ডালিম বা বেদানা খেলে কী হয় জানেন? ডালিম এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

আনারের বিচি খেলে কি হয় ডালিম বা আনারের বৈজ্ঞানিক নাম Punica granatum.অনেকে আবার এ ফলকে বলেন বেদানা। তবে যে নামেই এ ফলকে ডাকা হোক না কেন এ ফলের পুষ্টিগুণ কিন্তু একদমই কমবে না।এই ফলটিতে রয়েছে অসাধারণ কিছু জাদুকরী গুণ। তাই কালের বিবর্তনে ফলটি পেয়েছে স্বর্গীয় ফলের খেতাব। তাই আসুন জেনে নিই এ ফলটি খেলে কী কী হয় আমাদের শরীরে। ডালিম ও বেদানার পার্থক্য

আনারের বিচি খেলে কি হয়

ডালিম বা বেদানার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী গুনাগুণ। তবে কিছুটা দামি হওয়ার কারণে অনেকেই ডালিম খেতে চান না। নিয়মিত ডালিম খেলে তা দেহের বহু উপকার পাওয়া যায়।

ডালিম বা বেদানা খেলে কী হয় জানেন? ডালিম এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

ডালিমের পুষ্টিগুণ
ডালিম মজাদার ও পুষ্টিকর একটি ফল। ফলটির প্রচুর পুষ্টিগুণরয়েছে । এক কাপ ডালিম দানায় রয়েছে আপনার দৈনন্দিন চাহিদর ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি, ৩৬ শতাংশ ভিটামিন কে, ১৬ শতাংশ ভিটামিন বি৯ ও ১২ শতাংশ পটাশিয়াম। 

এতে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস রয়েছে যা কমলা, আপেল ও আমের চেয়ে চারগুণ, আতা ও আঙ্গুরের চেয়ে দ্বিগুণ, বরই ও আনারসের চেয়ে প্রায় সাতগুণ বেশি। এর প্রতি ১০০ গ্রাম ডালিমে ৭৮ ভাগ পানি, ১.৫ ভাগ আমিষ, ০.১ ভাগ স্নেহ, ৫.১ ভাগ আঁশ, ১৪.৫ ভাগ শর্করা, ০.৭ ভাগ খনিজ, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, 

আরো পড়ুন: ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা কি?

১৪ মিলিগ্রাম অক্সালিক এসিড, ৭০ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৩ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ০.৩ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ১৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ইত্যাদি থাকে। টকটকে লাল, রসালো ফল বলতেই মনে আসে বেদানা বা ডালিমের কথা। দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন মিষ্টি। 

বিভিন্ন পুষ্টিগুণেও ভরপুর এই সুস্বাদু ফল। ভিটামিন, ফোলেট, পটাশিয়াম এবং নানা রকম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে এই ফলে। সব মিলে স্বাস্থ্যের যত্ন নেয় বেদানা। তবে জানেন কি ডালিমের এর বীজেও রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ! হৃদরোগ এবং ক্যানসার-সহ নানা দীর্ঘস্থায়ী রোগভোগের হাত থেকে রক্ষা করে আমাদের। তাই রোজের ডায়েটে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন ডালিম। চলুন জেনে নেয়া যাক ডালিম খাওয়ার উপকারিতা:

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
সার্বিক সুস্থতার জন্য অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেদানার বীজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে প্রচুর। এতে রয়েছে পলিফেনলের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগও প্রতিরোধ করতে পারে।

হজমশক্তি বাড়ায় ডালিমের বীজ হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এই ফলের বীজে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। অন্ত্র এই ফাইবার থেকেই পুষ্টিগুণ শোষণ করে। যে কারণে ডালিম খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। তাছাড়া, ডালিমের বীজে ফাইবার এবং প্রদাহ-বিরোধী গুণ থাকার কারণে হজমও ভালো হয়। হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা দ্রুত নিরাময় হয়।

হার্ট সুস্থ থাকে ডালিমের বীজ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে, রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালীগুলির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ফলে এই বীজ খেলে হার্ট সুস্থ থাকে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে ডালিম কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমায়। ফলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

ত্বকের জন্য ভালো স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই ফল। বেদানা ত্বকের বলিরেখা কমায়, ট্যান পড়া আটকায়, ব্রণ কমায়, কোলাজেন উত্‍পাদন বৃদ্ধি করে এবং ত্বককে ডিটক্সিফাই করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান অকাল বার্ধক্যের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক। তাই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল এবং তারুণ্যময় ত্বক পেতে হলে রোজ অবশ্যই খান বেদানা।

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় ডালিমের বীজ ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে। এর বীজে এমন কিছু যৌগ রয়েছে, যেগুলি শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এবং অ্যাপোপটোসিস প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। অ্যাপোপটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর স্বাভাবিকভাবে ক্ষতিকারক কোষগুলিকে নির্মূল করতে পারে। যদিও এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তবে ক্যানসারের প্রকোপ থেকে বাঁচতে রোজের ডায়েটে বেদানা রাখতেই পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বেদানার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ফোলেটের মতো বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, ভিটামিন কে হাড় সুস্থ রাখে। অন্যদিকে, পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ফোলেট কোষ মেরামতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

তাই প্রতি দিন ডালিমের রস বা বেদানা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীরও সুস্থ থাকবে। এছাড়া, ডালিমের রয়েছে তিন প্রকার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-ট্যানিন, অ্যান্থোসিয়ানিন ও এলাজিক অ্যাসিড। অ্যান্থোসিয়ানিন দেহ কোষ সুস্থ রাখার ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে পারে।

ডালিমের উপকারিতা ও অপকারিতা

ডালিম একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। ডালিমের উপকারিতা অনেক। এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

ডালিমের উপকারিতা: হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ডালিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তচাপ কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: ডালিমে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায়। ফলে টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে: ডালিমে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায় এবং ক্ষুধা কমায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: ডালিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমায়। চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: ডালিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের রেটিনাকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়।

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে: ডালিমে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ডালিমের অপকারিতা:
ডালিম বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে।
ডালিমে থাকা অ্যালার্জেন কিছু মানুষের অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
ডালিম খাওয়ার পর কিছু মানুষের ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি বা অন্যান্য অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
ডালিম একটি স্বাস্থ্যকর ফল। তবে, পরিমিত পরিমাণে ডালিম খাওয়া উচিত।

রোজ বেদানা খেলে কি হয়?

রোজ বেদানা খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকার হয়। বেদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান, যেমন:

ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ফোলেট পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ফাইবার, পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোজ বেদানা খেলে যেসব উপকারিতা হয় সেগুলো হলো:

ওজন কমাতে সাহায্য করে: বেদানায় ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই নিয়মিত বেদানা খেলে হজম ভালো হয় এবং পেট ভরা থাকে, ফলে ওজন কমাতে সাহায্য হয়। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: বেদানায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডগুলো রক্তের কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমে।

আরো পড়ুন: কাঁচা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: বেদানায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। ফলে ফুসফুস ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে: বেদানায় থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেদানা একটি উপকারী ফল।

ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: বেদানায় থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং চুল ঘন থাকে। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: বেদানায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি কমে।

এছাড়াও, রোজ বেদানা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, প্রদাহ কমে, এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে, যেকোনো ফলের মতো বেদানাও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। প্রতিদিন ১-২টি বেদানা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

ডালিম ও বেদানার পার্থক্য

ডালিম এবং বেদানা দুটোই একই গাছের ফল। তবে, এই দুই ফলের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।

ডালিম
ডালিম একটি গাছের ফল।
ডালিম গাছ ৫-১০ মিটার উঁচু হতে পারে।
ডালিমের ফল গোলাকার বা ডিম্বাকৃতি হয়।
ডালিমের ফলের খোসা শক্ত এবং মসৃণ।
ডালিমের ফলের ভেতর লাল রঙের বীজ থাকে।

বেদানা
বেদানা ডালিমের ফলের বীজ।
বেদানা সাধারণত কাঁচা বা শুকিয়ে খাওয়া হয়।

বেদানায় প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে, যেমন:
ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ফোলেট
পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক
ফাইবার, পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড
ডালিম ও বেদানার মধ্যে পার্থক্য

ডালিম এবং বেদানা দুটোই একই গাছের ফল। তবে, এই দুই ফলের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে, যেমন:
বৈশিষ্ট্য ডালিম বেদানা
প্রকার ফল বীজ
আকার গোলাকার বা ডিম্বাকৃতি গোলাকার
খোসা শক্ত এবং মসৃণ নরম
রঙ গাঢ় লাল গাঢ় লাল
পুষ্টি উপাদান কম বেশি
খাওয়ার উপায় কাঁচা, রান্না, জুস কাঁচা, শুকনো, জুস

ডালিম এবং বেদানা দুটোই স্বাস্থ্যকর ফল। তবে, বেদানায় পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ ডালিমের চেয়ে বেশি। তাই, স্বাস্থ্যের জন্য বেদানা খাওয়া বেশি উপকারী।

আনারের বিচি খেলে কি হয়

আনারের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে, যেমন: ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ফোলেট পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ফাইবার, পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আনারের বিচি খেলে যেসব উপকারিতা হয় সেগুলো হলো:

ওজন কমাতে সাহায্য করে: আনারের বিচিতে ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই নিয়মিত আনারের বিচি খেলে হজম ভালো হয় এবং পেট ভরা থাকে, ফলে ওজন কমাতে সাহায্য হয়।

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: আনারের বিচিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডগুলো রক্তের কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: আনারের বিচিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। ফলে ফুসফুস ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে: আনারের বিচিতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আনারের বিচি একটি উপকারী খাবার।

ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: আনারের বিচিতে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং চুল ঘন থাকে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: আনারের বিচিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি কমে।

এছাড়াও, আনারের বিচি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, প্রদাহ কমে, এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে, যেকোনো খাবারের মতো আনারের বিচিও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। প্রতিদিন ১-২ চা চামচ আনারের বিচি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

আনারের বিচি খাওয়ার কিছু উপায়:
আনারের বিচি কাঁচা খেতে পারেন।
আনারের বিচি শুকিয়ে খেতে পারেন।
আনারের বিচি দিয়ে সালাদ বা স্যুপ তৈরি করতে পারেন।
আনারের বিচি দিয়ে স্মুদি বা জুস তৈরি করতে পারেন।

খালি পেটে ডালিম খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে ডালিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডালিমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকে, যেমন: ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ফোলেট পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক ফাইবার, পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড 

এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খালি পেটে ডালিম খেলে যেসব উপকারিতা হয় সেগুলো হলো: ওজন কমাতে সাহায্য করে: ডালিমে ক্যালোরির পরিমাণ কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই নিয়মিত খালি পেটে ডালিম খেলে হজম ভালো হয় এবং পেট ভরা থাকে, ফলে ওজন কমাতে সাহায্য হয়।

হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: ডালিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডগুলো রক্তের কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: ডালিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। ফলে ফুসফুস ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি কমে।
আরো পড়ুন: পেস্তা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা কি? বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে: ডালিমে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডালিম একটি উপকারী খাবার। ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: ডালিমে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং চুল ঘন থাকে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: ডালিমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলো মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকি কমে। এছাড়াও, খালি পেটে ডালিম খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, প্রদাহ কমে, এবং হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

খালি পেটে ডালিম খাওয়ার কিছু উপায়:
  • ডালিম দানা কাঁচা খেতে পারেন।
  • ডালিম দানা শুকিয়ে খেতে পারেন।
  • ডালিম দানা দিয়ে সালাদ বা স্যুপ তৈরি করতে পারেন।
  • ডালিম দানা দিয়ে স্মুদি বা জুস তৈরি করতে পারেন।
তবে, যেকোনো খাবারের মতো ডালিমও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। প্রতিদিন ১-২ টি ডালিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

খালি পেটে ডালিম খাওয়ার কিছু সতর্কতা:
যাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রয়েছে, তাদের খালি পেটে ডালিম না খাওয়াই ভালো।
যাদের অ্যালার্জি রয়েছে, তাদের ডালিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের ডালিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত

বেদানার উপকারিতা ও অপকারিতা

বেদানা একটি পুষ্টিকর ফল যা বিভিন্নভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বেদানায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: ভিটামিন সি: বেদানায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন কে: বেদানায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি: বেদানায় বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন বি রয়েছে, যা শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আয়রন: বেদানায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

পটাসিয়াম: বেদানায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফাইবার: বেদানায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: বেদানায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

বেদানা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেসব উপকারিতা প্রদান করে তার মধ্যে রয়েছে: হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: বেদানায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তের প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: বেদানায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: বেদানায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে: বেদানায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: বেদানায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: বেদানায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়

বেদানার অপকারিতা
বেদানা সাধারণত একটি নিরাপদ ফল। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর কিছু অপকারিতা হতে পারে। যেমন: অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া: বেদানায় থাকা অ্যালার্জেন কিছু মানুষের অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ফুসকুড়ি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি।

নিম্ন রক্তচাপ: বেদানায় থাকা কিছু উপাদান নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অ্যাসিডিটি: বেদানায় থাকা টারটারিক অ্যাসিড অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য: বেদানায় থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য ভাব বাড়িয়ে তুলতে পারে। বেদানার উপকারিতা পেতে কীভাবে খাবেন? বেদানা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। আপনি তাজা বেদানা, বেদানা জুস, বেদানা বীজ ইত্যাদি খেতে পারেন।

তাজা বেদানা খাওয়ার উপায়:
বেদানা ভালো করে ধুয়ে নিন।
এরপর বেদানাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দুইভাগে কেটে নিন।

ডালিম এর অপকারিতা

স্বাস্থ্যের জন্য এত উপকারী হওয়া সত্ত্বেও অনেকেরই বেদানা বা ডালিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, কখনো কখনো কারো কারোর ক্ষেত্রে বেদানা মারাত্মক হতে পারে। যেমন: ত্বকের অ্যালার্জি: আপনার যদি অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তবে আপনার ডালিম খাওয়া উচিত নয়।

এমনটা করলে আপনার সমস্যা আরও বাড়তে পারে। আসলে ডালিম খেলে শরীরে রক্ত ​​বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনার ত্বকে অ্যালার্জি থাকলে, আপনি যদি ডালিম খান, তাহলে আপনার শরীরে লাল গোটা বেরোতে পারে।

নিম্ন রক্তচাপে ভুগলে: যাঁদের রক্তচাপ কম, তাঁদেরও ডালিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ বেদানায় একটি শীতল ভাব রয়েছে, যা আমাদের শরীরে রক্ত ​​চলাচলের গতি কমিয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্ন রক্তচাপের জন্য ওষুধ গ্রহণকারীরা ডালিম খেলে ক্ষতি হতে পারে। কারণ এতে উপস্থিত উপাদানগুলি ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে: যাঁরা অ্যাসিডিটিতে ভোগেন, তাঁদের ডালিম খাওয়া উচিত নয়। ডালিমের ঠান্ডা প্রভাবে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। যার কারণে পেটে খাবার নষ্ট হতে শুরু করে। কাশিতে ভুগলে: বেদানা ঠাণ্ডা প্রকৃতির, তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি খাওয়া উচিত নয়।

আরো পড়ুন: মস্তিষ্ক ভালো রাখার ১০টি খাবার সম্পর্কে জেনে নিন

এই ধরনের লোকেরা যদি প্রচুর পরিমাণে ডালিম খান, তবে তাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা থাকলে: যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদেরও ডালিম খাওয়া উচিত নয়। বেদানার অত্যধিক সেবনে হজম ব্যবস্থার সমস্যা হতে পারে। 

এছাড়া যাঁদের গ্যাসের সমস্যা আছে, তাঁদেরও ডালিম খাওয়া উচিত নয়। কারণ ডালিমের ঠান্ডা প্রভাবে এটি ঠিকমতো হজম হয় না। মানসিক রোগের ঔষধ সেবন করলে: মানসিক রোগে আক্রান্ত যেসব রোগীরা, যারা নিয়মিত মানসিক রোগের জন্য ওষুধ খান তাদের জন্য বেদানা প্রায় বিষের সমান।

ডালিম খেলে কি রক্ত বাড়ে

হ্যাঁ, ডালিম খেলে রক্ত বাড়তে পারে। ডালিমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। হিমোগ্লোবিন হল এক ধরনের প্রোটিন যা রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে। আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়, ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। ডালিম খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়, ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয় এবং রক্ত বাড়ে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী নিয়মিত ডালিম খান তাদের রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কম থাকে। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডালিম রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ডালিম খেলে রক্ত বাড়তে পারে এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে। তবে ডালিম খেলে কতটা রক্ত বাড়ে তা নির্ভর করে ব্যক্তির স্বাস্থ্য, ডালিমের পরিমাণ এবং অন্যান্য কারণগুলির উপর।

ডালিম ছাড়াও রক্ত বাড়ানোর জন্য অন্যান্য খাবারও খাওয়া যেতে পারে। যেমন: লাল মাংস ডিম বাদাম বীজ সবুজ শাকসবজি এছাড়াও, রক্ত বাড়ানোর জন্য আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন