মেয়েরা ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে
কিশোরীদের ত্বকের যত্ন সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক কে না চায়। তবে রাতারাতি খুব সহজ উপায়ে সুন্দর ত্বক পাওয়া সম্ভব নয়। সুন্দর ত্বকের জন্য কোনো শর্টকাট নেই, এর জন্য প্রয়োজন সঠিক উপায়ে যত্ন। অনেক দিন ধরে সঠিক উপায়ে এবং নিয়ম মেনে ত্বকের যত্নের মাধ্যমে সুন্দর ত্বক পাওয়া সম্ভব।
তবে বাজারে স্কিনকেয়ারের এত পণ্য দেখে অথবা এতজনের এত রকম পরামর্শ শুনে অনেকেই হয়তো বিভ্রান্তিতে থাকেন। মেয়েদের জন্য কোন ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালো
ত্বক মানবদেহের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা – সব ঋতুতেই ত্বকের যত্ন নিতে হবে। কেননা নিয়মিত যত্নের মাধ্যমেই পাওয়া যেতে পারে সুন্দর, কোমল ত্বক। চলুন জেনে নেই মেয়েরা ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে।
মেয়েরা ত্বকের যত্ন নেবেন যেভাবে
মেয়েদের ত্বক ছেলেদের ত্বকের থেকে কিছুটা আলাদা। মেয়েদের ত্বক সাধারণত ছেলেদের ত্বকের চেয়ে বেশি পাতলা এবং সংবেদনশীল। তাই মেয়েদের ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। ত্বকের ধরন নির্ণয় করুন ত্বকের ধরন নির্ণয় করা ত্বকের যত্ন নেওয়ার প্রথম ধাপ। ত্বকের ধরন নির্ধারণ করার জন্য আপনি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
ত্বকের ধরন নির্ণয় করা হলে আপনি সেই অনুযায়ী ত্বকের যত্নের পণ্য ব্যবহার করতে পারবেন। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন ত্বক পরিষ্কার করা ত্বকের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দিনে দুইবার, সকালে এবং রাতে, ত্বক পরিষ্কার করুন। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
ফেসওয়াশ ব্যবহার করার পর মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করুন ত্বকের মৃত কোষ দূর করার জন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করা উচিত। এক্সফোলিয়েশন করার জন্য আপনি বাজারে পাওয়া এক্সফোলিয়েটিং পণ্য ব্যবহার করতে পারেন। অথবা, ঘরোয়া উপায়েও এক্সফোলিয়েশন করতে পারেন। টোনার ব্যবহার করুন টোনার ত্বককে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: মেছতা কেন হয়? মেছতা দূর করার উপায়সমূহ
এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল বা আর্দ্রতা দূর করে। টোনার ব্যবহার করার জন্য একটি তুলোর বল ভিজিয়ে টোনার দিয়ে মুখ মুছুন। হাইড্রেট করুন ত্বককে সুস্থ রাখতে হাইড্রেশন অপরিহার্য। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে দিনে দুইবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন সূর্য থেকে রক্ষা পেতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বকের ক্যান্সার, ব্রণ, এবং কালচে দাগ প্রতিরোধ করা যায়। বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগান। পর্যাপ্ত ঘুমান পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি রাতে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান। স্বাস্থ্যকর খাবার খান স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ত্বকের জন্য প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি, এবং পানি খাওয়া উচিত। নিয়মিত মেকআপ তুলুন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ফেলুন। মেকআপ না তুলে ঘুমালে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন ত্বকের কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ত্বকের যত্নের জন্য কিছু টিপস ত্বকের যত্নের পণ্য কেনার সময় ভালো মানের পণ্য কেনার চেষ্টা করুন। ত্বকের যত্নের পণ্য ব্যবহার করার আগে পণ্যের লেবেল ভালো করে পড়ুন। ত্বকের যত্নের পণ্য ব্যবহার করার সময় ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করুন। ত্বকের যত্নের পণ্য ব্যবহার করার পর ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে আপনি সুন্দর এবং সুস্থ ত্বক পেতে পারেন।
প্রতিদিনের ত্বকের যত্ন
সুন্দর এবং সুস্থ ত্বক পেতে হলে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের ত্বকের যত্ন ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং ত্বকের যেকোনো সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের ত্বকের যত্নের রুটিন সকালে: মুখ পরিষ্কার করুন: ত্বক পরিষ্কার করা প্রতিদিনের ত্বকের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মুখ পরিষ্কার করার জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
ফেসওয়াশ ব্যবহার করার পর মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। টোনার ব্যবহার করুন: টোনার ত্বককে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল বা আর্দ্রতা দূর করে। টোনার ব্যবহার করার জন্য একটি তুলোর বল ভিজিয়ে টোনার দিয়ে মুখ মুছুন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: সূর্য থেকে রক্ষা পেতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বকের ক্যান্সার, ব্রণ, এবং কালচে দাগ প্রতিরোধ করা যায়। বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগান। রাতে: মেকআপ তুলুন: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ফেলুন। মেকআপ না তুলে ঘুমালে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। মুখ পরিষ্কার করুন: ত্বক পরিষ্কার করা প্রতিদিনের ত্বকের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
আরো পড়ুন: কীভাবে দ্রুত ঘরোয়া ভাবে ও প্রাকৃতিক উপায়ে লম্বা হওয়া যায় জেনে নিন
মুখ পরিষ্কার করার জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। ফেসওয়াশ ব্যবহার করার পর মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এক্সফোলিয়েশন করুন: ত্বকের মৃত কোষ দূর করার জন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করা উচিত। এক্সফোলিয়েশন করার জন্য আপনি বাজারে পাওয়া এক্সফোলিয়েটিং পণ্য ব্যবহার করতে পারেন। অথবা, ঘরোয়া উপায়েও এক্সফোলিয়েশন করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: ত্বককে সুস্থ রাখতে হাইড্রেশন অপরিহার্য। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে দিনে দুইবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ত্বকের যত্ন সুন্দর এবং সুস্থ ত্বক পেতে হলে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের ত্বকের যত্ন ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং ত্বকের যেকোনো সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিনের ত্বকের যত্নের রুটিন
সকালে: মুখ পরিষ্কার করুন: ত্বক পরিষ্কার করা প্রতিদিনের ত্বকের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মুখ পরিষ্কার করার জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। ফেসওয়াশ ব্যবহার করার পর মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
টোনার ব্যবহার করুন: টোনার ত্বককে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল বা আর্দ্রতা দূর করে। টোনার ব্যবহার করার জন্য একটি তুলোর বল ভিজিয়ে টোনার দিয়ে মুখ মুছুন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: সূর্য থেকে রক্ষা পেতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বকের ক্যান্সার, ব্রণ, এবং কালচে দাগ প্রতিরোধ করা যায়। বাইরে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগান।
রাতে: মেকআপ তুলুন: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ফেলুন। মেকআপ না তুলে ঘুমালে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। মুখ পরিষ্কার করুন: ত্বক পরিষ্কার করা প্রতিদিনের ত্বকের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। মুখ পরিষ্কার করার জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। ফেসওয়াশ ব্যবহার করার পর মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
এক্সফোলিয়েশন করুন: ত্বকের মৃত কোষ দূর করার জন্য নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন করা উচিত। এক্সফোলিয়েশন করার জন্য আপনি বাজারে পাওয়া এক্সফোলিয়েটিং পণ্য ব্যবহার করতে পারেন। অথবা, ঘরোয়া উপায়েও এক্সফোলিয়েশন করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: ত্বককে সুস্থ রাখতে হাইড্রেশন অপরিহার্য। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে দিনে দুইবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ত্বকের যত্ন ত্বকের ধরন অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। ত্বকের ধরন নির্ণয় করার জন্য আপনি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।
শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকের জন্য হালকা ফেসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজার, এবং তেল-ভিত্তিক নাইট ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।তৈলাক্ত ত্বক: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ, লাইট-ওয়েট ময়েশ্চারাইজার, এবং অ্যান্টি-অয়েল নাইট ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
কম্বিনেশন ত্বক: কম্বিনেশন ত্বকের জন্য মৃদু ফেসওয়াশ, হালকা ময়েশ্চারাইজার, এবং তেল-নিয়ন্ত্রণকারী নাইট ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।সংবেদনশীল ত্বক: সংবেদনশীল ত্বকের জন্য হাইপো-অ্যালার্জেনিক ফেসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজার, এবং নাইট ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
ত্বকের যত্নের জন্য কিছু টিপস
- ত্বকের যত্নের পণ্য কেনার সময় ভালো মানের পণ্য কেনার চেষ্টা করুন।
- ত্বকের যত্নের পণ্য ব্যবহার করার আগে পণ্যের লেবেল ভালো করে পড়ুন।
- ত্বকের যত্নের পণ্য ব্যবহার করার সময় ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
- ত্বকের যত্নের পণ্য ব্যবহার করার পর ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে আপনি সুন্দর এবং সুস্থ ত্বক পেতে পারেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন
সুন্দর, সুস্থ ত্বক পেতে ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং চিকিৎসা রয়েছে। তবে, ঘরোয়া পদ্ধতিতেও ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায় নিচে দেওয়া হল: মুখ পরিষ্কার করা: ত্বক পরিষ্কার করা ত্বকের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক।
মুখ পরিষ্কার করার জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। মুখ পরিষ্কার করার পর মুখ মুছতে টাওয়াল ব্যবহার করুন।ময়েশ্চারাইজ করা: ত্বককে আর্দ্র রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। ত্বককে আর্দ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করা: রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন ত্বককে রোদের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে।নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা: ত্বকে ধুলোবালি, মেকআপের গুঁড়া, তেল ইত্যাদি জমে থাকলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করুন।
আরো পড়ুন: রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
ত্বকে নিয়মিত ম্যাসাজ করা: ত্বকে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ফলে ত্বক সুস্থ এবং উজ্জ্বল হয়।পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: ত্বক সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। পানি ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্নের জন্য কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে।
যেমন: হলুদ: হলুদ ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের দাগ দূর হয়। অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা ত্বককে আর্দ্র রাখতে এবং ত্বকের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকে লাগালে ত্বক নরম এবং মসৃণ হয়। মধু: মধু ত্বককে আর্দ্র রাখতে এবং ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। মধু ত্বকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
দুধ: দুধ ত্বককে নরম এবং মসৃণ করে। দুধ দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। টমেটো: টমেটো ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। টমেটোর রস ত্বকে লাগালে ত্বকের দাগ দূর হয়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিলে ত্বক সুস্থ এবং উজ্জ্বল থাকবে।
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্ন
৩০ বছর বয়সে ত্বকের যত্নের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে: ত্বক পরিষ্কার করা: ত্বক পরিষ্কার করা ত্বকের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। মুখ পরিষ্কার করার জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। মুখ পরিষ্কার করার পর মুখ মুছতে টাওয়াল ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজ করা: ত্বককে আর্দ্র রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে পারে।
তাই ত্বককে আর্দ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার সময় ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করুন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করা: রোদে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন ত্বককে রোদের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে। সানস্ক্রিনের এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি হওয়া উচিত।
এক্সফোলিয়েট করা: নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা ত্বককে মৃত কোষ থেকে মুক্ত করতে সাহায্য করে। এতে ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ হয়। সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েট করা ভালো। ভিটামিন সি ব্যবহার করা: ভিটামিন সি ত্বকের বলিরেখার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের যত্নের জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ক্রিম বা টোনার ব্যবহার করতে পারেন।
এইচএএলিউরোনিক অ্যাসিড ব্যবহার করা: এইচএএলিউরোনিক অ্যাসিড ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের যত্নের জন্য এইচএএলিউরোনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ক্রিম বা টোনার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, ৩০ বছর বয়স থেকেই অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ব্যবহার করা শুরু করতে পারেন। অ্যান্টি-এজিং ক্রিম ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নের জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: হলুদ: হলুদ ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের দাগ দূর হয়। অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা ত্বককে আর্দ্র রাখতে এবং ত্বকের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকে লাগালে ত্বক নরম এবং মসৃণ হয়।
মধু: মধু ত্বককে আর্দ্র রাখতে এবং ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। মধু ত্বকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়। দুধ: দুধ ত্বককে নরম এবং মসৃণ করে। দুধ দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক উজ্জ্বল হয়। টমেটো: টমেটো ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। টমেটোর রস ত্বকে লাগালে ত্বকের দাগ দূর হয়। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিলে ত্বক সুস্থ এবং উজ্বল থাকবে।
কিশোরীদের ত্বকের যত্ন
মেয়েদের কিশোর বয়সে বিভিন্ন হরমোন পরিবর্তনের জন্য ত্বকের ছিদ্রগুলো ওনেক বেশি তেল নিঃসরণ করে। যার ফলে ত্বকের ছিদ্রে তেল ও ময়লা ঢুকে গিয়ে ব্ল্যাকহেডস এর সৃষ্টি হয়। তাই এই বয়সে কিছু রুটিন মেনে চলতে হবে।
এতে ত্বক থাকবে ভালো এবং দাঘীন।কিশোরীদের ত্বক সহজভাবে আপনারা পরিচিত যত্ন নেতে পারেন এবং তাদের সুস্থ ত্বক রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারেন। তাদের ত্বকের সুস্থ রাখার জন্য কিছু মৌলিক পরামর্শ দেওয়া হলো:
সাধারণ ত্বক সাধারণ ত্বক সচরাচর মসৃণ এবং সমান হয়ে থাকে। স্মুথ স্কিন টোন যাকে বলে। ত্বকের রোমকূপগুলো এ ধরণের ত্বকে দেখা যায় না। সাধারণ ত্বকে লালচে ভাব কিংবা কোনো ধরণের কালো দাগ দেখা যায়না। বিশেষত এ ধরণের ত্বক একদম শুষ্ক কিংবা তেলতেলেও বলা চলে না।
এই ধরণের ত্বকের পরিচর্যার জন্যে মাইল্ড ফেসওয়াশ কিংবা সাধারণ কোনো সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন। শুষ্ক ত্বক শুষ্ক ত্বক সচরাচর রুক্ষ, খরখরে এবং নিষ্প্রভ হয়ে থাকে। শুষ্ক ত্বকের রোমকূপ প্রায় দেখাই যায় না। এ ধরণের ত্বকে প্রায়ই চুলকানি হয়৷ এই ধরণের ত্বকের পরিচর্যার জন্যে মাইল্ড ফেস-ওয়াশ ব্যবহার করা উচিত৷
প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার করা জরুরি৷ পারফিউম মুক্ত কিংবা এলকোহল মুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে৷ পারতপক্ষে গরম পানিতে গোসল করা এড়াবেন। তবে প্রচণ্ড গরম কিংবা শীতে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুলে আরাম পাওয়া যায়৷ মূলত ময়েশ্চারাইজার লক করে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত। তৈলাক্ত ত্বক আপনার ত্বক উজ্জ্বল হলে, রোমকূপগুলো স্পষ্টভাবে দেখা গেলে,
আরো পড়ুন: অতিরিক্ত ওজন কমানোর সহজ উপায়
এবং প্রায়শই ব্ল্যাকহ্যাড কিংবা পিম্পল দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক তৈলাক্ত। তৈলাক্ত ত্বকের পরিচর্যায় প্রতিদিন দুবার অথবা অন্তত একবার হলেও সাধারণ সাবান এবং পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তেল সরাবার ক্ষেত্রে ক্লিনজিং প্যাড ব্যবহার করা উচিত। একনে কিংবা পিম্পল হলে কখনো টিপে গেলে ফেলবেন না। তাতে বরং ছড়ানোর সম্ভাবনা বাড়ে।
প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সাবধান থাকবেন। কম্বিনেশন স্কিন অনেকের ত্বক শুষ্ক এবং তেলতেলে দু ধরণেরই বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এ ধরণের ত্বক হয় খুব তেলতেলে বা শুষ্ক হয়ে থাকে। মূলত দিনে দুই থেকে তিনবার হালকা সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
ত্বকের যত্ন কিভাবে নেওয়া উচিত
ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ। এটি আমাদের শরীরকে আবৃত করে এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিকে রক্ষা করে। সুস্থ ত্বক থাকার জন্য ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যত্নের জন্য নিয়মিত কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। এই নিয়মগুলি হল: নিয়মিত মুখ ধোয়া: ত্বক থেকে ধুলোবালি, ময়লা, তেল এবং ঘাম দূর করতে নিয়মিত মুখ ধোয়া উচিত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ ধুয়ে নিন। টোনার ব্যবহার করা: মুখ ধোয়ার পরে টোনার ব্যবহার করুন। টোনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা: ত্বককে আর্দ্র রাখতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূর্য থেকে সুরক্ষা: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক ব্রণ, দাগ, বলিরেখা এবং ক্যান্সার থেকে রক্ষা পায়। সপ্তাহে একবার ফেসিয়াল করা: ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করতে সপ্তাহে একবার ফেসিয়াল করুন।
ফেসিয়াল করলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও, ত্বকের যত্নে আরও কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। যেমন: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানি পান করলে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ত্বক সুস্থ থাকে।
আরো পড়ুন: তুলসীর উপকারিতা ও ব্যবহার
ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকুন। ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ত্বকের যত্নের উপকরণ ব্যবহার করা উচিত।
যেমন, শুষ্ক ত্বকের জন্য হালকা ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল-ফ্রি ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে ত্বক সুস্থ, উজ্জ্বল এবং মসৃণ থাকে।
ত্বকের যত্নে মধু
- ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে: মধুর অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এছাড়াও, মধু ত্বকের লোমকূপ উন্মুক্ত করে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমায়। ফলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমে।
- ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে: মধুতে রয়েছে ময়েশ্চারাইজার উপাদান যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে: মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, মধু ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা ত্বককে মসৃণ এবং উজ্জ্বল করে।
- ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে: মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের কোষের ক্ষতি রোধ করে। এছাড়াও, মধু ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
- ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে: মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, মধু ত্বকের কোষের পুনরুজ্জীবন ঘটায় যা দাগ-ছোপ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে: মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং রিপেয়ারিং উপাদান ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, মধু ত্বকের কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশ ঘটায় যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে মধু ব্যবহারের উপায়
ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে: মধুর অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এছাড়াও, মধু ত্বকের লোমকূপ উন্মুক্ত করে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমায়। ফলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে: মধুতে রয়েছে ময়েশ্চারাইজার উপাদান যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে: মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যা ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও, মধু ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা ত্বককে মসৃণ এবং উজ্জ্বল করে। ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে: মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের কোষের ক্ষতি রোধ করে।
আরো পড়ুন: হার্ট অ্যাটাকের কারন ও প্রতিকার
এছাড়াও, মধু ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে: মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, মধু ত্বকের কোষের পুনরুজ্জীবন ঘটায় যা দাগ-ছোপ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে: মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং রিপেয়ারিং উপাদান ত্বকের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, মধু ত্বকের কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশ ঘটায় যা ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে মধু ব্যবহারের উপায়
ত্বকের যত্নে মধু ব্যবহারের অনেক উপায় রয়েছে। আপনি চাইলে মধুকে সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন। এছাড়াও, মধু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
মধু সরাসরি ত্বকে লাগানোর নিয়ম:
- মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন।
- একটি তুলোর টুকরোয় মধু নিয়ে ত্বকে লাগান।
- 15-20 মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- একটি চামচ মধুর সাথে এক চামচ লেবুর রস বা হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিন।
- এই মিশ্রণটি ত্বকে লাগান।
- 15-20 মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
- ত্বকের ধরন অনুযায়ী মধু ব্যবহারের নিয়ম: শুষ্ক ত্বকের জন্য: মধুর সাথে অলিভ অয়েল বা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: মধুর সাথে লেবুর রস বা বেকিং সোডা মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
- সেনসিটিভ ত্বকের জন্য: মধুর সাথে গোলাপ জল বা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
- মধু ব্যবহারের সাবধানতা
মধু সরাসরি ত্বকে লাগানোর আগে একটি ছোট জায়গায় পরীক্ষা করে নিন।
মেয়েদের জন্য কোন ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালো
মেয়েদের জন্য সবচেয়ে ভালো ফেসওয়াশ হলো সেই ফেসওয়াশ যা তাদের ত্বকের ধরন অনুযায়ী তৈরি। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াশের ধরন নিম্নরূপ: শুষ্ক ত্বকের জন্য: শুষ্ক ত্বকের জন্য এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই ধরনের ফেসওয়াশে সাধারণত হাইড্রেটিং উপাদান যেমন অ্যালোভেরা, গ্লিসারিন, বা কোলাজেন থাকে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। এই ধরনের ফেসওয়াশে সাধারণত অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। কমলা ত্বকের জন্য: কমলা ত্বকের জন্য এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত যা ত্বকের ব্রণ এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
এই ধরনের ফেসওয়াশে সাধারণত অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে।এছাড়াও, মেয়েদের জন্য এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করা উচিত যা তাদের ত্বকের জন্য নিরাপদ। এই ধরনের ফেসওয়াশে সাধারণত কোন ক্ষতিকর উপাদান থাকে না।
মেয়েদের জন্য কিছু জনপ্রিয় ফেসওয়াশের মধ্যে রয়েছে: শুষ্ক ত্বকের জন্য: হিমালয়া নিম ফেসওয়াশ ল্যামেরা ফেসওয়াশ ইউনিভার্সাল অ্যালোভেরা ফেসওয়াশ তৈলাক্ত ত্বকের জন্য: অক্সি ফেসওয়াশ ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম ফেসওয়াশ হিমালয়া ন্যাচারালস টি ট্রি ফেসওয়াশ কমলা ত্বকের জন্য:
প্যানথেনল ফেসওয়াশ অ্যাকনি সলিউশন ফেসওয়াশ হিমালয়া ন্যাচারালস নিম ব্রণ প্রতিরোধী ফেসওয়াশ আপনি আপনার ত্বকের ধরন এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে এই ফেসওয়াশগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।
ত্বকের যত্নে ঘরোয়া টিপস
ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ এবং এটি আমাদের শরীরকে আবৃত করে এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিকে রক্ষা করে। সুস্থ ত্বক থাকার জন্য ত্বকের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যত্নে ঘরোয়া টিপসগুলো হলো: নিয়মিত মুখ ধোয়া: ত্বক থেকে ধুলোবালি, ময়লা, তেল এবং ঘাম দূর করতে নিয়মিত মুখ ধোয়া উচিত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ ধুয়ে নিন। টোনার ব্যবহার করা: মুখ ধোয়ার পরে টোনার ব্যবহার করুন। টোনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা: ত্বককে আর্দ্র রাখতে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে সুরক্ষা: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন: অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক ব্রণ, দাগ, বলিরেখা এবং ক্যান্সার থেকে রক্ষা পায়। এছাড়াও, ত্বকের যত্নে আরও কিছু ঘরোয়া টিপস হলো: শসার টুকরো দিয়ে মুখ ঠান্ডা করুন: শসাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বককে ঠান্ডা রাখতে এবং ত্বকের লালভাব কমাতে সাহায্য করে। হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন:
হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের ব্রণ, দাগ, এবং ব্রণ দাগ দূর করতে সাহায্য করে। মধু দিয়ে মুখ স্ক্রাব করুন: মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপ্টিক, এবং ময়েশ্চারাইজার উপাদান যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করুন: অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ময়েশ্চারাইজার উপাদান যা ত্বককে নরম এবং মসৃণ করতে সাহায্য করে।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী ঘরোয়া টিপস
- শুষ্ক ত্বকের জন্য:
- ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- ত্বকে নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন।
- ত্বকে শসা, টমেটো, বা কলা ব্যবহার করে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য:
- ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করতে ত্বকে টোনার ব্যবহার করুন।
- ত্বকে অ্যালোভেরা জেল, লেবুর রস, বা বেকিং সোডা ব্যবহার করে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
- ত্বকে তেল-মুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
- সেনসিটিভ ত্বকের জন্য:
- ত্বকে কোনও নতুন পণ্য ব্যবহার করার আগে একটি ছোট জায়গায় পরীক্ষা করে নিন।
- ত্বকে হালকা ফেসওয়াশ, টোনার, এবং ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন
ত্বকের যত্নে সাবধানতা
- ত্বকের যত্নের জন্য কোনও পণ্য ব্যবহার করার আগে পণ্যের লেবেল ভালোভাবে পড়ুন।
- ত্বকের যত্নের জন্য কোনও পণ্য ব্যবহার করার আগে আপনার ত্বকের ধরন সম্পর্কে জানুন।
প্রাকৃতিক উপায়ে স্কিন কেয়ার
প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক যত্ন নেওয়া হলে সে ত্বকের সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির জন্য ভালো হতে পারে। এটা আপনার ত্বক টান, চমক, এবং তার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
একটি প্রাকৃতিক ত্বক যত্নের প্রস্তুতির জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
- উপযুক্ত পোষণ: প্রাকৃতিক ওষুধ বিশেষভাবে ত্বকের জন্য ভালো। তাজা ফল, সবজি, দাদিম, হাঁড়ির পাতা, ওটবা আলোয়ের ভেতরে থাকা কাজীর জন্য উপযোগী।
- পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ: পর্যাপ্ত পানি প্রবাহের মাধ্যমে ত্বকের শুকনা এবং ভরা হওয়া সহায় করতে পারে।
- প্রাকৃতিক তৈরি শোপ: প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ তৈরি শোপ ব্যবহার করা হতে পারে, যা ত্বক ক্ষতি করতে পারেনা এবং মুখ্যভাবে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।
- প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ কোসমেটিকস: প্রাকৃতিক উপাদান বিশেষভাবে ত্বকের জন্য ভালো। আপনি ত্বক কেয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ কোসমেটিকস বা হোমমেড স্কিন কেয়ার পণ্য তৈরি করতে পারেন।
- সুস্থ বাচ্চাদের চেহারা: অনেক সময় প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক যত্নের একটি অংশ হ'ল প্রাকৃতিক চেহারা প্যাক বা মুদ্রা।
- পর্যাপ্ত শয়াময় এবং ভালো ঘুম: ভালো ঘুম ত্বকের সুস্থতা এবং সৌন্দর্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাকৃতিক তৈরি উপাদানসমৃদ্ধ পণ্যের ব্যবহারে মনিটর করতে হবে যাতে কোনও ক্ষতি হতে না পারে। এছাড়াও, আপনি একটি সুস্থ জীবনযাপনের অংশ হিসেবে পর্যাপ্ত খোকা, ব্যায়াম, এবং তাড়াতাড়ি জীবনযাপন করতে পারেন।