কাশি হলে করনীয় কি? জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সাধারত কাশি স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ নয়। এটি একটি স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক ক্রিয়া যা শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত অস্থায়ী। 

তবে একটানা কাশি হলে বিরক্তিকর হতে পারে। এটি অ্যালার্জেন, ধুলা, ধোঁয়া বা দূষণের কারণে ঘটতে পারে যা শীতের সময় আরও খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়

শীত আসায় শুরু হয়েছে সর্দি–কাশির প্রকোপ। ওদিকে আছে অমিক্রন। অমিক্রনের একটি অন্যতম উপসর্গ হলো খুসখুসে কাশি, গলায় ব্যথা ও অস্বস্তি।

অনেকে এ শুকনা কাশিতে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন। এ সময় জ্বর, কাশি যা–ই হোক, আইসোলেশনে থাকবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ওষুধ খাবেন না। কাশি কমাতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।

কাশি হলে করনীয় কি? জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান

কাশি হলো একটি সাধারণ শারীরিক প্রতিক্রিয়া যা শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বা শ্লেষ্মা বের করে দেওয়ার জন্য ঘটে। কাশি দুই ধরনের হতে পারে
  • উৎপাদক কাশি এ ধরনের কাশি সাধারণত সর্দি, ঠান্ডা, অ্যাজমা বা নিউমোনিয়ায় দেখা যায়। এ ধরনের কাশি হলে গলায় শ্লেষ্মা জমে যায় এবং তা বের করার জন্য কাশি হয়।
  • শুষ্ক কাশি এ ধরনের কাশি সাধারণত ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হয়। এ ধরনের কাশি হলে গলায় শ্লেষ্মা জমে না, কিন্তু কাশি হয়
  • শরীর উষ্ণ রাখুন। শরীর ঠান্ডা থাকলে কাশি বাড়তে পারে। তাই গরম কাপড় পরুন এবং গরম পানীয় পান করুন।

আরো পড়ুন: কম সময়ে কিভাবে সামনেরফাঁকা দাঁতের সমাধান করবেন

  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি পান করলে গলায় জমে থাকা শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে যায় এবং তা সহজেই বের হয়ে আসে।
  • গলা ব্যথা উপশমের জন্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। এতে গলা ব্যথা কমে এবং কাশিও উপশম হয়।
  • কাশি উপশমের জন্য মধু খেতে পারেন। মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা কাশির উপশম করে।
  • আদা-চা আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা কাশির উপশম করে। আদা-চা তৈরি করতে এক কাপ পানিতে এক চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর আদা কুচি ছেঁকে ফেলে চা খান।
  • হলুদ-দুধ হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা কাশির উপশম করে। হলুদ-দুধ তৈরি করতে এক কাপ দুধে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর হলুদ গুঁড়া ছেঁকে ফেলে দুধ খান।
  • লবঙ্গ-মধু লবঙ্গে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা কাশির উপশম করে। লবঙ্গ-মধু তৈরি করতে এক টেবিল চামচ মধুতে এক চা চামচ লবঙ্গ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চা চামচ লবঙ্গ-মধু খান।
  • কাশি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে বা কাশির সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ যেমন জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ইত্যাদি দেখা দিলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কাশি প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখুন

  • হাত ধোয়ার নিয়ম মেনে চলুন।
  • ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।
  • ধূমপান এবং ধূলিকণার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।  
  • আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।

রাতে কাশি কমানোর উপায়

  • শরীর উষ্ণ রাখুন। রাতে ঘুমানোর সময় গরম কাপড় পরুন এবং গরম পানীয় পান করুন। এতে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে এবং শ্লেষ্মা পাতলা হবে না।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি পান করলে গলায় জমে থাকা শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে যাবে এবং তা সহজেই বের হয়ে আসবে।
  • গলা ব্যথা উপশমের জন্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। এতে গলা ব্যথা কমে এবং কাশিও উপশম হয়।
  • কাশি উপশমের জন্য মধু খেতে পারেন। মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা কাশির উপশম করে।
আদা-চা আদা-চা তৈরি করতে এক কাপ পানিতে এক চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর আদা কুচি ছেঁকে ফেলে চা খান। আদা-চা কাশির প্রকোপ কমাতে এবং গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

হলুদ-দুধ হলুদ-দুধ তৈরি করতে এক কাপ দুধে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর হলুদ গুঁড়া ছেঁকে ফেলে দুধ খান। হলুদ-দুধ কাশির প্রকোপ কমাতে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন: দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানুন

লেবু-চা লেবু-চা তৈরি করতে এক কাপ পানিতে এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর লেবুর রস ছেঁকে ফেলে চা খান। লেবু-চা কাশির প্রকোপ কমাতে এবং গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

ইউক্যালিপটাস তেল ইউক্যালিপটাস তেল কাশির প্রকোপ কমাতে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে একটি বাটিতে গরম পানি নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল যোগ করুন। তারপর বাটিটি আপনার মাথার কাছে রেখে ঢেকে দিন। কয়েক মিনিট গরম বাষ্প নিন। এতে কাশির প্রকোপ কমে যাবে।

কাশি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে বা কাশির সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ যেমন জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ইত্যাদি দেখা দিলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়

  • শরীর উষ্ণ রাখুন। শরীর ঠান্ডা থাকলে কাশি বাড়তে পারে। তাই গরম কাপড় পরুন এবং গরম পানীয় পান করুন।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি পান করলে গলায় জমে থাকা শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে যায় এবং তা সহজেই বের হয়ে আসে।
  • গলা ব্যথা উপশমের জন্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। এতে গলা ব্যথা কমে এবং কাশিও উপশম হয়।
  • কাশি উপশমের জন্য মধু খেতে পারেন। মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা কাশির উপশম করে।
আদা-চা আদা-চা তৈরি করতে এক কাপ পানিতে এক চা চামচ আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর আদা কুচি ছেঁকে ফেলে চা খান। আদা-চা কাশির প্রকোপ কমাতে এবং গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

হলুদ-দুধ হলুদ-দুধ তৈরি করতে এক কাপ দুধে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর হলুদ গুঁড়া ছেঁকে ফেলে দুধ খান। হলুদ-দুধ কাশির প্রকোপ কমাতে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

লেবু-চা লেবু-চা তৈরি করতে এক কাপ পানিতে এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর লেবুর রস ছেঁকে ফেলে চা খান। লেবু-চা কাশির প্রকোপ কমাতে এবং গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন: পায়ের গোড়ালিব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ইউক্যালিপটাস তেল ইউক্যালিপটাস তেল কাশির প্রকোপ কমাতে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমানোর আগে একটি বাটিতে গরম পানি নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল যোগ করুন। তারপর বাটিটি আপনার মাথার কাছে রেখে ঢেকে দিন। কয়েক মিনিট গরম বাষ্প নিন। এতে কাশির প্রকোপ কমে যাবে।

কাশি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে বা কাশির সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ যেমন জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ইত্যাদি দেখা দিলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখলে খুসখুসে কাশি প্রতিরোধে সহায়তা পাওয়া যেতে পারে

  • হাত ধোয়ার নিয়ম মেনে চলুন।
  • ঠান্ডা থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।
  • ধূমপান এবং ধূলিকণার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে

অতিরিক্ত কাশি হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন
  • বিশ্রাম নিন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। বিশ্রামের মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং কাশি দ্রুত সেরে যায়।
  • শরীর উষ্ণ রাখুন। শরীর ঠান্ডা থাকলে কাশি বাড়তে পারে। তাই গরম কাপড় পরুন এবং গরম পানীয় পান করুন।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানি পান করলে গলায় জমে থাকা শ্লেষ্মা পাতলা হয়ে যায় এবং তা সহজেই বের হয়ে আসে।
  • গলা ব্যথা উপশমের জন্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। এতে গলা ব্যথা কমে এবং কাশিও উপশম হয়।
  • কাশি উপশমের জন্য মধু খেতে পারেন। মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে যা কাশির উপশম করে।

দ্রুত কাশি কমানোর উপায়

দ্রুত কাশি কমাতে কিছু উপায় আছে, তবে মনে রাখতে হবে যে এই উপায়গুলি শোকার্তক হওয়ায় বা চিকিৎসকে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার অবস্থার কারণে বা কারণের ধরনে ভিন্ন হতে পারে এবং একটি চিকিৎসক সবচেয়ে সঠিক পরামর্শ দেবেন।

কিছু সাধারিত উপায় মোহাল করার জন্য নিম্নলিখিত হতে পারে

  • গরম পানি ও বাষ্প শয্যা একটি গরম পানি ও বাষ্প শয্যা একটি চমৎকার দ্রুত কাশি কমানোর উপায়। এটি কাশি জনিত তন্তুকে মোছা এবং মাংসপেশী স্থিতি সুধারতে সাহায্য করতে পারে।
  • শুকনা পুড়িত গুড়ের বরফ কিছু শুকনা পুড়িত গুড়ের বরফ চুষতে পারে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • শুদ্ধ হওয়ার জন্য পানি অনেক পানি পান এবং শরীরের ঠান্ডাইয়া করতে সাহায্য করতে পারে।
  • মৃদু ও মধুর চা মৃদু ও মধুর চা কাশি শান্ত করতে সাহায্য করতে পারে।

অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খাব

অতিরিক্ত কাশি হলে ওষুধ খাবেন কিনা তা নির্ভর করে কাশির কারণ এবং তীব্রতার উপর। সাধারণত, ভাইরাসজনিত সর্দি-কাশি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। এই ধরনের কাশিতে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে, কাশি যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, বা কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট, রক্ত, জ্বর, বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

চিকিৎসক কাশির কারণ নির্ণয়ের জন্য শারীরিক পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, বা অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। কাশির কারণ নির্ণয়ের পর, চিকিৎসক উপযুক্ত ওষুধ বা চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।

কাশির জন্য ব্যবহৃত ওষুধের মধ্যে রয়েছে

  • এক্সপেক্টোরেন্ট এই ধরনের ওষুধ শ্লেষ্মা পাতলা করে এবং কাশির মাধ্যমে শ্লেষ্মা বের করে দিতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন: হার্ট ভালো রাখার জন্য কি খাওয়া দরকার ও হার্টের ঔষধের নাম জানুন

  • অ্যান্টিহিস্টামিন এই ধরনের ওষুধ অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট কাশি কমাতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট কাশি কমাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

কাশি কমাতে ঘরোয়া কিছু উপায়ও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে

  • প্রচুর তরল পান করা তরল পান করলে শ্লেষ্মা পাতলা হবে এবং কাশির মাধ্যমে বের করে দেওয়া সহজ হবে।
  • গরম পানির ভাপ নেওয়া গরম পানির ভাপ নিলে গলা খুসখুসেভাব কমে যাবে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করবে।
  • গলায় গরম সেঁক দেওয়া গলায় গরম সেঁক দিলে গলা ব্যথা কমে যাবে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করবে।
  • মধু খাওয়া মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য কাশির উপশমে সাহায্য করে।
অতিরিক্ত কাশি হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবসময়ই ভালো। চিকিৎসক কাশির কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত ওষুধ বা চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন।

কাশি হলে কি খাওয়া যাবে না

  • প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা তরল পান করলে শ্লেষ্মা পাতলা হবে এবং কাশির মাধ্যমে বের করে দেওয়া সহজ হবে।
  • গরম পানির ভাপ নেওয়া গরম পানির ভাপ নিলে গলা খুসখুসেভাব কমে যাবে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করবে।
  • গলায় গরম সেঁক দেওয়া গলায় গরম সেঁক দিলে গলা ব্যথা কমে যাবে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করবে।
  • মধু খাওয়া মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য কাশির উপশমে সাহায্য করে।
কাশি হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবসময়ই ভালো। চিকিৎসক কাশির কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত খাদ্যতালিকা পরামর্শ দিতে পারবেন।

কাশি হলে কি ঔষধ খাব

কাশি হলে ওষুধ খাবেন কিনা তা নির্ভর করে কাশির কারণ এবং তীব্রতার উপর। সাধারণত, ভাইরাসজনিত সর্দি-কাশি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এমনিতেই সেরে যায়। এই ধরনের কাশিতে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। তবে, কাশি যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, বা কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট, রক্ত, জ্বর, বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরো পড়ুন: বড়দের নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

চিকিৎসক কাশির কারণ নির্ণয়ের জন্য শারীরিক পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, বা অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন। কাশির কারণ নির্ণয়ের পর, চিকিৎসক উপযুক্ত ওষুধ বা চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন।

কাশির জন্য ব্যবহৃত ওষুধের মধ্যে রয়েছে

  • এক্সপেক্টোরেন্ট এই ধরনের ওষুধ শ্লেষ্মা পাতলা করে এবং কাশির মাধ্যমে শ্লেষ্মা বের করে দিতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টিহিস্টামিন এই ধরনের ওষুধ অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট কাশি কমাতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট কাশি কমাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।

কাশি কমাতে ঘরোয়া কিছু উপায়ও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে

  • প্রচুর তরল পান করা তরল পান করলে শ্লেষ্মা পাতলা হবে এবং কাশির মাধ্যমে বের করে দেওয়া সহজ হবে।
  • গরম পানির ভাপ নেওয়া গরম পানির ভাপ নিলে গলা খুসখুসেভাব কমে যাবে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করবে।
  • গলায় গরম সেঁক দেওয়া গলায় গরম সেঁক দিলে গলা ব্যথা কমে যাবে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করবে।
  • মধু খাওয়া মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য কাশির উপশমে সাহায্য করে।
  • অতিরিক্ত কাশি হলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবসময়ই ভালো। চিকিৎসক কাশির কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত ওষুধ বা চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারবেন
  • যদি কাশি জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বা বুকে ব্যথার সাথে থাকে।
  • যদি কাশি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়।
  • যদি কাশি অ্যালার্জি, হাঁপানি, বা অন্য কোনও চিকিৎসার অবস্থার কারণে হয়।
এই ক্ষেত্রে, একজন চিকিৎসক উপযুক্ত ওষুধ বা চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।

দ্রুত কাশি কমানোর উপায় ঔষধ

দ্রুত কাশি কমানোর জন্য ঔষধের পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপায়ও রয়েছে। ঔষধ
  • এক্সপেক্টোরেন্ট এই ধরনের ওষুধ শ্লেষ্মা পাতলা করে এবং কাশির মাধ্যমে শ্লেষ্মা বের করে দিতে সাহায্য করে। এক্সপেক্টোরেন্টের মধ্যে রয়েছে গুয়াইফেনেসিন এবং অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড।
  • অ্যান্টিহিস্টামিন এই ধরনের ওষুধ অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট কাশি কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টহিস্টামিনের মধ্যে রয়েছে লোরাটাডিন, সেটিরিজিন, এবং ডিফেনহাইড্রামিন।
  • অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট কাশি কমাতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, ভাইরাসজনিত কাশিতে অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর হয় না।

ঘরোয়া উপায়

  • প্রচুর তরল পান করা তরল পান করলে শ্লেষ্মা পাতলা হবে এবং কাশির মাধ্যমে বের করে দেওয়া সহজ হবে। পানি, ফলের রস, গরম চা, বা স্যুপ পান করতে পারেন।
  • গরম পানির ভাপ নেওয়া গরম পানির ভাপ নিলে গলা খুসখুসেভাব কমে যাবে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করবে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা-চামচ লবণ মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে গার্গল করুন।

আরো পড়ুন: মানসিক টেনশন দূর করার কিছু উপায়

  • গলায় গরম সেঁক দেওয়া গলায় গরম সেঁক দিলে গলা ব্যথা কমে যাবে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করবে।
  • মধু খাওয়া মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য কাশির উপশমে সাহায্য করে। গরম চায়ে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।

কাশি কমাতে সাহায্য করার জন্য কিছু সাধারণ টিপস

  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন।
  • ঠান্ডা আবহাওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন।
কাশি যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, বা কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট, রক্ত, জ্বর, বা অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন