গরমে সুস্থ থাকতে হলে কি খাবেন। যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

প্রচন্ড গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার উপায় গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাই অস্থির। গরমের কারণে অনেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন—যেমন পানিস্বল্পতা, প্রস্রাবে সংক্রমণ, হিট স্ট্রোক, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, আমাশয়, গরমজনিত সর্দি–কাশি, জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও জন্ডিস। সুস্থ থাকার ৫০ টিপস

তাই গরমের দিনগুলোতে সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করতে হবে। 

প্রচন্ড গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার উপায়

তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।

গরমে সুস্থ থাকতে হলে কি খাবেন। যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন

গরমে সুস্থ থাকতে হলে খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। গরমে শরীর থেকে প্রচুর ঘামের মাধ্যমে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। তাই গরমে প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার গ্রহণ করা উচিত। এছাড়াও, গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক খাবার খাওয়া উচিত।
গরমে খাওয়া উচিত এমন খাবার
তরল খাবার: গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, কাঁচা আমের জুস, বেলের শরবত, মাঠা, চিনি ছাড়া তাজা ফলের রস ইত্যাদি খাওয়া উচিত। এসব খাবার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

ফলমূল: গরমে ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ভিটামিন থাকে, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। গরমে কাঁচা আম, তরমুজ, বাঙ্গি, শসা, পেঁপে, ডাবের শাঁস ইত্যাদি ফল খাওয়া ভালো।

সবজি: সবজিতেও প্রচুর পরিমাণে পানি ও ভিটামিন থাকে। গরমে সবজি সালাদ, স্যুপ, ভর্তা ইত্যাদির আকারে খাওয়া যেতে পারে। গরমে শসা, করলা, লাউ, পটোল, ধুন্দল, চিচিঙ্গা ইত্যাদি সবজি খাওয়া ভালো।

আরো পড়ুন: যেসব কাজের আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া প্রয়োজন

ডাল: ডাল শরীরে প্রোটিন, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। গরমে ডাল দিয়ে তরকারি, ডাল দিয়ে ভাত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। মাছ ও মাংস: মাছ ও মাংসে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। গরমে মাছ ও মাংস দিয়ে তরকারি, মাছ ও মাংস দিয়ে ভাত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। তবে, গরমে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত মাছ ও মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

গরমে এড়িয়ে চলতে হবে এমন খাবার
তেলে ভাজা খাবার: গরমে তেলে ভাজা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এসব খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। মসলাযুক্ত খাবার: গরমে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এসব খাবার পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া করে।

ডিপ ফ্রাইড খাবার: ডিপ ফ্রাইড খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। গরমে ডিপ ফ্রাইড খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ফাস্ট ফুড: ফাস্ট ফুড স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গরমে ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

কফি ও অ্যালকোহল: কফি ও অ্যালকোহল শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। গরমে কফি ও অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকুন। এছাড়াও, গরমে নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো উচিত। ঘুম শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার খাবার

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে বেশ কিছু খাবার সাহায্য করে। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে পানি, ভিটামিন, খনিজ উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এসব উপাদান শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য কিছু খাবার হল:
তরল খাবার: গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, কাঁচা আমের জুস, বেলের শরবত, মাঠা, চিনি ছাড়া তাজা ফলের রস ইত্যাদি খাওয়া উচিত। এসব খাবার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

ফলমূল: গরমে ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ভিটামিন থাকে, যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। গরমে কাঁচা আম, তরমুজ, বাঙ্গি, শসা, পেঁপে, ডাবের শাঁস ইত্যাদি ফল খাওয়া ভালো।

সবজি: সবজিতেও প্রচুর পরিমাণে পানি ও ভিটামিন থাকে। গরমে সবজি সালাদ, স্যুপ, ভর্তা ইত্যাদির আকারে খাওয়া যেতে পারে। গরমে শসা, করলা, লাউ, পটোল, ধুন্দল, চিচিঙ্গা ইত্যাদি সবজি খাওয়া ভালো।

আরো পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপের প্রধান লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন

ডাল: ডাল শরীরে প্রোটিন, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। গরমে ডাল দিয়ে তরকারি, ডাল দিয়ে ভাত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। মাছ ও মাংস: মাছ ও মাংসে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। গরমে মাছ ও মাংস দিয়ে তরকারি, মাছ ও মাংস দিয়ে ভাত ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। তবে, গরমে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত মাছ ও মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারের উপকারিতা:
তরল খাবার: তরল খাবার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, কাঁচা আমের জুস, বেলের শরবত, মাঠা, চিনি ছাড়া তাজা ফলের রস ইত্যাদি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

ফলমূল: ফলমূলে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ভিটামিন থাকে। পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সবজি: সবজিতেও প্রচুর পরিমাণে পানি ও ভিটামিন থাকে। এছাড়াও, সবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

ডাল: ডাল শরীরে প্রোটিন, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। এছাড়াও, ডালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। মাছ ও মাংস: মাছ ও মাংসে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। এছাড়াও, মাছ ও মাংসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং সুস্থ থাকতে এসব খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং পর্যাপ্ত ঘুমানোও জরুরি।

সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা

সুস্থ থাকার জন্য একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে এবং আপনাকে সুস্থ ওজন বজায় রাখতে সহায়তা করে।

এখানে সুস্থ থাকার জন্য খাবারের একটি তালিকা রয়েছে:
ফল এবং সবজি: ফল এবং সবজিতে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তারা আপনার শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনাকে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচটি পরিবেশন ফল এবং সবজি খাওয়ার লক্ষ্য করুন।

দানাশস্য: দানাশস্য শর্করা, ফাইবার এবং ভিটামিনের একটি ভাল উৎস। তারা আপনাকে শক্তি সরবরাহ করে এবং আপনাকে আপনার পাচনতন্ত্র স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ছয়টি পরিবেশন পূর্ণ শস্য খান।

প্রোটিন: প্রোটিন আপনার দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি পেশী, হাড় এবং অন্যান্য টিস্যু গঠন এবং মেরামত করতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে ক্ষুধা দমন করতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে ০.৮ গ্রাম প্রোটিন প্রতি পাউন্ড শরীরের ওজনের জন্য খাওয়ার লক্ষ্য করুন।

স্বল্প-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য: স্বল্প-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টির একটি ভাল উৎস। তারা আপনার হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি পরিবেশন স্বল্প-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য খান।

আরো পড়ুন: মেয়েদের ত্বক ফর্সা করার সহজ ৫টি টিপস জেনে নিন

স্বাস্থ্যকর চর্বি: স্বাস্থ্যকর চর্বি আপনার শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি হৃদয়, মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য অঙ্গগুলিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে ক্ষুধা দমন করতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো, বাদাম এবং বীজ।

এছাড়াও, অতিরিক্ত চিনি, লবণ এবং স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ। এই খাবারগুলি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আপনি যদি সুস্থ থাকার জন্য একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে চান তবে আপনার ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের সাথে কথা বলা ভাল। তারা আপনার ব্যক্তিগত চাহিদাগুলির জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে।

প্রচন্ড গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার উপায়

প্রচুর পানি পান করুন। তৃষ্ণাবোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করুন। সব সময় সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি রাখুন। ঘরে বিদ্যমান তাপমাত্রায় থাকা পানি ধীরে ধীরে পান করুন। বেশী ঠান্ডা পানি ও বরফপানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এই সময়ে খুব বেশী ঠান্ডা পানি খেলে মানবদেহের ছোট রক্তনালিগুলো ফেটে যেতে পারে। আবার শরীরের তাপমাত্রা তারতম্যের জন্য ঠান্ডাও লেগে যেতে পারে।

যদি বাইরে থাকার সময় হাত-পা রোদের সংস্পর্শে থাকে, তাহ’লে বাসায় ফিরেই তড়িঘড়ি হাত-পা ধোবেন না। এক্ষেত্রে গোসল বা হাত-পা ধোয়ার আগে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এই সময়ে যতটা সম্ভব বাইরে বের না হওয়াই ভালো। বিশেষ করে বেলা ১১-টার পর থেকে বিকেল ৪-টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা অনেক বেশী থাকে।

শিশুদের এ সময় বাইরে খেলাধুলা বা দৌড়ঝাঁপ করতে দেওয়া যাবে না। বাইরে বের হ’লে বেশীক্ষণ রোদে থাকবেন না। পেশাগত কারণে রাস্তায় রোদে যাঁদের থাকতেই হবে, তাঁরা কিছু সময় অন্তর ছায়া বা ঠান্ডায় বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন।

বাইরে বের হ’তে হ’লে ছাতা, টুপি সঙ্গে রাখুন। পা ঢাকা জুতা ও হালকা, ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরুন। আঁটসাঁট বা সিনথেটিক কিছু পরবেন না। সানগ্লাস ও সানব্লক ব্যবহার করুন। শরীরে অস্বস্তি হ’লে ওরস্যালাইন পান করতে পারেন। বাড়িতে শরবত, ফলের রস, লেবুপানি, লাচ্ছি বানিয়েও পান করতে পারেন। প্রচুর ফলমূল খান যাতে পানির পরিমাণ বেশী। 

এভাবে শরীরকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখতে হবে। এসময় ডাবের পানি খুবই উপকারী। এতে আছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সালফার, ক্লোরিন ও ফসফরাস। প্রচন্ড গরম থেকে এসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢোকার আগে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। 

আবার এসি থেকে বেরিয়েও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। শরীরকে স্বাভাবিক তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দিতে হবে। হিটস্ট্রোক ও হিট ক্র্যাম্প (গরমের কারণে পেশিতে টান) এড়াতে শরীর ঠান্ডা রাখতে হবে। খুব গরম লাগলে চোখেমুখে পানির ঝাপটা দিন। পারলে ঠান্ডা পানিতে শরীর স্পঞ্জ করে নিন।

প্রতিদিন অবশ্যই গোসল করুন।
বাতাস শুষ্ক ও গরম থাকলে দিনের বেলা জানালা বন্ধ রেখে বিকেলে খুলে দিতে পারেন। এতে করে ঘরের ভেতর ঠান্ডা থাকবে। ঘরের জানালায় ভারী পর্দা ব্যবহার করলে বাইরের রোদ তাতিয়ে তুলবে না।
বাড়ির আঙিনায়, বারান্দায় অথবা ছাদে গাছ লাগান। পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে সবুজ পরিবেশ তৈরি করা দরকার।

সুস্থ থাকার দৈনন্দিন রুটিন

সুস্থ থাকার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর দৈনন্দিন রুটিন গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে আপনার দিনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে, আপনার স্বাস্থ্যের লক্ষ্য অর্জন করতে এবং সামগ্রিকভাবে আরও ভাল বোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

এখানে একটি সুস্থ থাকার দৈনন্দিন রুটিনের একটি উদাহরণ রয়েছে:
সকাল: ঘুম থেকে উঠুন এবং সূর্যের আলো পান। সূর্যের আলো আপনার শরীরে ভিটামিন ডি উৎপাদনে সাহায্য করে, যা আপনার হাড় এবং ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।

একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা খান। একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনাকে আপনার দিন শুরু করতে শক্তি সরবরাহ করবে এবং ক্ষুধা থেকে দূরে রাখবে। স্বাস্থ্যকর নাস্তার বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, পূর্ণ শস্যের ব্রেড বা ওটমিল।

ব্যায়াম করুন। সকালে ব্যায়াম করা আপনাকে আপনার দিন শুরু করতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার শরীরকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করতে পারে। সকালে ব্যায়াম করার জন্য কিছু বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো বা যোগব্যায়াম।

মধ্যাহ্ন: একটি স্বাস্থ্যকর মধ্যাহ্নভোজ খান। একটি স্বাস্থ্যকর মধ্যাহ্নভোজ আপনাকে আপনার দিনের মাঝামাঝি শক্তি সরবরাহ করবে এবং আপনাকে আপনার পরবর্তী খাবারের জন্য ক্ষুধার্ত রাখবে। স্বাস্থ্যকর মধ্যাহ্নভোজের বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, পূর্ণ শস্যের স্যান্ডউইচ বা সালাদ।

বিকেল: পর্যাপ্ত জল পান করুন। হাইড্রেটেড থাকা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস জল পান করার লক্ষ্য করুন।

আপনার কাজ বা পড়াশোনার জন্য সময় নিন। আপনার লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য আপনাকে আপনার কাজ বা পড়াশোনার জন্য সময় দিতে হবে। আপনার কাজ বা পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন এবং সেই সময়টিকে সম্মান করুন।

সন্ধ্যা: একটি স্বাস্থ্যকর রাতের খাবার খান। একটি স্বাস্থ্যকর রাতের খাবার আপনাকে আপনার দিন শেষ করতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে পরের দিনের জন্য প্রস্তুত করবে। স্বাস্থ্যকর রাতের খাবারের বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে ফল, শাকসবজি, পূর্ণ শস্যের নুডলস বা মাছ।

আরো পড়ুন: মেয়েদের মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ উপায়

একটি শান্ত শোবার পরিবেশ তৈরি করুন। ভাল ঘুম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শোবার ঘরকে অন্ধকার, শান্ত এবং শীতল রাখুন এবং আপনার বিছানায় যাওয়ার আগে ঘড়ি দেখা বন্ধ করুন।

রাত: পর্যাপ্ত ঘুম পান করুন। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। এই রুটিনটি আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা এবং লক্ষ্যগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য আপনি এটি কাস্টমাইজ করতে পারেন। 

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি সকালে তাড়াহুড়ো করেন তবে আপনি আপনার নাস্তা বা ব্যায়ামকে মধ্যাহ্নভোজের সাথে একত্রিত করতে পারেন। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট খেলাধুলা বা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ উপভোগ করেন তবে আপনি আপনার রুটিনে সেই কার্যকলাপের জন্য সময় নির্ধারণ করতে পারেন।

একটি স্বাস্থ্যকর দৈনন্দিন রুটিন গঠন করা সময় এবং প্রচেষ্টার দাবি করে, তবে এটি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য মূল্যবান হতে পারে।

সকালে খালি পেটে কি খেলে শরীর ভালো থাকে

সকালে খালি পেটে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীর ভালো থাকে। এই খাবারগুলো শরীরকে শক্তি দেয়, হজম ভালো রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আরও অনেক উপকার করে।

সকালে খালি পেটে খাওয়ার জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার হলো:
আমলকী: আমলকীতে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, হজম ভালো রাখে, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং আরও অনেক উপকার করে।

পেঁপে: পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি হজম ভালো রাখে, কোলেস্টেরল কমায়, ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং আরও অনেক উপকার করে।

বাদাম: বাদাম প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ভালো উৎস। এটি শরীরকে শক্তি দেয়, হজম ভালো রাখে, হৃদস্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং আরও অনেক উপকার করে।

মধু: মধুতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি শরীরকে শক্তি দেয়, হজম ভালো রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আরও অনেক উপকার করে। জল: সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানি পান করা খুবই উপকারী। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে, হজম ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

অন্যান্য কিছু খাবার যা সকালে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে: দুধ বা দই: দুধ বা দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ভালো উৎস। এটি শরীরকে শক্তি দেয়, হাড় ও দাঁত মজবুত করে এবং আরও অনেক উপকার করে। ফল: ফল ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ভালো উৎস। এটি শরীরকে শক্তি দেয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আরও অনেক উপকার করে।

শাকসবজি: শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ভালো উৎস। এটি শরীরকে শক্তি দেয়, হজম ভালো রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আরও অনেক উপকার করে। সকালে খালি পেটে খাবার খাওয়ার কিছু নিয়ম:

  • একবারে বেশি খাবেন না। অল্প অল্প করে খাওয়া ভালো।
  • খাওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট পর অন্য কিছু খান।
  • যদি আপনার কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে খালি পেটে খাবার খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
  • সকালে খালি পেটে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে শরীর ভালো থাকে। তাই সকালে খালি পেটে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

সুস্থ থাকতে করনীয়

সুস্থ থাকতে হলে নিচের বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে:
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাবারে ফল, শাকসবজি, শস্যদানা, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃদস্বাস্থ্য রক্ষা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আরও অনেক উপকার করে।

পর্যাপ্ত ঘুমানো: পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে মেরামত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।

মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপ কমাতে যোগ ব্যায়াম, ধ্যান বা অন্য কোনও উপায় অবলম্বন করা উচিত।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা রোগ নির্ণয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর কমপক্ষে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।

এছাড়াও,নিচের বিষয়গুলো মানলে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়:
  • ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করা: ধূমপান ও মদ্যপান শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। তাই এগুলো বর্জন করা উচিত।
  • অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
  • যৌন স্বাস্থ্য রক্ষা করা: যৌন রোগ থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত যৌন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।
  • সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করা: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
সুস্থ থাকার জন্য উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো মেনে চললে আপনি সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারবেন।

সুস্থ থাকার ৫০ টিপস

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিনের খাবারে ফল, শাকসবজি, শস্যদানা, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, হৃদস্বাস্থ্য রক্ষা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আরও অনেক উপকার করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। পর্যাপ্ত ঘুমানো: পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে মেরামত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।

আরো পড়ুন: গরমে ডিম খাওয়া কেন এড়িয়ে চলবেন?

মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপ কমাতে যোগ ব্যায়াম, ধ্যান বা অন্য কোনও উপায় অবলম্বন করা উচিত। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা রোগ নির্ণয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর কমপক্ষে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত।

এছাড়াও, নিচের বিষয়গুলো মানলে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়:
ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করা: ধূমপান ও মদ্যপান শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। তাই এগুলো বর্জন করা উচিত। অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করা: অতিরিক্ত ওজন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

যৌন স্বাস্থ্য রক্ষা করা: যৌন রোগ থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত যৌন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করা: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।

এছাড়াও, আরও কিছু টিপস রয়েছে যা সুস্থ থাকার জন্য সহায়ক হতে পারে:
  • নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা এবং মাউথওয়াশ ব্যবহার করা।
  • শরীরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
  • মাসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
  • ঋতু পরিবর্তনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা।
  • গর্ভবতী হলে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
  • বৃদ্ধ বয়সে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
সুস্থ থাকার জন্য উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো মেনে চললে আপনি সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করতে পারবেন।

শরীর ঠান্ডা রাখার ঔষধ

শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য ঔষধের পাশাপাশি কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও রয়েছে। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে হলে নিচের বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত:
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
  • ঢিলা, হালকা রঙের পোশাক পরিধান করা: গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ঢিলা, হালকা রঙের পোশাক পরিধান করা উচিত। এতে শরীরের তাপ সহজেই বেরিয়ে যেতে পারবে।
  • ঠান্ডা জায়গায় থাকা: যতটা সম্ভব ঠান্ডা জায়গায় থাকার চেষ্টা করা উচিত। এতে শরীরের তাপ সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • ঠান্ডা পানীয় পান করা: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানীয় পান করা উচিত। এছাড়াও, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, তরমুজ, শসা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
  • শরীরে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে শরীরে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এতে শরীরের তাপ দ্রুত কমে যাবে।
  • ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করা: ধূমপান ও মদ্যপান শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়। তাই এগুলো বর্জন করা উচিত।
ঔষধ
  • গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কিছু ঔষধও রয়েছে। এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
  • অ্যাসপিরিন: অ্যাসপিরিন একটি ব্যথানাশক ও জ্বরের ওষুধ। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
  • আইবুপ্রোফেন: আইবুপ্রোফেনও একটি ব্যথানাশক ও জ্বরের ওষুধ। এটিও শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
  • অ্যান্টিবায়োটিক: কিছু ক্ষেত্রে জ্বর অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এটি শরীরের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে।
অন্যান্য ঔষধ: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কিছু অন্যান্য ঔষধও রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: প্রোপ্যানথেলিন ব্রোমাইড: এটি একটি ঔষধ যা ঘাম কমাতে সাহায্য করে। ক্লোরোফিলিন: এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ইউরিয়া: এটি একটি ঔষধ যা শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।

শরীর ঠান্ডা রাখার প্রাকৃতিক উপায়

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে: শসার রস: শসার রস শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। শসার রস তৈরি করে দিনে ২-৩ বার পান করা যেতে পারে। লেবুর রস: লেবুর রসও শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। লেবুর রস তৈরি করে দিনে ২-৩ বার পান করা যেতে পারে।

তরমুজের রস: তরমুজের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের রস তৈরি করে দিনে ২-৩ বার পান করা যেতে পারে। ঠান্ডা জল দিয়ে গোসল করা: ঠান্ডা জল দিয়ে গোসল করলে শরীর ঠান্ডা থাকে। শরীরে ঠান্ডা সেঁক দেওয়া: শরীরে ঠান্ডা সেঁক দিলে শরীর ঠান্ডা থাকে। টুপি, সানগ্লাস ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন