হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় যে অভ্যাসগুলো

হৃদরোগের প্রতিকার হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক। মানুষ যেকোনো সময় এর শিকার হতে পারেন। প্রয়োজনীয় সচেতনতা ও সঠিক জীবনযাপনের অনিয়মে পৃথিবীতে প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। তাই প্রয়োজন সচেতনতা। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই এমন অনেক কাজ রয়েছে যা বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনেই এসব অর্জন করা সম্ভব। কি খেলে হার্টবিট বাড়ে

হৃদরোগের প্রতিকার

হৃদরোগের মূল ঝুঁকিগুলো হলো উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এবং দেহের অতিরিক্ত ওজন- একথা বেশিরভাগ মানুষেরই জানা।

হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় যে অভ্যাসগুলো

হৃদরোগ বিশ্বের অন্যতম প্রধান মৃত্যুর কারণ। হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এমন অনেক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে কিছু অভ্যাস রয়েছে যা পরিবর্তন করা যেতে পারে।

হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এমন অভ্যাসগুলো হলো:

অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ধমনীগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য হৃদরোগের সমস্যার দিকে পরিচালিত করতে পারে।

উচ্চ কোলেস্টেরল: উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের অন্যতম প্রধান ঝুঁকির কারণ। উচ্চ কোলেস্টেরল ধমনীগুলোতে প্লেক জমা করতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য হৃদরোগের সমস্যার দিকে পরিচালিত করতে পারে।

আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় কিভাবে ঘুমানো উচিত জেনে নিন

স্থূলতা: স্থূলতা হৃদরোগের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। স্থূলতা রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে যুক্ত, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

অনিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ: অনিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ হৃদরোগের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। শারীরিক কার্যকলাপ রক্তচাপ কমাতে, কোলেস্টেরল কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ধূমপান: ধূমপান হৃদরোগের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। ধূমপান রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে যুক্ত, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন হৃদরোগের একটি ঝুঁকির কারণ। অ্যালকোহল রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সাথে যুক্ত, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

খারাপ খাদ্যাভ্যাস: খারাপ খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের একটি ঝুঁকির কারণ। অস্বাস্থ্যকর খাবার উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং স্থূলতার দিকে পরিচালিত করতে পারে, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করা যেতে পারে:

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন: আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন: আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ অনুসরণ করুন। নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার শারীরিক কার্যকলাপ করুন।

ধূমপান ত্যাগ করুন: যদি আপনি ধূমপান করেন তবে আজই ত্যাগ করুন। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন: পুরুষদের জন্য প্রতিদিন 2 ড্রিঙ্ক এবং মহিলাদের জন্য প্রতিদিন 1 ড্রিঙ্কের বেশি অ্যালকোহল পান করবেন না।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রচুর ফল, শাকসবজি, সাম্পূর্ণ শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন খান। এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করলে আপনি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে সাহায্য করতে পারেন।

হৃদরোগের প্রতিকার

হৃদরোগ একটি জটিল রোগ যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। হৃদরোগের প্রতিকারের জন্য মূলত এই কারণগুলোর চিকিৎসা করা হয়। হৃদরোগের প্রতিকারের জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেগুলো হলো:

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ, খাদ্য পরিবর্তন এবং শারীরিক কার্যকলাপের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন: উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ, খাদ্য পরিবর্তন এবং শারীরিক কার্যকলাপের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: স্থূলতা হৃদরোগের একটি ঝুঁকির কারণ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করুন: নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার শারীরিক কার্যকলাপ করা উচিত।

আরো পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে জেনে নিন

ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান হৃদরোগের একটি প্রধান কারণ। ধূমপান ত্যাগ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে।

অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান: প্রচুর ফল, শাকসবজি, সাম্পূর্ণ শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন খান।

এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যেতে পারে। তবে, হৃদরোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা।

হৃদরোগ ও স্ট্রোকের প্রধান কারণ কোনটি

হৃদরোগ ও স্ট্রোকের প্রধান কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপ ধমনীগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এই বাধা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং অন্যান্য হৃদরোগের সমস্যার দিকে পরিচালিত করতে পারে। হৃদরোগ ও স্ট্রোকের অন্যান্য প্রধান কারণগুলো হলো:

উচ্চ কোলেস্টেরল: উচ্চ কোলেস্টেরল ধমনীগুলোতে প্লেক জমা করতে পারে, যা রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। স্থূলতা: স্থূলতা রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে যুক্ত, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

অনিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ: অনিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ধূমপান: ধূমপান রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে যুক্ত, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সাথে যুক্ত, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। খারাপ খাদ্যাভ্যাস: অস্বাস্থ্যকর খাবার উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং স্থূলতার দিকে পরিচালিত করতে পারে, যা সবই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এই কারণগুলো পরিবর্তন করলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।

হৃদরোগের লক্ষণ

হৃদরোগ একটি জটিল রোগ যা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। হৃদরোগের লক্ষণগুলো রোগের ধরন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। করোনারি ধমনী রোগ (সিভিডি) হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ ধরন। সিভিডিতে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিভিডির লক্ষণগুলো হলো:

বুকে ব্যথা: বুকে ব্যথা সিভিডির সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এটি চাপ, ভারীতা, জ্বলন্ত বা চাপের মতো অনুভূত হতে পারে। বুকে ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝখানে হয়, তবে এটি ডান বা বাম বাহু, ঘাড়, কাঁধ, চোয়াল বা পিঠেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

শ্বাসকষ্ট: শ্বাসকষ্ট সিভিডির অন্যতম লক্ষণ। এটি পরিশ্রম বা বিশ্রামের সময় হতে পারে। ঘাম: ঘাম সিভিডির একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি সাধারণত বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের সাথে ঘটে। বমি বমি ভাব বা বমি: বমি বমি ভাব বা বমি সিভিডির একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি সাধারণত বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের সাথে ঘটে।

আরো পড়ুন: চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ৩টি উপায়

অজ্ঞানতা: অজ্ঞানতা সিভিডির একটি গুরুতর লক্ষণ। এটি একটি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। অন্যান্য ধরণের হৃদরোগ যেমন কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়া (হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতা), হার্ট ভালভ ডিসঅর্ডার এবং জন্মগত হৃদরোগ, তাদেরও বিভিন্ন লক্ষণ থাকতে পারে। হৃদরোগের লক্ষণগুলো যদি আপনি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে চিকিৎসা সহায়তা নিন।

হার্ট এটাক রোগীর খাদ্য তালিকা

হার্ট অ্যাটাক একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে। হার্ট অ্যাটাক থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর, একজন রোগীর খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে যাতে তার হার্ট স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো যায়।

হার্ট অ্যাটাক রোগীর খাদ্য তালিকায় নিম্নলিখিত খাবারগুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত:

ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের ভালো উৎস। এগুলো রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাক রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৫টি ফল এবং ৫টি শাকসবজি খাওয়া উচিত।

সম্পূর্ণ শস্য: সম্পূর্ণ শস্য ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাক রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৩টি পরিবেশন সম্পূর্ণ শস্য খাওয়া উচিত।

স্বল্প ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য: স্বল্প ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টির ভালো উৎস। এগুলো হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাক রোগীদের প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩টি পরিবেশন স্বল্প ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়া উচিত।

মাছ: মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাক রোগীদের সপ্তাহে কমপক্ষে ২-৩বার মাছ খাওয়া উচিত।

বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বীজ ফাইবার, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টির ভালো উৎস। এগুলো হার্ট স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাক রোগীদের প্রতিদিন ১-২ আউন্স বাদাম এবং বীজ খাওয়া উচিত।

হার্ট অ্যাটাক রোগীর খাদ্য তালিকায় নিম্নলিখিত খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিত:

ট্রান্স ফ্যাট: ট্রান্স ফ্যাট রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ট্রান্স ফ্যাটের উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে ভাজা খাবার, প্যাকেটজাত খাবার এবং বেকারি পণ্য।

স্যাচুরেটেড ফ্যাট: স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। স্যাচুরেটেড ফ্যাটের উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে লাল মাংস, পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্যাকেটজাত খাবার।

অতিরিক্ত সোডিয়াম: অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ায়। অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার এবং ফাস্ট ফুড। অতিরিক্ত চিনি: অতিরিক্ত চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে মিষ্টি পানীয়, মিষ্টি খাবার এবং চিনিযুক্ত প্যাকেটজাত খাবার।

আরো পড়ুন: হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় গুলি জেনে নিন

হার্ট অ্যাটাক রোগীদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা উচিত। পুষ্টিবিদ একজন রোগীর নির্দিষ্ট চাহিদা এবং লক্ষ্য অনুযায়ী একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারেন।

হৃদরোগের প্রাথমিক চিকিৎসা

হৃদরোগ হলো হৃৎপিণ্ডের একটি রোগ যা হৃৎপিণ্ডের সংকোচন এবং প্রসারণের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। হৃদরোগের অনেক ধরনের কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ধূমপান, এবং অনিয়ন্ত্রিত ওজন। হৃদরোগের প্রাথমিক চিকিৎসার লক্ষ্য হলো রোগীর জীবন রক্ষা করা এবং হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি কমানো। প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

অক্সিজেন সরবরাহ: হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অক্সিজেন সরবরাহ করা উচিত। অক্সিজেন হৃৎপিণ্ডকে তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে। অ্যাসপিরিন: অ্যাসপিরিন একটি ওষুধ যা রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের অ্যাসপিরিন দেওয়া হয় যাতে রক্তনালীতে রক্ত জমাট না বাঁধা।

ধমনীতে রক্ত প্রবাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা: হৃদরোগের কিছু ক্ষেত্রে, ধমনীতে রক্ত প্রবাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন হতে পারে। এটি করা যেতে পারে: স্টেন্টিং: স্টেন্টিং হলো একটি পদ্ধতি যেখানে একটি ছোট নল (স্টেন্ট) ধমনীতে ঢোকানো হয় যাতে রক্তনালীটি উন্মুক্ত থাকে।

বাইপাস সার্জারি: বাইপাস সার্জারি হলো একটি পদ্ধতি যেখানে একটি নতুন রক্তনালী ধমনীর চারপাশে স্থাপন করা হয় যাতে রক্তনালীটিকে রক্ত সরবরাহ করা যায়। হৃদরোগের প্রাথমিক চিকিৎসার পর, রোগীর দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

ওষুধ: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। লাইফস্টাইল পরিবর্তন: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে জীবনধারা পরিবর্তন প্রয়োজন। এটিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
  • ধূমপান ত্যাগ করা
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
  • রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা
হৃদরোগ একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তবে, প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার মাধ্যমে হৃদরোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

কি খেলে হার্টবিট বাড়ে

এমন অনেক খাবার আছে যা খেলে হার্টবিট বাড়তে পারে। এই খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে: কফি এবং চা: কফি এবং চাতে ক্যাফিন থাকে, যা একটি উত্তেজক পদার্থ যা হার্টবিট বাড়াতে পারে। কোলা এবং অন্যান্য শক্তি পানীয়: কোলা এবং অন্যান্য শক্তি পানীয়তে ক্যাফিন এবং অন্যান্য উত্তেজক পদার্থ থাকে যা হার্টবিট বাড়াতে পারে।

আরো পড়ুন: ব্রণ কেন হয় এবং ব্রণ দূর করার সহজ উপায়

অ্যালকোহল: অ্যালকোহল হার্টবিট বাড়াতে পারে। নিকোটিন: ধূমপান এবং অন্যান্য তামাকজাত পণ্য নিকোটিন ধারণ করে, যা হার্টবিট বাড়াতে পারে। শক্তিশালী মশলা: রসুন, রসুনের গুঁড়া, এবং গরম মশলা জাতীয় খাবার হার্টবিট বাড়াতে পারে। ক্যাফিনযুক্ত পানীয় ছাড়াও, চকোলেট, অ্যাসপিরিন, এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হার্টবিট বাড়তে পারে।

এছাড়াও, শারীরিক পরিশ্রম, উত্তেজনা, এবং কিছু শারীরিক অবস্থা যেমন হাইপারথাইরয়েডিজম এবং অ্যানাফিল্যাক্সিস হার্টবিট বাড়াতে পারে। যদি আপনি আপনার হার্টবিট বাড়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

হার্ট এর রোগীর নিষিদ্ধ খাবার

হার্টের রোগীদের জন্য নিষিদ্ধ খাবারগুলো হলো:
উচ্চ মাত্রার স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার: স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, যা হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। এই ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে:
  • লাল মাংস, যেমন গরুর মাংস, শুয়োরের মাংস, ভেড়ার মাংস
  • পুরানো পনির, যেমন চেডার এবং প্যামারেসান
  • সম্পূর্ণ দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য
  • ভাজা খাবার, যেমন ফ্রাই এবং ডোনাটস
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন পিৎজা, পাস্তা, এবং ফাস্ট ফুড
  • উচ্চ মাত্রার সোডিয়ামযুক্ত খাবার: সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ায়, যা হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। এই ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে:
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন পিৎজা, পাস্তা, এবং ফাস্ট ফুড
  • রেডিমেড খাবার, যেমন স্যুপ, সসেজ, এবং টিনজাত খাবার
  • অতিরিক্ত লবণ দেওয়া খাবার, যেমন ভাত, ডাল, এবং সবজি
  • উচ্চ মাত্রার চিনিযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত চিনি ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। এই ধরনের খাবারের মধ্যে রয়েছে:
  • মিষ্টি পানীয়, যেমন কোলা, ফ্রুট জুস, এবং সোডা
  • মিষ্টি খাবার, যেমন আইসক্রিম, চকলেট, এবং কেক
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন ফাস্ট ফুড এবং বেকারি পণ্য
  • এছাড়াও, হার্টের রোগীদের জন্য নিম্নলিখিত খাবারগুলো সীমিত করা উচিত:
  • এলকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
  • অতিরিক্ত ক্যাফিন: ক্যাফিন হার্টবিট বাড়াতে পারে।
  • অতিরিক্ত মসলা: তীব্র মসলা রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
  • হার্টের রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা নিম্নলিখিত খাবারগুলির উপর ফোকাস করা উচিত:
  • ফল এবং সবজি: ফল এবং সবজি ভিটামিন, খনিজ, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।
  • চর্বিহীন প্রোটিন: চর্বিহীন প্রোটিন, যেমন মাছ, মুরগি, এবং লেবুজাতীয় ফল, হৃদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
  • কম স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাদ্য: কম স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাদ্য, যেমন বাদাম, বীজ, এবং অসম্পৃক্ত তেল, হৃদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
  • কম সোডিয়ামযুক্ত খাদ্য: কম সোডিয়ামযুক্ত খাদ্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
হার্টের রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা তৈরি করতে একজন ডায়েটিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

হৃদরোগের চিকিৎসা কি

হৃদরোগের চিকিৎসা নির্ভর করে হৃদরোগের ধরন এবং তীব্রতার উপর। সাধারণত, হৃদরোগের চিকিৎসায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে:

ওষুধ: হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • বিটা-ব্লকার: বিটা-ব্লকার হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • অ্যাসপিরিন: অ্যাসপিরিন রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • এসিই ইনহিবিটার: এসিই ইনহিবিটার রক্তচাপ কমাতে এবং হার্টের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • স্ট্যাটিন: স্ট্যাটিন রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
  • ওয়ারফারিন: ওয়ারফারিন রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • লাইফস্টাইল পরিবর্তন: হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে লাইফস্টাইল পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • ধূমপান ত্যাগ করা: ধূমপান হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার একটি প্রধান কারণ।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
  • পর্যাপ্ত ঘুমানো: পর্যাপ্ত ঘুমানো হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • সার্জারি: কিছু ক্ষেত্রে, হৃদরোগ চিকিৎসায় সার্জারি প্রয়োজন হতে পারে। হৃদরোগ সার্জারির মধ্যে রয়েছে:
  • করোনারি ধমনী সংস্কার: করোনারি ধমনী সংস্কার হল একটি পদ্ধতি যাতে ধমনীতে ব্লক বা ক্ষতিগ্রস্ত অংশটিকে অপসারণ বা প্রতিস্থাপন করা হয়।
  • হার্ট বাইপাস: হার্ট বাইপাস হল একটি পদ্ধতি যাতে নতুন রক্তনালী তৈরি করা হয় যাতে রক্ত হার্টের ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে এড়িয়ে যেতে পারে।
  • ভালভ প্রতিস্থাপন: ভালভ প্রতিস্থাপন হল একটি পদ্ধতি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত ভালভকে নতুন ভালভ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।
হৃদরোগের চিকিৎসার লক্ষ্য হল হৃদরোগ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো, হৃদরোগের লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন