গলায় খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯টি সহজ উপায়
গলায় খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯টি সহজ উপায় এ বছর জাঁকিয়ে শীত পড়েছিল। শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রার পারদও ওঠানামা করছে। আবহাওয়া মনোরম মনে হলেও এই মরশুমে সবচেয়ে জ্বর-সর্দির সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
ঘরে ঘরে সর্দি-কাশির সমস্যা। জ্বর খুব বেশি হলে দু’দিন থাকছে। সর্দিও এক সপ্তাহ ভোগাচ্ছে। কিন্তু পিছু ছাড়ছে না কাশি। জ্বর-সর্দি কমলেও খুসখুসে কাশির উপসর্গ অনেকের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়
হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামের উপাদান রয়েছে, যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে। শুকনো কাশির চিকিৎসার ক্ষেত্রে হলুদ দারুণ উপযোগী। হলুদ দিয়ে ভেষজ চা বানিয়ে খেতে পারেন।
গলায় খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯টি সহজ উপায়
গলায় খুসখুসে কাশি একটি সাধারণ সমস্যা যা ঠান্ডা, সর্দি, অ্যালার্জি বা অন্যান্য কারণে হতে পারে। এই কাশি খুবই বিরক্তিকর হতে পারে এবং ঘুমাতে বা কাজ করতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।খুসখুসে কাশির চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানে গলায় খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯টি সহজ উপায় রয়েছে:
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন পানি পান করা কাশির চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পানি শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং গলায় জমে থাকা কফকে পাতলা করে। এটি কাশি কমাতে এবং গলাকে আরাম দিতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানুন
গরম তরল পান করুন গরম তরল, যেমন চা, দুধ বা স্যুপ পান করাও কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে। গরম তরল গলায় জমে থাকা কফকে পাতলা করে এবং শ্লেষ্মা নিঃসরণে সহায়তা করে।
মধু খান মধুতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে। গরম চা বা দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
আদা চা পান করুন আদাতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে। আদা চা তৈরি করতে এক চা চামচ আদা কুচি এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে পান করুন।
লবণজল দিয়ে গার্গল করুন লবণজল দিয়ে গার্গল করা গলায় জমে থাকা কফ এবং শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করতে পারে। এক গ্লাস গরম পানিতে ১/২ চা চামচ লবণ মিশিয়ে ভালো করে গার্গল করুন।
ভেষজ চা পান করুন ভেষজ চায়ের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে। থাইম, পুদিনা, মেথি বা এলাচের মতো ভেষজ চা পান করতে পারেন।
আর্দ্রতা বাড়ান শুষ্ক বাতাস কাশিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। ঘরে আর্দ্রতা বাড়ানোর জন্য একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
বিশ্রাম নিন আপনার শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া কাশির চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নিন যাতে আপনার শরীর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
ধূমপান ত্যাগ করুন ধূমপান গলায় জ্বালা এবং কাশির কারণ হতে পারে। যদি আপনি ধূমপায়ী হন তবে কাশির চিকিৎসার জন্য ধূমপান ত্যাগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
এই উপায়গুলি চেষ্টা করে দেখুন এবং আপনার কাশি কমে আসছে কিনা তা দেখুন। যদি আপনার কাশি ৭ দিনের বেশি স্থায়ী হয় বা অন্য কোনও উপসর্গ থাকে, যেমন জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা রক্ত কফ, তাহলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
রাতে কাশি কমানোর উপায়
মৌরি,ইউক্যালিপটাস, পেপারমিন্ট লেবুর গাছ থেকে তৈরি তেল কাশি কমাতে সাহায্য করে। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে জলের মধ্য়ে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্টের তেল যোগ করে ভেপার নিলে কাশি থেকে মুক্তি পাবেন দ্রুত। শুষ্ক আদা বা আদার রস হাঁপানি ও শুষ্ক কাশি নিরাময় করতে পারে।রাতে কাশি কমানোর জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা কার্যকর হতে পারে। এই প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে:
নুন-জল দিয়ে গার্গল করুন। নুন-জল দিয়ে গার্গল করলে গলা পরিষ্কার হয় এবং জ্বালা কমে যায়। এটি কাশির উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
উষ্ণ গরম জলে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। মধু এবং লেবুর রস উভয়ই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি কাশির উপশম করতে এবং গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে।
ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্টের তেল দিয়ে ভেপার নিন। এই তেলগুলিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং শ্লেষ্মা-পাতলা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি কাশির উপশম করতে এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: স্বাস্থ্য রক্ষার্থে রক্তচাপ কমে গেলে কী খাবেন?
আদা চা পান করুন। আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এটি কাশির উপশম করতে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু করে রাখুন। এটি গলা থেকে শ্লেষ্মা বের করতে সাহায্য করবে এবং কাশির উপশম করবে।
এই প্রতিকারগুলি যদি কার্যকর না হয় তবে আপনি একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। তারা আপনাকে ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসার সুপারিশ করতে পারে।
এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা রাতে কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে:
- ঘুমানোর আগে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। এটি শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করবে এবং এটিকে সহজে বের করে দিতে সাহায্য করবে।
- ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল বা ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পান করবেন না। এই পানীয়গুলি শ্লেষ্মা তৈরি করতে পারে এবং কাশির উপশম করতে পারে।
- ঘুমানোর আগে ধূমপান করবেন না। ধূমপান কাশির কারণ হতে পারে এবং এটিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
- আপনার ঘর পরিষ্কার রাখুন। ধুলাবালি এবং অ্যালার্জেন কাশির কারণ হতে পারে।
আপনি যদি ঠান্ডা বা ফ্লু দ্বারা আক্রান্ত হন তবে আপনার কাশির লক্ষণগুলি আরও খারাপ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, আপনার বিশ্রাম নেওয়া, প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা এবং আপনার ঘর উষ্ণ রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়
খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা কার্যকর হতে পারে। এই প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে:
নুন-জল দিয়ে গার্গল করুন। নুন-জল দিয়ে গার্গল করলে গলা পরিষ্কার হয় এবং জ্বালা কমে যায়। এটি কাশির উপশম করতে সাহায্য করতে পারে।
উষ্ণ গরম জলে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। মধু এবং লেবুর রস উভয়ই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি কাশির উপশম করতে এবং গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: হাত - পা জ্বালাপোড়ার কারণে লুকিয়ে থাকে যে সব রোগ
ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্টের তেল দিয়ে ভেপার নিন। এই তেলগুলিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং শ্লেষ্মা-পাতলা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি কাশির উপশম করতে এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আদা চা পান করুন। আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এটি কাশির উপশম করতে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু করে রাখুন। এটি গলা থেকে শ্লেষ্মা বের করতে সাহায্য করবে এবং কাশির উপশম করবে।
এই প্রতিকারগুলি যদি কার্যকর না হয় তবে আপনি একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। তারা আপনাকে ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসার সুপারিশ করতে পারে।
এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস রয়েছে যা খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে:
ঘুমানোর আগে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। এটি শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করবে এবং এটিকে সহজে বের করে দিতে সাহায্য করবে।
ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল বা ক্যাফিনযুক্ত পানীয় পান করবেন না। এই পানীয়গুলি শ্লেষ্মা তৈরি করতে পারে এবং কাশির উপশম করতে পারে।
ঘুমানোর আগে ধূমপান করবেন না। ধূমপান কাশির কারণ হতে পারে এবং এটিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
আপনার ঘর পরিষ্কার রাখুন। ধুলাবালি এবং অ্যালার্জেন কাশির কারণ হতে পারে। আপনি যদি ঠান্ডা বা ফ্লু দ্বারা আক্রান্ত হন তবে আপনার কাশির লক্ষণগুলি আরও খারাপ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, আপনার বিশ্রাম নেওয়া, প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা এবং আপনার ঘর উষ্ণ রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ কিছু প্রতিকার:
এলাচ: এলাচ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এটি কাশির উপশম করতে এবং গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এলাচ চিবিয়ে খেতে পারেন বা গরম চায়ে যোগ করে খেতে পারেন।
হলুদ: হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কাশির উপশম করতে এবং গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এক গ্লাস গরম দুধে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন।
আরো পড়ুন: হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তির উপায়
তুলসী: তুলসী একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এটি কাশির উপশম করতে এবং গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন বা গরম চায়ে যোগ করে খেতে পারেন।
একটি দ্রুত সমাধান: আপনি যদি দ্রুত কাশির উপশম পেতে চান তবে আপনি একটি কাশির সিরাপ বা ট্যাবলেট নিতে পারেন। তবে, এই ওষুধগুলি দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া উচিত নয়।
দ্রুত কাশি কমানোর উপায়
দ্রুত কাশি কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে কিছু প্রস্তুতি নিতে পারেন। তাদের মধ্যে কিছু হল:
গরম পানি পানঃ গরম পানি কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ধারা ধরি ব্যক্তি গরম পানি পান এবং গরম বাষ্প আসতে একটি কপ পানিতে 1-2 চা-চামচ মধু ও সুক্ষ্মশীতল নিচু দিন। এটি কাশি ও ঠাণ্ডা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
হাঁটা হাঁটি দিনঃ নিয়মিত হাঁটা দিতে কাশি ও শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি ত্বক বাড়ানো, হাড় দুরত্ব বাড়ানো এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। শীতকালে উষ্ণতা বজায় রাখা: শীতকালে উষ্ণতা বজায় রাখতে ভালো, তাদের জন্য উষ্ণতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন, এতে শরীর কাশি থেকে প্রতিরোধী হতে সহায়ক হতে পারে।
স্টিম ইনহেলেশন: এটি পানির বাষ্পে অসমুচিত কাঁচা কাঁচা ধূমকে সাবধানে শ্বাসকষ্ট ও কাশি থেকে রাহাত দিতে সাহায্য করতে পারে। শুষ্কবৃষ্টি এবং ধুপের উপকারিতা: শুষ্কবৃষ্টি এবং সূর্যের আলো শ্বাসকষ্ট কমাতে এবং শরীরের প্রতিরোধ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
আতিশীত পরিবার থেকে দূর থাকুন: যদি কেউ আপনার পরিবারে কাশি বা ঠাণ্ডা থাকে, তবে তার থেকে দূরে থাকা হোক এবং মুখ-নাক-চোখ সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক থাকুন। এই উপায়ে আপনি দ্রুত কাশি কমাতে এবং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য পাবেন।
শুকনো কাশি থেকে মুক্তির উপায়
শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু প্রস্তুতি নিতে পারেন:
পুনরায় পানি প্রবাহ: শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রয়োজনমুলক পর্যাপ্ত পানি প্রভৃতি পাওয়া। প্রতিদিন যত্নশীলভাবে প্রয়োজনমুলক পরিমাণে পানি পান এবং শরীরের ভিতরে শোকপ্রদাহের মাধ্যমে শক্তি সরবরাহ করুন।
হাঁটুবাজি এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: বড় হাঁটুবাজি এবং প্রচুর পরিমাণে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা শুকনো কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে। বর্দ্ধিত তাপমাত্রা বা শীতলতা ব্যবহার করতে সচেষ্ট হোন।
বাষ্পস্নান বা হাঁড়ি নাক ধোয়া: গরম পানির সাথে সহানি করে বাষ্পস্নান বা হাঁড়ি নাক ধোয়া সাধারিত কাশি এবং সর্দি থেকে রাহাত দেয়ার জন্য একটি প্রভাবশালী উপায়।
আরো পড়ুন: পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
গরম হেড়া বা পানির বাপ: একটি গরম হেড়া বা পানির বাপ উপভোগ করা তাদের শক্তি শীঘ্রই পৌঁছাতে সাহায্য করতে পারে।
খাদ্য এবং পুষ্টি: সুস্থ খাদ্য খাওয়া এবং উপযুক্ত পুষ্টি পাওয়া শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি, ড্রাই ফ্রুট, গাড়াগাড়ি খাবার এবং উপার্জনশীল গুণমূলক খাদ্য অংশ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যাডমিংটন, সায়াকল, জগ রান ইত্যাদি করুন:
নিজেকে কার্যকরী এবং সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।
যদি কাশি বা অসুস্থতা বাড়তে থাকে বা সময়ের সাথে মোকাবিলা হয়নি, তবে আপনার চিকিৎসকে দেখাতে উচিত।
শুকনো কাশি থেকে মুক্তির ঔষধ
শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পেতে অনেক ওষুধ পাওয়া যায়। এই ওষুধগুলি সাধারণত কাশির দুটি প্রধান ধরণের একটির উপর কাজ করে:
কাশি-প্ররোচনাকারী: এই ওষুধগুলি কাশির কেন্দ্রকে দমন করে কাজ করে। এগুলি সাধারণত ঠান্ডা বা ফ্লু দ্বারা সৃষ্ট কাশির জন্য ব্যবহৃত হয়।
শ্লেষ্মা-পাতলাকারী: এই ওষুধগুলি শ্লেষ্মাকে পাতলা করে এবং এটিকে সহজে বের করে দিতে সহায়তা করে। এগুলি সাধারণত ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়া দ্বারা সৃষ্ট কাশির জন্য ব্যবহৃত হয়।
সাধারণত ব্যবহৃত কাশি-প্ররোচনাকারী ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:
- ডেক্সট্রোমথরফান (ব্রোঙ্কোল্ড, ডেক্সট্রোমথরফান সিরাপ)
- গোয়েপিভেনসিন (ক্যাপসিন, গোয়েপিভেনসিন সিরাপ)
- সাধারণত ব্যবহৃত শ্লেষ্মা-পাতলাকারী ওষুধগুলির মধ্যে রয়েছে:
- গুয়াইফেনেসিন (এন-ফ্যাক্ট, গুয়াইফেনেসিন সিরাপ)
- ডাইক্লোফেনাক (অ্যালডেক্সা, ডাইক্লোফেনাক সিরাপ)
আপনার জন্য কোন ওষুধটি সবচেয়ে ভালো তা আপনার ডাক্তার নির্ধারণ করতে পারেন। তারা আপনার কাশির কারণ এবং আপনার অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা বিবেচনা করবে।
কাশির ওষুধ ছাড়াও, আপনি কিছু ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করতে পারেন যা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। এই প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে:
নুন-জল দিয়ে গার্গল করুন। এটি গলা পরিষ্কার করতে এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করতে পারে। উষ্ণ গরম জলে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। মধু এবং লেবুর রস উভয়ই অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি কাশির উপশম করতে এবং গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে।
ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্টের তেল দিয়ে ভেপার নিন। এই তেলগুলিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং শ্লেষ্মা-পাতলা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি কাশির উপশম করতে এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আদা চা পান করুন। আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এটি কাশির উপশম করতে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু করে রাখুন। এটি গলা থেকে শ্লেষ্মা বের করতে সাহায্য করবে এবং কাশির উপশম করবে।
এই প্রতিকারগুলি যদি কার্যকর না হয় তবে আপনার একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে পারেন। তারা আপনাকে ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসার সুপারিশ করতে পারে।
অতিরিক্ত কাশি হলে কি করতে হবে
অতিরিক্ত কাশি হলে প্রথমেই আপনাকে কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে। এই পদক্ষেপগুলি হল:
প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন। এটি শ্লেষ্মা পাতলা করতে এবং এটিকে সহজে বের করে দিতে সাহায্য করবে। গলা পরিষ্কার রাখুন। আপনি নুন-জল দিয়ে গার্গল করতে পারেন বা গরম চা পান করতে পারেন।
বিশ্রাম নিন। এটি আপনার শরীরকে সুস্থ হতে সাহায্য করবে। এই প্রাথমিক পদক্ষেপগুলি যদি কার্যকর না হয় তবে আপনি কিছু ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করতে পারেন। এই প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে:
মধু: মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি কাশির উপশম করতে এবং গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ইউক্যালিপটাস তেল: ইউক্যালিপটাস তেলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং শ্লেষ্মা-পাতলা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি কাশির উপশম করতে এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আদা: আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিহিস্টামিন এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি। এটি কাশির উপশম করতে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি যদি কার্যকর না হয় তবে আপনার একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। তারা আপনাকে ওষুধ বা অন্যান্য চিকিৎসার সুপারিশ করতে পারেন।
অতিরিক্ত কাশি হলে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত:
- কাশির সাথে রক্তপাত
- কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট
- কাশির সাথে বুকে ব্যথা
- কাশির সাথে জ্বর
- কাশির সাথে ওজন হ্রাস
এই লক্ষণগুলি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়
এলার্জিজনিত কাশি দূর করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার এলার্জির কারণ চিহ্নিত করতে হবে। একবার আপনি আপনার এলার্জির কারণ চিহ্নিত করে ফেললে, আপনি এটি এড়াতে বা এটিকে কমাতে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
এলার্জিজনিত কাশি দূর করার কিছু উপায় হল:
আপনার এলার্জির কারণ এড়িয়ে চলুন। যদি আপনি জানেন যে আপনি কোন নির্দিষ্ট জিনিসের প্রতি অ্যালার্জিযুক্ত, তাহলে সেই জিনিসটি এড়িয়ে চলুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি ধুলাবালিতে অ্যালার্জিযুক্ত হন, তাহলে আপনার ঘরটি পরিষ্কার রাখুন এবং ধুলাবালি থেকে দূরে থাকুন।
এলার্জি ওষুধ গ্রহণ করুন। আপনার ডাক্তার আপনাকে এলার্জি ওষুধ লিখে দিতে পারেন যা আপনার কাশি দূর করতে সাহায্য করতে পারে। এই ওষুধগুলি অ্যান্টিহিস্টামিন বা স্টেরয়েড হতে পারে।
ইমিউনোথেরাপি গ্রহণ করুন। ইমিউনোথেরাপি হল একটি চিকিৎসা যা আপনার শরীরকে আপনার এলার্জির প্রতিক্রিয়া কমাতে শেখায়। এই চিকিৎসার জন্য, আপনি আপনার এলার্জির কারণগুলির ছোট পরিমাণে ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
এলার্জিজনিত কাশির জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও কার্যকর হতে পারে। এই প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে:
নুন-জল দিয়ে গার্গল করুন। এটি গলা পরিষ্কার করতে এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করতে পারে। উষ্ণ গরম জলে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি কাশির উপশম করতে এবং গলা পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কী জেনে নিন
ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্টের তেল দিয়ে ভেপার নিন। এই তেলগুলিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং শ্লেষ্মা-পাতলা করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি কাশির উপশম করতে এবং শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আপনি যদি এলার্জিজনিত কাশি থেকে মুক্তি পেতে চান তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
গলা খুসখুস ও কাশি দূর করার উপায়
খুসখুসে কাশি বা গলা ব্যথা হলে, চার থেকে পাঁচটা তুলসী পাতা জলে ধুয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিতে হবে। নুন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদান গলার অস্বস্তি দূর করে। পাশাপাশি শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
প্রতিদিন অন্তত দুবার, এক গ্লাস গরম জলে এক চা চামচ নুন দিয়ে গার্গল করতে পারেন।মধু শুষ্ক কাশি অপসারণের জন্য প্রতিদিন ১ চামচ মধু গ্রহণ করুন, আপনি ত্রাণ পাবেন। গরম জল ১ গ্লাস গরম জলে ১ চা চামচ লবণ যোগ করে এবং সকালে সন্ধ্যায় শোষন করলে, এটি শুষ্ক কাশিতে ত্রাণ সরবরাহ করে।
কালো মরিচ কালো মরিচকেও কাশির জন্য ভাল ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- মশলা চা
- বেসিল গুচ্ছ
- আদা
- হলুদ
- লেবু