হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তির উপায়
হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তির উপায় । হাঁপানি এমন একটি অবস্থা যার ফলে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং ফুলে যায়। শ্বাসনালীতে বাধার কারণে ফুসফুসে সঠিক পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছায় না, যার কারণে শ্বাসকষ্ট হয় বিভিন্ন ধরনের অ্যাজমা থেকে শুরু করে শ্বাসনালী হাঁপানি, অ্যালার্জিক হাঁপানি, অ-অ্যালার্জিক হাঁপানি, পেশাগত হাঁপানি, বা কাশি-ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা। হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তির উপায়
হাঁপানির অতিরিক্ত দুটি রূপ রয়েছে, শৈশবকালীন হাঁপানি এবং প্রাপ্তবয়স্কদের হাঁপানি।
হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তির উপায়
হাঁপানি একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ যা শ্বাসনালীর প্রদাহ এবং সংকোচনের কারণে ঘটে। এই প্রদাহ এবং সংকোচনের ফলে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। হাঁপানির লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ, কাশি এবং নিঃশ্বাসের শব্দ।হাঁপানির কোনো নিরাময় নেই, তবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ এবং জীবনধারা পরিবর্তন উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।
হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত ওষুধগুলিকে সাধারণত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়:দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ: এই ওষুধগুলি শ্বাসনালীকে প্রশস্ত করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এগুলি প্রতিদিন একবার বা একাধিকবার নেওয়া হয়।সংক্ষিপ্তমেয়াদী ওষুধ: এই ওষুধগুলি হঠাৎ হাঁপানির অ্যাটাককে দ্রুত থামাতে সাহায্য করে। এগুলি প্রয়োজনের সময় নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি
হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে এবং অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কিছু জীবনধারা পরিবর্তন করাও গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে:অ্যালার্জেন এড়ানো: হাঁপানির অনেক ক্ষেত্রে অ্যালার্জেন হাঁপানির লক্ষণগুলির ট্রিগার হতে পারে। অ্যালার্জেন এড়ানোর জন্য আপনি আপনার বাড়ি এবং কাজের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে পারেন, এবং অ্যালার্জেন-মুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে পারেন।
ধূমপান এড়ানো: ধূমপান হাঁপানির লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, হাঁপানির অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে ব্যায়াম করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন হাঁপানির লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
আরো পড়ুন: ক্যান্সার এর ধরণ লক্ষণ ও প্রতিরোধে করনীয়
কিছু ঘরোয়া প্রতিকার হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে:লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা: লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।ভেপার গ্রহণ করা: ভেপার গ্রহণ শ্বাসনালীকে প্রশস্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
মধু খাওয়া: মধু শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে এগুলি ওষুধের পরিবর্তে ব্যবহার করা উচিত নয়। হাঁপানির অ্যাটাক হলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
হাঁপানি থেকে মুক্তির জন্য কিছু টিপস
আপনার ডাক্তারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করুন। আপনার ডাক্তার আপনার জন্য সঠিক ওষুধ এবং জীবনধারা পরিবর্তনগুলি নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারেন।আপনার ওষুধের সঠিকভাবে ব্যবহার করুন। আপনার ওষুধের ডোজ এবং ব্যবহারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।আপনার অ্যালার্জেনগুলিকে চিহ্নিত করুন এবং এগুলি এড়িয়ে চলুন।
আরো পড়ুন: কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
আপনার বাড়ি এবং কাজের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন এবং অ্যালার্জেন-মুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন।ধূমপান এড়িয়ে চলুন। ধূমপান আপনার হাঁপানির লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।নিয়মিত ব্যায়াম করুন। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।
কি খেলে হাঁপানি ভালো হয়
হাঁপানি একটি দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ যা শ্বাসনালীর প্রদাহ এবং সংকোচনের কারণ হয়। এই অবস্থাটি শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। হাঁপানির জন্য কোন নির্দিষ্ট খাবার নেই যা রোগটিকে সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করতে পারে। তবে, কিছু খাবার রয়েছে যা হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হাঁপানির জন্য উপকারী খাবারগুলো হল: ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। বিশেষ করে, ভিটামিন সি এবং ই, বেটা ক্যারোটিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণ জেনে নিন
- বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্ক থাকে যা শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- চর্বিযুক্ত মাছ: চর্বিযুক্ত মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে
- পারে।ভেষজ এবং মশলা: ভেষজ এবং মশলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী বৈশিষ্ট্য থাকে যা হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে, আদা, রসুন, হলুদ, এবং লবঙ্গ হাঁপানির জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।
- গোটা শস্য: গোটা শস্যে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে যা হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
হাঁপানির জন্য ক্ষতিকর খাবারগুলো হল:
- প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে লবণ, চিনি এবং কৃত্রিম উপাদান থাকে যা হাঁপানির লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করতে পারে।
- জনপ্রিয় ফাস্ট ফুড: জনপ্রিয় ফাস্ট ফুড, যেমন বার্গার, পিৎজা এবং ফ্রাইড চিকেন, প্রক্রিয়াজাত খাবারের মতো একই সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন: অ্যালকোহল এবং ক্যাফিন শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ বাড়াতে পারে, যা হাঁপানির লক্ষণগুলিকে আরও খারাপ করতে পারে।
- ঠান্ডা খাবার এবং পানীয়: ঠান্ডা খাবার এবং পানীয় শ্বাসনালীকে সংকুচিত করতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট এবং কাশি সৃষ্টি করতে পারে।
হাঁপানি রোগীদের উচিত তাদের খাদ্য তালিকায় উপরে উল্লিখিত উপকারী খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করা এবং ক্ষতিকর খাবারগুলি এড়ানো। এছাড়াও, হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগের তীব্রতা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করাও গুরুত্বপূর্ণ।
হাঁপানি কি ভালো হয়
হাঁপানি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যার মানে হল যে এটি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায় না। তবে, সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং রোগের তীব্রতা কমানো সম্ভব। হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, চিকিৎসক সাধারণত ইনহেলার ওষুধের পরামর্শ দেন। এই ওষুধগুলি শ্বাসনালীকে প্রসারিত করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: কাশি হলে করনীয় কি? জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান
হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি, হাঁপানি রোগীদের কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তনও মেনে চলা উচিত। এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে: হাঁপানির ট্রিগারগুলি এড়ানো, যেমন ধূলিকণা, পশুর লোম, ফুলের পরাগ, এবং ঠান্ডা বা শুষ্ক বাতাস। পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নেওয়া। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।
হাঁপানি রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে দেখা করাও গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসক রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে ওষুধের মাত্রা বা পরিবর্তন করতে পারেন। সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে, হাঁপানি রোগীরা একটি স্বাভাবিক এবং সক্রিয় জীবনযাপন করতে পারেন।
শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
শ্বাসকষ্টের অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ, অ্যালার্জি, ওজন বেশি হওয়া, এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। শ্বাসকষ্টের কারণ নির্ভর করে চিরতরে মুক্তির উপায়ও ভিন্ন হবে। তবে, সাধারণভাবে কিছু উপায় রয়েছে যা শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি কমাতে এবং লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
- অ্যালার্জেন এড়ানো: যদি আপনার অ্যালার্জেনজনিত শ্বাসকষ্ট থাকে, তাহলে আপনার অ্যালার্জেনগুলিকে চিহ্নিত করুন এবং এগুলি এড়ানোর চেষ্টা করুন।
- ধূমপান এড়ানো: ধূমপান শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়ায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরকে শক্তিশালী করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়ায়।
- হাঁপানির ওষুধ: হাঁপানির ওষুধ শ্বাসনালীকে প্রশস্ত করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- ব্রঙ্কাইটিসের ওষুধ: ব্রঙ্কাইটিসের ওষুধ শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
- নিউমোনিয়ার ওষুধ: নিউমোনিয়ার ওষুধ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে মেরে ফেলে।
- ফুসফুসের ক্যান্সারের ওষুধ: ফুসফুসের ক্যান্সারের ওষুধ ক্যান্সার কোষগুলিকে মেরে ফেলে বা তাদের বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়।
- হৃদরোগ চিকিৎসা: হৃদরোগ চিকিৎসায় রক্তচাপ কমানো, কোলেস্টেরল কমানো, এবং রক্তনালীগুলিকে প্রশস্ত করা জড়িত।
- অ্যালার্জেন চিকিৎসা: অ্যালার্জেন চিকিৎসায় অ্যালার্জেন থেকে প্রতিক্রিয়া কমাতে সাহায্য করে।
- ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপি শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
- অক্সিজেন থেরাপি: গুরুতর শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে অক্সিজেন থেরাপি প্রয়োজন হতে পারে।
শ্বাসকষ্টের কারণ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসা পেতে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
এজমা থেকে মুক্তির উপায় হোমিওপ্যাথি
হোমিওপ্যাথিতে এজমা চিকিৎসায় লক্ষণভিত্তিক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, রোগীর লক্ষণগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওষুধ ব্যবহার করা হয়। হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি সাধারণত নিরাপদ এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন বলে মনে করা হয়।
তবে, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ গ্রহণের আগে একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। হোমিওপ্যাথিতে এজমা চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু সাধারণ ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
- অ্যাকোনিট: তীব্র হাঁপানির অ্যাটাকের জন্য কার্যকর।
- অ্যাম্ব্রাসিয়াম: অ্যালার্জিজনিত হাঁপানির জন্য কার্যকর।
- রুটা মারিানা: ফুসফুসের প্রদাহজনিত হাঁপানির জন্য কার্যকর।
- থুজা অক্সিডেন্টালিস: ক্রনিক হাঁপানির জন্য কার্যকর।
- হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলি এককভাবে বা অন্যান্য চিকিৎসার সাথে একত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ছাড়াও, এজমা চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা জীবনধারা পরিবর্তনগুলিও সুপারিশ করতে পারেন:
- অ্যালার্জেন এড়ানো: অ্যালার্জেনজনিত হাঁপানির ক্ষেত্রে, অ্যালার্জেনগুলিকে চিহ্নিত করে এবং এগুলি এড়ানোর চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ।
- ধূমপান এড়ানো: ধূমপান হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরকে শক্তিশালী করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
হোমিওপ্যাথিতে এজমা চিকিৎসার সফলতা রোগীর লক্ষণগুলির তীব্রতা এবং অন্যান্য চিকিৎসার সাথে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ব্যবহারের উপর নির্ভর করে।
হাঁপানি রোগের ওষুধ
হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ যা শ্বাসনালীতে প্রদাহ এবং সংকোচন সৃষ্টি করে। এই প্রদাহ এবং সংকোচনের কারণে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং বাতাস চলাচল করতে অসুবিধা হয়। ফলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে চাপ, এবং শ্বাসের সাথে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা দেয়। হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগের তীব্রতা কমাতে ওষুধের প্রয়োজন হয়।
হাঁপানির ওষুধ সাধারণত দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত: নিয়মিত ওষুধ: এই ওষুধগুলি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এগুলি প্রতিদিন গ্রহণ করতে হয়। উপশমকারী ওষুধ: এই ওষুধগুলি তীব্র হাঁপানির অ্যাটাক উপশম করতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে এগুলি ব্যবহার করা হয়।
নিয়মিত ওষুধের মধ্যে রয়েছে: ইনহেলার স্টেরয়েড: ইনহেলার স্টেরয়েড শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ। এগুলি প্রতিদিন গ্রহণ করতে হয়। দীর্ঘমেয়াদী অ্যাকশন বিটা-অ্যাগোনিস্ট (LABA): LABA ইনহেলার স্টেরয়েডের সাথে একত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি শ্বাসনালীর সংকোচন কমাতে সাহায্য করে।
মিউকোলাইটিক্স: মিউকোলাইটিক্স শ্বাসনালীর শ্লেষ্মার ঘনত্ব কমাতে সাহায্য করে। এটি শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মা সরাতে সহজ করে তোলে। উপশমকারী ওষুধের মধ্যে রয়েছে: শর্ট-অ্যাকশন বিটা-অ্যাগোনিস্ট (SABA): SABA শ্বাসনালীর সংকোচন কমাতে এবং শ্বাসকষ্ট উপশম করতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে এগুলি ব্যবহার করা হয়।
আইভোপ্রেটরিয়াম/সালবুটামল (সালমেটিন): আইভোপ্রেটরিয়াম/সালবুটামল একটি SABA এবং LABA-এর সংমিশ্রণ। এটি তীব্র হাঁপানির অ্যাটাক উপশম করতে অত্যন্ত কার্যকর।হাঁপানির ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত বিরল এবং হালকা হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে।
তাই, হাঁপানির ওষুধ গ্রহণের আগে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। হাঁপানির ওষুধের পাশাপাশি, হাঁপানি রোগীদের কিছু জীবনধারা পরিবর্তনও মেনে চলা উচিত। এই পরিবর্তনগুলি হাঁপানির ঝুঁকি কমাতে এবং লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে:
- অ্যালার্জেন এড়ানো: অ্যালার্জেনজনিত হাঁপানির ক্ষেত্রে, অ্যালার্জেনগুলিকে চিহ্নিত করে এবং এগুলি এড়ানোর চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ।
- ধূমপান এড়ানো: ধূমপান হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরকে শক্তিশালী করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, তবে সঠিক চিকিৎসা এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে হাঁপানি রোগীরা একটি স্বাভাবিক এবং সক্রিয় জীবনযাপন করতে পারেন।
হাঁপানি কেন হয়
হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ যার লক্ষণ কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ বোধ হওয়া। হাঁপানির কারণ এখনও পরিপূর্ণ শনাক্ত করা যায়নি। বংশগত কারণ এবং পরিবেশের কারণে হাঁপানি ক্রমশ বাড়ছে। হাঁপানি রোগের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয় ধুলো, বিছানার পোকা, কার্পেট, পুরনো আসবাব, দূষণ, অ্যালার্জি, তামাকের ধোঁয়া থেকে।
হাঁপানি হলো এমন একটি শব্দ যা বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হয় এবং এটির মূল অর্থ হলো "স্বার্থবিমুক্ত বা মুক্তিপ্রাপ্ত"। এটি কোনো ব্যক্তির অবস্থান বা মুক্তির প্রাপ্তির উপর বিশেষ জোর দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। বিশেষভাবে এটি সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি ব্যক্তির মুক্তি বা স্বাধীনতা প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বা দাবির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
হাঁপানির কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা যায় না। তবে কতগুলো বিষয় রয়েছে, যেগুলো হাঁপানি রোগের উৎপত্তি ও স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে। এ রোগ জেনেটিক বা বংশগত কারণে হতে পারে। বংশে কারও এ রোগ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের যে কারও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পশুর লোম, আরশোলা, রেণু, ছত্রাক প্রভৃতি হাঁপানির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
আরো পড়ুন: রক্তে এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন!
বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়া, কারখানার বিভিন্ন উত্তেজক পদার্থ, রঙের ঝাঁজালো গন্ধ, ঠান্ডা হাওয়া, ঝাঁজালো মসলা প্রভৃতির কারণে হাঁপানির আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ, অ্যাসপিরিন, হেরোইন প্রভৃতির অতি ব্যবহারের কারণে হাঁপানি হতে পারে। মানসিক চাপ, অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতাও অনেক ক্ষেত্রে হাঁপানির তীব্রতা বাড়াতে পারে।
সাধারণত শিশু বয়সে ছেলেদের এ রোগ হয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক হলে এ রোগ বেশি হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের খাবার, যেমন গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ, বেগুন—এসব খেলে হাঁপানির মাত্রা বাড়তে পারে।
হাঁপানি ব্যক্তিদের মধ্যে একটি ভাষায় সাহিত্যিক প্রকাশকে বোঝানোর জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে, এমনকি এটি ভাষার প্রয়োজনে যেমন একজন লেখক, কবি, অথবা কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মী বা সমর্থকে বোঝানোর জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে।
হাঁপানি রোগের আধুনিক চিকিৎসা
হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগের তীব্রতা কমাতে আধুনিক চিকিৎসা বেশ কার্যকর। আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে: নিয়মিত ওষুধ: এই ওষুধগুলি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
এগুলি প্রতিদিন গ্রহণ করতে হয়। উপশমকারী ওষুধ: এই ওষুধগুলি তীব্র হাঁপানির অ্যাটাক উপশম করতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে এগুলি ব্যবহার করা হয়। জীবনধারা পরিবর্তন: অ্যালার্জেন এড়ানো, ধূমপান এড়ানো, নিয়মিত ব্যায়াম করা, এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মতো জীবনধারা পরিবর্তনগুলি হাঁপানির ঝুঁকি কমাতে এবং লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত ওষুধগুলি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে: ইনহেলার স্টেরয়েড: ইনহেলার স্টেরয়েড শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ। এগুলি প্রতিদিন গ্রহণ করতে হয়। দীর্ঘমেয়াদী অ্যাকশন বিটা-অ্যাগোনিস্ট (LABA): LABA ইনহেলার স্টেরয়েডের সাথে একত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এগুলি শ্বাসনালীর সংকোচন কমাতে সাহায্য করে। মিউকোলাইটিক্স: মিউকোলাইটিক্স শ্বাসনালীর শ্লেষ্মার ঘনত্ব কমাতে সাহায্য করে। এটি শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মা সরাতে সহজ করে তোলে। উপশমকারী ওষুধগুলি তীব্র হাঁপানির অ্যাটাক উপশম করতে সাহায্য করে।
এই ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে: শর্ট-অ্যাকশন বিটা-অ্যাগোনিস্ট (SABA): SABA শ্বাসনালীর সংকোচন কমাতে এবং শ্বাসকষ্ট উপশম করতে সাহায্য করে। আইভোপ্রেটরিয়াম/সালবুটামল (সালমেটিন): আইভোপ্রেটরিয়াম/সালবুটামল একটি SABA এবং LABA-এর সংমিশ্রণ। এটি তীব্র হাঁপানির অ্যাটাক উপশম করতে অত্যন্ত কার্যকর।
জীবনধারা পরিবর্তন অ্যালার্জেন এড়ানো, ধূমপান এড়ানো, নিয়মিত ব্যায়াম করা, এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মতো জীবনধারা পরিবর্তনগুলি হাঁপানির ঝুঁকি কমাতে এবং লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।হাঁপানির চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন কিছু চিকিৎসার উন্নয়ন হচ্ছে।
এই চিকিৎসাগুলির মধ্যে রয়েছে: জেনেটিক থেরাপি: এই থেরাপিতে হাঁপানির জন্য দায়ী জিনগুলিকে লক্ষ্য করে চিকিৎসা করা হয়। সেল থেরাপি: এই থেরাপিতে শরীরের নিজস্ব কোষগুলিকে হাঁপানির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
অন্যান্য নতুন চিকিৎসা: এই চিকিৎসাগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবডি থেরাপি, টিকা, এবং ব্রঙ্কোস্কোপিক থেরাপি। এই নতুন চিকিৎসাগুলি এখনও গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে। তবে, ভবিষ্যতে এই চিকিৎসাগুলি হাঁপানির চিকিৎসায় আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
হাঁপানি কি ছোঁয়াচে রোগ
না, হাঁপানি ছোঁয়াচে রোগ নয়। হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ যা শ্বাসনালীর প্রদাহ এবং সংকোচন সৃষ্টি করে। এই প্রদাহ এবং সংকোচনের কারণে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং বাতাস চলাচল করতে অসুবিধা হয়। ফলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকে চাপ, এবং শ্বাসের সাথে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা দেয়।
হাঁপানির কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে বংশগত এবং পরিবেশগত কারণগুলির সমন্বয়ে এটি হতে পারে বলে মনে করা হয়। বংশগত কারণগুলির মধ্যে রয়েছে জিনগত পরিবর্তন যা শ্বাসনালীকে প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়াতে আরও সংবেদনশীল করে তুলতে পারে। পরিবেশগত কারণগুলির মধ্যে রয়েছে অ্যালার্জেন, ধূমপান, এবং কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ।
হাঁপানি ছোঁয়াচে নয় কারণ এটি ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয় না। এটি একটি অটোইমিউন রোগ, যার অর্থ হল শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজের কোষগুলিকে আক্রমণ করে। হাঁপানির রোগীরা অন্যদের সাথে স্বাভাবিকভাবে মেলামেশা করতে পারেন।
তারা স্পর্শ, চুম্বন, বা একই ঘরে থাকার মাধ্যমে অন্যদের হাঁপানি ছড়াতে পারে না। হাঁপানির লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগের তীব্রতা কমাতে আধুনিক চিকিৎসা বেশ কার্যকর। আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:
নিয়মিত ওষুধ: এই ওষুধগুলি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এগুলি প্রতিদিন গ্রহণ করতে হয়।
উপশমকারী ওষুধ: এই ওষুধগুলি তীব্র হাঁপানির অ্যাটাক উপশম করতে সাহায্য করে। প্রয়োজনে এগুলি ব্যবহার করা হয়।
জীবনধারা পরিবর্তন: অ্যালার্জেন এড়ানো, ধূমপান এড়ানো, নিয়মিত ব্যায়াম করা, এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মতো জীবনধারা পরিবর্তনগুলি হাঁপানির ঝুঁকি কমাতে এবং লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
হাঁপানি রোগের ঔষধ
হাঁপানী উপশমের প্রথম ঔষধ হলো ইনহেলার। এটা দুরকমের হয়, স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী। শ্বাস কষ্টের তাৎক্ষনিক উপশমের জন্য কয়েক রকম ঔষধ ইনহেলারের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়, যেমন, সালবুটামল, সালমেটেরোল, এবং ফোরমোটেরোল । হাঁপানীর আক্রমণ যেন না হয় তার জন্য ব্যবহার করা হয় স্টেরয়েড ইনহেলার।
সাধারনত ফ্লুটিকাস্ন ও বুডিসোনাইড স্টেরয়েড ইনহেলার হিসাবে পাওয়া যায়। এলোপ্যাথিতে হাঁপানীর চিকিৎসায় স্টেরয়েড ইনহেলার অপরিহার্য। উপশমকারী দীর্ঘ মেয়াদী ঔষধ ও প্রতিরোধকারী স্টেরয়েড এক সংগে একই ইনহেলারে বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারে এই সকল ঔষধের কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়।
হাঁপানী প্রতিরোধক হিসাবে অন্য যে ঔষধটি ব্যবহার করা হয় তার নাম মন্টিলুকাষ্ট। এটি শ্বাসনালির প্রদাহ কমিয়ে হাঁপানী আক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। থিওফাইলিন- এই ঔষধটি শ্বাসনালির মধ্যে চক্রাকারে যে মাংশপেশী থাকে, হাঁপানীর আক্রমণের সময় যা সংকুচিত হয়ে পড়ে, সেটিকে শিথিল করে দেয়, ফলে শ্বাসনালির ভেতরের প্রসস্থতা বৃদ্ধি পায়।
মুখে খাবার স্টেরয়েড- এটি ট্যাবলেট অথবা সিরাপ আকারে পাওয়া যায়। হাঁপানীর তীব্র আক্রমণের সময় এটি কয়েকদিন ব্যবহার করতে হয় । নিয়মিত ওষুধ নিয়মিত ওষুধগুলি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এগুলি প্রতিদিন গ্রহণ করতে হয়। নিয়মিত ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
স্টেরয়েড ইনহেলার: স্টেরয়েড ইনহেলারগুলি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ। এগুলি বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েড দিয়ে তৈরি করা হয়, যেমন ফ্লুটিকাসন, বুডিসোনাইড, এবং ট্রেটিনোইন।
দীর্ঘমেয়াদী β2-অ্যাগোনিস্ট: দীর্ঘমেয়াদী β2-অ্যাগোনিস্টগুলি শ্বাসনালীকে প্রসারিত করে এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে। এগুলি ফ্লোটিক্যাসোন এবং সালমেটারোলের মতো ওষুধ দিয়ে তৈরি করা হয়।
আরো পড়ুন: অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও এটি খাওয়ার নিয়ম
লেভোসেট্রোমাজিন হল একটি নতুন ধরনের ওষুধ যা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হাঁপানি দূর করার উপায়
হাঁপানি হলো এমন একটি অসুস্থ অবস্থা যা হৃদয়ের দায়িত্বে রক্ত পাঠানোয়া বিঘ্ন হতে পারে। হাঁপানি দূর করার জন্য কিছু সাধারিত উপায় আছে, যা এখানে দেখা যাচ্ছে:
- দীর্ঘকালিক শ্বাসাস্থান অভ্যন্তরে শ্বাস নিন:
দীর্ঘকালিক শ্বাস নেওয়া হাঁপানি দূর করতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত এবং ভালো শ্বাসাস্থান অভ্যন্তরে শ্বাস নিতে পারে হাঁপানি দূর করার জন্য।
হাঁপানি কেনা:
কিছু মানুষ হাঁপানি কেনা দ্বারা হাঁপানি দূর করার চেষ্টা করে। এটি হতে পারে একটি বিশেষ ধরণের হাঁপানি যা শ্বাসের নির্বাহীকরণ পদ্ধতি পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে।
- ধ্বনি তৈরি করুন:
কিছু লোক একটি ধ্বনি তৈরি করে এবং এটি মৌখিক অংশে প্রেরণ করে হাঁপানি দূর করতে চেষ্টা করে। এটি মাধ্যমে শ্বাসের নির্বাহীকরণ পদ্ধতি পরিবর্তন করা হতে পারে।
- শ্বাসকে ধারাবাহিকভাবে নিন:
ধারাবাহিক শ্বাস নেওয়া হাঁপানি দূর করার জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। নিয়মিত শ্বাস নেওয়া মাধ্যমে হাঁপানি দূর করার চেষ্টা করুন।
- শ্বাসকে ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন:
শ্বাসকে ধীরে ধীরে ছেড়ে দেওয়াও হাঁপানি দূর করতে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রতি শ্বাসের জন্য শ্বাসের প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিকভাবে চলতে দেয় এবং হাঁপানি দূর করতে সাহায্য করতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাঁপানির পেশীগুলি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করা।
এটি আপনার হাঁপানি দূর করার জন্য সহায়ক হতে পারে এবং আপনি এটি সাধারিত হাঁপানির জন্য সাজুগুলি অনুসরণ করতে পারেন। যদি হাঁপানি দীর্ঘকালি বা একটি নিবন্ধিত সমস্যা হয় এবং উপরের উপায়গুলি কার্যকর না হয়, তবে আপনার চিকিৎসকে দেখাতে হবে যাতে তিনি কোনও সমস্যা বা সাধারিত হাঁপানির পেশীর সমস্যা বা অন্যান্য সমস্যা বা অসুস্থতা বিশ্লেষণ করতে পারেন।