একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দিনে কি পরিমান খাবার খাওয়া প্রয়োজন?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দিনে কি পরিমান খাবার খাওয়া প্রয়োজন আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সুষম ও বৈচিত্র্যময় খাদ্যাভ্যাস থাকা জরুরি।সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন খাওয়া আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। অ্যাভোকাডোস, বাদাম এবং জলপাই তেলের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি যুক্ত করাও একটি সুস্থ শরীরকে সমর্থন করতে পারে।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মেধা ও বুদ্ধি কমে যায়। তাই আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ভূমিকা
আপনি যদি সুস্থ দেহের অধিকারী হতে চান তাহলে ব্লকটি আপনার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কি পরিমান এবং কি জাতীয় কতটুকু খাবার খেলে সুস্থ থাকা যায় সে বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।সুস্থ থাকার জন্য খাবারের তালিকা
- স্নেহ
- খনিজ লবন
- খাদ্যপ্রাণ
- পানি
- শর্করা
দিনে কতটুকু শর্করা খাবেন
দিনে কতটুকু শর্করা খাবেন তা নির্ভর করে আপনার বয়স, ওজন, লিঙ্গ, কাজের পরিমাণ ইত্যাদির ওপর। তবে স্বাভাবিক মাত্রা ধরা হয় দিনে ৩০০ গ্রাম। তবে ওজন কমানোর লক্ষ্যে আপনি সেটা কমিয়ে ৫০ -১৫০ গ্রাম পর্যন্ত আনতে পারেন।আরো পড়ুন ফেসবুক আইডি খোলার নিয়ম ২০২3
শর্করা জাতীয় খাদ্য মানবদেহের জন্য প্রয়োজন বটে, যেমন রক্ত জমাট বাঁধে সিনেমে ব্যবস্থায় হাড় গঠনে, দাঁত গঠনে এছাড়াও রক্তের লোহিত রক্ত কণিকা গঠনে বিভিন্ন এনজাইম হিসেবে শর্করা খাদ্যের প্রয়োজ। ন মানব শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শর্করার অভাবে রিকেট রোগ হয়। এর অভাবে গলগন্ড রোগ হয়।
শর্করা জাতীয় খাবার: রুটি, আলু, মুড়ি, চিড়া, পাইরুটি, ধান বা চাল, গম, ভুট্টা, বাজরা, আলু, ওলকপি, কচু, বীট, গাজর, খেজুর, আঙ্গুর, আপেল, বেল, তরমুজ, থোড় ইত্যাদিতে আম, কলা, কমলালেবু প্রর্ভতি পাকা ফলে ফলশর্করা। চিনি, গুড়, মিছরী ইত্যাদিতে ইক্ষুশর্করা। দুধ, পাঁঠার যকৃৎ ও পেশীতে প্রাণীজ শ্বেতসার পাওয়া যায়।
শর্করা জাতীয় খাবার: রুটি, আলু, মুড়ি, চিড়া, পাইরুটি, ধান বা চাল, গম, ভুট্টা, বাজরা, আলু, ওলকপি, কচু, বীট, গাজর, খেজুর, আঙ্গুর, আপেল, বেল, তরমুজ, থোড় ইত্যাদিতে আম, কলা, কমলালেবু প্রর্ভতি পাকা ফলে ফলশর্করা। চিনি, গুড়, মিছরী ইত্যাদিতে ইক্ষুশর্করা। দুধ, পাঁঠার যকৃৎ ও পেশীতে প্রাণীজ শ্বেতসার পাওয়া যায়।
সুস্থ দেহে কতটুকু আমিষ প্রয়োজন?
সুস্থ দেহে কতটুকু আমিষ প্রয়োজন? গবেষণা অনুযায়ী, একজন সুস্থ মানুষ মাত্র ৩০ থেকে ৪৫ গ্রাম আমিষ খেতে পারবেন। এরমধ্যে ৮৫ শতাংশ আমিষ উদ্ভিদ থেকে গ্রহণ করতে হবে। যেমন- সশ্য, বীজ, শাক, সবজি, বাদাম ইত্যাদি থেকে প্রাকৃতিক আমিষ পেতে পারি।দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, মেধা ও বুদ্ধি কমে যায়। তাই আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।
স্নেহ জাতীয় খাবার
স্নেহ জাতীয় খাদ্য: আমাদের প্রতিদিন ব্যবহার্য তেল ও চর্বি জাতীয় খাদ্যের চর্বিকে একত্রে বলা হয় স্নেহ বা Fat। রাসায়নিকভাবে তেল ও চর্বির বিশ্লেষণে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পাওয়া যায়। স্নেহ পদার্থ ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলের সমন্বয়ে গঠিত। স্নেহ পদার্থ পরিপাক হয়ে থাকে ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে পরিণত হয়। ফ্যাটি এসিড দুইভাবে থাকে। সম্পৃক্ত অবস্থায় এবং অসম্পৃক্ত অবস্থায়।
জীবের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য শর্করা ও আমিষ ছাড়াও বিশেষ যে খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন হয় তাই খাদ্যপ্রাণ। এটি সাধারণত খাদ্যে অতি সামান্য পরিমাণে থাকে। বিপাক ক্রিয়ায় উৎসেচকের সাথে কো এনজাইম হিসেবে খাদ্যপ্রাণ কাণ্ড করে।
গ্লুকোজ হল এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যার দ্বারা আমরা তাৎক্ষণিক শক্তি পাই। কার্বোহাইড্রেট শক্তির প্রধান উৎস। এটি কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন উপাদান নিয়ে গঠিত। এই উপাদানগুলো গ্লাইকোজেন আকারে আমাদের শরীরে জমা হয়।
পানি এক প্রকার গন্ধহীন, বর্ণহীন তরল পদার্থ। এটি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সমন্বয়ে গঠিত। দুই পরমাণু হাইড্রোজেন ও এক পরমাণু অক্সিজেন মিলে এক অণু পানি গঠন করে। এর রাসায়নিক সংকেত হলো H2O। পানির হিমাঙ্ক ০ ডিগ্রি এবং স্ফুটনাঙ্ক ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস'-পানির এই সংজ্ঞা অনেকের কাছেই অজানা।
অর্থাৎ খাল, বিল, নদী, সমুদ্র, পুকুর, হ্রদ, ইত্যাদি সকল জলাশয়ই ভূপৃষ্ঠস্থ পানির অন্তর্গত। ইহা পাথরের ফাকে ফাকে অথবা ভূপৃষ্ঠের ঠিক নিচের স্তরে পাওয়া যায়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ পানি বহু রাসায়নিক পদার্থের দ্রাবক হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন শিল্পে শীতলীকরণ এবং পরিবহনের কাজে সহায়তা করে। মানুষের ব্যবহৃত বিশুদ্ধ পানির প্রায় ৭০% ব্যবহৃত হয় কৃষিকার্যে।
আরো পড়ুন অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটার সহজ নিয়ম
সাধারণত ডালডা, মাখন, মাংসের চর্বি ইত্যাদিতে সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড থাকে এবং সকল প্রকার উদ্ভিজ্জ তেল ও মাছের তেলে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড থাকে। ১ গ্রাম চর্বি ৯.৩ কিলোক্যালরি তাপ শক্তি উৎপন্ন করে। একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের প্রত্যহ প্রায় ৩৫-৪০ গ্রাম স্নেহ জাতীয় খাদ্য প্রয়োজন। প্রতি কেজি শরীরের ওজনের জন্য দৈনিক ২-৩ গ্রাম (১ বছর পর্যন্ত শিশুর জন্য)।খনিজ লবণ জাতীয় খাবারের তালিকা
মাংস, ডিম, দুধ, সবুজ শাকসবজি এবং ফল খনিজ লবণের প্রধান উৎস। খনিজ লবণ দেহ গঠন ও দেহের অভ্যন্তরীণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে, অস্থি, দাঁত, এনজাইম ও হরমোন গঠনের জন্য খনিজ লবণ অপরিহার্য উপাদান, স্নায়ু উদ্দীপনা ও পেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে, দেহের জলীয় অংশে সমতা রক্ষা করে ও বিভিন্ন এনজাইম সক্রিয় রাখে।খাদ্যপ্রাণ বা ভিটামিন কাকে বলে
জীবের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য শর্করা ও আমিষ ছাড়াও বিশেষ যে খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন হয় তাই খাদ্যপ্রাণ। এটি সাধারণত খাদ্যে অতি সামান্য পরিমাণে থাকে। বিপাক ক্রিয়ায় উৎসেচকের সাথে কো এনজাইম হিসেবে খাদ্যপ্রাণ কাণ্ড করে।
গ্লুকোজ হল এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট যার দ্বারা আমরা তাৎক্ষণিক শক্তি পাই। কার্বোহাইড্রেট শক্তির প্রধান উৎস। এটি কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন উপাদান নিয়ে গঠিত। এই উপাদানগুলো গ্লাইকোজেন আকারে আমাদের শরীরে জমা হয়।
আরো পড়ুন মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার সহজ উপায় ২০২৩
মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। খাদ্যপ্রাণ দেহের বিভিন্ন বিপাকীয় কাজে অংশগ্রহণ করে দেহকে নিরোগ, সুস্থ ও সবল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্যপ্রাণের স্বল্পতার কারণে বিভিন্ন রোগ হতে পারে।পানির উৎস পানির বৈশিষ্ট্য
অর্থাৎ খাল, বিল, নদী, সমুদ্র, পুকুর, হ্রদ, ইত্যাদি সকল জলাশয়ই ভূপৃষ্ঠস্থ পানির অন্তর্গত। ইহা পাথরের ফাকে ফাকে অথবা ভূপৃষ্ঠের ঠিক নিচের স্তরে পাওয়া যায়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে পানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ পানি বহু রাসায়নিক পদার্থের দ্রাবক হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন শিল্পে শীতলীকরণ এবং পরিবহনের কাজে সহায়তা করে। মানুষের ব্যবহৃত বিশুদ্ধ পানির প্রায় ৭০% ব্যবহৃত হয় কৃষিকার্যে।