লিচু খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা ছোট–বড় প্রায় সবারই প্রিয় ফল লিচু। কিন্তু ইদানীং লিচু নিয়ে বেশ কিছু প্রচারণা আছে। মাঝেমধ্যে লিচু খেয়ে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় লিচু খাওয়ার কারণে মস্তিষ্কে প্রদাহ হওয়ার মতো ঘটনা উঠে এসেছে। লিচু ফুলের মধুর উপকারিতা
একিউট এনকেফালাইটিস সিনড্রম নামে এই জটিল সমস্যার একটি কারণ হতে পারে লিচু টক্সিসিটি বা একিউট হাইপোগ্লাইসেমিক টক্সিক এনকেফালোপ্যাথি। কিন্তু তাই বলে লিচু খেলেই শিশুরা এই গুরুতর রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবে, তা–ও নয়।
গরম পড়েছে জাঁকিয়ে। আম-কাঁঠাল তো বটেই আর দু’দিন পরেই বাজার ছেয়ে যাবে লিচুতে। গরমে কষ্ট হলেও এই সব ফলের আশায় এক-দু’বার বাজারে যাওয়াই যায়।
লিচু খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
লিচু একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। তবে, লিচু খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে যা মেনে চললে লিচুর উপকারিতা পেতে পারবেন এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হবেন না।
লিচু খাওয়ার নিয়মগুলি হল:
খালি পেটে লিচু খাবেন না। লিচুতে থাকা হাইপোগ্লাইসন নামক একটি উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। তাই খালি পেটে লিচু খেলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুন: পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
অতিরিক্ত লিচু খাবেন না। লিচুতে ক্যালোরি ও চিনি বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত লিচু খেলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। শিশুদের লিচু খাওয়ানোর সময় সতর্ক থাকুন। শিশুদের লিচু খাওয়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। কারণ, লিচুতে কীটনাশক বা বাদুড়ের লালা লেগে থাকতে পারে। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলারা লিচু খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
লিচু খাওয়ার কিছু উপকারিতা হল:
লিচুতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই লিচু খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হজমশক্তি বাড়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
লিচুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। লিচুতে থাকা পটাশিয়াম হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সুতরাং, লিচু খাওয়ার সময় উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলি মেনে চললে লিচুর উপকারিতা পেতে পারবেন এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হবেন না।
লিচু পাতার উপকারিতা
লিচু পাতা একটি পুষ্টিকর ও ঔষধি উপাদান। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ক্যারোটিন, খনিজ পদার্থ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। লিচু পাতার কিছু উপকারিতা হল: লিচু পাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
লিচু পাতায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। লিচু পাতায় থাকা অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। লিচু পাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। লিচু পাতায় থাকা অ্যান্টি-হিস্টামিন উপাদান অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
লিচু পাতায় থাকা অ্যান্টি-ডিপ্রেসিভ উপাদান মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। লিচু পাতায় থাকা অ্যান্টি-হেমোরেজিক উপাদান রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে। লিচু পাতায় থাকা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
লিচু পাতার ব্যবহার
লিচু পাতা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে: লিচু পাতার রস: লিচু পাতার রস করে দিনে দুবার করে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, প্রদাহ কমে, ভাইরাসজনিত ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ প্রতিরোধ হয়, অ্যালার্জি প্রতিরোধ হয়, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে, রক্তপাত বন্ধ হয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আরো পড়ুন: ২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
লিচু পাতার ক্বাথ: লিচু পাতার ক্বাথ করে দিনে দুবার করে খেলে ডায়রিয়া, আমাশয়, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় উপকার হয়। লিচু পাতার নির্যাস: লিচু পাতার নির্যাস করে দিনে দুবার করে খেলে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় উপকার হয়। লিচু পাতার তেল: লিচু পাতার তেল তৈরি করে চুলে লাগালে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়।
লিচু পাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
লিচু পাতা সাধারণত নিরাপদ। তবে, অতিরিক্ত মাত্রায় লিচু পাতা খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে: গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা,মাথাব্যথা,বমি বমি ভাব,অনিদ্রা,ত্বকের সমস্যা গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলারা লিচু পাতা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
লিচু ফুলের মধুর উপকারিতা
লিচু ফুলের মধু একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার। এটি লিচু ফুলের পুষ্পরস থেকে সংগ্রহ করা হয়। লিচু ফুলের মধুতে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। লিচু ফুলের মধুর কিছু উপকারিতা হল: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: লিচু ফুলের মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি: লিচু ফুলের মধুতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান পেটের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ: লিচু ফুলের মধুতে থাকা ফাইবার উপাদান কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে সাহায্য করে।
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সমাধানে: লিচু ফুলের মধুতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ফলে ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ইত্যাদি সমস্যায় উপকার হয়। ত্বকের যত্নে: লিচু ফুলের মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
চুলের যত্নে: লিচু ফুলের মধুতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ফলে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজায়। ওজন কমাতে: লিচু ফুলের মধুতে থাকা ফাইবার উপাদান ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ওজন কমতে সাহায্য হয়। লিচু ফুলের মধু সাধারণত নিরাপদ। তবে, কিছু ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
অতিরিক্ত মাত্রায় লিচু ফুলের মধু খেলে অ্যালার্জি হতে পারে। লিচু ফুলের মধুতে থাকা ফ্রুক্টোজের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মহিলারা লিচু ফুলের মধু খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
লিচু ফুলের মধু খাওয়ার নিয়ম
লিচু ফুলের মধু খাওয়ার কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। তবে, সাধারণত খালি পেটে লিচু ফুলের মধু খাওয়া উচিত নয়। দিনে এক থেকে দুই চামচ লিচু ফুলের মধু খাওয়া যেতে পারে। লিচু ফুলের মধু বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে: হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করা যেতে পারে।
চা বা দুধে মধু মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। ফলের সালাদ বা স্যুপে মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। টোস্ট বা ওটমিলে মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।
লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা
লিচুর উপকারিতা: লিচু একটি পুষ্টিকর ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ফাইবার, এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান। লিচুর উপকারিতা নিম্নরূপ:
লিচু ত্বকের বলিরেখা দূর করে। বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। লিচু একটি কার্যকরী ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এটি খেলে কমে প্রদাহ। সেইসঙ্গে এটি টিস্যুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে। লিচুতে পর্যাপ্ত পানি এবং পটাসিয়াম থাকায়, কিডনিতে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এই ফল ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্বও কমায়। যে কারণে কমে কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি।
গ্রীষ্মে নিয়মিত লিচু খেলে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি৬ এর দশ শতাংশ পাওয়া যায়। এ ভিটামিন শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে। সঙ্গে রক্ষা করে প্রদাহজনিত রোগ থেকে। ওজন কমাতে সাহায্য করে যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কার্যকরী একটি খাবার লিচু। এতে ক্যালোরি থাকে খুব কম। ফলে ওজন বাড়ার ভয় থাকে না।
আরো পড়ুন: মাশরুম কেন খাবেন? পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
আঁশযুক্ত হওয়ায় লিচু খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। নিয়মিত লিচু খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়। হার্ট ভালো রাখে হার্ট ভালো রাখাতে সহায়ক লিচু। এতে অলিগোনল থাকে; যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরিতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে এই নাইট্রিক অক্সাইড। লিচুতে থাকে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাংগানিজ এবং কপার। যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে লিচু। এর অলিগোনল ভাইরাসকে বাড়তে বাধা দেয়। তাই গরমের এই সময়ে নিয়মিত লিচু খেলে বাঁচতে পারবেন সর্দি ও সাধারণ ফ্লু থেকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: লিচুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: লিচুতে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, লিচুতে ফাইবার থাকে, যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়: লিচুতে আয়রন থাকে, যা রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: লিচুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: টক দই এর উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: লিচুতে ভিটামিন এ থাকে, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। হজমশক্তি উন্নত করে: লিচুতে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
লিচুর অপকারিতা: লিচু একটি সুস্বাদু ফল হলেও এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেলে যেসব সমস্যা হতে পারে সেগুলো হল: হাইপোগ্লাইসেমিয়া: লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা শরীরে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খাওয়া উচিত নয়।
রক্তচাপ কমে যাওয়া: লিচুতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে। তাই রক্তচাপ কম থাকলে অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খাওয়া উচিত নয়। গলা ব্যথা: লিচুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড থাকে, যা গলা ব্যথার কারণ হতে পারে। তাই গলা ব্যথা থাকলে লিচু খাওয়া উচিত নয়।
লিচু খাওয়ার সঠিক নিয়ম
লিচু একটি সুস্বাদু ফল হলেও এটি খেতে হবে পরিমিত। প্রতিদিন ৭-৮টি লিচু খাওয়া যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের, রক্তচাপ কম থাকলে, এবং গলা ব্যথা থাকলে লিচু খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। লিচু কেনার সময় সতর্কতা লিচু কেনার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন: লিচুগুলো যেন পাকা এবং সুন্দর হয়। লিচুগুলো যেন নরম না হয়। লিচুগুলো যেন পোকামাকড় বা রোগাক্রান্ত না হয়।
লিচু খাওয়ার উপকারিতা
লিচু একটি পুষ্টিকর ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ফাইবার, এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান। লিচু খাওয়ার উপকারিতা নিম্নরূপ:রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি শরীরের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: লিচুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: লিচুতে পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, লিচুতে ফাইবার থাকে, যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরো পড়ুন: আখের দেশি লাল চিনি কেন খাবেন
রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমায়: লিচুতে আয়রন থাকে, যা রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রক্তস্বল্পতা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: লিচুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: লিচুতে ভিটামিন এ থাকে, যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ রেটিনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। হজমশক্তি উন্নত করে: লিচুতে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ফাইবার খাদ্য হজম করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।