সুষম খাদ্য কাকে বলে উপাদান গুলো কি কি?

সুষম খাদ্য কাকে বলে উপাদান গুলো কি কি? মানব দেহ থেকে প্রতিদিন কিছু না কিছু শক্তির ক্ষয় হয়। এই ক্ষয়প্রাপ্ত শক্তির ঘাটতি পূরণ করার জন্য প্রতিদিনই শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্যের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ধরনের খাবারে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে এবং শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বা বিভিন্ন টিস্যুর জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ প্রয়োজন হয়।সুষম খাদ্যের অভাবে কি কি রোগ হয়।
  
সুষম খাদ্য কাকে বলে উপাদান গুলো কি কি?

 বিভিন্ন ধরনের খাবারে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে এবং শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বা বিভিন্ন টিস্যুর জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ প্রয়োজন হয়।সুষম খাদ্যের অভাবে কি কি রোগ হয়

সুষম খাদ্য কাকে বলে?

মানবদেহ থেকে প্রতিদিন কিছু না কিছু শক্তি ক্ষয় হয় । এই ক্ষয়প্রাপ্ত শক্তির ঘাটতি পূরণ করার জন্য আবার প্রতিদিনই শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয়।বিভিন্ন ধরনের খাবারে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে এবং শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণই প্রয়োজন হয়।
যেমন:- শর্করা, আমিষ, ভিটামিন, খনিজ লবন, চর্বি ইত্যাদি ।
মনে রাখতে হবে, কেবল এক প্রকার পুষ্টি বেশি গ্রহণ করলেই শরীরের যাবতীয় পুষ্টির চাহিদা মিটে যায় না । এজন্য দরকার পরিমাণমতো সব ধরনের পুষ্টি । এক কথায় যে সব খাদ্য 

সুষম খাদ্যের প্রধান উপাদান গুলো কি কি?

সুষম খাদ্যের প্রধান ছয়টি উপাদান: শর্করা, আমিষ, স্নেহ বা চর্বিজাতীয় খাবার, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি। এগুলো খাবারের তালিকায় সঠিক অনুপাতে উপস্থিত থাকলে তাকে সুষম খাদ্য বলে।

শর্করা (Carbohydrates) 

শর্করা (Carbohydrates) কাজ করার জন্য আমাদের শক্তি প্রয়োজন এবং এটি কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাদ্য দ্বারা পরিপূর্ণ হয়। শর্করা চাল, গম, চাপাতি, রুটি ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। এটি আমাদের প্রধান খাদ্য। দৈনন্দিন ক্যালোরির প্রায় ৫৫-৬০% কার্বোহাইড্রেট থেকে গ্রহণ করা উচিত।

আমিষ (Proteins)

আমিষ (Proteins)মানব দেহ বৃদ্ধির জন্য এবং শরীরের ক্ষয় পূরণের জন্য প্রোটিন বা আমিষের প্রয়োজন। প্রোটিন আমাদের পেশী, অঙ্গ, ত্বক এবং চুল গঠনে অবদান রাখে। এটি দুগ্ধজাত দ্রব্য, মাংস, ডিম, মুরগি ইত্যাদিতে পাওয়া যায়। 

আরো পড়ুন একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দিনে কি পরিমান ভিটামিন প্রয়োজন

এছাড়া মাছ, মাংস, কলিজা, ডিম, ডাল, বাদাম ও বীজজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে আমিষ রয়েছে। আমিষ দেহ গঠনে জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আমাদের বেশি বেশি আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।

স্নেহ বা চর্বিজাতীয় খাবার

স্নেহ বা চর্বিজাতীয় খাবার :চর্বি একটি প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান। কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন দিয়ে তৈরি এই উপাদানটির মুখ্য কাজ হলো তাপ উৎপাদন করা। এই উপাদানটি পাকস্থলীতে অনেকক্ষণ থাকে, তাই তখন ক্ষুধা পায় না। দেহের ত্বকের নিচে চর্বি জমা থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন অঙ্গ।যেমন: যকৃৎ, মস্তিষ্ক, মাংস পেশিতেও চর্বি জমা থাকে। 

দেহের এ সঞ্চিত চর্বি উপবাসের সময় কাজে লাগে। শর্করা ও আমিষের তুলনায় চর্বিতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ ক্যালরি থাকে। উৎস অনুযায়ী স্নেহপদার্থ দুই ধরনের, উদ্ভিদ স্নেহপদার্থ এবং প্রাণীজ স্নেহপদার্থ ।

উদ্ভিজ্জ স্নেহপদার্থ: সয়াবিন, সরিষা, তিল, বাদাম, সূর্যমুখী এবং ভুট্টার তেল ভোজ্যতেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভোজ্যতেলের মধ্যে সয়াবিন তেল প্রধান।প্রাণিজ স্নেহপদার্থ: চর্বি, ঘি, ডালডা ইত্যাদি প্রাণিজ স্নেহপদার্থ। ডিমের কুসুমে স্নেহপদার্থ আছে কিন্তু সাদা অংশে স্নেহপদার্থ থাকে না। 

স্নেহপদার্থ পানিতে অদ্রবণীয়। পানির চেয়ে হালকা বলে পানির উপর ভাসে। একজন সুস্থ সবল পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির জন্যে দিনে ৫০ - ৬০ গ্রাম চর্বির প্রয়োজন হয়।

ভিটামিন

ভিটামিন হচ্ছে জৈবিক উপাদান যা আমাদের শরীরে একেবারে তৈরি হয় না বা দরকারের চেয়ে কম তৈরি হয়। এই জৈবিক উপাদান অল্প পরিমাণে লাগে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে শরীরের জোগান দিতে হয়। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।ভিটামিনের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে, যেমনঃভিটামিন এ: স্থূলতম রূপে থাকা এবং শরীরে ব্যবহার করা হয়। 

এর মধ্যে এশিয়াটিক, রিভার, পাল্মিটেট, অ্যাসিটেট, এস্ট্র, ফোসফেট ও গুলি ধরণের হতে পারে।ভিটামিন বি: রোডোফের, রীটিনল, এলোট্রপি, ইসোট্রেটিন এবং এস্টার এই ধরণের হতে পারে।


ভিটামিনের গুরুত্ব অনেক বেশি, যেহেতু এগুলি আমাদের শরীরে বিভিন্ন কাজ করে এবং অপরিহার্যভাবে জরুরি। এগুলি ভিটামিন শরীরের স্বাভাবিক কাজে সাহায্য করে, যেমন প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট প্রতিষ্ঠা করা, হাড় এবং দাঁতের গড়া গঠন, হার্মোন উৎপাদন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি।

একেক ধরণের ভিটামিনের জন্য পুরো তালিকা একই সঙ্গে দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ এরা অনেক বিভিন্ন উৎস থেকে আসতে পারে এবং প্রতিটি ভিটামিনের নানা ধরণের উপাদান রয়েছে। তবে, এগুলি সাধারণভাবে পোষণকারী খাবার, যেমন ফল, সবজি, গরুর মাংস, ডেয়ারি পণ্য, মাছ ইত্যাদি।

থেকে পেয়ে যায়।ভিটামিনের অধিক অথবা অভাব দুর্ভাগ্যজনক ফলাফল সহন করতে পারে এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার কারণ হতে পারে।

খনিজ লবণ

খনিজ লবণ হলো সাধারণত প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া দ্বারা নীরস পানি থেকে পাঁচনা করা যায়না এমন প্রাকৃতিক অবস্থান সম্পন্ন মিশ্রণ। এই লবণগুলো সাধারণত মানব শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান যা পুরো শরীরের নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

খনিজ লবণের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অংশ থাকতে পারে, যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিংক, ফসফরাস ইত্যাদি।এই খনিজ লবণগুলো আমাদের শরীরে অনেক কাজে ব্যবহার হয়, যেমন নার্ভ সিস্টেমের কাজ, অস্থি গঠন, ডিজেস্টিভ সিস্টেম, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। 

আমাদের খাবারে থাকা খনিজ লবণ মূলত সবজি, ফল, মাছ, গরুর মাংস ইত্যাদি থেকে প্রাপ্ত হয়। এছাড়াও, সহায়তা ছাড়াও আমরা খানিজ লবণ সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করতে পারি যেখানে চিকিৎসা বা শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে করা হয়।

পানি

যা শারীরিক এবং মানসিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।ওজন নিয়ন্ত্রণ: পানি মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাথমিক প্রাকৃতিক উপাদান। পানি মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, কারণ এটি শরীরের বিভিন্ন কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।পানিতে কোনো ক্যালরি নেই, তবে এটি শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। 

পানির অভাবে শরীরে অবশিষ্ট পানি হ্রাস পায় যা কৃত্রিমভাবে শরীর থেকে বাহির হয়ে যায় এবং এটি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যেমন ক্রোনিক ডেরি ও পানিতে অভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যসম্মত ফাংশন পরিলীন হতে পারে। পানি স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পানি মূলত খালে পাওয়া যায় এবং সাধারণত নদী, ঝর্ণা, সমুদ্র, পানির সিঁড়ি ইত্যাদি থেকে প্রাপ্ত হয়।এছাড়াও, পানি সাধারণভাবে ভাপ হয়, যা পরবেশ সংক্রমণ রোগের প্রতি সাবধানতা সাথে রাখা উচিত। সাধারণভাবে, দিনে সাধারণভাবে অনুমান করা হয়। 

যে প্রতি দিন একজন সাধারণ মানুষের জন্য প্রতি দিন প্রায় 2-2.5 লিটার পানির প্রয়োজন হয়। স্বাস্থ্যকর এবং সাফল্যমূলক জীবনের জন্য, নিয়মিতভাবে পানি গ্রহণ করা উচিত এবং পানির গুনগত মান সাবধানে রাখা উচিত।

তারা সাধারণভাবে প্রাকৃতিক গায়ে জীবাণু, কীটনাশক, কীটনাশক বা অন্যান্য অস্থায়ী রাসায়নিক মিশ্রণের অভাবে থাকে। সুষম খাদ্যের উপকারিতা হলো:পুষ্টিকর: সুষম খাদ্যে প্রাকৃতিক ভাবে সাধারণভাবে পুষ্টিকর উপাদান থাকে, যা শরীরের প্রতিটি অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করে। 

যা শরীরের সাধারণ কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।স্বাস্থ্যকর: সুষম খাদ্য প্রাকৃতিক উপাদান ও প্রোটিন সরবরাহ করে, যা শরীরের অনুভূতি ভাল রাখে এবং রোগের ঝুঁকি কমিয়ে তুলে। এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসম্পর্কিত সমস্যার জন্য উপকারী। 

শরীরের বিভিন্ন অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: প্রাকৃতিক খাদ্য মানব শরীরের বিভিন্ন অংশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেমন হৃদয়, মস্তিষ্ক, হাড়-মাংসপেশী, স্বাস্থ্যগত প্রতিস্থাপন ইত্যাদি। প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য: সুষম খাবার সাধারণভাবে প্রাকৃতিক এবং সহজলভ্য হয়। 

এগুলি অনেক সময় আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান সরবরাহ করে এবং অস্থায়ী রাসায়নিক মিশ্রণ বা বিষাক্ত পদার্থ থেকে দূরত্ব রক্ষা।

সুষম খাদ্যের অভাবে কি কি রোগ হয়

সুষম খাদ্যের অভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রোগ ও অসুস্থতা হতে পারে। কিছু প্রধান অসুস্থতা বা সমস্যা হতে পারে তা নিচে দেওয়া হলো :-প্রোটিনের অভাব: প্রোটিন শরীরের গড়া এবং মাংসপেশীর উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের অভাবে মাংসপেশী দুর্বল হতে পারে এবং যা মাংসপেশী সংক্রান্ত বিভিন্ন অসুস্থতা বা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

ভিটামিন ও খনিজ অভাব: ভিটামিন ও খনিজ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, ক্যালসিয়ামের অভাবে হতে পারে অস্থি জড়ানোর সমস্যা, আয়রনের অভাব এনেমিয়া বা অক্সিজেনের অপ্রচুর প্রয়োজনের ফলে হাতে লক্ষণ হয়ে আসা ইত্যাদি।মালনুট্রিশন: সুষম খাদ্যের অভাবে মানব শরীর মালনুট্রিশনের জন্য উপযুক্ত পুষ্টিকর উপাদান পাচ্ছে না।

সুষম খাদ্যের অভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে এবং অনেক সময় ওজন বা ওজন সম্পর্কিত অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।সমস্যা অম্পর্ত্যা: পুষ্টিকর খাবারের অভাবে শরীর সমস্যা নিয়ে সম্পর্কিত অম্পর্ত্যা হতে পারে, যেমন মাঝে মাঝে পেটের কোন সমস্যা, গ্যাস এবং অন্যান্য পাচন সম্পর্কিত সমস্যা।

সুষম খাদ্যের অভাব সম্পর্কিত সমস্যা সাধারণভাবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ভালো নয়, তাই প্রতিদিন সঠিক পুষ্টিকর খাবার সেবন করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি কোনও পুষ্টিকর খাবারের অভাব বা পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব নিশ্চিত হন, তবে তা সাধারণভাবে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ বিষয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন