যেসব কাজের আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া প্রয়োজন

সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা হাত দিয়েই আমরা খাবার প্রস্তুত করি, নিজেরা খাই, খাবার পরিবেশন করি। হাত দিয়েই স্পর্শ করি নবজাতককে, প্রিয়জনদের। আবার হাতের মাধ্যমে অনেক রোগবালাই ছড়ায়। তাই হাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাটা খুব জরুরি।

 
সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা

হাত ধোওয়া আপনাকে সুস্থ রাখতে পারে এবং একজন ব্যক্তির থেকে নিকটতম ব্যক্তির শ্বাসযন্ত্রের ও ডায়ারিয়া সংক্রমণ ছড়িয়া পড়া প্রতিরোধ করতে পারে।

যেসব কাজের আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া প্রয়োজন

হাত ধোওয়া হল একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন যা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সময়, হাতের তালু, আঙুলের ফাঁক, নখের নিচ এবং আঙ্গুলের গিঁটগুলি ভালোভাবে ঘষতে হবে। সাবান এবং জল দিয়ে হাত ধোয়া জীবাণুগুলিকে অপসারণ করে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমায়।

সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার প্রয়োজন এমন কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে: খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে। খাবার খাওয়ার আগে হাত ধোয়া নিশ্চিত করে যে আপনার হাত খাবার থেকে মুক্ত এবং জীবাণুমুক্ত। খাবার খাওয়ার পরে হাত ধোয়া খাবার থেকে জীবাণুগুলিকে আপনার হাত থেকে আপনার মুখ, নাক এবং চোখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন: লিচু খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

টয়লেট ব্যবহারের পরে। টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত ধোয়া নিশ্চিত করে যে আপনার হাত মলদ্বার থেকে জীবাণুগুলিকে অপসারণ করে।শিশুকে পরিচর্যা করার আগে এবং পরে। শিশুরা প্রায়ই জীবাণু বহন করে, তাই শিশুকে পরিচর্যা করার আগে এবং পরে হাত ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ।রোগীকে পরিচর্যা করার আগে এবং পরে। 

রোগীরা প্রায়ই সংক্রমিত হয়ে থাকেন, তাই রোগীকে পরিচর্যা করার আগে এবং পরে হাত ধোয়া গুরুত্বপূর্ণ।খাবার তৈরির আগে, সময় এবং পরে। খাবার তৈরির সময় আপনার হাত খাবার থেকে মুক্ত এবং জীবাণুমুক্ত রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

নোংরা বা আবর্জনাপূর্ণ কিছু স্পর্শ করার পরে। নোংরা বা আবর্জনাপূর্ণ কিছু স্পর্শ করার পরে হাত ধোয়া জীবাণুগুলিকে আপনার হাত থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।এছাড়াও, যেব সময় আপনি মনে করেন আপনার হাত নোংরা বা ময়লা হয়ে গেছে, তখনও হাত ধোয়া ভালো।

সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা

সাবান দিয়ে হাত ধোওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন যা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। সাবান এবং জল দিয়ে হাত ধোয়া জীবাণুগুলিকে অপসারণ করে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমায়।

সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কিছু নির্দিষ্ট উপকারিতা হল: 
রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে: সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

খাবারের নিরাপত্তা বাড়াতে সাহায্য করে: সাবান দিয়ে হাত ধোয়া খাবারের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।সামাজিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে: সাবান দিয়ে হাত ধোয়া একটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে।

সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
  • পরিষ্কার, প্রবাহমান জল দিয়ে হাত ভেজান।
  • সাবান লাগান এবং হাতের তালু, আঙুলের ফাঁক, নখের নিচ এবং আঙ্গুলের গিঁটগুলি ভালোভাবে ঘষুন।
  • কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ঘষুন।
  • পরিষ্কার জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
  • তোয়ালে বা ওয়াশকলের সাথে হাত মুছে নিন।
সাবান দিয়ে হাত ধোয়া একটি সহজ এবং কার্যকর উপায় যা আপনার এবং আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার নিয়ম

সাবান দিয়ে হাত ধোয়া হল একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন যা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। সাবান এবং জল দিয়ে হাত ধোয়া জীবাণুগুলিকে অপসারণ করে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমায়।

সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
  • প্রবাহমান জল দিয়ে হাত ভেজান।
  • সাবান লাগান।
  • হাতের তালু, আঙুলের ফাঁক, নখের নিচ এবং আঙ্গুলের গিঁটগুলি ভালোভাবে ঘষুন।
  • কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ঘষুন।
  • পরিষ্কার জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
  • তোয়ালে বা ওয়াশকলের সাথে হাত মুছে নিন।
  • পদক্ষেপ ১: প্রবাহমান জল দিয়ে হাত ভেজান; প্রথমে, পরিষ্কার, প্রবাহমান জল দিয়ে আপনার হাত ভেজান। জল গরম বা ঠান্ডা হতে পারে।
  • পদক্ষেপ ২: সাবান লাগান: তারপর, আপনার হাতের তালুতে সাবান লাগান। আপনার হাতের তালুতে যথেষ্ট পরিমাণে সাবান নিন যাতে আপনার হাতের পুরোটা অংশ ঢাকা যায়।
  • পদক্ষেপ ৩: হাতের তালু, আঙুলের ফাঁক, নখের নিচ এবং আঙ্গুলের গিঁটগুলি ভালোভাবে ঘষুন
সাবান লাগানোর পরে, আপনার হাতের তালু, আঙুলের ফাঁক, নখের নিচ এবং আঙ্গুলের গিঁটগুলি ভালোভাবে ঘষুন। আপনার আঙ্গুলগুলিকে একসাথে ঘষুন এবং আপনার আঙুলের গিঁটগুলিকে ঘষুন। আপনার নখের নিচেও ভালো করে সাবান লাগান এবং ঘষুন।
  • পদক্ষেপ ৪: কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ঘষুন: হাত ঘষার জন্য কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিন। আপনি যদি একটি গান বা ছড়া গুনগুন করতে পারেন, তাহলে তা আপনাকে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ঘষতে সাহায্য করবে।
  • পদক্ষেপ ৫: পরিষ্কার জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন: তারপর, পরিষ্কার জল দিয়ে আপনার হাত ধুয়ে নিন। জল দিয়ে হাত ধুয়ে সাবান ধুয়ে ফেলুন।
  • পদক্ষেপ ৬: তোয়ালে বা ওয়াশকলের সাথে হাত মুছে নিন: পরিশেষে, তোয়ালে বা ওয়াশকলের সাথে আপনার হাত মুছে নিন। আপনি যদি একটি একক ব্যবহারযোগ্য তোয়ালে ব্যবহার করেন তবে তা ফেলে দিন।
সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সময় কিছু টিপস আপনার হাতের তালু, আঙুলের ফাঁক, নখের নিচ এবং আঙ্গুলের গিঁটগুলি বিশেষভাবে ভালোভাবে ঘষুন। এই অঞ্চলগুলিতে জীবাণুগুলি জমা হতে পারে। যদি আপনার নখ দীর্ঘ হয় তবে সেগুলিকে কেটে নিন যাতে সাবান এবং জল সহজেই প্রবেশ করতে পারে।

আরো পড়ুন: চোখে এলার্জি হলে কী করবেন?

যদি আপনার হাতে আংটি থাকে তবে সেগুলি খুলে দিন যাতে সাবান এবং জল সহজেই প্রবেশ করতে পারে। যদি আপনার হাতে খোঁচা থাকে তবে সেগুলিকে ঢেকে দিন যাতে সাবান এবং জল প্রবেশ করতে না পারে।

সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব
সাবান দিয়ে হাত ধোয়া একটি সহজ এবং কার্যকর উপায় যা আপনার এবং আপনার পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

সাবান কাকে বলে

সাবান হলো ফ্যাটি অ্যাসিডের সোডিয়াম বা পটাশিয়াম লবণ। এটি একটি পৃষ্ঠ-টান হ্রাসকারী পদার্থ যা পানি এবং তৈল বা তেল জাতীয় পদার্থের মধ্যে মিশ্রণকে সহজতর করে। সাবান সাধারণত তরল, জেল, ক্রিম বা শক্ত টুকরো আকারে পাওয়া যায়।

সাবান তৈরির প্রক্রিয়াটিকে সাবানায়ন বলে। এই প্রক্রিয়ায়, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ক্ষারকে একসাথে মিশিয়ে সাবানের লবণ তৈরি করা হয়। ফ্যাটি অ্যাসিড সাধারণত উদ্ভিজ্জ তেল বা প্রাণীজ চর্বি থেকে পাওয়া যায়। ক্ষার সাধারণত সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) বা পটাসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH) হয়।

সাবানের প্রধান কাজ হল পরিষ্কার করা। সাবান পানি এবং তৈল বা তেল জাতীয় পদার্থের মধ্যে মিশ্রণকে সহজতর করে, যার ফলে নোংরা এবং ময়লা সহজেই ধুয়ে যায়। সাবান বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন:
  • হাত ধোয়া
  • কাপড় কাচা
  • বাসন মাজা
  • ঝাড়ু দেওয়া
  • গাড়ি ধোয়া
  • ত্বকের যত্ন
সাবান একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি পণ্য। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

সাবান এক ধরনের কি

সাবান এক ধরনের পরিষ্কারক পদার্থ। এটি একটি পৃষ্ঠ-টান হ্রাসকারী পদার্থ যা পানি এবং তৈল বা তেল জাতীয় পদার্থের মধ্যে মিশ্রণকে সহজতর করে। সাবান পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ছোট ছোট গোলাকার কণা তৈরি করে। এই গোলাকার কণাগুলির মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিডের লবণ থাকে।

ফ্যাটি অ্যাসিডের লবণ পানি এবং তৈল বা তেল জাতীয় পদার্থের মধ্যে মিশ্রণকে সহজতর করে। সাবান সাধারণত শক্ত টুকরো, তরল, জেল, বা ক্রিম আকারে পাওয়া যায়। শক্ত টুকরো সাবানকে সাধারণত সাবান বার বলা হয়। তরল সাবানকে সাধারণত হ্যান্ডওয়াশ বলা হয়। 

আরো পড়ুন: চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ৩টি উপায়

জেল সাবানকে সাধারণত শ্যাম্পু বা বাথ জেল বলা হয়। ক্রিম সাবানকে সাধারণত ফেসওয়াশ বা শরীরের লোশন বলা হয়। সাবান বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন:
  • হাত ধোয়া
  • কাপড় কাচা
  • বাসন মাজা
  • ঝাড়ু দেওয়া
  • গাড়ি ধোয়া
  • ত্বকের যত্ন
সাবান একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি পণ্য। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, টাইফয়েড, হেপাটাইটিস, এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
অতএব, সাবান এক ধরনের পরিষ্কারক পদার্থ।

সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট

সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট একটি লোকজ পদ্ধতি যা গর্ভবতী কিনা তা নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে, প্রস্রাবের সাথে সাবান মিশিয়ে দেখা হয় যে সাবান ফেনা তৈরি করে কিনা। যদি সাবান ফেনা তৈরি করে, তাহলে এটি ইঙ্গিত দেয় যে আপনি গর্ভবতী হতে পারেন।
  • সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার পদ্ধতি
  • একটি পরিষ্কার বাটিতে কিছু পরিমাণ প্রস্রাব নিন।
  • বাটিতে সাবানের একটি ছোট টুকরো যোগ করুন।
  • সাবান এবং প্রস্রাব একসাথে মিশিয়ে নিন।
  • যদি সাবান ফেনা তৈরি করে, তাহলে এটি ইঙ্গিত দেয় যে আপনি গর্ভবতী হতে পারেন।
  • সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্টের নির্ভুলতা
  • সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্টের নির্ভুলতা খুব কম। এই পদ্ধতিটি গর্ভবতী কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি নয়।
  • সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্টের ঝুঁকি
সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্টের কোনও ঝুঁকি নেই। তবে, এই পদ্ধতিটি নির্ভরযোগ্য নয় এবং গর্ভবতী কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি নয়।

অন্যান্য প্রেগনেন্সি টেস্ট সাবান দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট ছাড়াও, গর্ভবতী কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য অন্যান্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে। এই পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে: রেডি-টু-ইউজ প্রেগনেন্সি টেস্ট: এই টেস্টগুলি ফার্মেসিতে পাওয়া যায় এবং সেগুলি ব্যবহার করা সহজ।

আরো পড়ুন: হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় যে অভ্যাসগুলো

ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে প্রেগনেন্সি টেস্ট: এই টেস্টগুলি ডাক্তারের অফিসে করা হয় এবং এগুলি আরও নির্ভরযোগ্য। হোম প্রেগনেন্সি টেস্ট: এই টেস্টগুলি ইন্টারনেটে পাওয়া যায় এবং সেগুলি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ব্যবহার করা যেতে পারে। গর্ভবতী কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হল ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা।

সাবান তৈরির উপাদান

তেল বা চর্বি: তেল বা চর্বিই সাবান তৈরির মূল উপাদান। তেল বা চর্বিতে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা সাবান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। তেল বা চর্বি বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া যায়, যেমন:
  • উদ্ভিজ্জ তেল: নারকেল তেল, জলপাই তেল, সূর্যমুখী তেল, তিলের তেল, বাদাম তেল ইত্যাদি।
  • প্রাণীজ চর্বি: গরু, ছাগল, মহিষ, শুয়োর ইত্যাদি প্রাণীর চর্বি।
  • ক্ষার: ক্ষার সাবান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অন্যতম উপাদান। ক্ষার তেল বা চর্বিতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে সাবান তৈরি করে। ক্ষার সাধারণত দুই ধরনের হয়:
  • সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH): সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ক্ষার। এটি সাবানকে শক্ত এবং মজবুত করে।
  • পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH): পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের চেয়ে দ্রুত সাবান তৈরি করে। এটি সাবানকে নরম এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
  • সাবান তৈরির জন্য অতিরিক্ত কিছু উপাদানও ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন:
  • গ্লিসারিন: গ্লিসারিন সাবানকে নরম এবং মসৃণ করে। এটি সাবানকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে।
  • রঙ: রঙ সাবানকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
  • সুগন্ধি: সুগন্ধি সাবানকে সুগন্ধি করে তোলে।
সাবান তৈরির পদ্ধতি
সাবান তৈরির পদ্ধতি মূলত দুটি ধরনের: ক্লাসিক সাবান তৈরি: এই পদ্ধতিতে তেল বা চর্বি এবং ক্ষারকে গরম করে সাবান তৈরি করা হয়। কোল্ড প্রোসেস সাবান তৈরি: এই পদ্ধতিতে তেল বা চর্বি এবং ক্ষারকে ঘরের তাপমাত্রায় মিশিয়ে সাবান তৈরি করা হয়।

ক্লাসিক সাবান তৈরি করা হতে হলে আপনার আগেই কিছু জিনিস সংগ্রহ করতে হবে। এটি একটি মজাদার এবং ক্রিয়াশীল প্রক্রিয়া হতে পারে, তবে সাবান তৈরির জন্য একটি ভাল রেসিপি অনুসরণ করতে হবে।

কোল্ড প্রোসেস সাবান তৈরির পদ্ধতিতে তেল বা চর্বি এবং ক্ষারকে ঘরের তাপমাত্রায় মিশিয়ে দিতে হয়। মিশ্রণটিকে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিতে হয়। মিশ্রণটি ঘন হয়ে গেলে তা ছাঁচে ঢেলে নিতে হয়। সাবানটিকে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা শুকানোর জন্য রেখে দিতে হয়।

সাবান তৈরির সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাবান তৈরির সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। কারণ, ক্ষার একটি রাসায়নিক পদার্থ যা ক্ষতিকর হতে পারে। সাবান তৈরির সময় নিচের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত:

সুরক্ষা চশমা, গ্লাভস এবং অ্যাপ্রোন পরুন। ক্ষার এবং পানি মিশানোর সময় সাবধানে থাকুন। ক্ষার স্পর্শ করলে তাড়াতাড়ি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বাচ্চাদের কাছ থেকে ক্ষার এবং সাবান তৈরির উপকরণ দূরে রাখুন।

সাবান তৈরির মূল উপাদান কোনটি

সাবান তৈরির মূল উপাদান হল তেল বা চর্বি এবং ক্ষার। তেল বা চর্বিতে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা সাবান তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। ক্ষার তেল বা চর্বিতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে সাবান তৈরি করে।

তেল বা চর্বি বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া যায়, যেমন:
  • উদ্ভিজ্জ তেল: নারকেল তেল, জলপাই তেল, সূর্যমুখী তেল, তিলের তেল, বাদাম তেল ইত্যাদি।
  • প্রাণীজ চর্বি: গরু, ছাগল, মহিষ, শুয়োর ইত্যাদি প্রাণীর চর্বি।
ক্ষার সাধারণত দুই ধরনের হয়:
  • সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH): সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ক্ষার। এটি সাবানকে শক্ত এবং মজবুত করে।
  • পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (KOH): পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের চেয়ে দ্রুত সাবান তৈরি করে। এটি সাবানকে নরম এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
সাবান তৈরির জন্য অতিরিক্ত কিছু উপাদানও ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন:
  • গ্লিসারিন: গ্লিসারিন সাবানকে নরম এবং মসৃণ করে। এটি সাবানকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে।
  • রঙ: রঙ সাবানকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
  • সুগন্ধি: সুগন্ধি সাবানকে সুগন্ধি করে তোলে।
সুতরাং, সাবান তৈরির মূল উপাদান হল তেল বা চর্বি এবং ক্ষার।

সাবান কোন ভাষার শব্দ

সাবান শব্দটি ল্যাটিন ভাষার "sapo" থেকে এসেছে। ল্যাটিন ভাষায় "sapo" শব্দের অর্থ হল "চর্বি থেকে তৈরি পদার্থ"। সাবান তৈরির মূল উপাদান হল চর্বি, তাই ল্যাটিন ভাষায় "sapo" শব্দটি থেকে সাবান শব্দটি এসেছে।

আরো পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে জেনে নিন

বাংলা ভাষায় "সাবান" শব্দটি ল্যাটিন "sapo" শব্দ থেকে এসেছে। বাংলায় "সাবান" শব্দটি প্রথম ব্যবহার হয়েছিল মুঘল আমলে। মুঘল সম্রাটরা ল্যাটিন ভাষায় সাবান তৈরির পদ্ধতি শিখেছিলেন এবং তারা ভারতে সাবান তৈরির প্রচলন করেছিলেন।

অন্য ভাষায় সাবান শব্দের উৎপত্তি
  • ইংরেজি ভাষায় "soap" শব্দটি এসেছে ল্যাটিন "sapo" শব্দ থেকে।
  • ফরাসি ভাষায় "savon" শব্দটি এসেছে ল্যাটিন "sapo" শব্দ থেকে।
  • স্প্যানিশ ভাষায় "jabón" শব্দটি এসেছে ল্যাটিন "sapo" শব্দ থেকে।
  • পর্তুগিজ ভাষায় "sabonete" শব্দটি এসেছে ল্যাটিন "sapo" শব্দ থেকে।
  • আরবি ভাষায় "صابون" (sābūn) শব্দটি এসেছে ল্যাটিন "sapo" শব্দ থেকে।
  • হিন্দি ভাষায় "साबुन" (sābun) শব্দটি এসেছে ল্যাটিন "sapo" শব্দ থেকে।
  • উর্দু ভাষায় "صابون" (sābūn) শব্দটি এসেছে ল্যাটিন "sapo" শব্দ থেকে।
সুতরাং, সাবান শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন