১০ টি স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার
কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার তালিকা আমাদের শরীর যেসব খাবার থেকে শক্তি সঞ্চয় করে, তার একটি হচ্ছে শর্করা। শর্করা জাতীয় খাবার শক্তির অন্যতম উৎস। মানুষের প্রতিদিনের খাবারের মোট ক্যালরির ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ শর্করা থাকা উচিত। সুষম খাবার গ্রহণ করতে গেলে খাবারের সব কটি উপাদান যেমন আমিষ, শর্করা, চর্বি, যার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খেতে হবে। শর্করা জাতীয় খাবার কাকে বলে
বেশিরভাগ খাদ্যে কম বেশি খাদ্য উপাদান থাকে। শর্করা বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন খাদ্যে থাকে যেমন শ্বেতসার হিসেবে শর্করা যে সকল খাদ্যে পাওয়া যায় তা হল ধান বা চাল, গম, ভূট্টা, বাজরা, আলু, ওলকপি, কচু, বীট, গাজর ইত্যাদি। খেজুর, আঙ্গুর, আপেল ইত্যাদিতে শর্করা দ্রাক্ষাশর্করা বা গ্লুকোজ হিসেবে পাওয়া যায়।
১০ টি স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার
কার্বোহাইড্রেট হলো শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এটি শরীরকে শক্তি প্রদান করে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। তবে, সব ধরনের কার্বোহাইড্রেট সমানভাবে স্বাস্থ্যকর নয়। কিছু কার্বোহাইড্রেট খাবার স্বাস্থ্যকর, যেখানে অন্যগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট খাবারগুলো হলো: পূর্ণ শস্য: পূর্ণ শস্য হলো শস্যের সম্পূর্ণ দানা, যাতে আঁশ, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদান থাকে। পূর্ণ শস্যের উদাহরণ হলো: অটোমিল ব্রাউন রাইস ওটমিল হোল-ওটস কম্বু বার্ল কর্ণমিল ফল: ফল প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং আঁশযুক্ত। ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ উপাদান, এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
আরো পড়ুন: আখের দেশি লাল চিনি কেন খাবেন
ফলের উদাহরণ হলো: আপেল কমলা বেরি আঙ্গুর আনারস মৌসুমি ফল শাকসবজি: শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, ভিটামিন, খনিজ উপাদান, এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। শাকসবজির উদাহরণ হলো: ব্রোকলি গাজর পালং শাক বেগুন টমেটো কাঁচা পেঁপে কাঁচা শসা লেবুজাতীয় ফল: লেবুজাতীয় ফল ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস।
ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লেবুজাতীয় ফলের উদাহরণ হলো: লেবু কমলা মাল্টা আঙুর আনারস ডাল: ডাল প্রোটিন, আঁশ, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের একটি ভালো উৎস। ডালের উদাহরণ হলো: মুগ ডাল মসুর ডাল ছোলা রাজমা কিডনি বিন বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজ প্রোটিন, আঁশ, এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি ভালো উৎস। বাদাম এবং বীজের উদাহরণ হলো:
আখরোট বাদাম কাঠবাদাম পেস্তা চিনাবাদাম তিল সূর্যমুখী বীজ এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট খাবার খাওয়ার কিছু সুবিধা হলো:
শক্তি প্রদান করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় হজমশক্তি উন্নত করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় সুতরাং, আপনার খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এতে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
শর্করা জাতীয় খাবার এর তালিকা
শর্করা হলো কার্বোহাইড্রেটের একটি রূপ। এটি শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা শক্তি প্রদান করে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। শর্করা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু শর্করা জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যকর, যেখানে অন্যগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। স্বাস্থ্যকর শর্করা জাতীয় খাবার পূর্ণ শস্য:
পূর্ণ শস্য হলো শস্যের সম্পূর্ণ দানা, যাতে আঁশ, ভিটামিন, এবং খনিজ উপাদান থাকে। পূর্ণ শস্যের উদাহরণ হলো: অটোমিল ব্রাউন রাইস ওটমিল হোল-ওটস কম্বু বার্ল কর্ণমিল ফল: ফল প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি এবং আঁশযুক্ত। ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ উপাদান, এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ফলের উদাহরণ হলো:
আপেল কমলা বেরি আঙ্গুর আনারস মৌসুমি ফল শাকসবজি: শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, ভিটামিন, খনিজ উপাদান, এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। শাকসবজির উদাহরণ হলো: ব্রোকলি গাজর পালং শাক বেগুন টমেটো কাঁচা পেঁপে কাঁচা শসা লেবুজাতীয় ফল: লেবুজাতীয় ফল ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
লেবুজাতীয় ফলের উদাহরণ হলো: লেবু কমলা মাল্টা আঙুর আনারস ডাল: ডাল প্রোটিন, আঁশ, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের একটি ভালো উৎস। ডালের উদাহরণ হলো: মুগ ডাল মসুর ডাল ছোলা রাজমা কিডনি বিন বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজ প্রোটিন, আঁশ, এবং স্বাস্থ্যকর চর্বির একটি ভালো উৎস। বাদাম এবং বীজর উদাহরণ হলো: আখরোট বাদাম কাঠবাদাম পেস্তা চিনাবাদাম তিল সূর্যমুখী বীজ
অস্বাস্থ্যকর শর্করা জাতীয় খাবার
প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন কেক, পেস্ট্রি, ফাস্টফুড, এবং সোডাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এই চিনি সহজেই শরীরে শোষিত হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সফট ড্রিংকস: সফট ড্রিংকস, যেমন কোক, পেপসি, এবং ফান্টাতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে।
আরো পড়ুন: জেনে নিন শুঁটকি মাছের পুষ্টিগুণ
এগুলো পান করার ফলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মিষ্টি পানীয়: মিষ্টি পানীয়, যেমন ফলের রস, শরবত, এবং ইয়োগার্টে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। এগুলো পান করার ফলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মিষ্টি খাবার: মিষ্টি খাবার, যেমন চকলে
কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার তালিকা
কার্বোহাইড্রেট হলো শর্করা, স্টার্চ এবং ডায়েটরি ফাইবারের একটি রূপ। এটি শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা শক্তি প্রদান করে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, বা ওজন কমানোর জন্য, কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ সীমিত করা বা একেবারেই বাদ দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার হলো এমন খাবার যাতে শূন্য কার্বোহাইড্রেট থাকে। এই ধরনের খাবারগুলিতে প্রোটিন, ফ্যাট, এবং আঁশ থাকতে পারে। কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবারের উদাহরণ: মাংস: মাংস, যেমন গরুর মাংস, মুরগির মাংস, এবং মাছ, কার্বোহাইড্রেট বিহীন। ডিম: ডিম কার্বোহাইড্রেট বিহীন। দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য: দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য, যেমন দই, পনির, এবং ক্রিম, কার্বোহাইড্রেট বিহীন।
বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজ, যেমন আখরোট, বাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তা, চিনাবাদাম, তিল, এবং সূর্যমুখী বীজ, কার্বোহাইড্রেট বিহীন। তেল এবং চর্বি: তেল এবং চর্বি, যেমন জলপাই তেল, সয়াবিন তেল, এবং অ্যাভোকাডো তেল, কার্বোহাইড্রেট বিহীন। শাকসবজি: কিছু শাকসবজি, যেমন ব্রোকলি, ক্যাপসিকাম, এবং অ্যাস্পারাগাস, কার্বোহাইড্রেট বিহীন। ফলের রস: ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, তাই এগুলি কার্বোহাইড্রেট বিহীন নয়।
তবে, ফলের খোসা ছাড়িয়ে রসের পরিবর্তে ফল খাওয়া যেতে পারে। কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার খাওয়ার ঝুঁকি: কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার খাওয়ার কিছু ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: ওজন কমানো: কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার খাওয়ার ফলে ওজন কমতে পারে। তবে, এটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানো নাও হতে পারে।
পুষ্টির ঘাটতি: কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার খাওয়ার ফলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে, ভিটামিন বি, ফাইবার, এবং পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া: কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। কার্বোহাইড্রেট বিহীন খাবার খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খেলে কি হয়
শর্করা জাতীয় খাবার হলো কার্বোহাইড্রেটের একটি রূপ। কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা শক্তি প্রদান করে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। তবে, অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খেলে যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে: ওজন বৃদ্ধি: শর্করা জাতীয় খাবার বেশি খেলে ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
ডায়াবেটিস: অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। হৃদরোগ: অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক, এবং অন্যান্য হার্টের সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ক্যান্সার: অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
আরো পড়ুন: পনিরের বহুবিধ উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
অন্যান্য সমস্যা: অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে কিডনি রোগ, লিভার রোগ, দাঁতের ক্ষয়, এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার সীমা: সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন 25 থেকে 38 গ্রাম শর্করা খাওয়া উচিত। তবে, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে শর্করা গ্রহণের পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত।
শর্করা জাতীয় খাবার কম খাওয়ার উপায়: শর্করা জাতীয় খাবার কম খাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মাথায় রাখা যেতে পারে: ফলের রসের পরিবর্তে ফল খাওয়া: ফলের রসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, তাই ফলের রসের পরিবর্তে ফল খাওয়া ভালো। প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা: প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
খাবারের লেবেল পড়া: খাবারের লেবেল পড়ে চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। খাবার তৈরির সময় চিনি কম ব্যবহার করা: খাবার তৈরির সময় চিনি কম ব্যবহার করা উচিত। শর্করা জাতীয় খাবার কম খেলে ওজন কমানো, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
শর্করা জাতীয় খাবার কি কাজ করে
শর্করা জাতীয় খাবার হলো কার্বোহাইড্রেটের একটি রূপ। কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা শক্তি প্রদান করে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। শর্করা জাতীয় খাবারের কাজগুলি হল: শক্তি সরবরাহ: শর্করা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য প্রধান শক্তির উৎস। শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের কোষগুলিতে শক্তি তৈরি হয়। অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা:
শর্করা জাতীয় খাবার অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, শ্বেতসার ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের শোষণে সহায়তা করে। শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখা: শর্করা জাতীয় খাবার শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, শর্করা জাতীয় খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, হজম, এবং পেশীর সংকোচন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
শর্করা জাতীয় খাবারের দুটি প্রধান প্রকার হল: সরল শর্করা: সরল শর্করা হল এক বা দুটি শর্করা অণু দিয়ে গঠিত। সরল শর্করা সহজেই হজম হয় এবং শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সরল শর্করার উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে চিনি, মধু, এবং ফলের চিনি। জটিল শর্করা: জটিল শর্করা হল তিনটি বা তার বেশি শর্করা অণু দিয়ে গঠিত।
আরো পড়ুন: টক দই এর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
জটিল শর্করা হজম হতে সময় লাগে এবং শরীরে ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। জটিল শর্করার উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বেতসার, আঁশ, এবং গ্লাইকোজেন। শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার সীমা: সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন 25 থেকে 38 গ্রাম শর্করা খাওয়া উচিত। তবে, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে শর্করা গ্রহণের পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত।
শর্করা জাতীয় ফল
ফলগুলি সাধারণত শর্করা জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ, ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ, গ্লুকোজ, এবং সুক্রোজ থাকে। এই শর্করাগুলি শরীরের জন্য সহজেই হজমযোগ্য এবং শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শর্করা জাতীয় ফলগুলির মধ্যে রয়েছে: আম: আম একটি জনপ্রিয় ফল যা প্রচুর পরিমাণে শর্করা এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। আম খেলে শরীরে শক্তির যোগান হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
কলা: কলা একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। কলাতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম, এবং ভিটামিন বি থাকে। কলা খেলে শরীরে শক্তির যোগান হয় এবং মাংসপেশী এবং স্নায়ু মজবুত হয়। পেঁপে: পেঁপে একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর ফল। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, এবং ফাইবার থাকে। পেঁপে খেলে শরীরে শক্তির যোগান হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কমলা: কমলা একটি জনপ্রিয় ফল যা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
কমলা খেলে শরীরে শক্তির যোগান হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। লেবু: লেবু একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, এবং ফাইবার থাকে। লেবু খেলে শরীরে শক্তির যোগান হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তরমুজ: তরমুজ একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর ফল। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, এবং ফাইবার থাকে। তরমুজ খেলে শরীরে শক্তির যোগান হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুন: ইলিশ মাছ – পুষ্টিগুণ ও পদ্মার ইলিশ চেনার উপায়
আঙ্গুর: আঙ্গুর একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, এবং ফাইবার থাকে। আঙ্গুর খেলে শরীরে শক্তির যোগান হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলের জুস: ফলের জুসও শর্করা জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। কারণ, ফলের জুসে ফলের শর্করা থাকায় এটি শরীরের জন্য সহজেই হজমযোগ্য এবং শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শর্করা জাতীয় ফল খাওয়ার উপকারিতা: শক্তির যোগান: শর্করা জাতীয় ফল শরীরের জন্য প্রধান শক্তির উৎস। শর্করা জাতীয় ফল খাওয়ার ফলে শরীরের কোষগুলিতে শক্তি তৈরি হয়। অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা: শর্করা জাতীয় ফল অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, শ্বেতসার ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের শোষণে সহায়তা করে। শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখা:
শর্করা জাতীয় ফল শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, শর্করা জাতীয় ফল মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, হজম, এবং পেশীর সংকোচন বজায় রাখতে সাহায্য করে। শর্করা জাতীয় ফল খাওয়ার সতর্কতা: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য: ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করা জাতীয় ফল সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
ওজন বৃদ্ধি: শর্করা জাতীয় ফল অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে শর্করা জাতীয় ফল খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের তালিকা
কার্বোহাইড্রেট হলো শর্করা, স্টার্চ এবং ডায়েটরি ফাইবারের একটি গোষ্ঠী। কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা শক্তি প্রদান করে এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারগুলিকে সাধারণত দুটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়: সরল শর্করা: সরল শর্করা হল এক বা দুটি শর্করা অণু দিয়ে গঠিত। সরল শর্করা সহজেই হজম হয় এবং শরীরে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সরল শর্করার উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে চিনি, মধু, এবং ফলের চিনি।
জটিল শর্করা: জটিল শর্করা হল তিনটি বা তার বেশি শর্করা অণু দিয়ে গঠিত। জটিল শর্করা হজম হতে সময় লাগে এবং শরীরে ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। জটিল শর্করার উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে শ্বেতসার, আঁশ, এবং গ্লাইকোজেন। সরল শর্করা যুক্ত খাবারের কিছু উদাহরণ: চিনি: সাদা চিনি, বাদামি চিনি, চিনির সিরাপ, মধু, গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ, সুক্রোজ, ল্যাকটোজ, ম্যাল্টোজ ফল: আম, কলা, পেঁপে, কমলা, লেবু,
তরমুজ, আঙ্গুর, আনারস দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই, আইসক্রিম, ডেজার্ট প্রক্রিয়াজাত খাবার: মিষ্টি, কেক, পেস্ট্রি, কুকিজ, চকলেট, সোডা, ফলের জুস জটিল শর্করা যুক্ত খাবারের কিছু উদাহরণ: শস্য: চাল, গম, ভুট্টা, ওটস, রাই, বার্লি মূলাংশ: আলু, মিষ্টি আলু, গাজর, বিট, শসা ডাল ও লেবু: ডাল, ছোলা, মটরশুঁটি, সয়াবিন, বাদাম, বীজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, টমেটো, মরিচ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার উপকারিতা: শক্তির যোগান:
কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য প্রধান শক্তির উৎস। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের কোষগুলিতে শক্তি তৈরি হয়। অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা: কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, শ্বেতসার ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের শোষণে সহায়তা করে। শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখা: কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: অশ্বগন্ধার উপকারিতা ও এটি খাওয়ার নিয়ম
উদাহরণস্বরূপ, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, হজম, এবং পেশীর সংকোচন বজায় রাখতে সাহায্য করে। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার সতর্কতা: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য: ডায়াবেটিস রোগীদের কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। ওজন বৃদ্ধি: কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার সঠিক পরিমাণ: সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন 25 থেকে 38 গ্রাম শর্করা খাওয়া উচিত
শর্করা জাতীয় খাবারের উপকারিতা
শর্করা জাতীয় খাবারের উপকারিতাগুলি নিম্নরূপ:শক্তির যোগান: শর্করা শরীরের জন্য প্রধান শক্তির উৎস। শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের কোষগুলিতে শক্তি তৈরি হয়। শরীরের যেকোনো কাজের জন্য শক্তি প্রয়োজন হয়, যেমন হাঁটাচলা, দৌড়ানো, খেলাধুলা, কাজ করা, লেখাপড়া করা ইত্যাদি। শর্করা জাতীয় খাবার খেলে এই শক্তির চাহিদা পূরণ হয়।অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা: শর্করা জাতীয় খাবার অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে।
উদাহরণস্বরূপ, শ্বেতসার ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের শোষণে সহায়তা করে।শরীরের কার্যকারিতা বজায় রাখা: শর্করা জাতীয় খাবার শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, শর্করা জাতীয় খাবার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, হজম, এবং পেশীর সংকোচন বজায় রাখতে সাহায্য করে। শর্করা জাতীয় খাবারের কিছু নির্দিষ্ট উপকারিতা নিম্নরূপ:মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে: শর্করা জাতীয় খাবার মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।
শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়।হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: শ্বেতসার জাতীয় খাবার হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। শ্বেতসার জাতীয় খাবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং হজম অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।পেশীর বৃদ্ধি ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে: শর্করা জাতীয় খাবার পেশীর বৃদ্ধি ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শর্করা জাতীয় খাবার পেশী কোষগুলির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার সতর্কতাগুলি নিম্নরূপ:ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য: ডায়াবেটিস রোগীদের শর্করা জাতীয় খাবার সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। কারণ শর্করা জাতীয় খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।ওজন বৃদ্ধি: শর্করা জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
তাই শর্করা জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার আগে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়ার সঠিক পরিমাণ:ধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্কের প্রতিদিন 25 থেকে 38 গ্রাম শর্করা খাওয়া উচিত। তবে, শর্করা জাতীয় খাবারের ধরন এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নির্ভর করে এই পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।
শর্করা জাতীয় খাবার কাকে বলে
শর্করা জাতীয় খাবার হল সেইসব খাবার যাতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। কার্বোহাইড্রেট হল এক ধরনের জৈব রাসায়নিক পদার্থ যার প্রতিটি অণুতে কার্বনের (C), হাইড্রোজেন (H) এবং অক্সিজেন (O) থাকে, যেখানে হাইড্রোজেন পরমাণুর সাথে অক্সিজেন পরমাণুর অনুপাত হয় ২:১ (জলের অণুর মতই)।
সরল কথায় এটির স্থূল সংকেত হল Cm(H2O)n, যেখানে m এর মান এবং n এর মান ভিন্ন হতে পারে এবং n হল ৩ বা তদূর্ধ্ব সংখ্যা।। কিছু ব্যতিক্রমও অবশ্য আছে, যেমন: ডিঅক্সিরাইবোজ (এটি ডিএনএ তে চিনি হিসেবে থাকে) এর স্থূল সংকেত হল C5H10O4। শর্করা জাতীয় খাবারকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়:শ্বেতসার বা স্টার্চ: শ্বেতসার হল এক ধরনের জটিল শর্করা যা উদ্ভিদদেহে পাওয়া যায়।
শ্বেতসারের প্রধান উৎস হল ধান, গম, ভুট্টা, আলু, ডাল ইত্যাদি।চিনি: চিনি হল এক ধরনের সরল শর্করা যা উদ্ভিদ এবং প্রাণী উভয়েরই দেহে পাওয়া যায়। চিনির প্রধান উৎস হল ফল, মধু, দুধ, চিনি, গুড় ইত্যাদি।আঁশ: আঁশ হল এক ধরনের জটিল শর্করা যা পাচনতন্ত্রে হজম হয় না।
আঁশের প্রধান উৎস হল ফল, সবজি, ডাল, বাদাম, শস্য ইত্যাদি।শর্করা জাতীয় খাবার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। শর্করা শরীরের প্রধান শক্তির উৎস। শর্করা জাতীয় খাবার অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শোষণে সহায়তা করে। শর্করা জাতীয় খাবার শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
তবে, শর্করা জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত শর্করা খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। তাই শর্করা জাতীয় খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।