সুস্বাস্থ্যের জন্য কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত?

সুস্বাস্থ্যের জন্য কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত? স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের শরীরে শক্তি উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে সুরক্ষা দিয়ে আমাদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত বা কম ক্যালরি গ্রহণ করলে উভয়টি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই খাবার পরিমিতভাবে খেতে হবে, যাতে তা থেকে আমাদের শরীর তার প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালরি পেতে পারে।

সারাদিনের খাবার তালিকা


তাই খাবার পরিমিতভাবে খেতে হবে, যাতে তা থেকে আমাদের শরীর তার প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালরি পেতে পারে।

সুস্বাস্থ্যের জন্য কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত

  •  সুস্থ শরীরের জন্য নয়, এনার্জি লেভেল বাড়াতেও এগুলো প্রতিদিন খাওয়া উচিত।প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার আপনাকে মানসিক উন্নতির পাশাপাশি বিষন্নতাকে দূরে রেখে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে পারে। সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।নিচের খাবারের কিছু তালিকা দেয়া হলোকার্বোহাইড্রেট
আপনার নিয়মিত খাবারে স্টার্চি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন— আলু, রুটি, চাল, পাস্তা এবং সিরিয়াল ইত্যাদি এক-তৃতীয়াংশের বেশি হওয়া উচিত। কারণ এ খাবারগুলোতে অনেক পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং দীর্ঘসময় ধরে পেট ভরিয়ে রাখতে সহায়তা করে। তাই প্রতিটি প্রধান খাবারের সঙ্গে অন্তত একটি স্টার্চি খাবার অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
  • ফল ও সবজিপর্যাপ্ত পরিমাণে ফল ও সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, আন্টিঅক্সিডেন্ট এবং আমিনো অ্যাসিড, যা শরীরের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।প্রতিদিনের খাবারের বিভিন্ন ফল এবং সবজি খাওয়া উচিত।
  • প্রোটিনেরপ্রোটিন সোর্স: মাংস, মাছ, ডাল, ডেয়ারি প্রোডাক্টস, এগুলি প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন, জিংক, বিটামিন বি-১২ ইত্যাদি যেসব নিয়ে স্বাস্থ্য উন্নতি হয়।
  • ফাইবার যুক্ত খাবার:ফাইবার যুক্ত খাবার,যেমন পরোটা, ধানের কুড়া, পটল, লেন্টিলস, ফল ইত্যাদি অনেক ভালো স্বাস্থ্যের জন্য।
  • পুষ্টিশালী অ্যামিনো অ্যাসিডঅ্যামিনো অ্যাসিড মানব দেহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু এগুলি মাংস, মাছ, ডাল, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাবারে পাওয়া যায়।
  • শক্তি ও ত্বকের জন্য অমেগা ফ্যাটমাছের তেল, কাঁচা তেল, বাদাম, খেজুর ইত্যাদি অমেগা-৩ ফ্যাটের ভালো উৎস।
সুস্থ্য জীবনযাপনের জন্য এই ধরণের খাবার সম্পর্কে বিবেচনা করা উচিত। তবে, কোনও নির্দিষ্ট প্রকারের খাবার বা পুষ্টিশালীতে অত্যধিক অবশ্যই বিশেষ করে স্বাস্থ্যগত সমস্যা বা ধরণের রোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।


পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা

পুষ্টিকর খাদ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য এটি খুবই প্রয়োজনীয়। একটি পুষ্টিকর খাদ্য তালিক নিচে দেওয়া হলোপ্রোটিনযুক্ত খাবার মাংস মাছ, ডাল, ছানা, দুধ, পেঁপে ইত্যাদি। এগুলি প্রোটিনের ভালো উৎস।
একইভাবে, প্রতি 100 গ্রাম মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বিভিন্ন হতে পারে।যেহেতু প্রোটিনের পরিমাণ মাংসের প্রকার এবং প্রকৃতি অনুযায়ী পরিবর্তন করে, তাই কিছু মাংসের প্রোটিনের পরিমাণ।মুরগি মাংস প্রতি 100 গ্রামে প্রায় 25-30 গ্রাম প্রোটিন আসে ।গরুর মাংস প্রতি 100 গ্রামে প্রায় 20-25 গ্রাম প্রোটিন থাকতে পারে। 

আরো পড়ুন সুষম খাদ্য কাকে বলে উপাদান গুলো কি কি?

মাছের মাংস প্রতি 100 গ্রামে প্রায় 18-25 গ্রাম প্রোটিন থাকতে পারে।ডাকের মাংস প্রতি 100 গ্রামে প্রায় 25-30 গ্রাম প্রোটিন থাকতে পারে।সূত্রগুলি বিভিন্ন সাইট থেকে সংগৃহীত হতে পারে এবং মাংসের প্রোটিনের পরিমাণ ভিন্ন কারণে তা পরিবর্তন হতে পারে। আপনি যদি নির্দিষ্ট ধরনের মাংসের প্রোটিনের পরিমাণ জানতে চান, তাহলে মাংসের প্যাকেজিং বা সাইট থেকে তথ্য পেতে পারেন।

সবারই শারীরিক প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে, তাই আপনার পূর্বাভাস এবং শারীরিক অবস্থার সাথে মিলিয়ে মাংসের পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত। ভালো স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিকর খাবার সেবন করা উচিত। ডাল: ডাল একটি পোষক ও প্রোটিনের ভালো উৎস হতে পারে। সাধারণত প্রতি 100 গ্রাম ডালে প্রোটিনের প্রায় 7-9 গ্রাম থাকতে পারে।ছানা।

ছানা বা চিকন পীঠি অথবা বুটের ছানা প্রোটিনের ভালো উৎস হতে পারে। প্রতি 100 গ্রাম ছানা থাকতে পারে প্রায় 8-10 গ্রাম প্রোটিন।দুধ: দুধ প্রোটিনের ভালো উৎস হতে পারে। প্রতি 100 গ্রাম দুধে প্রায় 3-4 গ্রাম প্রোটিন থাকতে পারে।পেঁপে: পেঁপে সবুজ ডাল যা প্রোটিনের ভালো উৎস হতে পারে। প্রতি 100 গ্রাম পেঁপে প্রায় 3-4 গ্রাম প্রোটিন থাকতে পারে।

ওজন অনুযায়ী খাদ্য তালিকা

ব্যক্তির ওজন অনুযায়ী খাবারের তালিকা সাধারণত বিভিন্ন হতে পারে, তার শারীরিক অবস্থা, লক্ষ্য, মেটাবলিক রেট, সাধারণ পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি ভিন্ন হতে পারে। একটি নির্দিষ্ট ওজন অনুযায়ী খাবারের তালিকা সেরা মানদণ্ড 

তবে, একটি সাধারণ গাইডলাইন হিসেবে, আপনি নিচের ধারণাগুলি মানতে পারেন:প্রোটিন: যখন আপনি ওজন প্রতিবেশী খাবারের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন, তখন প্রোটিন প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠে। যেহেতু ওজনের জন্য আপনি শরীরের বিভিন্ন কাজে প্রোটিন প্রয়োজন করেন, তাই ওজন অনুযায়ী আপনার প্রোটিন খাবারের পরিমাণ বদলে যেতে পারে।

আরো পড়ুন একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দিনে কি পরিমান খাবার খাওয়া প্রয়োজন?

ফল এবং সবজি: ফল এবং সবজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু এগুলি পুষ্টিশালী, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের ভালো উৎস। ওজনের সাথে সম্পর্কিত একটি সাধারণ পরামর্শ হতে পারে প্রতিদিন ২-৩ কাপ ফল এবং ২-৩ কাপ সবজি সাপ্লাই করা।গ্রেইন ও স্টার্চি খাদ্য: রাইস, পুলাও, পাস্তা, রোটি, ইত্যাদি। 

এই ধরনের খাবার গুলি পুষ্টিশালী ও কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস হতে পারে।হিউমন এক্টিভিটি: আপনার দৈনিক ওজন এবং অনুসারে আপনি বিভিন্ন ধরনের ফিটনেস এক্সারসাইজ করতে পারেন।

সারাদিনের খাবার তালিকা 

সকালের নাস্তা  প্রাতিদিনের শুরু করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার দিনের শুরুটা কিভাবে হতে চাইবে তা নির্ধারণ করে। সকালের নাস্তা হলো প্রাতিদিনের প্রথম খাবার যা আপনাকে দিনের শুরু করতে সক্ষম করে এবং শরীরে শক্তি সরবরাহ করে।কিছু সম্পূর্ণ সুস্থ সকালের নাস্তা ইনক্লুড করা যেতে পারে।

টোস্ট দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। এটি সহজে তৈরি করা যায় এবং বিভিন্ন পরিমাণে প্রোটিন এবং শক্তি সরবরাহ করে।ডিমের অমলেট একটি উত্তম সূত্র হতে পারে প্রোটিন এবং ভিটামিন প্রদান করার জন্য।ফল খাবারে যোগ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ, এটি নিয়ামিত নাস্তা করার জন্য উচিত এবং পুরুষ্কৃত খাবার তালিকার একটি অংশ হতে পারে।গাড়ি ও ফলের জুস। 

আরো পড়ুন একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দিনে কি পরিমান ভিটামিন প্রয়োজন

তাজা ফল বা ফলের জুস পানি বা প্রোটিনের সাথে ভালো কম্বিনেশন হতে পারে এবং স্বাস্থ্যকর এবং পুরুষ্কৃত খাবার হতে পারে।এই নাস্তা সম্পর্কিত মানদণ্ড হতে পারে এবং ব্যক্তি ভিত্তিকভাবে পরিবর্তন হতে পারে। এটি আপনার দিনের শুরু করার জন্য প্রোটিন এবং পুরুষ্কৃত উপাদান সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।

দুপুরের খাবার সাধারণত সমৃদ্ধ এবং পুরুষ্কৃত হতে পারে যাতে সেই সময়ে শরীর সঠিকভাবে পুরোটা প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করা যায়।কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ দুপুরের খাবার এর মধ্যে কিছু খাবার হলো


কিছু পরিমাণে কিউম্বার, গাজর, টমেটো, শসা, পেঁপে, বনগোবিন্দ, ব্রোকলি ইত্যাদি।মাংস বা মাছ: প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হতে পারে যেমন মাংস বা মাছ। মুরগি, বাকরি, ইলিশ, রুই, কাতলা, ইত্যাদি হতে পারে মাংস বা মাছ নির্বাচন করা।চাল বা রুটি: অনেকের পরিবারে চাল বা রুটি সাধারণ দুপুরের খাবারের অংশ হতে পারে।

দাল বা লেজোট: ডাল বা লেজোট সমৃদ্ধ প্রোটিনের উৎস হতে পারে এবং পুরুষ্কৃত খাবারের মধ্যে একটি স্বাভাবিক উপাদান।দুধ বা দুধ পণ্য: দুধ, দই, চিজ ইত্যাদি মানসম্মত পুরুষ্কৃত উপাদান হতে পারে এবং তা আপনার ব্রেকে থাকা শরীরের নির্দিষ্ট পুরোটা সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।

এই সুপারিশগুলি নির্দিষ্ট না হতে পারে এবং ব্যক্তি ভিত্তিকভাবে পরিবর্তন হতে পারে। তবে, সমৃদ্ধ প্রোটিন, সবজি এবং পুরুষ্কৃত উপাদান যোগ করা সবার জন্য ভালো হতে পারে দুপুরের খাবার হিসেবে।


বিকালের নাস্তা সময়ের মধ্যে একটি পরিস্থিতির জন্য প্রাথমিক খাবার হতে পারে যা সহজে সংগ্রহ করা যায় এবং শরীরের শক্তি সরবরাহ করে। বিকালের নাস্তাতে কিছু সার্জিক্যাল সুপারিশগুলি হতে পারে:
ফলের স্লাইস বা স্লাইস ফল: বিকালের নাস্তাতে তাজা ফল বা ফলের স্লাইস সম্পর্কিত পুরুষ্কৃত ও সুস্থ উপাদান সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।চা বা কফি। 

চা বা কফি বিকালের নাস্তাতে যোগ করা যেতে পারে যা আপনার শরীর ও মানসিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।বিস্কুট বা কুকিজ: কিছু পরিমাণে বিস্কুট বা কুকিজ বিকালের নাস্তাতে যোগ করা যেতে পারে।নারিল বা ব্রেড প্যাক: নারিল বা ব্রেড প্যাক বিকালের নাস্তার জন্য একটি সহজ বিকল্প হতে পারে।এই সুপারিশগুলি ব্যক্তিগত স্বাদ এবং পছন্দ অনুযায়ী পরিবর্তন করা যেতে পারে। 

বিকালের নাস্তা হচ্ছে একটি সুস্থ কার্যকর খাবার যা আপনার দিনের শেষে নিজেকে সুস্থ এবং প্রোটিনের সমৃদ্ধ হিসেবে তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

রাতের খাবার সমৃদ্ধ, সামগ্রিকভাবে এবং স্বাস্থ্যকর হতে পারে যা রাতের সময়ে শরীর প্রয়োজনীয় পুরোটা প্রদান করে এবং গভীরভাবে ঘুম এবং পুনর্জাগরণের সাথে সম্পর্কিত। কিছু পুরুষ্কৃত এবং সমৃদ্ধ রাতের খাবারের উদাহরণ:সবজি সালাদ বা সবজির তরকারি। 

তাজা সবজি সালাদ বা তরকারি একটি স্বাস্থ্যকর এবং ভিটামিনএর বিকল্প হতে পারে।প্রোটিন সোর্স: মাংস, মাছ, ডাল, এগ ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস হতে পারে রাতের খাবারে।দুধ বা দুধের পণ্য: দুধ, দই, পানির বিস্কুট ইত্যাদি রাতের খাবারের একটি অংশ হতে পারে।চাল বা রুটি: এই প্রোটিনের সূত্রের সাথে চাল বা রুটি খেতে পারেন।

ফল: তাজা ফল রাতের খাবারে সহায়তা করতে পারে এবং এটি পুরুষ্কৃত উপাদান সরবরাহ করতে পারে।এই খাবারের পরিমাণ এবং ধরণ ব্যক্তি ভিত্তিক ভিন্ন হতে পারে। রাতের খাবার হচ্ছে একটি সাধারণভাবে সুস্থ এবং পুরুষ্কৃত খাবার যা আপনার শরীরের নির্দিষ্ট পুরোটা সরবরাহ করতে সাহায্য করতে পারে।

ঘুমানোর আগেঃঅবশ্যই ঘুমাতে যাওয়ার দুই থেকে তিন ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করতে হবে।এক গ্লাস ননি মুক্ত দুধ

বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা

১৩ থেকে ১৯ বছর- এই বয়সকে বলা হয় টিনএজ বা বয়ঃসন্ধি কাল। এসময় ছেলে, মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন ঘটে। টিনএজ বয়সে দেহে ব্যাপক পুষ্টির চাহিদা থাকে। তাই এই বয়সে প্রচুর পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। প্রতিবেলায় যেন ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও আয়রনজাতীয় খাবার থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে।

দেহে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। ফাস্টফুড খাবার ক্ষতি না হলেও সে সময় এ ধরনের খাবার খাওয়া ঠিক নয়।

২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্য পুষ্টিযুক্ত এবং স্বাস্থ্যকর খাবার প্রয়োজন। এই বয়সে শরীরের সম্পূর্ণ উন্নতি এবং ক্যালোরি এবং পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই বাড়তে থাকে। তাই এই বয়সে ভালো পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। যেমন প্রোটিন: প্রোটিন শরীরের গাঠান প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে এবং মাংসপেশী তৈরি করে। 

মাংস, মাছ, ডাল, ডেয়ারি প্রোডাক্ট ইত্যাদি খাবারে প্রোটিন পাওয়া যায়।ফল এবং সবজি: তরল খাবার, যেমন ফল এবং সবজি, পুষ্টিকর এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। এগুলি শরীরের প্রতিরক্ষা প্রণালীকে সাহায্য করে এবং ভিটামিন এবং খনিজের সাথে সমৃদ্ধ থাকে।অনাজ এবং ধান: সমৃদ্ধ অনাজ এবং ধান প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন, খনিজ ইত্যাদি প্রদান করে।

তাজা ও পুষ্টিযুক্ত খাবার: প্রয়োজনীয় পুষ্টিযুক্ত খাবার নিতে প্রচুর তাজা খাবার, যেমন ফল, সবজি, দুধ, মাংস, মাছ ইত্যাদি খাওয়া উচিত।পর্যাপ্ত পানি: প্রতিদিন যথায়থ পরিমাণে পানি পান করা উচিত।এই বয়সগুলিতে শরীর সামগ্রিক বেশি শক্তি এবং পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা থাকে। 

সেজন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার নিতে প্রয়োজন। তবে, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা, ফিটনেস লেভেল, প্রকৃতি এবং ডাক্তারের পরামর্শের ভিত্তিতে আপনার খাবারের তালিকা ব্যবস্থা করা উচিত।

৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্য সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এই বয়সে শরীরে পরিবর্তনের প্রতিরোধ কমে যায়, তারা পূর্ণাঙ্গ জীবনযাপন করতে বেশি সম্প্রীত হয় এবং স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সমস্যা সাধারণত বেশি হয়। তাই পরিমিত পরিমাণে খাবার এবং প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারল
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদির সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।

এই বয়সে শারীরিক অনেক পরিবর্তন আসে। তাই এই পর্যায়ে দরকার সঠিক ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা। বিশেষ করে হাড় সুস্থ রাখতে খুবই সচেতন থাকা দরকার। প্রোটিনজাতীয় খাবার খেতে বেশি খেতে হবে। ডিম, মুরগি, ডাল, বাদাম, শস্যদানা এই খাবারগুলো প্রোটিনের ভালো উৎস। 

এছাড়া ফ্যাট ছাড়া দুধ ও টক দই খেতে হবে নিয়মিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ফুড সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে।

৪০ থেকে ৪৯ বছর  জীবনের এই সময়টাতে এসে আপনি নিজের জন্য কিছুটা সময় খুব সহজেই কিন্তু বের করে নিতে পারেন। চলুন দেখা যাক এই সময়ে আপনার শরীরে কী ধরনের পুষ্টির চাহিদা থাকে।মূল যেসব পুষ্টি এ সময়ে আপনার শরীরে চাই-ই চাই।এই সময়টাতে শরীরের আয়রন শোষণ ক্ষমতা কমে যায়। 

কারণ ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য ঠিক যে পরিমাণ এসিড পাকস্থলীতে তৈরি হওয়া প্রয়োজন, সে পরিমাণ হয় না। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ১,০০০ মিলিগ্রামপরিমাণ ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার রাখুন। দুধ, বরবটি, কাজুবাদাম, ব্রোকলি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়শ ও পালং শাক থেকে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে পারেন।

৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্য পুষ্টিযুক্ত, স্বাস্থ্যকর এবং উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার প্রয়োজন। এই বয়সে শরীরের প্রোটিন এবং ক্যালশিয়ামের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়, তাই প্রোটিন এবং ক্যালশিয়ামের সঠিক পরিমাণ সংরক্ষণ করা উচিত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন