কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ ডনি দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কিডনি রোগ খুব নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। খুব জটিল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত লক্ষণগুলো ভালোভাবে প্রকাশও পায় না।
তাই কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো আগে থেকেই জেনে রাখা জরুরি। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে কিডনি রোগের লক্ষণগুলোর কথা কিডনি হল ছোট শিমের আকৃতির অঙ্গ যা পেটের পিছনে এবং পাঁজরের নীচে অবস্থিত। দুটি কিডনি রয়েছে এবং প্রতিটি মেরুদণ্ডের উভয় পাশে অবস্থিত। কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে
বাংলাদেশে ঘণ্টায় পাঁচজনের বেশি মানুষ মারা যান কিডনি বিকল হয়ে আর দুই কোটিরও বেশি মানুষ কোন না কোনভাবে আক্রান্ত হয়ে আছেন কিডনি রোগে- এমন তথ্যই জানাচ্ছে পরিসংখ্যান। আমাদের অনেকেরই জানা নেই, কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য।
তবে সাধারণত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট হওয়ার আগে কিডনি বিকল হওয়ার উপসর্গ বোঝা যায় না বলে প্রতিরোধ করা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত দেরিতে প্রকাশ পায়, যখন কিডনির বেশিরভাগ ক্ষতি হয়ে যায়। প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে: ঘন ঘন প্রস্রাব: কিডনি যখন তার কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে, তখন এটি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থগুলিকে যথাযথভাবে ফিল্টার করতে পারে না। এর ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে, বিশেষ করে রাতে।
আরো পড়ুন: হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণ জেনে নিন
- মাথাব্যথা: কিডনি রোগের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
- ক্লান্তি: কিডনি রোগের কারণে ক্লান্তি হতে পারে।
কিডনি রোগের প্রতিকারের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হল এর কারণগুলি এড়ানো। কিডনি রোগের প্রধান কারণগুলি হল:
- উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।
- কিডনিতে পাথর: কিডনিতে পাথর হলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- কিডনিতে ইনফেকশন: কিডনিতে ইনফেকশন হলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
- ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা: ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- পর্যাপ্ত পানি পান করা: পর্যাপ্ত পানি পান করা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- যদি আপনার কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কিডনি রোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগের অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।
- কিডনি রোগের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
- ওষুধপত্র: কিডনি রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ডায়ালাইসিস: কিডনি পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয়। ডায়ালাইসিস একটি মেশিন যা রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থগুলিকে ফিল্টার করে।
কিডনি প্রতিস্থাপন: কিডনি পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেলে কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হতে পারে। কিডনি প্রতিস্থাপন হল একটি শল্যচিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে একজন মৃত ব্যক্তির কিডনি একজন রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
সুস্থ কিডনির লক্ষণ
- সাধারণ প্রস্রাব: সুস্থ কিডনি প্রতিদিন প্রায় 2-2.5 লিটার প্রস্রাব তৈরি করে। প্রস্রাবের রঙ হালকা হলুদ বা স্বচ্ছ হওয়া উচিত।
- কোনো ব্যথা বা অস্বস্তি নেই: সুস্থ কিডনি কোন ব্যথা বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে না।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে: সুস্থ কিডনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- শরীরে ফোলাভাব নেই: সুস্থ কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের করে দেয়, ফলে শরীরে ফোলাভাব হয় না।
- শরীরে শক্তি থাকে: সুস্থ কিডনি শরীরকে শক্তি প্রদানে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: কাশি হলে করনীয় কি? জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান
- কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সাধারণত দেরিতে প্রকাশ পায়, যখন কিডনির বেশিরভাগ ক্ষতি হয়ে যায়। তাই সুস্থ কিডনি রাখার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে 8-10 গ্লাস পানি পান করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রচুর শাকসবজি, ফল এবং পূর্ণ শস্য খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
- ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করা সম্ভব। তাই বছরে অন্তত একবার কিডনির পরীক্ষা করা উচিত।
কিডনি রোগের কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি রোগ হল কিডনির ক্ষতির একটি অবস্থা। কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয় এবং রক্তকে পরিশুদ্ধ করে। কিডনি রোগের কারণে কিডনি তার কার্যক্ষমতা হারাতে পারে এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।
কিডনি রোগের কারণগুলি হল
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।
কিডনিতে পাথর: কিডনিতে পাথর হলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কিডনিতে ইনফেকশন: কিডনিতে ইনফেকশন হলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কিডনি রোগের লক্ষণগুলি হল:
ঘন ঘন প্রস্রাব: কিডনি যখন তার কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে, তখন এটি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থগুলিকে যথাযথভাবে ফিল্টার করতে পারে না। এর ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে, বিশেষ করে রাতে।
প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন: কিডনি রোগের কারণে প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন দেখা দিতে পারে।
শরীরে ফোলাভাব: কিডনি যখন তার কার্যক্ষমতা হারাতে শুরু করে, তখন এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের করতে পারে না। এর ফলে শরীরে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে পায়ে।
মাথাব্যথা: কিডনি রোগের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
ক্লান্তি: কিডনি রোগের কারণে ক্লান্তি হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: কিডনি রোগের কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
কিডনি রোগের প্রতিকারের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হল এর কারণগুলি এড়ানো। কিডনি রোগের
প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা: ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
পর্যাপ্ত পানি পান করা: প্রতিদিন কমপক্ষে 8-10 গ্লাস পানি পান করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রচুর শাকসবজি, ফল এবং পূর্ণ শস্য খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
যদি আপনার কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কিডনি রোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগের অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।
কিডনি রোগের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
ওষুধপত্র: কিডনি রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
ডায়ালাইসিস: কিডনি পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয়। ডায়ালাইসিস একটি মেশিন যা রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থগুলিকে ফিল্টার করে।
কিডনি প্রতিস্থাপন: কিডনি পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেলে কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন হতে পারে। কিডনি প্রতিস্থাপন হল একটি শল্যচিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে একজন মৃত ব্যক্তির কিডনি একজন রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
কিডনি ব্যাথার লক্ষণ
পিঠের পেছনে ব্যথা: কিডনি ব্যাথা সাধারণত পিঠের পেছনে অনুভূত হয়, সাধারণত নিম্ন পিঠের বাম বা ডান দিকে। ব্যথাটি তীব্র বা ঝিঁঝিঁ ধরা হতে পারে এবং এটি ক্ষণস্থায়ী বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
প্রস্রাবের সমস্যা: কিডনি ব্যাথার কারণে প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে, যেমন:
ঘন ঘন প্রস্রাব
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া
প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন
প্রস্রাবের সাথে ব্যথা
অন্যান্য লক্ষণ: কিডনি ব্যাথার অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
মাথাব্যথা
ক্লান্তি
ক্ষুধামন্দা
বমি বমি ভাব
শরীর ফুলে যাওয়া
কিডনি ব্যাথার কারণগুলি হল:
কিডনিতে পাথর: কিডনিতে পাথর হলে কিডনি ব্যাথা হতে পারে।
কিডনিতে সংক্রমণ: কিডনিতে সংক্রমণ হলে কিডনি ব্যাথা হতে পারে।
কিডনিতে ক্যান্সার: কিডনিতে ক্যান্সার হলে কিডনি ব্যাথা হতে পারে।
কিডনিতে অন্যান্য সমস্যা: কিডনিতে অন্যান্য সমস্যা, যেমন কিডনি ফেইলিউর, অ্যালকোহলজনিত কিডনি রোগ, বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদির কারণেও কিডনি ব্যাথা হতে পারে।
আরো পড়ুন: চোখ থেকে পানি পড়া
কিডনি ব্যাথার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং তীব্রতার উপর। যদি কিডনি ব্যাথার কারণ কিডনিতে পাথর হয়, তাহলে ব্যথানাশক ওষুধ বা সার্জারির মাধ্যমে পাথর অপসারণের প্রয়োজন হতে পারে। যদি কিডনি ব্যাথার কারণ কিডনিতে সংক্রমণ হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। যদি কিডনি ব্যাথার কারণ কিডনিতে ক্যান্সার হয়, তাহলে ক্যান্সারের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
যদি আপনার কিডনি ব্যাথার কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
ঘন ঘন প্রস্রাব: কিডনি ড্যামেজের কারণে কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থগুলিকে যথাযথভাবে ফিল্টার করতে পারে না। এর ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে, বিশেষ করে রাতে।
প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন: কিডনি ড্যামেজের কারণে প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন দেখা দিতে পারে।
শরীরে ফোলাভাব: কিডনি ড্যামেজের কারণে কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের করতে পারে না। এর ফলে শরীরে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে পায়ে।
মাথাব্যথা: কিডনি ড্যামেজের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
ক্লান্তি: কিডনি ড্যামেজের কারণে ক্লান্তি হতে পারে।
কিডনি ড্যামেজের কারণগুলি হল:
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের কিডনি ড্যামেজের ঝুঁকি বেশি থাকে।
কিডনিতে পাথর: কিডনিতে পাথর হলে কিডনি ড্যামেজের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কিডনিতে ইনফেকশন: কিডনিতে ইনফেকশন হলে কিডনি ড্যামেজের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ কিডনি ড্যামেজের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কিডনি ড্যামেজের প্রতিকারের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হল এর কারণগুলি এড়ানো। কিডনি ড্যামে
প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা: ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ড্যামেজের প্রধান কারণ।
পর্যাপ্ত পানি পান করা: প্রতিদিন কমপক্ষে 8-10 গ্লাস পানি পান করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রচুর শাকসবজি, ফল এবং পূর্ণ শস্য খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান কিডনি ড্যামেজের ঝুঁকি বাড়ায়।
যদি আপনার কিডনি ড্যামেজের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কিডনি ড্যামেজের প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগের অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: কম সময়ে কিভাবে সামনেরফাঁকা দাঁতের সমাধান করবেন
কিডনি ড্যামেজের চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং তীব্রতার উপর। যদি কিডনি ড্যামেজের কারণ ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ হয়, তাহলে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে কিডনি ড্যামেজের অগ্রগতি রোধ করা যেতে পারে।
যদি কিডনি ড্যামেজের কারণ কিডনিতে পাথর হয়, তাহলে পাথর অপসারণের মাধ্যমে কিডনি ড্যামেজের অগ্রগতি রোধ করা যেতে পারে। যদি কিডনি ড্যামেজের কারণ কিডনিতে সংক্রমণ হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সংক্রমণ সারিয়ে তোলার মাধ্যমে কিডনি ড্যামেজের অগ্রগতি রোধ করা যেতে পারে।
যদি কিডনি ড্যামেজের কারণ কিডনিতে ক্যান্সার হয়, তাহলে ক্যান্সারের চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি ড্যামেজের অগ্রগতি রোধ করা যেতে পারে।
কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ
কিডনি ইনফেকশন, যাকে নেফ্রাইটিসও বলা হয়, হল কিডনির সংক্রমণ। কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থগুলিকে ফিল্টার করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিডনি ইনফেকশন হলে কিডনিগুলি তাদের কাজগুলি সঠিকভাবে করতে পারে না, যা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণগুলি হল:
জ্বর: কিডনি ইনফেকশনের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল জ্বর। জ্বর সাধারণত 38 ডিগ্রি সেলসিয়াস (100.4 ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা তার বেশি হয়।
ঘন ঘন প্রস্রাব: কিডনি ইনফেকশনের কারণে কিডনিগুলি প্রায়শই প্রস্রাব তৈরি করে। এর ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে, বিশেষ করে রাতে।
প্রস্রাবে ব্যথা: কিডনি ইনফেকশনের কারণে প্রস্রাবের সময় ব্যথা হতে পারে।
প্রস্রাবে পুঁজ বা রক্ত: কিডনি ইনফেকশনের কারণে প্রস্রাবে পুঁজ বা রক্ত দেখা দিতে পারে।
পিঠের নিচের দিকে ব্যথা: কিডনি ইনফেকশনের কারণে পিঠের নিচের দিকে ব্যথা হতে পারে।
ক্লান্তি: কিডনি ইনফেকশনের কারণে ক্লান্তি হতে পারে।
ক্ষুধামন্দা: কিডনি ইনফেকশনের কারণে ক্ষুধামন্দা হতে পারে।
শরীর ফুলে যাওয়া: কিডনি ইনফেকশনের কারণে শরীর ফুলে যাওয়া হতে পারে
কিডনি ইনফেকশনের কারণগুলি হল:
ইউরেথ্রা থেকে কিডনিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ: ইউরেথ্রা হল মূত্রনালীর অংশ যা মূত্রথলিকে বাইরের বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করে। ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালীতে প্রবেশ করলে এটি কিডনিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রক্তের মাধ্যমে কিডনিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ: ব্যাকটেরিয়া রক্তের মাধ্যমে কিডনিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি সাধারণত একটি গুরুতর সংক্রমণের ফলে ঘটে, যেমন সেপসিস।
কিডনিতে পাথর: কিডনিতে পাথর হলে এটি ইউরেথ্রাকে আটকে দিতে পারে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
কিডনিতে জন্মগত ত্রুটি: কিডনিতে জন্মগত ত্রুটি থাকলে এটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিডনি ইনফেকশনের চিকিৎসা নির্ভর করে এর তীব্রতার উপর। যদি কিডনি ইনফেকশন হালকা হয়, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। যদি কিডনি ইনফেকশন গুরুতর হয়, তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
কিডনি ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
পর্যাপ্ত পানি পান করা: প্রতিদিন কমপক্ষে 8-10 গ্লাস পানি পান করুন।
নিয়মিত প্রস্রাব করা: প্রস্রাব আটকে রাখা এড়িয়ে চলুন।
ইউরেথ্রা পরিষ্কার রাখা: প্রস্রাবের পরে সামনে থেকে পিছনের দিকে পরিষ্কার করুন।
যৌন মিলনের পরে প্রস্রাব করা: যৌন মিলনের পরে প্রস্রাব করলে ইউরেথ্রা থেকে ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে যায়।
ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা: ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়।
যদি আপনার কিডনি ইনফেকশনের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কিডনি ইনফেকশনের প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগের অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।
কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ
কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সাধারণত স্পষ্ট হয় না এবং লক্ষ্য করা কঠিন হতে পারে। কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
ঘন ঘন প্রস্রাব: কিডনি রোগের কারণে কিডনিগুলি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থগুলিকে যথাযথভাবে ফিল্টার করতে পারে না। এর ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে, বিশেষ করে রাতে।
প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন: কিডনি রোগের কারণে প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন দেখা দিতে পারে।
শরীরে ফোলাভাব: কিডনি রোগের কারণে কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের করতে পারে না। এর ফলে শরীরে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে পায়ে।
মাথাব্যথা: কিডনি রোগের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
ক্লান্তি: কিডনি রোগের কারণে ক্লান্তি হতে পারে।
শ্বাসকষ্ট: কিডনি রোগের কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
কিডনি রোগের কারণগুলি হল:
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।
কিডনিতে পাথর: কিডনিতে পাথর হলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কিডনিতে ইনফেকশন: কিডনিতে ইনফেকশন হলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কিডনি রোগের প্রতিরোধের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হল এর কারণগুলি এড়ানো। কিডনি রোগ প্রতিরোধের
জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা: ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের প্রধান কারণ।
পর্যাপ্ত পানি পান করা: প্রতিদিন কমপক্ষে 8-10 গ্লাস পানি পান করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রচুর শাকসবজি, ফল এবং পূর্ণ শস্য খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
যদি আপনার কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কিডনি রোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগের অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।
কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সাধারণত স্পষ্ট হয় না এবং লক্ষ্য করা কঠিন হতে পারে। তবে, যদি আপনি উপরের যেকোনো লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি রোগের প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগের অগ্রগতি রোধ করা সম্ভব।
কিডনি ফেইলিওর এর লক্ষণ
কিডনি ফেইলিওর হল একটি গুরুতর অবস্থা যেখানে কিডনিগুলি তাদের কাজগুলি সম্পাদন করতে ব্যর্থ হয়। কিডনিগুলির মূল কাজগুলি হল রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থগুলি অপসারণ করা, শরীরের তরল ভারসাম্য বজায় রাখা এবং হরমোন তৈরি করা। কিডনি ফেইলিওর হলে এই কাজগুলিগুলি সঠিকভাবে সম্পাদন করা হয় না, যার ফলে বিভিন্ন লক্ষণ এবং জটিলতা দেখা দিতে পারে।
কিডনি ফেইলিওরের লক্ষণগুলি সাধারণত কিডনি ক্ষতির তীব্রতার উপর নির্ভর করে। তীব্র কিডনি ফেইলিওরের লক্ষণগুলি দ্রুত দেখা দেয় এবং সাধারণত কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে বিকাশ লাভ করে। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি ফেইলিওরের লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে এবং বছরের পর বছর ধরে দেখা দিতে পারে।
তীব্র কিডনি ফেইলিওরের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস: তীব্র কিডনি ফেইলিওরের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস।
শরীরে ফোলাভাব: প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস হওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমা হতে পারে, যার ফলে শরীরে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস: দীর্ঘস্থায়ী কিডনি ফেইলিওরের একটি সাধারণ লক্ষণ হল প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস।
শরীরে ফোলাভাব: প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস হওয়ার ফলে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমা হতে পারে, যার ফলে শরীরে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুন: দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানুন
উচ্চ রক্তচাপ: দীর্ঘস্থায়ী কিডনি ফেইলিওরের কারণে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে।
ক্লান্তি: কিডনি ফেইলিওরের কারণে শরীরের কোষগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন এবং পুষ্টি পৌঁছাতে পারে না, যার ফলে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে
কিডনি রোগীর আয়ু নির্ভর করে অনেকগুলো কারণের উপর, যেমন:
কিডনি রোগের ধরন
রোগের তীব্রতা
রোগীর বয়স
রোগীর অন্যান্য শারীরিক অবস্থা
রোগীর চিকিৎসার প্রতি আনুগত্য
সাধারণত, ক্রনিক কিডনি ডিজিজের (CKD) চতুর্থ ধাপে পৌঁছে গেলে রোগীর কিডনি আর স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। এ অবস্থায় রোগীকে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে রোগীর রক্ত পরিশোধন করা হয়। কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে নতুন একটি কিডনি বসানো হয়।
ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে রোগীরা সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন। তবে, রোগীর চিকিৎসার প্রতি আনুগত্য, ডায়ালাইসিসের ধরন, ডায়ালাইসিসের পরবর্তী জটিলতা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে রোগীর আয়ু কম বা বেশি হতে পারে।
কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন এবং তাদের আয়ু স্বাভাবিক মানুষের মতোই হতে পারে। তবে, কিডনি প্রতিস্থাপনের পর রোগীর জীবনে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
সুতরাং, বলা যায় যে, কিডনি রোগীর আয়ু নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে, সঠিক চিকিৎসা ও সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতির মাধ্যমে কিডনি রোগীরা দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বাঁচতে পারেন।
কিডনি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
কিডনি রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা কিডনি রোগের ধরন, তীব্রতা এবং কারণ অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। তবে, কিছু সাধারণ লক্ষণ যা কিডনি রোগের নির্দেশক হতে পারে সেগুলো হল:
প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস
শরীরে ফোলাভাব
উচ্চ রক্তচাপ
ক্লান্তি
শ্বাসকষ্ট
মাথাব্যথা
খিঁচুনি
রক্তশূন্যতা
হাড়ের সমস্যা
স্নায়বিক সমস্যা
তীব্র কিডনি রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত দ্রুত দেখা দেয় এবং কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যে বিকাশ লাভ করে। দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে এবং বছরের পর বছর ধরে দেখা দিতে পারে।
কিডনি রোগের চিকিৎসার লক্ষ্য হল কিডনি ক্ষতির অগ্রগতি রোধ করা এবং রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। চিকিৎসার ধরন কিডনি রোগের ধরন, তীব্রতা এবং কারণ অনুসারে নির্ধারিত হয়।
তীব্র কিডনি রোগের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখা
রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা
রোগের কারণ নির্মূল করা
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
ঔষধপত্র
ডায়ালাইসিস
কিডনি প্রতিস্থাপন
ঔষধপত্রের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করা এবং অন্যান্য জটিলতা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ডায়ালাইসিস হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে রোগীর রক্ত পরিশোধন করা হয়। কিডনি প্রতিস্থাপন হল একটি অস্ত্রোপচার পদ্ধতি যার মাধ্যমে রোগীর শরীরে নতুন একটি কিডনি বসানো হয়।
কিডনি রোগের প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকা
কিডনি রোগ একটি গুরুতর অবস্থা যা জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তবে, সঠিক চিকিৎসা ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে কিডনি রোগের ক্ষতি রোধ করা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা সম্ভব।