খাওয়ার পর পেট ভুটভাট করার ৭টি লক্ষণ

খাওয়ার পর পেট ভুটভাট করার ৭টি লক্ষণ খাবার খাওয়ার পর অনেকেরই পেট থেকে গুড় গুড় শব্দ হয়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলা হয় পেটের গর্জন। অধিকাংশের ধারণা পেট খালি হয়ে গেলে এই শব্দ হয়। 

আবার খাবার খাওয়ার পরও এই শব্দ হওয়া স্বাভাবিক। কারণ খাবার যখন অন্ত্রের মাধ্যমে যায় তখন পেশীর সংকোচন এবং পরিপাকতন্ত্রে গ্যাস তৈরি হওয়ার কারণে এমন শব্দ হতে পারে। যদি প্রায়শই এই সমস্যা হয় তাহলে সাবধান। পেট ভুটভাট করে পায়খানা হয় নরম

খাওয়ার পর পেট ভুটভাট করার ৭টি লক্ষণ

খাওয়ার পর পেট ভুটভাট করে এতে আপনার অস্বস্তিকর অনুভব হতে পারে। যা আপনাকে একধরণের বিরক্ত বোধ মনে হয়। পাচনতন্ত্রের জটিল কাজগুলি কখনও কখনও ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। 

খাওয়ার পর পেট ভুটভাট করার ৭টি লক্ষণ

খাওয়ার পর পেট ভুটভাট করা একটি সাধারণ সমস্যা। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন: খাবারের পরিমাণ বেশি হওয়া। একবারে বেশি খাবার খেলে পেট ভরে যায় এবং ফুলে যায়। খাবারে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হওয়া কিছু খাবার, যেমন ভাজা খাবার, মশলাদার খাবার, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে।

খাবারের সাথে অতিরিক্ত পানি পান করা। খাবারের সাথে অতিরিক্ত পানি পান করলে পেট ফুলে যেতে পারে। খাদ্য হজমজনিত সমস্যা।গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), পেটে আলসার, অন্ত্রের সংক্রমণ ইত্যাদি রোগের কারণে খাদ্য হজমজনিত সমস্যা হতে পারে, যার ফলে পেট ভুটভাট করতে পারে।

আরো পড়ুন: ডালিম বা বেদানা খেলে কী হয় জানেন? ডালিম এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

মানসিক চাপ মানসিক চাপের কারণেও পেট ভুটভাট করতে পারে। ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পেট ফুলে যেতে পারে। খাওয়ার পর পেট ভুটভাট করার কিছু লক্ষণ হলো: পেট ফুলে যাওয়া। খাওয়ার পর পেট ফুলে যাওয়া হলো পেট ভুটভাট করার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ।

অস্বস্তি বোধ করা:পেট ফুলে গেলে পেটে চাপ, অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। গ্যাসের সমস্যা পেট ফুলে গেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে, যেমন বুকজ্বালা, ঢেকুর উঠা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি। বমি বমি ভাব বা বমি করা। কিছু ক্ষেত্রে পেট ফুলে গেলে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। খাবার হজম হতে সমস্যা হওয়া। পেট ফুলে গেলে খাবার হজম হতে সমস্যা হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি। পেট ফুলে গেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। খাওয়ার পর পেট ভুটভাট করা হলে প্রথমে নিজেই কিছু ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করা যেতে পারে। যেমন অল্প অল্প করে খাওয়া।  একবারে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া উচিত। খাবারের সাথে অতিরিক্ত পানি না পান করা। খাবারের সাথে অতিরিক্ত পানি না পান করা উচিত।

খাবারে গ্যাস তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম এমন খাবার খাওয়া ভাজা খাবার, মশলাদার খাবার, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম করা। নিয়মিত ব্যায়াম করলে হজম ভালো হয় এবং পেট ফাঁপা কমে যায়। যদি ঘরোয়া প্রতিকারে ভালো না লাগে বা লক্ষণগুলি গুরুতর হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলির কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারবেন।

পেট ভুটভাট করে পায়খানা হয় নরম

পেট ভুটভাট করে পায়খানা নরম হওয়ার অনেকগুলি সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল খাদ্যাভ্যাস: কিছু খাবার, যেমন ভাজা খাবার, মশলাদার খাবার, দুগ্ধজাত খাবার, ফাইবারযুক্ত খাবার ইত্যাদি খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। এই গ্যাসের কারণে পেট ভুটভাট করতে পারে এবং পায়খানা নরম হতে পারে।

খাদ্য হজমজনিত সমস্যা গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), পেটে আলসার, অন্ত্রের সংক্রমণ ইত্যাদি রোগের কারণে খাদ্য হজমজনিত সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যার কারণেও পেট ভুটভাট করতে পারে এবং পায়খানা নরম হতে পারে।

মানসিক চাপ মানসিক চাপের কারণেও পেট ভুটভাট করতে পারে এবং পায়খানা নরম হতে পারে।
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পেট ফাঁপা এবং পায়খানা নরম হতে পারে।

আরো পড়ুন: দুধ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত জানুন

পেট ভুটভাট করে পায়খানা নরম হওয়ার কিছু লক্ষণ হলো পেট ফুলে যাওয়া পেট ভুলে গেলে পেটে চাপ, অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। গ্যাসের সমস্যা পেট ফুলে গেলে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে, যেমন বুকজ্বালা, ঢেকুর উঠা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি।

বমি বমি ভাব বা বমি করা: কিছু ক্ষেত্রে পেট ফুলে গেলে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। খাবার হজম হতে সমস্যা হওয়া: পেট ফুলে গেলে খাবার হজম হতে সমস্যা হতে পারে। ওজন বৃদ্ধি পেট ফুলে গেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। পেট ভুটভাট করে পায়খানা নরম হওয়ার সমস্যা হলে প্রথমে নিজেই কিছু ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করা যেতে পারে। যেমন

অল্প অল্প করে খাওয়া: একবারে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া উচিত। খাবারের সাথে অতিরিক্ত পানি না পান করা: খাবারের সাথে অতিরিক্ত পানি না পান করা উচিত। খাবারে গ্যাস তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম এমন খাবার খাওয়া: ভাজা খাবার, মশলাদার খাবার, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

নিয়মিত ব্যায়াম করা নিয়মিত ব্যায়াম করলে হজম ভালো হয় এবং পেট ফাঁপা কমে যায়। যদি ঘরোয়া প্রতিকারে ভালো না লাগে বা লক্ষণগুলি গুরুতর হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলির কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারবেন।


এখানে কিছু নির্দিষ্ট খাবারের কথা বলা হলো যা পেট ভুটভাট করে পায়খানা নরম করতে পারে ভাজা খাবার: ভাজা খাবার হজম করতে কঠিন, তাই এগুলি খেলে পেট ফাঁপা এবং পায়খানা নরম হতে পারে। মশলাদার খাবার: মশলাদার খাবার হজম করতে কঠিন, তাই এগুলি খেলে পেট ফাঁপা এবং পায়খানা নরম হতে পারে।

দুগ্ধজাত খাবার দুগ্ধজাত খাবার কিছু লোকের পেটে গ্যাস তৈরি করতে পারে, তাই এগুলি খেলে পেট ফাঁপা এবং পায়খানা নরম হতে পারে। ফাইবারযুক্ত খাবার ফাইবারযুক্ত খাবার হজম করতে সময় লাগে, তাই এগুলি খেলে কিছু লোকের পেট ফাঁপা হতে পারে। আপনি যদি এই ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন এবং তারপর পেট ভুটভাট করে পায়খানা নরম হয়, তাহলে সেগুলি এড়িয়ে চলা উচিত।

খাওয়ার পর পেটে শব্দ হয় কেন

খাওয়ার পর পেটে শব্দ হওয়ার দুটি প্রধান কারণ হল পরিপাকতন্ত্রের পেশীর সংকোচন খাবার যখন পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে যায়, তখন পরিপাকতন্ত্রের পেশীগুলি সংকুচিত হয়। এই সংকোচনের ফলে খাবার হজম হয় এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায়। এই সংকোচনের শব্দই পেটে গুড়গুড় শব্দের কারণ।

গ্যাসের উপস্থিতি খাবার খাওয়ার সময় বাতাসও শরীরে প্রবেশ করে। এই বাতাস পরিপাকতন্ত্রে গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাসের ফলেও পেটে শব্দ হতে পারে। খাওয়ার পর পেটে শব্দ হওয়া সাধারণত কোনো সমস্যা নয়। তবে, যদি পেটে শব্দের সাথে অন্যান্য উপসর্গ যেমন পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি দেখা দেয়, তাহলে তা কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে।

খাওয়ার পর পেটে শব্দ কমাতে বা রোধ করতে নিচের বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখতে পারেন ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার ফলে বেশি বাতাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। খাবারের সাথে অতিরিক্ত জল বা পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন। কার্বনেটেড পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন।

ফল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ইত্যাদি বেশি করে খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এছাড়াও, যদি আপনার পেটে শব্দের সাথে অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পেট ডাকা বন্ধ করার উপায়

পেট ডাকা বন্ধ করার জন্য নিচের বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখতে পারেন ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার ফলে বেশি বাতাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যা পেট ডাকার অন্যতম কারণ। খাবারের সাথে অতিরিক্ত জল বা পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন। খাবারের সাথে অতিরিক্ত তরল পান করলে তা পেট থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায়, যা পেট ডাকার কারণ হতে পারে।

কার্বনেটেড পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন। কার্বনেটেড পানীয়গুলিতে কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে, যা পেটে গ্যাস তৈরি করে এবং পেট ডাকার কারণ হতে পারে। ফল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ইত্যাদি বেশি করে খান। আঁশযুক্ত খাবার হজম হতে সময় লাগে, যা পেট ডাকার ঝুঁকি কমায়।

আরো পড়ুন: রমজান মাসে ইফতারে ছোলা বা বুট কতটা উপকারি

নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম পরিপাকতন্ত্রকে সচল রাখতে সাহায্য করে, যা পেট ডাকার ঝুঁকি কমায়।
এছাড়াও, যদি আপনার পেটে ডাকার সাথে অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, যেমন পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

নিচে কিছু নির্দিষ্ট টিপস দেওয়া হল যা পেট ডাকা বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে দাঁত ব্রাশ করুন। এতে খাবার থেকে বাতাস শরীরে প্রবেশের পরিমাণ কমে যায়। খাবার খাওয়ার সময় কথা বলা এড়িয়ে চলুন। কথা বলার সময় বাতাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

খাবারের সাথে গ্যাস্ট্রিক ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। গ্যাস্ট্রিক ট্যাবলেট পেটে গ্যাস তৈরি কমাতে সাহায্য করে। যদি আপনি এই টিপসগুলি মেনে চলার পরেও আপনার পেট ডাকা বন্ধ না হয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পেটে গুড়গুড় শব্দ হলে করণীয়

পেটে গুড়গুড় শব্দ হলে করণীয় হলো প্রথমত, বুঝতে হবে যে পেটে গুড়গুড় শব্দ হওয়াটা তেমন কোনো সমস্যা নয়। এটি পরিপাকতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রমের একটি অংশ। তবে, যদি পেটে গুড়গুড় শব্দের সাথে অন্যান্য উপসর্গ যেমন পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি দেখা দেয়, তাহলে তা কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে।

যদি পেটে গুড়গুড় শব্দের সাথে অন্য কোনো উপসর্গ না থাকে, তাহলে নিচের বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখতে পারেন ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার ফলে বেশি বাতাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। খাবারের সাথে অতিরিক্ত জল বা পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন।

কার্বনেটেড পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন। ফল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ইত্যাদি বেশি করে খান।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন। যদি পেটে গুড়গুড় শব্দের সাথে অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক আপনার পেটের সমস্যার কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন।

এছাড়াও, নিচের টিপসগুলি পেটে গুড়গুড় শব্দ কমাতে সাহায্য করতে পারে খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে দাঁত ব্রাশ করুন। এতে খাবার থেকে বাতাস শরীরে প্রবেশের পরিমাণ কমে যায়। খাবার খাওয়ার সময় কথা বলা এড়িয়ে চলুন। কথা বলার সময় বাতাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

খাবারের সাথে গ্যাস্ট্রিক ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। গ্যাস্ট্রিক ট্যাবলেট পেটে গ্যাস তৈরি কমাতে সাহায্য করে। আশা করি এই তথ্যগুলি আপনার কাজে লাগবে।

পেট গুড়গুড় করে কেন

পেট গুড়গুড় করার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলি হল খাবার হজম খাদ্যনালী দিয়ে খাবার যখন পাকস্থলীতে প্রবেশ করে, তখন পাকস্থলীর পেশীগুলি সংকোচিত হয় এবং খাবারকে গুঁড়ো করতে সাহায্য করে। এই সংকোচনের ফলে পেটের মধ্যে বাতাস এবং তরল চলাচল করে, যা শব্দ তৈরি করে।

অতিরিক্ত বাতাস: খাবার খাওয়ার সময়, আমরা খাবারের সাথে বাতাসও খেয়ে ফেলি। তাড়াহুড়ো করে খাওয়া, খাবারের সাথে কথা বলা, চিউইং গাম খাওয়া ইত্যাদির কারণে অতিরিক্ত বাতাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই বাতাস পেটের মধ্যে বদ্ধ হয়ে শব্দ তৈরি করতে পারে।

গ্যাস তৈরি: কিছু খাবার হজম হওয়ার সময় গ্যাস তৈরি করে। যেমন, ডাল, মটরশুঁটি, শিম, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি। এই গ্যাস পেটের মধ্যে বদ্ধ হয়ে শব্দ তৈরি করতে পারে। হজমজনিত সমস্যা: ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS), গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), আলসার ইত্যাদি হজমজনিত সমস্যার কারণেও পেট গুড়গুড় করতে পারে।

আরো পড়ুন: আইসক্রিমের উপকারিতা ও অপকারিতা কি

পেট গুড়গুড় শব্দের সাথে অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে, যেমন পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি, তাহলে তা কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
পেট গুড়গুড় শব্দ কমাতে নিচের বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখতে পারেন

ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাবারের সাথে অতিরিক্ত জল বা পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন। কার্বনেটেড পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন। ফল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ইত্যাদি বেশি করে খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এছাড়াও, নিচের টিপসগুলি পেটে গুড়গুড় শব্দ কমাতে সাহায্য করতে পারে

খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে দাঁত ব্রাশ করুন। খাবার খাওয়ার সময় কথা বলা এড়িয়ে চলুন। খাবারের সাথে গ্যাস্ট্রিক ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।

পেটে বুট বুট শব্দ করে কেন

পেটে বুট বুট শব্দ করার কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলি হল খাবার হজম: খাবার যখন পাকস্থলী এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যায়, তখন পেশীগুলি সংকোচিত হয় এবং খাবারকে গুঁড়ো করতে সাহায্য করে। এই সংকোচনের ফলে পেটের মধ্যে বাতাস এবং তরল চলাচল করে, যা শব্দ তৈরি করে।

অতিরিক্ত বাতাস খাবার খাওয়ার সময়, আমরা খাবারের সাথে বাতাসও খেয়ে ফেলি। তাড়াহুড়ো করে খাওয়া, খাবারের সাথে কথা বলা, চিউইং গাম খাওয়া ইত্যাদির কারণে অতিরিক্ত বাতাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই বাতাস পেটের মধ্যে বদ্ধ হয়ে শব্দ তৈরি করতে পারে।

গ্যাস তৈরি কিছু খাবার হজম হওয়ার সময় গ্যাস তৈরি করে। যেমন, ডাল, মটরশুঁটি, শিম, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি। এই গ্যাস পেটের মধ্যে বদ্ধ হয়ে শব্দ তৈরি করতে পারে। হজমজনিত সমস্যা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS), গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD), আলসার ইত্যাদি হজমজনিত সমস্যার কারণেও পেট বুট বুট করতে পারে।

পেট বুট বুট শব্দের সাথে অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে, যেমন পেটে ব্যথা, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি, তাহলে তা কোনো রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পেট বুট বুট শব্দ কমাতে নিচের বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখতে পারেন

ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাবারের সাথে অতিরিক্ত জল বা পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন। কার্বনেটেড পানীয় পান করা এড়িয়ে চলুন। ফল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার ইত্যাদি বেশি করে খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এছাড়াও, নিচের টিপসগুলি পেটে বুট বুট শব্দ কমাতে সাহায্য করতে পারে

খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে দাঁত ব্রাশ করুন। খাবারের সাথে কথা বলা এড়িয়ে চলুন। খাবারের সাথে গ্যাস্ট্রিক ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।

পেটের ভিতর ডাকাডাকি করে কেন

পেটের ভিতর ডাকাডাকি করার মূল কারণ হলো পরিপাক প্রক্রিয়া। যখন আমরা খাবার খাই, তখন আমাদের পাকস্থলীর পেশীগুলো সংকুচিত হয়ে খাবারকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়। এই সংকোচনের ফলে খাবারের সাথে থাকা বাতাস ও তরলও পাকস্থলী থেকে অন্ত্রের দিকে চলে যায়। এই বাতাস ও তরল যখন অন্ত্রের খালি জায়গায় প্রবাহিত হয়, তখন শব্দ হয়। এই শব্দকেই পেটের ডাকাডাকি বলা হয়।

পেটের ডাকাডাকির আরেকটি কারণ হলো গ্যাস। খাবার হজম হওয়ার সময় আমাদের অন্ত্রে গ্যাস তৈরি হয়। এই গ্যাসও যখন অন্ত্রের খালি জায়গায় প্রবাহিত হয়, তখন শব্দ হয়। পেটের ডাকাডাকি সাধারণত ক্ষুধার্ত অবস্থায় বেশি হয়। কারণ ক্ষুধার্ত অবস্থায় পাকস্থলীর পেশীগুলো বেশি সংকোচিত হয়। এছাড়াও, কার্বনেটেড পানীয়, মশলাদার খাবার, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি খেলে পেটের ডাকাডাকি হতে পারে।

পেটের ডাকাডাকি সাধারণত কোনো সমস্যার লক্ষণ নয়। তবে, যদি পেটের ডাকাডাকি অতিরিক্ত হয় বা সাথে অন্যান্য উপসর্গ থাকে, যেমন- বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পেটের ডাকাডাকি কমাতে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে পারেন

নিয়মিত খাবার খান। ক্ষুধার্ত অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকবেন না। কার্বনেটেড পানীয়, মশলাদার খাবার, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। পরিমিত পরিমাণে পানি পান করুন। ব্যায়াম করুন। এই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখলে পেটের ডাকাডাকি কমাতে সাহায্য করবে।

পেটের ভিতর কাপে কেন

পেটের ভিতর কাপের শব্দ হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো গ্যাস তৈরি। খাবার হজম হওয়ার সময় আমাদের অন্ত্রে গ্যাস তৈরি হয়। এই গ্যাস যখন অন্ত্রের খালি জায়গায় প্রবাহিত হয়, তখন শব্দ হয়। এই শব্দটিকে কাপের শব্দের সাথে তুলনা করা হয়।

গ্যাস তৈরির অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে খাবারে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ বেশি হলে খাবারে কার্বন ডাই অক্সাইড বা অন্য কোন গ্যাস থাকে এমন উপাদান থাকলে খাবার তাড়াহুড়ো করে খেলে খাবারের সাথে অতিরিক্ত বাতাস খেয়ে ফেললে

পেটের ভিতর কাপের শব্দ হওয়ার আরেকটি কারণ হলো খাদ্যনালীর সংকোচন। খাদ্যনালী দিয়ে খাবার যখন পাকস্থলীতে প্রবেশ করে, তখন খাদ্যনালীর পেশীগুলো সংকোচিত হয়। এই সংকোচনের ফলেও শব্দ হতে পারে।

আরো পড়ুন: মিষ্টি দই এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন

পেটের ভিতর কাপের শব্দ হওয়ার সাথে সাথে যদি অন্যান্য উপসর্গ থাকে, যেমন- বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পেটের ভিতর কাপের শব্দ কমাতে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে পারেন

নিয়মিত খাবার খান। খাবারে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ বেশি থাকলে পরিমিত পরিমাণে খান। খাবারে কার্বন ডাই অক্সাইড বা অন্য কোন গ্যাস থাকে এমন উপাদান থাকলে এড়িয়ে চলুন। খাবার তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। খাবারের সাথে অতিরিক্ত বাতাস খেয়ে ফেলবেন না। 

গাজর, শসা, ব্রকলি ইত্যাদি শাকসবজি বেশি করে খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখলে পেটের ভিতর কাপের শব্দ কমাতে সাহায্য করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন