ব্লাড প্রেসার লো হলে করণীয় কি
হঠাৎ প্রেসার লো হলে করণীয় আমরা উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেনশন নিয়ে সব সময় বেশি উদ্বিগ্ন থাকি। ছুটে যাই চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার বা হাইপোটেনশন নিয়ে খুব একটা ভাবি না। যাদের লো ব্লাড প্রেসার তাদের এক দিকে যেমন সুবিধা আছে অন্যদিকে অসুবিধাও কম নয়। লো প্রেসারে কি হার্ট এটাক হয়
নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেশারে খুবই পরিচিত একটি শব্দ। এটির আরেকটি নাম হাইপোটেনশন। হাই ব্লাড প্রেশার যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তেমনই লো ব্লাড প্রেশারও ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ব্লাড প্রেসার লো হলে করণীয় কি
যদি আপনি বসা বা শুয়ে থাকেন, তাহলে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ান। আপনার মাথার নিচে কিছু রাখুন যাতে আপনার মাথা উঁচু থাকে। লবণ এবং চিনিযুক্ত পানীয়, যেমন সোডা বা ফলের রস পান করুন। যদি আপনার ব্লাড প্রেসার খুব কম হয় এবং আপনি উপরের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করার পরেও উপসর্গ অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ব্লাড প্রেসার লো হওয়ার কারণ পানিশূন্যতা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে পানিশূন্যতা হতে পারে, যার ফলে ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত ব্যায়াম অতিরিক্ত ব্যায়াম করার ফলে রক্তনালীগুলি প্রসারিত হয়, যার ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: স্বাস্থ্য রক্ষার্থে রক্তচাপ কমে গেলে কী খাবেন?
ডায়াবেটিস ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তিদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাওয়া) হতে পারে, যার ফলে ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে। রক্তশূন্যতা রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে গেলে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, যার ফলে ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে। কয়েকটি ওষুধ কিছু ওষুধ, যেমন মূত্রবর্ধক ওষুধ, ব্লাড প্রেসার কমাতে পারে।
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন হৃদরোগ, কিডনি রোগ, এবং থাইরয়েড সমস্যা, ব্লাড প্রেসার কমাতে পারে। ব্লাড প্রেসার লো হওয়া রোধের উপায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে, আপনার জন্য উপযুক্ত ওষুধ নিন।
হঠাৎ প্রেসার লো হলে করণীয়
হঠাৎ প্রেসার লো হলে করণীয় নির্ভর করে প্রেসারের মাত্রার উপর। সাধারণত, সিস্টোলিক প্রেসার ৯০ মিমি পারদ এবং ডায়াস্টোলিক প্রেসার ৬০ মিমি পারদ বা তার কম হলে প্রেসার লো বলে বিবেচিত হয়। হঠাৎ প্রেসার লো হলে করণীয়
আপনি যদি বসা বা শুয়ে থাকেন, তাহলে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ান। আপনার মাথার নিচে কিছু রাখুন যাতে আপনার মাথা উঁচু থাকে। লবণ এবং চিনিযুক্ত পানীয়, যেমন সোডা বা ফলের রস পান করুন। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন, তাহলে গ্লুকোজ ট্যাবলেট বা জেলি গ্রহণ করুন।
যদি আপনার প্রেসার খুব কম হয় এবং আপনি উপরের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করার পরেও উপসর্গ অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। হঠাৎ প্রেসার লো হওয়ার কারণ পানিশূন্যতা দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে পানিশূন্যতা হতে পারে, যার ফলে প্রেসার কমে যেতে পারে।
রক্তশূন্যতা রক্তে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে গেলে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, যার ফলে প্রেসার কমে যেতে পারে। কয়েকটি ওষুধ কিছু ওষুধ, যেমন মূত্রবর্ধক ওষুধ, প্রেসার কমাতে পারে। অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন হৃদরোগ, কিডনি রোগ, এবং থাইরয়েড সমস্যা, প্রেসার কমাতে পারে।
আরো পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য বা কষা পায়খানা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
হঠাৎ প্রেসার লো হওয়া রোধের উপায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে, আপনার জন্য উপযুক্ত ওষুধ নিন। এখানে কিছু অতিরিক্ত টিপস দেওয়া হল যা হঠাৎ প্রেসার লো হওয়া রোধ করতে সাহায্য করতে পারে
নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন। আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে, আপনার জন্য উপযুক্ত খাদ্যতালিকা এবং ব্যায়াম রুটিন তৈরি করুন। যদি আপনার প্রেসার নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
প্রেসার লো হলে কি খেতে হবে
প্রেসার লো হলে, অর্থাৎ রক্তচাপ কম হলে, শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা, চোখে ঝাপসা দেখা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। প্রেসার লো হলে দ্রুত রক্তচাপ বাড়াতে হলে কিছু খাবার খাওয়া যেতে পারে।
প্রেসার লো হলে যেসব খাবার খাওয়া যেতে পারে সোডা বা খাবার স্যালাইন: সোডা বা খাবার স্যালাইন খেলে দ্রুত রক্তচাপ বাড়ে। লবণ: লবণ খেলেও রক্তচাপ বাড়ে। তবে অতিরিক্ত লবণ খেলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে লবণ খাওয়া উচিত।
বাদাম বাদাম, বিশেষ করে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেট ডার্ক চকলেটও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এছাড়াও, ডার্ক চকলেটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তনালীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
টক ফল টক ফল, যেমন লেবু, কমলা, মাল্টা, আমড়া, ইত্যাদিতে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি রক্তনালীকে শক্তিশালী করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। দুধ দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ইত্যাদি। এই উপাদানগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কলা কলায় পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। প্রেসার লো হলে যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয় কফি কফি খেলে রক্তচাপ কিছুটা বাড়তে পারে। তবে দীর্ঘদিন ধরে কফি খেলে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। তাই প্রেসার লো হলে কফি খাওয়া উচিত নয়।
মদ্যপান মদ্যপান করলে রক্তচাপ কমে যায়। তাই প্রেসার লো হলে মদ্যপান করা উচিত নয়। অতিরিক্ত চাপ বা টেনশন অতিরিক্ত চাপ বা টেনশনে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। তাই প্রেসার লো হলে অতিরিক্ত চাপ বা টেনশন এড়িয়ে চলা উচিত।
প্রেসার লো হলে দ্রুত রক্তচাপ বাড়াতে এই খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে। তবে, প্রেসার লো হওয়ার কারণ নির্ণয় করে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করা উচিত।
প্রেসার লো হলে কি কি সমস্যা হয়
প্রেসার লো হলে, অর্থাৎ রক্তচাপ কম হলে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্তের সরবরাহ কমে যায়। এর ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন মাথা ঘোরা প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো একটি সাধারণ সমস্যা। বমি বমি ভাব প্রেসার লো হলে বমি বমি ভাব হতে পারে।
দুর্বলতা প্রেসার লো হলে দুর্বলতা অনুভব হতে পারে। চোখে ঝাপসা দেখা প্রেসার লো হলে চোখে ঝাপসা দেখা হতে পারে। শ্বাসকষ্ট প্রেসার লো হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বুক ধড়ফড় করা প্রেসার লো হলে বুক ধড়ফড় করা হতে পারে। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া প্রেসার খুব কমে গেলে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: হৃদরোগ পতিরোধ করার ৭টি টিপস
প্রেসার লো হলে এই সমস্যাগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রেসার লো হওয়ার তীব্রতা অনুযায়ী এই সমস্যাগুলোর তীব্রতাও কমবেশি হতে পারে। প্রেসার লো হওয়ার কারণে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা, চোখে ঝাপসা দেখা, শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রেসার লো হওয়ার কারণ নির্ণয় করে এবং সেই কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হলে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ
প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণগুলো সাধারণত হঠাৎ করে দেখা দেয়। প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণগুলো হলো মাথা ঘোরা প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো একটি সাধারণ সমস্যা। মাথা ঘোরার সাথে সাথে বমি বমি ভাবও হতে পারে। বমি বমি ভাব প্রেসার লো হলে বমি বমি ভাব হতে পারে। দুর্বলতা প্রেসার লো হলে দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
চোখে ঝাপসা দেখা প্রেসার লো হলে চোখে ঝাপসা দেখা হতে পারে। শ্বাসকষ্ট প্রেসার লো হলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। বুক ধড়ফড় করা প্রেসার লো হলে বুক ধড়ফড় করা হতে পারে। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া প্রেসার খুব কমে গেলে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণগুলোর তীব্রতা প্রেসার লো হওয়ার তীব্রতার উপর নির্ভর করে। প্রেসার লো হওয়ার তীব্রতা কম হলে শুধু মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। প্রেসার লো হওয়ার তীব্রতা বেশি হলে শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় করা বা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রেসার লো হওয়ার কারণ নির্ণয় করে এবং সেই কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হলে এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
প্রেসার লো হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ হলো পানিশূন্যতা পানিশূন্যতায় রক্তের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রম অতিরিক্ত পরিশ্রমে রক্তের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
অতিরিক্ত চাপ বা টেনশন অতিরিক্ত চাপ বা টেনশনে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্তচাপ কমে যেতে পারে। রক্তক্ষরণ রক্তক্ষরণে রক্তের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী রোগ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি রোগ, ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদী রোগের কারণে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
প্রেসার লো হওয়া থেকে বাঁচতে হলে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত চাপ বা টেনশন এড়িয়ে চলতে হবে। ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকলে সেগুলোর চিকিৎসা করাতে হবে।
লো প্রেসারে কি হার্ট এটাক হয়
না, লো প্রেসারে হার্ট এটাক হয় না। হার্ট এটাক হয় যখন হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এটি সাধারণত রক্তনালীতে জমাট বাঁধা রক্তের কারণে ঘটে। লো প্রেসারে হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত সরবরাহ কমে যায়, তবে তা বন্ধ হয়ে যায় না। তাই লো প্রেসারের কারণে হার্ট এটাক হয় না।
তবে, লো প্রেসারের কারণে হৃৎপিণ্ডের পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এটি হার্ট এটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কারণ, দুর্বল হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা বেশি থাকে। লো প্রেসারের কারণে হার্ট এটাক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ানোর কিছু কারণ হলো অতিরিক্ত পরিশ্রম অতিরিক্ত পরিশ্রমে হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ পড়ে। এতে হৃৎপিণ্ডের পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন: মানুষের হৃৎপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া অতিরিক্ত লবণ খাওয়া রক্তচাপ বাড়াতে পারে। এতে হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ পড়ে। অতিরিক্ত চাপ বা টেনশন অতিরিক্ত চাপ বা টেনশন হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ পড়তে পারে। এতে হৃৎপিণ্ডের পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে। লো প্রেসারের কারণে হার্ট এটাক হওয়ার ঝুঁকি কমাতে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে
পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। লবণযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। চাপ বা টেনশন থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়াও, লো প্রেসারের কারণে হার্ট এটাক হওয়ার ঝুঁকি কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি
লো প্রেসার কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় হলো লবণ খাওয়া বাড়ান: লবণ রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই লো প্রেসার হলে লবণ খাওয়া বাড়ানো যেতে পারে। তবে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া উচিত নয়। কফি বা চা পান করুন: কফি বা চায়ে ক্যাফেইন থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই লো প্রেসার হলে কফি বা চা পান করা যেতে পারে।
তবে যাদের হার্টের সমস্যা আছে তারা কফি বা চা পান করা থেকে বিরত থাকবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন পানি রক্তের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই লো প্রেসার হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন ব্যায়াম রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই লো প্রেসার হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। তবে ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন বিশ্রাম রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই লো প্রেসার হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
চাপ বা টেনশন থেকে দূরে থাকুন চাপ বা টেনশন রক্তচাপ কমাতে পারে। তাই লো প্রেসার হলে চাপ বা টেনশন থেকে দূরে থাকা উচিত। এছাড়াও,নিচের খাবারগুলো লো প্রেসার কমাতে সাহায্য করে কলা কলাতে পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
বাদাম বাদামতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেট ডার্ক চকলেটে ক্যাফেইন এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তবে, লো প্রেসার কমানোর জন্য কোনো ঘরোয়া উপায় গ্রহণ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্রেসার লো হলে ডিম খাওয়া যায়
হ্যাঁ, প্রেসার লো হলে ডিম খাওয়া যায়। ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লোবিন, ফলেট ও ভিটামিন ডি রয়েছে যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। একটি ডিমে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে, যা একজন পূর্ণ বয়স্ক সুস্থ মানুষের দৈনিক কোলেস্টেরলের চাহিদার মাত্র ২৫%। তাই লো প্রেসার হলে ডিম খাওয়ার কোনো ক্ষতি নেই।
আরো পড়ুন: খাওয়ার পর পেট ভুটভাট করার ৭টি লক্ষণ
তবে, যারা হাই কোলেস্টেরল বা হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা ডিম খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। লো প্রেসার কমাতে ডিম খাওয়ার কিছু উপায় হলো প্রতিদিন সকালে একটি ডিম খাওয়া যেতে পারে।
ডিম সেদ্ধ করে খাওয়া ভালো। ডিম ভাজা বা পোচ করা হলে খুব অল্প পরিমাণে তেল ব্যবহার করা উচিত। এছাড়াও, লো প্রেসার কমাতে অন্যান্য খাবার যেমন কলা, বাদাম, ডার্ক চকলেট ইত্যাদিও খাওয়া যেতে পারে।
লো প্রেসার হলে কি খাবার খাওয়া উচিত নয়
লো প্রেসার হলে যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয় সেগুলো হলো অতিরিক্ত তরল খাবার, যেমন স্যুপ, ডাবের পানি, দুধ ইত্যাদি। পুষ্টিগুণহীন খাবার, যেমন ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড ইত্যাদি। সোডিয়ামযুক্ত খাবার, যেমন চিপস, সস, টিনজাত খাবার ইত্যাদি।
ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, যেমন কফি, চা, কোমল পানীয় ইত্যাদি। অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়। এছাড়াও, যারা লো প্রেসারের ওষুধ সেবন করছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো খাবার এড়ানো বা খাওয়া শুরু করা থেকে বিরত থাকবেন। লো প্রেসার হলে নিচের খাবারগুলো খাওয়া উচিত
লবণযুক্ত খাবার। পটাশিয়ামযুক্ত খাবার, যেমন কলা, ডাব, তরমুজ, আম ইত্যাদি। ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার, যেমন বাদাম, বীজ, শাকসবজি ইত্যাদি। ভিটামিন বি১২যুক্ত খাবার, যেমন ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি। ফোলেটযুক্ত খাবার, যেমন বাদাম, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি।
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং চাপ বা টেনশন থেকে দূরে থাকার মাধ্যমে লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।