হাঁটুর সমস্যা হলে যে ৫টি ব্যায়াম আপনার জন্য নয়

হাটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম।বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে অনেকেই কাবু হন হাঁটুর ব্যথায়। বিশেষত আমাদের দেশের মহিলাদের মধ্যে অস্টিয়োপোরোসিস, অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস হতে বেশি দেখা যায়। ফলে অনেক সময়েই একটা বয়সের পরে চিকিৎসকরা ক্যালসিয়াম খেতে বলেন। 

কিন্তু এখন বয়স বাড়লেই যে শুধু হাঁটু ব্যথা করবে তেমনটা নয়। ইদানীং কম বয়স থেকেই হাঁটুর ব্যথায় ভোগেন অনেকে। হাটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার

হাটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম

মধ্যতিরিশেও হয়তো হাঁটুর ব্যথায় সিঁড়ি ভাঙা বন্ধ। দু’পা হাঁটলেই যেন হাঁটুটা কনকন করে ওঠে।

হাঁটুর সমস্যা হলে যে ৫টি ব্যায়াম আপনার জন্য নয়

হাঁটুর সমস্যা হলে কিছু ব্যায়াম আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই ব্যায়ামগুলি হাঁটুর জয়েন্টে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং ব্যথা বা জয়েন্টের ক্ষতি বাড়িয়ে তুলতে পারে। হাঁটুর সমস্যা হলে যে ৫টি ব্যায়াম আপনার জন্য নয় সেগুলি হল:স্কোয়াট,লঞ্জ,পালং তুলা,দৌড়,এয়ারোবিক। স্কোয়াট একটি জনপ্রিয় ব্যায়াম যা পা এবং নিতম্বের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে। 

আরো পড়ুন: হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি

তবে, হাঁটুর সমস্যা থাকলে স্কোয়াট করা উচিত নয়। কারণ স্কোয়াট করার সময় হাঁটুর উপর প্রচুর চাপ পড়ে। লঞ্জ একটি আরেকটি জনপ্রিয় ব্যায়াম যা পা এবং নিতম্বের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে। তবে, হাঁটুর সমস্যা থাকলে লঞ্জ করা উচিত নয়। কারণ লঞ্জ করার সময় হাঁটুর উপর প্রচুর চাপ পড়ে। পালং তুলা একটি ব্যায়াম যা পিঠের পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে।

তবে, হাঁটুর সমস্যা থাকলে পালং তুলা করা উচিত নয়। কারণ পালং তুলা করার সময় হাঁটুগুলিকে বাঁকাতে হয়, যা হাঁটুর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। দৌড় একটি ব্যায়াম যা হৃদয় এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, হাঁটুর সমস্যা থাকলে দৌড়ানো উচিত নয়। কারণ দৌড়ানোর সময় হাঁটুর উপর প্রচুর চাপ পড়ে। 

এয়ারোবিক একটি ব্যায়াম যা হৃদয় এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, হাঁটুর সমস্যা থাকলে এয়ারোবিক করা উচিত নয়। কারণ এয়ারোবিক করার সময় হাঁটুর উপর প্রচুর চাপ পড়ে। হাঁটুর সমস্যা হলে ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ফিজিওথেরাপিস্ট আপনার হাঁটুর সমস্যার ধরন এবং তীব্রতা অনুযায়ী আপনার জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম নির্ধারণ করতে পারবেন।

আরো পড়ুন: দাঁত ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

হাঁটুর সমস্যা থাকলে যে ধরনের ব্যায়াম করা উচিত সেগুলি হল:
ওয়াটার থেরাপি; ওয়াটার থেরাপি হাঁটুর সমস্যার জন্য একটি ভালো ব্যায়াম। কারণ পানিতে শরীরের ওজন কমে যায়, ফলে হাঁটুর উপর চাপ কম পড়ে।

স্ট্রেচিং; স্ট্রেচিং হাঁটুর পেশীগুলিকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। নমনীয় পেশীগুলি হাঁটুর উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে।

পেশী শক্তির ব্যায়াম;পেশী শক্তির ব্যায়াম হাঁটুর পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে। শক্তিশালী পেশীগুলি হাঁটুর উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে। হাঁটুর সমস্যা থাকলে ব্যায়াম করার সময় বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে হবে:
  • ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই হাঁটুর গরম করে নিতে হবে।
  • ব্যায়াম করার সময় হাঁটুর উপর অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া।
  • ব্যায়াম করার পরে হাঁটুকে বিশ্রাম দেওয়া।

হাঁটু অস্টিওআর্থারাইটিস ব্যায়াম

হাঁটু অস্টিওআর্থারাইটিস (OA) হল একটি সাধারণ অবস্থা যা হাঁটুর জয়েন্টের কার্টিলেজের ক্ষয়ের কারণে ঘটে। কার্টিলেজ হল একটি নরম, স্থিতিস্থাপক টিস্যু যা হাঁটুর হাড়গুলিকে একসাথে রাখতে সাহায্য করে। OA এর ফলে হাঁটু ব্যথা, ফোলাভাব এবং জড়তা হতে পারে। হাঁটু OA এর জন্য ব্যায়াম উপকারী হতে পারে। 

আরো পড়ুন: ক্যান্সার এর ধরণ লক্ষণ ও প্রতিরোধে করনীয়

ব্যায়াম হাঁটুর পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং হাঁটুর নমনীয়তা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। শক্তিশালী এবং নমনীয় পেশীগুলি হাঁটুর জয়েন্টের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে, যা ব্যথা এবং জড়তা কমাতে পারে। হাঁটু OA এর জন্য ব্যায়াম শুরু করার আগে একজন ডাক্তার বা ফিজিওথেরাপিস্টের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। 

তারা আপনার অবস্থার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর ব্যায়াম প্রোগ্রাম নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে। হাঁটু OA এর জন্য কিছু সাধারণ ব্যায়াম হল:
  • স্ট্রেচিং
  • স্ট্রেচিং হাঁটুর পেশীগুলিকে নমনীয় করতে সাহায্য করে। স্ট্রেচিং করার সময়, হাঁটুর উপর অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • পেশী শক্তির ব্যায়াম
  • পেশী শক্তির ব্যায়াম হাঁটুর পেশীগুলিকে শক্তিশালী করে। পেশী শক্তির ব্যায়াম করার সময়, হাঁটুর উপর অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়াটার থেরাপি

পানিতে ব্যায়াম করার সময়, শরীরের ওজন কমে যায়, ফলে হাঁটুর উপর চাপ কম পড়ে। ওয়াটার থেরাপি হাঁটুর OA এর জন্য একটি ভালো ব্যায়াম।
  • ব্যায়াম করার আগে অবশ্যই হাঁটুর গরম করে নিতে হবে।
  • ব্যায়াম করার সময় হাঁটুর উপর অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া।
  • ব্যায়াম করার পরে হাঁটুকে বিশ্রাম দেওয়া।
  • হাঁটু OA এর জন্য ব্যায়াম করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্যায়াম হাঁটুর ব্যথা, ফোলাভাব এবং জড়তা কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে।

হাঁটুর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা

হাঁটুর ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে আঘাত, অস্টিওআর্থারাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, টেন্ডোনাইটিস, বারসাইটিস, প্যাটেলার ট্র্যাকিং ডিসঅর্ডার, গাউট, এবং অত্যধিক ব্যবহার বা যান্ত্রিক সমস্যা। হাঁটুর ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসার কিছু উপায় হল:বিশ্রাম,বরফ,গরম,মালিশ,অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন,ওজন কমানো,সঠিক জুতা পরা,ব্যয়াম করা। 

হাঁটুর ব্যথা হলে বিশ্রাম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এটি হাঁটুর জয়েন্টের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ব্যথা কমাতে পারে। বরফ হাঁটুর ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। ব্যথার স্থানে বরফের টুকরো 10-15 মিনিটের জন্য দিনে কয়েকবার প্রয়োগ করুন। গরম হাঁটুর ব্যথা এবং শক্তভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। 

আরো পড়ুন: কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

ব্যথার স্থানে একটি গরম ওয়াটার ব্যাগ বা হট প্যাক 10-15 মিনিটের জন্য দিনে কয়েকবার প্রয়োগ করুন। মালিশ হাঁটুর ব্যথা এবং শক্তভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। ব্যথার স্থানে একটি ঠান্ডা তেল বা মলম দিয়ে মালিশ করুন। অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন হল ওভার-দ্য-কাউন্টার ব্যথানাশক যা হাঁটুর ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। 

হাঁটুর স্ট্রেচিং এবং শক্তি ব্যায়াম হাঁটুর পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং হাঁটুর নমনীয়তা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এটি হাঁটুর জয়েন্টের উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ব্যথা কমাতে পারে। হাঁটুর ব্যথার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসার পাশাপাশি, কিছু পরিবর্তন করাও গুরুত্বপূর্ণ যা হাঁটুর উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। 

আরো পড়ুন: হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণ জেনে নিন

এর মধ্যে রয়েছে: ওজন বেশি থাকলে হাঁটুর জয়েন্টে বেশি চাপ পড়ে। ওজন কমানো হাঁটুর ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। সঠিক জুতা হাঁটুর উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে। আরামদায়ক, সমর্থনমূলক জুতা পরা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম হাঁটুর পেশীগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং হাঁটুর নমনীয়তা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। 

এটি হাঁটুর উপর চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ব্যথা কমাতে পারে। হাঁটুর ব্যথা যদি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় তবে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন।

হাঁটু ব্যথার ট্যাবলেট

হাঁটু ব্যথার জন্য অনেক ধরনের ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এই ট্যাবলেটগুলি সাধারণত ব্যথা, প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। হাঁটু ব্যথার জন্য ব্যবহৃত সাধারণ ট্যাবলেটগুলির মধ্যে রয়েছে:
নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) NSAIDs হল ব্যথা, প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমাতে ব্যবহৃত ওষুধের একটি শ্রেণী। 

NSAIDs-এর মধ্যে রয়েছে অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, নাপ্রোক্সেন এবং ডাইক্লোফেনাক। স্টেরয়েডস হল শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী ওষুধ যা NSAIDs-এর চেয়ে বেশি কার্যকর হতে পারে। তবে, স্টেরয়েডগুলির বেশ কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তাই সেগুলি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয় না। অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টস হল রক্ত ​​জমাট বাঁধা প্রতিরোধে ব্যবহৃত ওষুধ। 

এগুলি হাঁটুর ব্যথার কারণ হতে পারে এমন রক্ত ​​জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যান্য ওষুধ ;হাঁটু ব্যথার অন্যান্য কারণগুলির জন্য নির্দিষ্ট ওষুধগুলির প্রয়োজন হতে পারে।

 উদাহরণস্বরূপ, অস্টিওআর্থারাইটিসের জন্য, ডাক্তার কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন, গ্লুকোসামাইন এবং কনড্রয়টিন সালফেট, বা বায়োথেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন। হাঁটু ব্যথার ট্যাবলেট ব্যবহার করার সময়, যে বিষয়গুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:
  • আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং আপনার জন্য সঠিক ওষুধটি নির্বাচন করতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। ওষুধের প্যাকেজের নির্দেশাবলী অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • অতিরিক্ত ডোজ করবেন না। অতিরিক্ত ডোজ করা ক্ষতিকারক হতে পারে।
  • পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির জন্য লক্ষ্য করুন। সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির জন্য লক্ষ্য করুন এবং যদি আপনার কোনও উদ্বেগ থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • হাঁটু ব্যথার ট্যাবলেটগুলি হাঁটু ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে, তবে এগুলি ব্যথার মূল কারণটি নিরাময় করে না। হাঁটু ব্যথার জন্য, অন্যান্য চিকিৎসার সাথে ট্যাবলেটগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।

হাটু ব্যাথার কারণ ও প্রতিকার

হাটু ব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। কিছু সাধারণ কারণ হল:
  • আঘাত: হাঁটুতে আঘাত হাটু ব্যথার একটি সাধারণ কারণ। আঘাতের মধ্যে রয়েছে টান, মোচড়, ভাঙা হাড়, এবং লিগামেন্ট বা মেনিসকাস ছিঁড়ে যাওয়া।
  • আর্থ্রাইটিস: আর্থ্রাইটিস হল একটি জয়েন্টের প্রদাহজনিত রোগ যা ব্যথা, ফোলাভাব এবং শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। হাঁটুতে আর্থ্রাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ রূপ হল অস্টিওআর্থারাইটিস, যা বয়সের সাথে সাথে কারটিলেজের ক্ষতির কারণে হয়।
  • অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা: হাটু ব্যথার অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থার মধ্যে রয়েছে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, গাউট, এবং বাত।
  • ওজন: অতিরিক্ত ওজন হাঁটুতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • পেশী দুর্বলতা: দুর্বল পেশী হাঁটুকে সমর্থন করতে সক্ষম নাও হতে পারে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে।


হাটু ব্যথার প্রতিকার
হাটু ব্যথার চিকিৎসা ব্যথার কারণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে:

  • ওষুধ: ব্যথা, প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমাতে ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। ওষুধের মধ্যে রয়েছে নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs), কর্টিকোস্টেরয়েডস, এবং অ্যানালজেসিক।
  • ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপি পেশী শক্তি এবং নমনীয়তা উন্নত করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • অস্ত্রোপচার: কিছু ক্ষেত্রে, ব্যথা এবং অক্ষমতা কমাতে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে।
  • হাটু ব্যথার ঘরোয়া প্রতিকার
  • হাটু ব্যথার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও কার্যকর হতে পারে। এই প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • বরফ: বরফ প্রয়োগ করা ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • উষ্ণতা: উষ্ণতা প্রয়োগ করা পেশী শিথিল করতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • উচ্চতা: হাঁটু উঁচু করে রাখা ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ওজন কমানো: অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করা হাঁটুর উপর চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • হাটু ব্যথার প্রতিরোধ
হাটু ব্যথা প্রতিরোধের জন্য টিপসগুলি অনুসরণ করুন:
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • হাঁটুতে চাপ কমাতে সঠিকভাবে শরীরের ভর বহন করুন।
  • হাঁটুতে আঘাত এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
  • আপনার যদি হাটু ব্যথা হয় তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং আপনার জন্য সঠিক চিকিৎসার পরিকল্পনা করতে সাহায্য করতে পারেন।

হাটুর জয়েন্টে ব্যথা ঔষধের নাম

হাটুর জয়েন্টে ব্যথার জন্য ব্যবহৃত ঔষধগুলির মধ্যে রয়েছে: নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs): NSAIDs হল ব্যথা, প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমাতে ব্যবহৃত ওষুধের একটি শ্রেণী। NSAIDs-এর মধ্যে রয়েছে অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, নাপ্রোক্সেন এবং ডাইক্লোফেনাক। স্টেরয়েডস: স্টেরয়েডস হল শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী ওষুধ যা NSAIDs-এর চেয়ে বেশি কার্যকর হতে পারে। 

তবে, স্টেরয়েডগুলির বেশ কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তাই সেগুলি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয় না। অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টস: অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্টস হল রক্ত ​​জমাট বাঁধা প্রতিরোধে ব্যবহৃত ওষুধ। এগুলি হাঁটুর ব্যথার কারণ হতে পারে এমন রক্ত ​​জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

অন্যান্য ওষুধ: হাঁটুর ব্যথার অন্যান্য কারণগুলির জন্য নির্দিষ্ট ওষুধগুলির প্রয়োজন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অস্টিওআর্থারাইটিসের জন্য, ডাক্তার কর্টিকোস্টেরয়েড ইনজেকশন, গ্লুকোসামাইন এবং কনড্রয়টিন সালফেট, বা বায়োথেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন। হাটুর জয়েন্টে ব্যথার জন্য ঔষধ ব্যবহার করার সময়, নিচের যে বিষয়গুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ:

  • আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং আপনার জন্য সঠিক ওষুধটি নির্বাচন করতে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন। ওষুধের প্যাকেজের নির্দেশাবলী অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • অতিরিক্ত ডোজ করবেন না। অতিরিক্ত ডোজ করা ক্ষতিকারক হতে পারে।
  • পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির জন্য লক্ষ্য করুন। সব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির জন্য লক্ষ্য করুন এবং যদি আপনার কোনও উদ্বেগ থাকে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথার জন্য ঔষধগুলি হাঁটু ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করতে পারে, তবে এগুলি ব্যথার মূল কারণটি নিরাময় করে না। হাঁটু ব্যথার জন্য, অন্যান্য চিকিৎসার সাথে ঔষধগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন