গরমে ডিম খাওয়া কেন এড়িয়ে চলবেন?
ডিম খাওয়ার উপকারিতা ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রীস্মকালীন সময়ে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্য রক্ষার্থের জন্য কতটা উপকারিতা ও অপকারিতা হতে পারে। এছাড়াও গরমে ডিম খাওয়ার কারণে প্রকৃতি এবং আবহাওয়ার কারণে শরীরের জন্য কিছু কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে। ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
তবে খাদ্য তালিকায় ডিম খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকেরই বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। যেমন, গরমকালে ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর খাবার হতে পারে।
খাবার হিসাবে ডিম খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু এই ডিম নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ধারণা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল, গরমকালে ডিম খাওয়া অস্বাস্থ্যকর। দেখা যাক এই ধারণা সঠিক কি না।
গরমে ডিম খাওয়া কেন এড়িয়ে চলবেন?
গরমে ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
ডিমে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবনা থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। গরমে ডিম ভালোভাবে না সেদ্ধ করলে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরো পড়ুন: লিচু খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। প্রোটিন হজম করতে শরীরের অনেক শক্তি ব্যয় হয়। গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে, তাই শরীরে প্রোটিন হজম করার জন্য বেশি শক্তি ব্যয় হয়। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আরও বেশি গরম লাগে।
ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। কোলেস্টেরল রক্তে চর্বির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। গরমে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই গরমে ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো।
গরমে ডিম না খেলে শরীরে প্রোটিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই গরমে ডিমের পরিবর্তে অন্যান্য প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন মাছ, মাংস, ডাল, শিম ইত্যাদি খাওয়া ভালো। গরমে ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলার জন্য নিচের টিপসগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে খান। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া উচিত।
- ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ডিমের খোসায় থাকা ব্যাকটেরিয়া ডিমের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। তাই ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
- ডিম সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। ডিমকে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন। ডিম ফ্রিজে রাখলে ভালো হয়।
গরমে ডিম খাওয়া এড়িয়ে চললে শরীরকে বিভিন্ন অসুখ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ডিম খাওয়ার উপকারিতা: ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ফ্যাট থাকে। ডিম খাওয়ার উপকারিতাগুলি হলো: প্রোটিন: ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ খুব বেশি। একটি ডিমে প্রায় 6 গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এটি পেশী গঠন, ক্ষয়প্রাপ্ত কোষের মেরামত এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। ভিটামিন: ডিমে ভিটামিন A, D, E, K এবং বি ভিটামিনের একটি ভাল উৎস। ভিটামিন A দৃষ্টিশক্তি, ত্বক এবং চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন D হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন E একটি শক্তিশালী
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন K রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। বি ভিটামিনগুলি শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খনিজ: ডিমে লোহা, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক এবং অন্যান্য খনিজ উপাদানের একটি ভাল উৎস। লোহা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফসফরাস হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সেলেনিয়াম একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাট: ডিমে ভালো ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। ভালো ফ্যাট হার্টের স্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং কোষের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ডিম খাওয়ার অপকারিতা: ডিম খাওয়ার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। ডিমের অপকারিতাগুলি হলো: সালমোনেলা: ডিমে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবনা থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত।
কোলেস্টেরল: ডিমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। কোলেস্টেরল রক্তে চর্বির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। অ্যালার্জি: কিছু লোকের ডিমের অ্যালার্জি হতে পারে। ডিমের অ্যালার্জি হলে শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, বমি, পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই ডিম খাওয়ার আগে অ্যালার্জির জন্য পরীক্ষা করা উচিত।
আরো পড়ুন: মাশরুম কেন খাবেন? পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
ডিম খাওয়ার নিয়ম: ডিম খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলি মেনে চললে ডিম খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতাগুলি এড়ানো যায়। ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে খান। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া উচিত।
ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ডিমের খোসায় থাকা ব্যাকটেরিয়া ডিমের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। তাই ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ডিম সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। ডিমকে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন। ডিম ফ্রিজে রাখলে ভালো হয়।
উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। তবে ডিম খাওয়ার সময় উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলি মেনে চললে ডিম খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতাগুলি এড়ানো যায়।
ডিম খাওয়ার উপকারিতা
ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ফ্যাট থাকে। ডিম খাওয়ার উপকারিতাগুলি হলো: প্রোটিন: ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ খুব বেশি। একটি ডিমে প্রায় 6 গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পেশী গঠন, ক্ষয়প্রাপ্ত কোষের মেরামত এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।
ভিটামিন: ডিমে ভিটামিন A, D, E, K এবং বি ভিটামিনের একটি ভাল উৎস। ভিটামিন A দৃষ্টিশক্তি, ত্বক এবং চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন D হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন E একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন K রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
বি ভিটামিনগুলি শক্তি উৎপাদন, স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খনিজ: ডিমে লোহা, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক এবং অন্যান্য খনিজ উপাদানের একটি ভাল উৎস। লোহা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফসফরাস হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেলেনিয়াম একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাট: ডিমে ভালো ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। ভালো ফ্যাট হার্টের স্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং কোষের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন একটি ডিম খেলে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়। এটি দেহের কোষের কার্যক্রম ভালো রেখে শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন একটি ডিম খান। ডিমের মধ্যে রয়েছে লুটেইন এবং জিয়াক্সএনথিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখের ছানি ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। ডিমে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল মস্তিষ্কের কোষকে ভালো রাখে। এটি স্নায়ুকেও সুস্থ রাখে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
ডিমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, যা শরীরের পেশিকে ভালো রাখে। এবং পেশির শক্তি বাড়ায় ও কর্মক্ষম রাখে। গবেষকরা বলেন, ডিম খেলে দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে। ফলে অন্য খাবার গ্রহণে আগ্রহ কমে ও দৈনন্দিন ক্যালোরির চাহিদার পূরণ হয়। ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ ও সেলেনিয়াম, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ডিম খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট উপকারিতা: ওজন কমাতে সাহায্য করে: ডিম একটি লো ক্যালোরিযুক্ত খাবার। একটি ডিমে প্রায় 75 ক্যালোরি থাকে। তাই ডিম খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ডিমে থাকা ভালো ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: ডিমে থাকা কোলিন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: ডিমে থাকা ভিটামিন A এবং লুটেন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ডিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
ডিম খাওয়ার নিয়ম: ডিম খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলি মেনে চললে ডিম খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতাগুলি এড়ানো যায়। ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে খান। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া উচিত।
ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ডিমের খোসায় থাকা ব্যাকটেরিয়া ডিমের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। তাই ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। ডিম সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। ডিমকে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষণ করুন। ডিম ফ্রিজে রাখলে ভালো হয়।
উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
ডিম খাওয়ার উপযুক্ত সময়
ডিম খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকালের খাবার। সকালের খাবারে ডিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডিম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পেশী গঠন, ক্ষয়প্রাপ্ত কোষের মেরামত এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ডিম খেলে সারাদিনের জন্য ক্ষুধা কম থাকে।
সকালের খাবারে ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা হল:
- শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়।
- সারাদিনের জন্য ক্ষুধা কম থাকে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
- চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তবে, সকালের খাবারে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে খেতে হবে। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া উচিত। ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
এছাড়াও, ডিম খাওয়ার আরও কিছু সময় রয়েছে। যেমন, দুপুরের খাবারের আগে বা পরে। রাতের খাবারের আগে। তবে, রাতের খাবারে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ডিম খেলে শরীরে ক্যালোরি বেশি থাকে। তাই রাতের খাবারে ডিম খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়লে শরীরে ক্যালোরি জমে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই ধরনের ব্যক্তিদের ডিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডিমের অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের অ্যালার্জি হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডিম খাওয়ার নিয়ম: ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তবে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ডিম খাওয়ার উপযুক্ত সময় ডিম খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকালের খাবার। সকালের খাবারে ডিম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন: আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
এটি পেশী গঠন, ক্ষয়প্রাপ্ত কোষের মেরামত এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ডিম খেলে সারাদিনের জন্য ক্ষুধা কম থাকে। ডিমের কতটুকু অংশ খাওয়া উচিত ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন বেশি থাকে এবং কুসুমে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। তাই ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই খাওয়া উচিত। তবে, ডিমের কুসুম খেতে চাইলে সেদ্ধ করে খেতে হবে।
ডিম কীভাবে রান্না করা উচিত ডিম বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। তবে, ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া উচিত। ডিম পোচ, ভাজা, অমলেট ইত্যাদিভাবে রান্না করা যেতে পারে। তবে, ডিম ভাজার ক্ষেত্রে অল্প তেল ব্যবহার করা উচিত।
ডিম খাওয়ার আগে কী করা উচিত ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ডিমের উপরের ব্যাকটেরিয়া দূর হবে। কোন ধরনের ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া উচিত নয় উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই ধরনের ব্যক্তিদের ডিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডিমের অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া উচিত নয়। ডিমের অ্যালার্জি হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। সারাদিনের জন্য ক্ষুধা কম থাকে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার। তবে, ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললে এটি থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়।
ডিম খাওয়ার সঠিক সময়
ডিম খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালের খাবার। সকালের খাবারে ডিম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পেশী গঠন, ক্ষয়প্রাপ্ত কোষের মেরামত এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ডিম খেলে সারাদিনের জন্য ক্ষুধা কম থাকে।
সকালের খাবারে ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা হল: শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। সারাদিনের জন্য ক্ষুধা কম থাকে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তবে, সকালের খাবারে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে খেতে হবে। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া উচিত। ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
এছাড়াও, ডিম খাওয়ার আরও কিছু সময় রয়েছে। যেমন, দুপুরের খাবারের আগে বা পরে। রাতের খাবারের আগে। তবে, রাতের খাবারে ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ডিম খেলে শরীরে ক্যালোরি বেশি থাকে। তাই রাতের খাবারে ডিম খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়লে শরীরে ক্যালোরি জমে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই ধরনের ব্যক্তিদের ডিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডিমের অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের অ্যালার্জি হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সুতরাং, ডিম খাওয়ার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হল সকালের খাবার। তবে, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনা করে ডিম খাওয়ার সময় নির্ধারণ করা উচিত।
ডিম খাওয়ার সঠিক নিয়ম: ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তবে, ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই ডিম থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়।
ডিম খাওয়ার সঠিক নিয়মগুলো হল: ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ডিমের উপরের ব্যাকটেরিয়া দূর হবে। ডিম খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকালের খাবার। সকালের খাবারে ডিম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই খাওয়া উচিত। তবে, ডিমের কুসুম খেতে চাইলে সেদ্ধ করে খেতে হবে।
ডিম বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। তবে, ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া উচিত। ডিম পোচ, ভাজা, অমলেট ইত্যাদিভাবে রান্না করা যেতে পারে। তবে, ডিম ভাজার ক্ষেত্রে অল্প তেল ব্যবহার করা উচিত।
উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই ধরনের ব্যক্তিদের ডিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডিমের অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের অ্যালার্জি হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা: শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। সারাদিনের জন্য ক্ষুধা কম থাকে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সুতরাং, ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে ডিম থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়।
ডিম খাওয়ার উপকার
ডিম একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ডিম খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা হল: শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়। ডিম প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। প্রতিটি ডিমে প্রায় 6 গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি পেশী, হাড়, ত্বক এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গঠনে সাহায্য করে।
সারাদিনের জন্য ক্ষুধা কম থাকে। ডিম খেলে সারাদিনের জন্য ক্ষুধা কম থাকে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডিম খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ ডিম খেলে সারাদিনের জন্য ক্ষুধা কম থাকে। এছাড়াও, ডিম খাওয়ার ফলে শরীরে শক্তির উৎস তৈরি হয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ডিম খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কারণ ডিমে থাকা কোলেস্টেরল ভালো কোলেস্টেরল (HDL) এর মাত্রা বাড়ায়। HDL কোলেস্টেরল রক্তনালী পরিষ্কার রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
ডিম খাওয়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ ডিমে থাকা লুটেইন এবং জেক্সাথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ডিম খাওয়া চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কারণ ডিমে থাকা লুটেইন এবং জেক্সাথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের ছানি এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডিম খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ ডিমে থাকা ভিটামিন এ এবং ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিম খাওয়ার সঠিক নিয়ম: ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই ডিম থেকে সর্বোচ্চ উপকারিতা পাওয়া যায়। ডিম খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ডিমের উপরের ব্যাকটেরিয়া দূর হবে। ডিম খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকালের খাবার। সকালের খাবারে ডিম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিন পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: নারিকেল তেলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই খাওয়া উচিত। তবে, ডিমের কুসুম খেতে চাইলে সেদ্ধ করে খেতে হবে। ডিম বিভিন্নভাবে রান্না করা যায়। তবে, ডিম ভালোভাবে সেদ্ধ করে খাওয়া উচিত। ডিমের সাদা অংশ এবং কুসুম দুটোই ভালোভাবে সেদ্ধ হওয়া উচিত। ডিম পোচ, ভাজা, অমলেট ইত্যাদিভাবে রান্না করা যেতে পারে। তবে, ডিম ভাজার ক্ষেত্রে অল্প তেল ব্যবহার করা উচিত।
উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই ধরনের ব্যক্তিদের ডিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডিমের অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তিদের ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। ডিমের অ্যালার্জি হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ডিম সেদ্ধ খাওয়ার উপকারিতা
ডিম সেদ্ধ খাওয়ার উপকারিতা অনেক সমৃদ্ধ। এটি একটি পৌষ্টিক খাদ্য, যা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। কিছু উপকারিতা হলো: প্রোটিনের উৎস: ডিম ভালোভাবে প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে, যা শারীরিক উন্নতি এবং মাংসপেশী তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশেষভাবে বড় হয়ে উঠা শিশুদের জন্য গুড়িয়ে আনা হয়।
ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি: ডিমে ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি থাকে, যা হাড় এবং দাঁতের উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যে এবং ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম অমিল নির্মাণ করে, যা হাড় এবং দাঁতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চুলের জন্য ভিটামিন বি: ডিমে ভিটামিন বি প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
চুলের প্রসারণ উন্নত করতে: ডিমে থাকা বিভিন্ন পৌষ্টিক উপাদান চুলের প্রসারণ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে। মেথাইন ও কোলিন সহজে পাওয়া যায়: ডিমে মেথাইন এবং কোলিন নামক দুইটি উপাদান থাকে, যা মস্টার্ড গ্যাস তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে। এগুলি নিম্নক্ত ওজন ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে। এই কারণে, ডিম সেদ্ধ খাওয়া দেখা হয় একটি সুস্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে।