মেয়েদের মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ উপায়
মুখের লোম দূর করার ক্রিমের নাম অনেক নারীই মুখের লোম নিয়ে বেশ বিব্রতবোধ করেন। এজন্য যদিও অনেকেই লেজার করে থাকেন। তবে লোম দূর করার পদ্ধতিটি বেশ ব্যয়বহুল। ওয়াক্স, থ্রেডিংয়ের মাধ্যমেই বেশিরভাগ নারী ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভ করেন। যদিও এগুলো করতে অনেক ব্যথা সহ্য করতে হয়। কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো?
সৌন্দর্য সচেতন নারীদের জন্য মুখের অবাঞ্ছিত লোম খুবই অস্বস্তিকর, লজ্জ্বাজনক। তারা যে কোন উপায়ে পরিত্রাণ পেতে চান এই পরিস্থিতি থেকে। সাধারণত ঠোঁটের উপরে আর নীচে, থুতনির কাছে লোম দেখা যায়।
মেয়েদের মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ উপায়
মেয়েদের মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য নিচের সহজ উপায়গুলি অনুসরণ করতে পারেন: টুইজার ব্যবহার করা: টুইজার হল সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজ উপায়ে মুখের লোম দূর করার। টুইজার দিয়ে লোম তুলতে হলে, লোমের গোড়ায় ক্লিপ করে টানতে হবে। টুইজার ব্যবহার করলে লোম দ্রুত দূর হয়, তবে এটি ব্যথাও লাগে।
ওয়াক্সিং করা: ওয়াক্সিং হল আরেকটি জনপ্রিয় উপায়ে মুখের লোম দূর করার। ওয়াক্সিং করলে লোমের গোড়া থেকে লোম উঠে যায়, তাই লোম পুনরায় গজাতে অনেক সময় লাগে। তবে ওয়াক্সিং করলে ত্বকে লালচে দাগ পড়তে পারে।
আরো পড়ুন: চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ৩টি উপায়
ইলেক্ট্রোলাইসিস করা: ইলেক্ট্রোলাইসিস হল মুখের লোম দূর করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। ইলেক্ট্রোলাইসিসে লোমের গোড়ায় একটি সূক্ষ্ম সুই ঢোকানো হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে লোমের গোড়া ধ্বংস করা হয়। ইলেক্ট্রোলাইসিস করলে লোম পুনরায় গজাতে পারে না। তবে ইলেক্ট্রোলাইসিস একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি এবং এটি বেশ সময়সাপেক্ষ।
লেজার থেরাপি করা: লেজার থেরাপি হল মুখের লোম দূর করার আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি। লেজার থেরাপিতে লোমের গোড়ায় লেজার রশ্মি প্রয়োগ করা হয় এবং লোমের গোড়া ধ্বংস করা হয়। লেজার থেরাপি করলে লোম পুনরায় গজাতে পারে না। তবে লেজার থেরাপি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি এবং এটি বেশ সময়সাপেক্ষ।
ঘরোয়া উপায়: মেয়েদের মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে। এই উপায়গুলি তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল এবং সহজ। লেবুর রস: লেবুর রস ত্বকের লোম দূর করার জন্য একটি কার্যকর উপাদান। লেবুর রস দিয়ে ত্বক স্ক্রাব করলে লোমের গোড়া দুর্বল হয় এবং লোম সহজেই দূর হয়।
চিনি ও লেবুর রস: চিনি ও লেবুর রস দিয়ে মুখের লোম দূর করার জন্য একটি কার্যকর পদ্ধতি হল ওয়াক্সিং। চিনি ও লেবুর রস দিয়ে তৈরি পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে, পেস্টের এক প্রান্ত ধরে টানলে লোম উঠে আসে।
ওটস ও দুধ: ওটস ও দুধ দিয়ে তৈরি পেস্ট ত্বকের লোম দূর করার জন্য একটি কার্যকর উপায়। ওটস ও দুধের পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে লোম দূর হয়।
কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো?
কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করে লোমের পরিমাণ, লোমের ঘনত্ব এবং ত্বকের ধরন ইত্যাদির উপর। সাধারণভাবে, লোমের পরিমাণ বেশি হলে ইলেক্ট্রোলাইসিস বা লেজার থেরাপি সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। তবে লোমের পরিমাণ কম হলে টুইজার, ওয়াক্সিং বা ঘরোয়া উপায়গুলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিরাপত্তা বিষয়গুলো: যেকোনো পদ্ধতিতে মুখের লোম দূর করার আগে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি: লোম দূর করার আগে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। লোম দূর করার সময় ত্বককে টানতে হবে না। লোম দূর করার পরে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। যদি লোম দূর করার পরে ত্বকে লালচে দাগ, চুলকানি বা ব্যথা হয় তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
মেয়েদের মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার উপায় প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে শরীরের অবাঞ্ছিত লোম অপসারণের পদ্ধতি হল ‘সুগারিং’। আর নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পদ্ধতিটির প্রধান উপাদানই হল ‘সুগার’ অর্থাৎ চিনি। সঙ্গে মেশাতে হবে লেবুর রস ও পানি। প্রাকৃতিক এসব ঘরোয়া টোটকা মুখের অযাচিত চুল মুছে ফেলতে সহায়তা করবে। মুখে অবাঞ্ছিত চুল এমন একটি সমস্যা যা থেকে বেশিরভাগ মহিলারাই মুক্তি পেতে চান।
প্রায় তিন মিনিট এই মিশ্রণটি গরম করুন। প্রয়োজনে মিশ্রণটি পাত্রে পানি যোগ করুন। পেস্টটি ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পরে চুলের বৃদ্ধির উপর পেস্টটি লাগিয়ে দিন।এখন একটি ওয়াক্সিং স্ট্রিপ বা একটি সুতির কাপড় ব্যবহার করুন। এটির সাহায্যে চুল বাড়ার বিপরীত দিকে টানুন। মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুন: গরমে ডিম খাওয়া কেন এড়িয়ে চলবেন?
আপনি চিনি এবং লেবু দিয়ে মুখের লোম দুর করে ফেলতে পারেন। কারণ চিনি একটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটিং এজেন্ট এবং গরম চিনি আপনার চুলের সাথে লেগে থাকে। যেখানে লেবুর রস সেই মুহূর্তে প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে।
প্রথমে ৮-৯ টেবিল চামচ পানিতে দুই চামচ চিনি এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। গরম করার পর ঠান্ডা করুন। প্রায় ২০-২৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। বৃত্তাকার গতিতে ঘষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।ওটমিল এবং কলা মুখের লোম দূর করে ফেলতেও সহায়তা করে।
এই পদ্ধতিটি বেশ সহজ। ওটমিল একটি দুর্দান্ত, হাইড্রেটিং স্ক্রাব তৈরি করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোতে সমৃদ্ধ। এটি আপনার ত্বক থেকে লালচেভাব দূর করতেও সহায়তা করবে।
ঠোঁটের উপরের লোম দূর করার উপায়
ঠোঁটের উপরের লোম দূর করার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: টুইজার ব্যবহার করা: টুইজার হল সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজ উপায়ে ঠোঁটের উপরের লোম দূর করার। টুইজার দিয়ে লোম তুলতে হলে, লোমের গোড়ায় ক্লিপ করে টানতে হবে। টুইজার ব্যবহার করলে লোম দ্রুত দূর হয়, তবে এটি ব্যথাও লাগে।
ওয়াক্সিং করা: ওয়াক্সিং হল আরেকটি জনপ্রিয় উপায়ে ঠোঁটের উপরের লোম দূর করার। ওয়াক্সিং করলে লোমের গোড়া থেকে লোম উঠে যায়, তাই লোম পুনরায় গজাতে অনেক সময় লাগে। তবে ওয়াক্সিং করলে ত্বকে লালচে দাগ পড়তে পারে।
ইলেক্ট্রোলাইসিস করা: ইলেক্ট্রোলাইসিস হল ঠোঁটের উপরের লোম দূর করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। ইলেক্ট্রোলাইসিসে লোমের গোড়ায় একটি সূক্ষ্ম সুই ঢোকানো হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে লোমের গোড়া ধ্বংস করা হয়। ইলেক্ট্রোলাইসিস করলে লোম পুনরায় গজাতে পারে না। তবে ইলেক্ট্রোলাইসিস একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি এবং এটি বেশ সময়সাপেক্ষ।
লেজার থেরাপি করা: লেজার থেরাপি হল ঠোঁটের উপরের লোম দূর করার আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি। লেজার থেরাপিতে লোমের গোড়ায় লেজার রশ্মি প্রয়োগ করা হয় এবং লোমের গোড়া ধ্বংস করা হয়। লেজার থেরাপি করলে লোম পুনরায় গজাতে পারে না। তবে লেজার থেরাপি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি এবং এটি বেশ সময়সাপেক্ষ।
ঘরোয়া উপায় ঠোঁটের উপরের লোম দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে। এই উপায়গুলি তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল এবং সহজ। লেবুর রস: লেবুর রস ত্বকের লোম দূর করার জন্য একটি কার্যকর উপাদান। লেবুর রস দিয়ে ত্বক স্ক্রাব করলে লোমের গোড়া দুর্বল হয় এবং লোম সহজেই দূর হয়।
চিনি ও লেবুর রস: চিনি ও লেবুর রস দিয়ে ঠোঁটের উপরের লোম দূর করার জন্য একটি কার্যকর পদ্ধতি হল ওয়াক্সিং। চিনি ও লেবুর রস দিয়ে তৈরি পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে, পেস্টের এক প্রান্ত ধরে টানলে লোম উঠে আসে।
চিরতরে মুখের লোম দূর করার উপায়
মুখের লোম দূর করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে কিছু পদ্ধতি স্থায়ীভাবে লোম দূর করতে পারে, আবার কিছু পদ্ধতি লোমকে কেবল সাময়িকভাবে দূর করে। স্থায়ীভাবে মুখের লোম দূর করার পদ্ধতি:
ইলেক্ট্রোলাইসিস: ইলেক্ট্রোলাইসিস হল মুখের লোম দূর করার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে লোমের গোড়ায় একটি সূক্ষ্ম সুই ঢোকানো হয় এবং বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে লোমের গোড়া ধ্বংস করা হয়। ইলেক্ট্রোলাইসিস করলে লোম পুনরায় গজাতে পারে না। তবে ইলেক্ট্রোলাইসিস একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি এবং এটি বেশ সময়সাপেক্ষ।
লেজার থেরাপি: লেজার থেরাপি হল মুখের লোম দূর করার আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে লোমের গোড়ায় লেজার রশ্মি প্রয়োগ করা হয় এবং লোমের গোড়া ধ্বংস করা হয়। লেজার থেরাপি করলে লোম পুনরায় গজাতে পারে না। তবে লেজার থেরাপি একটি ব্যয়বহুল পদ্ধতি এবং এটি বেশ সময়সাপেক্ষ।
আরো পড়ুন: হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় যে অভ্যাসগুলো
সাময়িকভাবে মুখের লোম দূর করার পদ্ধতি: টুইজার: টুইজার হল সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজ উপায়ে মুখের লোম দূর করার। টুইজার দিয়ে লোম তুলতে হলে, লোমের গোড়ায় ক্লিপ করে টানতে হবে। টুইজার ব্যবহার করলে লোম দ্রুত দূর হয়, তবে এটি ব্যথাও লাগে।
ওয়াক্সিং: ওয়াক্সিং হল আরেকটি জনপ্রিয় উপায়ে মুখের লোম দূর করার। ওয়াক্সিং করলে লোমের গোড়া থেকে লোম উঠে যায়, তাই লোম পুনরায় গজাতে অনেক সময় লাগে। তবে ওয়াক্সিং করলে ত্বকে লালচে দাগ পড়তে পারে।
হরমোনের ওষুধ: হরমোনের ওষুধের মাধ্যমে লোমের বৃদ্ধি কমানো যায়। তবে এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
নিরাপত্তা বিষয়গুলো যেকোনো পদ্ধতিতে মুখের লোম দূর করার আগে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি: লোম দূর করার আগে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। লোম দূর করার সময় ত্বককে টানতে হবে না। লোম দূর করার পরে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
যদি লোম দূর করার পরে ত্বকে লালচে দাগ, চুলকানি বা ব্যথা হয় তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। চিরতরে মুখের লোম দূর করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট টিপস: ইলেক্ট্রোলাইসিস বা লেজার থেরাপির মতো স্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার করার আগে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
লোম দূর করার পদ্ধতি বেছে নেওয়ার সময় আপনার ত্বকের ধরন এবং লোমের ঘনত্ব বিবেচনা করুন।
লোম দূর করার পর ত্বককে ভালোভাবে পরিষ্কার এবং ময়েশ্চারাইজ করুন।
মুখের লোম দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
চিনি ও লেবুর রস: দুই টেবিল-চামচ চিনির সাথে লেবুর রস ও ৩৫ মি. লি বা আধা কাপ পানি মিশিয়ে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। যেখানে যেখানে লোম আছে সেখানে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষার পর পানি দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। লেবু ও মধু: এক টেবিল-চামচ মধু, দুই টেবিল-চামচ চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে তিন মিনিট ফোটাতে হবে।
তবে বিষয় হল হাতের কাছে থাকা উপাদান দিয়েই মুখের লোম অপসারণ করা যায়। চিনি ও লেবুর রস: দুই টেবিল-চামচ চিনির সাথে লেবুর রস ও ৩৫ মি.লি বা আধা কাপ পানি মিশিয়ে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। যেখানে যেখানে লোম আছে সেখানে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষার পর পানি দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আরো পড়ুন: যেসব কাজের আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া প্রয়োজন
লেবু ও মধু: এক টেবিল-চামচ মধু, দুই টেবিল-চামচ চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে তিন মিনিট ফোটাতে হবে। এই সময় ধীরে ধীরে নাড়তে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায় তবে পানি দিয়ে পাতলা করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। ঠাণ্ডা হওয়ার পর অবাঞ্ছিত লোমের অংশ লাগাতে হবে। এটা প্রাকৃতিক ‘ওয়াক্স’ হিসেবে কাজ করে। তাই ওয়াক্স স্ট্রিপ দিয়ে লোম ওঠার বিপরিতে টেনে তুলতে হবে।
ডিমের সাদা অংশ ও চালের আটা: বাটিতে ডিমের সাদা অংশ, এক টেবিল-চামচ চিনি ও আধা চা-চামচ চালের আটা মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে অবাঞ্ছিত লোমের অংশে মেখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এরপর লোম ওঠার বিপরীত দিকে শুকিয়ে যাওয়া মিশ্রণটা ধীরে টেনে তুলে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে মুখ।
ওটস এবং কলা: দুই টেবিল-চামচ ওটস ব্লেন্ডারে গুঁড়া করে নিতে হবে। এটা ‘এক্সফলিয়েন্ট’ হিসেবে ভালো কাজ করে। এর সঙ্গে একটি পাকা কলা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে লোমযুক্ত স্থানে মেখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাখতে হবে। ১৫ মিনিট এভাবে মালিশ করার পর স্বাভাবিক পানি দিয়ে আলতোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
পেঁপে ও হলুদ: ব্লসম কোচার বলেন, “পেঁপের এঞ্জাইম ‘পাপাইন’ লোমের গোড়া বা ‘হেয়ার ফলিকল’ ভেঙে দিতে পারে, পাশাপাশি লোম গাজানো রোধ করতে পারে।” পেঁপের শাঁসের সঙ্গে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মালিশ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ব্লসম কোচার পরামর্শ দেন, “এসব উপাদান সরাসরি মাখার আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করে নেওয়া জরুরি। যাতে ত্বকের প্রদাহ থেকে প্রতিহত করা যায়।”
মেয়েদের মুখের লোম দূর করার ক্রিম
মেয়েদের মুখের লোম দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। এই ক্রিমগুলো সাধারণত লোমকে নরম করে এবং লোম দূর করা সহজ করে তোলে। তবে এই ক্রিমগুলো লোমকে চিরতরে দূর করতে পারে না। লোম পুনরায় গজাতে পারে। মেয়েদের মুখের লোম দূর করার জন্য কিছু জনপ্রিয় ক্রিম হল:
- Veet Hair Removal Cream: এই ক্রিমটি লোমকে নরম করে এবং লোম দূর করা সহজ করে তোলে। এই ক্রিমটি ব্যবহারের পর ত্বক মসৃণ হয়।
- Nair Hair Removal Cream: এই ক্রিমটিও লোমকে নরম করে এবং লোম দূর করা সহজ করে তোলে। এই ক্রিমটি ব্যবহারের পর ত্বক মসৃণ হয়।
- Epilady Hair Removal Cream: এই ক্রিমটি লোমকে নরম করে এবং লোম দূর করা সহজ করে তোলে। এই ক্রিমটি ব্যবহারের পর ত্বক মসৃণ হয়।
- এই ক্রিমগুলো ব্যবহারের সময় বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে:
- ক্রিমটি ব্যবহার করার আগে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
- ক্রিমটি ব্যবহার করার সময় ত্বককে টানতে হবে না।
- ক্রিমটি ব্যবহার করার পর ত্বককে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- যদি ক্রিমটি ব্যবহার করার পর ত্বকে লালচে দাগ, চুলকানি বা ব্যথা হয় তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
মেয়েদের মুখের লোম দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় মেয়েদের মুখের লোম দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে। এই উপায়গুলো তেমন ব্যয়বহুল নয় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। মেয়েদের মুখের লোম দূর করার জন্য কিছু জনপ্রিয় ঘরোয়া উপায় হল:
লেবুর রস: লেবুর রস লোম দূর করার জন্য একটি কার্যকর উপায়। লেবুর রসে অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকে যা লোমকে নরম করে। লেবুর রস ব্যবহারের জন্য, একটি লেবুর রস বের করে লোমের উপর লাগিয়ে 10-15 মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর লোম তুলে ফেলুন।
আরো পড়ুন: চোখে এলার্জি হলে কী করবেন?
অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা জেল ত্বকের জন্য উপকারী একটি উপাদান। অ্যালোভেরা জেল লোম দূর করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের জন্য, অ্যালোভেরা জেল লোমের উপর লাগিয়ে 15-20 মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর লোম তুলে ফেলুন।
চিনি এবং লেবুর রস: চিনি এবং লেবুর রস দিয়ে ওয়াক্স তৈরি করে মুখের লোম দূর করা যেতে পারে। চিনি এবং লেবুর রস ওয়াক্স তৈরির জন্য, একটি পাত্রে চিনি, লেবুর রস এবং পরিমাণমতো জল মিশিয়ে জ্বাল দিন। চিনি গলে গেলে নামিয়ে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ওয়াক্স লোমের উপর লাগিয়ে টান দিয়ে তুলে ফেলুন।
এই ঘরোয়া উপায়গুলো ব্যবহার করার আগে ত্বকের উপর একটি ছোট্ট অংশে পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে ত্বকে কোন সমস্যা হয় কিনা।
মুখের লোম দূর করার ক্রিমের নাম
মুখের লোম দূর করার ক্রিম বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মুখের লোম দূর করার ক্রিম পাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় ক্রিমের নাম হল: Larel Depilatory Cream with Aloe: এই ক্রিমটি ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং সহজেই ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং লোম দূর করার পর ত্বকের লালভাব দূর করতে সাহায্য করে।
Natracare Hair Removal Cream: এই ক্রিমটিও ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে। এটি লোম দূর করার পর ত্বকের লালভাব দূর করতে সাহায্য করে। Veet Hair Removal Cream: এই ক্রিমটিও ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং সহজেই ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং লোম দূর করার পর ত্বকের লালভাব দূর করতে সাহায্য করে।
Nivea Silk & Fresh Hair Removal Cream: এই ক্রিমটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং লোম দূর করার পর ত্বকের লালভাব দূর করতে সাহায্য করে। Himalaya Herbal Hair Removal Cream: এই ক্রিমটি ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং লোম দূর করার পর ত্বকের লালভাব দূর করতে সাহায্য করে।
এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ত্বকের একটি ছোট জায়গায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে এতে কোনো অ্যালার্জি হয় কিনা। মুখের লোম দূর করার ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম:
- মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন।
- ক্রিমের নির্দেশাবলী অনুসারে মুখের লোমযুক্ত অংশে ক্রিমের একটি পাতলা আবরণ লাগান।
- ৫-১০ মিনিট পর একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ক্রিমটি মসৃণভাবে মুছে ফেলুন।
- লোমগুলি সহজেই উঠে আসবে।
মুখের লোম দূর করার ক্রিম ব্যবহারের কিছু টিপস:
- ক্রিমের নির্দেশাবলী অনুসারে সঠিকভাবে ব্যবহার করুন।
- ক্রিমের সময়সীমা অতিক্রম করবেন না।
- ক্রিমের ব্যবহারের পর ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
- ক্রিমের ব্যবহারের পর ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করুন।
মুখের লোম দূর করার জন্য ক্রিম ছাড়াও অন্যান্য পদ্ধতিও রয়েছে, যেমন: ওয়াক্সিং: ওয়াক্সিং একটি স্থায়ী লোম দূর করার পদ্ধতি। এটি ত্বকের উপরে লোমের গোড়া থেকে লোম তুলে ফেলে। ওয়াক্সিং করার পর ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে।
থ্রেডিং: থ্রেডিং একটি ঐতিহ্যবাহী লোম দূর করার পদ্ধতি। এটি ত্বকের উপরে লোমের গোড়া থেকে লোম তুলে ফেলে। থ্রেডিং করার পর ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে। ইলেকট্রোলাইসিস: ইলেকট্রোলাইসিস একটি স্থায়ী লোম দূর করার পদ্ধতি। এটি ত্বকের নিচে লোমের গোড়ায় বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে লোম দূর করে। ইলেকট্রোলাইসিস করা বেশ ব্যয়বহুল।
লেজার থেরাপি: লেজার থেরাপি একটি স্থায়ী লোম দূর করার পদ্ধতি। এটি ত্বকের নিচে লোমের গোড়ায় লেজার রশ্মির মাধ্যমে লোম দূর করে। লেজার থেরাপি করা বেশ ব্যয়বহুল। আপনার ত্বকের ধরন এবং লোমের ঘনত্বের উপর নির্ভর করে আপনি কোন পদ্ধতিটি বেছে নিবেন।
লোম দূর করার ঔষধ
লোম দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ঔষধ ত্বকের উপরের লোম তুলে ফেলে, আবার কিছু ঔষধ ত্বকের নিচে লোমের বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়। ত্বকের উপরের লোম তুলে ফেলার জন্য ব্যবহৃত ঔষধ:
- Depilatory creams: এই ঔষধগুলি ত্বকের উপরের লোমের প্রোটিনকে দ্রবীভূত করে লোম তুলে ফেলে।
- Waxing: এই পদ্ধতিতে ত্বকের উপর লোমের উপর একটি মোম লাগানো হয় এবং তারপর মোমকে টেনে তুলে ফেলা হয়।
- Threading: এই পদ্ধতিতে ত্বকের উপর লোমের উপর একটি সুতো দিয়ে লোম তুলে ফেলা হয়।
ত্বকের নিচে লোমের বৃদ্ধি বন্ধ করার জন্য ব্যবহৃত ঔষধ:
- Eflornithine: এই ঔষধটি ত্বকের নিচে লোমের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
- Vaniqa: এই ঔষধটি ত্বকের নিচে লোমের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
- Laser hair removal: এই পদ্ধতিতে ত্বকের নিচে লোমের গোড়ায় লেজার রশ্মি দিয়ে লোম পুড়িয়ে ফেলা হয়।
- লোম দূর করার জন্য কোন ঔষধ বা পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো তা নির্ভর করে আপনার ত্বকের ধরন, লোমের ঘনত্ব এবং লোম দূর করার লক্ষ্যের উপর।
ত্বকের ধরন:
শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকের জন্য ওয়াক্সিং বা থ্রেডিং করা ভালো। এগুলি ত্বকের উপরের লোম তুলে ফেলে, তাই ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয় না।
তৈলাক্ত ত্বক: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ডেপিল্যাটরি ক্রিম ব্যবহার করা ভালো। এগুলি ত্বকের উপরের লোম তুলে ফেলে এবং ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে সাহায্য করে।
লোমের ঘনত্ব:
পাতলা লোম: পাতলা লোম সহজেই তুলে ফেলা যায়। ডেপিল্যাটরি ক্রিম, ওয়াক্সিং বা থ্রেডিং যেকোনো পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঘন লোম: ঘন লোম তুলে ফেলার জন্য ওয়াক্সিং বা থ্রেডিং করা ভালো। এগুলি ত্বকের উপরের লোম তুলে ফেলে, তাই লোম পুনরায় গজাতে সময় লাগে।
লোম দূর করার লক্ষ্য:
স্থায়ীভাবে লোম দূর করা: স্থায়ীভাবে লোম দূর করার জন্য লেজার থেরাপি বা ইলেকট্রোলাইসিস করা যেতে পারে। অস্থায়ীভাবে লোম দূর করা: অস্থায়ীভাবে লোম দূর করার জন্য ডেপিল্যাটরি ক্রিম, ওয়াক্সিং বা থ্রেডিং যেকোনো পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। লোম দূর করার জন্য ঔষধ বা পদ্ধতি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।