কি খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে
কোন বাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে প্রবাদে আছে, 'বুদ্ধি যার বল তার'। তাই এখনকার বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের 'বু্দ্ধিমান' করে তুলতে হেলথ ড্রিংক খাওয়ান। কিন্তু সমীক্ষা বলছে অন্য কথা! বুদ্ধিমান হতে গেলে দরকার মস্তিষ্কের পুষ্টি আর সেই পুষ্টি আসে হেলথ ড্রিংক থেকে নয়, পুষ্টিকর খাবার থেকে।
মস্তিষ্কের সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন বিশেষ পুষ্টির। যা কোষ গঠনে সহায়তা করে। তাই কেবল ওষুধ না খেয়ে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য খাদ্যতালিকায় রাখুন এই আইটেমগুলি। দেখবেন মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়বে সহজেই।
কি খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে
খাবার কি খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে হ্যাঁ, কিছু খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়তে পারে। এই খাবারগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার:
- বাদাম: বাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- বেরি: বেরি অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা স্মৃতি এবং শেখার ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
- ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে।
- টমেটো: টমেটো লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা স্মৃতি ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: সর্দি-কাশি হলে ঘরোয়াভাবে সমাধান
অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলে ওলিক অ্যাসিড নামক একটি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
শাকসবজি: শাকসবজিতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ফল: ফল ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কি খেলে দ্রুত বুদ্ধি বাড়ে
খাবার থেকে দ্রুত বুদ্ধি বাড়ে এমন কোনো নিশ্চিত প্রমাণ নেই। তবে কিছু খাবার রয়েছে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। এই খাবারগুলিতে সাধারণত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকে।
দ্রুত বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবার হল:
ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্লাভানয়েডস থাকে যা রক্ত প্রবাহকে উন্নত করতে এবং মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
তৈলাক্ত মাছ: তৈলাক্ত মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যকারিতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস হল স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল, স্যালমন এবং হেরিং।
ব্লুবেরি: ব্লুবেরিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভানয়েডস থাকে যা স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ উন্নত করতে সাহায্য করে।
ওটস: ওটস ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আরো পড়ুন: সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে।
এছাড়াও, নিয়মিত ব্যায়াম, ভালো ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
দ্রুত বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য এই খাবারগুলি নিয়মিত খাওয়ার পাশাপাশি, মস্তিষ্ককে সচল রাখাও জরুরি। এজন্য বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জিং কাজ করা, নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করা এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটানো ভালো।
কোন বাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এমন কয়েকটি বাদাম হল:
আখরোট: আখরোট ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যকারিতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কাঠবাদাম: কাঠবাদাম ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতোই কাজ করে, এবং ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ু স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
পেস্তা: পেস্তা ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। এগুলি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে।
চিনাবাদাম: চিনাবাদাম ভিটামিন ই, নিয়াসিন এবং ট্রিপটোফান সমৃদ্ধ। নিয়াসিন স্মৃতি এবং মনোযোগ উন্নত করতে সাহায্য করে, এবং ট্রিপটোফান সেরোটোনিন তৈরিতে সহায়তা করে, যা একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা মেজাজ এবং ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই বাদামগুলি নিয়মিত খাওয়ার পাশাপাশি, মস্তিষ্ককে সচল রাখাও জরুরি। এজন্য বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জিং কাজ করা, নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করা এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটানো ভালো।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করা যেতে পারে। এই ব্যায়ামগুলি মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে সক্রিয় করে এবং নতুন স্নায়বিক সংযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে।
কিছু সাধারণ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম হল:
তালিকা তৈরি করা: একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন জিনিস মনে রাখার জন্য তালিকা তৈরি করা একটি ভালো উপায়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি খাবারের তালিকা তৈরি করতে পারেন, বা একটি ঐতিহাসিক ঘটনার ক্রম তৈরি করতে পারেন।
শব্দ খেলা: শব্দ খেলা, যেমন শব্দ বানানো বা শব্দের অর্থ অনুমান করা, মস্তিষ্কের ভাষাগত দক্ষতাগুলিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।
চিত্র মনে রাখা: একটি ছবি বা চিত্র দেখে মনে রাখা এবং পরে পুনরাবৃত্তি করা একটি ভালো স্মৃতিশক্তি অনুশীলন।
নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করা: একটি নতুন ভাষা শিখতে চেষ্টা করা, একটি নতুন যন্ত্র বাজানো শিখতে চেষ্টা করা, বা একটি নতুন খেলা শিখতে চেষ্টা করা মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করার এবং নতুন স্নায়বিক সংযোগ তৈরি করার একটি দুর্দান্ত উপায়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম হল:
প্যাসিভ অ্যাসোসিয়েশন: এই ব্যায়ামে, আপনি একটি শব্দ বা ছবি দেখে একটি নির্দিষ্ট স্মৃতি বা অনুভূতি মনে করার চেষ্টা করেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি গাছের ছবি দেখে মনে করার চেষ্টা করতে পারেন যে আপনি কোন গাছের নিচে খেলা করেছেন।
সিক্যুয়েন্স মেমরি: এই ব্যায়ামে, আপনি একটি নির্দিষ্ট ক্রম মনে রাখার চেষ্টা করেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি সংখ্যার ক্রম বা একটি শব্দের ক্রম মনে রাখার চেষ্টা করতে পারেন।
ভিজ্যুয়াল মেমরি: এই ব্যায়ামে, আপনি একটি ছবি বা দৃশ্য মনে রাখার চেষ্টা করেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি ঘরের নকশা মনে রাখার চেষ্টা করতে পারেন।
আরো পড়ুন: মাথার টাকে চুল গজানোর উপায়
অ্যাক্টিভ অ্যাসোসিয়েশন: এই ব্যায়ামে, আপনি একটি শব্দ বা ছবি দেখে একটি নতুন শব্দ বা ছবি তৈরি করার চেষ্টা করেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি একটি গাছের ছবি দেখে মনে করার চেষ্টা করতে পারেন যে গাছটি একটি প্রাণী হলে কেমন হবে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যায়াম করার সময়, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ: নিয়মিত অনুশীলন করুন: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট অনুশীলন করার চেষ্টা করুন।
আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং ব্যায়াম করুন: আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি ব্যায়ামগুলি খুব সহজ হয় তবে এগুলি আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর হবে না।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য ব্যায়াম করার পাশাপাশি, পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং মানসিক চাপ কমানোও গুরুত্বপূর্ণ।
কোন ফল খেলে বুদ্ধি বাড়ে
যেসব ফল খেলে বুদ্ধি বাড়ে সেগুলো হল:
বেরি জাতীয় ফল: বেরি জাতীয় ফলের মধ্যে রয়েছে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ক্র্যানবেরি ইত্যাদি। এই ফলগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভানয়েডস, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, এবং পটাসিয়াম রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত বেরি জাতীয় ফল খেলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, এবং বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পায়।
অন্যান্য ফল
অন্যান্য ফলের মধ্যেও কিছু ফল রয়েছে যা বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন:
- আঙুর
- কমলা
- লেবু
- কলা
- পেঁপে
- আনারস
এই ফলগুলোতেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
এছাড়াও, ফলের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন:
- বাদাম
- ডার্ক চকোলেট
- সবুজ শাকসবজি
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
নিয়মিত এই খাবারগুলো খেলে বুদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
কি ঔষধ খেলে বুদ্ধি বাড়ে
বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো ঔষধ নেই। তবে কিছু ঔষধ রয়েছে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এই ঔষধগুলি সাধারণত নিম্নলিখিত উপায়ে কাজ করে:
মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়
মস্তিষ্কের কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশকে উদ্দীপিত করে
মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণ করে
বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত কিছু নির্দিষ্ট ঔষধের মধ্যে রয়েছে:
নোওট্রপিকস: নোওট্রপিকস হল এমন ঔষধ যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এই ঔষধগুলি সাধারণত স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, শিখন এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। নোওট্রপিকসের মধ্যে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ, এবং উদ্ভিদ নির্যাস।
আরো পড়ুন: মানুষের দেহে ডিএনএ কত দৈর্ঘ্য কিঃ মিঃ
মনোযোগ ঘাটতি ও হাইপারঅ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার (ADHD) এর জন্য ওষুধ: ADHD এর ওষুধগুলি মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণ করে মনোযোগ এবং আচরণ উন্নত করতে সাহায্য করে। ADHD এর ওষুধগুলি বুদ্ধি বাড়ানোর জন্যও কার্যকর হতে পারে।
অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস: অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণ করে মেজাজ এবং আচরণ উন্নত করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস বুদ্ধি বাড়ানোর জন্যও কার্যকর হতে পারে।
তবে, মনে রাখবেন যে এই ঔষধগুলি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ক্ষেত্রেই কার্যকর হতে পারে। এছাড়াও, এই ঔষধগুলির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। তাই এই ঔষধগুলি গ্রহণ করার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
বুদ্ধি বাড়ানোর জন্য শুধুমাত্র ঔষধই নয়, অন্যান্য কিছু বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে:
সুষম খাদ্য গ্রহণ: মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করার জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। মস্তিষ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, এবং ভিটামিন ই।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম: মস্তিষ্কের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নতুন স্মৃতি তৈরি করে এবং পুরানো স্মৃতিগুলিকে সংরক্ষণ করে।
নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। নতুন জিনিস শিখুন: নতুন জিনিস শিখলে মস্তিষ্ক নতুন সংযোগ তৈরি করে। এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
এই বিষয়গুলি বিবেচনা করে আপনি আপনার বুদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন।
শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির খাবার
শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কিছু খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই খাবারগুলিতে এমন পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার হল:
বেরি জাতীয় ফল: বেরি জাতীয় ফলের মধ্যে রয়েছে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ক্র্যানবেরি ইত্যাদি। এই ফলগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভানয়েডস, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, এবং পটাসিয়াম রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত বেরি জাতীয় ফল খেলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ, এবং বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি পায়।
বাদাম: বাদাম যেমন আখরোট, কাজু, পেস্তা, এবং চিনাবাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই, এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, ধনেপাতা, পুদিনা, এবং লেটুস ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এবং ফোলেট সমৃদ্ধ। এই পুষ্টি উপাদানগুলো মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, ডিম, এবং বাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
শিশুর স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত এই খাবারগুলো খাওয়ানো উচিত। এছাড়াও, শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং ব্যায়াম করানোও গুরুত্বপূর্ণ।
কি খেলে স্মৃতিশক্তি কমে
তবে সাদা রঙের কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে তা মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। সাদা পাউরুটি, চিনি, পাস্তা ইত্যাদি খাবারে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। এসব খাবার আমাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ খুব দ্রুত বাড়িয়ে তোলে। ফলে দেখা দিতে পারে ভুলে যাওয়া বা আলঝাইমারের মতো অসুখ।
নিয়মিত নিয়মিত আচরণ: নিয়মিত জীবনযাপন, নিয়মিত খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং উপযুক্ত ব্যায়াম স্মৃতিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সোশাল ইন্টারঅ্যাকশন: সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, আত্মীয়-বন্ধু সহবাস, এবং সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নেওয়া স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: কিডনি সুস্থ রাখতে ৬টি পরামর্শ
চ্যালেঞ্জিং কাজ এবং শেখা: নতুন কিছু শেখা এবং নতুন চ্যালেঞ্জস স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
মানসিক বা শারীরিক কষ্টকর অবস্থা: চিন্তা, মানসিক দুঃখ, বা শারীরিক সমস্যার কারণে স্মৃতিশক্তি কমতে পারে।
যোগাযোগের অভাব: সামাজিক যোগাযোগের অভাব স্মৃতিশক্তির উন্নতির দিকে প্রভাব ফেলতে পারে।
এই সব কারণই একইসাথে স্মৃতিশক্তির উন্নতিও করতে সাহায্য করতে পারে।
কোন শাক খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এমন কিছু শাক হল:
পালং শাক: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, এবং ফোলেট রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
ব্রোকলি: ব্রোকলিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং ফোলেট ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
গাজর: গাজরে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ ও প্রতিকার
টমেটো: টমেটোতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
কলমি শাক: কলমি শাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং ফোলেট রয়েছে। এই পুষ্টি উপাদানগুলো মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
এই শাকগুলো ছাড়াও, ব্রকোলি ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক, ঝিঙা শাক, মটরশুঁটি, এবং মটর শাকও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
নিয়মিত এই শাকগুলো খাওয়ার পাশাপাশি, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং ব্যায়াম করাও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।