ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা কি?
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা ড্রাগন ফল, নাম অনুসারে, ড্রাগনের মতো। এটি হাইলোসেরিয়াস নামে পরিচিত ক্লাইম্বিং ক্যাকটাসে বৃদ্ধি পায়, যা গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। ড্রাগন ফলের বাইরের আবরণ লাল এবং গোলাপী বা হলুদ রঙের হয়। ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
তাদের পাতাগুলি একটি ড্রাগনের মতো এবং ফলের চারপাশে একটি শিখার মতো অঙ্কুরযুক্ত স্পাইক রয়েছে। Hylocereus মূলত দক্ষিণ মেক্সিকো, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় বেড়ে ওঠে এবং 19 শতকের গোড়ার দিকে ফরাসিরা এটিকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নিয়ে আসে।
ড্রাগন ফলের চাষ এখন দেশেই হচ্ছে। ফলে এর দেখা মিলছে এখন প্রায় সবখানেই। ড্রাগন ফল দুই ধরনের হয়- ভেতরের অংশ লাল ও সাদা।
ড্রাগন ফল খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা কি?
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ড্রাগন ফল ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড, বিটাসায়ানিন, এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে ক্যান্সার, হৃদরোগ, আলঝাইমার, এবং অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমে।
হজমে সাহায্য করে: ড্রাগন ফল ফাইবারে সমৃদ্ধ। ফাইবার হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ড্রাগন ফলের বীজে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: ড্রাগন ফলে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা কি?
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: ড্রাগন ফলে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ড্রাগন ফলের বীজে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ড্রাগন ফল ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ওজন কমাতে সাহায্য করে: ড্রাগন ফলে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। এছাড়াও, ড্রাগন ফল ফাইবারে সমৃদ্ধ যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: ড্রাগন ফল বিটাক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ-তে সমৃদ্ধ। বিটাক্যারোটিন ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয় যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: ড্রাগন ফল ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা ত্বককে মসৃণ এবং টানটান রাখতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফলের অ্যালার্জি হতে পারে: কিছু লোকের ড্রাগন ফলের অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট, এবং বমি বমি ভাব। ড্রাগন ফলের বীজ হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে: ড্রাগন ফলের বীজ হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই বীজ ছাড়িয়ে ড্রাগন ফল খাওয়া ভালো।
ড্রাগন ফলের গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য নিরাপদ কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে: গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল সারা বছর পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর ফলে থাকা বীজগুলো ছাড়িয়ে খেতে হবে। ড্রাগন ফলকে এক টুকরো করে কেটেও খাওয়া যায়।
ড্রাগন ফল ফল হিসেবে খাওয়া ছাড়াও সালাদ, জুস, স্মুদি, ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যায়।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
ড্রাগন ফলের উপকারিতা:
ক্যালরি কম: এক কাপ ড্রাগন ফলে মাত্র ১৩৬ ক্যালোরি থাকে। তাই ওজন কমাতে চাইলে এটি একটি ভালো বিকল্প। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ড্রাগন ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
হজমের জন্য উপকারী: ড্রাগন ফল ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজমে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা এবং অন্যান্য হজমজনিত সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: ড্রাগন ফল পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: ড্রাগন ফল ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ড্রাগন ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আরো পড়ুন: কাজু বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: ড্রাগন ফল ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি ত্বকের বয়সজনিত পরিবর্তন প্রতিরোধ করতে এবং ত্বকের হাইড্রেশন বজায় রাখতে সহায়তা করে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: ড্রাগন ফল আয়রন সমৃদ্ধ, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি চুলের বৃদ্ধি এবং চুল পড়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা:
ড্রাগন ফলের কোনো উল্লেখযোগ্য অপকারিতা নেই। তবে যেকোনো ফলের মতোই অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত নয়। এতে পেট খারাপ, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে। ড্রাগন ফলের ছোট ছোট বীজে অ্যালার্জি থাকলে সেক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপায়:
- ড্রাগন ফল কাঁচা খাওয়া যায়।
- ড্রাগন ফলের জুস তৈরি করে খাওয়া যায়।
- ড্রাগন ফল সালাদ, স্মুদি বা অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। তাই ড্রাগন ফলকে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করুন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এখানে ড্রাগন ফল খাওয়ার কয়েকটি নিয়ম দেওয়া হল: পাকা ড্রাগন ফল বেছে নিন। পাকা ড্রাগন ফলের খোসা লালচে রঙের হয় এবং তাতে সামান্য নরমভাব থাকে।
ড্রাগন ফলের খোসা ছাড়িয়ে নিন। একটি ছুরি দিয়ে ড্রাগন ফলের খোসাকে লম্বা করে কেটে নিন। এরপর খোসা ভেঙে ফেলুন। ড্রাগন ফলের বীজ ছাড়িয়ে নিন। ড্রাগন ফলের বীজ ছোট এবং শক্ত হয়। তাই এগুলো ছাড়িয়ে নেওয়া ভালো। ড্রাগন ফল কাঁচা খাওয়া যায়। এছাড়াও, ড্রাগন ফলের জুস, সালাদ, স্মুদি বা অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
ড্রাগন ফল খাওয়ার কয়েকটি টিপস
- ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন।
- ড্রাগন ফলের বীজ ছাড়িয়ে ফেলার জন্য আপনি একটি চামচ বা স্প্যাচুলা ব্যবহার করতে পারেন।
- ড্রাগন ফলের জুস তৈরি করতে আপনি একটি জুসার ব্যবহার করতে পারেন।
- ড্রাগন ফল সালাদ তৈরি করতে আপনি অন্যান্য ফল, শাকসবজি, এবং বাদাম মিশিয়ে নিতে পারেন।
ড্রাগন ফল স্মুদি তৈরি করতে আপনি দুধ, দই, এবং অন্যান্য ফল মিশিয়ে নিতে পারেন।
ড্রাগন ফলের সাবধানতা
- ড্রাগন ফলের অ্যালার্জি থাকলে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- ড্রাগন ফলের বীজে অ্যালার্জি থাকলে এগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে খাওয়া ভালো।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে পেট খারাপ, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। তবে ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে অনেকেরই জানা নেই। ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য সকালের নাস্তা বা দুপুরের খাবারের আগে একটি ভালো সময়। কারণ, এই সময়ে ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদানগুলি শরীরে সহজেই শোষিত হয়।
ব্যায়ামের আগে বা পরে ড্রাগন ফল খাওয়াও ভালো। কারণ, ড্রাগন ফলের সরল শর্করা ব্যায়ামের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। তবে রাতে ঘুমানোর ঠিক আগে ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত নয়। কারণ, ড্রাগন ফলের চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে, যা রাতে ঘুমের সমস্যার কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া থেকেও বিরত থাকা উচিত। এতে পেট খারাপ, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদান:
ক্যালোরি: ১৩৬
প্রোটিন: ৩.৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৩২.৫ গ্রাম
ফাইবার: ১.২ গ্রাম
ভিটামিন সি: ২৭ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ: ৪৫০ আইইউ
পটাসিয়াম: ৩৬৬ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম: ৩৩ মিলিগ্রাম
ড্রাগন ফলের উপকারিতা:
ওজন কমাতে সাহায্য করে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
হজমের জন্য উপকারী
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। তবে যেকোনো ফলের মতোই ড্রাগন ফলেরও কিছু অপকারিতা রয়েছে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা:
ড্রাগন ফলের অ্যালার্জি হতে পারে: কিছু লোকের ড্রাগন ফলের অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট, এবং বমি বমি ভাব। ড্রাগন ফলের বীজ হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে: ড্রাগন ফলের বীজ ছোট এবং শক্ত হয়। তাই এগুলো হজমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই বীজ ছাড়িয়ে ড্রাগন ফল খাওয়া ভালো।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত: গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ড্রাগন ফল খাওয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কে এখনও পর্যাপ্ত গবেষণা হয়নি। তাই এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সাবধানতা:
- ড্রাগন ফলের অ্যালার্জি থাকলে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- ড্রাগন ফলের বীজে অ্যালার্জি থাকলে এগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে খাওয়া ভালো।
- গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে পেট খারাপ, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে রয়েছে:
ক্যালোরি: ৬০
কার্বোহাইড্রেট: ১৩.৬ গ্রাম
প্রোটিন: ২.২ গ্রাম
চর্বি: ০.২ গ্রাম
ফাইবার: ২.৪ গ্রাম
ভিটামিন সি: ২৭ মিলিগ্রাম (৩৫% দৈনিক চাহিদা)
ভিটামিন বি৬: ০.০৮ মিলিগ্রাম (৪% দৈনিক চাহিদা)
ভিটামিন ই: ০.১ মিলিগ্রাম (১% দৈনিক চাহিদা)
পটাসিয়াম: ১৯৭ মিলিগ্রাম (৪% দৈনিক চাহিদা)
ম্যাগনেসিয়াম: ১৫ মিলিগ্রাম (৪% দৈনিক চাহিদা)
ফসফরাস: ৪৫ মিলিগ্রাম (৭% দৈনিক চাহিদা)
ক্যালসিয়াম: ১৪ মিলিগ্রাম (২% দৈনিক চাহিদা)
আয়রন: ০.৩ মিলিগ্রাম (৩% দৈনিক চাহিদা)
ড্রাগন ফলের উপকরিতা:
ড্রাগন ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ড্রাগন ফল ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফল ফাইবারের একটি ভালো উৎস। ফাইবার হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ কমাতে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো: ড্রাগন ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
আরো পড়ুন: কোরবানী ঈদে গরুর মাংস কতটুকু খাবেন-কিভাবে খাবেন
ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফল ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফল ভিটামিন বি৬ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ভিটামিন বি৬ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপায়:
ড্রাগন ফল খাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। এটি কাঁচা, জুস, সালাদ, বা স্মুদি হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় বীজ ছাড়িয়ে নিয়ে খাওয়া ভালো। কারণ কিছু লোকের ড্রাগন ফলের বীজের অ্যালার্জি হতে পারে।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। এটি সাধারণত কাঁচা, জুস, সালাদ, বা স্মুদি হিসেবে খাওয়া হয়। তবে অনেকেই ড্রাগন ফলের খোসা ফেলে দেন। অথচ ড্রাগন ফলের খোসাতেও অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
ড্রাগন ফলের খোসার পুষ্টি উপাদান:
- ফাইবার: ড্রাগন ফলের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন সি: ড্রাগন ফলের খোসায় ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ড্রাগন ফলের খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা:
- হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফলের খোসার ফাইবার হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ড্রাগন ফলের খোসার ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফলের খোসার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফলের খোসার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের খোসা খাওয়ার উপায়:
ড্রাগন ফলের খোসা খাওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। এটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে চা বা কফি হিসেবে পান করা যেতে পারে। এছাড়াও, এটি সালাদ, স্মুদি, বা জুস হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।
ড্রাগন ফলের খোসার সাবধানতা:
ড্রাগন ফলের খোসাতে কিছু লোকের অ্যালার্জি হতে পারে। তাই ড্রাগন ফলের খোসা খাওয়ার আগে অ্যালার্জি আছে কিনা তা নিশ্চিত করা ভালো।
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ড্রাগন ফল ভিটামিন সি-এর একটি ভালো উৎস। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফল ফাইবারের একটি ভালো উৎস। ফাইবার হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ কমাতে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: গরমে সুস্থ থাকতে হলে কি খাবেন। যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো: ড্রাগন ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফল ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি: ড্রাগন ফল ভিটামিন বি৬ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ভিটামিন বি৬ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম:
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য প্রথমে পাকা ড্রাগন ফল বেছে নিন। পাকা ড্রাগন ফলের খোসা লালচে রঙের হয় এবং তাতে সামান্য নরমভাব থাকে। ড্রাগন ফলের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর ড্রাগন ফলের বীজ ছাড়িয়ে নিন। বীজ ছাড়িয়ে নিতে চাইলে আপনি একটি চামচ বা স্প্যাচুলা ব্যবহার করতে পারেন।
ড্রাগন ফল কাঁচা খাওয়া যায়। এছাড়াও, ড্রাগন ফলের জুস, সালাদ, স্মুদি বা অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার সাবধানতা:
- ড্রাগন ফলের অ্যালার্জি থাকলে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- ড্রাগন ফলের বীজে অ্যালার্জি থাকলে এগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে খাওয়া ভালো।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে পেট খারাপ, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে।
বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফলের খাবারের আইডিয়া:
- ড্রাগন ফলের সালাদ: ড্রাগন ফল, আপেল, কলা, এবং গাজর দিয়ে একটি সুস্বাদু সালাদ তৈরি করুন।
- ড্রাগন ফলের স্মুদি: দুধ, দই, এবং অন্যান্য ফল দিয়ে একটি সুস্বাদু স্মুদি তৈরি করুন।
- ড্রাগন ফলের জুস: ড্রাগন ফল, আনারস, এবং লেবু দিয়ে একটি সুস্বাদু জুস তৈরি করুন।
- বাচ্চাদের জন্য ড্রাগন ফল একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু ফল। এটি নিয়মিত খাওয়ালে বাচ্চাদের অনেক উপকার হবে।
ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি
ড্রাগন ফলের দাম বাজারের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, বাজারে ড্রাগন ফলের দাম কেজি প্রতি ৬০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, ক্ষেত্রভেদে এই দাম কমবেশি হতে পারে।
ঢাকায় ড্রাগন ফলের দাম ঢাকায় ড্রাগন ফলের দাম কেজি প্রতি ৬০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ড্রাগন ফল পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামে ড্রাগন ফলের দাম চট্টগ্রামে ড্রাগন ফলের দাম কেজি প্রতি ৭০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে ড্রাগন ফল পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: গরমে ডিম খাওয়া কেন এড়িয়ে চলবেন?
খুলনায় ড্রাগন ফলের দাম খুলনায় ড্রাগন ফলের দাম কেজি প্রতি ৬০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। খুলনার বিভিন্ন বাজারে ড্রাগন ফল পাওয়া যায়।
ড্রাগন ফলের দাম কমবেশি হওয়ার কারণ
ড্রাগন ফলের দাম কমবেশি হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: ফলের উৎপাদনের পরিমাণ: ড্রাগন ফলের উৎপাদন বেশি হলে দাম কম থাকে। উৎপাদন কম হলে দাম বেশি থাকে।
ফলের মৌসুম: ড্রাগন ফলের মৌসুমে দাম কম থাকে। মৌসুম বাইরে দাম বেশি থাকে। বাজারের চাহিদা: বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা বেশি হলে দাম বেশি থাকে। চাহিদা কম হলে দাম কম থাকে।
ড্রাগন ফল কেনার সময় সাবধানতা
ড্রাগন ফল কেনার সময় কিছু বিষয় সাবধানে লক্ষ্য রাখতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে: ফলের রঙ: পাকা ড্রাগন ফলের খোসা লালচে রঙের হয় এবং তাতে সামান্য নরমভাব থাকে। ফলের আকার: ড্রাগন ফলের আকার ছোট থেকে বড় পর্যন্ত হতে পারে। তবে, ফলের আকার বেশি হলে ভালো।
ফলের বীজ: ড্রাগন ফলের বীজ ছোট এবং শক্ত হয়। তাই বীজ ছাড়িয়ে নিয়ে খাওয়া ভালো। ড্রাগন ফলের সংরক্ষণ ড্রাগন ফল ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত। এক্ষেত্রে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা ভালো। ফ্রিজে ড্রাগন ফল ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।