কোন পাশে কাত হয়ে ঘুমাবেন? পাশ পরিবর্তন করবেন কীভাবে?

ডান কাত হয়ে ঘুমানোর হাদিস ঘুম বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। কিন্তু আমরা কীভাবে শুয়ে ঘুমাচ্ছি সেদিকে খেয়াল রাখা বিশেষভাবে দরকার। কেননা আমাদের শরীরের ডান ও বাম পাশ ভিন্নভাবে আচরণ করে। সেজন্য শোবার অভ্যাসে ত্রুটি থাকলে ঘটতে পারে বিপত্তি।গবেষণা বলছে বাঁপাশ ফিরে শোয়ার অনেকগুলো ভালো দিক আছে। অন্যদিকে ডান পাশ ফিরে শুলে শরীরে মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব পরে। কোন কাত হয়ে ঘুমানো উচিত ইসলাম

ডান কাত হয়ে ঘুমানোর হাদিস

বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা যায় বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭৪ শতাংশ কোন না কোন দিকে কাত হয়ে ঘুমায়। কিন্তু আপনার শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী আপনি কোন পাশে কাত হয়ে ঘুমাবেন সেটাই আজ আমাদের আলোচনার বিষয়। আপনার ঘুমের অবস্থান আপনার সামগ্রিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে। আপনার বয়স এবং শরীরের ধরণ অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট ঘুমানোর অবস্থান সুস্থতার জন্য জরুরি।

কোন পাশে কাত হয়ে ঘুমাবেন? পাশ পরিবর্তন করবেন কীভাবে?

কোন পাশে কাত হয়ে ঘুমাবেন তা আপনার ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। তবে, কিছু সাধারণ দিকনির্দেশনা রয়েছে যা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে।
  • ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানো
  • পেট এবং পিঠের ব্যথা কমাতে পারে।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
  • গ্যাস এবং অম্বলের ঝুঁকি কমাতে পারে।
  • বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো
  • হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে।
  • হজমশক্তি উন্নত করতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় মা এবং শিশুর জন্য উপকারী হতে পারে।
  • পাশ পরিবর্তন করা
আপনি যদি একই দিকে ঘুমাতে অভ্যস্ত হন, তাহলে প্রতি ৬০-৯০ মিনিটে পাশ পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার পিঠ, ঘাড় এবং কাঁধের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

পাশ পরিবর্তন করার জন্য, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:

  • আপনার শরীরকে ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে দিন।
  • আপনার মাথা এবং ঘাড়কে সমর্থন করার জন্য আপনার বালিশ ব্যবহার করুন।
  • আপনার পায়ের অবস্থান পরিবর্তন করুন।
  • আপনি যদি রাতে ঘুমের মধ্যে পাশ পরিবর্তন করতে ভুলে যান তবে ভয় পাবেন না। সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশ পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন।

এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা আপনাকে আরামদায়কভাবে ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে:

  • স্বাস্থ্যকর বালিশ ব্যবহার করুন। আপনার মাথা এবং ঘাড়কে সমর্থন করার জন্য একটি বালিশ নির্বাচন করুন।
  • আপনার ঘরকে অন্ধকার, শান্ত এবং শীতল রাখুন।
  • ঘুমের আগে ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন, তবে ঘুমের ঠিক আগে নয়।
  • আপনি যদি ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

কোন কাত হয়ে ঘুমানো উচিত ইসলাম

ইসলামে, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানোকে সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়। হাদিসে বলা হয়েছে,হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে, তখন ডান দিকে কাত হয়ে শোও। আর যদি তুমি ঘুমিয়ে যাও, তাহলে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমাও।’ (

আরো পড়ুন: রক্তে উচ্চ শর্করা উপস্থিতির ১০ টি লক্ষণ

তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং: ২৩৯)এই হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানোকে সুন্নত বলে ঘোষণা করেছেন।বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এতে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা উন্নত হয়, হজমশক্তি বাড়ে এবং গর্ভাবস্থায় মা এবং শিশুর জন্য উপকারী হয়।

এছাড়াও, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে শরীরের মেটাবলিজম ভালো হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা বাড়ে।তবে, ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানোও নিষিদ্ধ নয়। যদি কেউ ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, তাহলে সে ডান দিকে কাত হয়েও ঘুমাতে পারে।

ডান কাত হয়ে ঘুমানোর হাদিস

ইসলামে, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানোকে সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়। তবে, ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানোও নিষিদ্ধ নয়। যদি কেউ ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, তাহলে সে ডান দিকে কাত হয়েও ঘুমাতে পারে।

ডান কাত হয়ে ঘুমানোর হাদিসগুলি নিম্নরূপ: হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে, তখন ডান দিকে কাত হয়ে শোও। আর যদি তুমি ঘুমিয়ে যাও, তাহলে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমাও।’ (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং: ২৩৯)

এই হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানোকে সুন্নত বলে ঘোষণা করেছেন। তবে, তিনি বলেছেন যে, ঘুমিয়ে গেলে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো উচিত। হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে, তখন ডান দিকে কাত হয়ে শোও। আর যদি তুমি ঘুমিয়ে যাও, তাহলে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমাও। কেননা, তোমার ডান দিকে শয়তান থাকে এবং বাম দিকে ফেরেশতা থাকে।’ (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং: ২৪০)

এই হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানোকে সুন্নত বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, ডান দিকে শয়তান থাকে এবং বাম দিকে ফেরেশতা থাকে। তাই, ঘুমিয়ে গেলে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো উচিত। উপরের হাদিসগুলি থেকে বোঝা যায় যে, ইসলামে ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানো সুন্নত। তবে, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো সর্বোত্তম।

ইসলামে ঘুমানোর সঠিক দিক

ইসলামে ঘুমানোর সঠিক দিক হল বাম দিকে কাত হয়ে। হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে, তখন ডান দিকে কাত হয়ে শোও। আর যদি তুমি ঘুমিয়ে যাও, তাহলে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমাও।’ (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং: ২৩৯)

এই হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানোকে সুন্নত বলে ঘোষণা করেছেন। বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এতে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা উন্নত হয়, হজমশক্তি বাড়ে এবং গর্ভাবস্থায় মা এবং শিশুর জন্য উপকারী হয়। এছাড়াও, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে শরীরের মেটাবলিজম ভালো হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা বাড়ে।

আরো পড়ুন: মাথা ব্যাথা – কেন হয়? বিভিন্ন ধরণ ও করণীয় কি কি

ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানোও নিষিদ্ধ নয়। তবে, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো সর্বোত্তম। ঘুমানোর সময় সঠিক দিক নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ঘুমের সময় আমাদের শরীর অনেকটা অসহায় অবস্থায় থাকে। তাই, শয়তান আমাদের ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজে পেতে পারে। বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে শয়তান আমাদের কাছ থেকে দূরে থাকে।

এছাড়াও, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে আমাদের হৃদপিণ্ডের উপর চাপ কম পড়ে। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। তাই, আমাদের উচিত ঘুমানোর সময় বাম দিকে

কোন দিকে ঘুমানো ভালো ইসলাম

পর্যাপ্ত ও আরামদায়ক ঘুম আমাদের সক্রিয় ও সতেজ করে তোলে। আর মুুমিনের শয়ন ও স্বপন সবই ইবাদত বলে গণ্য হবে—যখন তা হবে প্রিয় নবী (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী। নিম্নে ঘুমানোর সুন্নতগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো—

পবিত্রতার সঙ্গে ঘুম : প্রিয় নবী (সা.) যখনই ঘুমাতেন অজুর সঙ্গে ঘুমাতেন। মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে মুসলিম ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ও মহান আল্লাহকে স্মরণ করে রাত কাটায় (ঘুমায়) এবং রাতে জেগে আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভের দোয়া করে,

আল্লাহ তাকে তা দান করেন।এ ক্ষেত্রে যদি গোসল ফরজ হয়ে থাকে, তাহলেও কমপক্ষে অজু করে ঘুমানো।ক্ষমা করে ঘুুমানো : ঘুমের আগে সবাইকে ক্ষমা করে ঘুমানো। হাদিসে এমন ব্যক্তিদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ এসেছে। এক সাহাবির ব্যাপারে রাসুল (সা.) তিন দিন জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন।

ডান দিক হয়ে ঘুমানো : বারা ইবনে আজিব (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে তখন নামাজের অজুর মতো অজু করে নেবে। তারপর ডান পাশে শুয়ে পড়বে...।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৪৭)

কোন কাত হয়ে ঘুমানো সুন্নত

ইসলামে, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানোকে সুন্নত বলে মনে করা হয়। হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে, তখন ডান দিকে কাত হয়ে শোও। আর যদি তুমি ঘুমিয়ে যাও, তাহলে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমাও।’ (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং: ২৩৯)

এই হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানোকে সুন্নত বলে ঘোষণা করেছেন।
বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এতে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা উন্নত হয়, হজমশক্তি বাড়ে এবং গর্ভাবস্থায় মা এবং শিশুর জন্য উপকারী হয়।

এছাড়াও, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে শরীরের মেটাবলিজম ভালো হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা বাড়ে। ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানোও নিষিদ্ধ নয়। তবে, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো সর্বোত্তম। সুতরাং, ইসলামে ঘুমানোর জন্য সর্বোত্তম দিক হল বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো।

কিভাবে ঘুমানো ভালো

নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন, এমনকি ছুটির দিনেও। এতে আপনার শরীরের একটি নিয়মিত ঘুমের চক্র গড়ে উঠবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। ক্যাফিন এবং অ্যালকোহল ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে।

আরো পড়ুন: অতিরিক্ত ওজন কমানোর সহজ উপায়

ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার খাবেন না। ভারী খাবার হজম করতে সময় লাগে, যা ঘুমাতে দেরি করতে পারে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা ব্যায়াম করুন। হালকা ব্যায়াম ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে ব্যায়াম করবেন না, কারণ এতে ঘুমাতে সমস্যা হতে পারে।

ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন। ঘরের আলো নিভিয়ে দিন, শব্দ কম রাখুন এবং ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখুন। ঘুমানোর আগে একটি গরম স্নান করুন। গরম স্নান শরীরকে শিথিল করতে সাহায্য করে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি শান্ত বই পড়ুন বা ধ্যান করুন। এতে আপনাকে শান্ত হতে এবং ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।

আপনার ঘরের বিছানা শুধুমাত্র ঘুমানোর জন্য ব্যবহার করুন। বিছানায় বসে কাজ করা বা খেলাধুলা করা এড়িয়ে চলুন। এতে ঘুমের জন্য বিছানাকে একটি অস্বস্তিকর জায়গা হিসেবে মনে হবে।

ঘুমানোর অবস্থান:

বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমান। বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা উন্নত হয়, হজমশক্তি বাড়ে এবং গর্ভাবস্থায় মা এবং শিশুর জন্য উপকারী হয়।
চিৎ হয়ে ঘুমান। চিত হয়ে ঘুমালে শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা হতে পারে। তবে, যাদের ব্যাকপেইন বা শিরদাঁড়ার সমস্যা আছে, তাদের চিত হয়ে ঘুমানো ভালো।
ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমান। ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানোও ভালো, তবে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো সর্বোত্তম।

ঘুমানোর সময়:

বয়স অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতি রাতে 7-8 ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়।
বাচ্চাদের আরও বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয়।
বৃদ্ধদের কম ঘুমের প্রয়োজন হয়।
ঘুমের সমস্যা হলে:
ঘুমের সমস্যা হলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনার ঘুম ভালো হবে এবং আপনি সুস্থ থাকবেন।

ডান কাত হয়ে ঘুমানোর হাদিস

হযরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে, তখন ডান দিকে কাত হয়ে শোও। আর যদি তুমি ঘুমিয়ে যাও, তাহলে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমাও।’ (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং: ২৩৯)

আরো পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের কারন ও প্রতিকার

হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে, তখন ডান দিকে কাত হয়ে শোও। আর যদি তুমি ঘুমিয়ে যাও, তাহলে বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমাও। কেননা, তোমার ডান দিকে শয়তান থাকে এবং বাম দিকে ফেরেশতা থাকে।’ (তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং: ২৪০)

উপরের হাদিসগুলি থেকে বোঝা যায় যে, ইসলামে ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানো সুন্নত। তবে, বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো সর্বোত্তম।

ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানো সুন্নত হওয়ার কারণ:

  • ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে শরীরের হজমক্রিয়া ভালো হয়।
  • ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।
  • ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমালে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা ভালো হয়।
  • বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমানো সর্বোত্তম হওয়ার কারণ:
  • বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে হৃদপিণ্ডের উপর চাপ কম পড়ে।
  • বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে হৃদপিণ্ডের কার্যকারিতা ভালো হয়।
  • বাম দিকে কাত হয়ে ঘুমালে গর্ভাবস্থায় মা এবং শিশুর জন্য ভালো হয়।

কোন কাত হয়ে ঘুমানো সুন্নত

শোয়ার শুরুতে ডান কাত হয়ে শোয়া সুন্নত। তবে পরবর্তীতে ‍সুবিধা মতো বাঁ দিকে কাত হওয়া যাবে। ইসলামে সব ভালো কাজে ডানকে প্রাধান্য দিতে বলেছে। তাই ঘুমের ক্ষেত্রেও ডান দিক থেকে শুরু করা উত্তম।রাতে ঘুমের আগে বেশ কিছু আমল রয়েছে। 

সবগুলোই জীবনঘনিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ। যদ্দুর সম্ভব প্রতিটি আমল পূর্ণ করা চাই। তবে কিছু আমল রয়েছে যেগুলো সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যক। নিম্নে ঘুমের আগের রাতের গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমলের আলোচনা দেওয়া হলো।

পবিত্রতা অর্জন

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হয়ে শোয়া সুন্নত। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম যদি রাতে আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে ও অজু করে নিদ্রা যায় এবং রাতের গভীরে জেগে আল্লাহর কাছে দুনিয়া-আখিরাতের কোনো ধরনের কল্যাণ প্রার্থনা করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে সেটি দান করেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৪২)

দরজা বন্ধ করা ও পাত্র ঢাকা

ঘুমানোর আগে খাবারের ও অন্যান্য জিনিসপত্রের পাত্র ঢেকে রাখা চাই। না হয় তাতে ইঁদুর, তেলাপোকা বা অন্য কোনো পোকা ঢুকে নষ্ট করতে পারে। এতে নানা ধরনের জীবণু ছড়ানোর পাশাপাশি বড় কোনো রোগের সংক্রমণও হতে পারে।জাবের থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,

‘(রাতে ঘুমানো আগে) তোমরা পাত্র ঢেকে দাও, পানির মশকের মুখ বেঁধে দাও, দরজাগুলো বন্ধ করে দাও, প্রদীপ নিভিয়ে দাও। কেননা, শয়তান মুখ বাঁধা মশক খুলে না, বন্ধ দরজাও খুলে না এবং পাত্রের ঢাকনাও উম্মুক্ত করে না। 

আরো পড়ুন: অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

সুতরাং তোমাদের কেউ যদি পাত্রের মুখে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ঢেকে রাখার জন্য কেবল একটি কাষ্ঠখণ্ড ছাড়া অন্য কিছু না-ও পায়, তাহলে সে যেন তাই করে। কারণ ইঁদুর ঘরের লোকজনসহ ঘর পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়।’‘ব্ল্যাক ডেথ’ বৈশ্বিক ইতিহাসের বিখ্যাত ও মর্মন্তুদ ঘটনা।

খাবারের মধ্যে ইঁদুরের ছড়ানোর মাধ্যমে এই ভাইরাসের সৃষ্টি। এতে প্রায় ১০ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল বলে জানা যায়। তাই হাদিসের বর্ণনা নির্দেশনা অনুযায়ী ঘরের বাসন-পাত্র ইত্যাদি ঢেকে রাখা অপরিহার্য।

বাতি নিভিয়ে দেওয়া

ঘুমানোর আগে ঘুমের ঘরের সব ধরনের বাতি নিভিয়ে দেওয়া চাই। অনুরূপভাবে কয়েল ইত্যাদিও নিভিয়ে দেওয়া ভালো। কারণ এগুলোর কারণে অনেক সময় ছোট-বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘুমের উপযুক্ত পরিবেশের জন্যও ঘরে অন্ধকার আবহ তৈরি করে নেওয়া জরুরি।

ঘুমের সময় শরীর থেকে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে, যা প্রশান্তির ঘুমের সহায়ক। চিকিৎসাবিদদের বক্তব্য অনুযায়ী এমনটা জানা গেছে। তারা আরো বলেছেন, মেলাটোনিন মাথায় পিনেয়াল গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত হওয়া এক বিশেষ ধরনের হরমোন— এটি মানুষের বুদ্ধি বাড়ায়।

মাথার কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। তাছাড়া এই হরমোনটি ক্যান্সার ও আলঝেইমারস কমাতেসাহায্য করে। তাই ঘুমের সময়ে ঘর অন্ধকার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন