মিষ্টি দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা মানুষের তৈরি মিষ্টি দই বহু শতাব্দী ধরে এর উপকারিতা হিসেবে খাওয়া হয়ে আসছে।হজমশক্তি বাড়ায়: মিষ্টি দইতে থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং পেটের গ্যাস কমাতে কার্যকর। মিষ্টি দই এ কত ক্যালরি

টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা

Mishti Doi Benefits: শেষ পাতে ডেজার্ট বলতে বাঙালিদের একটা বড় অংশ এখনও মিষ্টি দইকেই বোঝে। বিয়েবাড়ি হোক বা যে কোনও শুভ অনুষ্ঠান মিষ্টি দই পাতে না পড়ল... https://bangla.aajtak.in/lifestyle/story/health-benfits-of-sweet-yogurt-or-mishti-doi-on-your-summer-diet-healthy-life-fitness-lifestyle-news-banglay-sum-570041-2023-06-03

মিষ্টি দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

মিষ্টি দই একটি পুষ্টিকর খাবার যা বিভিন্নভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মিষ্টি দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: ভিটামিন: মিষ্টি দইয়ে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি রয়েছে। 

ভিটামিন বি শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খনিজ: মিষ্টি দইয়ে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

আরো পড়ুন: ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা কি?

পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম পেশী এবং স্নায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন: মিষ্টি দইয়ে প্রোটিন রয়েছে যা পেশী এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: মিষ্টি দইয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মিষ্টি দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেসব উপকারিতা প্রদান করে তার মধ্যে রয়েছে: 

হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: মিষ্টি দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিক হল এক ধরনের জীবাণু যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মিষ্টি দইয়ে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: মিষ্টি দইয়ে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। 

চর্বি কমাতে সাহায্য করে: মিষ্টি দইয়ে থাকা প্রোটিন চর্বি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: মিষ্টি দইয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: মিষ্টি দইয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। মিষ্টি দইয়ের অপকারিতা মিষ্টি দই সাধারণত একটি নিরাপদ খাবার। 

তবে কিছু ক্ষেত্রে এর কিছু অপকারিতা হতে পারে। যেমন: ওজন বৃদ্ধি: মিষ্টি দইয়ে চিনি থাকায় এটি ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিস: মিষ্টি দইয়ে চিনি থাকায় এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: মিষ্টি দইয়ে থাকা দুধ বা অন্য কোনো উপাদান অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। 

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা: মিষ্টি দইয়ে থাকা ল্যাকটোজ কিছু মানুষের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মিষ্টি দই খাওয়ার নিয়ম মিষ্টি দই স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। প্রতিদিন ১-২ কাপ মিষ্টি দই খাওয়া যেতে পারে। মিষ্টি দইয়ে চিনির পরিমাণ কমাতে গুড় বা মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।

টক দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা

টক দই একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন বি২, বি১২, এবং ভিটামিন এ। এছাড়াও এতে রয়েছে উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা প্রোবায়োটিক নামে পরিচিত। প্রোবায়োটিকগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হজম স্বাস্থ্য উন্নত করা, এবং ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।

টক দইয়ের কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হল: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এগুলি শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

হজম স্বাস্থ্য উন্নত করা: টক দইতে থাকা প্রোবায়োটিকগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। এগুলি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা: টক দইতে থাকা প্রোটিন দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা অনুভূতি দেয়। এটি অতিরিক্ত খাবার খাওয়া কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করা: টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন এবং মজবুততায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টক দই খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করা: টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকগুলি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। এগুলি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ত্বকের কোষগুলিকে পুনর্গঠনে সাহায্য করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো: টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকগুলি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এগুলি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

মিষ্টি দই খেলে কি ওজন বাড়ে

হ্যাঁ, মিষ্টি দই খেলে ওজন বাড়তে পারে। এর কারণ হল মিষ্টি দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং চিনি থাকে। একটি কাপ মিষ্টি দইয়ের ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় 200 থেকে 300 ক্যালোরি। এছাড়াও মিষ্টি দইয়ে ফ্যাট এবং সোডিয়ামও থাকে।

মিষ্টি দইয়ের ক্যালোরি এবং চিনি শরীরে শক্তি যোগায়। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি দই খেলে শরীরে ক্যালোরির অতিরিক্ত পরিমাণ জমা হয়। ফলে ওজন বাড়তে পারে। মিষ্টি দইয়ের ওজন বাড়ানোর ক্ষমতা নির্ভর করে এর ক্যালোরি এবং চিনির পরিমাণের উপর। যে মিষ্টি দইয়ের ক্যালোরি এবং চিনির পরিমাণ বেশি, সেটি ওজন বাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আরো পড়ুন: ডালিম বা বেদানা খেলে কী হয় জানেন? ডালিম এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের মিষ্টি দই খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মিষ্টি দই খাওয়ার পরিমাণ সীমিত করা উচিত। এছাড়াও মিষ্টি দইয়ের পরিবর্তে টক দই খাওয়া ভালো। টক দইয়ে ক্যালোরি এবং চিনির পরিমাণ কম থাকে। এছাড়াও টক দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কোন দই ভালো

কোন দই ভালো তা নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং খাদ্য রুচির উপর। তবে সাধারণভাবে বলতে গেলে, টক দই ভালো। টক দইয়ে ক্যালোরি এবং চিনির পরিমাণ কম থাকে। এছাড়াও টক দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। প্রোবায়োটিক হজম শক্তি উন্নত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

মিষ্টি দইয়ে ক্যালোরি এবং চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও মিষ্টি দইয়ে ফ্যাট এবং সোডিয়ামও থাকে। অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি দই খেলে ওজন বাড়তে পারে, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের মিষ্টি দই খাওয়ার পরিমাণ সীমিত করা উচিত। এছাড়াও মিষ্টি দইয়ের পরিবর্তে টক দই খাওয়া ভালো।

টক দইয়ের পাশাপাশি, গ্রীক দইও ভালো। গ্রীক দইয়ে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও গ্রীক দইয়ে প্রোবায়োটিক থাকে। তাই, কোন দই ভালো তা নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং খাদ্য রুচির উপর। তবে সাধারণভাবে বলতে গেলে, টক দই ভালো।

টক দই এর ক্ষতিকর দিক

টক দই সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে কিছু ক্ষেত্রে টক দইয়ের ক্ষতিকর দিকও দেখা দিতে পারে।

টক দইয়ের ক্ষতিকর দিকগুলি হল:
ওজন বৃদ্ধি: টক দইয়ে ক্যালোরি এবং চিনির পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে টক দই খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। হজমে সমস্যা: টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক কিছু ক্ষেত্রে হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন, যাদের পেট ফাঁপা, পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা আছে, তাদের টক দই খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

অ্যালার্জি: টক দইয়ে থাকা দুধের প্রোটিন কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। যেমন, যাদের দুধে অ্যালার্জি আছে, তাদের টক দই খাওয়া উচিত নয়। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা: আয়ুর্বেদ অনুসারে, টক দই শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 

আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

যেমন, যাদের হাঁপানি, সাইনাস কনজেশন বা সর্দি এবং কাশির মতো শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে, তাদের টক দই খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। টক দইয়ের ক্ষতিকর দিকগুলি এড়াতে নিচের বিষয়গুলি মাথায় রাখা উচিত:

টক দইয়ের পরিমাণ সীমিত করা উচিত। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দৈনিক টক দইয়ের পরিমাণ 100 থেকে 200 গ্রাম হওয়া উচিত। টক দই খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত, যদি আপনার কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে। টক দইয়ের উপকারিতা পেতে এবং ক্ষতিকর দিক এড়াতে সঠিকভাবে টক দই খাওয়া উচিত।

মিষ্টি দই এর ক্যালরি

মিষ্টি দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ নির্ভর করে এর চিনির পরিমাণের উপর। সাধারণত, মিষ্টি দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ টক দইয়ের তুলনায় বেশি থাকে। এক কাপ (245 গ্রাম) টক দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ প্রায় 100 থেকে 150 ক্যালোরি থাকে। অপরদিকে, এক কাপ (245 গ্রাম) মিষ্টি দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ প্রায় 200 থেকে 300 ক্যালোরি থাকে।

মিষ্টি দইয়ে চিনির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এর ক্যালরির পরিমাণও বেশি থাকে। তাই, মিষ্টি দই খেলে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের মিষ্টি দই খাওয়ার পরিমাণ সীমিত করা উচিত। এছাড়াও মিষ্টি দইয়ের পরিবর্তে টক দই খাওয়া ভালো।

মিষ্টি দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ কমাতে এর চিনির পরিমাণ কমানো যেতে পারে। এছাড়াও, মিষ্টি দইয়ে ফল, বাদাম, বা শস্য যোগ করে এর ক্যালরির পরিমাণ কিছুটা কমানো যেতে পারে।

মিষ্টি দই মুখে দিলে কি হয়

মিষ্টি দই মুখে দিলে প্রথমে জিহ্বায় মিষ্টি স্বাদ অনুভূত হয়। এরপর, দইয়ের প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট মুখের লালারসে দ্রবীভূত হয়। লালারসে থাকা এনজাইমগুলি দইয়ের কার্বোহাইড্রেটকে ভেঙে শর্করায় পরিণত করে। 

মিষ্টি দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলি মুখের টিস্যুগুলিকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও, মিষ্টি দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকগুলি মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মিষ্টি দই মুখে দিলে সাধারণত নিচের ঘটনাগুলি ঘটে:
  • জিহ্বায় মিষ্টি স্বাদ অনুভূত হয়।
  • দইয়ের প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট মুখের লালারসে দ্রবীভূত হয়।
  • লালারসে থাকা এনজাইমগুলি দইয়ের কার্বোহাইড্রেটকে ভেঙে শর্করায় পরিণত করে।
  • মিষ্টি দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলি মুখের টিস্যুগুলিকে শক্তিশালী করে।
  • মিষ্টি দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকগুলি মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে মিষ্টি দই মুখে দিলে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলিও দেখা দিতে পারে:
হজমে সমস্যা: মিষ্টি দইয়ে থাকা চিনি এবং প্রোবায়োটিক কিছু ক্ষেত্রে হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন, যাদের পেট ফাঁপা, পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা আছে, তাদের মিষ্টি দই খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

আরো পড়ুন: কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি

অ্যালার্জি: মিষ্টি দইয়ে থাকা দুধের প্রোটিন কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। যেমন, যাদের দুধে অ্যালার্জি আছে, তাদের মিষ্টি দই খাওয়া উচিত নয়। সুতরাং, মিষ্টি দই মুখে দিলে সাধারণত কোনও সমস্যা হয় না। তবে, কিছু ক্ষেত্রে হজমে সমস্যা বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মিষ্টি দই এ কত ক্যালরি

মিষ্টি দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ নির্ভর করে এর চিনির পরিমাণের উপর। সাধারণত, মিষ্টি দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ টক দইয়ের তুলনায় বেশি থাকে। এক কাপ (245 গ্রাম) টক দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ প্রায় 100 থেকে 150 ক্যালোরি থাকে। অপরদিকে, এক কাপ (245 গ্রাম) মিষ্টি দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ প্রায় 200 থেকে 300 ক্যালোরি থাকে।

মিষ্টি দইয়ে চিনির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এর ক্যালরির পরিমাণও বেশি থাকে। তাই, মিষ্টি দই খেলে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি থাকে। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের মিষ্টি দই খাওয়ার পরিমাণ সীমিত করা উচিত। এছাড়াও মিষ্টি দইয়ের পরিবর্তে টক দই খাওয়া ভালো।

মিষ্টি দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ কমাতে এর চিনির পরিমাণ কমানো যেতে পারে। এছাড়াও, মিষ্টি দইয়ে ফল, বাদাম, বা শস্য যোগ করে এর ক্যালরির পরিমাণ কিছুটা কমানো যেতে পারে। এখানে কিছু নির্দিষ্ট মিষ্টি দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ দেওয়া হল:

এক কাপ (245 গ্রাম) ফ্রুট দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ প্রায় 220 থেকে 260 ক্যালোরি।
এক কাপ (245 গ্রাম) চকলেট দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ প্রায় 250 থেকে 300 ক্যালোরি।
এক কাপ (245 গ্রাম) স্ট্রবেরি দইয়ের ক্যালরির পরিমাণ প্রায় 230 থেকে 270 ক্যালোরি।
সুতরাং, আপনি যদি মিষ্টি দই খেতে চান, তাহলে এর ক্যালরির পরিমাণ সম্পর্কে অবগত থাকা উচিত।

মিষ্টি দই এর ইংরেজি নাম কি

মিষ্টি দইয়ের ইংরেজি নাম হল Sweet yogurt। এছাড়াও, Sweetened yogurt, Flavored yogurt, Dessert yogurt, Fruit yogurt, Chocolate yogurt ইত্যাদি নামেও মিষ্টি দই পরিচিত। Sweet yogurt হল সবচেয়ে সাধারণ ইংরেজি নাম। এই নামটি মিষ্টি দইয়ের মিষ্টি স্বাদকে বোঝায়।

Sweetened yogurt নামটিও মিষ্টি দইয়ের মিষ্টি স্বাদকে বোঝায়। তবে এই নামটিতে sweetened শব্দটি যোগ করা হয়েছে যা বোঝায় যে দইতে চিনি যোগ করা হয়েছে। Flavored yogurt নামটি বোঝায় যে দইতে স্বাদ যোগ করা হয়েছে। মিষ্টি দইয়ের ক্ষেত্রে স্বাদ যোগ করার জন্য সাধারণত ফল, চকোলেট, বা অন্যান্য স্বাদযুক্ত উপাদান ব্যবহার করা হয়।

আরো পড়ুন: পেস্তা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম

Dessert yogurt নামটি বোঝায় যে দই একটি মিষ্টি খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়। Fruit yogurt নামটি বোঝায় যে দইয়ের স্বাদ ফল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। Chocolate yogurt নামটি বোঝায় যে দইয়ের স্বাদ চকোলেট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। 

আপনি কোন ইংরেজি নামটি ব্যবহার করবেন তা আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে। তবে, Sweet yogurt হল সবচেয়ে সাধারণ এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত ইংরেজি নাম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন