কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা
কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা। কমলার আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারীতার পাশাপাশি রয়েছে নানা রকমের ঔষধি গুণ। কমলার স্বাস্থ্যকর গুণের সাথে অসাধারন রূপ একে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিত করেছে
এছাড়াও কমলার মধ্যে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কমলার খোসার উপকারিতা ও অপকারিতা।
কমলালেবুর খোসাতে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। যা আপনার মুখে হওয়া ব্রণর বিরুদ্ধে কাজ করে মুখকে ব্রণ মুক্ত করে তোলে। একটি গোটা কমলার খোসা ১ কাপ জলে সিদ্ধ করে নিয়ে সেই জল মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুন: মেয়েদের ত্বকের জন্য কোন ক্রিম সবচেয়ে ভালো
ত্বককে মসৃণ, নরম করে তুলতে কমলালেবুর খোসার কোনও বিকল্প নেই।কমলার খোসা, বা কমলা খোসা, একটি ফলের বাইরের পরিস্থিতি যা বাহ্যিকভাবে খোলা হয়ে থাকে এবং অধিকাংশই মৃদু এবং প্রতিরণ্যসূচক। কমলার খোসা উপকারী এবং অপকারিতার দৃষ্টিকোণ থাকতে পারে
কমলার খোসার উপকারিতা
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে আমাদের দেহের ভালো কোষ থেকে অক্সিজেনের মৌল দূর হতে থাকে। এতে করে বাড়তে থাকে ক্যান্সার। কিন্তু কমলার খোসার কেমিক্যাল কম্পাউন্ড এই অক্সিজেনের মৌল কোষে ধরে রাখতে সহায়ক। সুতরাং দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি বাঁধা পায়। এতে করে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
কোলেস্টোরল কমায় এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টোরল আমাদের হৃদপিণ্ডের শিরা উপশিরায় রক্ত কল্ট ও প্লাকের সৃষ্টি করে। এতে করে হৃদপিণ্ডে ব্লকের সমস্যা দেখা দেয়। কমলার খোসার অ্যান্টি কোলেস্টোরল উপাদান দেহ থেকে এই এলডিএল কোলেস্টোরল কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
তাই কমলার খোসা কুচি করে খাবার বা সালাদ হিসেবে খেয়ে নিতে পারেন। বুক জ্বালাপোড়া কমায় খুব সহজেই কমলার খোসার মাধ্যমে মুক্তি পেতে পারেন বুক জ্বালাপোড়ার যন্ত্রণার। গবেষণায় দেখা যায় কমলার খোসার অ্যাক্টিভ কেমিক্যাল বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে স্থায়ী মুক্তি দিতে পারে। টানা ২০ দিন সাধারণ খাবারের সাথে কমলার খোসা কুচি খেয়ে দেখুন। ভালো ফল পাবেন।
শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও কমলার খোসার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা যেমন, ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা, ফ্লু এমনকি ফুসফুসের ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
হজমের সমস্যা দূর করে কমলার খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার। মাত্র ১০০ গ্রাম কমলার খোসায় পাবেন ১০.৬ গ্রাম ডায়াটারি ফাইবার। এই ডায়াটারি ফাইবার খাবার হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপা ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ২ কাপ পানিতে ১ টি গোটা কমলার খোসা ফুটিয়ে ১ কাপ হয়ে এলে সামান্য মধু মিশিয়ে তা পান করে নিন। ভালো ফল পাবেন।
কমলার খোসার অপকারিতা
জলের অভাব কমলার খোসা প্রাথমিকভাবে জলের সম্মিলিত হয় না, তাই যদি এটি আপনার খাবারে ব্যবহার না করা হয়, তবে আপনার তার মাধ্যমে পর্যাপ্ত পানি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
পেষ্টিসাইড সাবলীলতা কমলার খোসা সহজেই কৃষিতে ব্যবহৃত হয় এবং সেই সময় পেষ্টিসাইড এবং অন্যান্য কিমিক্যালগুলি সংজ্ঞান করতে পারে। এই কিমিক্যালগুলি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই আপনার কমলার খোসা খেতে আপনি নিরাপদ হতে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভালোভাবে ধরতে হবে।
আরো পড়ুন: ১ মাসে চুল পড়া বন্ধ ও ঘন করার উপায়
এলার্জি সংক্রান্ত ঝুঁকি কিছু মানুষের এলার্জি হতে পারে কমলার খোসায়। তাই যদি কোনও এলার্জি সম্পর্কিত সমস্যা থাকে, তাদের পরিহারের জন্য কমলার খোসা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরার্বিত আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
মূলত কমলা লেবুর তেমন কোনো অপকারিতা নেই। অতিরিক্ত কোনো কিছুই খাওয়া উচিত নয় কমলাও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই অধিক পরিমাণে কমলা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত আপনার ও। আপনি যদি অধিক পরিমাণে কমলা খান সেক্ষেত্রে আপনার পেট ব্যথা ও এসিডিট সমস্যা ও হতে পারে।মনে রাখবেন, কমলার খোসা মূলত স্বাস্থ্যকর একটি অংশ,
কিন্তু তার খাদ্যসাধারণ হিসেবে ব্যবহৃত করা একটি উপায়, অন্যান্য পৌষ্টিক ও সহজগুলি খাচ্ছার সাথে সমন্বয়ে এটি একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
কমলার খোসা খাওয়ার নিয়ম
খাবারে লেবুর খোসা- বাড়িতে শীতের দিনে কেক বা বিস্কুট যদি তৈরি করেন, তাহলে কমলার খোসা শুকিয়ে মিহি করে বেঁটে নিন। তা কেক বা বিস্কুট বানানোর জন্য প্রয়োজন। এটি সালাদ বানানোর কাজে লাগাতে পারেন, ফ্লেভারের জন্য। এ ছাড়াও কমলার খোসা দিয়ে জ্যাম তৈরি করে ফেলতে পারেন।কমলার খোসা খাওয়ার নিয়মগুলি যেগুলি মনে রাখা উচিত তা হলো
পরিস্থিতি দেখুন কমলা বা কমলার খোসা যে পরিস্থিতিতে রয়েছে তা দেখে নিন। তা যদি নির্মিত কৃত্রিম কৃষি উৎপাদিত হয় বা পেষ্টিসাইড দ্বারা পরিস্থিত হয়, তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
ধুনে পরিস্থিতি সাফ করুন কমলা ধুনার পর ভালোভাবে ধুতে বা ব্রাশ করে তার পরিস্থিতি সাফ করুন।
প্রকৃত কমলা বেছে নিন সম্ভাবত কমলা প্রকৃতভাবে বৃদ্ধি করা হয়, সেই সময় খোসা প্রাকৃতিক ও সুরক্ষিত হয়। যদি আপনি কমলা পক্ষ থেকে খাচ্ছেন, তবে এটি প্রকৃত হতে হবে।
আরো পড়ুন: কীভাবে দ্রুত ঘরোয়া ভাবে ও প্রাকৃতিক উপায়ে লম্বা হওয়া যায় জেনে নিন
কমলা ধুতে পর্যাপ্ত সময় নেন কমলার খোসা খাবার আগে তা ভালোভাবে ধুনুন। যেন তার উপর কোনও ধূলা বা কোনও অপরিষ্কৃতি থাকে না।
সাইড ইফেক্ট চেক করুন কমলার খোসা খাবার পর যদি কোনও অস্বস্তি অভিজ্ঞান হয়, তাদের সাইড ইফেক্ট চেক করুন। যদি কোনও এলার্জি বা অসুস্থতা হয়, তবে তা নিয়মিত খেতে থাকবেন না এবং ডাক্তারের সাথে পরার্বিত আলোচনা করতে চান।
মাত্রা দেখুন কমলার খোসা একবারে বৃদ্ধি করা সম্ভবহয় কিছুটা কঠিন, সেইসময় তার সঠিক মাত্রা দেখে নিন। অধিকভাবে খেলে সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি কমলার খোসা খাওয়ার পূর্বে কোনও ধরনের চিকিৎসা বা মহাদেশ হতে চান, তবে ডাক্তারের সাথে পরার্বিত আলোচনা করতে হবে।
কমলার খোসার ফেসপ্যাক
ত্বক ফর্সা কিংবা উজ্জ্বল করার জন্য বাজার থেকে কেনা প্রসাধনী ব্যবহার না করে ঘরে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এগুলো আপনার ত্বকে নিয়ে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। ত্বক নরম ও উজ্জ্বল করতে কমলার খোসার তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত।
এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকের কালচে দাগ দূর করে ও ত্বক রাখে উজ্জ্বল। ফেসপ্যাক তৈরি জন্য কমলার খোসা কড়া রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন।
এই গুঁড়া মুখবন্ধ বয়ামে সংরক্ষণ করতে পারবেনকমলার খোসা বা কমলা খোসা ফেসপ্যাক তৈরি করা সহজ এবং প্রাকৃতিক উপাদানে ভরা হোক তাদের উপকারিতা থেকে। কমলা খোসার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে চাইলে, নিচে কিছু প্রস্তুতি পদক্ষেপ দেখুন
কমলা খোসার ফেসপ্যাক তৈরির পদক্ষেপ উপকরণ
প্রকৃতি কমলা খোসা - ১ টি দুধ - ২ টেবিল চামচ হানি - ১ চা চামচ (এটি মুখের জন্য সানিটাইজিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়)
পদক্ষেপ প্রথমে কমলার খোসা থেকে সফট পাতা অবশ্যই নিন। একটি কাচের বাটিতে কমলা খোসা ছেড়ে দিন। এবার তাতে দুধ ও হানি যোগ করুন। এবার এটি মিশ্রিত হওয়ার জন্য ভালোভাবে মিশানো প্যাস্ট তৈরি করুন। এই ফেসপ্যাকটি মুখে ও গলায় অসুস্থ বৃদ্ধি বা বকা ফেলার জন্য ব্যবহার করুন।
মুখে লাগার পর এটি কাজ করার জন্য ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে মুখ ও গলা ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধোয়া করুন।
কমলা খোসা ফেসপ্যাকের উপকারিতা
ত্বক জোর করতে সাহায্য করে কমলার খোসা আপনার ত্বককে মস্কটিক করে এবং স্বাস্থ্যকর একটি উজ্জ্বল ও তাজা অনুভূতি দেয়। ত্বক ক্ষেত্রে পৌঁছাতে সাহায্য করে কমলা খোসা মুখ ও গলা এলাকার মধ্যে লচ্ছণ, ব্রণ এবং ত্বকের প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে মুক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
ত্বকে পুরানো সেল ও অবশিষ্ট থাকতে দেয় কমলা খোসা ত্বকের উপর একটি উজ্জ্বলকর পীলা শান্তি দেয়, যা ত্বক থেকে পুরানোসেল এবং অবশিষ্ট দূর করতে সাহায্য করতে পারে। ত্বক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে কমলা খোসার ফেসপ্যাকের ব্যবহার ত্বকে পৌঁছাতে পারে এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
মনে রাখবেন, ত্বক টাইপের উপর ভিত্তি করে এবং আপনার ত্বকের যে ধরনের সমস্যা আছে তা মনে রেখে কমলা খোসা ফেসপ্যাক ব্যবহার করা গুড়িতে। আপনি যদি কোনও ত্বকের সমস্যার সাথে মোকাবিলা না করতে পারেন বা কোনও অসুস্থতা অনুভব করতে থাকেন, তবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করাটি চিন্তা করতে পারে।
কমলার খোসা দিয়ে ত্বকের যত্ন
কমলার খোসা ত্বকের যত্ন নেওয়া হলে আপনি নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে
কমলা খোসা দিয়ে ত্বক পরিস্কার করুন কমলার খোসা চোখ দেখতে ভালো হয় এবং সে ত্বকের জন্য উপকারী হয় কারণ তা বিশেষভাবে ত্বক সঞ্চার করতে সাহায্য করে। আপনি প্রতিদিন তিনবার কমলা খোসার পুরায় দিয়ে ত্বক পরিস্কার করতে পারেন। তাতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং অবশিষ্ট পরিস্কার হয়ে যাবে।
কমলা খোসা দিয়ে ত্বক তৈরি করুন কমলা খোসার চারা এবং ব্রিসল ব্রাশ দিয়ে ত্বক তৈরি করা হতে পারে। কমলা খোসা দিয়ে মিউকানিজিং এবং পুরতন পরিস্থিতি নির্মাণ করা হয়ে থাকে এবং ত্বককে সোজা রেখে তোলা হয়ে থাকে।
কমলা খোসা দিয়ে ত্বকে একটি স্ক্রাব তৈরি করুন কমলা খোসা চুরি করে পাউডার করে নিন। এটে একটি মাস্ক বা স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন। এটি ত্বককে মোচন এবং মৃদুত্ব দেয়। বাথরুমে যেতে হলে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
কমলা খোসা দিয়ে কমলা জেলি তৈরি করুন কমলা খোসা দিয়ে কমলা জেলি তৈরি করা হয় এবং এটি ত্বককে শীতল ও শান্তি দেয়। আপনি এটি সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করতে পারেন বা এটি মাস্ক বা ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
কমলা খোসা দিয়ে ত্বক শোনা করুন কমলা খোসা ব্যবহার করে ত্বকের রোমাঞ্চক এবং মস্তক বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি বৃদ্ধির লক্ষণ হ্রাস করতে এবং ত্বককে ফার্ম ও উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
এই হাতিয়ার ব্যবহার করার সময় মনে রাখবেন যে, ত্বক প্রকৃত ও মোচনশীল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কিছু লোকের ত্বক অত্যন্ত সুস্থ, কিছু লোকের ত্বক কিছু প্রকৃতিক উপাদানের প্রতি অতি সহজভাবে প্রতিসাধনশীল হতে পারে। এটি আপনার ত্বকের ধরণ, অবস্থা এবং প্রতিসাধনের জন্য আপনি যে পদক্ষেপগুলি চুক্তি করতে চাচ্ছেন তা অনুযায়ী হতে পারে।
কমলার খোসা গুড়া করার উপায়
এর জন্য বেশ কয়েকটি কমলালেবুর খোসা আপনাক বাড়িতে ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার সেই কমলালেবুর খোসাগুলো শুকনো তাওয়ায় হালকা আঁচে নাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর রোদে দিয়ে শুকিয়ে নিন কয়েকদিন।
এবার সেই খোসা শুকনো হয়ে এলে তা আপনি গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিন।কমলার খোসা গুড়া করা বা পাউডার করা হতে পারে একটি সহজ পদক্ষেপ হতে পারে। তার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন
উপকরণ প্রকৃতি কমলা খোসা পদক্ষেপ কমলা খোসা সংগ্রহ করুন সবচেয়ে প্রথমে প্রকৃতি এবং পরিস্থিতি দেখে কমলা খোসা সংগ্রহ করুন। আপনি যদি কমলা খোসা সরকারী বা অনার্গানিক হওয়ায় চিন্তিত থাকেন, তবে সেগুলি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
খোসা পরিষ্কার করুন একবার কমলা খোসা নিয়ে এসেছেন, তার ভিতর থেকে সবচেয়ে ভালো ভাবে বৃদ্ধি, মাটি এবং অন্যান্য অপরিষ্কৃতি সহ সারা কিছু পরিষ্কার করুন।
সুস্থতা এবং নানা পরিমাণে পানি বা প্রিসার জন্য ব্যবহার করুন আপনি যদি চান তবে স্বাস্থ্যকর এবং শোক খোসা ভাঙ্গা দিতে পারেন। আপনি কমলার খোসাকে অবশিষ্ট গুলি থেকে পাঁচানোর জন্য কিছু পানি অথবা প্রিসার ব্যবহার করতে পারেন।
খোসা সুখানো খোসা সঠিকভাবে পরিষ্কার হলে এবং অবশিষ্ট পানি বা প্রিসার দ্বারা শোক খোসা হলে, তা ঠিকমতো সুখানোর জন্য ঠান্ডা এবং শুকিয়ে দিন।
গুড়া করুন সুখানো খোসা গুড়া করার জন্য এখন তার টুকরো বা ছোট কিসের মাধ্যমে কমলা খোসাকে গুড়া করুন। আপনি এটি একটি ব্লেন্ডার বা কঠিন মোস্ট থেকে গুড়া করতে পারেন।
সোজা রেখে দিন একবার খোসা গুড়া হয়ে গেলে, তা তারকারিতা এবং স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা ও শোক করার জন্য একটি ব্যাগে সংরক্ষণ করুন।
এইভাবে, কমলা খোসাগুড়া করা হয়ে গিয়ে এটি আপনার ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে এবং সাজানোর জন্য তৈরি থাকতে পারে। এটি ত্বক যত্নে বা হোমমেড স্কিনকেয়ার পণ্য তৈরির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
কমলার খোসা চুলের যত্নে
চুল নরম ও খুশকিমুক্ত করতে দারুণভাবে কাজ করে কমলার খোসা। সেজন্য কমলার খোসা পানিতে ফুটিয়ে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সেই পানি ছেঁকে তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এতে চুল হবে নরম ও খুশকিমুক্ত।কমলার খোসা বা কমলা গুড়া হতে পারে চুলের যত্নে ব্যবহার হয়। কমলা খোসা চুলের যত্নে নিচের কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে
কমলা খোসা দিয়ে হেয়ার মাস্ক কমলা খোসা চুল দেখতে ভালো হয় এবং সেইসাথে তার কোমলতা এবং তাজগুলি চুলের যত্নে সাহায্য করতে পারে। কমলা খোসা গুড়া হলে তা মিশ্রিত করে একটি হোমমেড হেয়ার মাস্ক তৈরি করা যেতে পারে। গুড়া করা কমলা খোসা মেশানো হতে পারে হোমমেড হেয়ার মাস্কের একটি উপাদান হিসেবে। কমলা খোসা চুলে কন্ডিশনিং প্রদান করা
কমলা খোসা চুলের কন্ডিশনিং প্রদান করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। গুড়া করা কমলা খোসা থেকে তার রস বা জুস নিতে পারেন এবং চুলে প্রযুক্তিতে তা লাগিয়ে দেবেন। চুলের রুটে ম্যাস্ক বা স্ক্রাব তৈরি করা কমলা খোসা গুড়া করে একটি স্ক্রাব বা মাস্ক তৈরি করা যেতে পারে।
গুড়া করা খোসা রুটে লাগালে স্ক্যাল্পের মৃদুত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে এবং চুলের পোরিশ্রঙ্গে তা লাগিয়ে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। ত্বক ও চুলের জন্য তৈরি হেয়ার টিকা কমলা খোসা গুড়া করে হেয়ার টিকা তৈরি করতে পারেন। এটি চুল স্ক্যাল্প ও ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য একটি স্থায়ী সলিউশন হিসেবে কাজ করতে পারে।
মনে রাখবেন, চুলের যত্নে কোনও নতুন উপায় ব্যবহার করার আগে আপনার চুল টাইপ এবং ত্বক ধরন জানা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও প্রতিসাধনের জন্য যত্ন নেওয়ার আগে সেই পণ্য বা উপায়ের টেস্ট করা উচিত।
কমলার উপকারিতা ও অপকারিতা
কমলার উপকারিতা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায় রোগ প্রতিরোধে কমলা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত কমলা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় কমলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও বৃদ্ধ বয়সে চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে কমলা কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কমলা উপকারি একটি ফল। এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ব্লাডপ্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে কমলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং হেসপেরিডিন নামক যৌগ। তাই এটি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা দৈনিক একটি করে কমলা খেলে দারুণ উপকার পাবেন।
কিডনির পাথর নিঃসরণে একটি কমলাতে শতকরা ৮৮ ভাগ পানি থাকে যা শরীরকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে এবং কিডনি সুস্থ রাখে। এতে থাকা সিট্রেইট উপাদান কিডনিতে পাথর গঠনে বাধা সৃষ্টি করে ও কিডনির পাথর দূর করতেও সাহায্য করে।
বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কমলা ফাইবার একটি যুক্ত ফল। এটি পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে ফলে বদহজমের সমস্যা দূর হয়। ফাইবার মলকে স্বাভাবিক করে মল ত্যাগের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দূর হয়।
রক্তস্বল্পতা দূর করে রক্তশুন্যতা দূর করতে কমলা বেশ উপকারী একটি ফল। এতে থাকা আয়রন ও ভিটামিন সি রক্তস্বল্পতা পূরণে সাহায্য করে থাকে। তাই আয়রনের ঘাটতিজনিত সমস্যা দূর করতে নিয়মিত কমলা খান।
হৃদরোগের উপশম কমলাতে যে সমস্ত ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে তার মধ্যে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ফলে হার্ট এট্যাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। আর ভিটামিন সি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হার্টকে সুস্থ রাখে।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নিয়মিত কমলা খান। কারণ কমলা ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। কমলা ত্বকের রুক্ষতা, শুষ্কতা, ব্রন, মেছতা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তোলে
কমলার অপকারিতা
কমলার উপকারিতা যেমন রয়েছে, তেমনি এর অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণে কমলা খেলে হীতে বিপরীত হতে পারে। পরিমাণের বেশি কমলা খেলে বদহজম, ডায়রিয়া, পেটব্যথা, গলা, বুক পেট জ্বলা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। কমলা পটাশিয়াম যুক্ত। তাই যারা হার্ট ও কিডনি রোগে আক্রান্ত তারা কমলা খাওয়ার পূর্বে পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।
গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মহিলাদের জন্য বেশি পরিমাণে কমলা খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। শিশুদের অতিরিক্ত কমলা খাওয়ানোও উচিৎ নয়। কারণ এতে পেট ব্যথা এবং সিনকোপের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে কিছু লোকের ত্বকে কমলার সাথে অ্যালার্জি হতে পারে এবং এটি চুলে অ্যালার্জি বা ত্বকে সৃষ্টি করতে পারে।
অতিরিক্ত খাচ্ছে যেন প্রভাবিত হয় কমলা খোসার চুল থেকে যদি আপনি অতিরিক্ত খাচ্ছে হতে চান, তবে এটি একটি সোজা প্রক্রিয়া নয় এবং মানব আবহাওয়া পরিবর্তন করতে বাধ্য থাকতে পারে।
কমলা খোসা হিসেবে অধিক মৌষুমিক সাথে অসুস্থ থাকতে পারে কমলা খোসা বৃষ্টি এবং এইচআইভি/এইডসের প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি তাপমাত্রা বা অতিরিক্ত ঠান্ডার দিকে অধিক প্রবল হতে পারে এবং অসুস্থ থাকতে পারে।
প্রতিরোধ শক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য অধিক খেলে সমস্যা কমলা খোসা যদি বেশি খেতে থাকেন, তাদের ক্ষুধামন্দ্রা বা অস্তিত্ব সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এটি মৌষুমিক বা যৌথ সমস্যা তৈরি করতে পারে।
মনে রাখবেন কমলা খোসা বা কমলা গুড়া দেওয়া এবং কাটা হওয়া এবং অবশিষ্ট বা অধিশিষ্ট পরিচ্ছন্ন করা গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও নতুন পৌষ্টিক বা চিকিৎসার পদক্ষেপে আগ্রহী হওয়ার আগে, এটি আপনার চিকিৎসক বা পৌষ্টিকবিদের সাথে আলাপ করুন।
কমলার খোসার পাউডার
কমলার খোসা বা কমলা বাচা থেকে তৈরি করা খোসার পাউডার একটি প্রকৃতিবাদী উপাদান হতে পারে, যা বিভিন্ন উপকারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কমলা বা কমলার খোসা অনেক ধরণের পুষ্টিকর উপাদানগুলি থাকে, যেমন ভিটামিন সি, এফ, ক্যারোটিন, এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট।কমলার খোসার পাউডার তৈরি করতে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে
উপাদান শুকনা কমলার খোসা পদক্ষেপ শুকনা কমলার খোসা নিয়ে তাদের ছোট টুকরা করুন বা ছাই দিয়ে পাউডার করুন। এটি একটি কাঁচি বা শীতল স্থানে ঢেলে দিন যাতে সূর্যের আলো একে পরে না এবং ভালো ভাবে শুকিয়ে যায়।
একবার ভালো ভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পর, এটি একটি গ্রাইন্ডার বা মিক্সারে পেস্ট করুন। পাউডার তৈরি হয়ে গেলে এটি একটি স্টোরেজ জারে রাখুন এবং শুকনা এবং ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন।
এই পাউডারটি ত্বকে উজ্জ্বলতা এবং চমক যোগানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে। আপনি এটি ত্বকে মাস্ক বা ফেস প্যাক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। তবে, কোনও নতুন উপাদান বা প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে এটি আপনার ত্বকের সাথে সাথে ক্ষতি না করতে প্রথমে একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করাটি উচিত।
কমলার খোসা দিয়ে সিরাম
কমলার খোসা দিয়ে সিরাম তৈরি করতে নিচের রেসিপি অনুসরণ করতে পারেন। কমলার খোসা সিরামের মাধ্যমে ত্বকের জন্য সুস্থ উপাদানগুলি প্রবাহিত করতে সহায় করতে পারে, এবং এটি প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল এবং চমকমুক্ত ত্বক সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে। কমলার খোসা সিরাম রেসিপি
উপাদান কমলার খোসা - 2 টি (ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করুন) রোজমেরি পাতা - 1 টি (ছোট টুকরায় কাটুন) আলোভেরা জেল - 1 চা চামচ শহু বাদাম - 5-6 টি (ভিগো বাদাম ব্যবহার করতে পারেন) হানি - 1 চা চামচ গুলাবজল - 1 চা চামচ টী ট্রি অয়েল - 3-4 অল্প বুঁড়ে চামচ
পদক্ষেপ একটি বড় বাটি অথবা বোউলে কমলার খোসা নীড়ে নিন। এখানে রোজমেরি পাতা, আলোভেরা জেল, শহু বাদাম, হানি, গুলাবজল, এবং টী ট্রি অয়েল যোগ করুন। সবকিছুই একসাথে মিশানোর জন্য এটি ভালোভাবে মিশান। এবার এই মিশ্রণটি কিছু ঘণ্টা ধরে রাখুন, তাতে উপাদানগুলি ভালোভাবে মিশে যাবে।
এবার মিশ্রণটি একটি বোতলে রাখুন এবং প্রতিদিন ত্বকে প্রয়োজনমুলক সময়ে এটি অ্যাপ্লাই করুন। এই সিরামটি ত্বক প্রকৃতির সৌন্দর্যের জন্য উপকারী হতে পারে, এবং ত্বকে উজ্জ্বল এবং চমকমুক্ত করতে সাহায্য করতে পারে।
- কমলার খোসা বাটা
- কমলার খোসা বাটা তৈরি করতে রেসিপি দেওয়া হলো
- শুকনা কমলা খোসা - ১ টি
- কাঁচামরিচ গুঁড়ো - ১ চা চামচ (আপনি চাইলে বেশি বা কম করতে পারেন)
- কোসলা বা বেসন - ২ চা চামচ
- দই - ১ চা চামচ
- নানা গুঁড়া মসলা (ধনিয়া, জিরা, মেথি গুঁড়ো) - স্বাদমতো
- হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
- সরু কাচা আম - ১ টি (পাকা আম হলেও হতে পারে)
- কাঁচামরিচ বা লাল মরিচ - ১-২টি (স্বাদমতো)
- লেবুর রস - ১ চা চামচ
- কাঁচা কচুর - ১ চা চামচ (অপশনাল)
পদক্ষেপ শুকনা কমলা খোসা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করুন। খোসার মাংসের অংশ ছাড়াই বাকি খোসাটি কাটে নিন সামান্য টুকরায়। এবার এই টুকরাগুলি সহ বাকি সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে বা কফি গ্রাইন্ডারে চলিয়ে একটি গড় করুন।
গড়ে মিশ্রণটি একটি বাটার কাঁচে রেখে রাখুন। ব্লেন্ডারে মিশ্রণটি ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন যাতে বাটাটি আরও স্মুদ্ধ হয়ে যায়। তারপর এটি একটি সাফ-টাইট জারে রাখুন।
এই কমলা খোসা বাটা টি ত্বকের যত্ন নেবার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি একটি ন্যাচারাল স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে এবং ত্বকে উজ্জ্বল এবং সজীব করতে সাহায্য করতে পারে।