খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার অপকারিতা খেজুর সবার কাছে একটি পরিচিত ফল।এটি বেশ সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুন সম্পুর্ন ফল।খেজুর খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়। খেজুরে আছে প্রচুর ভিটামিন বি। নিয়মিত খেজর খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি ও রোগ নিরাময় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।খেজুর একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল।
পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধকও রয়েছে এতে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
এ সময় মস্তিষ্কের স্মৃতি ধারণক্ষমতা কমতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, আমাদের কর্মশক্তি হ্রাস, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা হ্রাস, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ, পেশির সমস্যা, হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি, হিমোগ্লোবিনের অসামঞ্জস্যতা, হজমে সমস্যা, ডায়াবেটিস, হাড় ক্ষয়, ত্বকের নানা সমস্যা হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে বিধায় ক্লান্তির শেষে খেজুর খাওয়া হলে দ্রুত দুর্বলতা কেটে যায়। তিন. খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী এবং বলবর্ধক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। রোজাদারের ক্ষুধামন্দা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে খেজুর বিশেষ উপকারী।
খেজুরের উপকারিতা:
- খেজুর শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে ।
- . খেজুরের ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে।
- খেজুর হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে।
- খেজুরের শরীরের শক্তি বর্ধক হিসেবে কাজ করে। এর শতকরা ৮০ ভাগই চিনি। তাই শুকনো খেজুর বা খোরমাকে বলা হয় মরুভূমির গ্লুকোজ।
- খেজুরে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সেরোটোনিন নামক হরমোন উৎপাদন করতে সহায়তা করে যা মানুষকে মানসিক প্রফুলতা দেয়। যা মন ভাল রাখতে সহায়তা করে।
- খেজুরে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে, তবে শর্ত হচ্ছে খেজুর খাওয়ার সাথে প্রচুর পানিও পান করতে হবে, তবেই উপযুক্ত ফল পাওয়া যাবে।
- খাদ্যে অরুচি দূর করতে সহায়তা কর
আরো পড়ুন: কমলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- খেজুরে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে সহায়তা করে।
- খেজুরে থাকা পুষ্টি উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- খেজুরে থাকা ডায়েটরি ফাইবার কলেস্টরেল এর সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
- খেজুরে আছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার এবং বিভিন্ন অ্যামিনো এসিড যা খাবার হজমে সাহায্য করে থাকে। তাই বদ হজম থেকে বাচতে খেজুর খুবই উপকারী।
- খেজুর তারুণ্য এবং যৌবন ধরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
- খেজুরে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা দূর করে।
- পুষ্টি সর্বাধিক: খেজুর প্রধানত গুড়ে বা সুক্ষ্ম পরিমাণে পোষণ দেয়। এটি ভিটামিন, খনিজ, এবং অন্যান্য পুষ্টিতত্ত্বে অমৃতকে সরবরাহ করে যা শরীরের সুস্থ ও কঠিন থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- প্রেগন্যান্সি এবং মা-শিশু স্বাস্থ্য: খেজুর ফোলেটিক এসিডের মাধ্যমে গর্ভবতী মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
- ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী: খেজুরে আগুনবিশেষজ্ঞ এবং আন্টিআকসিডেন্ট গুণ থাকতে পারে যা ত্বককে সুন্দর রক্ষা দেয় এবং চুলে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে।
- হার্ট হেলথ: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকতে পারে, যা হার্ট হেলথ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
- ডিজেস্টিভ সিস্টেম সাপোর্ট: খেজুরে আচারিত ফাইবার ও ন্যাটুরাল সুগার থাকতে পারে যা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে সাপোর্ট করতে সাহায্য করতে পারে।
খেজুরের অপকারিতা
প্রত্যেকটি খাবারের ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে খেজুরের ও ব্যতিক্রম নয়। খেজুরের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো রয়েছে কিন্তু অপকারিতার থেকে উপকারিতা বেশি। চলুন জেনে নেয়া যাক খেজুরের অপকারিতা সম্পর্কে।
- বেশি মাত্রায় খেজুর খেলে ওজন বেড়ে যায়
- অতিরিক্ত খেজুর খেলে কিডনির সমস্যা হয়
- অতিরিক্ত খেজুর খেলে এলার্জি ও ডায়রিয়া হয়
- বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেলে বদ হজম হয়
- উচ্চ শুগার ও ক্যালোরি: খেজুর অধিক পরিমাণে শুগার এবং ক্যালোরি থাকতে পারে, তাই যারা ডায়াবেটিস বা ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকতে চায়, তাদের জন্য এটি একটি মাত্র মধ্যম হতে পারে।
- আলার্জি: কিছু মানুষের মধ্যে খেজুর সংজ্ঞানে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
- গ্রস্ততা বা আত্মমোহ: খেজুরে আপনার পুষ্টিকর খাদ্য থাকতে পারে, তবে তা দ্বারা আপনি অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য থেকে আপনার পুষ্টি প্রাপ্ত করতে বিঘ্ন হতে পারে।
সকালে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও খেজুরের অনেক গুণ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। আমাদের ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরমিাণ শক্তির জোগান দিতে সক্ষম এই খেজুর।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা-
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- মস্তিষ্ক সচল রাখে
- ওজন নিয়ন্ত্রণ
- গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী
- হিমোগ্লোবিন বাড়ায়
- ত্বককে টানটান করে
- হার্টের সমস্যা দূর করে
- খুসখুসে কাশি দূর করে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে : খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। তুলনামূলকভাবে যেসব খেজুর একটু শক্ত সেই খেজুর সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর হয়। এছাড়া মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে আমাদের বদহজম অনেকাংশে দূর হয়।
আরো পড়ুন: লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- মস্তিষ্ক সচল রাখে :খেজুরের সব চেয়ে বড় গুণ হলো এই ফলটি মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে। আমাদের ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তির জোগান দিতে সক্ষম এই পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু ফলটি।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: ওজন কমানোর জন্য খেজুর খুবই কার্যকরী। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি ক্ষুধা কমায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়ায়। আমরা যখন নিয়ন্ত্রণে খাই তখন ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী: খেজুর গর্ভবতী নারীদের জন্য দারুণ উপকারী। খেজুরে থাকা আয়রন নারীদের রক্তে ভরপুর করে। খেজুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য অপরিহার্য। গর্ভবতী নারীরা সহজেই ১-২টি খেজুর খেতে পারেন।
- হিমোগ্লোবিন বাড়ায় :খেজুরে ভালো পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়, যা শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। শরীরে রক্তসরবরাহ করে। খালি পেটে খেজুর খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়
- ত্বককে টানটান করে : অনেক সময় বয়স বাড়ার ফলে মুখের চামড়া কুঁচকে যায়। খেজুরে ভিটামিন বি রয়েছে, যা ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর নিয়ম করে খেলে দেখবেন আস্তে আস্তে দাগ মিলিয়ে যাবে।
- হার্টের সমস্যা দূর করে: যাদের হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী। কেননা খেজুর দুর্বল হার্টকে মজবুত করতে সক্ষম করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলে হার্টের সমস্যায় কিছু দিনের মধ্যে উপকার পাবেন। হৃদরোগ কমাতেও খেজুর বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
- খুসখুসে কাশি দূর করে:যাদের খুসখুসে কাশি হয় তারা ১/২টি খেজুর এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই খেজুরসহ পানিটুকু খেতে হবে। এতে খুসখুসে কাশি থেকে ১৫ দিনের মধ্যে উপকার মিলবে।
খেজুর খাওয়ার নিয়ম
প্রতিদিন সকালবেলা খেজুর খাবেন। এতে সারাদিনের জন্য শক্তি দেহে সঞ্চিত থাকবে।
- খেজুর শুকনা খাওয়ার চাইতে ভিজিয়ে খাওয়া উচিত। রাতে শোয়ার আগে এক গ্লাস জলে কয়েকটা খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই জল সহ খেজুর খান। এটা হার্টের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করবে।
- দুধ ফোটানোর সময়ে দুইটি করে খেজুর দিয়ে দেবেন। তারপর খালি পেটে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে এই দুধ খাবেন। স্বাস্থ্যকর এই খাবারটি টানা ১০ দিন খেলে রক্তস্বল্পতা, ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি দূর হবে। খেজুর মেশানো হালকা গরম দুধ রাতে ঘুমের আগে খেলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
- কাজের চাপে শরীর দুর্বল হয়ে আসলে একটি বা দুইটি খেজুর খাওয়া যেতে পারে। তাতে পুরনো এনার্জি ফিরে আসবে।
আরো পড়ুন: আদা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি তা জেনে নিন
- জিমে ওয়ার্কআউট করলে শরীর থেকে ঘামের সাথে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো বেরিয়ে যায়। তাই ওয়ার্কআউটের সময়ে শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে খেজুর। ওয়ার্কআউটের অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা আগে দুই-চারটি খেজুর খাবেন। এতে কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে নিঃসৃত হবে, ফলে সহজে ক্লান্তিবোধ হবে না। আবার পেট থেকে দূষিত পদার্থও বের হয়ে যাবে।
- হুট করে সুগার লো হয়ে শরীরে জটিলতা দেখা দিলে চিনির বদলে খেজুর খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে খেজুর ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে নিয়মিত চিনি খেলে সুগার বাড়ার যে ঝুঁকিটা থাকবে, নিয়মিত খেজুর খেলে সেটা হবে না। তবে ডায়বেটিসের সমস্যা থাকলে খেজুর খেতে হবে সতর্কতার সাথে। তখন দৈনিক একটি বা দুইটির বেশি শুকনা খেজুর খাওয়া উচিত না।
- ওজনহীনতার সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা প্রতিদিন চার-পাঁচটি খেজুর খাবেন। এতে থাকা শর্করা, প্রোটিন, এবং ভিটামিন ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। খেজুর আর শসা একসাথে খেতে পারলে আরো উপকার পাবেন।
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা দূর করে। তুলনামূলকভাবে যেসব খেজুর একটু শক্ত সেই খেজুর সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর হয়। এছাড়া মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে আমাদের বদহজম অনেকাংশে দূর হয়।
পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতা
ভিটামিন এ ও সেলেনিয়াম থাকতে পারে: খেজুরে ভিটামিন এ এবং সেলেনিয়াম থাকতে পারে, যা পুরুষদের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং প্রজননশীলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে
আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে নিকটস্থ কারগুলি ও প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।স্বাস্থ্যকর হৃদয়: খেজুর অলেস্টেরল থাকতে পারে, যা হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
মাংসপেশী ও কোষ নির্মাণ সাহায্য করতে পারে: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আমিনো এসিড, এবং অন্যান্য পুষ্টিকর তত্ত্ব থাকতে পারে, যা মাংসপেশী এবং কোষ নির্মাণে সাহায্য করতে পারে। তাত্ক্ষণিক শক্তির সরবরাহ: খেজুরে অনেক ক্যালোরি থাকতে পারে, যা তাত্ক্ষণিক শক্তির সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।
সতর্কতা: খেজুর মিষ্টি প্রকৃতির একটি ফল হতে পারে এবং এটি উচ্চ মাত্রায় শুগার এবং ক্যালোরি থাকতে পারে। তাই পুরুষদেরকে এটি উচ্চ পরিমাণে খেতে হলে মনে রাখতে হবে যে, এটি একটি সুস্থ এবং বিচেতন খাদ্য পণ্য হতে হবে, যা সম্মান্য পরিমাণে সেবন করতে হবে।
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
খালি পেটে খেজুর খাওয়া একটি সামান্য অপকারিতা আছে, তবে এটি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবলম্বনে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি মানদণ্ড থাকতে পারে। কিছু বিবেচনা এবং সাবধানতা মনে রাখলে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার অপকারিতা কমতে পারে:
উচ্চ শুগার এবং ক্যালোরি সংক্রান্ত মন্তব্য: খেজুর উচ্চ পরিমাণে শুগার এবং ক্যালোরি থাকতে পারে। খালি পেটে এটি খাওয়া হলে এটি একটি উচ্চ পরিমাণের শুগার এবং ক্যালোরির ডোজ প্রদান করতে পারে, যা ডাইট এবং শোকার সাথে মিলে শুধুমাত্র অতুপায়িত শোকের জন্য প্রয়োজন নেই বা একটি সুস্থ জীবনযাত্রার অংশ হতে পারে।
ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের সমস্যা: খালি পেটে খেজুর খাওয়া ঢাকা হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে, যা ক্ষতিকর হতে পারে এবং ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। গ্যাস ও প্রবাহমান সমস্যা: খেজুরে ফাইবার এবং অন্যান্য সারাদিনের খাদ্যের মধ্যে বিশেষ করে শোকার সাথে সম্পৃক্ত অসম্মান্য গ্যাস এবং প্রবাহমান সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
খালি পেটে খেজুর খাওয়া এই সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। শ্রমিক সামগ্রীর জন্য প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনা মন্তব্য: কিছু প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের জন্য খালি পেটে খেজুর খাওয়া প্রতিষ্ঠানের নির্দেশনামূলক নীতির অধীনে বাধ্যতামূলক করে থাকে।
একজন শ্রমিক হওয়া সময়ে নির্দেশনামূলক নীতি অনুসরণ করা উত্তম। তাই, খালি পেটে খেজুর খাওয়া থেকে মুক্তি নেওয়ার জন্য প্রথমে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবলম্বনে এবং এরপরে কোন বৈদ্যুতিন সমস্যা থাকলে নিজেদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত
একাধিক রোগ জ্বালা থেকে খেজুর আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খেজুর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে একাধিক অসুখের জ্বালা কমে যেতে পারে। খেজুরে রয়েছে বহু পুষ্টিগুণ। নানান ধরনের মিনারেল, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম রয়েছে খেজুরে। ফলে এটি শরীরের পক্ষে খুবই ভাল।
খেজুরকে অনেক সময়ই চিনির বিকল্প হিসাবে মনে করা হয়। বলা হয় ৩০ গ্রাম খেজুরের মধ্যে রয়েছে ৯০ ক্যালোরি। ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। ২.৮ গ্রাম ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ। খেজুর খেলে দূর হয় ক্লান্তি। খেজুরে থাকা ভিটামিন বি ও ভিটামিন বি সিক্স মস্তিষ্ককে উর্বর করে। বলা হয় ,কোলেস্টেরলের কমতি ঘটাতেও খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। কারণ খেজুর হল কোলেস্টেরল মুক্ত।
খেজুর খেলে আর্টারি পরিচ্ছন্ন রাখতে সুবিধা হয়। বলা হয়, পশু প্রোটিনে যে সমস্যা রয়েছে কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে, তা নেই খেজুরে। ফলে পুষ্টিগুণের দিক থেকে এটি খুবই উপকারি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্নেহজাতীয় পদার্থ যাতে হার্টের ক্ষতি না করে তার দেখভাল করে খেজুর। খুব অল্প পরিমাণে দিনে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা কোলেস্টেরলের রোগীদের উপকার দিয়ে থাকে।
তবে খেজুরে রয়েছে ফ্যাট। ফলে তা কম করে খাওয়াই ভাল। দিনে কয়টি খেজুর খাওয়া উচিত-খেজুরে কোনও কোলেস্টেরল নেই। আছে সামান্য ফ্যাট। ফলে দিনে যদি কিছু পুষ্টিকর জিনিস নিজের ডায়েটে রাখতে চান, তাহলে খেজুর রাখতে পারেন। দিনে ৬ টি খেজুরের বেশি খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুকনো খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
শুকনো খেজুরে অনেক উপকারিতা থাকতে পারে, যেগুলি মৌসুম অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। শুকনো খেজুর খাওয়া থাকতে সাধারিত উপকারিতাগুলি নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে: বয়সের ছাপ প্রথমে ত্বকেই ধরা পড়ে। আর এ ত্বকই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শীতকালে। তাই ত্বকের যত্নে খেজুর কাজে লাগাতে পারেন। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস ত্বককে শুষ্কতার হাত থেকে বাঁচায়।
ত্বকের নানা সমস্যা থেকেও খেজুর মুক্তি দেয়। ত্বকের বলিরেখা নিয়ন্ত্রণ করতেও খেজুর সিদ্ধহস্ত। এ ছাড়া ত্বকের ফ্যাকাশে ভাব ও হরমোনের সমস্যা কমাতে খেজুর কার্যকরী। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান থাকায় নানান রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা রয়েছে এই ফলটির। পাশাপাশি এর পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটায়।
আরো পড়ুন: স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে। সেই সঙ্গে মাড়ির স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত রাখে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে খেজুর। একই সঙ্গে খেজুরের মিষ্টতা চিনির বিকল্প হিসেবে কাজ করে। শীতে হজমশক্তি কমতে শুরু করে। তাই এ সময় খেজুর খাওয়ার অভ্যাসে আপনার হজমশক্তি বাড়বে। কারণ, অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে খেজুর বেশ সহায়ক।
খেজুরে আছে এমনসব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এই আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। শরীরে রক্তাল্পতা দেখা দিলে বা হিমোগ্লোবিনের কমতি হলে খেজুর খাওয়া শুরু করুন। এর ফলে শরীরের আয়রনের মাত্রা বজায় থাকবে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক হবে এবং রক্তের কোষ উৎপন্ন হবে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর শরীরের খারাপ ধরনের কোলেস্টেরল কমায় (এলডিএল) এবং ভালো কোলেস্টেরলের (এইচডিএল) পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই হৃদ্রোগ প্রতিরোধ করতে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। খেজুর নানা ভিটামিনে পরিপূর্ণ থাকায় এটি মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি রাখে, সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
যকৃতের সংক্রমণ কিংবা অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়ায় খেজুর বেশ উপকারী। এ ছাড়া শীতকালীন সমস্যা যেমন: গলাব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি এবং ঠান্ডার সমস্যা দূর করতে খেজুর দারুণ কাজ করে। শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেরই অলসতা আর ঝিমুনি ভাব দেখা দেয়। এ সমস্যার সমাধান হিসেবেও খেতে পারেন খেজুর। প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তাই শীতে নিয়মিত খেতে পারেন ড্রাই ফ্রুট বা শুকনো ফল খেজুর। শক্তি সরবরাহ: শুকনো খেজুর একটি ভাল শক্তির উৎস হতে পারে, কারণ এটি কার্বোহাইড্রেট এবং সুগার থাকতে পারে, যা শরীরে শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে। ভিটামিন এ এবং এই: শুকনো খেজুর ভিটামিন এ এবং এই এবং অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজ যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ইত্যাদি থাকতে পারে, যা শরীরের বিভিন্ন অংশের জন্য ভাল হতে পারে।
প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে: শুকনো খেজুরে প্রচুর পরিমাণে নিকটস্থ কারগুলি থাকতে পারে, যা প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। তাত্ক্ষণিক শক্তির সরবরাহ: শুকনো খেজুরে অনেক ক্যালোরি থাকতে পারে, যা তাত্ক্ষণিক শক্তির সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।
শক্তিশালী ডাইজেস্টিভ সিস্টেম: শুকনো খেজুরে ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান থাকতে পারে, যা ডাইজেস্টিভ সিস্টেম কে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্যকর: শুকনো খেজুরে ভিটামিন এ এবং এই থাকতে পারে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যকর থাকতে সাহায্য করতে পারে।
খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়
তাই খেজুর স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী স্ন্যাক্স এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটি খাওয়া যেতে পারে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পরিষ্কার করতে, হৃদয় ও লিভার সুস্থ রাখতে সকালে খেজুর খাওয়া উচিত। কিছু গবেষণায় জানা গিয়েছে, খেজুর শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং এটি একটি অ্যাফ্রোডিসিয়াক হিসেবে কাজ করে।খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়টি ব্যক্তির প্রোফাইল, স্বাস্থ্য অবস্থা, এবং লাইফস্টাইলের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়।
সকালের সময়: খেজুর সকালের সময় একটি ভাল খাদ্য হিসেবে খাওয়া যেতে পারে, যদি আপনি এটি একটি ব্রেকফাস্ট আইটেম হিসেবে ব্যবহার করতে চান। এটি আপনার শরীরে তাত্ক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে এবং সকালের ব্যস্ত সময়ে এটি একটি সুস্থ স্ন্যাকস্ হিসেবে মনে হতে পারে।
উপাদান হিসেবে: খেজুর একটি মিষ্টি এবং শক্তির উপাদান হতে পারে, তাই এটি দুর্বলতা বা খাদ্য নিষেধ বা ডায়াবেটিস রোগীরা খাওয়ার আগে বিশেষভাবে মন্তব্য করতে হবে। কার্বোহাইড্রেট সার্স: খেজুরে ব্যবহৃত কার্বোহাইড্রেট একটি দ্রুত শক্তির উৎস হতে পারে, এবং এটি শরীরে তাত্ক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।
এই প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে খাওয়ার আগে বা উপাদান হিসেবে খাওয়া যেতে পারে, যেন আপনি পৌঁছাতে থাকেন যে আপনি খেতে চান। উপাদান এবং মিষ্টি মিশ্রণ: খেজুর দুর্বলতা এবং হাঁটবাদি শক্তির উপাদান হিসেবে একটি শান্তিপ্রদ মিষ্টি হতে পারে, যা অন্য খাদ্য সার্স এবং উপাদান একত্রে যোগ করতে পারে।
মনে রাখবেন, খেজুর মিষ্টি হতে পারে এবং শুকনো খেজুরে অনেক উচ্চ শক্তি এবং ক্যালোরি থাকতে পারে, তাই এটি একটি স্বস্থ এবং বিচেতন খাদ্য হিসেবে মনে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য পরিমাণে এটি ব্যবহার করতে হলে তা কার্যকর। তবে, যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা বা রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
খেজুরে আছে প্রচুর শক্তি, এমিনো অ্যাসিড, শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। প্রতিদিন রোজায় আমাদের দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকতে হয় যার কারণে আমাদের দেহে প্রচুর গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দেয়। তখন এই খেজুর আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি জোগান দিতে সাহায্য করে।
সকালে খালিপেটে খেজুর খেলে যে উপকারগুলো হয় জানলে অবাক হতে হয়। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা- কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট - খেজুরে কোনো কোলেস্টেরল এবং বাড়তি পরিমাণে চর্বি থাকে না। যার ফলে আপনি যখন সহজেই খেজুর খাওয়া শুরু করবেন তখন অন্যান্য ক্ষতিকর ও চর্বিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ব্যায়াম করার উপকারিতা গুলো জেনে নিন
ভিটামিন - খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। যেমন, বি১, বি২, বি৩ এবং বি৫। এ ছাড়া ভিটামিন এ১ এবং সি ভিটামিন পাওয়ার আরও একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে খেজুর। সেই সঙ্গে খেজুরে দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর। আয়রন - আয়রন মানবদেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
খেজুর প্রচুর আয়রন রয়েছে। ফলে এটা হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই যাদের দুর্বল হৃৎপিণ্ড, তাদের জন্য খেজুর হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ওষুধ। ক্যালসিয়াম - ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। যা হাড়কে মজবুত করে। খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে। ক্যানসার প্রতিরোধ - খেজুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ।
এক গবেষণায় দেখা যায়, খেজুর পেটের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আর যারা নিয়মিত খেজুর খান তাদের বেলায় ক্যানসারে ঝুঁকিটাও কম থাকে। খুব সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে খেজুর Abdominal ক্যানসার রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং অবাক করা বিষয় হচ্ছে এটি অনেক সময় ওষুধের চেয়েও ভালো কাজ করে।
ওজন হ্রাস - মাত্র কয়েকটা খেজুর কমিয়ে দেয় ক্ষুধার জ্বালা। এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। এই কয়েকটা খেজুরই কিন্তু শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কখনও কখনও ডায়রিয়ার জন্যও এটা অনেক উপকারী।
সংক্রমণ - যকৃতের সংক্রমণে খেজুর উপকারী। এ ছাড়া গলাব্যথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি, এবং ঠাণ্ডায় খেজুর উপকারী। খেজুর অ্যালকোহল জনিত বিষক্রিয়ায় বেশ উপকারী। ভেজানো খেজুর খেলে বিষক্রিয়ায় দ্রুত কাজ করে। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ - প্রচুর মিনারেল সঙ্গে আয়রন থাকার কারণে খেজুর রক্তশূন্যতা রোধ করে। তাই যাদের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত খেজুর খেয়ে দেখতে পারেন।
কর্মশক্তি বাড়ায় - খেজুরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে খেজুর খুব দ্রুত শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সারাদিন রোজা রাখার পর রোজাদাররা যদি মাত্র ২টি খেজুর খান তবে খুব দ্রুত কেটে যাবে তাদের ক্লান্তি।
স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায় - খেজুর নানা ভিটামিনে পরিপূর্ণ থাকার কারণে এটি মস্তিষ্কের চিন্তাভাবনার গতি বৃদ্ধি রাখে, সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ছাত্রছাত্রী যারা নিয়মিত খেজুর খায় তাদের দক্ষতা অন্যদের তুলনায় ভাল থাকে।
হৃদরোগ প্রতিরোধ - খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম যা বিভিন্ন ধরনর হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খেজুর শরীরের খারাপ ধরনের কোলেস্টেরল কমায় (LDL) এবং ভালো কোলেস্টেরলের (HDL) পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।।
খেজুরের উপকারিতাগুলো তো জানলেনই, তাই শুধু রমজান মাসেই নয়, আমাদের খেজুর খাওয়া উচিত সারা বছর, প্রতিদিন।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া সম্পর্কে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থা সময়ে নিম্নোক্ত কিছু বিষয়ে মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ: উচ্চ ক্যালোরি এবং শুগার মাত্রা: খেজুরে উচ্চ ক্যালোরি এবং শুগার থাকতে পারে, যা গর্ভাবস্থা সময়ে মাতার যোগদান এবং গর্ভক্ষণের ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়া জরুরি।
এই মৌসুমে অতিরিক্ত ক্যালোরি এবং শুগার খাওয়া যেতে পারে এবং এটি মাতার গুণগত পুষ্টি প্রদানে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আয়রন মাত্রা: গর্ভাবস্থা সময়ে আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ মিনারল হোল্ডিং এবং শিশুর উন্নত উন্নত হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে আয়রন থাকতে পারে, কিন্তু এটি আয়রনের উপাদান গড়ে তোলতে তাত্ক্ষণিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
আয়রন সম্প্রদানের জন্য ডাইটে অন্যান্য উচ্চ-আয়রন খাদ্য যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। ফাইবার মাত্রা: খেজুর ফাইবারের একটি ভাল উৎস হতে পারে, যা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমের সুস্থ ফাংশন বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। তবে, তাত্ক্ষণিক কিঞ্চিত খাওয়া থাকতে পারে কারণ এটি আসলে একটি নিউন্যান্স হতে পারে। আলার্জি বা এনজাইম অনুসন্ধান:
কিছু মানুষের মধ্যে খেজুর খাওয়া তাদের কাছে এলার্জির সৃষ্টি করতে পারে বা তাদের পুর্বসূরুপে অল্প এনজাইম থাকতে পারে যা খেজুর পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই সমস্যার সাথে সম্পৃক্ত হলে তাত্ক্ষণিকভাবে খেজুর খাওয়া বন্ধ করতে বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। গর্ভাবস্থা সময়ে যে কোন খাদ্যের সম্পর্কে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি মাতাও শিশুর সুস্থ উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেতে পারে।