ক্যান্সার এর ধরণ লক্ষণ ও প্রতিরোধে করনীয়

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে ক্যান্সার বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পড়ে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোন চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না। 

বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

পেটে ব্যথা কিম্বা কাশি- অনেকদিনের চিকিৎসার পরেও যদি সেরে না ওঠে, তাহলে সেটা ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে এবং অনতিবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে- বলছেন ইংল্যান্ডে স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা এনএইচএসের কর্তাব্যক্তিরা।

ক্যান্সার এর ধরণ লক্ষণ ও প্রতিরোধে করনীয়

ক্যান্সারের ধরণ
ক্যান্সারের অনেক ধরন রয়েছে। ক্যান্সারের ধরন নির্ভর করে কোষের ধরন এবং যে অঙ্গ বা টিস্যুতে ক্যান্সার শুরু হয় তার উপর। কিছু সাধারণ ক্যান্সারের ধরন হল:স্তন ক্যান্সার: স্তনের কোষগুলিতে শুরু হওয়া ক্যান্সার। 

স্তন ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে স্তনে একটি টিউমার বা ফোলাভাব, স্তন থেকে রক্তপাত বা স্রাব, স্তনের চামড়ার পরিবর্তন, এবং স্তনে ব্যথা। প্রোস্টেট ক্যান্সার: পুরুষ প্রোস্টেট গ্রন্থিতে শুরু হওয়া ক্যান্সার। প্রোস্টেট ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে প্রস্রাবের সমস্যা, বীর্যপাতের সমস্যা, এবং পেটে ব্যথা। ফুসফুস ক্যান্সার: ফুসফুসের কোষগুলিতে শুরু হওয়া ক্যান্সার। 

আরো পড়ুন: কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, এবং ওজন হ্রাস। কোলোরেক্টাল ক্যান্সার: কোলন এবং রেক্টামের কোষগুলিতে শুরু হওয়া ক্যান্সার। কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, রক্তযুক্ত মল, এবং পেটে ব্যথা। ত্বক ক্যান্সার: ত্বকের কোষগুলিতে শুরু হওয়া ক্যান্সার। ত্বক ক্যান্সারের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে ত্বকে একটি নতুন দাগ বা ত্বকের দাগগুলির মধ্যে পরিবর্তন।
ক্যান্সারের লক্ষণ
ব্যথা
টিউমার বা ফোলাভাব
ওজন হ্রাস
অরুচি
ঘাম
ক্লান্তি

ক্যান্সারের প্রতিরোধ

ক্যান্সারের প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:
ধূমপান থেকে বিরত থাকা: ধূমপান ক্যান্সারের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কারণ। ধূমপান থেকে বিরত থাকা ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।
স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ক্যান্সারকে প্রাথমিক পর্যায়ে ধরতে সাহায্য করতে পারে, যখন এটি আরও কার্যকরভাবে চিকিত্সা করা যেতে পারে।

ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ক্যান্সারের ধরন ক্যান্সারের কিছু ধরন অন্যদের তুলনায় বেশি মারাত্মক। উদাহরণস্বরূপ, স্তন ক্যান্সার সাধারণত একটি সারভাইভাল হার রয়েছে যা 90% এর বেশি, যখন ফুসফুস ক্যান্সারের 5 বছরের সারভাইভাল হার 17%।

ক্যান্সারের অবস্থান ক্যান্সার শরীরের যে অঙ্গ বা টিস্যুতে শুরু হয় তার উপরও সারভাইভাল হার প্রভাবিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, টিউমারটি স্তনের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে সারভাইভাল হার কমে যায়।

রোগীর বয়স এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা বয়স্ক রোগীদের ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। এছাড়াও, অন্য স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম থাকে।

আরো পড়ুন: হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণ জেনে নিন

চিকিৎসা ক্যান্সারের চিকিৎসা ক্যান্সারের ধরন, অবস্থান, এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়ানো যেতে পারে।

সাধারণভাবে, ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। 1975 সালে, ক্যান্সারের 5 বছরের সারভাইভাল হার ছিল 50%। 2020 সালে, এটি 66%। এই উন্নতির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

ক্যান্সারের প্রাথমিক সনাক্তকরণ: ক্যান্সারকে প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা গেলে, এটি আরও কার্যকরভাবে চিকিত্সা করা যেতে পারে।

ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ

অস্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক শব্দাড়চ্ছার সাথে জড়িত শোনা: কিছু ক্যান্সারের আক্রান্ত ব্যক্তির জিবনে একটি অস্বাভাবিক শব্দাড়চ্ছার অনুভূতি হতে পারে, যা বাছাইকৃত কিছু অস্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক শব্দের সাথে জড়িত থাকে।
অস্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক রকমের ক্ষুদ্র বা বড় গাঁধভাঙ্গা: কিছু ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির উপর অস্বাভাবিক গাঁধভাঙ্গা হতে পারে, যা একটি মৌকিক লক্ষণ হতে পারে।
ভারী ও অকুশল ওজন হারানো: কিছু ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তি অনুযায়ী ওজন হারানো হতে পারে যা অতিক্রম করতে পারে।
পেটে বা অন্যান্য শারীরিক অংশে স্যাটলিটাইস বা গাঁথা হওয়া: ক্যান্সার প্রসারের ফলে শারীরিক অংশে স্যাটলিটাইস বা গাঁথা হওয়া হতে পারে, যা স্পষ্টভাবে অনুভূতি হতে পারে।
ক্রোমজোম অথবা কোষে পরিবর্তন: কিছু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া সাথে ক্রোমজোম বা কোষে পরিবর্তন হতে পারে, যা সাধারিত কোষ অবস্থান থেকে বিভিন্ন হতে পারে।
অস্বাভাবিক বা নির্দিষ্ট অংশে ব্যাথা অবস্থান: অস্বাভাবিক অথবা নির্দিষ্ট অংশে ব্যাথা হওয়া অথবা অস্বাভাবিক গঠনে বা অংশে স্যাটলিটাইস বা গাঁথা হওয়া হতে পারে।
ব্লাডি স্টুল বা যৌনসঙ্গমে রক্ত রপ্তানো: কিছু ক্যান্সার প্রকারে রক্ত রপ্তানো হতে পারে এবং এটি স্বাভাবিক রঙের নয় হতে পারে।
কষ্ট বা ক্যাঞ্জারের প্রসারের কারণে শ্বাসকষ্ট: কিছু ক্যান্সার ধরে নেওয়ার ফলে বা ক্যাঞ্জারের প্রসারের কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
প্রসারের কারণে কোন স্থানে ঠাণ্ডা বা ব্যথার অনুভূতি: ক্যান্সারের প্রসারের কারণে কোন স্থানে ঠাণ্ডা বা ব্যথা হতে পারে, যা অক্সফোর্ডিয়া অথবা প্যারাথেসিয়া দ্বারা উত্পন্ন হতে পারে।
স্যাটলিটাইস বা গাঁথা অথবা গোড়ালির প্রসারের কারণে অস্বাভাবিক ওজন হারানো: ক্যান্সারের স্যাটলিটাইস বা গাঁথা হওয়ার ফলে অস্বাভাবিক ওজন হারানো হতে পারে।

ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ

খাওয়ার অসুবিধা: ক্যান্সার রোগীদের খাওয়ার অসুবিধা হতে পারে। তারা তাদের খাবারের স্বাদ হারাতে পারে, বমি বমি ভাব বা বমি করতে পারে, বা গিলতে অসুবিধা হতে পারে।
ওজন হ্রাস: ক্যান্সার রোগীরা প্রায়শই ওজন হ্রাস করেন। এটি খাওয়ার অসুবিধার কারণে হতে পারে, অথবা ক্যান্সার শরীরের প্রোটিন এবং ক্যালোরির ব্যবহার বাড়াতে পারে।
প্রস্রাব বা মলত্যাগের পরিবর্তন: ক্যান্সার রোগীদের প্রস্রাব বা মলত্যাগের পরিবর্তন হতে পারে। তারা প্রস্রাব করতে বেশি কষ্ট করতে পারে, প্রস্রাবে রক্ত বা প্রোটিন দেখতে পারে, বা কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ায় ভুগতে পারে।
চেতনার পরিবর্তন: ক্যান্সার রোগীদের চেতনার পরিবর্তন হতে পারে। তারা বিভ্রান্ত, উদ্বিগ্ন, বা অচেতন হয়ে পড়তে পারে।
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি: ক্যান্সার রোগীদের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই লক্ষণগুলির সবগুলি একসাথে দেখা নাও যেতে পারে। তবে, যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনও একটি বা একাধিক লক্ষণ আপনার বা আপনার পরিচিত কারও মধ্যে লক্ষ্য করেন, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর আগের কয়েক দিন বা সপ্তাহগুলি একটি কঠিন সময় হতে পারে। এই সময়ে, রোগী এবং তাদের পরিবারকে যতটা সম্ভব সহায়তা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। রোগীকে তাদের আবেগ প্রকাশ করতে এবং তাদের প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটাতে উত্সাহিত করুন।

টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ

টিউমার হলো একটি অস্তিত্বান্ত একক বা বড় গাঁথা, যা সম্ভাবনা মহামারির একটি চিহ্ন হতে পারে, এবং এটি ক্যান্সারের একটি জনক হতে পারে। টিউমারের লক্ষণ বিভিন্ন হতে পারে, যার মধ্যে কিছু হলো: স্যাটলাইট অথবা গাঁথা: টিউমার একটি ক্যান্সারের রূপ ধারণ করতে পারে, যা স্যাটলাইট বা গাঁথা হওয়ার জন্য একটি চিহ্ন হতে পারে। 

এই স্যাটলাইট গাঁথা তখন তখন টিউমার চেপে থাকতে পারে এবং স্থানানুসারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্য লক্ষণ হতে পারে। স্যাটলাইট বা গাঁথা অথবা গোড়ালির বৃদ্ধি: টিউমার বৃদ্ধি হওয়ার ফলে সমস্যাজনক অথবা অস্বাভাবিক স্যাটলাইট, গাঁথা বা গোড়ালির বৃদ্ধি অনুভূতি হতে পারে। অস্বাভাবিক অথবা নির্দিষ্ট স্থানে ব্যথা অবস্থান: টিউমার একটি অংশে অথবা পাশাপাশি অস্বাভাবিক বা নির্দিষ্ট স্থানে ব্যথা অবস্থান হতে পারে। 

এটি একটি স্থানানুসারে বা প্রসারিত হতে পারে এবং প্রস্তুত হতে পারে যা শারীরিক অংশের অবস্থান অনুভূতি করতে পারে। অস্বাভাবিক রকমের গাঁথা বা কোণবিকোণের স্থান পরিবর্তন: টিউমার অস্বাভাবিক রকমের গাঁথা বা কোণবিকোণের স্থানে পরিবর্তন হতে পারে, যা স্যাটলাইট বা গাঁথা বৃদ্ধি প্রকাশ করতে পারে। 

স্যাটলাইট অথবা গাঁথা অথবা গোড়ালির প্রসারের কারণে দীর্ঘস্থায়ী বা নিশ্বাস হারানো: টিউমারের বৃদ্ধি প্রসারের কারণে দীর্ঘস্থায়ী অথবা নিশ্বাস হারানো হতে পারে, যা লোকজনের সাথে অসুবিধা হতে পারে।

এই লক্ষণগুলি কেবলমাত্র ক্যান্সারের টিউমারের জন্য মাত্র নয়, আরও অনেক অন্যান্য অস্তিত্বান্ত অবস্থানে তাদের স্থানানুসারে লক্ষণ দেখা যেতে পারে। তবে, এই লক্ষণগুলি কেবলমাত্র কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির মৌখিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত নয়। সম্ভাবনা মহামারি বা অন্যান্য সমস্যার জন্য আবার তাদের চেষ্টা করতে উত্সাহিত করা উচিত।

ক্যান্সারের প্রতিকার

ক্যান্সারের প্রতিকার এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। তবে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে: তামাক পরিহার: ধূমপান হল ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ কারণ। তামাক পরিহার করে ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো যেতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ: স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। 

স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মধ্যে প্রচুর ফল, শাকসবজি, এবং সম্পূর্ণ শস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মাঝারি-তীব্রতার ব্যায়াম বা 75 মিনিট উচ্চ-তীব্রতার ব্যায়াম করা উচিত। ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। 

স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। অনিরাপদ যৌন মিলন এড়িয়ে চলা: অনিরাপদ যৌন মিলন HPV এবং অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা: নির্দিষ্ট ক্যান্সারের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ক্যান্সারকে প্রাথমিক পর্যায়ে ধরতে সাহায্য করতে পারে, 

পেটের ক্যান্সারের লক্ষণ

পেটের ক্যান্সারের লক্ষণগুলি সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে স্পষ্ট হয় না। ক্যান্সার বৃদ্ধি পেলে এবং অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়লে লক্ষণগুলি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পেটের ক্যান্সারের কিছু সাধারণ লক্ষণ হল: বমি বমি ভাব বা বমি পেট ফোলা অল্প খেলেও পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি পেট ব্যথা হজম সমস্যা ওজন হ্রাস ক্লান্তি জ্বর রক্ত বমি করা বা মল দিয়ে রক্তপাত 

এই লক্ষণগুলি অন্যান্য অনেক রোগের কারণেও হতে পারে। তাই, যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনোটি অনুভব করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ। পেটের ক্যান্সারের নির্ণয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা যেতে পারে। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে:

শারীরিক পরীক্ষা রক্ত পরীক্ষা ইমেজিং পরীক্ষা এন্ডোস্কোপি বায়োপসি পেটের ক্যান্সারের চিকিৎসা ক্যান্সারের ধরন, পর্যায় এবং রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। চিকিৎসার বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে: অস্ত্রোপচার কেমোথেরাপি রেডিয়েশন থেরাপি টার্গেটেড থেরাপি ইমিউনোথেরাপি পেটের ক্যান্সারের চিকিৎসার লক্ষ্য হল ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করা এবং রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

ক্যান্সার এর লক্ষণ

ক্যান্সার একটি জটিল রোগ যার লক্ষণগুলি ক্যান্সারের ধরন, অবস্থান এবং অন্যান্য অনেক কারণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। যাইহোক, ক্যান্সারের কিছু সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে: অল্প খেলেও পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি

বমি বমি ভাব বা বমি
পেট ব্যথা
অতিরিক্ত ক্লান্তি
ক্ষুধা কমে যাওয়া
শরীরের যেকোনো জায়গায় চাকা বা দলা দেখা দেয়া
দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা গলা ভাঙা
মলত্যাগে পরিবর্তন আসা (ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মলের সাথে রক্ত যাওয়া)
যোনিপথে অস্বাভাবিক রক্তপাত বা স্রাব
ঘন ঘন প্রস্রাব করা বা প্রস্রাবের সাথে রক্ত পড়া
শরীরের কোন অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি
অনিয়মিত মাসিক চক্র বা মেনোপজের পরে রক্তপাত
ত্বকে কোনও পরিবর্তন, যেমন আঁচিল বা ক্ষত বৃদ্ধি, রঙ পরিবর্তন, বা রক্তপাত
শরীরের কোন অংশে দুর্বলতা বা অবশতা


এই লক্ষণগুলি ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, তবে এগুলি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। যদি আপনার এই কোনও লক্ষণ দেখা দেয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যান্সারের কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্ষেত্রে, অন্যান্য নির্দিষ্ট লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্তন ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে স্তনে চাকা বা দলা, স্তনের আকার বা আকৃতির পরিবর্তন, স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত বা স্রাব, এবং স্তনে ব্যথা। ফুসফুস ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে কাশির সাথে রক্ত, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, এবং ওজন হ্রাস। মলাশয়ের ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মলের সাথে রক্ত, মলত্যাগের পরিবর্তন, এবং পেটে ব্যথা।

আপনি যদি ক্যান্সারের লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ক্যান্সার যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে ততই চিকিৎসার সম্ভাবনা ভালো।

ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে

ব্লাড ক্যান্সারের ধরন, রোগীর বয়স, স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করে একজন ব্লাড ক্যান্সার রোগীর আয়ু কত হবে তা নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত, ব্লাড ক্যান্সারের রোগীদের 5 বছর বাঁচার হার 60% থেকে 90% এর মধ্যে থাকে।

ব্লাড ক্যান্সারের রোগীদের জন্য টিপস
নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন, এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।
আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত পরামর্শ করুন। আপনার চিকিৎসার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করুন এবং আপনার ডাক্তারের নির্দেশাবলী মেনে চলুন।
সামাজিক সমর্থন নিন। আপনার আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের কাছ থেকে সমর্থন নিন।
ব্লাড ক্যান্সার একটি গুরুতর রোগ, তবে সঠিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে রোগীরা দীর্ঘদিন বাঁচতে পারে।

ক্যান্সার কিভাবে হয়

ক্যান্সার হল এমন একটি রোগ যেখানে শরীরের কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ছড়িয়ে পড়ে। ক্যান্সার কোষগুলি শরীরের স্বাভাবিক কোষগুলির মতো কাজ করে না এবং তারা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। ক্যান্সার হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। কিছু সাধারণ কারণ হল: জেনেটিক কারণ: কিছু লোকের জিনে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। 

পরিবেশগত কারণ: কিছু পরিবেশগত কারণ, যেমন ধূমপান, অতিবেগুনী রশ্মি এবং কিছু রাসায়নিক, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। জীবনযাত্রার কারণ: কিছু জীবনযাত্রার কারণ, যেমন অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, স্থূলতা এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ক্যান্সার কোষগুলি কীভাবে গঠিত হয় তা এখনও পুরোপুরি বোঝা যায় না। তবে, গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে ক্যান্সার কোষগুলির ডিএনএতে ত্রুটি বা মিউটেশনের কারণে হয়।

এই মিউটেশনগুলি কোষের বৃদ্ধি এবং বিভাজন নিয়ন্ত্রণকারী জিনগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং ছড়িয়ে পড়তে পারে। ক্যান্সার কোষগুলি শরীরের যেকোনো অংশে গঠিত হতে পারে। ক্যান্সারের ধরন কোষের ধরন এবং কোথায় এটি গঠিত হয় তার উপর নির্ভর করে। ক্যান্সারের লক্ষণগুলি ক্যান্সারের ধরন এবং স্তরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। 

সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে: কোথাও ব্যথা বা অস্বস্তি অযাচিত ওজন হ্রাস অন্যান্য অসুস্থতার লক্ষণ, যেমন জ্বর, ক্লান্তি বা ক্ষুধামন্দা শরীরের কোনো অংশে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা লাম্প ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য অনেকগুলি পরীক্ষা রয়েছে। সাধারণ পরীক্ষাগুলির মধ্যে রয়েছে: শারীরিক পরীক্ষা রক্ত পরীক্ষা চিত্রকল্প পরীক্ষা, যেমন এক্স-রে, সিটি স্ক্যান বা এমআরআই বায়োপসি ক্যান্সারের চিকিৎসা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, 

যেমন ক্যান্সারের ধরন, স্তর এবং রোগীর বয়স এবং স্বাস্থ্য। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে: কেমোথেরাপি: কেমোথেরাপি হল ওষুধ ব্যবহার করে ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করার একটি পদ্ধতি। রেডিয়েশন থেরাপি: রেডিয়েশন থেরাপি হল ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করার জন্য বিকিরণ ব্যবহার করার একটি পদ্ধতি। সার্জারি: সার্জারি হল ক্যান্সার কোষ এবং ক্যান্সারযুক্ত টিস্যুগুলি অপসারণের একটি পদ্ধতি।

টার্গেটেড থেরাপি: টার্গেটেড থেরাপি হল ক্যান্সার কোষগুলিকে লক্ষ্য করে ওষুধ ব্যবহার করার একটি পদ্ধতি। ইমিউনোথেরাপি: ইমিউনোথেরাপি হল শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ক্যান্সার কোষগুলিকে আক্রমণ করার জন্য উৎসাহিত করার একটি পদ্ধতি। ক্যান্সার একটি গুরুতর রোগ, তবে সঠিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে রোগীরা দীর্ঘদিন বাঁচতে পারে।

ক্যান্সার কি ছোঁয়াচে

না, ক্যান্সার ছোঁয়াচে নয়। ক্যান্সার হল এমন একটি রোগ যেখানে শরীরের কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ছড়িয়ে পড়ে। ক্যান্সার কোষগুলি সাধারণত শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে রক্ত ​​বা লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে, ক্যান্সার কোষগুলি একজন ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ার কোন প্রমাণ নেই। ক্যান্সার ছোঁয়াচে নয় এমন কিছু কারণ হল: 

ক্যান্সার কোষগুলি সাধারণত স্বাভাবিক কোষগুলির মতো শক্ত হয় না। এটি তাদের শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়া কঠিন করে তোলে। ক্যান্সার কোষগুলি সাধারণত শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্বারা আক্রমণ করা হয়। প্রতিরোধ ব্যবস্থা ক্যান্সার কোষগুলিকে ধ্বংস করতে পারে। ক্যান্সার ছোঁয়াচে নয় এমন কিছু উদাহরণ হল: 

আপনি যদি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে হাত মেলান, চুম্বন করেন বা ঘনিষ্ঠভাবে ঘনিষ্ঠ হন, তাহলে আপনি ক্যান্সার আক্রান্ত হবেন না। আপনি যদি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা খাবার, পানীয় বা জিনিসপত্র শেয়ার করেন, তাহলে আপনি ক্যান্সার আক্রান্ত হবেন না। 

আপনি যদি একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে বাতাসে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করেন, তাহলে আপনি ক্যান্সার আক্রান্ত হবেন না। ক্যান্সার একটি গুরুতর রোগ, তবে এটি ছোঁয়াচে নয়।

টিউমার ক্যান্সারের লক্ষণ

টিউমার এবং ক্যান্সার সম্পর্কে আপনার প্রশ্নের সম্মুখে আমি আপনাকে তথ্য প্রদান করতে পারি, তবে মনে রাখতে হবে যে, সব টিউমার ক্যান্সারে পরিণত হয় না। টিউমার একটি বৃহত্তর শব্দ, যা কিছু স্থানে শারীরিক অংশে হতে পারে এবং এটি বৃদ্ধি হতে পারে বা বৃদ্ধি হতে পারে না। কিছু সাধারিত টিউমার এবং ক্যান্সারের লক্ষণ নিম্নে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে: 

স্যাটলাইট অথবা গাঁথা: টিউমার স্যাটলাইট অথবা গাঁথা হওয়ার জন্য একটি চিহ্ন হতে পারে, এবং এটি স্যাটলাইট বা গাঁথা বৃদ্ধি প্রকাশ করতে পারে। অস্বাভাবিক অথবা নির্দিষ্ট স্থানে ব্যথা: টিউমার একটি অংশে অস্বাভাবিক বা নির্দিষ্ট স্থানে ব্যথা অবস্থান হতে পারে। 

অস্বাভাবিক রকমের গাঁথা বা কোণবিকোণের স্থান পরিবর্তন: টিউমার অস্বাভাবিক রকমের গাঁথা বা কোণবিকোণের স্থানে পরিবর্তন হতে পারে, যা স্যাটলাইট বা গাঁথা বৃদ্ধি প্রকাশ করতে পারে। স্যাটলাইট অথবা গাঁথা অথবা গোড়ালির বৃদ্ধি: টিউমারের বৃদ্ধি প্রসারের কারণে স্যাটলাইট অথবা গাঁথা বা গোড়ালি বৃদ্ধি হতে পারে। স্যাটলাইট অথবা গাঁথা অথবা গোড়ালির প্রসারের কারণে দীর্ঘস্থায়ী বা নিশ্বাস হারানো:

টিউমারের বৃদ্ধি প্রসারের কারণে দীর্ঘস্থায়ী অথবা নিশ্বাস হারানো হতে পারে, যা লোকজনের সাথে অসুবিধা হতে পারে। এই লক্ষণগুলি কেবলমাত্র কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির মৌখিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত নয়। সম্ভাবনা মহামারি বা অন্যান্য সমস্যার জন্য আবার তাদের চেষ্টা করতে উত্সাহিত করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন