয়মিত ব্যায়ামপর্যাপ্ত ঘুমঅতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণধূমপান এবং মদ্যপান ত্যাগআপনি যদি ক্যান্সার আক্রান্ত হন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন যে আপনার জন্য কোন খাবারগুলি সেরা।

কি খেলে টিউমার হয় না

কোন খাবার খেলে টিউমার হয় না, এমন নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে, কিছু খাবার আছে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে।

টিউমার প্রতিরোধে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার হল:

ফল: বেরি, কমলা, লেবু, আম, আনারস, পেঁপে ইত্যাদি ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর।

শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি, যেমন পালং শাক, ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, টমেটো ইত্যাদিতেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

ডাল: ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজেও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার: মাছ, চিয়া বীজ, তিসির বীজ ইত্যাদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার: দই, কিসমিস, টক দই ইত্যাদি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। প্রোবায়োটিক কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

এছাড়াও, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মধ্যে রয়েছে:

  • ধূমপান এবং মদ্যপান বর্জন করা
  • নিয়মিত ব্যায়াম কর
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
  • অতিরিক্ত সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করা
  • এইসব উপায়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

টিউমার কি ব্যথা হয়

না, সব টিউমার ব্যথা করে না। টিউমার দুই ধরনের হয়: বিনাইন এবং ম্যালিগন্যান্ট। বিনাইন টিউমার সাধারণত ব্যথা করে না। ম্যালিগন্যান্ট টিউমার, যাকে ক্যান্সারও বলা হয়, প্রায়ই ব্যথা করে।বিনাইন টিউমার সাধারণত শরীরের স্বাভাবিক কোষের মতো দেখতে এবং কাজ করে। 

তারা দ্রুত বৃদ্ধি পায় না এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না। তাই তারা সাধারণত ব্যথা করে না।ম্যালিগন্যান্ট টিউমার অস্বাভাবিক কোষ দিয়ে তৈরি হয় যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই টিউমারগুলি প্রায়শই ব্যথা করে কারণ তারা

আরো পড়ুন: রক্তে এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন!

নিকটবর্তী টিস্যু বা অঙ্গগুলিকে চাপ দেয় বা সংকুচিত করে স্নায়ু বা রক্তনালীগুলিকে ক্ষতি করে প্রদাহ বা সংক্রমণ সৃষ্টি করে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের ব্যথা সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। এটি তীব্র, তীব্র বা পোড়ার মতো অনুভূত হতে পারে। 

ব্যথাটি টিউমারের অবস্থানের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন উপায়ে প্রকাশ পেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি স্তন ক্যান্সার টিউমার বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে। একটি হাঁপানি ক্যান্সার টিউমার বুকে ব্যথা বা শ্বাস নিতে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।

আপনি যদি আপনার শরীরে কোনও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। টিউমারের ধরন নির্ণয়ের জন্য আপনার ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, ইমেজিং পরীক্ষা এবং বায়োপসি করতে পারেন।

টিউমার কি ভালো হয়

হ্যাঁ, টিউমার ভালো হতে পারে। টিউমারের ধরন এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে, চিকিৎসার মাধ্যমে টিউমার ভালো করা সম্ভব।বিনাইন টিউমার সাধারণত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। এই ধরনের টিউমারগুলি সাধারণত শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না, তাই অস্ত্রোপচারের পরে

টিউমারটি পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।ম্যালিগন্যান্ট টিউমার, যাকে ক্যান্সারও বলা হয়, চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করার জন্য বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে:

অস্ত্রোপচার: টিউমার এবং এর আশেপাশের কিছু টিস্যু অপসারণ করা হয়।কেমোথেরাপি: কেমোথেরাপি ওষুধ ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলা হয়।রেডিওথেরাপি: রেডিয়েশন ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলা হয়।ইমিউনোথেরাপি: 

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলা হয়।এই চিকিৎসাগুলির মাধ্যমে ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলা বা তাদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। ফলে টিউমারটি ছোট হয়ে যায় বা পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়।

তবে, টিউমার ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, অবস্থান, রোগীর বয়স, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর। কিছু ক্ষেত্রে, টিউমার ভালো নাও হতে পারে।

টিউমার হলে করনীয়

টিউমার হলে প্রথমেই করনীয় হলো একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা। ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, ইমেজিং পরীক্ষা এবং বায়োপসি করে টিউমারের ধরন নির্ণয় করবেন। টিউমারের ধরন নির্ণয়ের পরে ডাক্তার চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।

টিউমারের চিকিৎসার ধরন নির্ভর করে টিউমারের ধরন, অবস্থান, রোগীর বয়স, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর। সাধারণত টিউমারের চিকিৎসার জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয়:

আরো পড়ুন: রোজায় খাদ্যাভ্যাস ও মানবদেহে রোজার প্রভাব

অস্ত্রোপচার: টিউমার এবং এর আশেপাশের কিছু টিস্যু অপসারণ করা হয়।কেমোথেরাপি: কেমোথেরাপি ওষুধ ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলা হয়।রেডিওথেরাপি: রেডিয়েশন ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলা হয়।

ইমিউনোথেরাপি: রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলা হয়।এছাড়াও, টিউমারের চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীর শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। 

রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। রোগীর মানসিক চাপ কমাতে পারিবারিক এবং সামাজিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ।

টিউমার হলে করণীয় কিছু সাধারণ বিষয় নিম্নরূপ:

নিজের শরীরের প্রতি সচেতন হন। আপনার শরীরে কোনও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করলে তা অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। আপনার বয়স এবং স্বাস্থ্যের ঝুঁকির উপর নির্ভর করে, আপনার ডাক্তার আপনাকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন। ধূমপান, মদ্যপান, অতিরিক্ত ওজন এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস টিউমারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে টিউমারের ঝুঁকি কমাতে পারেন।টিউমার একটি গুরুতর অবস্থা। তবে, সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাপনের মাধ্যমে টিউমার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।

টিউমার কি শক্ত হয়

টিউমার শক্ত হতে পারে, তবে সবসময় হয় না। টিউমারের ধরন এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে টিউমার শক্ত বা নরম হতে পারে।বিনাইন টিউমার সাধারণত নরম হয়। এগুলি সাধারণত শরীরের স্বাভাবিক কোষের মতো দেখতে এবং কাজ করে। 

তারা দ্রুত বৃদ্ধি পায় না এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না। তাই তারা সাধারণত শক্ত হয় নাম্যালিগন্যান্ট টিউমার, যাকে ক্যান্সারও বলা হয়, সাধারণত শক্ত হয়। এগুলি অস্বাভাবিক কোষ দিয়ে তৈরি হয় যা দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই টিউমারগুলি প্রায়শই শক্ত হয় কারণ তারা:

টিস্যু বা অঙ্গগুলিকে সংকুচিত করে স্নায়ু বা রক্তনালীগুলিকে ক্ষতি করে প্রদাহ বা সংক্রমণ সৃষ্টি করে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের শক্ততা সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে। এটি তীব্র, তীব্র বা পোড়ার মতো অনুভূত হতে পারে।

আরো পড়ুন: মাশরুম কেন খাবেন? পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

তবে, কিছু ক্ষেত্রে বিনাইন টিউমারও শক্ত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লিভারের হেপাটোসেলুলার অ্যাডেনোমা, হাড়ের অস্টিওমা এবং ত্বকের বেনign নিওপ্লাজমগুলি শক্ত হতে পারে।আপনি যদি আপনার শরীরে কোনও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। 

টিউমারের ধরন নির্ণয়ের জন্য আপনার ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, ইমেজিং পরীক্ষা এবং বায়োপসি করতে পারেন।

টিউমার ফেটে গেলে কি হয়

টিউমার ফেটে গেলে কী হয় তা টিউমারের ধরন এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে।বিনাইন টিউমার ফেটে গেলে সাধারণত গুরুতর সমস্যা হয় না। এটি সাধারণত একটি ছোট ফোলা বা ক্ষত তৈরি করে যা নিজে থেকেই সেরে যায়। 

তবে, কিছু ক্ষেত্রে, বিনাইন টিউমার ফেটে গেলে রক্তপাত বা সংক্রমণ হতে পারে।ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ফেটে গেলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। এটি ক্যান্সার কোষগুলিকে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে দিতে পারে, যাকে মেটাস্টেসিস বলা হয়। মেটাস্টেসিস ক্যান্সারের একটি গুরুতর জটিলতা যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

টিউমার ফেটে যাওয়ার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

টিউমারের আকারে দ্রুত বৃদ্ধি ব্যথা বা অস্বস্তি রক্তপাত বা পুঁজ জ্বর ক্লান্তি আপনি যদি আপনার শরীরে কোনও টিউমার ফেটে যাওয়ার লক্ষণ লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

টিউমার ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি করা যেতে পারে:

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।ধূমপান, মদ্যপান এবং অতিরিক্ত ওজন এড়িয়ে চলুন।টিউমার ফেটে যাওয়া একটি গুরুতর অবস্থা যা চিকিৎসার প্রয়োজন।

টিউমার চেনার উপায়

টিউমার চেনার উপায়গুলি টিউমারের ধরন এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে। তবে, সাধারণত টিউমারের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে।

টিউমারের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

শরীরে কোনও অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যথা বা অস্বস্তি রক্তপাত বা পুঁজ জ্বর ক্লান্তি ওজন হ্রাস ক্ষুধা হ্রাস বমি বমি ভাব বা বমি হাঁপানি বা শ্বাস নিতে অসুবিধা মাথা ঘোরা বা বমি দৃষ্টিশক্তি হ্রাস শ্রবণশক্তি হ্রাস মুখের কোণ বা ঠোঁটের কোণে ঘা স্তন থেকে নিঃসরণ মূত্রনালী থেকে নিঃসরণ আপনি যদি আপনার শরীরে কোনও অস্বাভাবিক লক্ষণ লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

আরো পড়ুন: নারিকেল তেলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

টিউমার চেনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পরীক্ষা রয়েছে:শারীরিক পরীক্ষা: ডাক্তার আপনার শরীরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পরীক্ষা করবেন।রক্ত পরীক্ষা: ডাক্তার আপনার রক্তে ক্যান্সার কোষের উপস্থিতি পরীক্ষা করবেন।

ইমেজিং পরীক্ষা: ডাক্তার আপনার শরীরের ভেতরের দিকে দেখতে এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই বা আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করতে পারেন।বায়োপসি: ডাক্তার টিউমারের একটি ছোট টুকরো কেটে নিয়ে পরীক্ষা করবেন।এই পরীক্ষাগুলির মাধ্যমে টিউমারের ধরন, অবস্থান এবং গুরুতরতা নির্ণয় করা যেতে পারে।

টিউমার কেন হয়

টিউমার কেন হয় তার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে, গবেষকরা মনে করেন যে টিউমারের জন্য নিম্নলিখিত কারণগুলি দায়ী হতে পারে: জিনগত পরিবর্তন: কোষের ডিএনএ-তে পরিবর্তন হলে তা অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে পরিণত হতে পারে।

পরিবেশগত কারণ: কিছু পরিবেশগত কারণ, যেমন ধূমপান, রঞ্জক পদার্থ এবং রেডিয়েশন, টিউমারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।হরমোন: হরমোনগুলি কোষের বৃদ্ধি এবং বিভাজন নিয়ন্ত্রণ করে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা টিউমারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।অতিরিক্ত ইনসুলিন: ইনসুলিন হল একটি হরমোন যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত ইনসুলিন টিউমারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

টিউমার দুটি প্রধান ধরনের হয়:

বিনাইন টিউমার: বিনাইন টিউমার সাধারণত ক্যান্সার নয়। এগুলি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং সাধারণত ছড়িয়ে পড়ে না।ম্যালিগন্যান্ট টিউমার: ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ক্যান্সার। এগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।টিউমারের ঝুঁকি কমাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি করা যেতে পারে:

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন।স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।ধূমপান, মদ্যপান এবং অতিরিক্ত ওজন এড়িয়ে চলুন।সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা পান।রঞ্জক পদার্থ এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।টিউমারের চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, অবস্থান এবং গুরুতরতার উপর। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

আরো পড়ুন: টমেটো খাওয়ার উপকারিতা

অস্ত্রোপচার: অস্ত্রোপচার হল টিউমার অপসারণের সবচেয়ে সাধারণ উপায়।রেডিয়েশন থেরাপি: রেডিয়েশন থেরাপি হল টিউমার ধ্বংস করার জন্য উচ্চ শক্তির রশ্মির ব্যবহার।কেমোথেরাপি: কেমোথেরাপি হল টিউমার ধ্বংস করার জন্য ওষুধের ব্যবহার।

হরমোন থেরাপি: হরমোন থেরাপি হল টিউমারের বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হরমোনের ব্যবহার।টিউমারের চিকিৎসার লক্ষ্য হল টিউমারকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করা এবং রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন