হার্ট ভালো রাখার জন্য কি খাওয়া দরকার ও হার্টের ঔষধের নাম জানুন
হার্ট ভালো রাখার জন্য কি খাওয়া দরকার ও হার্টের ঔষধের নাম জানুন হার্টের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এখন বেড়েছে। প্রচুর মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে মাথায় রাখতে হবে যে, এমন কিছু খাবার আমাদের মধ্যে রয়েছে যা ভালো হতে পারে হার্টের জন্য।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে মাত্র পাঁচটি পরিবর্তন এনে হৃদরোগ ও স্ট্রোক থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি। ব্রিটেনে পুষ্টি ফাউন্ডেশন তাদের নতুন এক রিপোর্টে বলছে, বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও এই দুটো কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এক পরিসংখ্যান বলছে, ব্রিটেনে যতো মানুষের অকাল মৃত্যু হয় তার অন্তত চার ভাগের এক ভাগের মৃত্যুর জন্যে দায়ী হৃদরোগ।
হার্ট ভালো রাখার জন্য কি খাওয়া দরকার ও হার্টের ঔষধের নাম জানুন
মাছ: মাছে অমেগা-৩ ফ্যাট অ্যাসিড থাকে, যা হার্ট স্বাস্থ্যের জন্য গুণকারী। মাছের মধ্যে সালমন, ট্রাউট, সার্ডিন, হিলসা, ম্যাকারেল ইত্যাদি অমেগা-৩ ধারণ করে। ফল এবং সবজি: বিভিন্ন রঙের ফল এবং সবজির মধ্যে বিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ থাকে, যা হার্ট স্বাস্থ্যে সাহায্য করতে পারে।
পূর্ণ গ্রেইন ও ধান: পূর্ণ গ্রেইন ও ধানে অসুস্থ চর্বি ও কোলেস্টেরল কমানোর জন্য ফাইবার ও অন্যান্য গুণকারী উপাদান থাকে। নাটস: নাটে অমেগা-৩ ফ্যাট অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন, এবং বিভিন্ন খনিজ থাকতে পারে যা হার্টের জন্য ভালো। কোলড প্রেস্ড ভির্জিন অলিভ অয়েল: এটি মনোহিদ্রার্থ্যে ভালো এবং অমেগা-৩ ফ্যাট অ্যাসিডে ধারণ করা হয়।
আরো পড়ুন: ব্যায়াম করার উপকারিতা গুলো জেনে নিন
কিছু হার্ট স্বাস্থ্য বিজ্ঞানি ঔষধ হলো: অ্যাসপিরিন: অ্যাসপিরিন হার্ট অ্যাটাক ও যৌবনের ব্যাথা প্রতিরোধে ব্যবহার হয়। স্ট্যাটিনস: স্ট্যাটিন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। বেটা-ব্লকারস: হার্টের কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিগুলি কমাতে এটি ব্যবহৃত হয়। এসপি-এনজাইম: হার্টের মাংসপেশীর হল্ড ভাঙ্গা মানুষদের জন্য এটি প্রয়োজন।
তবে, এই ঔষধগুলি অবশ্যই এবং বৈদ্যুত্তে পরীক্ষা এবং নির্দেশনা অনুসরণ করা উচিত। হার্ট স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনও চিকিৎসকে পরামর্শ করতে সবসময় শ্রদ্ধাশীল থাকতে বলা হয়।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার
যদি আপনি ভাবছিলেন কি হৃদরোগের খাবার এড়াতে হবে আছে, এখানে আমাদের ব্যাপক তালিকা হার্ট অ্যাটাকের পরে যে খাবারগুলি এড়ানো উচিত: বেকড সামগ্রী সব ধরনের বেকড খাবার যেমন কেক, কুকিজ এবং মাফিন আপনার ডায়েট চার্ট থেকে বাদ দেওয়া উচিত সোডা ঠিক আছে, অল্প পরিমাণে চিনি খুব কমই যোগ করা ঠিক,
কিন্তু যখন আপনি প্রতিদিন সোডা পান করার প্রতি আকর্ষণ তৈরি করেন, তখন এটি আপনার হৃদয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করতে শুরু করে, যা সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন হৃদরোগের ঘটনা ঘটতে পারে। লাল মাংস ভেড়ার মাংস, মাটন এবং শুয়োরের মাংসের আকারে অত্যধিক লাল মাংস খাওয়া আপনার কষ্টের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ।
এলকোহল মাঝে মাঝে পরিমিত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করা কারও ক্ষতি করেনি। হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার থাকতে পারে এমন কিছু আদান-প্রদান যা হার্ট স্বাস্থ্যকে ক্ষতি করতে সহায় করতে পারে। এই খাবারগুলি হার্ট রোগে আক্রান্ত বা হার্ট সমস্যা সহজে হতে পারে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে।
আরো পড়ুন: আদা খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি তা জেনে নিন
উচ্চ কোলেস্টেরল খাবার: উচ্চ কোলেস্টেরল খাবার খাওয়া হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল যেমন রোজাকোলা, স্বিস রোল, সামসা, পালক, মাংসের বৃহৎ অংশ, বাটার, গোখুরা, আড়ু মসলা ইত্যাদি। উচ্চ লোভান খাবার: উচ্চ লোভান খাদ্যপণ্য যেমন প্যাস্টা, ব্রেড, রাইস, পোটেটো, কোর্নফ্লেক্স, ওটমিল এবং বিভিন্ন মিষ্টি পণ্য এগুলি হার্টের স্বাস্থ্য দ্বারা ক্ষতিকর হতে পারে।
উচ্চ নাট্রিয়াম খাবার: অত্যন্ত উচ্চ নাট্রিয়াম খাদ্যপণ্য যেমন অত্যন্ত মিঠা, কেক, বিস্কুট, আইসক্রিম, প্রস্ট্রেট, ফাস্ট ফুড, আচার, সস ইত্যাদি হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। উচ্চ কার্বোহাইড্রেট খাদ্য: বিশেষভাবে সহিত আকারের খাদ্যপণ্যে বেশি হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যেমন বিশেষভাবে মিঠা, চকোলেট, বায়স্কুইট, বেকারি প্রোডাক্ট ইত্যাদি।
অত্যন্ত তেল ও ময়না ব্যবহার করা: অত্যন্ত তেলে ও ময়নায় বেশি ব্যবহার করা হার্টের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং কোলেস্টেরল স্তর বাড়াতে পারে। হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য, একেবারে এবং বৈদ্যুত্তে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
হার্ট ভালো আছে বুঝার উপায়
বুকে চাপ অনুভব, মাথা ঝিমঝিম ও সহজেই ক্লান্তির মতো সমস্যাগুলি দেখে দিলেই বুঝবেন আপনার হার্টের সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ঘাম হলে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ দেখা দিয়েছে। চিকিত্সকদের মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্কের সাধারণত প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিট পর্যন্ত হার্ট চলাচল করে।
মানসিক বা শারীরিক চাপের কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত চললে হৃত্পিণ্ডও দ্রুত প্রসারিত হয়। আমরা যখন দৌড় দিই, তখন হার্টের রেট বেড়ে যায়।হার্ট ভালো আছে বুঝতে এবং হার্ট স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে নিম্নলিখিত কিছু উপায় অনুসরণ করতে হয়: রেগুলার চেকআপ: নির্দিষ্ট বিন্দুতে হার্টের যোগ্যতা এবং স্বাস্থ্য মূল্যায়ন করতে নিয়মিতভাবে ডাক্তারের কাছে যান।
রেগুলার চেকআপ সাধারিতা এবং স্বাস্থ্য সংরক্ষণে মদদ করতে পারে। শারীরিক কার্যকলাপ: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় প্রতি দিন শারীরিক কার্যকলাপের কাজ করুন। এটি মাত্র 30 মিনিট হাঁটা, বা যেকোনও রোজানা কাজ করতে সহায় করতে পারে। সুস্থ খাবার: নির্বাচিত ও সুস্থ খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে।
আরো পড়ুন: সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা দেখুন
ফল, সবজি, পূর্ণ গ্রেইন, মাছ, ড্রাই ফ্রুট, যৌগাদার খাবার এবং তৈরি খাদ্যপণ্যের মধ্যে এটি সংযুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্য সমর্থন: স্ট্রেস এবং মানসিক চাপের সাম্যে আপনার হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করতে পারে ধ্যান, যোগাযোগ, এবং সাপোর্ট সেবা। পর্যাপ্ত বিশ্রাম: প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম পাওয়াটা হার্ট স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
শক্তি পূর্ণ থাকার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে 7-8 ঘণ্টা ঘুম পান। ধূমপান বা মাদকবিষয়ক নিরোধ: সিগারেট বা অন্যান্য মাদকবিষয়ক পদার্থগুলি ব্যবহার করা হার্টের স্বাস্থ্যকে ক্ষতি করতে পারে। ওজন মেয়াদে রাখুন: আপনার শরীরের ওজনটি মেয়াদে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত ওজন হার্টের জন্য অসুস্থকর। এছাড়া, যদি আপনি কোনও অস্বস্থতা বা সমস্যা অনুভব করেন, অবিলম্বে একজন চিকিৎসকে দেখান। তারা আপনার হার্ট স্বাস্থ্যের সাথে সংযোগিত হোকার জন্য আপনাকে সঠিক দিকে নেতৃত্ব করতে সাহায্য করতে পারে।
কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয়
হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত কার্যকলাপ যেমন প্রয়োজন তেমনি ভাল খাবার ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নলিখিত খেলার ধরনগুলি হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে আর সঠিক খাবারের নিয়ম: হাঁটবা অথবা দৌড়াচ্ছা (Walking or Running): প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় হাঁটবা বা দৌড়াচ্ছা করা হার্টের জন্য উপকারী।
এটি হার্ট রেট বাড়ানো এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। সাইক্লিং (Cycling): সাইকেল চালানো হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং এটি মাংসপেশী, শ্বাসক্ততা, এবং অন্যান্য শারীরিক ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। সুইমিং (Swimming): সুইমিং একটি উপকারী পৌরাণিক কার্যক্রম যা সার্দিনে এবং বৃষ্টির দিনে করা যেতে পারে।
এটি মাংসপেশী বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে এবং হার্ট স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। যোগাযোগ খেলা (Aerobic Exercise): এরোবিক বা যোগাযোগ খেলা হার্টের জন্য অত্যন্ত ভালো। হাঁটবা, দৌড়াচ্ছা, স্বিমিং, সাইকেলিং, এবং অন্যান্য যোগাযোগ কার্যক্রম এরোবিক খেলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইয়োগা ও মেডিটেশন (Yoga and Meditation): ইয়োগা এবং মেডিটেশন মানসিক চাপ কমাতে এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
হার্ট সতেজ রাখতে প্রয়োজন:
বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খানযেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আছে সেসব খাবার খাবেন। এসব খাবারের কারণে শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়।কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সাহায্য করে এই ব্যাকটেরিয়া।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে ফেলুনখাদ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেসব খাবারে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি থাকে সেসব খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও।
আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় কমলা খাওয়ার উপকারিতা কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
চিজ, দই, লাল মাংস, মাখন, কেক, বিস্কিট ও নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। লবণকে বিদায় জানান লবণ বেশি খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এর ফলে বৃদ্ধি পায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও ব্রিটেনে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হয় যে এনএইচএস থেকে তাদের পরামর্শ হলো দিনে সর্বোচ্চ ৬ গ্রাম (এক চা চামচের পরিমাণ) লবণ খাওয়া যেতে পারে।
ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাবেন
যেসব খাবারে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বেশি থাকে সেগুলো আমাদেরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।শুধু তাই নয়, এসব খাবার হৃদরোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়।ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে।
হৃদরোগের যেসব কারণ আছে সেগুলো ঠেকাতেও এসব খনিজ ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে। কোনও খেলাধুলা শুরু করার আগে অথবা কোনও নতুন ফিটনেস প্রোগ্রাম শুরু করার আগে ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার বর্তমান স্বাস্থ্য অবস্থা, যে কোনও স্বাস্থ্যসম্মত পরিস্থিতি, এবং উপযুক্ত কার্যকরী খেলাধুলার জন্য আপনার যোগ্যতা নিরীক্ষণ করতে সাহায্য করতে পারে।
হার্ট দুর্বল হলে কি খাওয়া উচিত
সম্প্রতি সময়ে বিশ্বের অনেক মানুষ বিভিন্ন করণে হার্টের সমস্যায় ভুগছেন। তাদের মতই আপনার যদি এমটি হয়ে থাকে তাহলে দুর্বল হার্ট সবল করার প্রক্রিয়াগুলো এখই জেনে নেয়া উচিৎ। তবে অবশ্যই হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।হার্ট দুর্বল হলে এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে উপকারী খাবারের সাথে সমৃদ্ধ একটি আহার প্রণালী অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ
হার্ট ভালো রাখতে :—
ফেলমূল ও শাকসব্জি।
বাদাম ও বীজ।
শিম ও মটর জাতীয় খাবার।
লাল চাল।
লাল আটা।
সামুদ্রিক মাছ।
অলিভ ওয়েল জাতীয় তেল।
ডিম প্রতিদিন (অন্য কোনো অসুবিধা না থাকলে )
মুরগীর মাংস (চামড়া ছাড়া হলে ভালো )
পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল।চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়া ভালো।প্রতিদিন সকালে ৩০ মিনিট স্লো ভাবে হাঁটা। উচ্চ ফাইবার খাদ্য: ফল, সবজি, পূর্ণ গ্রেইন, ওটস, ডাল, এবং মুখ্যভোজনে ফাইবারের উচ্চ পরিমাণ থাকতে পারে। ফাইবার হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
সুস্থ মাসপেশী ও প্রোটিন: মাংস, মাছ, ডাল, পুল্স, ডেয়ারি পণ্য, এবং সোয়াবিন মতো সুস্থ প্রোটিনের উচ্চ খাবার হার্টের স্বাস্থ্যকে সাহায্য করতে পারে।অমেগা-3 চর্বি: মাছ, চিনি বুটি, চিয়া বীজ, ফ্ল্যাকসিড এবং কোলড ওয়াটার ফিশ অমেগা-3 চর্বির উৎস হিসেবে দরকার। এটি হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো করতে সাহায্য করতে পারে এবং রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
সুস্থ বাণিজ্যিক তেল: অলিভ অয়েল, কানোলা অয়েল, সুয়াবিন অয়েল, এবং গাঁজরের বীজের তেল মধ্যে অমেগা-3 ও অমেগা-6 চর্বি থাকতে পারে। তাদের উপকারিতা হার্টের স্বাস্থ্যে বাড়াতে পারে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
ফল ও সবজির খাবার: ফল ও সবজির উচ্চ পরিমাণ খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে এবং রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। সতর্কতা: হার্টের সমস্যা থাকলে বা কোনও স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে সম্পর্কিত কোনও প্রশ্ন থাকলে, আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হোক।
হার্টের জন্য উপকারী ফল
ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে কিছু ফল আছে যেগুলো ত্বক সজীব রাখতে সহায়তা করে। আবার কিছু ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। কোনো কোনো ফল হজমে সাহায্য করে। কোনোটা আবার শরীরের নানা ধরনের ব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে।
হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে বিশেষভাবে উপকারী এবং সুস্থকর ফলগুলি উল্লেখ করা হল: আম (Mango): আমে ভরপুর ভিটামিন, ফলোনয়েড, এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট থাকতে পারে, যা হার্টের সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। আবারগিন (Avocado): আবারগিনে অমেগা-3 ফ্যাটি এসিড, পটাসিয়াম, এবং ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে থাকতে পারে এবং এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
কয়াম্বার (Cucumber): কয়াম্বার উচ্চ পরিমাণে পানি, ভিটামিন, এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট সামগ্রী থাকতে পারে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হার্টের সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। পোমেগ্রেনেট (Pomegranate): পোমেগ্রেনেটে পৌষ্টিক গুণ, আন্টিঅক্সিডেন্ট, এবং পটাসিয়াম থাকতে পারে এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
প্যাপায়া (Papaya): প্যাপায়া ফিবার, ভিটামিন, এবং আন্টিঅক্সিডেন্ট ধারণ করতে পারে এবং এটি হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। অর্জুন ফল (Arjuna Fruit): অর্জুন ফলে ভিটামিন, আন্টিঅক্সিডেন্ট, এবং ফ্যাটি অসিড থাকতে পারে এবং এটি হার্টের কাছে উপকারী হতে পারে।
অভাকাডো (Acai Berry): এই বেরি মূলত অমেরিকা দক্ষিণ এবং আমেরিকান অমাজন অঞ্চলে পাওয়া যায় এবং এটি একটি ভারী আন্টিঅক্সিডেন্ট সোর্স। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
এই ফলগুলি স্বাস্থ্যকর এবং হার্টের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে সতর্কতা অবলম্বন করে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কোনও পূর্বে থাকা স্বাস্থ্য সমস্যা বা খাদ্যপণ্যের জন্য অতিরিক্ত উচ্চ শুগার বা কোলেস্টেরলের ঝুঁকি নিতে চান, তবে আপনার চিকিৎসকে পরামর্শ নেবার আগে সাবধানভাবে খাচ্ছেন।
হার্টের ঔষধের নাম
হার্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন অধিকাংশ ঔষধের একটি চিত্রণ তৈরি করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ প্রাপ্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তার সাধারিত ভাবে রক্তনাশক, ব্লাড থিনার, ব্লকবাস্টার, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রক, এবং অন্যান্য ধরণের ঔষধি সাজাবেন।
কিছু সাধারিত হার্ট ঔষধের উদাহরণ হল: এসপিরিন (Aspirin): এটি ব্লাড থিনার হিসেবে কাজ করতে পারে এবং হার্ট অ্যাট্যাক ও ইস্কেমিক স্ট্রোক রোগে ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। স্ট্যাটিন (Statins): এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে এবং হার্ট সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: ডায়াবেটিস কি খেলে ভালো হয় বিস্তারিত জেনে নিন
বিটা-ব্লকার (Beta-blockers): এটি হার্ট রেট কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং হার্ট রোগ ও রোগপ্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এঞ্জায়াইম ইনহিবিটর (ACE Inhibitors): এটি রক্তদাবা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে। এঞ্জায়াইম রিপ্টোর ব্লকার (ARBs): এটি রক্তদাবা নিয়ন্ত্রণ করতে
এবং হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে, এবং কিছুটা ACE Inhibitors এর মধ্যে প্রভাবিত হওয়ার পরে ব্যবহার হয়। উল্লেখযোগ্য যে, হার্ট রোগ অথবা অন্যান্য মেডিক্যাল সমস্যা হলে যে কোনও ধরণের ঔষধ বা চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ প্রাপ্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।
হার্টের রোগীর খাবার তালিকা
হার্টের রোগ বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ভবিষ্যতে একই ধরনের পরিস্থিতি কিংবা বড় ধরনের শারীরিক জটিলতা এড়াতে সচেতন হতে হবে খাদ্য নির্বাচনে। হার্টের রোগীর খাবার কেমন হওয়া উচিত, তা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন।হার্টের রোগীরা তাদের খাদ্য ও আহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তাদের স্বাস্থ্যকে উন্নত রাখতে এবং হার্ট সংক্রান্ত ঝুঁকি কমাতে।
নিম্নে হার্টের রোগীদের জন্য উপকারী খাবারের একটি সারস তালিকা দেওয়া হলো: ফল ও সবজি: বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি খেতে হার্টের রোগীদের উপকারী। এগুলি ভিটামিন, মিনারেল, এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ, এবং রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে। পূর্ণ গ্রেইন ও ধান: পূর্ণ গ্রেইন যেমন ব্রাউন রাইস, ওটস, এবং পূর্ণ গ্রেইন ব্রেড খেতে হার্টের রোগীদের সুপারিশ করা হয়।
মাংস (কামি তেলে) এবং প্রোটিন: মাংসে অমেগা-3 ফ্যাটি এসিড থাকতে পারে এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি কামি তেলে হতে হবে। পুল্স, ডাল, এবং বাইস অথবা মুগের ধান প্রোটিনের উৎস হিসেবে ভালো হয়ে থাকতে পারে। অমেগা-3 চর্বির উচ্চ খাবার: অমেগা-3 চর্বি থাকা খাবার হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
মাছ, শুঁটকি, মুড়ি, চিয়া বীজ, গাজরের বীজ, অলিভ অয়েল ইত্যাদি অমেগা-3 চর্বির উচ্চ খাবার। নিচের ওয়ার্ড তেল: অলিভ অয়েল, কানোলা অয়েল, সুয়াবিন অয়েল ইত্যাদি হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো করতে সাহায্য করতে পারে। ডেয়ারি পণ্য: লো-ফ্যাট অথবা স্কিম ডেয়ারি পণ্য ভালো হয়ে থাকতে পারে এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
নীচের ওয়ার্ড চিনি: সুগারের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হার্টের রোগীদের উচ্চ কামি বা নীচের ওয়ার্ড চিনি বা শক্তি বিশেষ করে মধু ব্যবহার করা হয়। নিম্ন সোডিয়াম (নাম) খাবার: হার্টের রোগীরা নিম্ন সোডিয়াম খাবারের কাছে আলাদা হওয়া হোক, যাতে তাদের রক্তদাবা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য হতে পারে।