রমজান মাসে ইফতারে ছোলা বা বুট কতটা উপকারি
কাঁচা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা শরীরে শক্তি বৃদ্ধিতে আমিষের কাজ করে। প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে (প্রায় ৫০ গ্রাম) ছোলা খেলে মাছ-মাংসের ঘাটতি পূরণ হয়। তাই সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারিতে ছোলা খেলে গোশত, মাছ বা ডিমের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান শরীরে প্রবেশ করে। ছোলার শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম, যা শরীরে প্রবেশ করলে অস্থির ভাব দূর হয়। সেদ্ধ ছোলার উপকারিতা
আমাদের দেশে রমজান মাসে ইফতারে ৯৫% মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছোলা বা বুট খেয়ে থাকে। ছোলা বা বুট অত্যন্ত পুষ্টিকর ও উচ্চমানের প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি খাবার।
রমজান মাসে ইফতারে ছোলা বা বুট কতটা উপকারি
রমজান মাসে ইফতারে ছোলা বা বুট খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। ছোলা বা বুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ। এটি শরীরের শক্তির চাহিদা পূরণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ছোলা বা বুটের পুষ্টিগুণ:
প্রোটিন: ১০০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ১৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি উপাদান। এটি মাংস, মাছ, ডিম, দুধ, এবং ডালের মতো খাবার থেকে পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট: ১০০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ৬৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। কার্বোহাইড্রেট শরীরের শক্তির প্রধান উৎস। এটি ফল, শাকসবজি, এবং শস্যজাতীয় খাবার থেকে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি
ফাইবার: ১০০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ১৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি ফল, শাকসবজি, এবং বাদাম থেকে পাওয়া যায়। ভিটামিন: ছোলায় ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, এবং ফলিক এসিড থাকে। ভিটামিন A দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স শক্তির উৎস, এবং ফলিক এসিড গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খনিজ: ছোলায় ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, এবং জিঙ্ক থাকে। ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁত গঠনে সাহায্য করে, আয়রন রক্তস্বল্পতা দূর করে, ম্যাগনেসিয়াম পেশী এবং স্নায়ুতন্ত্রের কাজ সমন্বয় করে, পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, এবং জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
রমজান মাসে ইফতারে ছোলা বা বুট খাওয়ার উপকারিতা:
শক্তির চাহিদা পূরণ করে: রমজান মাসে দীর্ঘ সময় ধরে উপবাস থাকার কারণে শরীরের শক্তির চাহিদা বেড়ে যায়। ছোলা বা বুটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরের শক্তির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ছোলা বা বুটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বাড়ায়: ছোলা বা বুটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
কোলেস্টেরল কমায়: ছোলায় প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: ছোলা বা বুটে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রমজান মাসে ইফতারে ছোলা বা বুট খাওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে:
ছোলা বা বুট ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। ছোলা বা বুট বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে তাতে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই ছোলা বা বুট ৬-৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলেই যথেষ্ট। ছোলা বা বুট ভাজার সময় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা যাবে না। রমজান মাসে ইফতারে ছোলা বা বুট খাওয়া একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এটি শরীরের শক্তির চাহিদা পূরণ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজমশক্তি বাড়ায়, কোলেস্টের
ছোলার ক্ষতিকর দিক
ছোলা একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ। তবে ছোলা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব হতে পারে। ছোলার ক্ষতিকর দিকগুলি হল: গ্যাস এবং পেট ফাঁপা: ছোলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমে সাহায্য করে, তবে অতিরিক্ত ফাইবার গ্যাস এবং পেট ফাঁপার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
হজম সমস্যা: ছোলা ভাজার সময় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা হলে তা হজম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যালার্জি: ছোলায় অ্যালার্জি হতে পারে। ছোলায় অ্যালার্জি যাদের আছে, তাদের ছোলা এড়িয়ে চলা উচিত। বিষক্রিয়া: ছোলা বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে তাতে বিষক্রিয়া হতে পারে। তাই ছোলা ৬-৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলেই যথেষ্ট।
আরো পড়ুন: আইসক্রিমের উপকারিতা ও অপকারিতা কি
ছোলা খাওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এসব ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যেমন: ছোলা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। ছোলা বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখবেন না। ছোলা ভাজার সময় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করবেন না। ছোলা খেয়ে গ্যাস এবং পেট ফাঁপার সমস্যা হলে, পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং লেবুর রস দিয়ে পানি পান করুন।
ছোলায় অ্যালার্জি থাকলে, ছোলা এড়িয়ে চলুন। ছোলা একটি পুষ্টিকর খাবার। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে ছোলা খাওয়া উচিত নয়।
ছোলার উপকারিতা
ছোলা একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। ছোলার উপকারিতাগুলিহলো প্রোটিন ছোলা প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিন পেশী গঠন এবং মেরামত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং শরীরের ক্ষয়পূরণ কাজে সহায়তা করে।
ফাইবার: ছোলা ফাইবারের একটি ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ১৫ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ছোলায় ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে থাকে। ভিটামিন বি শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য, এবং রক্তের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয়।
খনিজ: ছোলায় আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফসফরাস হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কোষের বৃদ্ধি এবং মেরামতেও গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাগনেসিয়াম পেশী এবং স্নায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: মিষ্টি দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
ছোলার অন্যান্য উপকারিতাগুলির মধ্যে রয়েছে: হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ছোলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: ছোলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: ছোলা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ক্ষুধা দমন করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। ছোলা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এটি সিদ্ধ, ভাজা, বা ঝোল করে খাওয়া যায়। ছোলা থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবারও তৈরি করা যায়, যেমন মুড়ি মাখা, ডাল, এবং ছোলা ডাল।
ছোলা একটি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার। এটি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
কাঁচা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা
কাঁচা ছোলার উপকারিতা কাঁচা ছোলা একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। কাঁচা ছোলার উপকারিতাগুলি হলো: প্রোটিন: কাঁচা ছোলা প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা ছোলায় প্রায় ২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিন পেশী গঠন এবং মেরামত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং শরীরের ক্ষয়পূরণ কাজে সহায়তা করে।
ফাইবার: কাঁচা ছোলা ফাইবারের একটি ভালো উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা ছোলায় প্রায় ১০ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফাইবার হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন: কাঁচা ছোলায় ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন কে থাকে। ভিটামিন বি শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য, এবং রক্তের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয়।
খনিজ: কাঁচা ছোলায় আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফসফরাস হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কোষের বৃদ্ধি এবং মেরামতেও গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাগনেসিয়াম পেশী এবং স্নায়ুর স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কাঁচা ছোলার অন্যান্য উপকারিতাগুলির মধ্যে রয়েছে: হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: কাঁচা ছোলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: কাঁচা ছোলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: কাঁচা ছোলা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ক্ষুধা দমন করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
কাঁচা ছোলার অপকারিতা
কাঁচা ছোলা খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: পেট ফাঁপা: কাঁচা ছোলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই এটি খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা: কাঁচা ছোলায় উপস্থিত কিছু উপাদান গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণ হতে পারে। যেমন, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া ইত্যাদি।
অ্যালার্জি: কাঁচা ছোলায় উপস্থিত কিছু উপাদান অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। যেমন, চুলকানি, ফোলাভাব, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
কাঁচা ছোলা খাওয়র সঠিক উপায়
কাঁচা ছোলা খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর ছোলাগুলোকে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ছোলাগুলো পানি ঝরিয়ে খেতে হবে। কাঁচা ছোলা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। কাঁচা ছোলা খাওয়ার সময় কিছু টিপস
- কাঁচা ছোলা খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
- ছোলাগুলোকে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- সকালে ছোলাগুলো পানি ঝরিয়ে খেতে হবে।
- কাঁচা ছোলা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।
কাঁচা ছোলা একটি পুষ্টিকর খাবার। তবে এটি খেতে হবে সঠিক উপায়ে এবং পরিমিত পরিমাণে।
খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: প্রোটিন ও ফাইবারের ভালো উৎস: কাঁচা ছোলা প্রোটিন ও ফাইবারের একটি ভালো উৎস। প্রোটিন পেশী গঠন ও মেরামত করে এবং শরীরের ক্ষয়পূরণ করে। ফাইবার হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: কাঁচা ছোলা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ক্ষুধা দমন করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: কাঁচা ছোলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: কাঁচা ছোলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
আরো পড়ুন: ডালিম বা বেদানা খেলে কী হয় জানেন? ডালিম এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: কাঁচা ছোলা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। রক্তস্বল্পতা দূর করে: কাঁচা ছোলায় আয়রন থাকে, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। শক্তি বাড়ায়: কাঁচা ছোলায় প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে:
কাঁচা ছোলা খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। ছোলাগুলোকে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ছোলাগুলো পানি ঝরিয়ে খেতে হবে। কাঁচা ছোলা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।
খালি পেটে কাঁচা ছোলা খেলে কিছু লোকের পেট ফাঁপা, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, বা অ্যালার্জি হতে পারে। তাই কাঁচা ছোলা খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।
সেদ্ধ ছোলার উপকারিতা
সেদ্ধ ছোলা একটি পুষ্টিকর খাবার। এটি প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি ভালো উৎস। সেদ্ধ ছোলার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: প্রোটিন ও ফাইবারের ভালো উৎস: সেদ্ধ ছোলা প্রোটিন ও ফাইবারের একটি ভালো উৎস। প্রোটিন পেশী গঠন ও মেরামত করে এবং শরীরের ক্ষয়পূরণ করে।
ফাইবার হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে: সেদ্ধ ছোলা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ক্ষুধা দমন করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: সেদ্ধ ছোলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: সেদ্ধ ছোলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: সেদ্ধ ছোলা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
রক্তস্বল্পতা দূর করে: সেদ্ধ ছোলায় আয়রন থাকে, যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। শক্তি বাড়ায়: সেদ্ধ ছোলায় প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সেদ্ধ ছোলা খাওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে: ছোলা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
ছোলা বেশিক্ষণ রান্না করা উচিত নয়। ছোলা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। সেদ্ধ ছোলা খেলে কিছু লোকের পেট ফাঁপা, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা, বা অ্যালার্জি হতে পারে। তাই সেদ্ধ ছোলা খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত। সেদ্ধ ছোলা খাওয়ার কিছু উপায় হল:
- ছোলা সালাদ।
- ছোলা স্যুপ।
- ছোলা তরকারি।
- ছোলা চাট।
- ছোলা ডাল।
আপনার পছন্দমত উপায়ে আপনি সেদ্ধ ছোলা খেতে পারেন।
ছোলা গাছের উপকারিতা
ছোলা গাছ একটি ডালজাতীয় উদ্ভিদ। এটি প্রোটিনে সমৃদ্ধ এবং এর বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। হজম শক্তি বৃদ্ধি: ছোলা গাছের বীজতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ রয়েছে। খাদ্য আঁশ হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে: ছোলা গাছের বীজে থাকা ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি LDL বা খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে এবং HDL বা ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সহায়ক। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে: ছোলা গাছের বীজতে থাকা ফাইবার, প্রোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, রক্তনালীতে জমাট বাঁধা রোধ করতে এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে: ছোলা গাছের বীজতে থাকা ফাইবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়ক।
ক্যান্সার প্রতিরোধে: ছোলা গাছের বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সহায়ক। ওজন কমাতে: ছোলা গাছের বীজতে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রোটিন ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে এবং ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায়। এতে করে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ হয়।
আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন
শক্তি বৃদ্ধিতে: ছোলা গাছের বীজতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। প্রোটিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। এটি শরীরের ক্ষয়পূরণ করে এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলা গাছ শুধু খাবারের জন্যই নয়, এর বেশ কিছু ব্যবহার আছে। ছোলা গাছের পাতা, ডাল ও বীজ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়।
পাতা: ছোলা গাছের পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এছাড়াও, এর পাতা পশুখাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ডাল: ছোলা গাছের ডাল ডাল হিসেবে খাওয়া যায়। এটি একটি পুষ্টিকর খাবার। বীজ: ছোলা গাছের বীজ শুকিয়ে ডাল হিসেবে খাওয়া যায়। এছাড়াও, এর বীজ থেকে ছোলা বেসন তৈরি করা হয়। ছোলা বেসন বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
ছোলা গাছ একটি উপকারী উদ্ভিদ। এর বীজ, ডাল ও পাতা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। ছোলা গাছের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন হলে আমরা এটিকে আমাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারি।
ছোলা খাওয়ার নিয়ম
ছোলা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে একটু নরম হয়ে এলে খালি পেটে এক মুঠো খান। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, অতিরিক্ত ছোলা খাওয়া খেলে ডায়রিয়া সহ অন্যান্য রোগ হতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভেজানো ছোলা খেলে খআপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে বিভিন্ন ভাবে উপকৃত করবে।
বাজারে শুকনো ছোলা পাওয়া যায় সেই ছোলা গুলোকে আপনি কিনে আনবেন এবং প্রতিদিন রাতে সেটা একটি পাত্রে নিয়ে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। এরপরে সেই পরিষ্কার করা ছোলা সেই পাত্রে রেখে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানিতে ভিজিয়ে রাখা এই ছোলা আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। অনেকে রয়েছেন যারা পানিতে ভিজিয়ে রাখা এই ছোলা মধুর সঙ্গে চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন।
আবার অনেকেই রয়েছে, বাড়িতে ভেজানো এই ছোলা সরাসরি একটি একটি করে মুখে দিয়ে চিবিয়ে খান। এখানে মূলত খুব সহজ পদ্ধতি আপনি শুধুমাত্র ছোলাটা চিবিয়ে খেলে হলো এটার সঙ্গে আপনি আরও অন্যান্য জিনিস এড করতে পারেন যেটা আপনার শরীরের জন্য উপকারী।