কমলা গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয় তা জেনে নিন
কমলা গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয়তা জেনে নিন লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে কমলা একটি জনপ্রিয় ফল। চাইনিজ মিষ্টি কমলা সুস্বাদু, সুগন্ধি এবং ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল। কমলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Citrus reticulate ইংরেজি নাম Mandarin Orange, Mandarin এবং Mandarine । দার্জিলিং কমলা চাষ পদ্ধতি
Rutaceae পরিবার এবং Citrus গোত্রের ভুক্ত। কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় সর্দিজ্বর ও বমি নিবারক।কমলা চাষের জন্য নির্বাচন করতে হবে এমন জমি যে জমিতে সারাদিন রোদ থাকে, বৃষ্টির পানি জমেনা, বর্ষার পানি উঠেনা। ভালভাবে জমির আগাছা পরিস্কার করতে হবে। সমতল ভুমি হলে দু-থেকে তিনটি চাষ ও মই দিতে হবে এবং পাহাড়ি জমি হলে কোদালের মাধ্যমে জমি তৈরি করে নিতে হবে।
চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।
কমলা গাছের পরিচর্যা কিভাবে করতে হয় তা জেনে নিন
চারা গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝে পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষাকালে গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেজন্য পানি নিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া কমলা গাছের আগাছা দমন করতে হবে।কমলা গাছের পরিচর্যা করতে হলে কিছু মৌলিক ধরনের দেখার দরকার রয়েছে, যেগুলি গাছটির সুস্থ ও উন্নত বাড়ানোর জন্য মুখ্য থাকে।
সূর্যাস্তে সূর্যাস্তে কমলা গাছের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। তাই গাছটি সূর্যাস্তের দিকে প্রতিস্থানে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো মাটির নির্বাচন করুন। কমলা গাছের জন্য ভালো ড্রেনেজ সুস্থ রয়েছে এবং প্রস্তুতির জন্য সুমার্জিবল সাবস্ট্রেট ব্যবহার করা হতে পারে।
আরো পড়ুন: সব ধরনে ফুল গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে জেনে নিন
পোষণ এবং জীবাণুসংযোগের জন্য উপযুক্ত খাদ্য প্রদান করুন। কমলা গাছের উচ্চ সমাপ্তি খাদ্যের জন্য সাম বা অন্যান্য কমপাক খাদ্য ব্যবহার করা হতে পারে। মাত্রার পরিচর্যা করুন। কমলা গাছে প্রয়োজনে মাত্রার দিকে গাছের কাছাকাছি পানি সরাতে পারে। প্রয়োজনে পানি ছড়িয়ে দিতে হতে পারে এবং ধূপে মাত্রা উপাত দিতে হতে পারে।
প্রোফেশনাল কৃষি উপাদানের ব্যবহার করুন। কমলা গাছের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা পোটাশিয়াম, ফসফরাস এবং নাইট্রোজেনের উচ্চ কৃষি উপাদান ব্যবহার করা হতে পারে। রোগ এবং কীটনাশকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
কমলা গাছে পোড়ামাকড় এবং কচু বা পানি মৌষী সহ বিভিন্ন কীটনাশকের আক্রমণ হতে পারে। এগুলির বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রতিরোধ প্রদান করতে সময় করুন। এই কমলা গাছের পরিচর্যা প্রথার মাধ্যমে, আপনি গাছটির সৌন্দর্যকে বাড়ানো এবং মৌলিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারেন।
কমলা গাছে ফুল আসার সময়
কমলা গাছে ফুল আসার সময় প্রধানত উপভোগ করার জন্য এবং এটি প্রসারিত করতে হয়ে থাকে। কমলা গাছের ফুলের সময়টি সামান্যভাবে পরিবর্তন করতে পারে নির্ভর করে গাছের প্রকৃতি, জলের সরবরাহ, ওজন, এবং আবহাওয়ার শর্তাদি গুলির উপর।
তবে, সাধারিতভাবে কমলা গাছের ফুল আসার সময় একাধিক কারণে হতে পারে: ঋতু: কমলা গাছের ফুল আসার সময় বেশিরভাগই বসন্ত ঋতুতে হয়। বসন্ত ঋতুতে পৌষ মাস থেকে ফাল্গুন মাসে পর্যন্ত ফুলের বিকাশ দেখা যায়।
পৌষ মাস থেকে মাঘ মাস: কমলা গাছের ফুল প্রায়ই পৌষ মাসে আরম্ভ হয় এবং সবুজ ফুলের বিকাশ বেশি হয়। এরপর মাঘ মাসে ফুল মুক্ত হতে থাকে। জলের উপভোগ: কমলা গাছ সাধারিতভাবে প্রাকৃতিক জল প্রাপ্ত করে এবং ফুল আসার সময়ে যত্ন নেয়।
পুর্নতা প্রাপ্তি: একটি সুস্থ ও ভালো যাত্রায় থাকতে কমলা গাছের ওজন এবং আবহাওয়ার শর্তাদির সাথে মিলে যায়। কমলা দু-বছর বয়স থেকে গাছে ফুল আসতে থাকে। প্রথম বার ফুল আসা থেকেই গাছে ফল ধরে থাকে। ফল পরিপক্ক হতে সময় লাগে ৬ মাস।
গাছের বয়স যখন আড়াই বছর হয় তখন একটা গাছ থেকে ৪০-৪৫ কেজি ফল পাওয়া যায়। এবং প্রতি বছর ফলন বাড়তে থাকে। একটি পূর্ণ বয়স্ক কমলা গাছ থেকে ৮০-১০০ কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। বেশি বয়স্ক একটি গাছ থেকে ২০০-২৫০ কেজি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়।
একটি গাছ সাধারণত ৫০ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে।সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি গাছের প্রকৃতি এবং সার্বিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করতে পারে, তাই ফুল আসার সময়টি এক থেকে অন্য ভিন্ন হতে পারে।
কমলা গাছের রোগ ও প্রতিকার
কমলা গাছের রোগ এবং তাদের প্রতিকার হতে পারে বিভিন্ন ধরনের। নিচে কিছু সাধারিত রোগ এবং তাদের প্রতিকারের উপায় দেওয়া হলো: পৌষ প্রকারণ (Root Rot):
লক্ষণঃ পৌষ প্রকারণের লক্ষণের মধ্যে অন্তত একটি হতে পারে: গাছের নীচের অংশের পুতি বা মূল সঞ্চিত হয়ে যায়, এবং গাছের উপাংশু মাঝে বা প্রাণ্তে কালো বা কাঠিন হয়ে যায়।
প্রতিকারঃ পৌষ প্রকারণের জন্য ভাল ড্রেনেজ সঞ্চিত করতে হয় এবং জলের একীভূত থাকতে হয়। অতিপ্রয়োজনে, আক্রান্ত গাছগুলি সরিয়ে নেওয়া হতে পারে এবং কীটনাশক বা ফাংগাইসাইড ব্যবহার করা হতে পারে। পোড়াবিত রোগ (Powdery Mildew):
লক্ষণঃ পোড়াবিত রোগের লক্ষণ মূলত গাছের পাতার উপর একটি শ্যারপ পোড়াবিত রঙের শীতল কাণ্ড হয়।প্রতিকারঃ এটির জন্য ফাংগাইসাইড অথবা সাধারিতা ব্যবহার করা হতে পারে। কচু বা পানি মৌষী (Aphids):
আরো পড়ুন: ১০০০ টাকারমধ্যে বাটন মোবাইল কোনগুলো
লক্ষণঃ কমলা গাছে কচু বা পানি মৌষীর আক্রমণে পাতা মৌষীর সংখ্যা বাড়ে এবং গাছের উপাংশু মাঝে কালো কোষ তৈরি হতে থাকে।প্রতিকারঃ সাধারিতা বা কীটনাশক ব্যবহার করে পাতা মৌষী দূর করা যেতে পারে। হাতের বা একটি নয়াদিয়া ব্রাশ বা মৃদু সাবান সহ তৈরি করা তাজা পানিতে পাতা মৌষী অবস্থান করতে সাহায্য করতে পারে। পানির পোকা (Leaf Spot):
লক্ষণঃ পানির পোকা রোগের লক্ষণ মধ্যে অন্তত একটি পোকা বা কালো রঙের চিনি দেখা যায় গাছের পাতা উপর।প্রতিকারঃ আক্রান্ত পাতাগুলি সরিয়ে নেওয়া এবং প্রতিরোধ হিসেবে বিশেষভাবে ড্রেনেজের যত্ন নেওয়া জরুরি। কীটনাশক বা ফাংগাইসাইড ব্যবহার করতে হতে পারে। মাছি পোকা:
লক্ষণঃ এ পোকা ফল ছোট অবস্থায় ফলের ভিতরে হূল ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। এতে করে ফল নষ্ট হয়ে যায়।প্রতিকারঃ মাছি পোকা দমনের জন্য সেক্স ফেরোমন ব্যবহার করলে সব থেকে ভাল উপকার পাওয়া যায়। পাতা ছিদ্রকারী পোকা:লক্ষণঃ এ পোকা পাতার নিচে আকা বাকা দাগের সৃষ্টি করে থাকে। এর আক্রমণে পাতা কুঁকড়ে যায় ও গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রতিকারঃ১০ মিলি মেটাসিস্টক্স ১০ লিটার পানিতে ৪ চা চামচ মিশিয়ে স্প্রে করলে প্রতিকার পাওয়া যায়। বাকল ছিদ্রকারী পোকা: লক্ষণঃএ পোকা বাকলের মাঝে ঢুকে খেতে থাকে এবং আক্রান্ত বাকল শুকিয়ে ডাল বা কান্ড মারা যায়।
প্রতিকারঃরিপকর্ড ১০ ইসি কীটনাশক ১০ লিটার পানিতে ২ চা চামচ মিশিয়ে স্প্রে করলে প্রতিকার পাওয়া যায়। কমলা গান্ধী পোকা: লক্ষণঃকমলা গান্ধী পোকা ফলের গায়ে ছিদ্র করে ফলের রস চুষে খায়। ছিদ্রস্থানে হলদে রং ধারণ করে ফর ঝরে পড়ে।
প্রতিকারঃম্যালাথিয়ন ০.০৪% অথবা সুমিথিয়ন ৫০ইসি ১০ লিটার পানিতে ৫ চা চামচ মিশিয়ে স্প্রে করলে প্রতিকার পাওয়া যায়। গ্রীনিং: লক্ষণঃগ্রীনিং রোগাক্রান্ত গাছের পাতা হলুদ রং ধারণ করে। শিরা দুর্বল হয়ে পাতা কিছুটা কোকড়ানো ও ছোট হয়ে সংখ্যা কমতে থাকে।
প্রতিকারঃএ রোগ সাইলিড নামক পোকা থেকে সংক্রমিত হয়। নগস ১০০ইসি ১০ লিটার পানিতে ৪ চা চামচ মিশিয়ে স্প্রে করলে প্রতিকার পাওয়া যায়। কমলা গাছের রোগ এবং তাদের প্রতিকারে সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া করা জরুরি যাতে গাছটি সুস্থ থাকে এবং ভালো ফল দেয়।
গুরুত্বপূর্ণ হলো যে, রোগের লক্ষণ দেখলে তা দ্রুতই পরিষ্কার করা এবং কীটনাশক বা ফাংগাইসাইড ব্যবহার করা হবে না তা দিয়ে রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সমস্যা হলে স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
কমলা মিষ্টি করার উপায়
কমলা মিষ্টি তৈরির জন্য আপনি একটি সহজ এবং স্বাস্থ্যকর রেসিপি অনুসরণ করতে পারেন। নিম্নে একটি সাধারিত কমলা মিষ্টি রেসিপি দেওয়া হলো: কমলা মিষ্টি তৈরির জন্য আপনি একটি সহজ এবং স্বাস্থ্যকর রেসিপি অনুসরণ করতে পারেন। নিম্নে একটি সাধারিত কমলা মিষ্টি রেসিপি দেওয়া হয়েছে:
কমলা মিষ্টি রেসিপি:
উপকরণ:
১ টি বড় কমলা
১ কাপ চিনি
১ টি লেবু (রস)
পানি (প্রয়োজনে)
নির্দেশাবলী:
কমলা প্রস্তুতকরণ:
- প্রথমে কমলা ভালভাবে ধুয়ে নিন। এটির পরিস্থিতি ভালো থাকতে হবে।
- কমলা রস বানান: কমলা কেটে আবারো ছেঁকে নিন। কমলা রস বের করতে হলে সামান্য প্রেসার লাগিয়ে চেঁচাতে হবে অথবা রসকোষ্ঠ দিয়ে প্রেস করতে পারেন।
- চিনি মিশানো: একটি বড় পাত্রে কমলা রস এবং চিনি মিশিয়ে নিন। চিনি দ্বারা আপনি আপনার স্বাদ অনুযায়ী মিষ্টি শখ সেট করতে পারেন।
- লেবু রস যোগ করুন: লেবু থেকে তৈরি একটি টেবিল চামচ রস যোগ করুন। এটি মিষ্টির স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং কমলা মিষ্টির রং সজীব করতে সাহায্য করতে পারে।
- মিষ্টি পানি যোগ করুন (প্রয়োজনে): প্রয়োজন হলে সামান্য পরিমাণে পানি যোগ করুন। মিষ্টি এবং চিনি ভালোভাবে মিশে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন হতে পারে।
- ঠান্ডা ঠান্ডা রাখুন এবং পরিবেশন করুন: এখন আপনি এই কমলা মিষ্টির সাথে আপনার পরিবেশন করতে পারেন। এটি ঠান্ডা ঠান্ডা রাখুন এবং তারপর গ্রাসের ও গোলাপের মাধ্যমে সাজিয়ে নিন।
এই হোমমেড কমলা মিষ্টি হলেও আপনি চাইলে অন্যান্য উপায়েও কমলা মিষ্টি তৈরি করতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনি চাইলে স্বাদমতে মিষ্টির অবধি বা চিনি বা লেবু রস সংযোজন করতে পারেন।
মাল্টা গাছের পরিচর্যা
মাল্টা গাছের পরিচর্যা করা হলে সাধারিত কৃষি উদ্দীপত্তির প্রয়োজন।চারার যথাযথ বৃদ্ধির জন্য সময় মত সঠিক পরিমান ও পদ্ধতিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এই সব সার ব্যবহার করতে হবে- গোবর সার ইউরিয়া সার টিএসপি এমওপি জিংক সালফেট বরিক এসিড
মাল্টা গাছের পরিচর্যা:
উপযুক্ত স্থান এবং সূয়াসবস্ত্র: মাল্টা গাছের জন্য একটি সূয়াসবস্ত্র এবং উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনেক সূর্যালো প্রাপ্ত করতে সাহায্য করতে পারে এবং সুযোগ প্রদান করতে পারে ভালো দ্রাক্ষা ফলের জন্য। ভূমির প্রস্তুতি: মাল্টা গাছের জন্য উপযুক্ত ভূমি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: ভিসা কিভাবে করতে হয় বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন
ভূমি সহজেই পানি পাওয়া এবং শক্তিশালী হতে হবে। ভূমি পরীক্ষা করার জন্য একটি বৃহত্তর কৃষি কেন্দ্রে পরামর্শ নিতেহবে। সঠিক অসম: মাল্টা গাছের জন্য সঠিক অসম প্রদান করতে হবে। অধিক জৈব সারের ব্যবহার করতে এবং প্রস্তুত কৃষি সার ব্যবহার করতে হবে।
সুযোগ এবং প্রোপ: মাল্টা গাছের জন্য সুযোগ এবং প্রোপ ব্যবহার করতে পারেন যাতে গাছ সুপ্ত বা উঁচু হতে পারে। নিয়মিত ও সঠিক সুমোহার প্রদান: গাছের জন্য নিয়মিত এবং সঠিক সুমোহার প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। পুরাতাত্ত্বিকভাবে, মাল্টা গাছের জন্য প্রতি বছর সম্মানী পোটাশিয়াম সার সংযোজন করতে হবে। উষ্ণতা
এবং পানির প্রবাহ: মাল্টা গাছ উষ্ণতা ভালোভাবে ব্যবহার করে এবং পানির প্রবাহ যাচাই করতে হবে। মাল্টা গাছের যত্ন নেওয়া: গাছের সারাদিন যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে মাল্টা ফলের বিকাশ ও কমলার বৃদ্ধির জন্য প্রোপার ক্যায়ার নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিচর্যা কদমগুলি মাল্টা গাছ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। সতর্কতা অবলম্বন করে প্রতি মৌসুমে যত্ন নেওয়া এবং প্রয়োজনে স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে কার্যকর।
টবে কমলা চাষ পদ্ধতি
টবে চায়না কমলা চাষ করতে দেড় থেকে দুই ফিট উচ্চতার টব সবচেয়ে উপযোগী। টবে যাতে ৫০-৬০ কেজি মাটি ধারন করতে পারে। টব গোলাকার ও চতুস্কনাকৃতির হতে পারে। সিমেন্টের অথবা প্লাস্টিকের টব ব্যবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও বাসা বাড়ির অব্যবহৃত বাকেট ও অন্যান্য পাত্র টব হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নিচের দিকে ছিদ্র করে নিষ্কাশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।টবে কমলা চাষের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
কমলা চাষের ধাপসমূহ:
- স্থান বাছাই করুন: কমলা গাছের জন্য সঠিক স্থান বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ। কমলা গাছগুলি সুনিষ্ঠিত সূর্যালো অবলম্বন করতে হবে এবং অবাঞ্ছিত বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া উচিত।
- উপযুক্ত ভূমির নির্বাচন করুন: ভূমি সুস্থ, ভালো ড্রেনেজ সিস্টেম সহজে পানি পাওয়া এবং উচ্চ উর্বরতা সাধারিতা দিতে হবে। এছাড়া, ভূমি নিয়মিতভাবে খাদ্যান্বিত করা সুস্থ গাছ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
- সুষ্ঠ কমলা বীজ নির্বাচন করুন: উচ্চ গুণমানের কমলা বীজ নিয়ে গাছ চাষ করতে হবে। প্রাথমিক ভাগ্যশালী চাষের জন্য নিজস্ব কার্যকর বীজ নিন বা স্থানীয় নার্সারিতে প্রাপ্ত বীজ নিন।
- বীজ বোনানো এবং প্রারম্ভিক যত্ন: বীজ বোনানোর জন্য সুস্থ মাটির মাঝে বীজ বোনাতে পারেন। ছোট গাছগুলি ভালো জন্য উচ্চ ও প্রাথমিক বৃদ্ধির জন্য ভালো খাদ্যান্বিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
- রোপণ এবং প্রথম কিছু মাসে যত্ন: গোছা চাষে প্রথম কিছু মাসে গোছাগুলি ভালো ভাবে তৈরি করার জন্য গাছগুলির চারপাশে উঁচু মাটি বা রোপণ তৈরি করুন।
- স্থিতিশীলতা এবং রোপণ: কমলা গাছগুলি স্থিতিশীলতা অনুভব করতে পারে তাদের চাষের জন্য স্থানটি ভালো ভাবে সজীব করতে। গাছগুলির মধ্যে প্রয়োজনে আপনি গজনা বা রোপণ ব্যবহার করতে পারেন।
- উচ্চায়িত গাছের যত্ন: গাছগুলি উচ্চ ও ভালোভাবে দেখতে হলে গাছগুলির জন্য সঠিক স্থান প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
- পোষণ এবং পানি: গাছগুলি উচ্চ উর্বরতা প্রদান করতে সঠিক পোষণ এবং প্রাথমিক যত্ন নিতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে পানি প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
- রোগ এবং কীটনাশক পরিচর্যা: রোগ এবং কীটনাশকের প্রতিরোধ করতে অশক্তিশালী গোছা দেখতে হলে গোছা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে রোগ বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
দার্জিলিং কমলা চাষ পদ্ধতি
দার্জিলিং কমলা চাষ একটি বৃদ্ধির দৃষ্টিকোণ এবং উচ্চ গুণমানের কমলা ফল পাওয়ার জন্য বিশেষ যত্ন নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। দার্জিলিং এলাকায় চা চাষের জন্য উপযুক্ত জমি, আবহাওয়া এবং চাষের কৌশল প্রয়োজন।
দার্জিলিং কমলা চাষের পদ্ধতি একে অপরের চাষ উপকরণগুলি থেকে বৃদ্ধি করতে পারে। নিম্নে দার্জিলিং কমলা চাষের সাধারিত পদক্ষেপ দেওয়া হলো: দার্জিলিং কমলা চাষ একটি বৃদ্ধির দৃষ্টিকোণ এবং উচ্চ গুণমানের কমলা ফল পাওয়ার জন্য বিশেষ যত্ন নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: বিকাশে ভুলে টাকা চলে গেলে করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
দার্জিলিং এলাকায় চা চাষের জন্য উপযুক্ত জমি, আবহাওয়া এবং চাষের কৌশল প্রয়োজন। দার্জিলিং কমলা চাষের পদ্ধতি একে অপরের চাষ উপকরণগুলি থেকে বৃদ্ধি করতে পারে। নিম্নে দার্জিলিং কমলা চাষের সাধারিত পদক্ষেপ দেওয়া হল:
দার্জিলিং কমলা চাষের পদক্ষেপ:
- উপযুক্ত জমি নির্বাচন: কমলা গাছের জন্য সঠিক জমি নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। সেমিলো আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা অনুযায়ী সুষ্ঠ জমি নির্বাচন করুন।
- সঠিক কমলা বীজ নির্বাচন করুন: উচ্চ গুণমানের এবং প্রমাণিত দার্জিলিং কমলা বীজ নিন। প্রমাণিত নার্সারি থেকে বীজ কিনতে পারেন।
- বীজ বোনানো এবং প্রথম কিছু মাসে যত্ন: বীজ বোনানোর জন্য সুস্থ মাটির মাঝে বীজ বোনাতে পারেন এবং প্রাথমিক বৃদ্ধির জন্য ভালো খাদ্যান্বিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
- আপনার চারের দক্ষতা চেক করুন: দার্জিলিং কমলা চাষে আপনার চারের দক্ষতা মোনায়েম করতে হবে। সঠিক প্রকারে কাজ করার জন্য চারের দক্ষতা সাধারিতা গুরুত্বপূর্ণ।
- স্থান প্রদান এবং রোপণ: কমলা গাছগুলি সুস্থ বৃদ্ধির জন্য স্থানটি সজীব করতে হবে। গাছগুলি যত্নের জন্য ভালো রোপণ এবং সজীব করা গুরুত্বপূর্ণ।
- পোষণ এবং পানি: সুস্থ ফল প্রদান করতে সঠিক পোষণ এবং প্রাথমিক যত্ন নেতে হবে। এছাড়া, সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে পানি প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
- রোগ এবং কীটনাশক পরিচর্যা: রোগ এবং কীটনাশকের প্রতিরোধ করতে অশক্তিশালী গোছা দেখতে হলে গোছা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনে রোগ বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
কোন মাটিতে কমলা ভালো হয়
বেলে এবং দোঁআশ মাটিতে কমলালেবু চাষ করা ভালো। আমাদের দেশে বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পঞ্চগড় জেলা এ ফল চাষ উপযোগী। যথেষ্ট বৃষ্টিপাত হয় এমন আদ্র ও উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে কমলার চাষ ভালো হয়।
উঁচু,উর্বর,গভীর সুনিস্কাশিত এবং মৃদু অম্ল ভাবাপন্ন বেলে দোআঁশ মাটিতে কমলা লেবুর চাষ ভালো হয়।কমলা চাষের জন্য একটি সঠিক এবং উপযুক্ত জমি সুস্থ কমলা ফল উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। কমলা গাছের জন্য সঠিক জমি নির্বাচন করার জন্য নিম্নলিখিত উপযুক্ত মাটির প্রয়োজন:
- ভালো ড্রেনেজ সিস্টেম: কমলা গাছ ভালো ড্রেনেজ সিস্টেম সহজে পানি পাওয়ার জন্য মাটি সহজে পানি পাওয়া এবং নিজে সারাদিন উষ্ণ থাকতে সাহায্য করে।
- সঠিক অসম: কমলা গাছ জন্য সঠিক অসম প্রদান করতে হবে। এটি পুরাতাত্ত্বিকভাবে মাটি পরীক্ষা করার জন্য প্রশাসকের সাথে যোগাযোগ করা হতে পারে।
- সুষ্ঠ মাটি সারিতে প্রদান করুন: ভালো উর্বরতা প্রদান করার জন্য সুষ্ঠ মাটি সারিতে প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সেরা ১০ টি মেডিকেল কলেজ
- উচ্চ আদর্শ মাটি: উচ্চ আদর্শ মাটি এটি সহজেই পানি পাওয়া এবং সমান্তরাল করা সাধারিতা থাকতে সাহায্য করে।
- মাটির প্রস্তুতি: ভালো কমলা চাষের জন্য মাটির প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ। পুরাতাত্তিকভাবে জমি উন্নত করার জন্য জমি পরীক্ষা করার পরিপ্রেক্ষ্যে মাটি প্রস্তুত করা গুরুত্বপূর্ণ।
এই পুনশ্চব পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা সাহায্য করতে পারে যাতে আপনি ভালো জমি প্রদান করতে পারেন এবং সুস্থ এবং ভালোভাবে ফলদাতা কমলা গাছ চাষ করতে পারেন।
কমলা গাছের পাতা হলুদ
কমলা গাছের পাতা হলুদ হয়ে মারা গেলে বুঝতে হবে মাল্টা গাছের গ্রিনিং রোগ হয়েছে। এই রোগ হলে গাছের পাতার মধ্যশিরা হলদে হয়ে যায় এবং শেষ পর্যায়ে হলুদাভ রং ধারণ করে। পাতার শিরা-উপশিরাগুলো ক্রমশ গাঢ় সবুজ হতে থাকে, ও পাতা কুঁকড়িয়ে ডাই-ব্যাক রোগের এর সৃষ্টি করে।
সাইলিড পোকা দ্বারা এই রোগ বিস্তার লাভ করে থাকে। এই পোকা সাইট্রাস গ্রিনিং ভাইরাস বহন করে।কমলা গাছের পাতা হলুদ হওয়া অকারণে একটি প্রবল লক্ষণ হতে পারে এবং এটির কারণে বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। নিম্নে কিছু কারণ এবং প্রযোজ্য প্রস্তাবনা দেওয়া হলো:
আলোকপ্রকাশ এবং সারাদিন আলোচ্ছনা:
কমলা গাছ সূর্যালো প্রয়োজন রেখে থাকতে হবে। সূর্যের প্রদীপ্তি আলোকচ্ছনা প্রদান করতে সাহায্য করে এবং পাতাদ্বয়কে পুরোপুরি ফোটাসই এবং সুষ্ঠ ভাবে পরিচ্ছন্ন রাখতে সাহায্য করে ।
- পোষণের অভাব: পোষণের অভাব হলে কমলা গাছের পাতা হলুদ হয়ে যাতে বৃদ্ধির সঠিক পোষণ না পাওয়া যায়। উপযুক্ত সার ব্যবহার করা এবং প্রতিসপ্তাহে খাদ্যান্বিত প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।
- জলবায়ু এবং আবহাওয়া শখনি: অতি শীতল বা অতি গরম জলবায়ু, হাওড়া বা আবহাওয়া শখনির কারণে কমলা গাছের পাতা হলুদ হতে পারে।
- রোগ বা কীট আক্রমণ: কমলা গাছে কোনো রোগ বা কীট আক্রমণ হতে পারে যা পাতাদ্বয়ে হলুদ রঙ প্রদান করে । এই সমস্যার জন্য উপযুক্ত কীটনাশক বা রোগনাশক ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
- অধিক জলপাই: কমলা গাছের জন্য উচ্চ জলপাই উপকারী হতে পারে না। অধিক জলপাই হলে গাছের কাণ্ড় বা রুটগুলির পুষ্টিকর সংবেদনশীলতা হতে পারে এবং এটি পাতাদ্বয়ে হলুদ হতে পারে।
আপনি উপরের উপায়ে কাজ করে কমলা গাছের পাতা হলুদ হওয়ার কারণ বুঝতে এবং সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন। যদি সমস্যাটি এবং হলে, সেটির কারণ নির্ধারণ এবং সাম্যান্তর চিকিৎসা জন্য স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে ভালো হতে পারে।