শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়? শীতের শুরুর এই সময় থেকে বসন্তের সময় পর্যন্ত ত্বকে একটা টানটান ভাব থাকে প্রায় সবারই! আর যাঁরা সারা বছরই শুষ্ক ত্বকের অধিকারি, তাদের তো কোনও কথাই নেই! বিশেষ দেখভাল না করলেই ত্বক ফেটে যাওয়া, রুক্ষ-বেজান হয়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়।
তাই ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে নিজের ত্বক সুন্দর এবং উজ্জ্বল রাখতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের এই পোস্টটি তাই মনোযোগ দিয়ে এই পোস্টটি পড়ুন
শীতকালে ত্বকের যত্ন কিভাবে নেব
শীতকালে প্রচুর পরিমাণে স্যুপ, সালাদ, জুস এবং দুধ খান। এটি ত্বককে সুস্থ রাখে এমন পুষ্টি উপাদান পেতেসূর্যের রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। সূর্যের রশ্মি ত্বকের অকাল বার্ধক্য সৃষ্টি করতে পারে। এর পাশাপাশি বলি, ফাইন লাইনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচতে গরমে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগান।
আপনি 30-40 SPF দিয়ে সানস্ক্রিন লাগাতে পারেন। এটি ত্বকের ট্যানিংয়ের পাশাপাশি কালো দাগ এড়াবে।পাকা কলার খোসা ছাড়িয়ে চটকে নিন। এবার এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ চটকানো কলা (Banana) ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখ ধুয়ে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন। আপনার ত্বক (Skin) হয়ে উঠবে আগের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল।শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ ঠান্ডার সময়ে ত্বক সুরক্ষিত থাকতে হয়। ঠান্ডার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং এটির সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত সম্ভাবনা থাকতে পারে, যেমনঃ
আরো পড়ুন বয়স অনুযায়ী শিশুর পুষ্টিকর খাবারের তালিকা
ত্বকের শুষ্কতা, কাঁচা কাঁচা বা ক্র্যাকিং স্কিন, স্কেলি ত্বক, চাপের নির্মূলন বা চুলকানো ত্বক।শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু পরামর্শ নিম্নোক্ত হতে পারে:ভালো পরিষ্কারতা: দৈনন্দিন ভাবে ত্বক পরিষ্কার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে না, তবে ত্বকের জন্য ভালো মোস্তারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
শুধুমাত্র মোস্তারাইজার ব্যবহার করা: ত্বকের শুষ্কতা বাড়াতে মোস্তারাইজার ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো মোস্তারাইজার ব্যবহার করে ত্বকের নমোনা বন্ধ রাখা সাহায্য করবে।ত্বকের বিশেষ যত্ন: শীতকালে বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার পড়ে যেমন কাঁচা কাঁচা বা ক্র্যাকিং স্কিন এর ক্ষেত্রে।
এই ধরনের ত্বক সমস্যার জন্য ভালো কোনো মোস্তারাইজার ব্যবহার করা উচিত এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।গরম পানির সঙ্গে সতর্কতা: ঠান্ডা পরিবেশে গরম পানি ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা প্রয়োজন। অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের শুষ্কতা বাড়াতে পারে, তাই প্রয়োজনে অন্যান্য পরিষ্কার উপকরণ ব্যবহার করা উচিত।
ভালো পোষণশীল খাবার: ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য ভালো পোষণশীল খাবার গ্রহণ করা উচিত।অস্বাভাবিক পরিবেশ দূষণে মুখে যা ধুলাবালি জমা হয় এগুলো ত্বকে জমিয়ে রেখে দিলে ত্বকের করুণ অবস্থার কথা আশা করি বলার অপেক্ষা রাখে না। ময়লা তুলে না ফেললে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, ত্বক(skin) স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারবে না
তার ফলে ব্রণ, ব্ল্যাককহেডস(Blackheads), হোয়াইট হেডস বা ত্বকের আরও অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রাতে ঘুমানোর আগের রূপচর্চাটা বিশেষ ভাবে জরুরি।প্রথমে যে কাজটা করা উচিত যেসব বাচ্চারা খুবই ছোট অর্থাৎ শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ অথবা কোন বিকল্প ফর্মুলা দুধের উপর নির্ভরশীল।
সেইসব শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এবং যেসব বাচ্চারা ফর্মুলা দুধ খাচ্ছে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন গরম গরম দুধ খাওয়ানো হয়। কোনভাবেই কোন অবস্থাতেই ঠান্ডা দুধ দেওয়া যাবে না।আর যে সব বাচ্চাদের বয়স ৬ মাস বা তার ঊর্ধ্বে সেসব শিশুদের শীতকালে যেসব টাটকা ফল-মূল পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়াতে হবে।
যেমনঃ কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আমলকি এ ধরনের ভিটামিন সি যুক্ত ফল।কারণ এ ধরনের ফল-মুলে অনেক পুষ্টি ও ভিটামিন থাকে যা শিশুর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সারা বছরই ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে শীতকালে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। কারণ শীতের সময়ে আবহাওয়ার প্রভাব আমাদের ত্বকে অনেক বেশি পড়ে।
আরো পড়ুন চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
এসময় আবহাওয়া অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় আমাদের ত্বকেও। এতে ত্বক ও চুল শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তাই শীতে ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা যায় তা হলো ত্বকের শুষ্কতা। তৈলাক্ত ত্বকও এ সময় মলিন হয়ে যায়।অনেকের ত্বক ফেটেও যায়।
তাই এ সময় ত্বক চায় একটু বাড়তি যত্ন। অনেকেই ঘর-অফিস ও পড়াশোনা সামলে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় পান না। তাই বাড়িতেই কিছু ঘরোয়া উপায়ে আপনি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারেন। চলুন জেনে নিন নিষ্প্রাণ ত্বককে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল করে তোলার কয়েকটি ঘরোয়া পরামর্শ। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা শসার রস ব্যবহার করতে পারেন।
শশার রসে মুলতানি মাটি এবং চন্দনের গুঁড়া দিন। চামচ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। পেস্টটি মুখে, হাত ও পায়ের ত্বকে লাগান। শুকিয়ে যাওয়ার ১০ মিনিট পর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ততা কেটে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান।
এক চামচ মধুর সঙ্গে দুই চামচ মিল্ক পাউডার ও এক চিমটে হলুদ ভালো করে মিশিয়ে মুখে মেখে দিন। ১৫ মিনিট পরে তা ধুয়ে ফেলুন।শুষ্ক ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার অতুলনীয়। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চামচ নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
সাধারণত অ্যালোভেরা জেল ও নারিকেল তেল ত্বকে পরিশোধনের কাজ করে। যা ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।অনেকে শীতকালে পানি কম খান, যা মোটেও ঠিক নয়। বরং শীতকালে পানি বেশি খেতে হয়, যাতে ত্বক আর্দ্র থাকে। অনেকে শীতের কারণে গোসল করা থেকে বিরত থাকেন, এটাও ঠিক নয়।
শীতে প্রতিদিন সামান্য উষ্ণ পানিতে গোসল করা প্রয়োজন। তবে বেশি উষ্ণ পানি ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের প্রতি লক্ষ্য রাখুন: প্রচুর মৌসুমি ফল এবং সবজি খান। স্ট্রবেরি, আঙুর, রাস্পবেরি, চেরি এসব ফল হলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভালো উৎস এবং ত্বককে ঠান্ডা আবহাওয়ায় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।শীতে ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু প্রধান উপায় রয়েছে:ত্বকের নেমে পরিষ্কার রাখা: শীতে ত্বক সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন ত্বক নেমে পরিষ্কার করা উচিত। এটি রোজ একবার সুবিধাজনক হতে পারে।ত্বকের সমস্যা বছরজুড়েই থাকে। তবে শীতে একটু বেশি থাকে।
শুষ্ক, তৈলাক্ত, স্বাভাবিক কিংবা মিশ্র—ত্বক যে ধরনেরই হোক, সমস্যা হবেই। কারণ, একটাই, ত্বকের সবচেয়ে ওপরের যে স্তর, সেই এপিডারমিসে এ সময় পানির পরিমাণ কমে গিয়ে শুষ্কতা বেড়ে যায়ত্বকের সমস্যা বছরজুড়েই থাকে। তবে শীতে একটু বেশি থাকে। শুষ্ক, তৈলাক্ত, স্বাভাবিক কিংবা মিশ্র—ত্বক যে ধরনেরই হোক, সমস্যা হবেই।
কারণ, একটাই, ত্বকের সবচেয়ে ওপরের যে স্তর, সেই এপিডারমিসে এ সময় পানির পরিমাণ কমে গিয়ে শুষ্কতা বেড়ে যায়অনেকেই চেহারার সৌন্দর্যে নানা রকম ফেস প্যাক ব্যবহার করে থাকেন। মনে রাখতে হবে, মুখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল।
তাই ফেস প্যাক ব্যবহারে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। শীতকালের আবহাওয়া রুক্ষ্ম হওয়ায় এ সময় কোন ফেস প্যাকটি আপনার ত্বকের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।- শীতে পানি ঠান্ডা থাকে বলে অনেকেই আলসেমি করে মুখ না ধুয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। ত্বকের যত্নে এই অবহেলার কারণে ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে এবং জমে থাকা মরা চামড়ার কারণে ত্বক রুক্ষ ও অনুজ্জ্বল হয়ে যায়।
তাই শীতকালেও প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করুন এবং মাঝে মাঝে স্ক্রাবিং করুন। তাহলে ত্বকের মরা চামড়া পরিষ্কার হয়ে ত্বক থাকবে কোমল ও মসৃণ।গরম জলে স্নান করে আরাম লাগলেও শীতকালে কিন্তু গরম জল ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম জল ত্বকের উপরিভাগে থাকা প্রাকৃতিক তেলের স্তর নষ্ট করে।
ঠান্ডার সময়ে ত্বকের জন্য ভালো মোয়া ব্যবহার করা উত্তম। সাবান বা বোয়াশ ব্যবহার করে দৈনন্দিন পরিষ্কারতা বজায় রাখা উচিত। ক্রিমি বা মোয়াস্টারাইজার ব্যবহার করে ত্বকের প্রাকৃতিক ত্বক তরীকে বজায় রাখা উচিত।পর্যবেক্ষণ করুন ত্বকের ত্বকের অবস্থা: অনেকের জন্য ঠান্ডার সময়ে ত্বক শুষ্ক এবং আপনার ত্বকের ধরন এবং অবস্থা ভিন্ন হতে পারে।
অতিরিক্ত শুষ্কতা অথবা প্রস্রাব থাকলে তা বুঝতে পারেন এবং তা সঠিকভাবে প্রতিকার নিতে পারেন।ভালো পোশাক: শীতকালে ত্বকের যত্ন নিতে হলে আপনার পোশাকের সাহায্যে ত্বক সুরক্ষিত থাকতে পারে। ত্বক প্রতিরোধ করার জন্য অনেকে একাধিক পরিমাণে পোশাক পরাধীন থাকেন।শীতে পরিমিত সময়ে গরম পানির ব্যবহার:
সর্দির সময়ে অতিরিক্ত গরম পানির ব্যবহার করা উচিত নয় যাতে ত্বকের প্রাকৃতিক তরিকে অপরিবর্তিত রাখা যায়।মাস্ক ব্যবহার: ঠান্ডার সময়ে, মাস্ক ব্যবহার করা ত্বককে ঠান্ডা থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করতে পারে, এবং এটি ত্বকের আবশ্যিক তর্পণ দেয় যেটি ঠান্ডার আঘাত থেকে বাচায়।
আপনার ত্বকের ধরন এবং অবস্থার উপর ভিত্তি করে, আপনি এই পরামর্শ গুলি অনুসরণ করতে পারেন। তবে, যদি কোনও অসুস্থতা বা ত্বকের সমস্যা হয় তবে সে ক্ষেত্রে নিকটস্থ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।এছাড়াও আরো জানানোর চেষ্টা করব, শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়, শীতে ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো,
শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় এবং শীতকালে ছেলে ও মেয়েদের জন্য কোন ক্রিমগুলো সবচেয়ে ভালো ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।ত্বকের মধ্যে তরল সেবন করা: ত্বক শুষ্কতা এবং কুষ্ঠির ঝুঁকি কমাতে পানি সেবন করা গুরুত্বপূর্ণ। ধারাবাহিক ভাবে পানি খাওয়া এবং হাতের পরিস্কারণ নিশ্চিত করা উচিত।
সঠিক মুখের ও ত্বকের যত্ন: শীতে ত্বক সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনার মুখ, নাক, ওজন এবং কানের আশেপাশে একটি বুস্তী পরহেজ করা উচিত।ত্বকের নেমে ভাপ ব্যবহার করা: শীতে বিশেষভাবে শুষ্ক ত্বকের জন্য ভাপ ব্যবহার করা হতে পারে। এটি ত্বকের নেমে পরিষ্কারণ করতে সাহায্য করে এবং ত্বকে মোয়াইস্চারাইজ করে।ত্বকের জন্য মোয়াইস্চারাইজার ব্যবহার:
শীতে ত্বক সুরক্ষিত রাখার জন্য মোয়াইস্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তরিতরণ বজায় রাখতে সাহায্য করে।প্রোটেকশন পরিধান: শীতে বেশি তাপমাত্রা থেকে ত্বক রক্ষা করার জন্য প্রোটেকশন পরিধান করা উচিত, যেমন হাট, মুফলার, স্কার্ফ, হাতা, ওভারকোট ইত্যাদি।
এই সব সর্বোপরি ব্যবস্থা গুলি যদি অনুসরণ করা হয়, তাহলে শীতে ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব। তবে, যদি কোনও অসুস্থতা অনুভব করা হয় বা কোনও সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা যায়, সেক্ষেত্রে তা নিশ্চিত করার জন্য ত্বকের চিকিৎসা পেতে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
শীতে ত্বকের যত্নে ক্রিম
শীতে ত্বকের যত্নের জন্য কিছু ক্রিমের ব্যবহার করা সাধারণ। ঠান্ডা ক্ষতি বা ত্বকের শুষ্কতা এবং ফোস্ফোরিক শীতলতা থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য ক্রিম ব্যবহার করা হয়। শীতে ত্বকের যত্নের জন্য কিছু ক্রিমের ধরনগুলি রয়েছে:মহাবাহু ক্রিম (হাইড্রেটিং ক্রিম): ঠান্ডা ক্ষতি থেকে ত্বক রক্ষা করতে মহাবাহু ক্রিম ব্যবহার করা হয়।
এই ক্রিমগুলি ত্বকের ভেতরের নম্রতা সংরক্ষণ করে এবং শীতলতা থেকে ত্বক রক্ষা করে।মোইস্চারাইজিং ক্রিম: ত্বকের শুষ্কতা থেকে রক্ষা করতে মোইস্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা হয়। এই ক্রিম ত্বকের ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে নম্রতা রক্ষা করে এবং ত্বকে প্রাকৃতিক ওয়াটার স্তর বজায় রাখে। সানস্ক্রিন (সূর্য স্ক্রিন):
যখন আপনি বেরোতার জন্য বা সূর্যের ক্রোশনের সময়ে বেরোতার চেষ্টা করেন তখন ত্বক রক্ষার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। এটি ত্বক থেকে সূর্যের ক্ষতি ও ডার্ক স্পটগুলি রোধ করে।সাধারণভাবে, শীতে ত্বকের যত্নের জন্য আপনি হাইড্রেটিং ক্রিম বা মোইস্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে, আপনার ত্বকের ধরন এবং প্রয়োজনীয়তা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন সুস্বাস্থ্যের জন্য কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত?
সে জন্যে বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা উচিতআপনি সঠিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে নির্দেশ করেছেন। শীতে ত্বকের যত্নের জন্য সঠিক ক্রিম বেছে নিতে হাইড্রেটিং ক্রিম এবং মোইস্চারাইজিং ক্রিম উল্লেখযোগ্য। তবে, এই ক্রিমগুলির ব্যবহারে আপনার ত্বকের ধরন এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যান্য কিছু ক্রিম ও উপায় শীতে ত্বক যত্নের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে:বারিয়ার ক্রিম: এই ধরনের ক্রিম ত্বকের উপর একটি সুরক্ষাকর স্লিপ তৈরি করে যা ঠান্ডায় ত্বক রক্ষা করে।ফেস অয়িল অথবা ত্বকের তেল: কিছু মানুষের ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হতে পারে, এই ত্বকে অয়িল বা তেলের ব্যবহার ত্বক উদ্দীপ্ত করে এবং ত্বকের নম্রতা বজায় রাখে।বডি লোশন:
মানুষের শরীরের ব্যাপারে সামান্য আরো যত্ন নিয়ে ত্বকের পর্যাপ্ত পরিমাণে নম্রতা বজায় রাখতে বডি লোশন ব্যবহার করা হতে পারে।তবে, আপনার ত্বকের ধরন, সমস্যা এবং প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী উপযুক্ত ক্রিম বেছে নিতে বা কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
শীতে মেয়েদের ত্বকের যত্ন
শীতে ত্বকের যত্ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই সময় ত্বক হয়ে পড়ে বেশি স্পর্শকাতর, খসখসে ও প্রাণহীন। শীতের দাপটে প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্যও হারিয়ে ফেলে আমাদের ত্বক। তখন প্রয়োজন হয় ত্বকের বিশেষ যত্নের। শীতের দাপটে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক জৌলুস হারিয়ে ফেলে ত্বক। এই সময়ে প্রয়োজন বিশেষ যত্নের ত্বকচর্চা, যার কিছু ঘরোয়া টিপস সমস্যার চটজলদি সমাধানে কাজে দেয়।
শীতের আবহাওয়া বইছে এখন চারিদিকে ।শীতের এই আগমনে ত্বকের যত্ন নিতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে ।আপনার ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ রাখতে চাইলে অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি অর্থাৎ অতিবেগুনি রশ্মি থেকে দূরে থাকতে হবে বা যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। অন্যথায় ত্বক নষ্ট বা খসখসে হয়ে যেতে পারে । তাই সেক্ষেত্রে বাহিরে চলার সময় একটি ছাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন সুষম খাদ্য কাকে বলে উপাদান গুলো কি কি?
এখন শীতের শুরু এখন থেকেই নিতে হবে ত্বকের বাড়তি যত্ন এবং ত্বকের প্রতি থাকতে হবে সতর্ক । তাহলে শীতের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে করবে মসৃণ, উজ্জল এবং দেখাবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তাই কিছু টিপস্ দিচ্ছি যে গুলো মানলে সহজে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল থাকবে।আমাদের ত্বকের জন্য শীতকাল সম্ভবত সবচেয়ে রুক্ষ ঋতু।
কম আর্দ্রতা এবং ঠাণ্ডা তাপমাত্রার কারণে শরীর প্রচুর আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে, যার ফলে ত্বকের ক্ষতিও হয় অনেক। এই অবস্থা রোধে শীতে ত্বকের যত্ন নিতে আপনি করতে পারেনশীতে মেয়েদের ত্বক সবসময় সুরক্ষিত রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ ঠান্ডার মধ্যে ত্বক ভালো অবস্থা বজায় রাখা কঠিন হতে পারে। কিছু পরামর্শ মেনে চললে ত্বক স্বাস্থ্য্য রাখা সম্ভব।
তারা নিম্নলিখিত হতে পারে:পোশাক সুরক্ষা: ঠান্ডা দিনে উষ্ণতা বজায় রাখার জন্য পোশাক মোতাবেক নির্বাচন করা উচিত। প্রাথমিক উষ্ণতা সর্দির জন্য ধরনের উষ্ণ ও সুরক্ষিত পোশাক নির্বাচন করা উচিত।ত্বকের যত্ন ও সারানো: শীতের মধ্যে ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যত্ন নিতে হলে পূর্বের তৈরি এবং মোতাবেক প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত।ত্বকের সরানো এবং মসাজ:
ত্বকের সরানো এবং মসাজ করে ত্বকের অনুভূতি উন্নত হতে পারে এবং সাথে ত্বক রক্ষা করা যায়।পর্যাপ্ত পানি: ঠান্ডার মধ্যে পোষাকের সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি যাতে ত্বকের শুষ্কতা কমে এবং ত্বক প্রাকৃতিক উষ্ণতা বজায় রাখা যায়।মুখ্য সংস্কৃতি: ত্বকের যত্নের জন্য মুখ্য সংস্কৃতি পরিপূর্ণ তৈরি করা উচিত।
পূর্বের ত্বকের যত্নের পরিপূর্ণ প্রোডাক্ট ব্যবহার এবং তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা উচিত।ত্বকের নুতুনোত্তীর্ণ প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা: নুতুন প্রোডাক্ট এবং প্রোডাক্ট পরীক্ষা করা ব্যর্থ হলে তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।এই পরামর্শগুলি অনুসরণ করা যেতে পারে যাতে শীতে মেয়েদের ত্বক সুরক্ষিত থাকে এবং স্বাস্থ্য্য রাখা যায়।
তবে, সর্দির দিনে প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করা উচিতসাধারণ সময়েও বিভিন্ন স্কিন প্রোডাক্ট অর্থাৎ লোশন বা বডি অয়েল ব্যবহার করা হয়। তবে শীতকালে সেগুলো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু সচেতন হতে হবে।যেমন: অনেক লোশন থাকে তেলতেলে ত্বকের জন্য, আবার অনেক লোশন শুষ্ক ত্বকের জন্য।
আরো পড়ুন একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দিনে কি পরিমান খাবার খাওয়া প্রয়োজন?
তাই আপনার ত্বক অনুযায়ী কোন পণ্য ব্যবহার করবেন সেটি জেনে নিন। নইলে হীতে বিপরীত হতে পারে। বাজারে নানা রকম পিল, মাস্ক এবং অ্যালকোহলভিত্তিক পণ্য পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার না করাই ভালোআপনার ত্বকের দাগ দূর করতে এক চামচ হলুদের গুড়ার কোন বিকল্প নেই, আর সঙ্গে যদি এক চামচ বেসন ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরী করে
দাগের স্থানে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করে আলতো ভাবে ম্যাসাজ করে, ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নেন, সঙ্গে সঙ্গেই দেখবেন ম্যাজিকের মত কাজ করেছে এই মিশ্রনটি । দাগ তো দূর করবেই পাশাপাশি একই সঙ্গে ত্বককে করবে টানটান ও উজ্জ্বল।শীতকালে ত্বকের উপরিভাগ থেকে মৃতকোষ নির্মূল করতে এক্সফোলিয়েশনের দরকার হয়।
কারণ এই সময় ত্বকের উপর তুলনামূলকভাবে মৃত কোষগুলো রিহাইড্রেট করে। এক্সফোলিয়েটিংয়ের ফলে ত্বকের মৃতকোষগুলো দ্রুত দূর হয়ে আরও পরিষ্কার করে তোলে। সপ্তাহে এক থেকে ২ বার স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড-ভিত্তিক বডি ওয়াশ দিয়ে হালকা এক্সফোলিয়েশন ব্যবহার করুন।
ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও এক্সফোলিয়েট করুন। এর জন্য বাজার থেকে ভালো মানের লিপ স্ক্রাব কিনে নিতে পারেন। এক্সফোলিয়েশন ডেড সেলস দূর করে ঠোঁটকে আরো কোমল করে।শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় সারা বছর আমাদের ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে শীতকালে সাধারণ যত্ন নিলে চলে না, নিতে হয় বাড়তি যত্ন।
এমনিতে ঠান্ডা আবহাওয়া, তার ওপর বাতাসে আর্দ্রতা কম বলে শীতকালে আমাদের ত্বক নাজুক হয়ে পড়ে। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়, হয়ে পড়ে রুক্ষ। চিন্তার কিছু নেই। ঘরোয়া পদ্ধিতিতে সহজেই এসব সমস্যা দূর করা যায়। চলুন দেখে নেই কীভাবে।শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য কিছু সাধারণ সম্পর্কিত উপায় রয়েছে:প্রথমে কলা ম্যাশ করে একটি স্মুথ পেস্ট তৈরি করুন।
এবার মাখন নিয়ে এটাকে হুইপ করতে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি স্মুথ হয়। বাটার হাতের কাছে না থাকলে আপনি চাইলে ফুল ফ্যাট মিল্ক ও ইউজ করতে পারেন। এবার কলার পেস্ট ও হুইপড মাখন ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং প্যাকটি পুরো মুখে অ্যাপ্লাই করুন। এই প্যাকটি ড্রাই স্কিনের জন্য একটু বেশি হাইড্রেটিং হবে।
১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।নিয়মিত মসৃণকরণ: শীতে বায়ুর শারীরিক ঠান্ডা পরিবর্তন করে, ত্বকে পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। তাই দৈনন্দিন মসৃণকরণ এবং হাইড্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ পরিমাণে পানি পান: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেটা ত্বকের স্বাস্থ্যকর থাকায় সাহায্য করে।
ভালো খাবার: স্বাস্থ্যকর খাবার অনেকটা ত্বকের জন্য উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে। তাজা ফল ও সবজি, সুস্থ তেল, ডাল ও প্রোটিনের খাবার ত্বকের জন্য ভালো।সুষম ত্বকের যত্ন: ত্বকের যত্ন নিতে স্বাভাবিক উপাদান ব্যবহার করুন। শীতে ত্বকের জন্য ভ্যাসেলাইন, মসৃণকরণের ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।শুধুমাত্র ত্বকের যত্ন নেয়া:
শীতে ঠান্ডা, ভায়ু শততা, ওজন প্রশ্ন, প্রবল হাবুড এবং ত্বকের প্রতি ক্ষমতা অন্যান্য বিষয়ের জন্য যত্নশীল থাকুন।সবশেষে, আপনি যদি ত্বকের সমস্যা অনুভব করেন বা কোনও নির্দেশিকা প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিতগাজর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে বহুগুণ।
এতে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন 'এ' আছে ভরপুর, যা শীতকালে রোদে পোড়ার সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এ ছাড়া ত্বকের কালো ভাব দূর করতেও সাহায্য করে।সব ধরনের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে দুধ ও টকদই। ব্যবহার প্রণালিও খুব সহজ। দুধের ক্রিম অথবা টকদইয়ে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মেশান।
চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। মিশ্রণটি ব্যবহারের আগে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট মিশ্রণটি মুখের ত্বকে রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।শীতের আর্দ্রতায় ত্বক তার কোমলতা হারিয়ে ফেলে। এ সময়ে কাজে আসে গাজর। ব্যবহার প্রণালিও খুব সহজ। কচি গাজর পেস্ট করে তাতে সামান্য চন্দন দিন।
মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট পর্যন্ত। সময় শেষ হলে হালকা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কোমলতা ফিরে পাবেন।ত্বক ফর্সা করার জন্য একটি প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার হল লেবুর রস, যা প্রাকৃতিকভাবে ব্লিচিং গুণাবলী ধারণ করে। লেবুর রস মিশ্রিত ফেস মাস্কের কারণে আপনার ত্বক কয়েক শেড হালকা হয়ে যাবে।
লেবুর রস আপনার বর্ণ উজ্জ্বল করতে পারে, কালো দাগ বা তৈলাক্ততা বা উভয়ই কমাতে পারে। উপরন্তু, মধু ত্বকের সমস্যার চিকিৎসায় অবিশ্বাস্যভাবে কার্যকর। মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য।একটি তুলো প্যাডে নারকেল তেল বা বাদাম তেল প্রয়োগ করা আপনাকে আপনার মুখের বাকি অংশ থেকে মেকআপ অপসারণ করতে সহায়তা করবে।
তারপরে স্ক্রাবিং ছিদ্রের মূল থেকে মেকআপ সম্পূর্ণরূপে অপসারণ করতে ব্যবহার করা হবে। আপনার মুখ ধোয়ার জন্য সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। শেষ পর্যন্ত ময়েশ্চারাইজার লাগান। সাধারণভাবে, প্রয়োগের চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর মেকআপ তুলে ফেলতে হবে। এটা মাঝে মাঝে সম্ভব, কিন্তু সবসময় নয়।
শীতকালে মুখের যত্ন কিভাবে নেব
শীতে ত্বকের যত্ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই সময় ত্বক হয়ে পড়ে বেশি স্পর্শকাতর, খসখসে ও প্রাণহীন। শীতের দাপটে প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্যও হারিয়ে ফেলে আমাদের ত্বক। তখন প্রয়োজন হয় ত্বকের বিশেষ যত্নের। শীতের দাপটে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক জৌলুস হারিয়ে ফেলে ত্বক। এই সময়ে প্রয়োজন বিশেষ যত্নের ত্বকচর্চা, যার কিছু ঘরোয়া টিপস সমস্যার চটজলদি সমাধানে কাজে দেয়।
শীতকালে মুখের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ ঠান্ডা আবহাওয়া মানে বাতাসের কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। মুখের যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু পরামর্শ নিচ্ছি:ওষুধ ব্যবহার: যদি ঠান্ডা আবহাওয়ায় মুখের ত্বকে শুষ্কতা ও কোনো সমস্যা হয়, ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। তিনি পরামর্শ দিতে পারেন প্রয়োজনীয় ওষুধ বা ক্রিমেন্ট সম্পর্কে।
ভালো মুখোশের ব্যবহার: ঠান্ডা আবহাওয়ার সময়ে মুখে একটি ভালো মুখোশ পরিধান করা উচিত, যাতে মুখের ত্বক ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা পায়।উচ্চ পরিমাণে পানি পান: ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বকের শুষ্কতা হওয়ার আশংকা থাকতে পারে, তাই প্রতিদিন প্রয়োজনীয় পরিমাণে পানি পান করা উচিত।উচ্চ পারিশ্রমিক এবং হাইড্রেশন:
ঠান্ডা আবহাওয়া ত্বকের শুষ্কতা বা কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এতে আপনার মুখের যত্ন নেওয়ার জন্য পারিশ্রমিক থাকা ও পর্যাপ্ত হাইড্রেশন প্রয়োজন।ক্রিমে বা মুখের জন্য ভালো মুখের দেখভাল: মুখে একটি ভালো ক্রিম বা ত্বকের জন্য উপযুক্ত দেখভাল করা উচিত। ত্বকের প্রয়োজনীয় তেল ও নিম্বতা সরবরাহ করার জন্য সঠিক ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।ঠান্ডার সময় ফুটওয়ার পরিবর্তন:
মুখের জন্য একটি নরম ও কোমল ফুটওয়ার ব্যবহার করা উচিত। সবুজ বা কালো রঙের বা স্যাটিন বা সিল্কের ফুটওয়ার ব্যবহার করা যাবে।এছাড়াও, যদি মুখে কোনো অস্বাভাবিক সমস্যা অনুভব করেন, তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরামর্শে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। তারা আপনাকে সঠিক পরামর্শ এবং চিকিৎসার পরামর্শ প্রদান করতে পারেন।শীতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা অপরিহার্য।
শুষ্ক কিংবা তৈলাক্ত, সবধরনের ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। এসময় জেল বা ক্রিম বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। ক্লেনজার দিয়ে মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। জেল ময়েশ্চারাইজার সব ধরনের স্কিনের সাথে মানিয়ে যায়, বিশেষ করে অয়েলি স্কিনে। হেভি ক্রিমি ফর্মুলার চেয়ে লাইট ওয়েট জেল বেইজড ময়েশ্চারাইজার অনেকেই প্রিফার করেন।
জেল ময়েশ্চারাইজার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে।এই তেল কার্যকরভাবে দাগ হালকা করতে এবং আপনার ত্বকে পর্যাপ্ত পরিমানে আর্দ্রতা নিশ্চিত করার সাথে সাথে প্রসারিত চিহ্নের উপস্থিতি হ্রাস করতে সহায়তা করে। যদিও বডি বাটার আপনার ত্বককে কোমল ও সিল্কি এবং আর্দ্র করে তোলে ।
এটি আপনার ত্বককে ভালোভাবে ময়শ্চারাইজ করে এবং একটি বুস্টিং ইফেক্ট দেয়।শীতে অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা খুব একটা পচ্ছন্দ করেন না। অনেকেই মনে করেন, শীতকালে রোদের তাপমাত্রা কম থাকে, সে কারণেই সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজন বলে মনে করেন না। তবে শীতকালেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
এ সময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থাকে! তাহলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এড়িয়ে যাবেন কেন? ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে হলে ঘর থেকে বেরোনোর ঠিক ১৫ মিনিট আগেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।ঠান্ডা বাতাসে ঠোঁট ফেটে যায়। কখনও কখনও ফেটে গিয়ে রক্ত বের হয়। কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার একটি কাপড় ভিজিয়ে ৩/৪বার চাপ দিন।
তারপর গ্লিসারিন/ভ্যাসলিন লাগান। ঠোঁট কালচে হয়ে গেলে দুধের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন। কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। তবে ঠোঁট শুকনো রাখা যাবে না। শুকানোর আগেই গ্লিসারিন অথবা ভ্যাসলিন লাগান।মৃতকোষ নির্মূল করার জন্য ত্বকের উপরিভাগে এক্সফোলিয়েশন না করে প্রতিমাসে প্রয়োজনে একাধিকবার
স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড-জাতীয় বডি ওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে । এতেকরে মৃতত্বকের কোষগুলিকে রিহাইড্রেট হয়ে যাবে খুব দ্রুত । খেয়াল রাখতে হবে যেন ক্ষারযুক্ত সাবান যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করা যায় ।
শীতের রাতে ত্বকের যত্ন
শীতের বাতাসে ত্বক হারিয়ে ফেলে লাবণ্য। যাদের ত্বক শুষ্ক, তাদের ঝক্কি আরও বেশি। খসখসে ও রুক্ষ হয়ে নির্জীব হয়ে পড়ে ত্বক। শীতের পুরো সময়টা জুড়ে ত্বক আর্দ্র ও নরম রাখতে চাই বিশেষ যত্ন। জেনে নিন টিপস।শীতের রাতে ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ ঠান্ডার মাধ্যমে ত্বকের অবস্থা ভালো রাখা কঠিন হতে পারে।
কিছু কারণে ঠান্ডা ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং ত্বক এবং ত্বকের অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।কিছু পরামর্শ নিম্নে দেওয়া হলো শীতের রাতে ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করার জন্য:ভালো গরম পোশাক: ঠান্ডা সময়ে যখন বাইরে বের হয়ে যাওয়া হয়, ভালো গরম পোশাক পরা খুব গুরুত্বপূর্ণ। উপসর্গ ধরে রাখা, হাত, পা, মুখ ইত্যাদি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
ত্বকের নমুনা দেখার পরামর্শ: ত্বক প্রতিদিন পরীক্ষা করুন এবং যদি ত্বকে কোনও সমস্যা হয়, যেমন ত্বকের শুষ্কতা, চাপবাদয়তা, প্রাকৃতিক মোয়ামার অপসারণ ইত্যাদি, তা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।ত্বকের নিষ্ক্রিয়তা মিটানো: দৈনন্দিন মৌসুমে ত্বক স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বা ভাষমান থাকে। কিন্তু ঠান্ডা সময়ে ত্বকের নিষ্ক্রিয়তা বেড়ে যেতে পারে, তাই ত্বকের নিষ্ক্রিয়তা মিটানো জরুরি।
ত্বকের সাথে ভারি হাত দিয়ে মালিশ করা, উষ্ণ পানির স্নান এবং উষ্ণ ব্যবস্থাপনা কাজ করতে পারে।ত্বকের সর্বনিম্ন পরিষ্কারতা: ঠান্ডা সময়ে অতিরিক্ত ত্বকের পরিষ্কারতা দরকার। সাবান ব্যবহার করে ত্বকের পরিষ্কারতা বজায় রাখা, যা সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে ত্বকের শুষ্কতা বা ক্ষতি করতে পারে।
ত্বকের জন্য উষ্ণ জল এবং পরিষ্কারক ব্যবহার করা উচিত।গ্রীষ্ম থেকে শীতকাল পর্যন্ত, আমাদের জীবনযাত্রা, পোশাক বা খাদ্যাভ্যাসের থেকে শুরু করে ত্বকও প্রতি ঋতুতে পরিবর্তন করে। সারাদিনের ময়লা, দূষণ এবং সূর্যের রশ্মি থেকে ত্বককে মেরামত ও পুনরুজ্জীবিত করার জন্য একটি অপরিহার্য অংশ হল রাতের স্কিনকেয়ার, তারও একটু পরিবর্তন দরকার।
যেহেতু শীতে ত্বক একটু শুষ্ক ও নিস্তেজ হয়ে যায় তাই ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখতে নাইট কেয়ার খুব দরকারি।শীতকালে মুখে খসখসে ভাব, জারকাটা পড়া, মুখ কালো হয়ে যাওয়া, ব্ল্যাকহেডস, পিম্পলসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় । তাই, এ সময় ভালো মানের ডে ও নাইট ক্রীম ব্যবহার করুন । রং ফর্সাকারী ক্রিমের চেয়ে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ক্রীম।
ব্যবহারের প্রতি গুরুত্ব দিন বেশি করে । ভালো মানের ক্রীমের জন্য Pond’s, L’oreal, The Body Shop, Olay, Nivea, Dove ইত্যাদি ব্র্যান্ডের ক্রীম ব্যবহার করতে পারেন । ত্বক বেশি শুষ্ক হলে রাতে ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল ।গরম পানিতে গোসল করতে শীতে খুবই আরাম লাগে ঠিকই, কিন্তু এতেই ত্বকের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
উষ্ণ পানিতে গোসলের অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব নষ্ট হবে না।পায়ের ত্বক শুষ্ক হলে দেখতে যেমন খারাপ লাগে তেমন অস্বস্তি অনুভব হয়। এ মৌসুমে পায়ের ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ রাখতে পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা গ্লিসারিন দিয়ে পায়ের ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন। সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েট করে পায়ের ত্বকের মৃত কোষ তুলে নিন।
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য যত্ন শীত মৌসুমে আপনার পায়ে ত্বক সুন্দর রাখবে।
শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল
ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের ব্যবহার বেশ পুরোনো। রূপচর্চার একটি অপরিহার্য অংশ এটি। এতে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্টস, ভিটামিন ই ও সি। এসব উপাদান আমাদের ত্বক ভালো রাখার পক্ষে যথেষ্ট সহায়ক। এটি পুষ্টি জোগায় ত্বকের ভেতর থেকে। যে কারণে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল। ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল তাই অতুলনীয়।
শীতে ত্বকের যত্ন নিতে অলিভ অয়েল একটি অত্যন্ত উপকারী প্রাকৃতিক পণ্য। অলিভ অয়েল ভিটামিন ই, ভিটামিন ক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্লামেটরি গুন ধারণ করে, যা ত্বকের জন্য খুবই ভালো।শীতে ত্বকে ত্বকের সাথে সাথে পানি প্রয়োজন হয় যাতে ত্বক শুষ্কতা অনুভব না করে এবং স্বাস্থ্যবত্তা বজায় রাখা যায়।
অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য প্রোটেকশন প্রদান করতে সাহায্য করতে পারে এবং ত্বকের শীতের ঠাণ্ডায় আরও আরাম দেয়।তবে, শীতে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হলে মনে রাখা দরকারী কিছু বিষয়গুলি হলো:পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবহার করুন: অলিভ অয়েল যত্নের জন্য একটি মৌখিক উপায় হতে পারে, তবে তা হলেও অধিক প্রয়োজন নয়।
সাধারণত, একটি ছোট পরিমাণ অলিভ অয়েল ত্বকে ভালো ফলাফল দেয়।নিয়মিত ব্যবহার করুন: অলিভ অয়েল সবচেয়ে ভালো ফলাফল দেয় যখন এটি নিয়মিতভাবে ব্যবহার করা হয়। তা ত্বকের সাথে সাথে প্রোটেকশন প্রদান করতে সাহায্য করে।শুধুমাত্র পরিষ্কার ত্বকে ব্যবহার করুন: অলিভ অয়েল পরিষ্কার ত্বকে ব্যবহার করা উচিত।
এটি ত্বকের মুখ্য জৈবিক প্রতিরক্ষা প্রদান করে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক মোয়স্তুর সাথে সাহায্য করে।ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন: ধূমপান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং তা অলিভ অয়েলের উপকারিতা কমিয়ে নিতে পারে।প্রথমেই অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন গোসলের পানিতে। যা শরীরের ত্বক নরম রাখার পাশাপাশি সারাদিনে ঘাম হওয়া কমাতে সাহায্য করে।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চার পাঁচ চামচ মিশিয়ে নিন। তারপর ঠোঁটের নরম ভাব ধরে রাখতেও অলিভ অয়েল কাজ করে।অলিভ অয়েলে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড। এই তেল দিয়ে ত্বকে মাসাজ করলে তা ত্বককে আরও নরম ও কোমল করে। সেইসঙ্গে বজায় রাখে ত্বকের আর্দ্রতা। এটি শুধু রক্ত সঞ্চালনই বাড়ায় না, সেইসঙ্গে পুষ্টিও পৌঁছে দিতে কাজ করে।
এই শীতে ত্বকের বাড়তি যত্ন হিসেবে অলিভ অয়েলের ব্যবহার করুন।ঠোঁটের নরম ভাব ধরে রাখতেও এর জুড়ি নেই। তাই ঠোঁট ফাটা রুখতে এক চা–চামচ অলিভ অয়েল, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ও আধা চামচ চিনি মিশিয়ে বেশ সহজে একটি প্যাক তৈরি করে নেওয়া যায়। এবার এই প্যাক ঠোঁটে লাগিয়ে চিনি গলে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে।
শুষ্ক আবহাওয়ায় এটি দিনে একবার করতে পারলেই বেশ উপকার পাওয়া যাবে।আপনার ত্বকে যতই তেলতেলা ভাব থাকুক না কেনও শীতকালে রুক্ষতার সীমা থাকে না। সবারই একমাত্র অভিযোগ শীতে হাত, পা, ঠোঁট ফেটে একাকার। তাই দরকার অলিভ তেল। অন্য অনেক তেলের তুলনায় এটি হালকা বলে ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী।
আমাদের ত্বকের অন্যতম উপাদান কোলাজেনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে অলিভ ওয়েল। তাছাড়া এতে থাকা অলিক এসিড ত্বকের নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে, মুখের ত্বককে করে তোলে আরও নরম, এনে দেয় মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা।
ত্বককে হাইড্রেট রাখতে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের সমস্যা কমায়। এই তেল চুলে মাখলে গোড়া মজবুত হয়। চুল পড়ার সমস্যা কমে। পাশাপাশি চুল হয়ে ওঠে নরম ও কোমল।
শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্ন
আমাদের একেক জনের ত্বকের ধরন একেক রকম হলেও শীতে সবারই ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক। তাই এ সময় সবার ত্বকেরই বিশেষ যত্ন নিতে পারে চারটি জাদুকরী উপাদান। এগুলো হলো-শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ শীতে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ রাখা কঠিন হয়। একাধিক শীতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে।
এবং ত্বকের তরলতা কমে যা কঠিন প্রদুষণ এবং অন্যান্য সমস্যার জন্য কারণ হতে পারে। শীতে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায় নিম্নোক্ত হতে পারে:ত্বক সুরক্ষিত রাখা: শীতে বাইরে যাওয়ার সময় উচ্চ স্পিডের ভাতার সামনে ত্বক সুরক্ষিত রাখা জরুরি। মুখ, হাত, পা ইত্যাদি ঠান্ডা হাওয়া বা ঠাণ্ডা সামুদ্রিক বাতাসের বিরুদ্ধে পোশাকের মাধ্যমে ত্বক রক্ষা করা উচিত।
ভালো পোশাক ব্যবহার করা: শীতে ব্রেথেবিল কাপড় বা উন ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পোশাকগুলি ত্বকের সরাসরি যোগান থেকে রক্ষা করে।পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা: শীতে ত্বকের হাইড্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করা ত্বকের তরলতা বজায় রাখে।ত্বকের ভালোভাবে মুছে পুছে শুষ্কতা বাড়াতে অগ্রাহ্য প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
এই ক্ষেত্রে নরম ও আরামদায়ক ক্রিম বা তরল লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।প্রয়োজনে হাইড্রেটিং ফেস মাস্ক অথবা মিষ্টি স্প্রে ব্যবহার করা: এই পণ্যগুলি ত্বকে তরলতা সরবরাহ করে এবং শীতে শুষ্ক ত্বকে প্রয়োজনীয় তরলতা সরবরাহ করে।শুষ্কতা বাড়াতে অতিরিক্ত গরম পানি অথবা জেল ব্যবহার করা:
শীতে শুষ্ক ত্বকে গরম পানি বা জেল ব্যবহার করা শুষ্কতা কমিয়ে তরলতা সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।উপরে উল্লিখিত পরামর্শগুলি অনুসরণ করে শীতে শুষ্ক ত্বক স্বাস্থ্যকর এবং সুন্দর রাখা সম্ভব।চোখে পড়ার মতো কোমল ত্বক চাইলে এই মাস্কটি ব্যবহার করুন। একটি পাকা কলা চটকে নিন, তাতে মেশান দুই টেবিল চামচ মধু।
ভালো করে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।অনেকে শীতে গরম পানিতে গোসল করেন। এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে থাকে। কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ে গোসল শেষ করুন। গোসলে অপেক্ষাকৃত কম ক্ষারীয় সাবান ব্যাবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী সাবান নির্বাচনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
একজিমা, সোরিয়াসিস, ইকথাওসিস ইত্যাদি রোগে যারা ভুগে থাকেন, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অটামিল বা সি সল্ট বাথ নিতে পারেন।রাতে ত্বকের পুনর্গঠনের কাজ চলে। এই সময় ত্বকে থাকা মেইকআপ, এর কাজে বাধা দিলে বয়সের এবং ক্ষতির ছাপ পড়ে।তিনি আরও বলেন, “এতে কেবল বয়সের ছাপ নয় বরং ত্বকের বর্ণের অসামঞ্জস্যতাও দেখা দেয়।”
সারারাত মুখে মেইকআপ নিয়ে ঘুমানো ব্রণ, ব্রেক আউট ও প্রদাহের ঝুঁকি বাড়ায়।মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ফেসপ্যাকের মতো। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।অ্যালোভেরা এমনই একটি উদ্ভিদ, যা টবে লাগালে খুব সহজেই বেড়ে ওঠে৷ একটি অ্যালোভেরা পাতা নিন, মাঝখান থেকে কেটে ফেলুন সেটিকে৷ শাঁসটা বের করে নিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন৷
জ্বালাভাব, চুলকানি মুহূর্তে কমে যাবে৷ সেরে যাবে ছোটখাটো ইনফেকশনও৷ আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি এই শাঁস বা জেলের পরত আপনার ত্বকের উপর তৈরি করে রাখে সুরক্ষার আবরণ, তাতে দূষণ আপনার ত্বকে কোনো ছাপ ফেলতে পারে না৷শীতের সময় আপনাকে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
তবে সানস্ক্রিনের এসপিএফের মাত্রা যেন ৩০ বা তার ওপরে হয়। এটি দীর্ঘ সময় আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করবে।সারা বছরই মুখে ক্লিনজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। গরমকালে বা বছরের অন্যান্য সময়ে ঘাম হয় বেশি। তাই এই সময়ে আপনি এক ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করেন। শীতকালে তুলনামূলক মাইল্ড ফেসওয়াশ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।
ফোমিং ফেসওয়াশ পরিহার করুন। কারণ, এটি শুষ্ক ত্বককে আরও শুষ্ক করে দেয়। এসময় তেলযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। খুব হালকা হাতে ত্বক পরিষ্কার করবেন। খুব বেশি চাপ বা ম্যাসাজ করবেন না। একটা ওভারনাইট ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। উপকার পাবেন। সকালে উঠে পাবেন নরম,কোমল, দীপ্তিময় ত্বকশীত মৌসুমে বাজারে প্রচুর সবজি আসতে শুরু করে।
এই মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফল ও সবজি খাওয়া সবসময়ই উপকারী। এই মৌসুমে বেরি অবশ্যই খাওয়া উচিত।বেরিতে প্রচুর ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই পুষ্টি উপাদানগুলি ঠান্ডা আবহাওয়ায় আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া স্ট্রবেরি, আঙ্গুর, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, চেরির সঙ্গেও পেয়ারা খেতে হবে। অনেক সময় মানুষ শীতে পানি পান করতে অলস লাগে এবং শীতে পিপাসাও কম লাগে। এতে শরীরে পানি কমে যেতে পারে। তাই ফল, সবজি এবং অন্যান্য খাবার খেয়ে আপনি এই অভাব পূরণ করতে পারেনরীরকে সাহায্য করবে।