অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন এর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
অনলাইনে অ্যাকাউন্ট খুলে সহজেই ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। আবেদন জমা দেওয়ার দিন–তারিখও পাওয়া যাবে অনলাইনে। কাগজপত্রেও লাগছে না কোনো সত্যায়ন। প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট অনলাইন পোর্টালে। ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন’–এ ক্লিক করতে হবে।
এই লেখায় আমি ই পাসপোর্ট করার নিয়ম, ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে, পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে, আবেদন প্রস্তুতি, আবেদন ফি প্রদান ও ই পাসপোর্ট ডেলিভারি চেক করার নিয়ম, সবই আলোচনা করব
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন
আপনি পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য আপনার স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে না গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। বাংলাদেশে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদনের জন্য 'পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন সিস্টেম (Passport Online Application System)' ব্যবহার করা হয়।
আপনি নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেনপ্রথমে আপনাকে 'পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন সিস্টেম' ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে আপনি একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন বা ইতিমধ্যেই অ্যাকাউন্ট থাকলে লগ ইন করতে পারেন। অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার পর, আপনাকে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
আরো পড়ুন: কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত
আবেদন ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে।অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ করার পরে, আপনাকে অ্যাপোইন্টমেন্ট সিস্টেমে যেতে হবে যাতে আপনার আবেদন ফর্ম এবং প্রয়োজনীয় দলিলাদি সাবমিট করার জন্য আপনার অ্যাপোইন্টমেন্ট সিডিউল করা যায়।
অ্যাপোইন্টমেন্টের সময়ে, আপনাকে অ্যাপোইন্টমেন্ট সিডিউলে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে যেতে হবে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় দলিলা সাবমিট করতে হবে। আবেদন ফি প্রদান করা যাবে অনলাইনে বা নির্দিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা
লাগপাসপোর্ট নিবন্ধন করতে অনেক দেশে একই ধরণের ডকুমেন্ট ও ফি প্রয়োজন হতে পারে, তবে দেশ থেকে দেশে বা পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়াতে কিছু পার্শ্বস্থ পরিবর্তন থাকতে পারে। এটি নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারী ওয়েবসাইট বা দূতাবাস (Embassy) থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।
সাধারণভাবে, পাসপোর্ট আবেদনের জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলি প্রয়োজন হতে পারেজন্ম সনদ বা জন্ম সনদের প্রমাণপত্রপাসপোর্ট আবেদন ফরমছবি সহ আইডি প্রুফ (যেমন: জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স)বিশেষ ক্ষেত্রে সরকারী কর্মচারী হওয়ার প্রমাণপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)পাসপোর্ট ফি বা আবেদন মামলা শুল্ক প্রতি দেশে ভিন্ন হতে পারে।
অনেক দেশে এই ফি বা শুল্ক পরিশোধ করা হয় আবেদন করার সময়, অন্যদিকে কিছু দেশে এই ফি অনলাইনে পরিশোধ করা যায়। পাসপোর্ট ফি সাধারণভাবে পাসপোর্টের ধরণ, আপনার বয়স, ও আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারে।পাসপোর্ট আবেদনের জন্য সঠিক তথ্য ও নির্দেশিকা পেতে সরকারী ওয়েবসাইট বা দূতাবাস (Embassy) অথবা অনলাইনের পাসপোর্ট আবেদন পৃষ্ঠা দেখুন।
অনলাইনে নিজের পাসপোর্ট চেক করুন
পাসপোর্টের অবস্থা অনলাইনে চেক করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারী ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যেখানে আপনি নিজের পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন। বাংলাদেশের জন্য, আপনি নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেনপ্রথমে, বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
ওয়েবসাইটে পাসপোর্ট এনকোয়ারি বা অনলাইন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন বা স্ট্যাটাস চেক করার অপশন খুঁজে বের করুন। তারপর ওয়েবসাইটে আবার নির্দিষ্ট নির্দেশনাগুলি অনুসরণ করে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রবেশ করুন। এরপর সাবমিট বা সার্চ বাটন ক্লিক করুন। সিস্টেম আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা দেখাবে যেমনঃ
আরো পড়ুন: ফেসবুক একাউন্ট ডিএক্টিভ করার নিয়ম
জার্নি স্ট্যাটাস, অনুমোদিত অবস্থা, ইত্যাদি। এছাড়াও, অনেক সময় পাসপোর্ট অনলাইনে চেক করার জন্য বিশেষ একটি অ্যাপ্লিকেশন বা প্রোসেস রয়েছে যা আপনি মোবাইল ডিভাইস থেকে ডাউনলোড করে সহজেই চেক করতে পারেন।
আপনার পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করতে সরাসরি ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কারণ এটি আপনার সম্পদ এবং ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের চেয়ে নিরাপদ এবং ভাল মানের প্রমাণ করে।
পাসপোর্ট বানাতে কি কি লাগে
পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য নিম্নলিখিত দলিলাগুলি প্রয়োজন হয়আবেদন ফর্ম: প্রথমে পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য সরকারি অফিসে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হয়। ফর্মটি সাধারণত অনলাইন অথবা অফিসে পাওয়া যায়।পাসপোর্ট সাইজ ছবি: আবেদন ফর্মের সাথে সঠিক আকারের ছবি দিতে হয়। সাধারণত পাসপোর্ট সাইজের ছবি ব্যবহার করতে হয়।
তথ্য দলিল: আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, ইমেইল, ইত্যাদি প্রদান করতে হয়। ব্যক্তিগত পরিচয় প্রমাণ: আপনার ব্যক্তিগত পরিচয় প্রমাণের জন্য যেমন জন্ম সনদ, ন্যাশনাল আইডি কার্ড, পাসপোর্টের আবেদনকারীর স্বাক্ষর, ইত্যাদি প্রয়োজন হতে পারে। পাসপোর্ট ফি: পাসপোর্ট প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় ফি প্রদান করতে হয়।
ফি প্রদান করার জন্য সরকারি নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রদান করা হয়। পাসপোর্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ: আবেদন সম্পূর্ণ করার পরে পাসপোর্ট অফিসে আবেদন সম্পর্কিত কাউণ্টারে যাওয়া হয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করা হয়।
এই সমস্ত দলিলাগুলি সম্পূর্ণ করার পর সরকার পাসপোর্ট ইস্যু করবে। পাসপোর্ট ইস্যু হওয়ার পরে, আপনি আপনার পাসপোর্ট পেতে অফিসে যেতে পারেন অথবা নির্ধারিত ঠিকানায় পাসপোর্ট প্রেরণ করা হতে পারে।
পাসপোর্ট হয়েছে কিনা চেক কোরুন
অনলাইনে পাসপোর্ট তথ্য অনুসন্ধান করার পূর্বে আপনাকে একটি বিষয় সিওর হতে হবে আপনি কোন ধরনের পাসপোর্ট তথ্য যাচাই করতে চান অনলাইন থেকে? আপনি নিজের পাসপোর্টের অবস্থা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে পারেন।
- অনলাইনে যাচাই করা: অনেক দেশে পাসপোর্টের অবস্থা অনলাইনে যাচাই করা যায়। আপনি যদি আপনার দেশের সরকারি পাসপোর্ট ওয়েবসাইটে যান তবে তারা সরকারি পাসপোর্ট অনলাইন চেক বা অবস্থা যাচাই করার জন্য প্রদত্ত সেবা সরবরাহ করতে পারে।
- সরকারি অফিসে যাচাই করা: অনেক সময় পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার মাধ্যমেও পাসপোর্টের অবস্থা যাচাই করা যায়। আপনি আপনার স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে যান এবং আপনার পাসপোর্টের স্ট্যাটাস যাচাই করতে পারেন।
- হেল্পলাইন বা কাস্টমার সাপোর্টে যোগাযোগ করা: কিছু সময় সরকারি পাসপোর্ট অফিসের হেল্পলাইন নম্বর বা কাস্টমার সাপোর্টে ফোন করে পাসপোর্টের অবস্থা জানতে পারেন।
আপনি যদি নিজের পাসপোর্টের অবস্থা চেক করতে সমস্যা অনুভব করেন তবে সর্বাধিক নিরাপদ এবং সঠিক তথ্য পেতে সরকারি অফিসে যোগাযোগ করা উচিত। এছাড়াও, যে কোনও অনুমান বা সনাক্তকরণের জন্য পাসপোর্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করা সহজ এবং নিরাপদ উপায়।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে পাসপোর্ট চেক করা সম্পর্কে বিভিন্ন দেশের সরকারি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য, আপনি নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেনবাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। ওয়েবসাইটে পাসপোর্ট এনকোয়ারি বা অনলাইন পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন বা স্ট্যাটাস চেক করার অপশন খুঁজে বের করুন।
তারপর ওয়েবসাইটে আবার নির্দিষ্ট নির্দেশনাগুলি অনুসরণ করে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার প্রদান করুন। সাবমিট বা সার্চ বাটন ক্লিক করুন।সিস্টেম আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা দেখাবে যেমনঃ জার্নি স্ট্যাটাস, অনুমোদিত অবস্থা, ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: ফেসবুক আইডি ডিলিট করলে কি হয়
বিশেষ দেশের জন্য অনলাইন পাসপোর্ট চেক সম্পর্কে বিভিন্ন নির্দেশাবলী থাকতে পারে। পাসপোর্ট অনলাইনে চেক করার জন্য সরকারি ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার এন্টার করার পর তথ্য দেখার সুযোগ থাকে। তবে, এই তথ্য সম্পর্কে আপনার বিশেষ দেশের সরকারি পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে সনাক্ত হওয়া উচিত।
পুরাতন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
পুরাতন পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট অফিস অথবা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের নির্দেশানুযায়ী পরিবর্তণ করতে পারে। সাধারণত, পুরাতন পাসপোর্ট চেক করার জন্য নিম্নলিখিত ধরনের তথ্য প্রয়োজন হতে পারে:পাসপোর্টের নম্বরমেয়াদ শেষের তারিখ (ইন্ধন এবং ভ্রমণের জন্য সঠিক পাসপোর্ট প্রয়োজন)
পাসপোর্টের মালিকের নামজন্ম তারিখ এবং জাতীয়তাপাসপোর্ট চেক করার জন্য, অনেক সময় ইন্টারনেটে পাসপোর্ট নম্বর এবং অন্যান্য প্রমুখ তথ্য এন্টার করে একাধিক ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়। আরও অনেক দেশে সরকারী অথবা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে পুরাতন পাসপোর্ট চেক করা যায়।
সম্প্রতি, পাসপোর্ট চেক করার জন্য কিছু দেশে অনলাইনে সরকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সরাসরি একটি পুরাতন পাসপোর্টের অনুরোধ করা যেতে পারে। এই ওয়েবসাইটগুলি পাসপোর্ট নম্বর এবং অন্যান্য প্রমুখ তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে প্রায়শই পুরাতন পাসপোর্ট চেক করতে সক্ষম।
এছাড়াও, পাসপোর্ট অফিস বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানে ফিজিকালি যাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে যেখানে আপনি পুরাতন পাসপোর্ট চেক করতে পারবেন।পাসপোর্ট চেক করার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নিতে আপনি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারী ওয়েবসাইট অথবা অফিসের নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।
অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম
আপনি বাংলাদেশে অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করতে চান তাহলে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেনপ্রথমে আপনার ওয়েব ব্রাউজারে যান এবং বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। সাইটে প্রবেশ করার পর, আপনাকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে বলা হবে যদি একটি না থাকে। যদি থাকে, লগইন করুন।
আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য "নতুন আবেদন" বা সম্মতি বা সিন্ডিকেট করার জন্য একটি বিকল্প দেওয়া হবে। আবেদন ফরম পূরণ করুন এবং সমস্ত আবশ্যক তথ্য যেমন আপনার নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, আইডি নম্বর ইত্যাদি সরবরাহ করুন। সাথে সাথে সঠিকভাবে ছবি আপলোড করুন। ফরমে উল্লেখিত ছবির স্পেসিফিকেশন অনুসরণ করুন।
আরো পড়ুন: ১০০০ টাকারমধ্যে বাটন মোবাইল কোনগুলো
সমস্ত আবশ্যক তথ্য প্রদানের পর, আপনাকে আবেদন সম্পূর্ণ করার জন্য সাবমিট অপশনে ক্লিক করা হবে। আবেদন সম্পূর্ণ হওয়ার পর, আপনাকে সাবমিট করার জন্য একটি ফি প্রদান করতে হতে পারে। এটি অনুসরণ করুন। অনুমোদিত হওয়ার পর, আপনি অনলাইনে অনুমোদিত পাসপোর্টের অবস্থা যাচাই করতে পারেন।
এবং পাসপোর্ট ডেলিভারির তথ্য পেতে পারেন।আপনার পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে, অফলাইনের প্রক্রিয়ার জন্য নিকটবর্তী পাসপোর্ট অফিসে সনাক্তকরণের জন্য আপনার প্রাপ্তি প্রমাণপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে থাকতে হতে পারে।
সম্পূর্ণ অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া প্রতিটি দেশের পাসপোর্ট অফিসের নীতি, নীতিমালা এবং আইনানুযায়ী পরিবর্তন হতে পারে, তাই আমি সুপারিশ করবো সরাসরি বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের
পাসপোর্ট ফরম
পাসপোর্ট ফরম প্রাপ্ত করার জন্য সরকারী পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার মাধ্যমে অথবা তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়। অনেক দেশের পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে পাসপোর্ট ফরমের ডাউনলোড লিঙ্ক থাকে যা সহজভাবে অ্যাক্সেস করা যায়।সাধারণত এই ফরমগুলি অনলাইনে ডাউনলোড করা যায়।
সরকারী ওয়েবসাইট থেকে এবং সেগুলির ফরম্যাট ও অনুমোদিত ধারণা থাকে। এই ফরম পূরণ করার পর সেগুলি সাবমিট করা হয় পাসপোর্ট অফিসে।পাসপোর্ট ফরম অনেক সাধারণ তবে এটি প্রায়ই নিম্নলিখিত তথ্য সহ থাকেব্যক্তিগত তথ্য: নাম, জন্ম তারিখ, স্থায়ী ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইমেল এড্রেস, ইত্যাদি।
পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য: পাসপোর্ট নম্বর, প্রাপ্তি তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ, ইত্যাদি। অন্যান্য তথ্য: ভিসা অনুমোদনের জন্য বিশেষ তথ্য (যদি প্রয়োজন হয়), ছবি সাবমিট করার জন্য নির্দেশনা, ইত্যাদি।
আপনি সরকারী অথবা সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে পাসপোর্ট ফরম ডাউনলোড করতে পারেন এবং সেখান থেকে প্রিন্ট করতে পারেন। ফরম পূরণের পরিবর্তে, তা যথাযথভাবে সাবমিট করুন যেখানে প্রয়োজন তা নির্দেশনা মেনে চলুন।
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন চেক বা পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সাধারণত এমন একটি প্রক্রিয়া যা অনলাইন অথবা অফলাইনে পাসপোর্ট নির্গমন অথবা নতুন পাসপোর্ট বিতরণের পরে অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় পুলিশ বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অধিকারীরা পাসপোর্টের সঠিকতা এবং পাসপোর্ট ধারীর ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করে নেয়।
পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া অনেকটাই দেশের পাসপোর্ট অফিস বা পুলিশ বিভাগের নির্দেশানুযায়ী সম্পাদিত হতে পারে। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য কিছু মামুলি তথ্য প্রয়োজন হতে পারে, যেমনআবেদন ফরম: আবেদনকারীর ব্যক্তিগত ও অফিসিয়াল তথ্যের জন্য পাসপোর্ট অনলাইন ফরম অথবা প্রিন্টযুক্ত আবেদন ফরম যোগাযোগের কার্যক্রমে ব্যবহৃত হতে পারে।
আরো পড়ুন: ভিসা কিভাবে করতে হয় বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন
ছবি: আবেদনকারীর সঠিক ছবি পাসপোর্টে ব্যবহৃত হয় এবং তা যাচাই করা হয়।ব্যক্তিগত তথ্য: নাম, পিতার/মায়ের নাম, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ইত্যাদি যাচাই করা হয়।অফিসিয়াল তথ্য: জমার ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আদায় রশিদ, স্কুল/কলেজ সার্টিফিকেট ইত্যাদি দেখা হতে পারে।
অবশ্যই কাগজপত্র: আবেদনকারীর পরিচয়পত্র যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডি), জন্ম সনদ, অভিভাবকের সম্পর্কে তথ্য সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এই তথ্যগুলি যাচাই করার পর, পাসপোর্ট অফিস বা পুলিশ সংস্থা আবেদনকারীর পাসপোর্ট ভেরিফাই করে নেয়।
পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সফলভাবে পূর্ণ হলে, নতুন পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময় পাসপোর্ট অফিসের বা পুলিশ
পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম
পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম দেশ থেকে দেশে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে, ধারণকরা যায় যে পাসপোর্ট রিনিউ করার প্রক্রিয়া মূলত নিম্নলিখিত ধারণার ভিত্তিতে কাজ করেপ্রযোজ্য দলিলপত্রসমূহ সংগ্রহ করা: পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য অন্যান্য দলিলপত্রের সঙ্গে পাসপোর্টের অবতীর্ণতা প্রমাণ করতে হতে পারে।
অন্যান্য দলিলপত্রের মধ্যে জন্ম সনদ, আইডি কার্ড, ঠিকানা প্রমাণ করতে পারে। আবেদন ফরম পূরণ করা: পাসপোর্ট অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমে ব্যক্তিগত তথ্য, অবতীর্ণতা সংক্ষেপ, নতুন ঠিকানা (যদি প্রয়োজন হয়), ছবি ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। ফি পরিশোধ করা: পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে।
এই ফি স্থানীয় পাসপোর্ট অফিস বা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে জমা দিতে হতে পারে। পাসপোর্ট ছবি প্রদান করা: নতুন পাসপোর্টের জন্য একটি ছবি প্রদান করতে হবে। ছবির নির্দিষ্ট নিয়মাবলী থাকতে হবে, যেমন ফরম্যাট, ছবির আকার ইত্যাদি। অবশিষ্ট প্রয়োজনীয় পত্রসমূহ দাখিল করা: পাসপোর্ট অফিসের নির্দেশনানুযায়ী যেকোনো অতিরিক্ত পত্রসমূহ সংগ্রহ করতে হতে পারে।
এই সমস্ত ধাপগুলি পালন করার পর, নতুন পাসপোর্ট প্রাপ্ত করা যায়। সাধারণত পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে প্রযোজ্য ফরম ও নির্দেশনা পেতে পারেন। তবে, পাসপোর্ট রিনিউ সম্পর্কে সঠিক তথ্যের জন্য স্থানীয় পাসপোর্ট অফিসে অথবা সরকারী সূত্রে অনুসন্ধান করা উচিত।
ভিসা চেক অনলাইন বি পাসপোর্ট নম্বর
অনলাইনে পাসপোর্ট নম্বর বা ভিসা চেক করার জন্য সম্প্রতি বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশন উপলব্ধ আছে। বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট অফিস ও ভিসা অফিসের ওয়েবসাইটে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ভিসা চেক করা যায়।
পাসপোর্ট নম্বর বা অন্যান্য তথ্যের মাধ্যমে ভিসা অনলাইনে চেক করা যায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলির মাধ্যমেপ্রথমে মানসম্মত সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা অফিসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ্লিকেশনে যান। ভিসা চেক অপশন অনুসন্ধান করুন এবং পাসপোর্ট নম্বর বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন।
প্রদত্ত ফরম সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং পাসপোর্ট নম্বর অথবা অন্যান্য তথ্য যাচাই করতে অনুরোধ করা হবে।
এক্সপ্লোর করুন যে কোনও পরিবর্তন অথবা আপডেট নিয়ে, যদি প্রয়োজন হয়।অনলাইনে পাসপোর্ট নম্বর বা ভিসা চেক করার সঠিক ও আধিকারিক উপায়ের জন্য, সর্বদা সংশ্লিষ্ট দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যাওয়া উচিত। সঠিক তথ্য এবং ভিসা স্ট্যাটাস জানার জন্য এই ধরনের ওয়েবসাইট ব্যবহার করা উচিত।
পাসপোর্ট তথ্য অনুসন্ধান
আমি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানে সাহায্য করতে পারি না। পাসপোর্টের তথ্য সম্পর্কে তথ্যের অনুসন্ধানের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ পদক্ষেপ হলো সম্পর্কিত স্থানীয় অথবা জাতীয় পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করা। পাসপোর্ট হারানো, চুরি হওয়া বা যদি কোনো অন্যান্য সমস্যা থাকে তাহলে তা অবশ্যই স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে রিপোর্ট করা উচিত।
তারপরে, আপনি যদি পাসপোর্ট হারিয়েছেন তাহলে তা পুনরুদ্ধার অনুষ্ঠান করার জন্য সঠিক দফতরে আবেদন করতে পারেন।তাছাড়াও, অনলাইনে বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে যা পাসপোর্টের তথ্য অনুসন্ধান করতে সাহায্য করতে পারে।
তবে, পাসপোর্টের সঠিক এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে যার জন্য কোনো অনলাইন সেবা বা সফটওয়্যারের ব্যবহারের আগে সঠিকভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এছাড়াও, সাধারণত পাসপোর্টের তথ্য যেহেতু ব্যক্তিগত এবং গোপনীয় তথ্য, সেহেতু অনলাইনে এর তথ্য অনুসন্ধানের জন্য সাইবার সিকিউরিটির জন্য সতর্ক থাকা উচিত।
অগ্রগতির জন্য আপনি সঠিক স্থানে যোগাযোগ করার জন্য প্রাথমিক অনুসন্ধান পরিচিতি ব্যবহার করতে পারেন।