হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণ জেনে নিন

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায় আতপাঘাত কিংবা ইংরেজি পরিভাষায় হিট স্ট্রোক হল একটি গুরুতর তাপজনিত অসুস্থতা যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি হয়ে যায়। 

ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং বিভ্রান্তি আতপাঘাতের প্রধান কিছু লক্ষণ-উপসর্গ।প্রচণ্ড গরমে শরীর উত্তপ্ত হয়ে অতি দুর্বলতা, বমির উদ্রেক, মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করা, খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণকে হিট স্ট্রোক বলে। হঠাৎ করে এমন সমস্যা দেখা দেয়। হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণ জেনে নিন

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

বাড়ছে গরম। সঙ্গে বাড়ছে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো জানা থাকলে নিজে যেমন সচেতন থাকা যায়, অন্যদের দিকেও খেয়াল রাখা যায়। বাড়ছে গরম। সঙ্গে বাড়ছে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো জানা থাকলে নিজে যেমন সচেতন থাকা যায়, অন্যদের দিকেও খেয়াল রাখা যায়।

হিট স্ট্রোক হওয়ার কারণ জেনে নিন

হিটস্ট্রোক হল অতিরিক্ত উত্তাপের একটি অবস্থা, সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘায়িত এক্সপোজার বা শারীরিক পরিশ্রম এবং তাপ নিয়ন্ত্রণে শরীরের ব্যর্থ প্রচেষ্টার ফলে।হিট স্ট্রোক একটি মেডিক্যাল পরিবার্তন যা মানব শারীরের একটি অংশে রক্তচাপ বা রক্ত সরবরাহের অবস্থা হয়। হিট স্ট্রোকের দুই ধরণ রয়েছে - ইসকেমিক হিট স্ট্রোক এবং হেমরেজিক হিট স্ট্রোক।

ইসকেমিক হিট স্ট্রোক এই ধরণের হিট স্ট্রোকে একটি ধরণের রক্তচাপ বা রক্ত সরবরাহের বন্ধন বা বিঘ্নের কারণে একটি অংশে রক্তনির্বাহের সময়াবদ্ধতা হয়। এর ফলে সেই অংশের শখের শক্তির অভাব হয় এবং শখের কোষের মৃত হতে পারে।

হেমরেজিক হিট স্ট্রোক এই ধরণের হিট স্ট্রোকে রক্ত শোকের জন্য একটি অংশ বা শখের ভেতরে রক্ত বা অন্যান্য দ্রবণ সঞ্চয় হয়। এটি একটি নিখুঁত শখের সৃষ্টি হয় এবং মাংশ শখের দলিল ছাড়া হতে পারে।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে

  • একপাশে শরীরে সংমিলনের সময়াবদ্ধতা
  • শখের একটি অংশে মোচার অভাব
  • মাথা ব্যথা বা মাথার চলা
  • কঠিনান্বেষ বা স্বচ্ছন্দ স্থিতিতে হৃদপিণ্ডে ব্যাথা
  • কথা বলতে কষ্ট
  • একপাশে বা একটি অংশে শক্তির অধিক অভাব
হিট স্ট্রোক একটি গম্ভীর চিকিৎসা প্রয়োজন করে এবং তা তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি বা কেউ এমন লক্ষণ অনুভব করেন, তাদেরকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা প্রাপ্ত করার জন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূ

​​হিট স্ট্রোক এর লক্ষণ

হিট স্ট্রোকের আগে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হতে পারে। শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাসও হিটস্ট্রোকের লক্ষণ। মাথাব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের অভাব ইত্যাদির কারণে হিট স্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে।বাড়ছে গরম। 

আরো পড়ুন: কাশি হলে করনীয় কি? জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান

সঙ্গে বাড়ছে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোকের কিছু লক্ষণ রয়েছে। সেগুলো জানা থাকলে নিজে যেমন সচেতন থাকা যায়, অন্যদের দিকেও খেয়াল রাখা যায়।

