মানুষের দেহে ডিএনএ কত দৈর্ঘ্য কিঃ মিঃ
Dna পর্যবেক্ষণে মানব শরীরের কোন উপাদান ব্যবহার করা হয় ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (ইংরেজি: Deoxyribonucleic Acid) একটি নিউক্লিক এসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সকল জীবের ডিএনএ জিনোম থাকে।
একটি সম্ভাব্য ব্যতিক্রম হচ্ছে কিছু ভাইরাস গ্রুপ যাদের আরএনএ জিনোম রয়েছে, তবে ভাইরাসকে সাধারণত জীবন্ত প্রাণ হিসেবে ধরা হয় না। কোষে ডিএনএর প্রধান কাজ দীর্ঘকালের জন্য তথ্য সংরক্ষণ। ডিএনএ ডাবল হেলিক্স মডেল
মানুষের দেহে ডিএনএ চারটি নিউক্লিওটাইড দ্বারা গঠিত: অ্যাডেনিন-এ, থাইমিন-টি, সাইটোসিন-সি এবং গুয়ানিন-জি। মানুষের দেহে ডিএনএ দুটি স্ট্র্যান্ডে সাজানো হয় যা একটি ডাবল হেলিক্স গঠনের জন্য পরস্পরের সাথে জড়িত।
মানুষের দেহে ডিএনএ কত দৈর্ঘ্য কিঃ মিঃ
মানুষের দেহে ডিএনএর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ মিলিয়ন কিলোমিটার। এই দৈর্ঘ্যটি যদি সারিবদ্ধভাবে সাজানো হয়, তাহলে তা পৃথিবীর চারপাশ প্রায় ৭০ বার ঘুরবে।
মানুষের প্রতিটি কোষে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডিএনএ বেস জোড়া থাকে। প্রতিটি বেস জোড়ার দৈর্ঘ্য প্রায় ০.৩৪ ন্যানোটমিটার। তাই, মানুষের প্রতিটি কোষের ডিএনএর দৈর্ঘ্য প্রায় ২০০ মাইক্রোমিটার।
মানুষের দেহে প্রায় ৭৫ ট্রিলিয়ন কোষ রয়েছে। তাই, মানুষের দেহে মোট ডিএনএর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ মিলিয়ন কিলোমিটার।
আরো পড়ুন: হাত - পা জ্বালাপোড়ার কারণে লুকিয়ে থাকে যে সব রোগ
ডিএনএ একটি দ্বৈত হেলিক্স গঠন। এই গঠনে দুটি ডিএনএ স্ট্র্যান্ড একটি অপরটির চারপাশে পেঁচানো থাকে। প্রতিটি স্ট্র্যান্ডে চারটি বেস থাকে: অ্যাডেনিন (A), গুয়ানিন (G), সাইটোসিন (C), এবং থাইমিন (T)।
ডিএনএ জিনগত তথ্যের বাহক। এই তথ্য থেকেই কোষের প্রোটিন তৈরি হয়। প্রোটিন আমাদের শরীরের সকল কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স মডেল
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স হল ডিএনএর আণবিক গঠন। এই গঠনে দুটি ডিএনএ স্ট্র্যান্ড একটি অপরটির চারপাশে পেঁচানো থাকে। প্রতিটি স্ট্র্যান্ডে চারটি বেস থাকে: অ্যাডেনিন (A), গুয়ানিন (G), সাইটোসিন (C), এবং থাইমিন (T)।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্সের গঠন নিম্নরূপ:
প্রতিটি স্ট্র্যান্ডে একটি শর্করা-ফসফেট মেরুদন্ড থাকে। এই মেরুদণ্ডে ডিঅক্সিরাইবোজ শর্করা এবং ফসফেট অণুগুলি পরস্পরের সাথে রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে।
প্রতিটি স্ট্র্যান্ডের বেসগুলি মেরুদণ্ডের বাইরে অবস্থিত। বেসগুলি একত্রিত হয়ে ক্ষারজোট তৈরি করে।
বেসজোটগুলির মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ধন থাকে। এই বন্ধনগুলি দুটি স্ট্র্যান্ডকে একসাথে ধরে রাখে।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্সের গঠন জিনগত তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রজননের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্সের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল:
এটি একটি জটিল এবং সুষম গঠন।
এটি জিনগত তথ্য সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত।
এটি প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয়।
ডিএনএ ডাবল হেলিক্স মডেলটি ১৯৫৩ সালে জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্স দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল। এই আবিষ্কারের জন্য তারা ১৯৬২ সালে শারীরতত্ত্ব বা চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
ডিএনএ কোথায় থাকে
ডিএনএ সব জীবের কোষে থাকে। কোষের নিউক্লিয়াসে ডিএনএর বেশিরভাগ অংশ থাকে। তবে, কিছু কোষে ডিএনএ সাইটোপ্লাজমেও পাওয়া যায়।
ইউক্যারিওটিক কোষে, ডিএনএ নিউক্লিয়াসের ভিতরে অবস্থিত। নিউক্লিয়াস একটি ঝিল্লি দ্বারা আবদ্ধ থাকে যা ডিএনএকে অন্যান্য কোষের উপাদান থেকে রক্ষা করে। নিউক্লিয়াসে, ডিএনএ ক্রোমোজোমে সংগঠিত হয়। ক্রোমোজোমে ডিএনএর একটি দীর্ঘ স্ট্র্যান্ড থাকে যা বেসজোটে বিভক্ত।
আরো পড়ুন: কিডনি সুস্থ রাখতে ৬টি পরামর্শ
প্রোক্যারিওটিক কোষে, ডিএনএ সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত। সাইটোপ্লাজম হল কোষের তরল অংশ। প্রোক্যারিওটিক কোষে ডিএনএ একটি লুপের মতো গঠন করে থাকে। এই গঠনটিকে নিউক্লিওয়েড বলা হয়।
ডিএনএ কোষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোষের জিনগত তথ্য ধারণ করে। এই তথ্য থেকেই কোষের প্রোটিন তৈরি হয়। প্রোটিন আমাদের শরীরের সকল কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
ডিএনএ কে আবিষ্কার করেন
ডিএনএর আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অনেক বিজ্ঞানীর অবদান রয়েছে। তবে, ডিএনএর আণবিক গঠন আবিষ্কারের জন্য সর্বাধিক কৃতিত্ব দেওয়া হয় জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্সকে।
জেমস ওয়াটসন একজন আমেরিকান জীববিজ্ঞানী। ফ্রান্সিস ক্রিক একজন ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী। মরিস উইলকিন্স একজন ইংরেজ স্ফটিকবিজ্ঞানী।
এই তিন বিজ্ঞানী ১৯৫৩ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স মডেল প্রস্তাব করেন। এই মডেল অনুসারে, ডিএনএ দুটি স্ট্র্যান্ড নিয়ে গঠিত। এই স্ট্র্যান্ডগুলি একটি অপরটির চারপাশে পেঁচানো থাকে। প্রতিটি স্ট্র্যান্ডে চারটি বেস থাকে: অ্যাডেনিন (A), গুয়ানিন (G), সাইটোসিন (C), এবং থাইমিন (T)।
ডিএনএর ডাবল হেলিক্স মডেল জিনগত তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রজননের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আবিষ্কারের জন্য তারা ১৯৬২ সালে শারীরতত্ত্ব বা চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
ডিএনএর আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন:
ফ্রেডরিখ মিশেচার: ১৮৬৯ সালে ডিএনএ আবিষ্কার করেন।
রিচার্ড অ্যাভেলসন: ১৯৪৪ সালে ডিএনএ জিনগত তথ্য ধারণ করে তা প্রমাণ করেন।
ম্যাক্স মেলার: ১৯৫০ সালে ডিএনএ প্রতিলিপি হয় তা প্রমাণ করেন।
ডিএনএর আবিষ্কার জীববিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এই আবিষ্কারের ফলে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে।
ডিএনএ এর কাজ
ডিএনএর প্রধান কাজ হল জিনগত তথ্য সংরক্ষণ করা। এই তথ্য থেকেই কোষের প্রোটিন তৈরি হয়। প্রোটিন আমাদের শরীরের সকল কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
ডিএনএর কাজগুলি হলো:
জিনগত তথ্য সংরক্ষণ: ডিএনএ কোষের জিনগত তথ্য ধারণ করে। এই তথ্যটি চারটি বেস: অ্যাডেনিন (A), গুয়ানিন (G), সাইটোসিন (C), এবং থাইমিন (T) দিয়ে তৈরি। এই বেসগুলি একত্রিত হয়ে ক্ষারজোট তৈরি করে। ক্ষারজোটগুলির মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ধন থাকে। এই বন্ধনগুলি ডিএনএকে একটি সুষম এবং স্থিতিশীল গঠন দেয়।
আরো পড়ুন: কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ ও প্রতিকার
প্রোটিন সংশ্লেষণ: ডিএনএর তথ্য থেকেই কোষের প্রোটিন তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে জিন প্রকাশ বলা হয়। জিন প্রকাশের সময়, ডিএনএর একটি অংশ প্রতিলিপি হয়। এই প্রতিলিপিটিকে আরএনএ বলা হয়। আরএনএ কোষের সাইটোপ্লাজমে প্রবেশ করে এবং প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে।
প্রজনন: ডিএনএ প্রজননের জন্যও প্রয়োজনীয়। কোষ বিভাজনের সময়, ডিএনএর প্রতিটি কোষে সমানভাবে বন্টন হয়। এটি নিশ্চিত করে যে নতুন কোষগুলিতেও পিতামাতার জিনগত তথ্য থাকে।
ডিএনএ একটি অত্যন্ত জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ অণু। এটি কোষের জন্য অপরিহার্য। ডিএনএর কাজগুলি আমাদের শরীরের সকল কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে।
ডিএনএ আবিষ্কার
ডিএনএর আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অনেক বিজ্ঞানীর অবদান রয়েছে। তবে, ডিএনএর আণবিক গঠন আবিষ্কারের জন্য সর্বাধিক কৃতিত্ব দেওয়া হয় জেমস ওয়াটসন, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং মরিস উইলকিন্সকে।
জেমস ওয়াটসন একজন আমেরিকান জীববিজ্ঞানী। ফ্রান্সিস ক্রিক একজন ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী। মরিস উইলকিন্স একজন ইংরেজ স্ফটিকবিজ্ঞানী।
এই তিন বিজ্ঞানী ১৯৫৩ সালে ডিএনএর ডাবল হেলিক্স মডেল প্রস্তাব করেন। এই মডেল অনুসারে, ডিএনএ দুটি স্ট্র্যান্ড নিয়ে গঠিত। এই স্ট্র্যান্ডগুলি একটি অপরটির চারপাশে পেঁচানো থাকে।
প্রতিটি স্ট্র্যান্ডে চারটি বেস থাকে: অ্যাডেনিন (A), গুয়ানিন (G), সাইটোসিন (C), এবং থাইমিন (T)। ডিএনএর ডাবল হেলিক্স মডেল জিনগত তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রজননের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আবিষ্কারের জন্য তারা ১৯৬২ সালে শারীরতত্ত্ব বা চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
ডিএনএর আবিষ্কারের ক্ষেত্রে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন:
- ফ্রেডরিখ মিশেচার: ১৮৬৯ সালে ডিএনএ আবিষ্কার করেন।
- রিচার্ড অ্যাভেলসন: ১৯৪৪ সালে ডিএনএ জিনগত তথ্য ধারণ করে তা প্রমাণ করেন।
- ম্যাক্স মেলার: ১৯৫০ সালে ডিএনএ প্রতিলিপি হয় তা প্রমাণ করেন।
- ডিএনএর আবিষ্কার জীববিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এই আবিষ্কারের ফলে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে।
ডিএনএর ডাবল হেলিক্স মডেল
ডিএনএর ডাবল হেলিক্স মডেল অনুসারে, ডিএনএ দুটি স্ট্র্যান্ড নিয়ে গঠিত। এই স্ট্র্যান্ডগুলি একটি অপরটির চারপাশে পেঁচানো থাকে। প্রতিটি স্ট্র্যান্ডে চারটি বেস থাকে: অ্যাডেনিন (A), গুয়ানিন (G), সাইটোসিন (C), এবং থাইমিন (T)।
এই বেসগুলি একত্রিত হয়ে ক্ষারজোট তৈরি করে। ক্ষারজোটগুলির মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ধন থাকে। এই বন্ধনগুলি ডিএনএকে একটি সুষম এবং স্থিতিশীল গঠন দেয়।
আরো পড়ুন: চাপ দাড়ি বা ঘন দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়
ডিএনএর ডাবল হেলিক্স মডেল জিনগত তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রজননের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মডেল অনুসারে, প্রতিটি বেস তার বিপরীত স্ট্র্যান্ডের বেসের সাথে যুক্ত থাকে। এটি নিশ্চিত করে যে ডিএনএর প্রতিটি স্ট্র্যান্ডে একই জিনগত তথ্য থাকে।
ডিএনএর গুরুত্ব
ডিএনএ জীবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি জীবের জিনগত তথ্য ধারণ করে। এই তথ্য থেকেই কোষের প্রোটিন তৈরি হয়।
Dna পর্যবেক্ষণে মানব শরীরের কোন উপাদান ব্যবহার করা হয়
ডিএনএ পর্যবেক্ষণে মানব শরীরের বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করা হয়। এগুলির মধ্যে রয়েছে: রক্ত: রক্ত থেকে ডিএনএ নিষ্কাশন করা যেতে পারে। রক্ত থেকে ডিএনএ নিষ্কাশনের জন্য সাধারণত একটি স্পাইডল অ্যাপ্লিকেটর ব্যবহার করা হয়।
এই অ্যাপ্লিকেটরটি রক্তের একটি ছোট নমুনা সংগ্রহ করে যা পরে ডিএনএ নিষ্কাশনের জন্য একটি টেস্ট টিউবে স্থানান্তরিত করা হয়।
ত্বক: ত্বক থেকেও ডিএনএ নিষ্কাশন করা যেতে পারে। ত্বক থেকে ডিএনএ নিষ্কাশনের জন্য সাধারণত একটি স্ক্রাবিং বা একটি স্কিন স্ক্রাপার ব্যবহার করা হয়। এই সরঞ্জামগুলি ত্বকের উপরের স্তর থেকে কোষগুলি অপসারণ করে যা ডিএনএ ধারণ করে।
মিউকাস: মিউকাস থেকেও ডিএনএ নিষ্কাশন করা যেতে পারে। মিউকাস হল একটি স্বচ্ছ, আঠালো পদার্থ যা শরীরের বিভিন্ন অংশে পাওয়া যায়। মিউকাস থেকে ডিএনএ নিষ্কাশনের জন্য সাধারণত একটি তুলোর প্যাড ব্যবহার করা হয়। এই প্যাডটি মিউকাসের একটি ছোট নমুনা সংগ্রহ করে যা পরে ডিএনএ নিষ্কাশনের জন্য একটি টেস্ট টিউবে স্থানান্তরিত করা হয়।
আরো পড়ুন: সর্দি-কাশি হলে ঘরোয়াভাবে সমাধান
বীর্য: বীর্য থেকেও ডিএনএ নিষ্কাশন করা যেতে পারে। বীর্য থেকে ডিএনএ নিষ্কাশনের জন্য সাধারণত একটি স্পঞ্জ ব্যবহার করা হয়। এই স্পঞ্জটি শুক্রাণুগুলির সাথে মিশ্রিত ডিএনএ সংগ্রহ করে যা পরে ডিএনএ নিষ্কাশনের জন্য একটি টেস্ট টিউবে স্থানান্তরিত করা হয়।
ডিএনএ নিষ্কাশনের পরে, এটি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে। এগুলির মধ্যে রয়েছে:
ইলেকট্রোফোরেসিস: ইলেকট্রোফোরেসিস হল একটি পদ্ধতি যা ডিএনএকে তাদের আকারের উপর ভিত্তি করে আলাদা করে। এই পদ্ধতিতে, ডিএনএ একটি ইলেক্ট্রোফোরেসিস জেলে স্থাপন করা হয় এবং একটি ইলেক্ট্রিক ফিল্ড প্রয়োগ করা হয়।
ডিএনএর বিভিন্ন আকারের অণুগুলি বিভিন্ন গতিতে চলতে থাকে এবং জেলের শেষে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন সময় নেয়। এটি ডিএনএর একটি বিভাজন তৈরি করে যা তার আকার অনুসারে ডিএনএকে আলাদা করে।
রেডিয়োঅ্যাক্টিভ ট্রেসিং: রেডিয়োঅ্যাক্টিভ ট্রেসিং হল একটি পদ্ধতি যা ডিএনএতে রেডিয়োঅ্যাক্টিভ আইসোটোপ যুক্ত করে। এই আইসোটোপগুলি তখন ডিএনএর চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফ্লুরোসেন্ট ট্রেসিং: ফ্লুরোসেন্ট ট্রেসিং হল একটি পদ্ধতি যা ডিএনএতে ফ্লুরোসেন্ট রঞ্জক যুক্ত করে। এই রঞ্জকগুলি তখন ডিএনএর চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিএনএ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত অন্যান্য পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে:
ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি: ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি হল একটি পদ্ধতি যা ডিএনএর ত্রিমাত্রিক কাঠামো পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ক্রিস্টালোগ্রাফি: ক্রিস্টালোগ্রাফি হল একটি পদ্ধতি যা ডিএনএর ত্রিমাত্রিক কাঠামো নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কম্পিউটার সিমুলেশন: কম্পিউটার সিমুলেশন হল একটি পদ্ধতি যা ডিএনএর আচরণ এবং কার্যকারিতা মডেল করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিএনএ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলি ডিএনএর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইলেকট্রোফোরেসিস ডিএনএর আকার পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যখন ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি ডিএনএর ত্রিমাত্রিক কাঠামো পর্যবেক্ষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডিএনএ মিনিং
ডিএনএ মিনিং হল ডিএনএর তথ্য থেকে মূল্যবান জ্ঞান বা তথ্য বের করার প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটিতে ডিএনএর ডেটা বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা জড়িত।
ডিএনএ মিনিংয়ের বিভিন্ন প্রয়োগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
- চিকিৎসা: ডিএনএ মিনিং ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা রোগের কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে নতুন তথ্য আবিষ্কার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, ডিএনএ মিনিং ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণগুলি চিহ্নিত করতে এবং নতুন ওষুধের লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করতে পারেন।
- কৃষি: ডিএনএ মিনিং ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা উন্নত ফলনশীলতা এবং রোগ প্রতিরোধীতা সহ নতুন ফসল এবং পশুর জাত বিকাশ করতে পারেন।
- আইন প্রয়োগ: ডিএনএ মিনিং ব্যবহার করে, পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত করতে এবং অপরাধের দৃশ্য থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারে।
- পরিবেশ বিজ্ঞান: ডিএনএ মিনিং ব্যবহার করে, বিজ্ঞানীরা পরিবেশ দূষণ এবং পরিবেশগত ঝুঁকি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
ডিএনএ মিনিং একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। ডিএনএর তথ্য থেকে মূল্যবান জ্ঞান বা তথ্য বের করার ক্ষমতা আমাদের বিশ্বকে আরও ভালভাবে বুঝতে এবং আমাদের জীবনকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
ডিএনএ মিনিংয়ের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালিসিস: স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালিসিস হল ডিএনএর তথ্য থেকে নিয়ম এবং প্রবণতাগুলি চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি।
ম্যাশিন লার্নিং: ম্যাশিন লার্নিং হল কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলিকে নতুন তথ্য থেকে শিখতে এবং শেখার ক্ষমতা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলিকে মানুষের মতো চিন্তা করতে এবং কাজ করতে সক্ষম করার জন্য ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি।
ডিএনএ মিনিং একটি ক্রমবর্ধমান জটিল ক্ষেত্র। ডিএনএর তথ্য থেকে মূল্যবান জ্ঞান বা তথ্য বের করার জন্য নতুন পদ্ধতি এবং প্রযুক্তিগুলি ক্রমাগত বিকাশ করা হচ্ছে।
ডি এন এর পুরো নাম কি
ডি এন এর পুরো নাম হল ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড (Deoxyribonucleic Acid)। এটি একটি জৈব অণু যা জীবের জিনগত তথ্য ধারণ করে। ডিএনএ দুটি স্ট্র্যান্ড নিয়ে গঠিত যা একটি অপরটির চারপাশে পেঁচানো থাকে। প্রতিটি স্ট্র্যান্ডে চারটি বেস থাকে: অ্যাডেনিন (A), গুয়ানিন (G), সাইটোসিন (C), এবং থাইমিন (T)।
আরো পড়ুন: গলায় খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯টি সহজ উপায়
ডিএনএর ডাবল হেলিক্স কাঠামো জিনগত তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রজননের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মডেল অনুসারে, প্রতিটি বেস তার বিপরীত স্ট্র্যান্ডের বেসের সাথে যুক্ত থাকে। এটি নিশ্চিত করে যে ডিএনএর প্রতিটি স্ট্র্যান্ডে একই জিনগত তথ্য থাকে।
ডিএনএর গুরুত্ব অপরিসীম। এটি জীবের বৈশিষ্ট্য, বিবর্তন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রজনন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। ডিএনএ গবেষণা জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে।