ব্রণ কেন হয় এবং ব্রণ দূর করার সহজ উপায়
একদিনে ব্রণ দূর করার উপায় ব্রণের সমস্যা আপনার ত্বকে আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। নাছোড়বান্দা ব্রণ একবার দেখা দিলে সহজে দূর হতে চায় না। এক্ষেত্রে নানাজন নানা ধরনের উপায় বেছে নেন। তবে কেমিক্যালযুক্ত বিভিন্ন প্রসাধনীর বদলে বেছে নিতে পারেন ঘরোয়া উপায়। ঘরোয়া উপায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরাপদ। তবে সঠিক উপায় জানা থাকা চাই। এতে সুফল পাবেন সহজেই। মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত
আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কিশোর-কিশোরীদের ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। ব্রণ মূলত বয়ঃসন্ধিকালীন একটি সমস্যা। তবে বিভিন্ন বয়সে নারী ও পুরুষদের ব্রণের সমস্যা দেখা যেতে পারে।
ব্রণ কেন হয় এবং ব্রণ দূর করার সহজ উপায়
ব্রণ হল ত্বকের একটি সাধারণ সমস্যা যা মুখ, পিঠ, বুক, এবং কাঁধে দেখা যায়। ব্রণ হল একটি প্রদাহজনক অবস্থা যা ত্বকের তৈলাক্ত গ্রন্থিগুলোর সাথে সম্পর্কিত। এই গ্রন্থিগুলো থেকে একটি তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসৃত হয় যা সেবাম নামে পরিচিত।
আরো পড়ুন: হজম শক্তি বৃদ্ধির উপায় গুলি জেনে নিন
সেবাম ত্বককে মসৃণ এবং আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। তবে, যদি এই গ্রন্থিগুলোতে অতিরিক্ত সেবাম তৈরি হয়, তাহলে ত্বকের রোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে ত্বকের মৃত কোষ, ব্যাকটেরিয়া, এবং অন্যান্য জীবাণুগুলো জমে যেতে পারে। এই জমাটবদ্ধ পদার্থগুলো ব্রণ তৈরি করে।
ব্রণ হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান কারণগুলো হল:
- হরমোনের পরিবর্তন: বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের পরিবর্তন ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। এই সময়ে শরীরে অ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অ্যান্ড্রোজেন সেবাম নিঃসরণ বৃদ্ধি করে, যা ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- ত্বকের তৈলাক্ততা: ত্বকের তৈলাক্ততা ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। ত্বক যদি বেশি তৈলাক্ত হয়, তাহলে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
- অতিরিক্ত ঘাম: অতিরিক্ত ঘামও ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। ঘামে থাকা ত্বকতে ব্যাকটেরিয়া সহজেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে, যা ব্রণ তৈরি করে।
- জীবাণুর সংক্রমণ: ত্বকের মৃত কোষ, ব্যাকটেরিয়া, এবং অন্যান্য জীবাণুগুলো ব্রণ তৈরি করতে পারে।
- অপরিচ্ছন্নতা: ত্বক পরিষ্কার না রাখলে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
- মানসিক চাপ: মানসিক চাপ ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
ব্রণ দূর করার জন্য অনেকগুলো উপায় রয়েছে। এর মধ্যে কিছু সহজ উপায় হল:
- ত্বক পরিষ্কার রাখা: দিনে দুবার মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
- ত্বকে অতিরিক্ত তেল জমতে বাধা দেওয়া: তেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
- মুখে হাত না লাগান: ব্রণে হাত লাগালে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ব্রণ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি, এবং জল পান করুন।
ব্রণ বেশি হলে বা ব্রণের কারণে দাগ পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসক ব্রণ দূর করার জন্য ওষুধ বা চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।
৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়
৭ দিনে ব্রণ দূর করা সম্ভব কিনা তা নির্ভর করে ব্রণের ধরন, ব্রণের তীব্রতা, এবং ব্যক্তির ত্বকের ধরন ইত্যাদির উপর। তবে, কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করে ব্রণ কমানো এবং দ্রুত সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানো যেতে পারে।
৭ দিনে ব্রণ দূর করার জন্য কিছু সহজ উপায় হল:
- ত্বক পরিষ্কার রাখা: দিনে দুবার মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
- ত্বকে অতিরিক্ত তেল জমতে বাধা দেওয়া: তেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
- মুখে হাত না লাগান: ব্রণে হাত লাগালে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ব্রণ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি, এবং জল পান করুন।
এছাড়াও, কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। যেমন:
লেবু: লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে সাহায্য করে। লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্রণযুক্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
আরো পড়ুন: কি খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে
টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। এটি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। টি ট্রি অয়েল অয়েল ক্লিনজার বা টোনারের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
ওটমিল: ওটমিলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ওটমিল দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্রণযুক্ত স্থানে ঘষে নিতে পারেন।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করে ৭ দিনে ব্রণ কমে যেতে পারে। তবে, যদি ব্রণ বেশি হয় বা ব্রণের কারণে দাগ পড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দ্রুত ব্রণ দূর করার উপায়
ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা যা ত্বকের তৈলাক্ততা, জীবাণু এবং হরমোনের কারণে হতে পারে। ব্রণ দূর করার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: ঔষধপত্র
ব্রণ দূর করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল ঔষধপত্র। ব্রণের ধরন অনুসারে ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের ওষুধপত্র দেবেন। সাধারণত ব্যবহৃত ওষুধপত্রের মধ্যে রয়েছে:
- অ্যান্টিবায়াটিক: অ্যান্টিবায়াটিক ব্রণের জীবাণু সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
- রেটিনয়েড: রেটিনয়েড ত্বকের কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্রণের গঠন রোধ করে।
- অ্যান্টি-অ্যান্ড্রোজেন: অ্যান্টি-অ্যান্ড্রোজেন হরমোন উৎপাদন কমিয়ে ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক উপায়
ব্রণ দূর করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও রয়েছে। এই উপায়গুলোর মধ্যে রয়েছে:
- বরফ: বরফ ব্রণের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
- টুথপেস্ট: টুথপেস্টে থাকা উপাদান ব্রণ শুকাতে সাহায্য করে।
- লেবুর রস: লেবুর রস ব্রণ শুকাতে এবং ত্বকের ছিদ্র ছোট করতে সাহায্য করে।
- মধু: মধুতে থাকা অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান ব্রণের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
- চন্দন: চন্দনে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্ন: ত্বকের যত্ন নেওয়াও ব্রণ দূর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দিনে দুইবার মৃদু সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। এছাড়াও, অতিরিক্ত তেল উৎপাদন রোধ করতে মুখের ত্বকে তেল-মুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ব্রণ দূর করার কিছু টিপস
- ব্রণ টিপানো বা চাপানো থেকে বিরত থাকুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ বাড়তে পারে।
- ব্রণের উপর অতিরিক্ত মেকআপ ব্যবহার করবেন না।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং অতিরিক্ত চিনি এবং ক্যাফেইন গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
ব্রণ দূর করার জন্য উপরের উপায়গুলো অনুসরণ করলে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে। তবে, যদি ব্রণ বেশি হয় বা দীর্ঘদিন ধরে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়
ছেলেদের মুখে ব্রণ হওয়ার প্রধান কারণ হল হরমোনের পরিবর্তন। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন নামক হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। অ্যান্ড্রোজেন ত্বকের তৈলাক্ততা বৃদ্ধি করে, যা ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার জন্য কিছু সহজ উপায় হল:
- ত্বক পরিষ্কার রাখা: দিনে দুবার মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
- ত্বকে অতিরিক্ত তেল জমতে বাধা দেওয়া: তেলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
- মুখে হাত না লাগান: ব্রণে হাত লাগালে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা ব্রণ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি, এবং জল পান করুন।
এছাড়াও, কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। যেমন:
- লেবু: লেবুর মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এবং ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে সাহায্য করে। লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ব্রণযুক্ত স্থানে লাগাতে পারেন।
- টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। এটি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। টি ট্রি অয়েল অয়েল ক্লিনজার বা টোনারের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
- ওটমিল: ওটমিলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ওটমিল দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ব্রণযুক্ত স্থানে ঘষে নিতে পারেন।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে ব্রণ কমে যেতে পারে। তবে, যদি ব্রণ বেশি হয় বা ব্রণের কারণে দাগ পড়ে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
একদিনে ব্রণ দূর করার উপায়
ব্রণ একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা যা যেকোনো বয়সেই হতে পারে। ব্রণ দূর করার জন্য অনেক ধরনের ওষুধ ও প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে, একদিনে ব্রণ দূর করার কোনো নিশ্চিত উপায় নেই। তবে, কিছু ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ কিছুটা কমানো যেতে পারে।
ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়
টুথপেস্ট: টুথপেস্টে থাকা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রণের উপর টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন। সকালে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
আরো পড়ুন: সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
লেবু: লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। ব্রণের উপর লেবুর রস লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে, সেনসিটিভ স্কিন হলে লেবু ব্যবহার করা উচিত নয়।
বেকিং সোডা: বেকিং সোডায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ব্রণের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ব্রণের উপর লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েলে থাকা অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। টি ট্রি অয়েল ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ব্রণের উপর লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
হলুদ: হলুদে থাকা অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ব্রণের প্রদাহ ও দাগ কমাতে সাহায্য করতে পারে। হলুদ ও মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি ব্রণের উপর লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
মুখে ব্রণ হলে কি মাখা উচিত
মুখে ব্রণ হলে মাখার জন্য কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করতে পারে যেমন:
স্যালিসাইলিক অ্যাসিড: স্যালিসাইলিক অ্যাসিড একটি ত্বক-স্ক্রাবিং উপাদান যা ত্বকের মৃত কোষ এবং ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলিকে পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে, যা ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
রেটিনল: রেটিনল একটি ভিটামিন এ-জাতীয় উপাদান যা ত্বকের কোষের পুনর্জন্মকে উদ্দীপিত করে। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলিকে সংকুচিত করতে এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
বেনজয়েল পারঅক্সাইড: বেনজয়েল পারঅক্সাইড একটি অ্যান্টিসেপটিক যা ব্রণের কারণ হতে পারে এমন ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলিকে পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
রেসরসিনল: রেসরসিনল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা ব্রণের কারণ হতে পারে এমন ব্যাকটেরিয়াগুলিকে মেরে ফেলে। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলিকে পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
এই উপাদানগুলির সমন্বয়ে তৈরি ব্রণরোধী ফেসওয়াশ, টোনার, ময়েশ্চারাইজার, ক্রিম বা জেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্রণের তীব্রতা অনুসারে এই উপাদানগুলির ঘনত্ব ভিন্ন হতে পারে। এছাড়াও, ব্রণ কমাতে কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও কার্যকর হতে পারে। এগুলো হল:
- চা পাতার রস: চা পাতার রস ত্বকের ছিদ্রগুলিকে সংকুচিত করতে এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
- লেবুর রস: লেবুর রস ত্বকের মৃত কোষ এবং ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলিকে পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে।
- আদা: আদা ত্বকের ছিদ্রগুলিকে সংকুচিত করতে এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
ব্রণ কমাতে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলাও জরুরি। এগুলো হল:
- মুখ পরিষ্কার রাখুন: দিনে দুবার ব্রণরোধী ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
- তেলযুক্ত প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন: তেলযুক্ত প্রসাধনী ত্বকের ছিদ্রগুলিকে বন্ধ করে দিতে পারে, যা ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- অতিরিক্ত রোদ এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত রোদ ত্বকের ছিদ্রগুলিকে বড় করে তুলতে পারে, যা ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
- পর্যাপ্ত ঘুম নিন: পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলুন: কিছু খাবার, যেমন ফাস্টফুড, মিষ্টিজাতীয় খাবার, দুগ্ধজাতীয় খাবার ইত্যাদি ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা, তবে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা, তেলযুক্ত প্রসাধনী এড়িয়ে চলা, অতিরিক্ত রোদ এড়িয়ে চলা, পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া এবং নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চললে ব্রণ কমানো সম্ভব।
মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার উপায়
মেয়েদের মুখের ব্রণ দূর করার জন্য যে সকল উপায়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো:
ঘরোয়া উপায়
টুথপেস্ট: টুথপেস্টে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। ব্রণের উপরে টুথপেস্ট লাগিয়ে 15-20 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তবে, টুথপেস্টের অ্যালুমিনিয়াম সালফেট নামক উপাদানটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই, টুথপেস্ট ব্যবহারের আগে এটিতে অ্যালুমিনিয়াম সালফেট আছে কিনা তা দেখে নিন।
নিম-তুলসির পেস্ট: নিম ও তুলসির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ নিম পাউডার ও ১ চা চামচ তুলসি পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
আরো পড়ুন: মাথার টাকে চুল গজানোর উপায়
মধু-দারচিনি: মধুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে ১/৪ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
ডিমের সাদা অংশ: ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন ব্রণের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
ঔষধপত্র
ওভার-দ্য-কাউন্টার (OTC) ওষুধ: ব্রণ দূর করার জন্য বাজারে অনেক ধরনের OTC ওষুধ পাওয়া যায়। এসব ওষুধে সাধারণত অ্যান্টি-অ্যাকনে উপাদান থাকে। এসব ওষুধের মধ্যে রয়েছে:
- অ্যান্টিবায়োটিক: অ্যান্টিবায়োটিক ব্রণের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
- রেটিনয়েড: রেটিনয়েড ব্রণের কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
- সালিসাইলিক অ্যাসিড: সালিসাইলিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করে।
- প্রেসক্রিপশন ওষুধ: ব্রণের সমস্যা বেশি হলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে প্রেসক্রিপশন ওষুধ সেবন করতে হবে। এসব ওষুধে সাধারণত অ্যান্টি-অ্যাকনে হরমোন, অ্যান্টি-অ্যান্টিজেনিক ওষুধ বা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ওষুধ থাকে।
লাইফস্টাইল পরিবর্তন
নিয়মিত মুখ পরিষ্কার করা: ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে ব্রণ হতে পারে। তাই, প্রতিদিন সকালে ও রাতে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।
জলযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া: শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল থাকা জরুরি। কারণ, জল ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। তাই, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
চিনিযুক্ত খাবার কম খাওয়া: চিনিযুক্ত খাবার ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই, চিনিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
পর্যাপ্ত ঘুমানো: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই, প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
ব্রণ দূর করতে উপরোক্ত উপায়গুলি অনুসরণ করার পাশাপাশি নিয়মিত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
তৈলাক্ত ত্বক ব্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত তেল ত্বকের ছিদ্রে আটকে গেলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া জমে ব্রণের সৃষ্টি করে। তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য যে সকল উপায়গুলো অনুসরণ করতে পারেন:
নিয়মিত মুখ ধোয়া: দিনে দুইবার, সকালে এবং রাতে, মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
এক্সফলিয়েশন: সপ্তাহে একবার বা দুইবার ত্বক এক্সফলিয়েট করুন। এতে ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার হবে এবং ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি কমবে। এক্সফলিয়েট করার জন্য আপনি বাজারে পাওয়া এক্সফলিয়েটিং ক্রিম বা প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। অথবা, প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও এক্সফলিয়েট তৈরি করতে পারেন। যেমন, বেসন, চালের গুঁড়া, মধু, লেবুর রস ইত্যাদি।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
ব্রণ প্রতিরোধক ওষুধ ব্যবহার: ব্রণ বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শে ব্রণ প্রতিরোধক ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
লেবু ব্রণ দূর করার জন্য কিছু প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে, তবে এটি কেবলমা কিছু ক্ষণিক সাহায্য করতে পারে এবং সাধারিত চিকিৎসা বা ডার্মাটোলজিস্টের সাথে পরামর্শ না হলে অনুমান করা সত্ত্বেও একটি প্রাথমিক উপায় হয়ে থাকে।
লেবু রস: লেবু রসে ভরপূর ভিটামিন C আছে যা ত্বকের স্বাস্থ্য বান্ধবান্ধনে সাহায্য করতে পারে। লেবু রস ব্রণের উপর প্রতিদিন একবার লাগিয়ে রাখতে পারেন।
লেবু চিলা ও পাতা:
লেবুর চিলা বা পাতা: ব্রণের উপর রেখে দিলে তা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ত্বকের প্রসারণ ও রক্ত পোড়ানোর জন্য উপকারী হতে পারে।
আরো পড়ুন: মানুষের দেহে ডিএনএ কত দৈর্ঘ্য কিঃ মিঃ
হানিতে লেবু মিশানো: হানি ব্রণের উপর আপ্লাই করলে তা সোয়াবিং এবং মৃদুত্ব দিতে সাহায্য করতে পারে। হানির আন্টিব্যাকটেরিয়াল গুনে থাকতে পারে এবং ব্রণের সংক্রান্ত সমস্যার বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: ব্রণ একটি সমস্যা হলে আপনি একজন ডার্মাটোলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারা আপনার ত্বকের ধরন এবং সমস্যার উপর ভিত্তি করে আপনাকে উপযুক্ত চিকিত্সা সাজাবেন।
এই উপায়গুলি কেবলমা সামান্য ব্রণের জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে এবং প্রতিস্থানে যদি কোনও সুস্থ সমস্যা থাকে তবে আপনাকে একজন চিকিত্সকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।