ডায়েট করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
ওজন অনুযায়ী ডায়েট চার্ট অল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমাতে চান অনেকে। অল্প সময়ে ওজন কমাতে চাইলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে জীবনযাপনের বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে। মেনে চলতে হবে কঠিন কিছু নিয়ম। তিন দিনে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে কার্যকরী ডায়েট পরিকল্পনা করতে হবে। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতে হবে। ১ মাসে কত কেজি ওজন কমানো সম্ভব?
ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানো। ওজন কমাতে বেশ কিছু ডায়েট পরিকল্পনা রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে পারবেন।ডায়েট করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
ডায়েট করার অর্থ হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা। ডায়েট করার সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে সফল হওয়া সহজ হয়।
ডায়েট করার নিয়ম:
ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমানো। ওজন কমাতে বেশ কিছু ডায়েট পরিকল্পনা রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে পারবেন।
ডায়েট করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
ডায়েট করার অর্থ হল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা। ডায়েট করার সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে সফল হওয়া সহজ হয়।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেলে শরীরের মেটাবলিজম ঠিক থাকে এবং ওজন কমানো সহজ হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে ফল, শাকসবজি এবং শস্য গ্রহণ করা: ফল, শাকসবজি এবং শস্য ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া: প্রোটিন পেশী তৈরি করতে এবং ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে। চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা: চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ক্যালোরি সমৃদ্ধ এবং ওজন বাড়াতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং বিপাক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ডায়েট করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি:
ডায়েট করার সময় হঠাৎ করে খাবার কমিয়ে দেওয়া উচিত নয়। এতে শরীর দুর্বল হতে পারে এবং ওজন কমানো কঠিন হতে পারে। ডায়েট করার সময় পুষ্টিকর খাবারের তালিকা তৈরি করা উচিত। এতে পুষ্টির অভাব হবে না এবং ওজন কমানো সহজ হবে।
আরো পড়ুন: শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কী জেনে নিন
ডায়েট করার সময় শরীরের পরিবর্তন লক্ষ্য করা উচিত। ওজন কমছে কিনা বা অন্য কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখা উচিত। ডায়েট করার সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে, যদি কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ডায়েট করার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করলে ওজন কমানো আরও সহজ হয়। তাই ডায়েটের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।
ওজন অনুযায়ী ডায়েট চার্ট
ওজন অনুযায়ী ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হলে প্রথমে একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা উচিত। পুষ্টিবিদ আপনার ওজন, উচ্চতা, বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে একটি ব্যক্তিগতকৃত ডায়েট চার্ট তৈরি করতে পারেন।
সাধারণভাবে, ওজন কমানোর জন্য একটি ডায়েট চার্টের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যেমন:
- প্রতিদিন কমপক্ষে 5-6 বার খাবার খাওয়া উচিত।
- প্রতিটি খাবারে ফল, শাকসবজি এবং শস্য থাকা উচিত।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
- চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
নিচে একটি সাধারণ ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট দেওয়া হল:
সকালের নাস্তা:
ওটমিল: 1 কাপ ওটমিল, 1/2 কাপ ফল, 1/4 কাপ বাদাম
টোস্ট: 2 টুকরো বাদামি রুটি, 1/2 কাপ ফল, 1/4 কাপ দই
ডিম: 2টি ডিম, 1/2 কাপ সবজি
দুপুরের খাবার:
মাছ: 3-4 আউন্স মাছ, 1 কাপ সবজি, 1/2 কাপ ভাত বা আলু
মুরগির মাংস: 3-4 আউন্স মুরগির মাংস, 1 কাপ সবজি, 1/2 কাপ ভাত বা আলু
সবুজ শাকসবজি: 1 কাপ সবজি, 1/2 কাপ ভাত বা আলু
বিকেলেের নাস্তা:
ফল: 1 কাপ ফল
বাদাম: 1/4 কাপ বাদাম
দই: 1/2 কাপ দই
রাতের খাবার:
মাছ: 3-4 আউন্স মাছ, 1 কাপ সবজি
মুরগির মাংস: 3-4 আউন্স মুরগির মাংস, 1 কাপ সবজি
সবুজ শাকসবজি: 1 কাপ সবজি
এই ডায়েট চার্টটি শুধুমাত্র একটি উদাহরণ। আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা এবং লক্ষ্য অনুযায়ী ডায়েট চার্টটি সামঞ্জস্য করা যেতে পারে।
ওজন কমানোর পাশাপাশি, সুস্থ থাকার জন্যও একটি সুষম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওজন কমানোর পাশাপাশি, অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারও খাওয়া উচিত।
১ মাসে কত কেজি ওজন কমানো সম্ভব?
একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য, প্রতি মাসে স্বাস্থ্যকরভাবে 2-3 কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তবে, আপনার ওজন, উচ্চতা, বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে এই পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে।
যদি আপনি খুব দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। দ্রুত ওজন কমানো হলে শরীরের পেশী এবং জলও কমে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
ওজন কমানোর জন্য, আপনাকে আপনার খাদ্যতালিকা এবং শারীরিক কার্যকলাপের পরিবর্তন করতে হবে। একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা মানে হল প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি এবং শস্য গ্রহণ করা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা। নিয়মিত ব্যায়ামও ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা উচিত। পুষ্টিবিদ আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা এবং লক্ষ্য অনুযায়ী একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্ট তৈরি করতে পারেন।
৫ দিনে কতটুকু ওজন কমানো যায়?
স্বাস্থ্যকরভাবে, ৫ দিনে ০.৫-১ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। তবে, আপনার ওজন, উচ্চতা, বয়স, লিঙ্গ এবং শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে এই পরিমাণ কম বা বেশি হতে পারে। যদি আপনি খুব দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। দ্রুত ওজন কমানো হলে শরীরের পেশী এবং জলও কমে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
৫ দিনে ওজন কমানো সম্ভব হলেও, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ওজন কমানো স্থায়ী করতে হলে আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা এবং নিয়মিত ব্যায়াম অনুসরণ করতে হবে।
৫ দিনে ওজন কমাতে হলে যে যে বিষয়গুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- আপনার খাদ্যতালিকা থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি বাদ দিন। আপনি যদি দিনে ৫০০ ক্যালোরি কমিয়ে নেন, তাহলে সপ্তাহে ১ কেজি ওজন কমতে পারে।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ফল, শাকসবজি এবং শস্য গ্রহণ করুন।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা উচিত। পুষ্টিবিদ আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা এবং লক্ষ্য অনুযায়ী একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্ট তৈরি করতে পারেন।
৫ দিনে কি ৩ কেজি ওজন কমানো যায়?
স্বাস্থ্যকরভাবে, ৫ দিনে ৩ কেজি ওজন কমানো সম্ভব নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য, প্রতিদিন ৫০০ ক্যালোরি কমিয়ে সপ্তাহে ১ কেজি ওজন কমানো সম্ভব। ৫ দিনে ৩ কেজি ওজন কমাতে হলে আপনাকে প্রতিদিন ১,৫০০ ক্যালোরি কমিয়ে নিতে হবে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
দ্রুত ওজন কমানো হলে শরীরের পেশী এবং জলও কমে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। পেশী এবং জল কমে গেলে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং দুর্বলতা দেখা দেয়। এছাড়াও, দ্রুত ওজন কমানো হলে পুনরায় ওজন বাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরো পড়ুন: হৃদরোগের লক্ষণ কি কি তা সম্পর্কে জানুন
৫ দিনে ৩ কেজি ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে একটি অস্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এই ধরনের ডায়েট এবং ব্যায়াম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ৫ দিনে ৩ কেজি ওজন কমানো সম্ভব হলেও, তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ওজন কমানো স্থায়ী করতে হলে আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা এবং নিয়মিত ব্যায়াম অনুসরণ করতে হবে।
ওজন কমাতে হলে কত ক্যালরি খেতে হবে?
ওজন কমাতে হলে আপনার বিশ্রামকালীন বিপাক হার (Resting Metabolic Rate, RMR) থেকে প্রতিদিন ৫০০-১,০০০ ক্যালোরি কমিয়ে নিতে হবে। আপনার RMR হল আপনার শরীরের বিশ্রাম অবস্থায় যে পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ে। আপনার RMR নির্ধারণ করতে আপনি একটি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারেন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার RMR 2,000 ক্যালোরি হয়, তাহলে ওজন কমাতে হলে আপনাকে প্রতিদিন ১,৫০০-১,০০০ ক্যালোরি খাওয়া উচিত। আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকা থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি বাদ দেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ামও করা উচিত। ব্যায়াম করলে আপনি আরও বেশি ক্যালোরি পোড়াতে পারবেন।
ওজন কমাতে হলে একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করা উচিত। পুষ্টিবিদ আপনার ব্যক্তিগত চাহিদা এবং লক্ষ্য অনুযায়ী একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট চার্ট তৈরি করতে পারেন।
এখানে কিছু নির্দিষ্ট টিপস রয়েছে যা আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে:
- আপনার খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন।
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ফল, শাকসবজি এবং শস্য গ্রহণ করুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
ওজন কমানো একটি ধীর প্রক্রিয়া। ধৈর্য ধরুন এবং আপনার লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন।
ডায়েটের যত ধরণ
ডায়েটের অনেকগুলি ধরন রয়েছে, প্রতিটিই ভিন্ন লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে। কিছু ডায়েট ওজন কমাতে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, অন্যগুলি স্বাস্থ্যের উন্নতি বা নির্দিষ্ট রোগের চিকিত্সা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
ওজন কমানোর ডায়েট
ওজন কমানোর ডায়েটগুলি সাধারণত ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করে কাজ করে। এটি করার জন্য, আপনি আপনার খাবারের পরিমাণ কমাতে পারেন, বেশি ব্যায়াম করতে পারেন বা উভয়ই করতে পারেন।
ওজন কমানোর জন্য কিছু জনপ্রিয় ডায়েট হল:
আট ঘন্টা ডায়েট: এই ডায়েটটি আপনাকে প্রতিদিন মাত্র ৮ ঘন্টা খাওয়ার অনুমতি দেয়, বাকি ২৪ ঘন্টা আপনি শুধুমাত্র পানি, চা বা কফি পান করতে পারেন। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং: এই ডায়েটটিতে, আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাবার থেকে বিরত থাকবেন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি প্রতিদিন ১৬ ঘন্টা খাবার থেকে বিরত থাকতে পারেন এবং বাকি ৮ ঘন্টায় খাওয়ার অনুমতি দিতে পারেন। লো-ক্যালোরি ডায়েট: এই ডায়েটগুলিতে, আপনি প্রতিদিন ১,২০০-১,৫০০ ক্যালোরির মধ্যে খাবেন।
আরো পড়ুন: ২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা
লো-কার্ব ডায়েট: এই ডায়েটগুলিতে, আপনি কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সীমিত করবেন।
লো-ফ্যাট ডায়েট: এই ডায়েটগুলিতে, আপনি চর্বিযুক্ত খাবারের পরিমাণ সীমিত করবেন।
স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য ডায়েট
স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য ডায়েটগুলি সাধারণত নির্দিষ্ট পুষ্টির ঘাটতি পূরণ বা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিত্সা করার জন্য ডিজাইন করা হয়।
স্বাস্থ্য উন্নতির জন্য কিছু জনপ্রিয় ডায়েট হল:
- ভেগান ডায়েট: এই ডায়েটটিতে, আপনি কোনও প্রাণীজ পণ্য খাবেন না, যেমন মাংস, মাছ, ডিম বা দুগ্ধজাত পণ্য।
- নিরামিষ ডায়েট: এই ডায়েটটিতে, আপনি মাংস খাবেন না, তবে আপনি মাছ, ডিম বা দুগ্ধজাত পণ্য খেতে পারেন।
- ডায়াবেটিস ডায়েট: এই ডায়েটগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
- হার্ট-স্বাস্থ্যকর ডায়েট: এই ডায়েটগুলি হৃদরোগ এবং স্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
- অ্যালার্জি-বান্ধব ডায়েট: এই ডায়েটগুলি নির্দিষ্ট খাবারের অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা वाले লোকদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
- নির্দিষ্ট রোগের জন্য ডায়েট
- নির্দিষ্ট রোগের জন্য ডায়েটগুলি সেই নির্দিষ্ট রোগের লক্ষণ এবং লক্ষণগুলির চিকিত্সা বা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
ওমাড ডায়েট
ওমাড ডায়েটকে ইন্টারমিটেড ফাস্টিং এর আরেক পদ্ধতিও বলা যেতে পারে। কিন্তু এই ডায়েটে শুধু একবেলা খাওয়া যায়৷ ২৪ ঘন্টার মধ্যেয় ১ ঘন্টা খাওয়াদাওয়া করে বাকি ২৩ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে হবে৷ বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেসে চাইলে একবেলা নিজের যেকোনো পছন্দের ক্যালরি যুক্ত খাবার খেলেও সমস্যা হয় না। তবে কোনো বেলা খাওয়াদাওয়া করা যাবে তা নিজের উপর নির্ভর করছে৷ এ ডায়েট সবার জন্য
আরো পড়ুন: রোজায় খাদ্যাভ্যাস ও মানবদেহে রোজার প্রভাব
প্রযোজ্য নয়। ওজন কমানোর পাশাপাশি এই ডায়েট শরীরের অনেক ক্ষতি ও করে থাকে যেমন : স্থায়ী দুর্বলতা, ত্বকের নানাবিধ সমস্যা, চুল পড়ে যাওয়া, নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। কারণ এক ঘন্টা খাবার খেয়ে কখনোই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি নেয়া সম্ভব না৷ দীর্ঘদিন পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার ফলে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই এ ডায়েট অনুসরণ করতে চাইলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
কিটো ডায়েট
কিটো ডায়েটের নাম শোনেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ এ ডায়েটে যেখানে শর্করার পরিমাণ কম ও চর্বির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। কিটো ডায়েট করলে ৭০% চর্বির গ্রহণ করা লাগে৷ কিটো ডায়েট মূলত মৃগী রোগ বা এপিলেপসি রোগীদের দেয়া হতো।
কিন্তু ওজন কমানোর জন্য এ ডায়েট এখন বেশ জনপ্রিয়৷ এ ডায়েটে শর্করার পরিমান খুবই কম নিতে হয় তবে যতটুকু শর্করা প্রয়োজন তা নিতে হয় শাক সবজি ও ফল থেকে৷ ভাত, আটা ও আলুর মতো শর্করা কিটো ডায়েটে খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ৷ মুরগির মাংস, চর্বিহীন গরুর মাংস, মাছ, সামদ্রিক মাছ, ডিম, মাখন ঘি, পনির ইত্যাদি এ জাতীয় খাবার কিটো ডায়েটে খেতে হয়৷
তবে কিটো ডায়েটে অতিরিক্ত চর্বি গ্রহণ করার কারণ কিডনিতে সমস্যা সহ নানাধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে সব ধরণের ডায়েট সবার জন্য উপযোগী নয়। অনেক সময় বন্ধুদের কাউকে কোনো একটি ডায়েট করে ওজন কমাতে দেখে তা অনুসরণ করার চেষ্টা করি কিন্তু এতে লাভের জায়গায় ক্ষতিই বেশি হয়ে থাকে।
এমন ডায়েট বেছে নিতে হবে যা যা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব। ডায়েটে অবশ্যই সুষম খাদ্য রাখতে হবে। কোনো ডায়েটে যাবার আগে নিজের শরীরের পরীক্ষা করে নেয়া উচিত যেমন ডায়াবেটিস বা কোনো হরমোনাল সমস্যা থাকলে বিশেষ ডায়েট প্রয়োজন।
ইন্টারমিটেড ফাস্টিং
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এই ডায়েটে বেশকিছু সময় ফাস্টিং এ থাকতে হবে৷ এই ডায়েট নানারকম পদ্ধতি অনুসরণ করে করা হয় কিন্তু সাধারণ নিয়ম হচ্ছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮ ঘন্টা খাওয়াদাওয়া করতে হবে ও বাকি ১৬ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে হবে৷ তবে অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগলে চিনি ছাড়া দুধ খাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: নারিকেল তেলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
যে সময় টুকু ফাস্টিং করা হবে সে সময় শরীরের জমাকৃত চর্বি ব্যয় করে শরীর শক্তিতে রূপান্তরিত করবে। তবে অনেকেই একটা ভুল করে তা হলো যে ৮ ঘন্টা খাওয়ার সময় সে সময় অতিরিক্ত ক্যালরি খাবার খেয়ে ফেলে৷
ফলে ফাস্টিং করার পরেও তেমন লাভ হয় না। তাই খাবারের সময় অবশ্যই কম ক্যালরি যুক্ত খাবার খেতে হবে।