এই লক্ষণগুলো হচ্ছে-

তীব্র মাথাব্যথা প্রচণ্ড গরমে মাথাব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া গরমে মানুষের মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। এটি হিট স্ট্রোকের একটি লক্ষণ হতে পারে।
  • প্রচণ্ড তৃষ্ণা, পানিশূন্যতা, ঘাম হিট স্ট্রোকের আগে ব্যক্তি চরম তৃষ্ণা অনুভব করতে পারে, সেইসঙ্গে ডিহাইড্রেটেড এবং আড়ষ্টতা অনুভব করতে পারে। শরীর নিজেকে ঠান্ডা করার জন্য অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করতে পারে।
  • দ্রুত হৃদস্পন্দন হিট স্ট্রোকের আগে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত হতে পারে।
  • হাইপারভেন্টিলেশন শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাসও হিটস্ট্রোকের লক্ষণ।
  • বমি বমি ভাব মাথাব্যথা, দ্রুত হৃদস্পন্দন ও হাইপারভেন্টিলেশন থেকে অক্সিজেনের অভাব ইত্যাদির কারণে হিট স্ট্রোকের আগে বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • কথা জড়িয়ে যাওয়া হিট স্ট্রোকের আরেকটি লক্ষণ কথা জড়িয়ে যাওয়া। ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করতে পারে।
  • পেশিতে ব্যথা হিট স্ট্রোকের আগে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তারমধ্যে একটি হলো পেশি ব্যথা। যদিও সাধারণ ব্যথা ভেবে মানুষ এটা গুরুত্ব দেয় না।
  • দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়া অতিরিক্ত উত্তাপের শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কাজ করে। শরীরে আরও ক্লান্তি ও দুর্বলতা তৈরি হয়। ব্যক্তি অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে। এগুলো হিট স্ট্রোকের লক্ষণ।
  • ঘাম না হওয়াহিট স্ট্রোকের একটি লক্ষণ হল প্রচণ্ড গরমেও ঘাম না হওয়া। সাধারণত এর মানে হচ্ছে, শরীরে ঘাম হওয়ার মতো পানি আর নেই বা শরীরের প্রাকৃতিক শীতল প্রক্রিয়াটি কাজ করছে না।গরমে বাড়ির বাইরে কম-বেশি সবাইকেই বের হতে হয়। 
তবে হিট স্ট্রোক এড়াতে যতটা সম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করবেন। পানি ও পানি জাতীয় খাবারের মাধ্যমে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। তবে কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় থেকে দূরে থাকবেন। এই লক্ষণগুলি যদি কেউ অনুভব করেন, তাদেরকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা প্রাপ্ত করার জন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

হিট স্ট্রোক কি

কিন্তু অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তাকে হিট স্ট্রোক বলা হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। 'যারা রোজা রাখেন, তারা দিনের বেলায় পানি পান না করায় ডিহাইড্রেশনে ভুগতে পারেন। 

সাধারণত তারাই হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে বেশি থাকেন।আমাদের শরীরের ভেতরে নানা রাসায়নিক ক্রিয়ার কারণে সব সময় তাপ সৃষ্টি হতে থাকে। ঘামের সাহায্যে সেই তাপ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু একটানা রোদে থাকলে গরমে ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ায় ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হয়। 

ঘামের সঙ্গে লবণ বেরিয়ে যাওয়াতে লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে শরীরকে করে তোলে অবসন্ন ও পরিশ্রান্ত। এতে মাথাঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারেন অনেকেই। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মৃত্যুও হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বাচ্চা, বয়স্ক ও যারা ওবেসিটিতে ভুগছে তারা হিট স্ট্রোকে সহজেই আক্রান্ত হয়।

হিট স্ট্রোক একটি গম্ভীর চিকিৎসা প্রয়োজন করে এবং তা তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ এমন লক্ষণ অনুভব করেন, তাদেরকে তাড়াতাড়ি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

হিট স্ট্রোক এর কারণ

আতপাঘাত বা "হিট স্ট্রোক" তখনই ঘটে যখন শরীরের তাপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অতিরিক্ত বিপাকের ফলে উৎপন্ন তাপ, বাহ্যিক পরিবেশে অত্যধিক তা অথবা শরীর তাপ হারাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়।

যখন বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে, তখন সরাসরি সূর্যালোকে দাঁড় করিয়ে রাখা মোটরগাড়ির অভ্যন্তরের তাপমাত্রা দ্রুত ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে যেসব অল্পবয়সী শিশু বা অধিক বয়স্ক ব্যক্তি ঐসব মোটরযানে একা বসে থাকে, তাদের আতপাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার বিশেষ ঝুঁকি থাকে। 

আরো পড়ুন: চোখ থেকে পানি পড়া

"শিশু এবং অধিক বয়স্কদের মধ্যে আতপাঘাত কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটতে পারে, এমনকি যদি গাড়ির জানালা সামান্য খোলাও থাকে। যেহেতু এই ধরনের ব্যক্তিরা নিজ থেকে গাড়ির দরজা খুলতে পারে না বা বন্ধ গাড়িতে থেকে উচ্চগলায় বাইরের লোকের আছে তাদের অস্বস্তি প্রকাশ করতে পারে না, তাই তাদের দুর্দশা আশেপাশের লোকজন অবিলম্বে বুঝতে পারে না।

হিট স্ট্রোক হতে পারে এমন কিছু প্রধান কারণ হলো

  • পারিপার্শ্বিক উচ্চ তাপমাত্রা
  • শরীরে পানিশূন্যতা বা মিনারেলস (minerals)- এর অভাব
  • কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়, যেমন- ডাই-ইউরেটিক্স (diuretics), বিটা ব্লকারস (beta blockers), অ্যালকোহল (alcohol)
  • হার্ট (heart)-এর বা স্কিন (skin)-এর অসুখে
  • কোলেস্টেরল সমস্যা একটি বৃহৎ পরিমাণে কোলেস্টেরল বা আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের অনেক বেশি হলে, এটি শরীরে থ্রম্বাস এবং এমবোলাসের জন্য মূল হতে পারে।
  • ধূমপান ধূমপান হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এবং তাতে শরীরে কোলেস্টেরল এবং রক্তনির্বাহে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস ডায়াবেটিস হলে রক্ত শর্করা অনেক বেশি থাকতে পারে, যা রক্তনির্বাহ এবং শখের সাথে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • বয়স ও লিঙ্গ বৃদ্ধি এবং পুরুষদের মধ্যে হিট স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
এছাড়াও, কিছু পারস্পরিক উপাধি ও অধিকাংশিক পরিবারিক ইতিহাসের আধারেও হিট স্ট্রোক হতে পারে।

হিট স্ট্রোক এর প্রতিকার

হিট স্ট্রোকে অনেক সময় বড় ধরনের ক্ষতি, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গরমের এই সময়টায় তাই সাবধানে থাকতে হবে।হিট স্ট্রোকের সাধারণ প্রতিকার হলো তাড়াতাড়ি চিকিৎসা প্রাপ্ত করার জন্য একটি হাসপাতালে যাওয়া, কারণ এটি একটি গম্ভীর মেডিক্যাল আবশ্যকতা। 

হিট স্ট্রোক এর ক্ষেত্রে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই এর প্রতিকারটি শীঘ্রই নেতা হতে হয়। এছাড়া, তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হলে রোগীর ভাল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

হিট স্ট্রোকের প্রতিকার হতে পারে

  • যারা বাইরে রোদে কাজ করে তাদের হিট স্ট্রোক এড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমানে লিকুইড জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে। এ সময় স্যালাইন, ফলের জুস, লেবুর শরবত, মাঠা বা ডাবের পানি খুবই উপকারী
  • গরমের দিনগুলোতে অ্যালকোহল বাদ দিতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল বা সুগার ড্রিঙ্কস-গুলো শরীরে পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে।
  • ফল ও সবজি খেতে হবে। ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলাই ভালো
  • হালকা রঙের ঢিলেঢালা ও সুতির পোশাক পরার চেষ্টা করুন। বাইরে বের হলে ছাতা ও মাথায় টুপি ব্যবহার করুন।
  • চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকুন, এতে শরীরের তাপ বৃদ্ধি পায়। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
  • আপনার নিজেকে পরীক্ষা করুন যদি আপনি বা কেউ অন্য কেউ হিট স্ট্রোকের লক্ষণ অনুভব করেন, তাদেরকে এবং নিজেকে চেক করুন। চোখের বালিশ, হাস্তের শক্তি, এবং কথা বলতে কষ্ট হতে পারে।

আরো পড়ুন: কম সময়ে কিভাবে সামনেরফাঁকা দাঁতের সমাধান করবেন

  • হাসপাতালে যাওয়া যদি হিট স্ট্রোকের সহ্যক্রিয়া লক্ষণ পাওয়া যায়, তাদেরকে তাড়াতাড়ি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • রক্তনির্বাহ উন্নত করুন হেমরেজিক হিট স্ট্রোকের ক্ষেত্রে, রক্তনির্বাহ নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
  • শাক্তির পুনর্দস্তাবে সাহায্য করুন রোগীর শাক্তি পুনর্দস্তাব করার জন্য শিক্ষা দিতে সাহায্য করুন। পৌরস্তাব এবং পৌরোক্ষ প্রশিক্ষণ প্রদান করার মাধ্যমে রোগী পুনরাবৃত্তি পেতে সাহায্য করতে পারে।
শরীরে কোনো ধরণের হিট স্ট্রোকের সহ্যক্রিয়া লক্ষণ অনুভব হলে, তাড়াতাড়ি চিকিৎসা প্রাপ্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা প্রাপ্ত করাই একজন হিট স্ট্রোক রোগীর জীবনের পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হিট স্ট্রোক এর প্রতিরোধ

প্রতিরোধ অতিরিক্ত গরম এবং পানিশূন্যতা এড়ানোর জন্য সাবধানতা অবলম্বন করে আতপাঘাতের (হিট স্ট্রোক) ঝুঁকি হ্রাস করা যেতে পারে। হালকা, ঢিলেঢালা পোশাক পরলে শরীরের ঘাম বাষ্পীভূত হওয়ার সুযোগ পায় এবং এভাবে শরীর শীতল থালে। 

হালকা রঙের চ্যাপ্টা বড় টুপি সূর্যের উত্তাপ থেকে মাথা ও ঘাড় উত্তপ্ত হওয়া রোধ করতে সহায়তা করে।গরমের দিনে কিছু নিয়ম মেনে চললে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যায়। ঢিলেঢালা হালকা রঙের সুতি কাপড় পরা। যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে হবে। 

রোদে বাইরে যাওয়ার সময় টুপি, ক্যাপ অথবা ছাতা ব্যবহার করা উচিত। প্রচুর পরিমাণ পানি বা খাওয়ার স্যালাইন অথবা ফলের রস পান করতে হবে। রোদে দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি করা যাবে না। গ্রীষ্মকালে তীব্র ও দীর্ঘ শারীরিক পরিশ্রম অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।হিট স্ট্রোকের প্রতিরোধের জন্য কিছু কার্যক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভাবনামূলক। প্রতিরোধ নিতে হলে নিম্নলিখিত পরামর্শগুলি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ
  • স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সুস্থ খাদ্য করুন এবং একটি পূর্ণাঙ্গ পোষণবর্ধিত ডায়েট অনুসরণ করুন।প্রতিদিন যোগাযোগপূর্ণ শারীরিক কার্যক্রম অনুসরণ করুন।ধূমপান করা বন্ধ করুন এবং মাত্রা১ অথবা কম পরিমাণে অলকোহল পান করুন।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করুনউচ্চ রক্তচাপ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। রোজ রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করতে হবে।
  • শরীরবাড়ি ও ওজন কমানোস্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে।দীর্ঘকালিন ওজন কমানো এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুনডায়াবেটিসে ভূগোল হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য ব্লাড সুগার নিয়মিতভাবে চেক করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন।
  • প্রতি বছর চেকআপ করুননিয়মিতভাবে চিকিৎসকের সাথে মিলে হাসপাতালে চেকআপ করুন। বিশেষভাবে উচ্চ রক্তচাপ বা অন্যান্য সমস্যা থাকলে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করুন।
  • রক্তনির্বাহ নিয়ন্ত্রণ করু রক্তনির্বাহের মাধ্যমে অবাধ্য থাকা চলতি থাকা থেকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।রক্তদান করার মাধ্যমে রক্ত নিয়ন্ত্রণ করাতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
এছাড়াও, প্রতি বছর হিট স্ট্রোক এর জন্য যোগ্যতা বাড়ায় এবং জীবনযাপন উন্নত করার জন্য প্রতিরোধে অন্যান্য উপায়ও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

হিট স্ট্রোক কেন হয়

হাইপার হচ্ছে অধিক মাত্রা, আর থার্মিয়া মানে তাপ। অর্থাৎ শরীরে অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকেই বলা হয় হিট স্ট্রোক। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে গেলে হিট স্ট্রোক হয়।হিট স্ট্রোক এক ধরনের হাইপারথার্মিয়া। 

হাইপার হচ্ছে অধিক মাত্রা, আর থার্মিয়া মানে তাপ। শরীরে অধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকেই বলা হয় হিট স্ট্রোক। আমাদের শরীরের ভেতরে নানা রাসায়নিক ক্রিয়ার কারণে সব সময় তাপ সৃষ্টি হতে থাকে। ঘামের সাহায্যে সেই তাপ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু একটানা রোদে থাকলে গরমে ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়। 

শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাওয়ায় ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি হয়। ঘামের সঙ্গে লবণ বেরিয়ে যাওয়াতে লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। যার ফলে শরীরকে করে তোলে অবসন্ন ও পরিশ্রান্ত। এতে মাথাঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারেন অনেকেই। 

তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মৃত্যুও হওয়া অস্বাভাবিক নয়। বাচ্চা, বয়স্ক ও যারা ওবেসিটিতে ভুগছে তারা হিট স্ট্রোকে সহজেই আক্রান্ত হয়।হিট স্ট্রোক হতে পারে কারণ মৌলিকভাবে রক্তনির্বাহ বা অঞ্চলে সমস্যা হয় বা রক্ত সরবরাহের বন্ধন হয়ে যায়, যার ফলে শখে কোনো অংশে ক্ষতি হয়। 

হিট স্ট্রোকের প্রধান কারণ দুটি প্রকারে বিভক্ত হয় - ইসকেমিক হিট স্ট্রোক এবং হেমরেজিক হিট স্ট্রোক।ইসকেমিক হিট স্ট্রোক থ্রম্বস (Thrombus) এবং এমবোলাস (Embolus) এই ধরণের হিট স্ট্রোকে রক্তনির্বাহের বন্ধন একটি ধরণের ক্লট বা থ্রম্বাস দ্বারা সৃষ্টি হতে পারে, 

যা শখের নয়া গজা বা আধিকাংশিক নিচু দেওয়া ধরণের আধাসাজিরা হতে পারে। এমবোলাস হিট স্ট্রোকে শরীরের অন্য অংশ থেকে আসা একটি ক্লট বা থ্রম্বাসের জন্য ব্লাড সৃষ্টি হতে পারে, যা শখে এসে ক্লট করে রক্তনির্বাহের বন্ধন করতে পারে।

হেমরেজিক হিট স্ট্রোক শখের শোক (Intracerebral Hemorrhage) এই প্রকারের হিট স্ট্রোকে শখে রক্ত শোকের জন্য একটি অংশ বা শখের ভেতরে রক্ত বা অন্যান্য দ্রবণ সঞ্চয় হয়, যা একটি নিখুঁত শখের সৃষ্টি করতে পারে। 

সুবারাকনযুস্তভে (Subarachnoid Hemorrhage) এই প্রকারের হিট স্ট্রোকে শখে যুস্তভে রক্ত শোকের জন্য একটি অংশ বা শখের ভেতরে রক্ত বা অন্যান্য দ্রবণ সঞ্চয় হয়, যা একটি নিখুঁত শখের সৃষ্টি করতে পারে।

এই অবস্থানুযায়ী, হিট স্ট্রোক হতে পারে কারণ রক্তনির্বাহের সমস্যা, রক্ত সরবরাহের বন্ধন, বা রক্ত সাথে কোনো অস্তিত্ব রক্তনির্বাহ হতে পারে। এই অবস্থার জন্য রক্ত প্রবাহ সাধারিত রাখা গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবত জীবনবাচার পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ঝুঁকি কমানো যায়।

হিট স্ট্রোক হলে কি হয়

আতপাঘাত কিংবা ইংরেজি পরিভাষায় হিট স্ট্রোক হল একটি গুরুতর তাপজনিত অসুস্থতা যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বেশি হয়ে যায়। ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এবং বিভ্রান্তি আতপাঘাতের প্রধান কিছু লক্ষণ-উপসর্গ।

আরো পড়ুন: দাঁত ফাঁকা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানুন

হিট স্ট্রোক হলে একজন ব্যক্তির শখে বা শখগুলির কোনো অংশে অসুস্থতা অথবা শখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হিট স্ট্রোক একটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল আবশ্যকতা, এটি একটি আত্মঘাতী অস্তিত্ব এবং তাড়াতাড়ি চিকিৎসা প্রয়োজন করতে পারে।

হিট স্ট্রোক হলে কিছু সাধারণ লক্ষণ হতে পারে, যেমন

মুখের এক দিকে বাড়া একটি সাধারণ লক্ষণ হতে পারে মুখের এক দিকে বাড়া। এটি একজন ব্যক্তির মুখের এক দিকে মোচ হতে পারে, এবং এই দিকের চোখ বা কানে অবস্থান স্বভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।একটি সাধারণ লক্ষণ হতে পারে মুখের এক দিকে বাড়া। 

এটি একজন ব্যক্তির মুখের এক দিকে মোচ হতে পারে, এবং এই দিকের চোখ বা কানে অবস্থান স্বভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।হাসতে অসুস্থ হওয়া ব্যক্তি হাসতে বা বলতে অসুস্থ হতে পারে এবং তার ভাষা মিশে যাতে আবদ্ধ হতে পারে।ব্যক্তি হাসতে বা বলতে অসুস্থ হতে পারে এবং তার ভাষা মিশে যাতে আবদ্ধ হতে পারে।

অচেনা হাত-পা একটি হাত বা পা অচেনা হতে পারে এবং ব্যক্তি তাকে সহায়কারী হাত বা পা ব্যবহার করতে সক্ষম হতে পারে না।একটি হাত বা পা অচেনা হতে পারে এবং ব্যক্তি তাকে সহায়কারী হাত বা পা ব্যবহার করতে সক্ষম হতে পারে না।

শীর্ষক ব্যথা হিট স্ট্রোকের সাথে অসুস্থ হওয়ার সাথে মিলিয়নগুলি ব্যক্তি শীর্ষক ব্যথা অনুভব করে এবং এটি তাদের চোখে দেখা বা শ্রাবণ করা বা মোবাইল পরয়ায়ে চেষ্টা করতে সক্ষম হতে পারে।হিট স্ট্রোকের সাথে অসুস্থ হওয়ার সাথে মিলিয়নগুলি ব্যক্তি শীর্ষক ব্যথা অনুভব করে এবং এটি তাদের চোখে দেখা বা শ্রাবণ করা বা মোবাইল পরয়ায়ে চেষ্টা করতে সক্ষম হতে পারে।

অস্বাভাবিক শ্বাস নেওয়া শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং ব্যক্তি শখে সমস্যা অনুভব করতে পারে যতটুকু হাস্তে এবং চোখে করতে পারে না।শ্বাসকষ্ট হতে পারে এবং ব্যক্তি শখে সমস্যা অনুভব করতে পারে যতটুকু হাস্তে এবং চোখে করতে পারে না।

এছাড়াও, অন্যান্য সম্ভাব্য লক্ষণ সম্মিলিত হতে পারে, এমনকি অতিরিক্ত দুশ্মন্তবাদী অস্তিত্ব অথবা উচ্চ রক্তচাপের সাথে সংকট, অস্বাভাবিক হৃদরোগ, এবং মৃত্যুর জন্য ঝুঁকি বাড়ানোর ঝুঁকি।হিট স্ট্রোক একটি জীবনবদ্ধ অস্তিত্ব এবং তা তাড়াতাড়ি চিকিৎসা প্রয়োজন করে। সম্ভাব্যতঃ বৃদ্ধি এবং শখের যত্ন নেওয়া সাধারিত হতে পারে এবং শখ বা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য শীঘ্রই হাসপাতালে পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ।

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

  • রোদের উত্তাপ যেই সময়টাতে বেশি থাকে (বিশেষকরে বেলা ১১.০০ তা থেকে বিকাল ৩.০০ টা) সেই সময়ে প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বের না হওয়া এবং যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা।
  • বাসার বাইরে বের হলে ছাতা ব্যবহার করা।
  • প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল যেমন- খাবার স্যালাইন, ফলের রস, লাচ্ছি, ডাবের পানি, ঘোল ইত্যাদি পান করুন।
  • দিনে ২ বার গোসল করুন।
  • মৌসুমি ফল ও সবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন।
  • সহজপাচ্য খাবার খান।
তাড়াতাড়ি চিকিৎসা প্রদান করা হিট স্ট্রোক এর লক্ষণ প্রথমেই সম্মানিত হলে, তাড়াতাড়ি একটি হাসপাতালে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতালে তারাতম্য, চিকিৎসা এবং আবশ্যক পরীক্ষা করা হয়। এটি হিট স্ট্রোকের প্রতি সঠিক উপায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

রোগীকে উচিত যত্ন দেওয়া রোগীকে সঠিক যত্ন দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পৌঁছানো, শখে সবচেয়ে শীঘ্রই চিকিৎসা প্রদান করতে সাহায্য করতে পারে। শখ পুনর্বাসন এবং যোগাযোগ করা হিট স্ট্রোক পাওয়ার পরে, শখ পুনর্বাসন এবং পৌরোক্ষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। রোগীকে পুনর্বাসন করার জন্য বিশেষজ্ঞ সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, শখে এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগ একটি অত্যন্ত মূল্যবান সাধারণ সাহায্য সৃষ্টি করতে সাহায্য করতে পারে।

শাক্তি পুনর্দস্তাব এবং শারীরিক চিকিৎসা একজন হিট স্ট্রোক রোগীকে পুনর্দস্তাব এবং শারীরিক চিকিৎসা প্রদান করতে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রত্যাশাকর হতে সহায়ক। সামাজিক এবং মানসিক সমর্থন হিট স্ট্রোক প্রভৃতি থেকে রোগীর জন্য সামাজিক এবং মানসিক সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। শখের অগ্রদিকে থাকা এবং অন্যান্য লোকের সাথে যোগাযোগ করা রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভুলে যাওয়া হতে পারে না।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হিট স্ট্রোক প্রভৃতি থেকে বাঁচার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনুষ্ঠান করা গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ ডায়েট, বিশ্রাম এবং নিয়মিত ব্যায়াম এই সবই রোগীর জীবনযাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করতে পারে।

হিট স্ট্রোক এর প্রাথমিক চিকিৎসা

শরীর দ্রুত ঠাণ্ডা করে এবং সার্বিক যত্নের মাধ্যমে আতপাঘাতের চিকিৎসা করা হয়। অন্যান্য প্রস্তাবিত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে ভুক্তভোগী ব্যক্তির দেহে পানি ছিটানো, তাকে পাখা দিয়ে বাতাস করা, তাকে বরফশীতল পানিতে নিমজ্জিত রাখা, ইত্যাদি।

হিট স্ট্রোক এর প্রাথমিক চিকিৎসা তাড়াতাড়ি শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সময়ের নষ্ট হলে শখের ক্ষতি আরো বাড়তে পারে। হিট স্ট্রোকের লক্ষণ প্রকাশিত হলে তাড়াতাড়ি 911 অথবা অন্যান্য মাধ্যমে স্থানীয় এমারজেন্সি সেবায় যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 

আরো পড়ুন: পায়ের গোড়ালিব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রাথমিক চিকিৎসা কারকরি হতে পারে এবং এটি ব্যক্তির জীবন এবং সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।হিট স্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা মৌলিকভাবে রক্তনির্বাহ পুনরুদ্দীপ্ত করা এবং শখ যত্ন নেওয়া উচিত। এটি ইসকেমিক হিট স্ট্রোক বা হেমরেজিক হিট স্ট্রোক এর ধরণে ভিন্ন ভাবে চিকিৎসা করা হয়।

যদি কারও হিট স্ট্রোক হয়েই যায়, তবে রোগীর আশপাশে যাঁরা থাকবেন তাঁদের করণীয় হলো—

  • রোগীকে দ্রুত শীতল স্থানে নিয়ে যান। সম্ভব হলে ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিন।
  • তাঁর কাপড় খুলে দিন। সম্ভব হলে রোগীকে গোসল করান।
  • শরীর পানিতে ভিজিয়ে দিয়ে বাতাস করুন। এভাবে তাপমাত্রা কমাতে থাকুন।
  • সম্ভব হলে কাঁধে, বগলে ও কুচকিতে বরফ দিন।
  • রোগীর জ্ঞান থাকলে তাঁকে প্রচুর পানি ও খাবার স্যালাইন দিন। তবে চা বা কফি দেবেন না।
  • দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
  • সব সময় খেয়াল রাখবেন হিট স্ট্রোকে অজ্ঞান রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস এবং নাড়ি চলছে কি না। প্রয়োজন হলে কৃত্রিমভাবে নিশ্বাস ও নাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করতে হতে পারে।
হিট স্ট্রোকে জীবন বিপদাপন্ন হতে পারে। তাই এই গরমে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করেই এর থেকে বেঁচে থাকতে হবে।

হিট স্ট্রোক হলে করনীয়

হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর বারবার পানি ভেজানো কাপড় দিয়ে মুছে দিন। প্রয়োজনে ভেজা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখতে হবে।প্রাথমিক পর্যায়ে হিট স্ট্রোকের মোকাবেলা করার পর দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।হিট স্ট্রোক এর ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি জীবন মেরে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। হিট স্ট্রোক হলে কিছু করনীয় নিম্নে উল্লেখ করা হয়েছে
  • গরমে সব সময় হালকা রঙের ও ঢিলেঢালা পোশাক পড়ুন। যাতে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে।
  • হিট স্ট্রোক হলে দ্রুত রোগীকে ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখতে হবে। সম্ভব হলে এসি লাগানো ঘরে রাখুন।
  • যে কোনো উপায়ে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা কমাতে হবে।
  • হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর বারবার পানি ভেজানো কাপড় দিয়ে মুছে দিন। প্রয়োজনে ভেজা কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখতে হবে।
  • প্রাথমিক পর্যায়ে হিট স্ট্রোকের মোকাবেলা করার পর দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।
  • রোগীকে গরম স্থান থেকে সরিয়ে ঠান্ডা পরিবেশে আনতে হবে। সম্ভব হলে এয়ারকন্ডিশনও ঘরে রাখতে হবে।
  • যেকোনো উপায়ে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। পুরো শরীর পানি দিয়ে মুছতে হবে। প্রয়োজনে ভেজা কাপড় দিয়ে মুড়ে রাখতে হবে। সে সঙ্গে ঘরে ফ্যান ছেড়ে রাখা দরকার।
  • রোগীর নাক-মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা না হয়।
  • হাসপাতালে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। তা ছাড়া শরীরে পটাশিয়াম কমে যাওয়ায় পটাশিয়াম ও স্যালাইন দেওয়া হয়। রক্তক্ষরণ শুরু হলে রক্ত দিতে হবে।
  • তাড়াতাড়ি চিকিৎসা হিট স্ট্রোক হলে সম্ভাব্যতঃ বৃদ্ধি এবং সতর্কতা অনুভব করতে পারে এবং রোগীকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা প্রদান করতে গুরুত্বপূর্ণ। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা প্রাপ্তব্যাধী বৃদ্ধি এবং শখে অসুস্থতা থেকে বাঁচার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • 911 এমারজেন্সি সেবা কল করা হিট স্ট্রোক হলে তাড়াতাড়ি 911 এমারজেন্সি সেবা কল করতে গুরুত্বপূর্ণ। এটি রোগীকে তাড়াতাড়ি একটি হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য সাহায্য করতে পারে, যাতে তারা প্রোফেশনাল চিকিৎসা এবং যত্ন প্রাপ্ত করতে পারে।
  • রক্তদান সুস্থ না থাকলে পরিমিত রক্তদান করা হিট স্ট্রোক রোগীর জন্য রক্তদান একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদক্ষেপ হতে পারে। এটি রক্তনির্বাহ বা টিস্যু প্লাজমা ক্লট এন্জাইম ব্যবহার করতে সাহায্য করতে পারে এবং রোগীর অসুস্থ শখ থেকে রক্তনির্বাহ নিরাপদ করতে সাহায্য করতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন