শুঁটকি মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নিন

শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে রুচিবর্ধক খাবারগুলোর মধ্যে শুঁটকি মাছ অন্যতম। এই মাছ গুলোকে কাঁচা অবস্থায় লবণ মাখিয়ে কড়া রোদে শুকানো হয় (বড় ও অধিকাংশ মাছের বর্জ্য অংশগুলো ফেলে দেওয়া হয়)। তাই মাছের দেহের পানি বা তরল অংশ শুকিয়ে যায়। ফলে এই মাছে কোনো জীবাণু জন্মাতে পারে না। তবে শুঁটকি মাছ কৌটায় বন্দী বা স্যাঁতসেঁতে স্থানে রাখলে ফাঙাস পড়ে যায়। প্রচুর পরিমাণে রৌদ্রে শুকানো হয় এই মাছ। লইট্টা শুটকির উপকারিতা

শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে

মাছকে রোদে শুকিয়ে শুঁটকি বানিয়ে একে সংরক্ষণ করা হয়। এর রয়েছে আলাদা একটি নিজস্ব গন্ধ ও স্বাদ। এর গন্ধের কারণে অনেকে যেমন এটি খেতে চান না, তেমনি এর গন্ধের জন্যই আবার অনেকের কাছে এটি জনপ্রিয়।

 শুঁটকি মাছের পুষ্টিগুণ  সম্পর্কে জেনে নিন

শুঁটকি মাছ হলো কাঁচা মাছকে লবণ মাখিয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে তৈরি করা একটি খাবার। এটি একটি জনপ্রিয় খাবার এবং এটি বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। শুঁটকি মাছের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

শুঁটকি মাছের পুষ্টিগুণ

প্রোটিন: শুঁটকি মাছে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। এতে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। শুঁটকি মাছের প্রোটিনে যে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, তা প্রায় ডিমের অ্যামিনো অ্যাসিডের সঙ্গে তুলনীয়। প্রোটিন শরীরের গঠন, ক্ষয়পূরণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান।

ভিটামিন: শুঁটকি মাছে ভিটামিন A, C, D, E এবং B কমপ্লেক্সের মতো বিভিন্ন ভিটামিন থাকে। ভিটামিন A দৃষ্টিশক্তি, ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন D হাড়ের গঠন এবং মজবুতকরণে সাহায্য করে। ভিটামিন E কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে

আরো পড়ুন: পনিরের বহুবিধ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন B কমপ্লেক্স শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা এবং হজমশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মিনারেল: শুঁটকি মাছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো বিভিন্ন খনিজ থাকে। ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের গঠন এবং মজবুতকরণে সাহায্য করে। আয়রন রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

ফসফরাস শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাগনেসিয়াম পেশী এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: শুঁটকি মাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

শুঁটকি মাছের উপকারিতা

শুঁটকি মাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীরের জন্য নিম্নলিখিত উপকার করে:
  • শরীরের গঠন এবং ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • হাঁড় এবং দাঁতের গঠন ও মজবুতকরণে সাহায্য করে।
  • রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
  • শুঁটকি মাছ খাওয়ার সাবধানতা
  • শুঁটকি মাছ খাওয়ার সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে, তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শুঁটকি মাছ কম খাওয়া উচিত। এছাড়াও, শুঁটকি মাছে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বেশি থাকে, তাই কোলেস্টেরল সমস্যা থাকলে শুঁটকি মাছ কম খাওয়া উচিত।
  • শুঁটকি মাছ একটি পুষ্টিকর খাবার। তবে, এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

শুটকি মাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

শুটকি মাছের উপকারিতা

শুটকি মাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি শরীরের জন্য নিম্নলিখিত উপকার করে:
শরীরের গঠন এবং ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
হাঁড় এবং দাঁতের গঠন ও মজবুতকরণে সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

শুটকি মাছের পুষ্টিগুণ

শুটকি মাছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। প্রোটিন: শুঁটকি মাছে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। এতে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ প্রোটিন থাকে। শুঁটকি মাছের প্রোটিনে যে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, তা প্রায় ডিমের অ্যামিনো অ্যাসিডের সঙ্গে তুলনীয়। প্রোটিন শরীরের গঠন, ক্ষয়পূরণসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। 

ভিটামিন: শুঁটকি মাছে ভিটামিন A, C, D, E এবং B কমপ্লেক্সের মতো বিভিন্ন ভিটামিন থাকে। ভিটামিন A দৃষ্টিশক্তি, ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন C রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিন D হাড়ের গঠন এবং মজবুতকরণে সাহায্য করে। ভিটামিন E কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুন: টক দই এর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন B কমপ্লেক্স শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা এবং হজমশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মিনারেল: শুঁটকি মাছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো বিভিন্ন খনিজ থাকে। ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের গঠন এবং মজবুতকরণে সাহায্য করে। আয়রন রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। 

ফসফরাস শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাগনেসিয়াম পেশী এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: শুঁটকি মাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

শুটকি মাছের অপকারিতা

শুঁটকি মাছ খাওয়ার সময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকে, তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শুঁটকি মাছ কম খাওয়া উচিত। এছাড়াও, শুঁটকি মাছে কোলেস্টেরলের পরিমাণও বেশি থাকে, তাই কোলেস্টেরল সমস্যা থাকলে শুঁটকি মাছ কম খাওয়া উচিত।

শুটকি মাছ খাওয়ার নিয়ম

শুটকি মাছ খাওয়ার সময় নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে:
শুঁটকি মাছ পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শুঁটকি মাছ কম খাওয়া উচিত।
কোলেস্টেরল সমস্যা থাকলে শুঁটকি মাছ কম খাওয়া উচিত।
শুঁটকি মাছ ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে খাওয়া উচিত।
শুঁটকি মাছের লবণ পরিমাণমতো কমানো উচিত।
শুটকি মাছ একটি পুষ্টিকর খাবার। তবে, এটি পরিমিত পরিমাণে খা

লইট্টা শুটকির উপকারিতা

লইট্টা মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ। এই মাছটি সাধারণত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। লইট্টা মাছ দু'ভাবে খাওয়া যায়। একটি হল তাজা মাছ, অন্যটা রোদের শুকিয়ে শুঁটকি মাছ হিসাবে। লইট্টা মাছ দামে স্বস্তা হলেও পুষ্টিতে ভরপুর।

লইট্টা শুটকির উপকারিতাগুলি নিম্নরূপ:

হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়তা করে: লইট্টা শুটকিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাদের জন্য লইট্টা শুটকি খুবই উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে: লইট্টা শুটকিতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। 

আরো পড়ুন: অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও এটি খাওয়ার নিয়ম

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে: লইট্টা শুটকিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে: লইট্টা শুটকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। ভিটামিন এ ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্যান্য উপকারিতা: লইট্টা শুটকিতে থাকা অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

যেমন, উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে, অ্যানিমিয়া দূর করতে, ইত্যাদি। লইট্টা শুটকি সাধারণত ভাজি, ঝোল, চচ্চড়ি, বাটা ভাজা, ইত্যাদি রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, লইট্টা শুটকি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আচারও তৈরি করা হয়।

চ্যাপা শুটকির উপকারিতা

চ্যাপা শুটকি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি পুঁটি মাছের শুটকি থেকে তৈরি করা হয়। চ্যাপা শুটকির উপকারিতাগুলি নিম্নরূপ: প্রোটিনের উৎস: চ্যাপা শুটকি প্রোটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম চ্যাপা শুটকিতে প্রায় ২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। এটি শরীরের গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

আয়রনের উৎস: চ্যাপা শুটকি আয়রনের একটি ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম চ্যাপা শুটকিতে প্রায় ১০ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই যারা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাদের জন্য চ্যাপা শুটকি খুবই উপকারী। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস: চ্যাপা শুটকি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। 

প্রতি ১০০ গ্রাম চ্যাপা শুটকিতে প্রায় ১ গ্রাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের উৎস: চ্যাপা শুটকিতে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, ইত্যাদি পুষ্টি উপাদানও রয়েছে। 

এই পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চ্যাপা শুটকি সাধারণত ভাজি, ঝোল, চচ্চড়ি, বাটা ভাজা, ইত্যাদি রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, চ্যাপা শুটকি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আচারও তৈরি করা হয়। 

চ্যাপা শুটকি খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। চ্যাপা শুটকি ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে রান্না করা উচিত। চ্যাপা শুটকি রান্নার সময় বেশি লবণ ব্যবহার করা উচিত নয়। চ্যাপা শুটকি বেশি পরিমাণে খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।

চিংড়ি শুটকির উপকারিতা

চিংড়ি শুটকি একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান রয়েছে। চিংড়ি শুটকির উপকারিতা নিম্নরূপ: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: চিংড়ি শুটকিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

এছাড়াও, এতে থাকা ভিটামিন বি১২ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রক্তস্বল্পতা দূর করে: চিংড়ি শুটকিতে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এতে থাকা ভিটামিন বি১২ রক্তের লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে, যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে: চিংড়ি শুটকিতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুন: মোটা হওয়ার সহজ উপায় কী? চলুন জেনে নেই

এছাড়াও, এতে থাকা ভিটামিন ডি হাড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: চিংড়ি শুটকিতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, এতে থাকা ভিটামিন বি১২ হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে: চিংড়ি শুটকিতে থাকা ভিটামিন বি১২ স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

এছাড়াও, এতে থাকা পটাশিয়াম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। শক্তি জোগায়: চিংড়ি শুটকিতে থাকা প্রোটিন শরীরকে শক্তি জোগায়। এছাড়াও, এতে থাকা ভিটামিন বি১২ শরীরের শক্তির উৎস গ্লাইকোজেন তৈরিতে সাহায্য করে। চিংড়ি শুটকি নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে এই উপকারিতাগুলো পেতে পারেন। তবে, চিংড়ি শুটকিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।

শুটকি মাছে কি এলার্জি আছে

হ্যাঁ, শুটকি মাছে এলার্জি হতে পারে। যেকোনো খাবারে এলার্জি হতে পারে, শুটকি মাছও তার ব্যতিক্রম নয়। শুটকি মাছের আমিষ, চর্বি, বা অন্যান্য উপাদান থেকে এলার্জি হতে পারে। শুটকি মাছে এলার্জি হলে সাধারণত নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে:
চোখ, নাক, মুখ, গলা, বা ত্বকে চুলকানি বা ফুসকুড়ি
শ্বাসকষ্ট
মুখে বা গলায় ব্যথা বা অস্বস্তি
বমি বমি ভাব বা বমি
পেট ব্যথা বা ডায়রিয়া
শুটকি মাছে এলার্জি হলে, সেই মাছ খাওয়া বন্ধ করা উচিত। এছাড়াও, অ্যালার্জির চিকিৎসার জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শুটকি মাছে এলার্জি আছে কি না তা নির্ধারণ করার জন্য অ্যালার্জি পরীক্ষা করা যেতে পারে। এই পরীক্ষায় আপনার রক্ত বা চামড়া থেকে নমুনা নেওয়া হয় এবং এতে কোন খাবারের প্রতি আপনার অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া আছে তা পরীক্ষা করা হয়।
শুটকি মাছে এলার্জি থেকে বাঁচতে, নিম্নলিখিত নিয়মগুলি মেনে চলতে পারেন:
আপনি যদি শুটকি মাছের প্রতি এলার্জির ইতিহাস থাকে, তাহলে সেই মাছ এড়িয়ে চলুন।
আপনি যদি শুটকি মাছ খাওয়ার আগে নিশ্চিত না হন যে আপনার এতে এলার্জি আছে কি না, তাহলে একটি ছোট পরিমাণে খেয়ে দেখুন।
আপনি যদি শুটকি মাছ খাওয়ার পরে কোনও লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যালার্জির চিকিৎসার জন্য একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

শুটকি মাছের দাম

শুটকি মাছের দাম বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। যেমন, মাছের প্রকার, মাছের সাইজ, শুটকি মাছের গুণমান, এবং বাজারের পরিস্থিতি।
সাধারণত, সামুদ্রিক মাছের শুটকির দাম নদীর মাছের শুটকির চেয়ে বেশি হয়। কারণ, সামুদ্রিক মাছ নদীর মাছের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু।
শুটকি মাছের দাম সাধারণত প্রতি কেজিতে নির্ধারণ করা হয়। তবে, ছোট ছোট টুকরো শুটকির ক্ষেত্রে প্রতি কেজির পরিবর্তে প্রতি প্যাকেট বা প্রতি কেজির কত গ্রাম পরিমাণের দাম নির্ধারণ করা হয়।
শুটকি মাছের দাম নিম্নরূপ:
ইলিশ শুটকি: প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা
লইট্টা শুটকি: প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা
ছুরি শুটকি: প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা
চিংড়ি শুটকি: প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা
মুরগি মাছের শুটকি: প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা
চ্যাপা শুটকি: প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা
বর্তমানে, শুটকি মাছের দাম বাড়তির দিকে। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামুদ্রিক মাছের আহরণ কমে যাওয়ায় শুটকি মাছের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়াও, বাজারে শুটকি মাছের আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে।
শুটকি মাছ কেনার সময় ভালো মানের শুটকি কেনার চেষ্টা করা উচিত। ভালো মানের শুটকির রঙ উজ্জ্বল হয় এবং তাতে কোনো দুর্গন্ধ থাকে না।

শুটকি মাছের রেসিপি

শুটকি মাছ দিয়ে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু রেসিপি হল: শুটকি মাছের ভর্তা: শুটকি মাছ, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, এবং লবণ দিয়ে তৈরি করা হয় শুটকি মাছের ভর্তা। এটি ভাত, রুটি, বা পরোটার সাথে পরিবেশন করা হয়। শুটকি মাছের ঝোল: শুটকি মাছ, আলু, টমেটো, মরিচ, এবং লবণ দিয়ে তৈরি করা হয় শুটকি মাছের ঝোল। 

আরো পড়ুন: কোন পাশে কাত হয়ে ঘুমাবেন? পাশ পরিবর্তন করবেন কীভাবে?

এটি ভাত বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। শুটকি মাছের চচ্চড়ি: শুটকি মাছ, আলু, টমেটো, মরিচ, এবং লবণ দিয়ে তৈরি করা হয় শুটকি মাছের চচ্চড়ি। এটি ভাত বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। শুটকি মাছের কাবাব: শুটকি মাছ, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, এবং লবণ দিয়ে তৈরি করা হয় শুটকি মাছের কাবাব। এটি তেল বা ঘি দিয়ে ভেজে পরিবেশন করা হয়। 

শুটকি মাছের মালাইকারি: শুটকি মাছ, আলু, টমেটো, মরিচ, দুধ, এবং লবণ দিয়ে তৈরি করা হয় শুটকি মাছের মালাইকারি। এটি ভাত বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও, শুটকি মাছ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আচারও তৈরি করা হয়। শুটকি মাছের আচার ভর্তা, ঝোল, চচ্চড়ি, কাবাব, বা মালাইকারির সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে।

এখানে একটি সহজ শুটকি মাছের ভর্তার রেসিপি দেওয়া হল:

উপকরণ:

  • শুটকি মাছ ১০০ গ্রাম
  • পেঁয়াজ ১ টি (কুচি করে কাটা)
  • রসুন ১ কোয়া (কুচি করে কাটা)
  • কাঁচামরিচ ২-৩ টি (কুচি করে কাটা)
  • ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ
  • লবণ স্বাদমতো

প্রণালী:

  • শুটকি মাছ ভালো করে ধুয়ে নিন।
  • শুটকি মাছ, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচামরিচ, এবং ধনেপাতা একসাথে ভালো করে বেটে নিন।
  • লবণ স্বাদমতো দিয়ে আবার ভালো করে মেখে নিন।
  • গরম ভাত বা রুটি দিয়ে পরিবেশন করুন।
এই রেসিপিটিতে আপনি আপনার পছন্দমতো অন্যান্য মশলাও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, জিরা গুঁড়া, ধনে গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, এবং গরম মশলা।

শুটকি মাছের ক্ষতিকর দিক

লবণের পরিমাণ বেশি: শুটকি মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সংরক্ষণের সময় প্রচুর পরিমাণে লবণ ব্যবহার করা হয়। লবণ উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, বা কিডনি রোগীদের শুটকি মাছ সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। কীটনাশক ব্যবহার: শুটকি মাছ সংরক্ষণে কিছু ক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। 

এই কীটনাশক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই শুটকি মাছ কেনার সময় ভালো মানের শুটকি কেনা উচিত এবং রান্নার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত। খাদ্য বিষক্রিয়ার ঝুঁকি: শুটকি মাছ তৈরির সময় যদি সঠিকভাবে পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে খাদ্য বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে। খাদ্য বিষক্রিয়ার লক্ষণগুলো হলো বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, এবং পেটে ব্যথা। 

শুটকি মাছ খাওয়ার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে এর ক্ষতিকর দিকগুলো এড়ানো সম্ভব। যেমন: শুটকি মাছের লবণের পরিমাণ কমাতে রান্নার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত। শুটকি মাছ কেনার সময় ভালো মানের শুটকি কেনা উচিত। শুটকি মাছ সংরক্ষণের সময় কীটনাশক ব্যবহার করা হয় কিনা তা জানা উচিত। 

শুটকি মাছ খাওয়ার পর যদি কোনো অসুস্থতা দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শুটকি মাছ একটি পুষ্টিকর খাবার, তবে এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন