চাপ দাড়ি বা ঘন দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়
সেভ করলে কি দাড়ি গজায় অনেক পুরুষই দাড়ি রাখতে ভালোবাসেন। দাড়ি-গোঁফকে গর্বের বিষয়ও মনে করেন অনেকে। তাই হয়তো ‘দ্রুত কীভাবে দাড়ি বড় করা যায়’ এটি গুগল সার্চের জনপ্রিয় বিষয়। চকচকে কামানো নয়, বরং গাল ভরা দাড়িওয়ালা ছেলের দিকেই টান অনুভব করে মেয়েরা।
কারণ দাড়ি পৌরুষের লক্ষণ।উইকিহাউ অবলম্বনে ইন্ডিয়া টাইমস বাতলে দিয়েছে দ্রুত দাড়ি বড় করার কিছু প্রাকৃতিক উপায়। দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায়
পেঁয়াজের রস: পেঁয়াজের রসে সালফার রয়েছে যা দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেঁয়াজের রস দাড়ির গোড়ায় লাগালে দাড়ি দ্রুত ও ঘন হতে পারে।ইউক্যালিপটাস তেল: ইউক্যালিপটাস তেল দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং দাড়ির গোড়া শক্তিশালী করে। নিয়মিত ইউক্যালিপটাস তেল দাড়ির গোড়ায় লাগালে দাড়ি দ্রুত ও ঘন হতে পারে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই দাড়ি গজানোর জন্য ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও, চিকিত্সকের পরামর্শে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
দাড়ি নিয়মিত শেভ করা: অনেকে মনে করেন যে, দাড়ি নিয়মিত শেভ করলে দাড়ি বেশি ঘন হয়। কিন্তু এটি ধারণাটি ভুল। বরং, দাড়ি নিয়মিত শেভ করলে দাড়ির গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবং দাড়ি গজানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই দাড়ি শেভ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন দাড়ির গোড়ায় ক্ষতি না হয়।
নিয়মিত মালিশ করা: নিয়মিত মুখে মালিশ করলে মুখের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং দাড়ির বৃদ্ধি ভালো হয়। তাই দিনে দুবার ১০-১৫ মিনিট করে মুখে মালিশ করতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করা
এই নিয়মগুলি মেনে চললে দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়বে।
মিনোক্সিডিল: মিনোক্সিডিল একটি ঔষধ যা ত্বকে প্রয়োগ করা হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি একটি ওষুধ যা রক্তনালী প্রসারিত করে এবং ত্বকের কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। মিনোক্সিডিল বিভিন্ন ঘনত্বে পাওয়া যায়। দাড়ি গজানোর জন্য মিনোক্সিডিলের ৫% ঘনত্বের লোশন ব্যবহার করা হয়।
ফিনাস্টেরাইড: ফিনাস্টেরাইড একটি ঔষধ যা পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনকে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে (DHT) রূপান্তরিত হওয়া থেকে বাধা দেয়। DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই ফিনাস্টেরাইড দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন (DHT) প্রতিরোধক: DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই DHT প্রতিরোধক ঔষধ দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। তবে এই ঔষধগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। মিনোক্সিডিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ত্বকের লালভাব, চোখের জ্বালাপোড়া, এবং মাথাব্যথা। ফিনাস্টেরাইডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে যৌন ইচ্ছা হ্রাস, স্তন বৃদ্ধি, এবং বীর্যপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া।
দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের কার্যকারিতা: দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের কার্যকারিতা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। কিছু ক্ষেত্রে, ঔষধগুলি দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। আবার কিছু ক্ষেত্রে, ঔষধগুলির প্রভাব লক্ষ্য করা যায় না।
দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের দাম: দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের দাম ঔষধের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, মিনোক্সিডিলের লোশনের দাম প্রতি বোতল ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে হয়। ফিনাস্টেরাইডের দাম প্রতি বক্স ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে হয়।
মিনোক্সিডিল: মিনোক্সিডিল একটি ঔষধ যা ত্বকে প্রয়োগ করা হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি একটি ওষুধ যা রক্তনালী প্রসারিত করে এবং ত্বকের কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। মিনোক্সিডিল বিভিন্ন ঘনত্বে পাওয়া যায়। চাপ দাড়ি গজানোর জন্য মিনোক্সিডিলের ৫% ঘনত্বের লোশন ব্যবহার করা হয়।
ফিনাস্টেরাইড: ফিনাস্টেরাইড একটি ঔষধ যা পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনকে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে (DHT) রূপান্তরিত হওয়া থেকে বাধা দেয়। DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই ফিনাস্টেরাইড চাপ দাড়ি গজানোর জন্য বেশ কার্যকর।]
ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন (DHT) প্রতিরোধক: DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই DHT প্রতিরোধক ঔষধ চাপ দাড়ি গজানোর জন্য সাহায্য করতে পারে। তবে এই ঔষধগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
নিয়মিত নামাজ পড়া: নিয়মিত নামাজ পড়ার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। টেস্টোস্টেরন হরমোন দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত নামাজ পড়লে দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়ে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। টেস্টোস্টেরন হরমোন দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই দাড়ি গজানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে:
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে শরীরের পুনর্গঠন ভালো হয় এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। টেস্টোস্টেরন হরমোন দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই দাড়ি গজানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো জরুরি। প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
নিয়মিত মালিশ করা: নিয়মিত মালিশ করলে মুখের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং দাড়ির গোড়া শক্তিশালী হয়। দাড়ির গোড়া শক্তিশালী হলে দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়ে। তাই দাড়ি গজানোর জন্য নিয়মিত মালিশ করা উচিত।
ধৈর্য ধরা: রাতারাতি দাড়ি গজানো সম্ভব নয়। তাই দাড়ি গজানোর জন্য ধৈর্য ধরা জরুরি। নিয়মিত উপরের উপায়গুলি অনুসরণ করলে ধীরে ধীরে দাড়ি গজাতে শুরু করবে।
এছাড়াও, কিছু হারবাল ওষুধ দাড়ি গজানোর জন্য কার্যকর হতে পারে। তবে এই ওষুধগুলি ব্যবহারের আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা: পেঁয়াজের রসে সালফার থাকে। সালফার দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমলকীর তেল ব্যবহার করা: আমলকীর তেলে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন ই থাকে। এই ভিটামিনগুলি দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য আমলকীর তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা: জিংক দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
ধৈর্য ধরা: রাতারাতি দাড়ি গজানো সম্ভব নয়। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য ধৈর্য ধরা জরুরি। নিয়মিত উপরের উপায়গুলি অনুসরণ করলে ধীরে ধীরে দাড়ি গজাতে শুরু করবে।
এছাড়াও, কিছু হারবাল ওষুধ চাপ দাড়ি গজানোর জন্য কার্যকর হতে পারে। তবে এই ওষুধগুলি ব্যবহারের আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আমলকীর তেল ব্যবহার: আমলকীর তেলে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন ই থাকে। এই ভিটামিনগুলি দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য আমলকীর তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। আমলকীর তেল ব্যবহার করতে, একটি কটন বল ভিজিয়ে নিন এবং তা দাড়ির গোড়ায় লাগান।
জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ: জিংক দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে শরীরের পুনর্গঠন ভালো হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন: মানসিক চাপ দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দিতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে চেষ্টা করুন।
নিয়মিত উপরের উপায়গুলি অনুসরণ করলে চাপ দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়বে।
অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির সমস্যা
টেস্টিসের সমস্যা
হাইপোথাইরয়েডিজম
কুশিং সিনড্রোম
জিনগত কারণ: দাড়ি গজানোর প্রবণতা অনেকটাই জিনগতভাবে নির্ধারিত। যেসব পরিবারের পুরুষদের দাড়ি বেশি গজায়, সেসব পরিবারের পুরুষদের দাড়ি বেশি গজানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এছাড়াও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাড়ি না গজানোর কারণ হিসেবে নিম্নলিখিত কারণগুলোর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে:
পুষ্টির অভাব: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি পুষ্টির অভাবে দাড়ি গজাতে সমস্যা হতে পারে।
স্ট্রেস: স্ট্রেস দাড়ি গজানোর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রোগীদের দাড়ি গজাতে সমস্যা হতে পারে।
কিছু কিছু ওষুধ: কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দাড়ি গজাতে সমস্যা হতে পারে।
যদি আপনার দাড়ি না গজায়, তাহলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি আপনার দাড়ি না গজানোর কারণ নির্ণয় করে তার উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারবেন।
দাড়ি গজানোর সময় এবং গতির উপর জিনগত প্রভাব অনেক বেশি। যেসব পরিবারের পুরুষদের দাড়ি বেশি গজায়, সেসব পরিবারের পুরুষদের দাড়ি বেশি গজানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে শরীরের পুনর্গঠন ভালো হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন: মানসিক চাপ দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দিতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে চেষ্টা করুন।
নিয়মিত উপরের টিপসগুলি অনুসরণ করলে দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়বে।
মিনোক্সিডিল একটি ওষুধ যা ত্বকে প্রয়োগ করা হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালী প্রসারিত করে এবং ত্বকের কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। মিনোক্সিডিল বিভিন্ন ঘনত্বে পাওয়া যায়। চাপ দাড়ি গজানোর জন্য মিনোক্সিডিলের ৫% ঘনত্বের লোশন ব্যবহার করা হয়।
ফিনাস্টেরাইড একটি ওষুধ যা পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনকে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে (DHT) রূপান্তরিত হওয়া থেকে বাধা দেয়। DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই ফিনাস্টেরাইড চাপ দাড়ি গজানোর জন্য বেশ কার্যকর।
DHT প্রতিরোধক হলো এমন উপাদান যা DHT এর কার্যকারিতাকে বাধা দেয়। DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই DHT প্রতিরোধক উপাদানযুক্ত ক্রিম চাপ দাড়ি গজানোর জন্য কার্যকর হতে পারে।
ফিনাস্টেরাইডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে যৌন ইচ্ছা হ্রাস, স্তন বৃদ্ধি, এবং বীর্যপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া।
চাপ দাড়ি গজানোর ক্রিম ব্যবহারের আগে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সেভ করার ফলে দাড়ি গজানোর হার বা ঘনত্বের কোনও পরিবর্তন হয় না। তবে, কিছু লোকের ধারণা আছে যে ঘন ঘন সেভ করলে দাড়ি ঘন হয়। এই ধারণার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
সেভ করার ফলে দাড়ি গজানোর সময় কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ, সেভ করার ফলে দাড়ির গোড়ায় থাকা কোষগুলিতে কিছুটা ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি থেকে কোষগুলি পুনরুদ্ধার করতে কিছু সময় লাগে।
এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলে শেভ করার ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
চুল বা দাড়ি ঘন ঘন কাটলেই লম্বা হয় এমন একটি ধারণা থাকে বেশিরভাগ মানুষের। আসলে এটি ঠিক নয়। এর বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যাও নেই। তাই ঘন ঘন না কেটে নির্দিষ্ট বিরতি নিন। ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ বিরতিতে দাড়ি ছাঁটুন। এত ঘন দাড়ি পাওয়া সহজ হবে।
চাপ দাড়ি বা ঘন দাড়ি গজানোর প্রাকৃতিক উপায়
দাড়ি গজানোর জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যা বেশ কার্যকরী। এই উপায়গুলি দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার করলে দাড়ির ঘনত্ব এবং বৃদ্ধি বাড়তে পারে।ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই দাড়ি গজানোর জন্য ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও, চিকিত্সকের পরামর্শে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন: হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তির উপায়
মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখা: মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখলে দাড়ির বৃদ্ধি ভালো হয়। তাই দিনে দুবার হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়াও, সপ্তাহে অন্তত একবার ফেসওয়াশ ব্যবহার করে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।দাড়ি নিয়মিত শেভ করা: অনেকে মনে করেন যে, দাড়ি নিয়মিত শেভ করলে দাড়ি বেশি ঘন হয়। কিন্তু এটি ধারণাটি ভুল। বরং, দাড়ি নিয়মিত শেভ করলে দাড়ির গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবং দাড়ি গজানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই দাড়ি শেভ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন দাড়ির গোড়ায় ক্ষতি না হয়।
নিয়মিত মালিশ করা: নিয়মিত মুখে মালিশ করলে মুখের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং দাড়ির বৃদ্ধি ভালো হয়। তাই দিনে দুবার ১০-১৫ মিনিট করে মুখে মালিশ করতে হবে।
ধৈর্য ধরা: দাড়ি গজানোর জন্য ধৈর্য ধরা জরুরি। রাতারাতি দাড়ি গজানো সম্ভব নয়। তাই নিয়মিত উপরের উপায়গুলি অনুসরণ করলে ধীরে ধীরে দাড়ির ঘনত্ব এবং বৃদ্ধি বাড়বে।
এছাড়াও, কিছু নিয়ম মেনে চললে দাড়ির বৃদ্ধি ভালো হতে পারে। যেমন:
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করা
এই নিয়মগুলি মেনে চললে দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়বে।
দাড়ি গজানোর উপায় ঔষধ
দাড়ি গজানোর জন্য কিছু ঔষধ রয়েছে যা বেশ কার্যকরী। এই ঔষধগুলি ত্বকের উপর প্রয়োগ করা হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।মিনোক্সিডিল: মিনোক্সিডিল একটি ঔষধ যা ত্বকে প্রয়োগ করা হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি একটি ওষুধ যা রক্তনালী প্রসারিত করে এবং ত্বকের কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। মিনোক্সিডিল বিভিন্ন ঘনত্বে পাওয়া যায়। দাড়ি গজানোর জন্য মিনোক্সিডিলের ৫% ঘনত্বের লোশন ব্যবহার করা হয়।
ফিনাস্টেরাইড: ফিনাস্টেরাইড একটি ঔষধ যা পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনকে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে (DHT) রূপান্তরিত হওয়া থেকে বাধা দেয়। DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই ফিনাস্টেরাইড দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন (DHT) প্রতিরোধক: DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই DHT প্রতিরোধক ঔষধ দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। তবে এই ঔষধগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধ ব্যবহারের নিয়ম
দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধ ব্যবহারের নিয়ম ঔষধের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ঔষধগুলি দিনে দুইবার দাড়ির গোড়ায় প্রয়োগ করতে হয়। ঔষধগুলি ব্যবহারের আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। মিনোক্সিডিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ত্বকের লালভাব, চোখের জ্বালাপোড়া, এবং মাথাব্যথা। ফিনাস্টেরাইডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে যৌন ইচ্ছা হ্রাস, স্তন বৃদ্ধি, এবং বীর্যপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া।
দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের কার্যকারিতা: দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের কার্যকারিতা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। কিছু ক্ষেত্রে, ঔষধগুলি দ্রুত দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। আবার কিছু ক্ষেত্রে, ঔষধগুলির প্রভাব লক্ষ্য করা যায় না।
দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের দাম: দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধের দাম ঔষধের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, মিনোক্সিডিলের লোশনের দাম প্রতি বোতল ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে হয়। ফিনাস্টেরাইডের দাম প্রতি বক্স ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে হয়।
দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধ ব্যবহারের ঝুঁকি
দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধ ব্যবহারের কিছু ঝুঁকি রয়েছে। যেমন, মিনোক্সিডিলের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়তে পারে। আবার, ফিনাস্টেরাইডের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে যৌন ইচ্ছা হ্রাস পেতে পারে।চাপ দাড়ি গজানোর ঔষধ
চাপ দাড়ি হলো এমন দাড়ি যা নিয়মিত শেভ করার কারণে বাড়ে না। চাপ দাড়ি গজানোর জন্য কিছু ঔষধ রয়েছে যা বেশ কার্যকরী। এই ঔষধগুলি ত্বকের উপর প্রয়োগ করা হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।মিনোক্সিডিল: মিনোক্সিডিল একটি ঔষধ যা ত্বকে প্রয়োগ করা হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি একটি ওষুধ যা রক্তনালী প্রসারিত করে এবং ত্বকের কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। মিনোক্সিডিল বিভিন্ন ঘনত্বে পাওয়া যায়। চাপ দাড়ি গজানোর জন্য মিনোক্সিডিলের ৫% ঘনত্বের লোশন ব্যবহার করা হয়।
ফিনাস্টেরাইড: ফিনাস্টেরাইড একটি ঔষধ যা পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনকে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে (DHT) রূপান্তরিত হওয়া থেকে বাধা দেয়। DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই ফিনাস্টেরাইড চাপ দাড়ি গজানোর জন্য বেশ কার্যকর।]
ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন (DHT) প্রতিরোধক: DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই DHT প্রতিরোধক ঔষধ চাপ দাড়ি গজানোর জন্য সাহায্য করতে পারে। তবে এই ঔষধগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
চাপ দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধ ব্যবহারের নিয়ম
চাপ দাড়ি গজানোর জন্য ঔষধ ব্যবহারের নিয়ম ঔষধের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ঔষধগুলি দিনে দুইবার দাড়ির গোড়ায় প্রয়োগ করতে হয়। ঔষধগুলি ব্যবহারের আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।দাড়ি গজানোর ইসলামিক উপায়
ইসলামে দাড়ি রাখাকে ফরজ মনে করা হয়। তাই মুসলমান পুরুষদের দাড়ি গজানোর জন্য চেষ্টা করা উচিত। দাড়ি গজানোর জন্য কিছু ইসলামিক উপায় রয়েছে।নিয়মিত নামাজ পড়া: নিয়মিত নামাজ পড়ার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। টেস্টোস্টেরন হরমোন দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত নামাজ পড়লে দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়ে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। টেস্টোস্টেরন হরমোন দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই দাড়ি গজানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে:
- ফলমূল
- শাকসবজি
- গোটা শস্য
- মাছ
- মাংস
- দুগ্ধজাত খাবার
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে শরীরের পুনর্গঠন ভালো হয় এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। টেস্টোস্টেরন হরমোন দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই দাড়ি গজানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো জরুরি। প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
আরো পড়ুন: সর্দি-কাশি হলে ঘরোয়াভাবে সমাধান
ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করা: ধূমপান ও মদ্যপান টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। টেস্টোস্টেরন হরমোন দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই দাড়ি গজানোর জন্য ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করা জরুরি।নিয়মিত মালিশ করা: নিয়মিত মালিশ করলে মুখের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং দাড়ির গোড়া শক্তিশালী হয়। দাড়ির গোড়া শক্তিশালী হলে দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়ে। তাই দাড়ি গজানোর জন্য নিয়মিত মালিশ করা উচিত।
ধৈর্য ধরা: রাতারাতি দাড়ি গজানো সম্ভব নয়। তাই দাড়ি গজানোর জন্য ধৈর্য ধরা জরুরি। নিয়মিত উপরের উপায়গুলি অনুসরণ করলে ধীরে ধীরে দাড়ি গজাতে শুরু করবে।
এছাড়াও, কিছু হারবাল ওষুধ দাড়ি গজানোর জন্য কার্যকর হতে পারে। তবে এই ওষুধগুলি ব্যবহারের আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চাপ দাড়ি গজানোর উপায় কি
চাপ দাড়ি গজানোর উপায় নিম্নরূপ:
নিয়মিত মালিশ করা: নিয়মিত মালিশ করলে মুখের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং দাড়ির গোড়া শক্তিশালী হয়। দাড়ির গোড়া শক্তিশালী হলে দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়ে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য নিয়মিত মালিশ করা উচিত।পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা: পেঁয়াজের রসে সালফার থাকে। সালফার দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমলকীর তেল ব্যবহার করা: আমলকীর তেলে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন ই থাকে। এই ভিটামিনগুলি দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য আমলকীর তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা: জিংক দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
ধৈর্য ধরা: রাতারাতি দাড়ি গজানো সম্ভব নয়। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য ধৈর্য ধরা জরুরি। নিয়মিত উপরের উপায়গুলি অনুসরণ করলে ধীরে ধীরে দাড়ি গজাতে শুরু করবে।
এছাড়াও, কিছু হারবাল ওষুধ চাপ দাড়ি গজানোর জন্য কার্যকর হতে পারে। তবে এই ওষুধগুলি ব্যবহারের আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চাপ দাড়ি গজানোর জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি নিম্নরূপ:
পেঁয়াজের রস ব্যবহার: পেঁয়াজের রস দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা যেতে পারে। পেঁয়াজের রস তৈরি করতে, একটি পেঁয়াজকে ব্লেন্ড করে এর রস বের করে নিন। এই রসটি নিয়মিত দাড়ির গোড়ায় লাগান।আমলকীর তেল ব্যবহার: আমলকীর তেলে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন ই থাকে। এই ভিটামিনগুলি দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য আমলকীর তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। আমলকীর তেল ব্যবহার করতে, একটি কটন বল ভিজিয়ে নিন এবং তা দাড়ির গোড়ায় লাগান।
জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ: জিংক দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চাপ দাড়ি গজানোর জন্য জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে। জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চাপ দাড়ি গজানোর জন্য কিছু টিপস:
নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখুন: মুখ পরিষ্কার রাখলে মৃত কোষ ঝরে যায় এবং দাড়ির গোড়া শক্তিশালী হয়। তাই দিনে দুইবার মুখ ধুয়ে নিন।পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে শরীরের পুনর্গঠন ভালো হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
আরো পড়ুন: গলায় খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯টি সহজ উপায়
ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন: ধূমপান ও মদ্যপান টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। টেস্টোস্টেরন হরমোন দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন।
মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন: মানসিক চাপ দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দিতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে চেষ্টা করুন।
নিয়মিত উপরের উপায়গুলি অনুসরণ করলে চাপ দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়বে।
দাড়ি না গজানোর কারণ
দাড়ি না গজানোর কারণ প্রধানত দুইটি:
হরমোনজনিত কারণ: দাড়ি গজানোর জন্য পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেন অপরিহার্য। অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা কম থাকলে দাড়ি গজাতে সমস্যা হয়। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালে অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং দাড়ি গজাতে শুরু করে।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা কম থাকতে পারে, যার ফলে দাড়ি গজাতে সমস্যা হয়। এছাড়াও, কিছু কিছু রোগের কারণে অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে, যার ফলে দাড়ি গজাতে সমস্যা হয়। যেমন:
অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির সমস্যা
টেস্টিসের সমস্যা
হাইপোথাইরয়েডিজম
কুশিং সিনড্রোম
জিনগত কারণ: দাড়ি গজানোর প্রবণতা অনেকটাই জিনগতভাবে নির্ধারিত। যেসব পরিবারের পুরুষদের দাড়ি বেশি গজায়, সেসব পরিবারের পুরুষদের দাড়ি বেশি গজানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এছাড়াও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাড়ি না গজানোর কারণ হিসেবে নিম্নলিখিত কারণগুলোর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে:
পুষ্টির অভাব: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি পুষ্টির অভাবে দাড়ি গজাতে সমস্যা হতে পারে।
স্ট্রেস: স্ট্রেস দাড়ি গজানোর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রোগীদের দাড়ি গজাতে সমস্যা হতে পারে।
কিছু কিছু ওষুধ: কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দাড়ি গজাতে সমস্যা হতে পারে।
যদি আপনার দাড়ি না গজায়, তাহলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি আপনার দাড়ি না গজানোর কারণ নির্ণয় করে তার উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারবেন।
দাড়ি গজানোর বয়স
দাড়ি গজানোর বয়স সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালের সময় শুরু হয়। বয়ঃসন্ধিকালে পুরুষ হরমোন অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা দাড়ি গজানোর জন্য অপরিহার্য। সাধারণত ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সে দাড়ি গজাতে শুরু করে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সেও দাড়ি গজাতে শুরু করতে পারে।দাড়ি গজানোর সময় এবং গতির উপর জিনগত প্রভাব অনেক বেশি। যেসব পরিবারের পুরুষদের দাড়ি বেশি গজায়, সেসব পরিবারের পুরুষদের দাড়ি বেশি গজানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
দাড়ি গজানোর জন্য কিছু টিপস:
নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখুন: মুখ পরিষ্কার রাখলে মৃত কোষ ঝরে যায় এবং দাড়ির গোড়া শক্তিশালী হয়। তাই দিনে দুইবার মুখ ধুয়ে নিন।পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান: পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমালে শরীরের পুনর্গঠন ভালো হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
আরো পড়ুন: স্বাস্থ্য রক্ষার্থে রক্তচাপ কমে গেলে কী খাবেন?
ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন: ধূমপান ও মদ্যপান টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। টেস্টোস্টেরন হরমোন দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করুন।মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন: মানসিক চাপ দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দিতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে চেষ্টা করুন।
নিয়মিত উপরের টিপসগুলি অনুসরণ করলে দাড়ি গজানোর সম্ভাবনা বাড়বে।
চাপ দাড়ি গজানোর ক্রিম
চাপ দাড়ি গজানোর ক্রিম হলো এমন একটি ক্রিম যা নিয়মিত ব্যবহারে চাপ দাড়ি গজাতে সাহায্য করে। এই ক্রিমগুলিতে সাধারণত মিনোক্সিডিল, ফিনাস্টেরাইড, বা DHT প্রতিরোধক উপাদান থাকে।মিনোক্সিডিল একটি ওষুধ যা ত্বকে প্রয়োগ করা হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালী প্রসারিত করে এবং ত্বকের কোষের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। মিনোক্সিডিল বিভিন্ন ঘনত্বে পাওয়া যায়। চাপ দাড়ি গজানোর জন্য মিনোক্সিডিলের ৫% ঘনত্বের লোশন ব্যবহার করা হয়।
ফিনাস্টেরাইড একটি ওষুধ যা পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনকে ডিহাইড্রোটেস্টোস্টেরনে (DHT) রূপান্তরিত হওয়া থেকে বাধা দেয়। DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই ফিনাস্টেরাইড চাপ দাড়ি গজানোর জন্য বেশ কার্যকর।
DHT প্রতিরোধক হলো এমন উপাদান যা DHT এর কার্যকারিতাকে বাধা দেয়। DHT দাড়ির বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই DHT প্রতিরোধক উপাদানযুক্ত ক্রিম চাপ দাড়ি গজানোর জন্য কার্যকর হতে পারে।
চাপ দাড়ি গজানোর ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম:
- ক্রিমটি নিয়মিত দাড়ির গোড়ায় লাগান।
- ক্রিমটি লাগানোর আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন।
- ক্রিমটি লাগানোর পরে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।
- ক্রিমটি ব্যবহারের আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চাপ দাড়ি গজানোর ক্রিম ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
মিনোক্সিডিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ত্বকের লালভাব, চোখের জ্বালাপোড়া, এবং মাথাব্যথা।ফিনাস্টেরাইডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে যৌন ইচ্ছা হ্রাস, স্তন বৃদ্ধি, এবং বীর্যপাতের পরিমাণ কমে যাওয়া।
চাপ দাড়ি গজানোর ক্রিম ব্যবহারের ফলাফল:
চাপ দাড়ি গজানোর ক্রিম ব্যবহারের ফলাফল ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়। কিছু ক্ষেত্রে, দ্রুত দাড়ি গজাতে দেখা যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে, তেমন কোনও ফলাফল লক্ষ্য করা যায় না।চাপ দাড়ি গজানোর ক্রিম ব্যবহারের আগে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সেভ করলে কি দাড়ি গজায়
না, সেভ করলে দাড়ি গজায় না। সেভ করলে কেবল দাড়ির উপরের অংশটি কেটে ফেলা হয়। দাড়ির গোড়ায় থাকা কোষগুলি এখনও জীবিত থাকে এবং নতুন দাড়ি গজাতে থাকে।সেভ করার ফলে দাড়ি গজানোর হার বা ঘনত্বের কোনও পরিবর্তন হয় না। তবে, কিছু লোকের ধারণা আছে যে ঘন ঘন সেভ করলে দাড়ি ঘন হয়। এই ধারণার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
সেভ করার ফলে দাড়ি গজানোর সময় কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ, সেভ করার ফলে দাড়ির গোড়ায় থাকা কোষগুলিতে কিছুটা ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি থেকে কোষগুলি পুনরুদ্ধার করতে কিছু সময় লাগে।
আরো পড়ুন: হাত - পা জ্বালাপোড়ার কারণে লুকিয়ে থাকে যে সব রোগ
সেভ করার ফলে দাড়ি গজানোর কোনও পরিবর্তন না হলেও, সেভ করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। যেমন:- সেভ করার আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন।
- শেভ করার জন্য ভালো মানের শেভিং ক্রিম বা জেল ব্যবহার করুন।
- শেভ করার সময় ত্বকের উপর চাপ প্রয়োগ করবেন না।
- শেভ করার পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগান।