স্বাস্থ্য রক্ষার্থে রক্তচাপ কমে গেলে কী খাবেন?

স্বাস্থ্য রক্ষার্থে রক্তচাপ কমে গেলে কী খাবেন? নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা নানা কারণে হতে পারে। যেমন দুশ্চিন্তা, গর্ভাবস্থা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, পানির ঘাটতি, রক্তস্বল্পতা, পুষ্টির অভাব, হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা ইত্যাদি। 

নিম্ন রক্তচাপ থাকলে মাথাঘোরা, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড়, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া এবং স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে অসুবিধা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

স্বাস্থ্য রক্ষার্থে রক্তচাপ কমে গেলে কী খাবেন?

প্রতিদিন তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। স্যুপ, কফি, ফলের রস, দুধ, শরবত ইত্যাদি তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে।

স্বাস্থ্য রক্ষার্থে রক্তচাপ কমে গেলে কী খাবেন?

রক্তচাপ কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে রক্তচাপ বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার খাওয়া যেতে পারে। এই খাবারগুলিতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে। সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ায়, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ কমে গেলে খাওয়ার জন্য কিছু খাবারের উদাহরণ হল:

লবণযুক্ত খাবার: লবণ সোডিয়াম সমৃদ্ধ, তাই রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। লবণযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে স্যুপ, চিপস, পনির, এবং বাদাম।

টক ফল: টক ফল পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। টক ফলের মধ্যে রয়েছে লেবু, কমলা, এবং আনারস।

আরো পড়ুন: হাত - পা জ্বালাপোড়ার কারণে লুকিয়ে থাকে যে সব রোগ

ডাবের পানি: ডাবের পানি পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং সোডিয়াম সমৃদ্ধ, তাই রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।

কলা: কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে এই খাবারগুলি খাওয়া যেতে পারে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে:

  • ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • সম্পূর্ণ শস্য: সম্পূর্ণ শস্য ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • স্বল্প চর্বিযুক্ত প্রোটিন: স্বল্প চর্বিযুক্ত প্রোটিন হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
  • নিরামিষ খাবার: নিরামিষ খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত ব্যায়ামও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্রতার ব্যায়াম করা উচিত।

কি কি খাবার খেলে প্রেসার বাড়ে

প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে এমন খাবারগুলিতে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, এবং ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে। সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ায়, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে এমন কিছু খাবারের উদাহরণ হল:

  • লবণযুক্ত খাবার: লবণ সোডিয়াম সমৃদ্ধ, তাই রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। লবণযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে স্যুপ, চিপস, পনির, এবং বাদাম।
  • টক ফল: টক ফল পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। টক ফলের মধ্যে রয়েছে লেবু, কমলা, এবং আনারস।

আরো পড়ুন: শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কী জেনে নিন

  • ডাবের পানি: ডাবের পানি পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং সোডিয়াম সমৃদ্ধ, তাই রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • কলা: কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • মাংস: মাংসে সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম উভয়ই থাকে।
  • দুগ্ধজাত খাবার: দুগ্ধজাত খাবারে সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম উভয়ই থাকে।

প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে এমন খাবারগুলি তাৎক্ষণিকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।

দীর্ঘমেয়াদে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এমন স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে:

  • ফল এবং শাকসবজি: ফল এবং শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • সম্পূর্ণ শস্য: সম্পূর্ণ শস্য ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • স্বল্প চর্বিযুক্ত প্রোটিন: স্বল্প চর্বিযুক্ত প্রোটিন হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
  • নিরামিষ খাবার: নিরামিষ খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত ব্যায়ামও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি-তীব্রতার ব্যায়াম করা উচিত।

কি কি ফল খেলে প্রেসার বাড়ে

প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে এমন ফলগুলিতে পটাসিয়াম বেশি থাকে। পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে এমন কিছু ফলের উদাহরণ হল:

  • কলা: কলা পটাসিয়ামের একটি ভালো উৎস। প্রতিটি কলায় প্রায় 422 মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে।
  • ডাবের পানি: ডাবের পানি পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং সোডিয়াম সমৃদ্ধ। প্রতি 250 মিলিলিটার ডাবের পানিতে প্রায় 422 মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে।
  • লেবু: লেবু পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। প্রতিটি লেবুতে প্রায় 100 মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে।

আরো পড়ুন: হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তির উপায়

  • কমলা: কমলা পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। প্রতিটি কমলায় প্রায় 250 মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে।
  • আনারস: আনারস পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। প্রতিটি আনারসে প্রায় 422 মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে।
এছাড়াও, অন্যান্য কিছু ফল যেমন আঙুর, আপেল, পেয়ারা, এবং কাঁঠালও প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই ফলগুলিতে পটাসিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় সেগুলির প্রভাব খুব বেশি নয়।

প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে এমন ফলগুলি তাৎক্ষণিকভাবে রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।

হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে যা খাবেন

হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে নিম্নলিখিত খাবারগুলি খেলে রক্তচাপ বাড়ানো সম্ভব:

  • লবণ ও চিনি দিয়ে পানি: এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিনি ও এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে পান করলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। তবে, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিনি বাদ দিয়ে খেতে হবে।
  • স্যালাইন: স্যালাইন রক্তচাপ বাড়াতে সবচেয়ে কার্যকর। তাই হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে স্যালাইন পান করা উচিত।
  • ডাবের পানি: ডাবের পানিতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং সোডিয়াম থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • কলা: কলা পটাসিয়ামের একটি ভালো উৎস। পটাসিয়াম রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • লেবু: লেবু ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এগুলি রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
  • কমলা: কমলা পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এগুলি রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
এছাড়াও, অন্যান্য কিছু ফল যেমন আঙুর, আপেল, পেয়ারা, এবং কাঁঠালও প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই ফলগুলিতে পটাসিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় সেগুলির প্রভাব খুব বেশি নয়।

হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে উল্লিখিত খাবারগুলি খেয়ে রক্তচাপ বাড়ানোর পাশাপাশি নিম্নলিখিত বিষয়গুলিও লক্ষ্য রাখতে হবে:

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করতে হবে।
  • শান্ত পরিবেশে বসে বা শুয়ে থাকতে হবে।
  • অতিরিক্ত শরীরচর্চা করা যাবে না।
যদি হঠাৎ প্রেসার কমে যাওয়ার লক্ষণগুলি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় বা আরও খারাপ হয়, তাহলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কি কি ফল খেলে প্রেসার কমে

রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এমন ফলগুলিতে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকে। পটাসিয়াম রক্তনালীকে শিথিল করতে সাহায্য করে, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ম্যাগনেসিয়াম রক্তনালীকে শক্তিশালী করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এমন কিছু ফলের উদাহরণ হল:

  • সাইট্রাস ফল: কমলা, লেবু, মাল্টা, এবং বেদানা এই ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি রক্তনালীকে শিথিল করতে সাহায্য করে।
  • বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, এবং রাস্পবেরি এই ফলগুলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • আপেল: আপেলে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে। পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তনালীকে শক্তিশালী করে।
  • কাঁঠাল: কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • আঙ্গুর: আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
এছাড়াও, অন্যান্য কিছু ফল যেমন আম, পেয়ারা, এবং পেঁপেও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, এই ফলগুলিতে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় সেগুলির প্রভাব খুব বেশি নয়।রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এমন ফলগুলি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

তবে, দীর্ঘমেয়াদে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।

লো প্রেসারে কি হার্ট এটাক হয়

লো প্রেসারে হার্ট এটাক হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, কিছু ক্ষেত্রে লো প্রেসারের কারণে হার্ট এটাক হতে পারে।

লো প্রেসারে হার্ট এটাক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ানোর কিছু কারণ হল:

হৃদযন্ত্রের সমস্যা: হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে, লো প্রেসারের কারণে রক্ত সঠিকভাবে হৃদযন্ত্রে পৌঁছাতে পারে না। ফলে হার্ট এটাক হতে পারে।
হাইপোথাইরয়েডিজম: হাইপোথাইরয়েডিজম একটি হরমোনজনিত সমস্যা যা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। ফলে লো প্রেসার হতে পারে এবং সেই কারণে হার্ট এটাক হতে পারে।

আরো পড়ুন: পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

রক্তস্বল্পতা: রক্তস্বল্পতার কারণে রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে হৃদযন্ত্রকে বেশি পরিশ্রম করতে হয় এবং সেই কারণে লো প্রেসার হতে পারে। সেই কারণে হার্ট এটাক হতে পারে।

লো প্রেসারে হার্ট এটাকের লক্ষণগুলি হল:

  • বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি
  • শ্বাসকষ্ট
  • মাথা ঘোরা
  • বমি বমি ভাব বা বমি
  • ধড়পড়ানি
  • মাথা ঝিমঝিম করা

লো প্রেসারে হার্ট এটাক সন্দেহ হলে, অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

লো প্রেসারে হার্ট এটাক প্রতিরোধে যে সব বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখা উচিত:

  • নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা
  • হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে, সঠিক চিকিৎসা করা
  • হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে, সঠিক চিকিৎসা করা
  • রক্তস্বল্পতা থাকলে, সঠিক চিকিৎসা করা
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা

চা খেলে কি প্রেসার বাড়ে

চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফেইন রক্তচাপ বাড়ানোর সম্ভাবনা রাখে। ক্যাফেইন একটি উত্তেজক পদার্থ যা রক্তনালীকে সংকুচিত করে। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।

তবে, চায়ের মধ্যে থাকা অন্যান্য উপাদান রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। যেমন, চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে। ফলে রক্তচাপ কমে যায়।

প্রেসার লো হলে কি কি সমস্যা হয়

প্রেসার লো হলে যেসব সমস্যা হতে পারে সেগুলি হল:
  • মাথা ঘোরা: লো প্রেসারের কারণে মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ কমে যায়। ফলে মাথা ঘোরা হতে পারে।
  • বমি বমি ভাব বা বমি: লো প্রেসারের কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কমে যায়। ফলে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
  • অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: লো প্রেসারের কারণে মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ এতটাই কমে যেতে পারে যে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
  • বুক ধড়ফড় করা: লো প্রেসারের কারণে হৃদযন্ত্রকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে বুক ধড়ফড় করা হতে পারে।
  • ক্লান্তি: লো প্রেসারের কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তের প্রবাহ কমে যায়। ফলে ক্লান্তি হতে পারে।
  • দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা: লো প্রেসারের কারণে মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ কমে যায়। ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসতে পারে।
  • শ্বাসকষ্ট: লো প্রেসারের কারণে হৃদযন্ত্রকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

লো প্রেসারের কারণে গুরুতর সমস্যা যেমন:

  • হার্ট অ্যাটাক: লো প্রেসারের কারণে রক্ত সঠিকভাবে হৃদযন্ত্রে পৌঁছাতে না পারে। ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
  • স্ট্রোক: লো প্রেসারের কারণে মস্তিষ্কে রক্তের প্রবাহ কমে যায়। ফলে স্ট্রোক হতে পারে।
  • কিডনিতে সমস্যা: লো প্রেসারের কারণে কিডনিতে রক্তের প্রবাহ কমে যায়। ফলে কিডনিতে সমস্যা হতে পারে।

লো প্রেসারের কারণগুলি হল:

পানিশূন্যতা: পানিশূন্যতার কারণে রক্তের পরিমাণ কমে যায়। ফলে রক্তচাপ কমে যায়।
ডায়রিয়া বা বমি: ডায়রিয়া বা বমি হওয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা: হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা কমে গেলে রক্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে না। ফলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।

আরো পড়ুন: তামাক ও মাদকদ্রব্য সেবনের কুফল গুলো জেনে নিন

রক্তস্বল্পতা: রক্তস্বল্পতার কারণে রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা কমে যায়। ফলে হৃদযন্ত্রকে বেশি পরিশ্রম করতে হয় এবং রক্তচাপ কমে যেতে পারে।
অন্যান্য কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্তচাপ কমে যেতে পারে।

যদি লো প্রেসারের কারণে মাথা ঘোরা, বমি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অন্য কোনও গুরুতর সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়

হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে যে পদক্ষেপগুলি নিতে পারে:

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা: পানিশূন্যতার কারণে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। তাই হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এক গ্লাস পানিতে ২-৩ চা চামচ চিনি ও এক চা চামচ নুন মিশিয়ে খেলেও রক্তচাপ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।

আরো পড়ুন: ডায়েট করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন

লবণযুক্ত খাবার খাওয়া: লবণ রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে। তাই হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে লবণযুক্ত খাবার খেলে রক্তচাপ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে। যেমন, কাঁচা লবণ, আচার, জলখাবারে লবণ বেশি দেওয়া ইত্যাদি।

শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করা: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করা উচিত। যেমন, যদি বসে থাকা অবস্থায় প্রেসার কমে যায় তাহলে শুয়ে পড়া উচিত। এতে রক্ত শরীরের বিভিন্ন অংশে সঠিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে এবং রক্তচাপ বাড়তে পারে।

যদি মাথা ঘোরা বা বমি হয় তাহলে শুয়ে থাকা: হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে মাথা ঘোরা বা বমি হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে শুয়ে থাকা উচিত। এতে রক্ত শরীরের মাথার দিকে সঠিকভাবে প্রবাহিত হতে পারে এবং মাথা ঘোরা বা বমি কমে যায়।

যদি হঠাৎ প্রেসার কমে যাওয়ার কারণে মাথা ঘোরা, বমি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা অন্য কোনও গুরুতর সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবিলম্বে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এছাড়াও, হঠাৎ প্রেসার কমে যাওয়া প্রতিরোধে বিষয়গুলি লক্ষ্য রাখা উচিত:

  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
  • ডায়রিয়া বা বমির কারণে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে গেলে তাড়াতাড়ি পানি ও ইলেকট্রোলাইট পান করা
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন থেকে বিরত থাকা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন